নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

opolok-polok

অপলক

তত্ত্ব, তথ্য ও অনুভূতি ভাগাভাগি করা আমার অভিপ্রায়। কারও যদি ইচ্ছে হয় তবে যে কেউ আমার এই ব্লগের যে কোন কিছু নিজের সংগ্রহে রাখতে পারে।

অপলক › বিস্তারিত পোস্টঃ

ঢাকার গু যাবে ঘরে ঘরে

১৬ ই জুলাই, ২০২৩ রাত ৮:৫৬

"গু" না বলে পয়:বর্জ্য বললে ভাল শোনাত। যাই হোক শিরোনাম শুনে রাগ করার কিছু নাই। বাস্তবতা হয়ত এমনই হবে।

আপনারা জানেন, দাসেরকান্দি পয়:বর্জ্য শোধনাগারের কথা। এখানে সংগ্রহীত তরল বর্জ্য যেখানে, মানুষের মল, গোবর বা দৈনন্দিন জীবনের সবকিছু যা ড্রেন দিয়ে শোধনাগারে পৌছাচ্ছে, সবই বিভিন্ন প্রক্রিয়ায় আদ্র গাদকে বা থলথলে তলানিকে শুষ্ক করে রোটারি ক্লিনারের মাধ্যমে ড্রাই আ্যাস তৈরী করছে।

আর এই ড্রাই আ্যাস সারা দুনিয়ায় ব্যবহৃত হয়, সিমেন্টে (পোর্টল্যান্ড সিমেন্ট/ রেডিমিক্স সিমেন্ট), ইট, টাইলস, সো-পিস, রং বা বালু মিশ্রিত যে কোন কাজে। (দাসেরকান্দিতে কি হচ্ছে বা হবে তা জানিনা।)

ভাবুন একবার, আপনি এমন একটা ঘরে শুয়ে আছেন, যেখানে হাজার হাজার মানুষের গু থেকে তৈরী ড্রাইআ্যাস এর সিমেন্টের / বালু/ ইট/ টাইলস /পালাস্টার।

আসলে প্রক্রিয়াজাত করা থাকবে পয়:বর্জ্য। বাস্তববাদীদের মনে কোন দাগ কাটার কথা না। আর তাছাড়া আমরা তো প্রতিদিন কত শত খাবার খাচ্ছি যা কিনা শুকরের ফ্যাট থেকে আসে। কিন্তু সেগুলো প্রক্রিয়াজাত করা। সমস্যা কোথায়, তা্ই না? তারপরেও আমার কেমন কেমন জানি লাগে !!



আপনারা হয়ত অনেকেই জানেন, দেশের বেশির ভাগ ওষুধ কোম্পানির অধ:ক্ষেপ, যে গুলো কোথাও ফেলা যায় না, দেশের বিভিন্ন সিমেন্ট কারখানায় পাঠানো হয়, যাদের বিশেষ করে রোটারি ক্লিনার আছে। সেখানে বার্ন করে সিমেন্টে মেশানো হয়। কত খরচে দায় মুক্তি।

আমার তো মনে হয়, রুপপুর পারমানবিক কেন্দ্রের যে অধ:ক্ষেপ পরবে, রাশিয়া যদি ফেরত নাও নেয়, চিন্তা নাই, যে কোন রোটারি ক্লিনার সব হজম করে ফেলবে। পারমানবিক অনু পরমানু হোক আর নরবর হোক, ব্যাপার না। ঘরে ঘরে চালিয়ে দেয়া যাবে...

মন্তব্য ১৯ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (১৯) মন্তব্য লিখুন

১| ১৬ ই জুলাই, ২০২৩ রাত ৯:৪৫

রানার ব্লগ বলেছেন: তো সমস্যাটা কোথায় ? ডেইলি যে মুত খাচ্ছেন পানির আকারে তা কি করে খান ?

১৬ ই জুলাই, ২০২৩ রাত ১০:১৭

অপলক বলেছেন: ঘটনা ফেলার নয়। যুক্তি আছে। কিন্তু উপায় নেই। টাকা থাকলে নিতা আম্বানির মত এন্টার্কটিকার ১ মিলিয়ন বছর আগের জমে থাকা বরফে সোনা মিশিয়ে পানি পান করতাম। ১লিটারের দাম লাখ টাকার ওপর পরত। দিনে ৩ লিটার মানে ৩ লক্ষের উপর। যেটা বের হত, সেটাও দামি। তখন হয়ত মহাত্মা গান্ধির মত, সকালের আউটপুট গলধকরন করে ফেলতাম।

অন্যদিকে এটাও ভাবি, আমার প্রতিদিনের ১.৫লিটার মুত প্রায় ১০০০ ফুট নিচে যেতে পাচ্ছে তো ? কারন ঢাকার ড্রিঙ্কিং পানির লেয়ার বর্তমানে ১০০০ ফুটের কাছাকাছি।

ব্যাপক চিন্তায় পড়লাম। এই জন্যে বোধায় ডলি শায়ন্তনি গেয়েছিল: চিন্তার চেয়ে চিতার আগুন ভাল।

২| ১৬ ই জুলাই, ২০২৩ রাত ১১:০৬

রানার ব্লগ বলেছেন: লেখক বলেছেন: ঘটনা ফেলার নয়। যুক্তি আছে। কিন্তু উপায় নেই। টাকা থাকলে নিতা আম্বানির মত এন্টার্কটিকার ১ মিলিয়ন বছর আগের জমে থাকা বরফে সোনা মিশিয়ে পানি পান করতাম।

আপনার জানা আছে হয়তো এন্টার্কটিকার উপরে জমা দশফুট বরফ কেবল পেঙ্গুয়িন আর মেরু ভল্লুকের হিসি !!!

১৭ ই জুলাই, ২০২৩ দুপুর ১:০৩

অপলক বলেছেন: আর মনে করে দিয়েন না ভাই।

মজার এক ঘটনা বলি, সিলেটে একবার বড় একটা বরফের টুকরা পড়ল আকাশ থেকে। থানার নাম বলছি না। বরফটা হালকা নীল কালার। চারপাশ থেকে লোক জন এসে বোতলে ভরা শুরু করল। কেউ কেউ খেয়ে ফেলল, গায়েও মাখল। বিশ্বাসে মিলায় রতন। অলৌলিক বলে কথা। ময়মনসিংহেও ঘটল এমন ঘটনা।

যাই হোক আপনি হয়ত জানেন, প্লেন থেকে অনেক সময় সুয়ারেজের বরফ পানি ফেলা হয় নানা কারনে। পরে সেটাই প্রমানিত হয়েছিল।

৩| ১৭ ই জুলাই, ২০২৩ রাত ১২:৫২

জাদিদ বলেছেন: বাকস্বাধীনতার সব চেয়ে বড় সুবিধা হচ্ছে গু টাইপ চিন্তা ভাবনাকেও একটি মত হিসাবে প্রকাশ করা যায়। |-)

১৭ ই জুলাই, ২০২৩ সকাল ৯:২৭

অপলক বলেছেন: বাক স্বাধীনতা থাকলে কি আর গু টাইপ পোষ্ট করতে হয়? ডিম থেরাপি জায়গা মত পড়লে বুঝতেন জ্বিবাটা কিভাবে সংযত করতে হয়।

পোস্টে একটা গুরুতর ম্যাসেজ দেয়া আছে, আমজনতা সেটা এখনও ধরতে পারেনি। ধরতে পারলে মাথা ৩৬০* তে ঘুরত।

৪| ১৭ ই জুলাই, ২০২৩ সকাল ১১:০৪

রানার ব্লগ বলেছেন: ভাইজান আশাকরি আজ থেকেই টিস্যু ব্যাবহার বন্ধ করবেন । কারন বাংলাদেশের সব ধরনের টিস্যুই রি-সাইকেল প্রডাক্ট !!! আর যে যে প্রডাক্ট রি-সাইকেল করা হয় উহা ভাইজানের জন্য হানিকারক !!

১৭ ই জুলাই, ২০২৩ দুপুর ১২:২৮

অপলক বলেছেন: টিস্যু যে উপাদান তৈরী হয়, যদি দেখত তাহলে কেউ টিস্যু দিয়ে মুখ বা প্লেট মুছত না। কি পরিমান নোংরা পানি আর উপাদান থাকে, কল্পোনাতীত। ইদানিং, পলিব্যাগ তৈরীতেও ডাস্টবিন থেকে সংগ্রহীত পলিথিন ব্যবহার করে। অন্যান্য দেশে ভাল ভাবে পিউরিফাই করে, কিন্তু ইহা সোনার বাংলা। তাই চিপায় না পড়লে, টিস্যু ব্যবহার করিনা।

সব চলে এদেশে... ঢাকা, সিলেট, চিটাগঙে টিস্যুর লাচ্চি, মিলসেক পাওয়া যায়। কোথায় যেন মিষ্টিও তৈরী হয়েছিল ব্যবহৃত টিস্যু থেকে। করোনার আগে আমার অফিসে এক টোকাই আসত প্রতিদিন সকালে। সব সাদা টিস্যু বস্তায় ভরে নিত। ওকে গার্ড জিজ্ঞেস করায় বলেছিল, কোন এক দোকানদার বস্তা ভর্তি টিস্যু কিনে নেয়। শুধু সাদা টিস্যু। তাই সে অফিসে অফিসে গিয়ে ফ্রি সংগ্রহ করে। আশা করি পঞ্জমিষ্টি খাবার সময় দারুন কিছু মনে হবে।

৫| ১৭ ই জুলাই, ২০২৩ দুপুর ১২:১৫

নতুন বলেছেন: আর তাছাড়া আমরা তো প্রতিদিন কত শত খাবার খাচ্ছি যা কিনা শুকরের ফ্যাট থেকে আসে। কিন্তু সেগুলো প্রক্রিয়াজাত করা। সমস্যা কোথায়, তা্ই না? তারপরেও আমার কেমন কেমন জানি লাগে !!

কয়েকটা খাবারের নাম বলুন তো যেটাতে শুকরের ফ্যাট থেকে আসে?

এতো বেশি চিন্তা করার দরকার নাই। পারমানিবিক প্লান্টের বর্জ অবশ্যই এমন ভাবে রিসাইকেল হবেনা।

আরেকটা জিনিস চিন্তা করেছিন কিনা জানিনা। তবে মানুষের সাথে হ্যান্ডসেক করা বাদ দিন।

কারন বোঝনেই তো সকল মানুষই হাত দিয়ে প্রতিদিন প্রাতকর্ম করে। তাই আপনি মানুষের হাত ছুয়ে দিয়ে তো আপনিও তাদের ...... /:)

১৭ ই জুলাই, ২০২৩ দুপুর ১২:৪৮

অপলক বলেছেন: আমি তো ভাই মার্কেটিং এ নাই। তবে ভবঘুরে। ঘুরতে ঘুরতে হুট করে রাস্তার পাশের টং থেকে ডালপুরি/সিঙ্গারা খেলাম আবার প্রয়োজনে চাইনিজ রেস্টুরেন্টেও খেলাম। কবিগুরু রবিন্দ্রনাথের মত পেটা শরীর না থাকতে পারে, তবে মোটামুটি ভালই। কাদা-মাটিতে খেলে ধুলে বড় হয়েছিতো ! এখনকার যুগের বয়লার মুরগির মত ঘরে বড় হওয়া বাচ্চাদের মত না।

পারমানবিক চুল্লি ঠান্ডা করতে প্রচুর পানি লাগে। সে পানিতে অনেক সময় কেমিক্যাল ডাস্ট ছেড়ে দেয়া হয়। খরচ বাচাতে বা অন্যায় ঢাকতে । কোন কোন দেশ করে। সব সম্ভবের দেশ বাংলাদেশ। ৫০০০ টাকায় বালিশ আর ৩০০০টাকায় বটি কেনা হয়েছিল রুপপুর প্রজেক্টে। ভুলে গেছেন?

বর্জ্য রিসাইকেল কিভাবে হবে, সময় কথা বলবে।

ফ্যাক্টরি মেড রঙ্গীন খাবার, ড্রিঙ্কস, ফুড কালার, চকলেট, যেখানে নিচের কোড থাকবে, সেখানেই পিগ ফ্যাট আছে:


৬| ১৭ ই জুলাই, ২০২৩ দুপুর ১২:৫৫

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
কয়েকটা খাবারের নাম বলুন তো যেটাতে শুকরের ফ্যাট থেকে আসে


পৃথিবীতে সবচেয়ে বেশী এনিমেল ফ্যাট বানিজ্জিক ভাবে তৈরি হয় শুকর থেকে। যেহেতু সহজলভ্য। একটা মাদি শুকর প্রতি দফায় ৯-১২ টা শুওরের বাচ্চা জন্ম দেয়। এইসব উৎপাদিত তেল (এনিমেল ফ্যাট) যায় সব কেক বিস্কুট নুডুলস চকলেট তৈরিতে ব্যাপক ভাবে ব্যাবহার হয়। বাংলাদেশের কেক বিস্কুট নুডুলস চকলেট উৎপাদকরা অনেকেই ইম্পোর্টেড এনিমেল ফ্যাট ব্যাবহার করে। ঔসধ ফ্যাক্টরিতে এনিমেল ফ্যাট ব্যাপক ভাবে ব্যাবহৃত অন্যতম উপাদান।
তেল বাদেও আরো জিনিষ আছে।
চিনি তো পুরাই হারাম। চিনি সাদা করতে যে ক্যাটালিষ্ট ব্যাবহার হয় মেইন উপাদান এনিমেল বোন ডাষ্ট।

১৭ ই জুলাই, ২০২৩ দুপুর ১:০৭

অপলক বলেছেন: আর কইয়েন না ভাই। সবাই কিটো ডাইটে চলে যাবে।

৭| ১৭ ই জুলাই, ২০২৩ দুপুর ২:৩৭

নতুন বলেছেন: আপনি যেই সাইটের তথ্য দিছেন সেটার সত্যতা কতটুকু সেটা নিচের উইকি সাইটের পেজ থেকে দেখে নিয়েন।

এখানে E নম্বারের প্রতিটি আইটেমের ছবিও দেওয়া আছে...

https://en.wikipedia.org/wiki/E_number

অবশ্যই পিগের তৌরি বিভিন্ন জিনিস খাবারে আছে। সেটা আমেরিকা, ইউরোপে বিক্রি করে। মুসলিম দেশে বিক্রির জন্য প্রডাক্তে তারা হালাল উপাদান ব্যাবহার করে।

ব্যবসায়ীদের ধান্দা টাকা আয়ে, তারা এমন কিছু চায়না যাতে করে মানুষ তাদের পন্য ব্যবহার বন্ধ করে।

আমি নিজে হোটেল ইন্ড্রাস্টিতে ১ যুগের বেশি সময় ধরে কাজ করি তাই ফুড ইন্ড্রাস্টি সমপ্র্কে কিছুটা ধারনা আছে।

আমাদের দেশের মানুষ গুজবে বেশি কান দেয়।

১৭ ই জুলাই, ২০২৩ রাত ১১:৩৭

অপলক বলেছেন: আপনি কেন উ্দ্বিগ্ন সেটা পাঠক বুঝতে পেরেছে। আমাদের দেশের মানুষ এখন হুজুগে নয়, অনেক সচেতন। আমি মনে করি, শাহবাগী বা ঢাকাইয়া মানেই পুরো দেশ নয়। আমাদের দেশটা অনেক সুন্দর, বেশির ভাগ মানুষের মনটাও সুন্দর। কিছু লোক ঠকায়, আমরা ঠকি। বেশির ভাগ মানুষই জানে দুধের সর কে খাবে। ব্যবসায়ীদের নিয়ে সংসদ। আর কি বলার আছে।

ধন্যবাদ।

বিদ্র: শুধু খাদ্য উপাদান হালাল হলেই সেই খাদ্য হালাল হয় না। রোজগারটাও হালাল হতে হয়।

৮| ১৭ ই জুলাই, ২০২৩ বিকাল ৫:১৬

রাজীব নুর বলেছেন: আমার বলার কিছু ভাষা নেই।

১৭ ই জুলাই, ২০২৩ রাত ১১:৪০

অপলক বলেছেন: হৈমন্তির গানটা শুনেছেন?
-আমার বলার কিছু ছিল না, চেয়ে চেয়ে দেখলাম...

৯| ১৭ ই জুলাই, ২০২৩ সন্ধ্যা ৬:১৯

প্রামানিক বলেছেন: বিষয়টি মন্দ নয়

১৭ ই জুলাই, ২০২৩ রাত ১১:৪২

অপলক বলেছেন: দাদা... পড়ে মন্তব্য করলেন নাকি মন্তব্য করে পড়েছেন?

১০| ২০ শে জুলাই, ২০২৩ রাত ৯:২২

নতুন বলেছেন: লেখক বলেছেন: আপনি কেন উ্দ্বিগ্ন সেটা পাঠক বুঝতে পেরেছে। আমাদের দেশের মানুষ এখন হুজুগে নয়, অনেক সচেতন।

বুঝতে পারাতো খুবই বুদ্ধিমানের কাজ ;)

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.