নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
নিভৃতচারী এক বোহেমিয়ান আবেগী যুবক।
বুঝতে পারছি সময়টা বুঝি ফুরিয়ে আসছে।ইচ্ছেগুলোকে এখন বড্ড অর্থহীন লাগে,ঠিক আমার মত।ঘোলা দৃষ্টি দিয়ে নতুন করে আর স্বপ্ন দেখতে ইচ্ছে করেনা।আহ!!!!! আর পারছি না!! 'দেবী ছিন্নমস্তা'র মত যদি মাথাটাকে কেটে ফেলতে পারতাম!মাথাটা বালিশে চেপে ধরে ভাবছিলাম পুরোনো দিনের কথাগুলো।কত দিন কেউ আর মাথায় ওভাবে হাত বুলিয়ে দেয়না।আচ্ছা,মানুষ কষ্টে থাকলেই কেন প্রিয়জনের কথা এত মনে পড়ে??
আমি জানি ও দরজার কাছেই দাঁড়িয়ে আছে।আজো নীল শাড়িটাই পরে আসবে,আমার দেয়া ওর সব থেকে প্রিয় উপহার।হাত ভর্তি রং-বেরং এর কাচের চুড়িগুলো আর পরবে না হয়ত,পায়েলটা ছাড়া।অপেক্ষা করবে কখন আমি ঘুমিয়ে যাই।সত্যিই যেন এক রহস্য,আজো যার কোনো তল খুঁজে পেলাম না।
একটু তন্দ্রাচ্ছন্ন হয়েছিলাম হয়ত,মাথায় কারো নরম হাতের স্পর্শ পেতেই চমকে উঠলাম! তাকিয়ে দেখলাম মিটি মিটি হাসছে ও আমার দিকে তাকিয়ে।ওর সরু আঙুলগুলো তখনো আমার রুক্ষ চুলের মাঝে খেলা করছে।
ঃ"কেন এসেছ???? চলে যাও তুমি।এক্ষুনি চলে যাও।আমি জানি তুমি সত্যি নও।আমি চাইনা তোমায় ,একদমই না।চলে যাও,প্লিজ।"
ঃ"সত্যি চলে যাব?"
ঃ"হ্যা,যাবে।"
ঃ"মন থেকে বলছ?"
ঃ"হু,আমার কথা বলতে কষ্ট হচ্ছে।"
ঃ"তুমি চাওনি আমি আসি?"
ঃ"না না,একদমই না।"
ঃ"কেন দেখতে চাইছিলে তবে আমায়? কেন প্রার্থনা করছিলে আমার স্পর্শ?"
ঃ"মিথ্যে কথা।সব মিথ্যে কথা।কে বলেছে তোমায়?"
ঃ"ভুলে যেওনা,আমি তোমার মনে বাস করি,অভ্র।"
ঃ"ঈশ্বর!!!!!"
ঃ"চলে যাচ্ছি আমি।আসব না আর ফিরে।কিন্তু আমি জানি,তুমি ঠিক ডাকবে আমায় নাম ধরে,পেছন থেকে।ডাকবে না তুমি,অভ্র?"
ঃ"একদমই না।ঘৃণা করি আমি তোমায়।চলে যাও তুমি,প্লিজ।"
পায়েলের শব্দ মিলিয়ে যাচ্ছিল ধীরে......জানিনা কোথা থেকে আসে এই কষ্টটা? কেন আসে? কেন নিজেকে সামলে রাখতে পারিনা আমি? কেন বার বার পরাজিত হই এই বোবা অনুভূতির কাছে?আজো বুঝি পারলাম না।আমার ভেতর লুকিয়ে থাকা সত্তাটা অস্ফূটে ডেকে উঠল......"অধরা!!!!!!"
পায়ের আওয়াজটা ফিরে আসছে আমার কাছে।আমি না দেখেই জানি ওর চোঁখ দুটো জলে ভরে আছে।কিন্তু এটাও জানি,ও কাঁদবে না...কখনই না।না পেরে মুখ ঘুরিয়ে নিলাম আমি,অই মায়াভরা মুখটা দেখলেই বুকের ভেতর মোচড় দিয়ে ওঠে যে।
ঃ"অভ্র,তাকাও আমার দিকে।একটু দেখ না আমায়।আমি তো কাঁদিনি কখনো,কেন মুখ লুকিয়ে চোঁখের জল ঢাকছ তবে??"
আর বুঝি পারলাম না আমি।মিথ্যে আর বাস্তবতার খেলায় হেরে গেলাম আবারো।প্রিয় মানুষটা পরম যত্নে আমার মাথাটা তুলে নিল ওর কোলে,চোঁখ বুজলাম আমি...এক ফোঁটা অশ্রু বুঝি গড়িয়ে পড়ল কারো চোঁখ থেকে।
#পুনশ্চঃ অধরা হারিয়ে যাবার ছ'মাস এর মধ্যেই অভ্র'র 'ব্রেন টিউমার' ধরা পড়েছিল।আর তারপর...??? থাক,নাইবা জানা হল সবটা।
২৩ শে জুলাই, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:১০
অভ্র তুষার বলেছেন: হলই নাহয় একটু খানি ‘ভ্রান্তি বিলাস’,ক্ষতি কী?
২| ২৩ শে জুলাই, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:১১
মোহাম্মাদ আব্দুলহাক বলেছেন: আস্তেধীরে মন ক্লান্ত হয়।
২৩ শে জুলাই, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:১৪
অভ্র তুষার বলেছেন: ‘বিশ্রাম’ শব্দটাকে সার্থকতা দিন তবে।
৩| ২৩ শে জুলাই, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:১৬
মোহাম্মাদ আব্দুলহাক বলেছেন: সমস্যা হলো শান্তিবিশ্রামে কাজ হয় না, অন্তিমশয়নে বিভ্রান্তি দূর হয়।
২৩ শে জুলাই, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:২২
অভ্র তুষার বলেছেন: তাহলে তো সৃষ্টিই স্রষ্টার বড় ভুল ছিল।
৪| ২৩ শে জুলাই, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:২৫
মোহাম্মাদ আব্দুলহাক বলেছেন: আমরা সৃষ্ট এবং শ্রেষ্ট। স্রষ্টার ভুল ধরার ক্ষমতা সৃষ্টির নেই।
যাক, আপনার গল্পের ভিতর নিজেকে দেখে মন্তব্য করেছিলাম। আজকাল বিমনা এবং বিভ্রান্তের মত পথ চলি। পাপ শাপ মোচন হয়। ভুল ভুলা যায় না।
আমি কি মিথ্যা বললাম?
২৩ শে জুলাই, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:৪০
অভ্র তুষার বলেছেন:
মিথ্যে তো নয়,শাপমোচন এর মতন পাপমোচনও হয়ত অসম্ভব নয়।তবে এটা সত্যি যে এসব স্মৃতি এমনই যা মনকে কখনো ভুলতে দেয়না,ভুলতে চাইলেও না। আর সমাধানটা আসলেই বিধ্বংসী।
জেনে সুখী হলাম।
৫| ২৩ শে জুলাই, ২০১৭ রাত ৮:৩৬
মোহাম্মাদ আব্দুলহাক বলেছেন: ধন্যবাদ।
©somewhere in net ltd.
১| ২৩ শে জুলাই, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:০৬
মোহাম্মাদ আব্দুলহাক বলেছেন: সফল আর বিফলের চক্রান্তে আমি বিভ্রান্ত।