নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

মনের আবোলতাবোল চিন্তাগুলো সাজিয়ে গল্পে পরিনত করতে চাই। কখোনও গল্প হয়। আবার কখোনও হয় না। ভাল লিখতে জানি না।তবুও লিখি। কারন এটা শখ হয়ে গেছে। আরর এই শখ জেকে বসেছে।

পাবনার তাঁরছেড়া বালক

মনের আবোলতাবোল চিন্তাগুলো সাজিয়ে গল্পে পরিনত করতে চাই। কখোনও গল্প হয়। আবার কখোনও হয় না। ভাল লিখতে জানি না।তবুও লিখি। কারন এটা শখ হয়ে গেছে। আরর এই শখ জেকে বসেছে।

পাবনার তাঁরছেড়া বালক › বিস্তারিত পোস্টঃ

শাস্তি

০৫ ই মে, ২০১৫ সকাল ৮:০৬


.
এক
.
শামিমের কাজ সফল হয়েছে। অজ্ঞান হয়ে থাকায় কোন সমস্যা হয় নি। শামিম রিফাতের দিকে তাকিয়ে দেখলো রিফাতের মুখ চিন্তায় ঘেমে গেছে। আর রিফাতকে অস্থির লাগছে। রিফাত শামিমকে বলল
-এখন কি করবি?
-অত ভয় পাচ্ছিস কেন?বাড়ির সামনে রেখে আসবো।
-বাসার সামনে গিয়ে কাজ নেই। শেষে আমরা ফেসে যেতে পারি। তারচেয়ে এখানে ফেলে গেলেই ভাল হবে।
-ভয় পাচ্ছিস কেন?কিছুই হবে না।
.
শামিম আর রিফাত মনিরকে তার বাড়ির সামনে ফেলে রেখে চলে গেল।শামিম রিফাতকে বলল
-মোবাইলটা দে।
-মোবাইল দিয়ে কি করবি?
-রিয়াকে একটা মেসেজ দিয়ে জানিয়ে দেই।তার স্বামি মনির বাসার সামনে পরে আছে।
-কি বলছিস কি!!তোর মাথা ঠিক আছে। যদি তুই ফেসে যাস। আমি মোবাইল দিতে পারবো না।
-ভয় পাচ্ছিস কেন? ফাঁসলে আমি ফাসবো।কোন সমস্যা নাই। সুমি মেয়েটা কোথায় গেল রে?
-সুমি গাড়ির পিছনে আছে।
-ফোন দে।
.
সুমিকে শামিম দুই লাখ টাকা দিল।সুমিকে বলল
-তোমার সাথে চুক্তি ছিল দের লাখ।কিন্তু এখানে দুই লাখ আছে। এই এলাকায় আর আসবে না কিন্তু।পারলে হা ঢাকা দিবে।
.
দুই
.
কয়েকমাস আগে...
শামিম রিয়ার পাশে চুপচাপ বসে আছে। রিয়া শামিমকে ডেকেছে। তাই রিয়াই শামিম কে বলল
-আমি ব্রেকআপ করতে চাই।
-কি ভাঙবে? সমস্যা নেই ভাঙো।
-ফাজলামি করো না।আমি সিরিয়াস। তুমি আর আমার সাথে যোগাযোগ করবে না।
-এটা তো আগেও অনেক বার বলেছ। আর দুইবার বললে তো সেঞ্চুরি হবে।
-একজন ধনি পরিবার থেকে আমার বিয়ের জন্য প্রস্তাব এসেছে। বিয়ের দিন ঠিক হয়ে গেছে।
-তুমি বিয়েতে রাজি?
-আমি অবশ্যই রাজি।সে একজন ধনি।আর তার ভবিষ্যৎ আছে। কিন্তু তোমার...
-তুমি কি তার কাছে সুখি হবে? তার কাছে সুখ পাবে?
-টাকা দিয়ে সুখ কিনে নিবো।আর তোমার আর আমার সম্পর্ক এখানেই শেষ।
.
চোখের ভিতরে পানি লুকিয়ে শামিম রিয়াকে "বেস্ট অফ লাক" বলে বিদায় নিল।যার যার মত চলে গেল।
.
শামিম বাড়ির সামনে এসে তাদের বাড়িতে অনেক ভিড় দেখতে পেল। বাইরে থেকে কিছু বুঝতে না পেরে বাড়ির ভেতরে গেল।
.
বাড়ির ভিতরে গিয়ে শামিমের মাথায় আকাশ ভেঙে পরলো। তার ছোট মিলা আর এই পৃথিবিতে নেই।শামিম কিছুতেই মেনে নিতে পারছে না।
.
শামিমের বাবা মায়ের কান্না থামাবে নাকি নিজেকে শক্ত করবে সেটা শামিম বুঝতে পারছে না। শামিম একদিন মিলাকে বলেছিল
-তোকে বিয়ে দিয়ে তারাতারি বাড়ি থেকে বিদায় করা দরকার।
-কেন? আমাকে বিদায় করলে তুই খুশি হবি?
-কেউ তো আর তোর মত জ্ঞ্যান দিবে না।
-আমার বিদায় দেওয়ার দিন তাহলে তুই কাদবি না।
.
আজ সত্যি শামিম কাঁদছে না। চোখ দিয়ে নিজে থেকেই পানি পরছে। আর মনে মনে বলছে "দেখ বোন।তোকে বিদায় দেওয়ার দিন আমি কাঁদছি না।"
.
মিলার ঘরে গিয়ে টেবিলে রাখা চিঠি হাতে নিল।অন্যের কাগজপত্র ধরার জন্য মিলা শামিমকে অনেক কথা বলতো। আজ আর মিলা কিছু বলছে না।
.
চিঠিতে লেখা
প্রিয়তমা, তোমাকে বিশ্বাস করে আমি আমার সবকিছু দিয়েছিলাম। আজ সেই তুমি আমাকে তাড়িয়ে দিলে আর অপমান করলে। তাই পৃথিবী ছেড়ে চলে গেলাম।ভাল থেক।
.
ড্রয়ারে আরো কাগজ পত্র ছিল।সেগুলো দেখে শামিম আরো অবাক হল।জানতে পারলো মিলা দুই মাসের অন্তঃসত্ত্বা ছিল।আরো মিলার বিয়ের কাবিন নামা দেখলো। তাহলে মিলা বিয়ে করেছে!! কিন্তু শামিম জানে না। এইবার জন্মদিনে তাহলে এটাই জানাতে চেয়েছিল?
.
তিন
.
রিয়ার বিয়ে হয়ে গেছে। বিয়ের দিন শামিম রিয়ার বাড়ির কাছে গিয়েছিল। রিয়ার স্বামির টাকা দিয়ে অনেক সুন্দর করে বাড়িটা সাজিয়েছে। সুন্দরি মেয়েরা টাকাওয়ালা স্বামী পায় সেটা রিয়াকে দেখে বুঝেছে।
.
শামিম মিলার প্রেমিকের সম্পর্কে সব তথ্য জানতে পেরেছে। শামিম গোয়েন্দা বিভাগের উপর পর্যায়ে চাকরি করে।তাই সহজেই মিলার প্রেমিকের সব তথ্য জানতে পেরেছে। আরো জানতে পেরেছে মিলার প্রেমিক আর রিয়ার স্বামি একজন।
.
মিলার প্রেমিক ধনির সন্তান। অনেক মেয়ের সাথে প্রেম করেছে। আর বিয়ের লোভ দেখিয়ে সতিত্ব নষ্ট করেছে। মিলা রাজি না হওয়ায় তাকে বিয়ে করতে বাধ্য হয়েছিল।অনেক মেয়ের ক্ষতি করেছে সে।
.
চার
.
সুমি বারে বসে আছে।খুব সুন্দর সাজ। যে কেউ দেখে তার প্রেমে পরে যাবে।
.
মনিরের নজর একটা মেয়ের দিকে আটকে যাচ্ছে। মেয়েটির কাছে গিয়ে কথা বলতে থাকলো।
-হায়।আমি মনির চৌধুরী।
-আমি সুমি রহমান।
-মিস নাকি মিসেস?
-আমাকে দেখে কি মিসেস মনে হয়?
-না এমনি বলছি। আমি কি আপনার সাথে বসতে পারি?
-হ্যা। অবশ্যই।
-আপনার চেহারা খুব সুন্দর।
-শুধু চেহারাই সুন্দর। অন্য কিছু?
-অন্য সবকিছুও সুন্দর।
-যা বলার সরাসরি বলুন।আমি ন্যাকামি পছন্দ করি না।
-না মানে যদি আপনি.....
-বুঝতে পেরেছি। আপনি আমার সাথে......
-আপনি খুব স্মার্ট। সহজেই বুঝতে পারেন।
-এইসব বেপারে আনস্মার্ট হয়ে কি লাভ?
-তাহলে উপরের ঘরে চলো।
-না।আমার গাড়িতে আমার বাসায় চলুন।
-বাসায়!!!
-ভয় পাবেন না। বাসায় কেউ নেই।
.
সুমি আগে গাড়িতে উঠলো। মনির গাড়িতে উঠে কিছুদুর যাওয়ার পরে গাড়ির আলো জলে উঠলো। কিছু বোঝার আগেই মনিরকে অজ্ঞ্যান করা হল।
.
শামিমের কথামত রিফাত মনিরকে ধরলো।আর শামিম মনিরের পুরুষাঙ্গ কেটে দিল।শামিম বলল "আজ থেকে যাতে তুই কোন মেয়ের ক্ষতি করতে না পারিস সেই ব্যাবস্থা করলাম।জিবনে অনেক মেয়ের ক্ষতি করেছিস। "
.
শামিম মনিরকে তার বাড়ির সামনে ফেলে দিয়ে রিয়াকে ফোনে বলল "বেইমানি করে কেউ সুখি হয় না। তুমি টাকা দিয়ে সুখ কিনতে চেয়েছিল। টাকা দিয়ে সুখ কিনে নিও। স্বামির সুখ পাবে না"
.
ফোন কেটে দিয়ে অট্টহাসি হাসলো। শামিম দুই বেইমানকে শাস্তি দিয়েছে। মনির ভালবেসে মিলার সাথে আর রিয়া ভালবেসে শামিমের সাথে বেইমানি করেছে।
দুই বেইমানের শাস্তি একবারে দিল।
.
রিফাত আর শামিমকে গাড়ি থেকে নামিয়ে দিয়ে ছুটে চলেছে রাস্তায়। আজ শামিমের জিবনের আশা পুর্ন হল। এটা তার জিবনের আশা ছিল না।আশা ছিল রিয়াকে নিয়ে পরিবারের সাথে সুখে সংসার বাধা। কিন্তু পরে সেই আশা বদলে যায়।
.
-- Pabnar Tarcera Balok

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.