নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

মনের আবোলতাবোল চিন্তাগুলো সাজিয়ে গল্পে পরিনত করতে চাই। কখোনও গল্প হয়। আবার কখোনও হয় না। ভাল লিখতে জানি না।তবুও লিখি। কারন এটা শখ হয়ে গেছে। আরর এই শখ জেকে বসেছে।

পাবনার তাঁরছেড়া বালক

মনের আবোলতাবোল চিন্তাগুলো সাজিয়ে গল্পে পরিনত করতে চাই। কখোনও গল্প হয়। আবার কখোনও হয় না। ভাল লিখতে জানি না।তবুও লিখি। কারন এটা শখ হয়ে গেছে। আরর এই শখ জেকে বসেছে।

পাবনার তাঁরছেড়া বালক › বিস্তারিত পোস্টঃ

সপ্নছোয়ার আশা

১৩ ই মে, ২০১৫ দুপুর ১:৩১

সপ্নছোয়ার আশা
.

.
ছাদে জলন্ত সিগারেট হাতে দাড়িয়ে আছি। কানের ভেতরে হেডফোন। গান বাজছে "জিবন হইলো ভবের বাড়ি,দুঃখ নামের দিলা গাড়ি"
জিবন টা ভবের বাড়ি হয়েছে কিনা জানি না। তবে দুঃখ নামের গাড়িটা পেয়েছি।
.
সিগারেট মুখে লাগিয়ে মুখ ভরে একটা টান দিলাম। ধোয়ার সাথে যেন দুঃখগুলো উড়ে যাচ্ছে। আজ নিজেকে বড় অপদার্থ বলে মনে হচ্ছে।
.
পিছনে কারো ছোয়া পেয়ে ঘুরে তাকালাম। হেডফোন কানে থাকায় বুঝতে পারি নি কেউ এসেছে।
.
পিছনে ফিরে তাকাতে প্রথমে একটু চমকে গেলাম। কারন রাতে হঠাৎ কেউ। পরে সাভাবিক হলাম। পিছনে সিনথিয়া দাড়িয়ে আছে। আমি প্রথমে বললাম
-কি বেপার। এই সময়ে তুমি ছাদে কেন?
-কারেন্ট চলে যাওয়ার আলো নাই। তাই এখানে আসলাম।
-ও।
-আপনি কেন? আপনিও কি আমার মতই?
-জিবনের আলোই তেমন নেই। বিদ্যুৎ এর আলো গেলে কি হবে?
-আপনার হাতে সিগারেট কেন? সিগারেট খাচ্ছিলেন?
-না মানে এমনি।
-আংকেল আন্টি নিষেধ করে না।
-তারা মনে হয় এখন ও জানে না।
-তাহলে বলতে হবে।
-তার দরকার নেই।
-তাহলে বাদ দিবেন সিগারেট খাওয়া।
-চেষ্টা করবো।
-চেষ্টা করুন।নাহলে এই খবর আংকেল আন্টি পেয়ে যাবে।
.

.
রিক্সার জন্য দাড়িয়ে আছি। রিক্সা নেই তেমন। হঠাৎ একটা রিক্সা আসতে দেখলাম। রিক্সার হুড তোলা। কিন্তু খালি মনে হচ্ছে।
.
কাছে আসার পরে বুঝলাম কেউ একজন আছে। তাই আমি হতাশ হয়ে দাড়িয়ে থাকলাম। রিক্সার হুড তুলে সিনথিয়া বলল
-আরে আপনি এখানে দাড়িয়ে আছেন কেন?
-রিক্সার জন্য দাড়িয়ে আছি।
-বাসায় যাবেন?
-হ্যা।
-তাহলে উঠুন।
-না। তুমি যাও। আমি যাবো না।
-উঠুন বলছি।
শেষমেশ উঠতেই হল।
সিনথিয়া বলল
-সিগারেট ছাড়ছেন?
-না।
-কেন?
-ইচ্ছে করে নাই তাই।
-তাহলে তো আংকেল আন্টিকে বলতে হয়।
-দরকার নেই। ছেড়ে দিবো।
-আচ্ছা আপনাকে কি আমি তুমি করে বলতে পারি?
-কতজন তো কত কিছুই বলে আর তুমি বললেই কি?
-তোমার কথার মধ্যে নিষ্ঠুরতা কেন?
-জিবনটাই নিষ্ঠুর তাহলে কথা ভাল হবে কিভাবে?
-ও আচ্ছা। তাহলে তো আপনার সাথে কেউ প্রেম করতে চাইবে না।
-আমি কি কাউকে প্রেম করতে বলছি?
-হয়তো বলবেন।
.

.
আজও ছাদে দাড়িয়ে আছি। এত রাতে ছাদে দাড়িয়ে একা একা সিগারেট খাচ্ছি।খুব ভালই লাগছে। আজকেও সতর্ক ভাবেই আছি। যাতে কেউ আসলে বুঝতে পারি।
.
কারো পায়ের শব্দ পেয়ে সিগারেট ফেলে দিলাম। পরে দেখলাম সিনথিয়া এসেছে। আমি বললাম
-আজকেও আবার এখানে কেন?
-তোমার সাথে কথা বলতে আসলাম।
-আমার সাথে কথা বলতে এত রাতে ছাদে আসার কি দরকার?
-দরকার আছে।
-দরকার নেই। যদি তোমাকে আর আমাকে ছাদে দেখে তাহলে আমার বাবা জানলে আমার সমস্যা আছে।
-রেগে যাচ্ছ কেন? কোন সমস্যা নেই। তোমার বাবা মা আমাকে বিশ্বাস করে।
-কি বলবে তারাতারি বলো।
-কাল থেকে কলেজ ছুটি হওয়ার সময়ে আমার কলেজের সামনে দাড়িয়ে থাকবে?
-মানে কি!! আমার কি কাজ নেই?যে কলেজের সামনে দাড়িয়ে থাকবো। আর আমি কলেজের সামনে গিয়ে দাড়িয়ে থাকি না।
-কয়েকদিন আগে তো বন্ধুদের সাথে ঠিকই দাড়িয়ে থাকতে। এখন কেন নয়?
-আমার বন্ধুর জন্য দাড়িয়ে থাকতাম।
-বন্ধুদের জন্য দাড়িয়ে থাকলে নিজের জন্য পারবে না কেন?
-মানে কি!!
-মানে বুঝতে হবে না। কালকে থেকে দাড়িয়ে থাকবে। নাহলে সিগারেটের কথা বলে দিবো।
.
কিছু বলার সুযোগ না দিয়েই চলে গেল।আমি পরেছি বিপদে।কেন যে সেদিন ছাদে এসে সিগারেট খেলাম? রুমে খেলে কি হত? আর কলেজের সামনে আমাকে কেন দাঁড়াতে হবে?
.
এইসব ভাবতে ভাবতে আরেকটা সিগারেট ধরিয়ে খেতে শুরু করলাম। সিগারেট বেশি খেলে নাকি ক্ষতি। কিন্তু মুল্যহিন জিবনে ক্ষতি হলেই বা কি?
.

.
এরপরে দুইদিন চলে গিয়েছে। এর মধ্যে ছাদে যাই নি।আর সিনথিয়ার সাথে দেখা হয় নি। আমাকে বাসায় খুঁজতে এসে পায় নি।
.
কলেজের সামনে যেতে বললেও আমি যাই নি।কারন এক সিগারেটের কথা বলে আমাকে অনেক কাজ করতে বাধ্য করেছে। তাই এবারে নিজে থেকেই যাই নি। আমি মেয়ে উপদেশ পছন্দ করি না। কিন্তু বাধ্য হয়ে মানতে হয়েছে।
.
আজ বাসা থেকে বের হতে দেরি হয়ে গেছে। তাই দ্রুত গতিতে সিড়ি দিয়ে নামছি। দেরি না থাকলেও আমি এটা করি।
.
বাসার নিচে এসে দেখি সিনথিয়া দাড়িয়ে আছে। আমি এড়িয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেও পারলাম না।আমাকে ডাক দিল
-দাড়াও। কোথায় যাচ্ছ।
-বাইরে যাচ্ছি।
-সেটা তো দেখছি। তোমার তো আমার কলেজের সামনে দাড়িয়ে থাকার কথা ছিল দাড়াও নি কেন?
-ইচ্ছা করে যাই নি।
-তুমি জানো আমি কি করতে পারি?
-কি করবে? সিগারেট খাওয়ার কথা বলে অনেক কিছু করিয়েছ।আর কত? যাও বলো গিয়ে। তাতে আমার কি হবে? বাড়ি থেজে তাড়িয়ে দিবে? বেপার না। আর তুমি আমার বেপারে কোন নাক গলাতে আসবে না।এখন কলেজে যাচ্ছিলে যাও।
.
কথাগুলো একটু বেশি কড়া হয়ে গিয়েছিল।চোখে পানি চলে এসেছে।চোখের পানির সাথে আমি অন্যকিছু দেখেছি। সিনথিয়ার চোখে আমার জন্য ভালবাসা দেখেছি।তাই একটু খারাপ লাগলো।
.

.
কলেজের সামনে দাড়িয়ে আছি।সিনথিয়াকে আসতে দেখে আমি ডাক দিলাম।
-এই সিনথিয়া। শোন।
-কি বলবেন বলুন। আর এখানে দাড়িয়ে আছেন কেন?
-তুমি তো দাড়িয়ে থাকতে বলেছিলে তাই দাড়িয়ে আছি।
-আমার জন্য দাড়িয়ে আছ?
-অন্য একটা কারন ও আছে।
-কি কারন?
-আমি এই কলেজের এক মেয়ের প্রেমে পড়েছি।আমি তো কাউকে প্রেম করতে বলতে পারবো না। তাই তোমাকে সাহায্য করতে হবে।
-কি বললে!!!আমি পারবো না।
-চলে যাচ্ছ কেন?আগে শুনে নাও কে সে?
-কে?
-তুমি সে।
-কি!!
-তুমি বলেছিলে আমি কাউকে আমার সাথে প্রেম করার জন্য বলবো। আজ তোমাকে বলছি। আমাকে ভালবাসবে? আমার এই জিবনের দায়িত্ব নিবে তুমি?
-সেটা হতে পারে যদি তুমি সিগারেট ছেড়ে শুধু আমাকে চাও।
-সিগারেটের বদলে ঠোটে অন্য কিছু পেলে সিগারেট কি দরকার?
-সেটার ব্যাবস্থা তো করাই আছে।
.
আজ জিবনটাকে মুল্যবান মনে হচ্ছে। কারন আমার সাথে কারো সপ্ন জড়িয়ে আছে।আরো আছে সপ্নছোয়ার আশা।.......

মন্তব্য ২ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (২) মন্তব্য লিখুন

১| ১৩ ই মে, ২০১৫ দুপুর ১:৩৯

নির্লিপ্ত আমি বলেছেন: এত প্রেম.....

২| ১৬ ই মে, ২০১৫ সকাল ৯:১৩

পাবনার তাঁরছেড়া বালক বলেছেন: হুম। একটু প্রেম থাকতে হয়

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.