নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

মনের আবোলতাবোল চিন্তাগুলো সাজিয়ে গল্পে পরিনত করতে চাই। কখোনও গল্প হয়। আবার কখোনও হয় না। ভাল লিখতে জানি না।তবুও লিখি। কারন এটা শখ হয়ে গেছে। আরর এই শখ জেকে বসেছে।

পাবনার তাঁরছেড়া বালক

মনের আবোলতাবোল চিন্তাগুলো সাজিয়ে গল্পে পরিনত করতে চাই। কখোনও গল্প হয়। আবার কখোনও হয় না। ভাল লিখতে জানি না।তবুও লিখি। কারন এটা শখ হয়ে গেছে। আরর এই শখ জেকে বসেছে।

পাবনার তাঁরছেড়া বালক › বিস্তারিত পোস্টঃ

প্রতিশোধ

০৪ ঠা জুলাই, ২০১৫ সকাল ৮:২৫

প্রতিশোধ
.
জ্ঞ্যান ফিরে মিতু দেখতে পেল সে একটি অন্ধকার ঘরে বসে আছে। উঠার চেষ্টা করার সময় বুঝতে পারলো তার হাত চেয়ারের সাথে। অন্ধকারে কিছুই দেখতে পারছে না। তাও ছোটার চেষ্টা করে যাচ্ছে।
.
ছুটবার চেষ্টা করছিল যখন তখন মিতু খেয়াল করলো তার সামনে কেউ একজন বসে। তাই দেখে মিতু বলে উঠলো
-কে আপনি?
কিন্তু মুখ দিয়ে কোন শব্দ বের হচ্ছে না। মিতুর মুখও আটকানো। তাই উমমমম করতে থাকলো। সামনে থেকে একজন মুখ খুলে দিল।
মুখ খুলে দিয়ে বলল
-কেমন আছেন মিস মিতু চৌধুরী?
-আ আপনি কে?
-আমাকে এখনও চিনতে পারলেন না?
-না।আপনাকে চিনতে পারি নি।
.
আলো জেলে বলল
-এবারে চিনতে পেরেছেন?
-আরে নুর তুমি?
-চিনতে পেরেছেন তাহলে।
-আমি এখানে কেন?
-আমি নিয়ে এসেছি।
-কেন?
-তোমার সাথে হিসেব মেলাতে।
-আমাকে ছেড়ে দাও। কত টাকা লাগবে বলো।
-আমি টাকা চাই না।
-আমাকে ছেড়ে দাও। তুমি জানো না।আমি কি কি করতে পারি।
-চুপ। এখানে তোমার কোন ক্ষমতা নেই।তাই আমি যেটা বলবো সেটাই হবে।
.
মিতু ছোটার চেষ্টা করছিল যখন তখন নুর বলল
-খুব কষ্ট হচ্ছে?
-হ্যা।
-এর চেয়ে বেশি কষ্ট আমার হয়েছিল সেইদিন। কেন করলে আমার সাথে এমন?
-কি করেছি?
-সেটাও বলে দিতে হবে?
-কিসের কথা বলছো?
-নাদিমকে কেন মারলে?
-কোন নাদিম?
-হুহ। নাদিমকে চিনলে না? যে তোমাকে বোনের মত দেখতো। তাকেই মেরে ফেললে? আর সেই কথা অস্বিকার করছো?
-আমি নাদিমকে মারি নি।
-তুমি জানো আমি গোয়েন্দা বিভাগে চাকরি করেছি। তাই কথা বের করতে যা করার করবো আমি।
-আমি নাদিমের খুনের সম্পর্কে জানি না।
-ও। বুঝতে পেরেছি এভাবে হবে না।
-উ।
-বেশি জোড়ে লাগছে? এবারে তো মুখে থাপ্পড় মেরেছি। আর যদি না বলো তাহলে কিন্তু এর চেয়ে কঠিন হবো।
-বললাম তো আমি জানি না। মেরেও কোন লাভ হবে না।
-তোমার স্বামিও এই কথা বলেছিল। বেচারা মার খেতে খেতে মরেই গেল। সত্যটা মনের মাঝেই থেকে গেল।
-তুমি আমার স্বামিকে মেরেছ?
-অবাক হলে!! মারতে ছুটে দৌড় দিল। হঠাৎ নিচে কিছু পরার শব্দ পেলাম। পরে দেখলাম মরে গেছে। বেচারা নিজের তৈরি করা বিল্ডিং থেকেই পরে মরে গেল।তার তৈরি বিল্ডিং ভেঙে মানুষ মরেছিল আর সে নিজের ভাল বিল্ডিং থেকে মরলো।
-কেন করলে?
-কারন তার সাথে হিসেব বাকি ছিল। জানতে পারলাম নাদিমকে মারার পিছনে তার হাত ছিল।
-আমার স্বামি মেরেছ নাদিমকে।
-আর তুমি?
-আমি কিছু জানি না।
-তাহলে ঢাকা ছেড়ে দুরে যাওয়া।নাদিমকে নিজের কাছে রাখা আলিম আর আমাকে অন্য জায়গায় পাঠানো এগুলো।
-এগুলো আমি কিছু জানতাম না।এগুলো সব ছিল আমার স্বামি শাওনের বুদ্ধি।
-আর তুমি সেই বুদ্ধিমত কাজ করেছিলে।কিন্তু কেন করলে?
-সেটা জেনে তুমি কি করবে?
-কি করবো?
-আহ।
-খুব লাগলো? মুখ দিয়ে রক্ত ঝরছে। এই সুন্দর মুখ দেখেই আমি তোমার প্রেমে পরেছিলাম। কিন্তু তুমি....
-সামনে কোন ভাল আফার পেলে এই সবের দাম নেই।
-সব অন্যায় নাহয় আমি করেছিলাম। কিন্তু নাদিমকে কেন শাস্তি দিলে?
-নাদিম সব জেনে গিয়েছিল। আর তোমাকে ফাঁসানোর জন্য নাদিম ছিল সেরা বুদ্ধি। তাই নাদিমকে ব্যাবহার করেছি।
-তাহলে গায়ে অত কাটার দাগ ছিল কেন?
-প্রথমে মাথায় বারি দেই তারপরে আসতে আসতে শাওন আঘাতে আঘাতে মারে।
.
নুর অনেক্ষন চুপ করে থাকার পরে বলল
-নাদিমকে প্রথমে আঘাত করেছিল কে?
-শাওন। সেইজন্য আঘাতে মরলো। বউকে শেষ দেখা হল না। কিন্তু বউকে কত ভালবাসতো।
-আমিও তাকে দেখতে পারি নি। কারন মুখ থেঁতলে গিয়েছিল। আমিও আমার স্বামিকে অনেক ভালবাসতাম।
-ভুল। তুমি ভালবাসতে তোমার স্বামির টাকাকে। তোমার স্বামি বাইরে গেলে তোমার বেড রুমে থাকতো তোমার নতুন নতুন প্রেমিক।এক পুরুষে তোমার বেশিদিন চলতো না। সুশিল সমাজে ঢুকে তুমি মানুষটাও পরিবর্তন হয়েছিলে।
-এইসব ভুল কথা।
-ভুল!! তাহলে তোমার স্বামি মরার পরেও নিয়মিত পার্লারে গিয়ে চেহারা সুন্দর করতে কেন? আর তোমার বিছানায় নতুন পুরুষই আসতো কেন? আর তোমার স্বামি মরায় তোমার সুবিধা হয়েছে। নিশ্চিন্তায় পরপুরুষের সাথে শুতে পেরেছ।
-সব তো জানলে এবার আমাকে ছেড়ে দাও।আমি মুক্তি চাই।
-তোমাকে তো মুক্তি দেবই। আজ চিরতরে মুক্তি দিয়ে দেব।
.
নুরের হাতে লোহার পাইপ দেখে মিতু ঢোক গিলছে। নুর কাছে গিয়ে বলল
-বলো প্রথমে কোথায় আঘাত করবো?
-আমাকে ছেরে দাও।আমার মুখ দিয়ে রক্ত পরছে।
-ও। তাহলে মুখেই মারি। কারন মুখ দেখিয়ে অনেক ছেলেকে তোমার পিছনে ঘুরিয়েছ।
-ছেড়ে দাও প্লিজ। আহ।
-কেন করলে? টাকা দেখে লোভ বেড়ে গিয়েছিল? শাওন তোমাকে বিয়ের প্রস্তাব দিয়েছিল বলে কি আমাদের সাথে এইরকম করলে? বিবেকবোধ ছিল না তোমার?
-তখন আমি বুঝতে পারি নি।
-টাকার জন্য একটা নিষ্পাপ ছেলেকে মারলে?
.
নুর আর কোন কথা না বলে লোহার পাইপ দিয়ে মিতুর মুখে আঘাত করছে। মিতু চিৎকার করে কাঁদছে। আর সেটা দেখে নুর উচ্চসরে হাসছে। তার হাসতে ভাল লাগছে।
.
মারতে মারতে মিতু চেয়ার সহ মাটিতে পরে গেল।আর চিৎকার ও করছে না। মনে হয় জ্ঞ্যান হারিয়েছে। রক্ত কিছুটা জমাট বেধেছে আর কিছুটা পরছেই।প্রতিশোধ নেওয়া কিছুটা শুরু হচ্ছে....
.
প্রতিশোধ এর আগে তো কোন ঘটনা থাকে।আর সেই কারনেই প্রতিশোধ এর মত কাজ করতে যায়। তাই নুর মিতুর পাশে বসে সেগুলোই মনে করার চেষ্টা করছে। কষ্টের কথাগুলো ভাল ভাবেই মনে আছে। সেগুলোই ভাবছে..
.
চলবে.........
.
-- পাবনার তাঁরছেড়া বালক

মন্তব্য ৩ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (৩) মন্তব্য লিখুন

১| ০৪ ঠা জুলাই, ২০১৫ সকাল ৮:৩৫

প্রামানিক বলেছেন: ভাল লাগল। ধন্যবাদ

২| ০৪ ঠা জুলাই, ২০১৫ সকাল ১০:২৩

হারুনর রশিদ কায়সার বলেছেন:
শ্রদ্ধেয়
এই পোষ্টটি অনেক ভালো লেগেছে । অনেক ধন্যবাদ । আশা করি এই রকম পোস্ট আপনার কাছ থেকে আরো পাবো । জনপ্রিয় নিউজ সাইট http://www.onn24.com এ আমি চিফ রিপোর্টার হিসেবে দায়িত্বরত । আমাকে আপনার লিখাগুলো পাঠাবেন । আমি তা প্রকাশনার ব্যাবস্থা করবো । [email protected]

৩| ১০ ই জুলাই, ২০১৫ সকাল ১১:১৭

পাবনার তাঁরছেড়া বালক বলেছেন: ধন্যবাদ সবাইকে

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.