নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

মনের আবোলতাবোল চিন্তাগুলো সাজিয়ে গল্পে পরিনত করতে চাই। কখোনও গল্প হয়। আবার কখোনও হয় না। ভাল লিখতে জানি না।তবুও লিখি। কারন এটা শখ হয়ে গেছে। আরর এই শখ জেকে বসেছে।

পাবনার তাঁরছেড়া বালক

মনের আবোলতাবোল চিন্তাগুলো সাজিয়ে গল্পে পরিনত করতে চাই। কখোনও গল্প হয়। আবার কখোনও হয় না। ভাল লিখতে জানি না।তবুও লিখি। কারন এটা শখ হয়ে গেছে। আরর এই শখ জেকে বসেছে।

পাবনার তাঁরছেড়া বালক › বিস্তারিত পোস্টঃ

প্রতিশোধ - ২য় পর্ব

০৪ ঠা জুলাই, ২০১৫ সকাল ৮:৩২

প্রতিশোধ - ২য় পর্ব
.
স্যারের রুমে নুর বসে আছে।পাশে নাদিম বসে আছে।স্যার বলল
-নুর আমি তোমাদের একটা নতুন কাজ দিতে চাই।
-কিন্তু আগের কাজটা তো শেষ হয় নি। আর কয়েকদিন পরেই ফলাফল জানাতে পারবো।
-কাজটা মিতু এনেছে। আর মিতু বলল কাজটা গুরুত্বপূর্ণ।
-আমরা জানতে পেরেছি শাওন চৌধুরীর ধ্বষে যাওয়া বিল্ডিং এর জন্য শাওন চৌধুরী দায়ি।আর এটা সাধারণ নিয়ম তৈরি করে তৈরি করা হয় নি। তারা বলেছে এক হাজার মানুষ মরেছে।কিন্তু আমরা জানতে পেরেছি লোক মরেছে প্রায় পাঁচ হাজারের মত। আর কিছু লাশ গুম করা হয়েছে।
-গুড। তাহলে কি এই কাজটা আগে করবে নাকি মিতুর দেওয়া প্রজেক্ট আগে শুরু করবে?
-এটা নাহয় পরে করবো আগে মিতুর দেওয়া কাজটা করি। কোথায় এটা?
-ঢাকা থেকে দুরে একটা গ্রামে। সবার ধারনা গ্রামে দুষ্ট আত্বা আছে বলে কেউ টিকতে পারে না।কিন্তু আমরা জেনেছি সেখানে অপরাধিদের আস্তানা। তাই ওখানে কেউ টিকতে পারে না।
-তাহলে কালকে থেকেই কাজ শুরু করবো।
-এই পেনড্রাইভ এ সব তথ্য আছে। যে কোন সময় মিতুর সাহায্য নিতে পারো।আর এই কাজে মিতুও তোমাদের সাথে যাচ্ছে।
-আচ্ছা।
.
মিতুকে স্যারের রুমে ডেকে আনা হল। স্যার বলল
-কালকে থেকেই নুর কাজে যেতে চায়। তুমি কি বলো?
-আচ্ছা।
-আর তোমাদের সাথে এবারে রবিনও যাচ্ছে।
.
নুর বলল
-রবিন গেলে ভালই হবে।এর আগেও তো আমার সাথে কাজ করেছে।
-আচ্ছা তাহলে কালকে তোমরা চারজন চলে যাচ্ছ।
.
স্যারের রুম থেকে বের হয়ে গাড়িতে নাদিম আর নুর যাচ্ছে... নাদিম বলল
-আচ্ছা ভাইয়া। তুমি এই কাজটা আগে করতে রাজি হলে কেন?
-আরে বুঝিস না!! মিতু কাজটা এনেছে।
-ও। বুঝতে পেরেছি। কথাটা কি মনের।মধ্যেই রাখবে নাকি মিতুকে বলবে?
-বলতে চাই।কিন্তু ওই মুখ দেখলে সব গুলিয়ে যায়।তুই একটু সাহায্য কর।
-আমি পারবো না। আমি মিতুকে বোনের মত দেখি।
-আরে এখন নাহয় ভাবির মত দেখবি।
-এবারে আমাদের সাথে যাচ্ছে। এবারে সুযোগ পেলে দেখা যাবে।
.
রাতে পেনড্রাইভ ল্যপটপে ঢুকিয়ে দেখলো। পোগ্রামিং এর চেয়ে মিতুর ছবি বেশি। তাই মিতুকে ফোন দিল।মিতু ফোন ধরে বলল
-নুর ভাইয়া বলো।
-আচ্ছা তুমি মনেহয় ভুল করে অন্য পেনড্রাইভ দিয়েছ। এখানে তোমার ছবি আছে।
-দিয়েছি তো কি? আমার ছবি থাকলে সমস্যা কি?
-তা অবশ্য নেই।কালকে দশ টায় আমরা রওনা দেব। তুমি অফিসে চলে এস।
-আচ্ছা। আর পোগ্রামিং ওখানে যত আছে।ওখানে ওইগুলোই আছে।
-তুমি তো সাথে যাচ্ছই।তোমার থেকে জেনে নেব নাহয়।
-তা নিতে পারেন।
-আচ্ছা।
.
মোবাইলটা পাশে রেখে বিছানায় শুয়ে নুর মিতুর কথা ভাবতে থাকলো। মিতুও কি নুরের প্রতি কিছুটা ভালবাসা আছে? সেটা পরেই দেখা যাবে।
.
সকাল বেলা ঘুম ভেঙে হাতমুখ ধুয়ে তৈরি হতে হতে আটটা বেজে গেল। নুর নাদিমকে ফোন দিয়ে বলল
-কিরে তৈরি হয়েছিস?
-হ্যা। ভাইয়া হচ্ছি।
-তারাতারি তৈরি হ।
.
তৈরি হয়ে গাড়ির মধ্যে প্রয়োজনীয় কিছু জিনিস নিয়ে নিল।আর সাথে লাইসেন্স করা পিস্তলটাও নিল। কারন বিপদে কাজে লাগতে পারে।
.
নুর নাদিমের বাড়িতে গিয়ে নাদিমের সাথে গাড়ির দিকে যাচ্ছিল এমন সময় নুর বলল
-মাকে ডাক। বলে যাই।
-আমার তো মনেই ছিল না। দারাও ডাকছি। মা মা।
.
নাদিমের মা এসে বলল
-তোরা কি নতুন কোন।কাজে যাচ্ছিস?
-হ্যা মা। আমাদের জন্য দোয়া করো।
-আমার খুব ভয় হয়। যদি কিছু হয়ে যায়।
নাদিম বলল
-আরে ভয়ের কিছু নাই।আমি তো আছি।
-তুমি আছো বলেই তো আমি ওকে তোমার সাথে কাজের জন্য দিয়েছি। তোমার উপরে আমার বিশ্বাস আছে।
-আচ্ছা। আসি আমাদের জন্য।দোয়া করবেন।
.
অফিসে গিয়ে রবিন আর মিতুকে নিয়ে।ছুটে চলল তাদের নিজ গন্তব্যে।.....
.
গ্রামের কাছে পৌছে নুর মিতুকে বলল
-আমার জানামতে এখানে একটা বাড়ি আছে যেখানে সন্ত্রাসীদের ঘাটি। এটা কি সেই বাড়ি।
-হ্যা। এখানে দিনে কেউ থাকে না। দেখে মনে হয় না কিছু। কিন্তু রাতে লোক সমাগম হয়।
-আমার জানামতে সামনে একটা বাড়ি আছে।সেখানে এক বৃদ্ধ থাকে। তুমি আর নাদিম আজ সেখানে থাকবে আর কিছু তথ্য জোগার করার চেষ্টা করবে।
-বৃদ্ধ লোকটি কি আমাদের থাকতে দিবে?
-বলে কয়ে রাজি করাবে।আর আমি আর রবিন এখানেই কোন এক জায়গায় লুকিয়ে থাকছি।চলো তোমাদের এগিয়ে দিয়ে আসি।
.
মিতু আর নাদিমকে নামিয়ে দিয়ে এসে নুর আর রবিন বাড়িটির এক জায়গায় অবস্থান নিল।
.
নাদিম আর মিতু বলার পরে তাদের থাকতে দিতে রাজি হল।আর এটা মিতুর কারনে।মিতু সহজে কারো মন জয় করে নিতে পারে।
.
একটি ঘরে দুই রুম। এক রুমে বৃদ্ধ লোকটি থাকে আর অন্য রুমে নাদিম আর মিতুর থাকার জায়গা দিল। ঘরে কোন খাট না থাকায় মিতু আর নাদিম আলাদা বিছানা করে শুয়ে পরলো। ক্লান্ত থাকার কারনে মিতু আর নাদিম ঘুমিয়ে গেল।
.
রাত এগারটা হবে। ঘরের মধ্যে ফিসফিস শব্দ শুনে নাদিমের ঘুম ভেঙে গেল। ভয়ে ভয়ে চোখ খুলে দেখলো মিতু কথা বলছে। কিন্তু ঘরে মানুষ এল কোথা থেকে?
.
নাদিম কিছু কথা শুনতে পেল। মিতু বলছে
-আরে চিন্তা করার কারন নেই। নুরকে যেভাবেই হোক কিছু করবো। আপনাদের কাজের রিপোর্ট জানাতে পারবে না। কৌতুহলবশত নাদিম টর্চ লাইট জাললো।
.
লাইট জেলে দেখলো
-মিতুর পাশে একজন শুয়ে বসে আছে। দেখতে একদম বৃদ্ধ লোকটির মত।বৃদ্ধ লোকটি হবে।কিন্তু দেখে তো বৃদ্ধ মনে হচ্ছে না।
.
নাদিম যেটা বুঝতে পারলো দুইজন মিলে নুরের বিরুদ্ধে কোন ষড়যন্ত্র করছে।নাদিম মিতুকে বলল
-আচ্ছা তুমি এই ধরনের কাজ কিভাবে করছো?নুর ভাই তোমাকে বিশ্বাস করে।আর এই বিশ্বাসের প্রমান?
-চেপে যা।টাকার কাছে বিশ্বাস অসহায়।
-আমি সব নুর ভাইকে জানাচ্ছি।
-আরে কিসের নুর। ভেবে দেখ। টাকার চেয়ে নুর বড় হল?
-আমার কাছে নুর ভাই বড়।টাকার চেয়ে আমি ভাইকে বেশি দাম দেই।আমি এখনই ফোন করে বলছি।
.
নাদিম ফোন খুজে হাতে নিয়ে ফোন করতে যাবে এমন সময় পিছন থেকে মাথায় কিছুর আঘাত অনুভব করলো।পিছনে তাকিয়ে দেখে মিতু দাড়িয়ে আর সেই লোকটি। নাদিম মাথা ধরে মাটিতে পরে গেল।
.
চলবে.....
.
-- পাবনার তাঁরছেড়া বালক

মন্তব্য ৫ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (৫) মন্তব্য লিখুন

১| ০৪ ঠা জুলাই, ২০১৫ সকাল ৮:৪০

প্রামানিক বলেছেন: ভাল লাগল। ধন্যবাদ

২| ০৪ ঠা জুলাই, ২০১৫ সকাল ৯:০৫

কাক ??? বলেছেন: খুব সুন্দর।

৩| ০৪ ঠা জুলাই, ২০১৫ সকাল ৯:৫৭

আমি মিন্টু বলেছেন: ভালোলাগচ্ছে

৪| ০৪ ঠা জুলাই, ২০১৫ সকাল ১০:২০

হারুনর রশিদ কায়সার বলেছেন: এই পোষ্টটি অনেক ভালো লেগেছে । অনেক ধন্যবাদ । আশা করি এই রকম পোস্ট আপনার কাছ থেকে আরো পাবো । জনপ্রিয় নিউজ সাইট http://www.onn24.com এ আমি চিফ রিপোর্টার হিসেবে আমি দায়িত্বরত । আমাকে আপনার লিখাগুলো পাঠাবেন । আমি তা প্রকাশনার ব্যাবস্থা করবো । [email protected]

৫| ১০ ই জুলাই, ২০১৫ সকাল ১১:১৬

পাবনার তাঁরছেড়া বালক বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ সবাইকে

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.