নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

মনের আবোলতাবোল চিন্তাগুলো সাজিয়ে গল্পে পরিনত করতে চাই। কখোনও গল্প হয়। আবার কখোনও হয় না। ভাল লিখতে জানি না।তবুও লিখি। কারন এটা শখ হয়ে গেছে। আরর এই শখ জেকে বসেছে।

পাবনার তাঁরছেড়া বালক

মনের আবোলতাবোল চিন্তাগুলো সাজিয়ে গল্পে পরিনত করতে চাই। কখোনও গল্প হয়। আবার কখোনও হয় না। ভাল লিখতে জানি না।তবুও লিখি। কারন এটা শখ হয়ে গেছে। আরর এই শখ জেকে বসেছে।

পাবনার তাঁরছেড়া বালক › বিস্তারিত পোস্টঃ

প্রতিশোধ - ৩য় এবং শেষ পর্ব

০৪ ঠা জুলাই, ২০১৫ সকাল ৮:৩৯

প্রতিশোধ - ৩য় এবং শেষ পর্ব
.

নুর অনেক্ষন ধরে বাড়িটিতে অবস্থান করছে। কিন্তু লোকজন আসছে না। আসার সময়ে পথে কাউকেই দেখে নি।তাই নুর ভাবলো হয়তো কেউ আসবে না।মনে হল নাদিমের কাছ থেকে ওদিকের অবস্থা ফোন করে শোনা উচিৎ। এখানে ফোন করলে সমস্যা হতে পারে।
.
রবিনকে ওখানেই থাকতে বলে নুর মোবাইল নিয়ে কিছু দুরে আসলো। মোবাইলের আলো জালাতেই দেখলো ১৫ টা মিসকল আর দুইটা মেসেজ।মিসকল নাদিমের ফোন থেকে। মেসেজ ওপেন করতেই দেখলো "Plz Help Me"
নাদিমের নাম্বার থেকে দুইবার এসেছে মেসেজটা।
.
তারাতারি নুর একাই সেই বৃদ্ধর বাড়ির দিকে ছুটলো। সাথে বন্দুকটা আর আলো আছে। নাদিমের মেসেজ পেয়ে নুরের মনে অনেক কথা ঘুরছে। তাই হাটতে হাটতে একসময় দৌড়াতে থাকলো।
.
নুর বৃদ্ধর ঘরে গিয়ে নিজেই অবাক হয়ে আছে। নাদিমের নিথর দেহটি মাটিতে পরে আছে। শরির থেকে রক্ত ঝরছে কিছু রক্ত জমাট বেধেও গেছে।
.
নুর কিছু না বলে নাদিমের পাশে বসে পরলো। আর চোখ থেকে পানি ফেলতে থাকলো। নুর নাদিমের মা কে কি বলে সান্তনা দিবে?কি বলবে তার মাকে?
.
পিছন থেকে কেউ একজন বলল
-পালানোর চেষ্টা করবেন না। আপনার চারপাশ ঘিরে ফেলা হয়েছে।
নুর পিছনে তাকিয়ে দেখলো পুলিশ দাড়িয়ে। নুর কিছু না বলতেই সবাই মিলে ধরে পুলিশের ভ্যানে তুলল। নুর কিছু বলার সুযোগ ও পেল না।
.
নুর জেলখানায় নাদিমের খুনি হিসেবে রয়েছে। কারন নাদিমের শরির থেকে পাওয়া গুলি আর নাদিমের বন্দুকের গুলি এক। তাই নাদিম কিছু বলতেও পারছে না। বা করতেও পারছে না।
.
নুরের সাথে নাদিমের মায়ের দেখা করার কথা শুনে নুরের গলা শুকিয়ে আসছে। সে নাদিমের মা কে কিভাবে কি বলবে?
.
নাদিমের মা আসতেই বলল
-বিশ্বাস করুন।আমি আপনার ছেলেকে খুন করি নি।
-আমি জানি বাবা। কারন তুমি নাদিমকে আপন ভাইয়ের মত দেখতে। আমি যখন নাদিমের বই কিনতে পারতাম না তখন তুমি টাকা দিতে। জামা কিনতে না পারলে তোমার নতুম জামা দিয়ে দিতে। কোনদিন তুমি নাদিমকে তোমার বাড়ির কাজের লোকের ছেলে হিসেবে দেখ নি।
-তাহলে আমার সাথে কেন এমন হল? আমি কি পাপ করেছি? যে আমাকে নাদিমের মত একজন ভাইকে হারাতে হল।
-সবই নিয়তির খেলা বাবা।তুমি চিন্তা করো না বাবা। আমি তোমাকে নির্দোষ প্রমান করবো।
.
আজ কয়েকদিন নুর জেলে আছে। তার মামলার রায় হতে দেরি হচ্ছে। অনেকেই দেখা করতে আসছে। নাদিমের মা ছাড়া সবাই নুরকে খুনি বলে গালি দিচ্ছে।
.
রবিন নুরের সামনে আসতেই বলল
-তুমি তো বিশ্বাস করো আমি নাদিমকে খুন করি নি।
-আমি বিশ্বাস করি এবং প্রমান পেয়েছি। নাদিমকে মিতু খুন করেছে।
-কি বলছো!!!কেন খুন করবে?
-এখানে ব্যাক্তিগত সার্থ আছে। আর নাদিমকে তাই খুন করেছে। কালকে আপনার মামলার রায়। ইনশাআল্লাহ আপনি ন্যায় বিচার পাবেন।
.
আজ নুরের মামলার রায় হল। নুরকে দুই বছরের কারাদণ্ড দিল। আর এটা নুরের জন্য কমই। কারন আবারও চাকরি ফেরত পাবে নুর।
.
কারাদণ্ড শেষে নুর আজ বের হল। বের হয়ে সবকিছু নতুন নতুন আর অচেনা লাগছে। অনেকটাই বদলে গেছে দুনিয়া।
.
বাড়িতে যাওয়ার কিছুক্ষন পরেই রবিন আসলো। রবিন বাসায় দেখা করতে আসলো। এর মধ্যে রবিনের সাথে অনেক দেখা হয়েছে আরও অন্য মানুষের সাথে দেখা হয়েছে। কিন্তু মিতুর সাথে দেখা হয় নি। নুর রবিনকে বলল
-আচ্ছা। মিতুর কি খবর?
-খুবই ভাল। সে তো এখন শাওন চৌধুরীর স্ত্রি।
-মানে!! কি বলছো?
-হ্যা। আর নাদিমের খুন থেকে বিয়ে পর্যন্ত সবই ছিল প্লান করা। আমি তদন্ত করে জানতে পেরেছি।
-সব বিস্তারিত বলো।
.
সব শুনে জানতে পারলো সেদিন সেই গ্রামে যাওয়া ছিল প্লান মাফিক। আর সেখানে এই ধরনের বেপার ছিল না।যাওয়ার সময় যে গ্রামে কাউকেই দেখা গেল না। অথচ কিছু সময়ের মধ্যেই পুলিশ চলে আসলো। বেপারটা মিতু আর শাওন চৌধুরী করেছে।শাওন চৌধুরীর ধ্বষে যাওয়া বিল্ডিং এর জন্য শাওন চৌধুরী দায়ি।এই রিপোর্ট নুর দিলে শাওন চৌধুরীর সব শেষ।
.
রবিন বলল
-আমি সব কিছু জেনেও কিছু করতে পারি নি। নাদিমের মত নিরিহ ছেলেকে যারা মারলো তাদের কিছুই করতে পারি নি।
-তবে এখন করবো।
-কি করবেন?
-অনেককিছুই করবো।
-আমাকে আপনার সাথে নিতেই হবে।
.
তারপরে বুদ্ধি করে নুর আর রবিন মিতুর স্বামিকে মেরে ফেলে। আর তারপরে চেষ্টা করে মিতুকে কিছু করার। সুযোগ পেয়ে গেল আজ।আর তাই আজকেই কাজে লাগালো।
.
এতক্ষনে মিতুর জ্ঞ্যান ফিরেছে। সামনে রবিনকে দেখে বলল
-দেখ রবিন।আমাকে মেরে ফেলবে। আমাকে বাচাও।
-আমি আজ কিছুই করবো না।
-আমি তোমাকে ভাইয়ের মত দেখতাম। আর তুমি আজ এমন করছো?
-ভাই!!! হা হা হা। নাদিম ও তো আপনাকে বোনের মত দেখতো। আর সেই নাদিমকেই মেরে দিলেন?
-আমার ভুল হয়ে গেছে।
-জিবন বাঁচানোর ভুল করলে ভুল বলে। কিন্তু বিলাসিতার জন্য ভুল করলে মহাভুল বলে। যেটার ক্ষমা নেই।
.
হাতে পাইপটা নিয়ে নুর আর রবিন মিতুর শরিরে আঘাত করে চলেছে। মিতু যন্ত্রনায় ছটফট করছে। নুর আর রবিন আপন মনে হেসে চলেছে।
.
অনেক্ষন ধরে মিতুর কোন সাড়াশব্দ নেই। তবুও মেরে চলেছে। এখন ক্লান্ত হওয়ায় হাত পা খুলে দশ তলার বিল্ডিং থেকে নিচে ফেলে দিল।
.
পরেরদিন মিস মিতু চৌধুরীর লাশ পাওয়া গেল। আর সেই খুনের তদন্ত পরলো নুর আর রবিনের উপরে। তদন্ত করে জানানো হল।স্বামির শোকে বিল্ডিং থেকে লাফ দিয়ে মরেছেন মিস মিতু চৌধুরী।
.
সমাপ্ত
.
পাবনার তাঁরছেড়া বালক

মন্তব্য ১ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (১) মন্তব্য লিখুন

১| ০৪ ঠা জুলাই, ২০১৫ সকাল ৯:৩৪

মুরাদ খান বলেছেন: পড়ে নিলাম পূরোটাই। কিন্তু কিছু প্রশ্ন থেকে যায়।

শেষের লাইনটি" স্বামির শোকে বিল্ডিং থেকে লাফ দিয়ে মরেছেন মিস মিতু চৌধুরী।" !!!
স্বামী বানান ভূল, আর মিস কিভাবে হয়?

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.