নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

মনের আবোলতাবোল চিন্তাগুলো সাজিয়ে গল্পে পরিনত করতে চাই। কখোনও গল্প হয়। আবার কখোনও হয় না। ভাল লিখতে জানি না।তবুও লিখি। কারন এটা শখ হয়ে গেছে। আরর এই শখ জেকে বসেছে।

পাবনার তাঁরছেড়া বালক

মনের আবোলতাবোল চিন্তাগুলো সাজিয়ে গল্পে পরিনত করতে চাই। কখোনও গল্প হয়। আবার কখোনও হয় না। ভাল লিখতে জানি না।তবুও লিখি। কারন এটা শখ হয়ে গেছে। আরর এই শখ জেকে বসেছে।

পাবনার তাঁরছেড়া বালক › বিস্তারিত পোস্টঃ

মায়ের মমতা

১০ ই জুলাই, ২০১৫ রাত ১০:৪৭

-কিরে তুই নাকি বাইক কিনবি?
-কিনবো তো কিন্তু এখন তো টাকা নেই।
-আরে এখন না কিনলে কখন কিনবি??
-কয়েকমাস পরেই তো টাকা হবে।
-তোদের আলমারিতেই নাকি টাকা রাখা আছে সেই টাকা দিয়ে কেন।
-কিন্তু....
-কিসের কিন্তু।তোর বাবার টাকা তুই খরচ করবি। তাতে কার কি?

বন্ধুদের কথা শুনে রাফির মনে হল এখন টাকা নেই কিছুদিন পরে হবে। যে টাকা আছে সে টাকা তো অন্যকাজের জন্য রেখেছে। এইসব সাত পাচ ভাবতে ভাবতে বাড়ির দিকে হাটা ধরলো।

রাফিকে এখন একা একাই খেতে হয়। বাবা ছিল। সে কয়েকমাস আগে রাফিকে ছেড়ে পরপারে চলে গেছে। আর মা তো অসুস্থ হয়ে বিছানায়। তাই একাই খেতে হচ্ছে। খেতে খেতে মনে হল সে কি দেখবে আলমারি খুলে? ব্যাবসায়ের টাকা দিতে কিছুদিন দেরি হবে। টাকা পেলে আবার আলমারিতে রাখা যাবে।

আলমারির চাবিটা কোথায় সেটা রাফি অনেক আগে থেকেই জানে।কিন্তু কোনদিন আলমারি খুলে দেখে নি।বা দেখার প্রয়োজনে পরে নি।আলমারি খুলে দেখলো এক জায়গায় দুই লাখ বত্রিশ হাজার টাকার মত হবে। এতেই রাফির হয়ে যাবে।

টাকাগুলো নিয়ে যখন যাচ্ছিল। তখন একটা কাগজ পরলো। কাগজে লেখা "আমি জানি একদিন তোর এই টাকা দরকার হবে।আর বিপদে না পরলে এই টাকা খরচ করবি না।কাগজটা দেখে রাফির মনে হল আসলেই তো বিপদ।কারন তার মায়ের চিকিৎসার জন্য এই টাকা লাগবে।

"পরে হলেই হবে " এমন চিন্তা করে যখন যাচ্ছিল।তখন ডাক্তারের কথা মনে পরে গেল.ডাক্তার বলেছে
-খুব তারাতারি আপনার মায়ের চিকিৎসা না করলে আপনার মাকে বাঁচানো যাবে না।

কথাটি মনে পরে রাফির চোখ ভিজে গেল। টাকার জন্য তার মা মরে যাবে? হোক সে পালিত মা। যখন রাফির মা মারা যায় তখন এই পালিত মা রাফিকে বড় করেছে।

রাফির জন্য অনেককিছু ত্যাগ করেছে। রাফি যখন অসুস্থ হয়ে থেকেছে তখন ঘুম ত্যাগ করে কষ্ট সয়ে রাফির সেবা করেছে। রাফির জন্য কত কিছুই করেছে।

রাফি টাকা নিতে গিয়েও পারলো না।আলমারিতে রেখে দিল।কারন তার বাইকের জন্য মাকে হারাতে পারবে না।কিছুদিন পরেই বাইক কিনতে পারবে রাফি। কিন্তু মা গেলে পাবে না। মা তো মা সে হোক পালিত মা।

রাফি মায়ের পায়ের কাছে বসে আছে। রাফিকে দেখে মা বলল
-বাবা ঘুমিয়ে পর। রাত জাগলে অসুস্থ হয়ে পরবি।
রাফি কিছু না বলে শুধুই বলল
-মা।
আর এটা বলতেই চোখ দিয়ে পানি বেড়িয়ে গেল......

মন্তব্য ২ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (২) মন্তব্য লিখুন

১| ১১ ই জুলাই, ২০১৫ রাত ১২:৩১

প্রামানিক বলেছেন: চমৎকার মা ছেলের কাহিনী। ছেলেরা যদি এরকম হয় তাহলে মায়েদের কষ্ট কম হয়। শুভেচ্ছা রইল।

২| ১২ ই জুলাই, ২০১৫ দুপুর ১:২৬

পাবনার তাঁরছেড়া বালক বলেছেন: ধন্যবাদ। আমিও এমন চাই

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.