নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

মনের আবোলতাবোল চিন্তাগুলো সাজিয়ে গল্পে পরিনত করতে চাই। কখোনও গল্প হয়। আবার কখোনও হয় না। ভাল লিখতে জানি না।তবুও লিখি। কারন এটা শখ হয়ে গেছে। আরর এই শখ জেকে বসেছে।

পাবনার তাঁরছেড়া বালক

মনের আবোলতাবোল চিন্তাগুলো সাজিয়ে গল্পে পরিনত করতে চাই। কখোনও গল্প হয়। আবার কখোনও হয় না। ভাল লিখতে জানি না।তবুও লিখি। কারন এটা শখ হয়ে গেছে। আরর এই শখ জেকে বসেছে।

পাবনার তাঁরছেড়া বালক › বিস্তারিত পোস্টঃ

ভালবাসায় রাগারাগি

২১ শে জুলাই, ২০১৫ রাত ১২:৫৪

আজ আর সিনথিয়ার ফোন আসে নি। কয়েকবার এসেছিল ফোন ধরতে পারি নি। অফিসিয়াল কাজে ব্যাস্ত ছিলাম।ফোন ধরতে পারি নি। ফোন না আসায় ফ্রি আছি এখন।

একবার ভাবলাম সিনথিয়াকে ফোন দেব। পরে আবার ভাবলাম না বাসায় গিয়েই কথা বলবো। আজ কাজে বেশি ব্যাস্ত হয়ে পরেছি। আজ তো সিনথিয়ার সাথে শপিং এ যাওয়ার কথা ছিল। তাও যেতে পারি নি।

বাড়িতে এসে আজ একটু আলাদা পরিবেশ লাগছে। প্রতিদিন সিনথিয়া এসে ব্যাগ নেয়। আর সবকিছু জিজ্ঞেস করতে থাকে। আগে মা এসে দরজা খুলতো। আর এখন মা তার দায়িত্ব তার বউমার হাতে দিয়েছে। মা তো তার মত উদ্ধার পেয়েছে। কিন্তু আমি উদ্ধার পাই নি।

মায়ের দরজা খোলা দেখে ভাবলাম মা মনেহয় আগের দায়িত্ব নিয়েছে। আর এখন একটু সস্তি। মা কে জিজ্ঞেস করলাম
-তোমার বউ মা কোথায়?
-ঘরে।
-খেয়েছ তুমি?
-হ্যা। খেয়েছি। কিন্তু বউমা এখনও খায় নি।আমার একটা মাত্র বউ মা তোর জন্য না খেয়ে থাকবে কেন?
-আচ্ছা মা তুমি রাত না জেগে শুয়ে পর। আমি দেখছি।

ঘরে গিয়ে দেখলাম সিনথিয়া শুয়ে আছে। আমি ডাক দিলাম। কিন্তু কোন কথা বলল না। হয়তো রাগ করেছে। এখন রাগ ভাঙাতে পারবো না। রাগ ভাঙানো আমার দারা হয় না। তাই আমার মত আমি ঘুমিয়ে পরলাম। ইফতারি খাওয়ার পরে কিছু খাই নি। তবুও ঘুমিয়ে পরলাম।

রাত কয়টা বাজে জানি না। বুকের উপরে কিছুর ভর অনুভব করলাম। আর বুক ভেজা ভেজা। আমি চমকে উঠে পরলাম। ঘুম ভেঙে গিয়েছে। উঠেই আলো জালালাম।

আলো জালিয়ে দেখলাম সিনথিয়া কাঁদছে। বুঝতে পারলাম এতক্ষন সিনথিয়া কাঁদছিল। আর কাদার জন্য আমার বুকের উপরেই জায়গা খুজে পেয়েছে।

আমি জিজ্ঞেস করলাম
-কাঁদছ কেন?
-......
-আরে যদি কেদেই চল। তাহলে কি হয়েছে বুঝবো কিভাবে?? আগে কাদার কারন বলো তারপরে কাদো।
-তোমাকে দুপুরে ফোন করেছিলাম।
-হ্যা। বলো। বলা বাদ দিয়ে কাঁদলে কিভাবে পুরোটা বুঝবো।
-তুমি ফোন ধরো নি।
-আরে এই কারনে কাঁদছ!!!
-না। পরে ফোন ধরেছিল একটা মেয়ে। আর বলল তোমার প্রেমিকা।
-ওহ। আরে তখন তো আমার বান্ধবি কনা ফোন ধরেছিল। ও আমাদের ওখানেই চাকরি করে আমার কলিগ।
-আমি ভেবেছিলাম সত্যি।
-না খেয়েই শুধু কাঁদলে হবে?তারচেয়ে দুইজন খেয়ে আসি আগে। তারপরে নাহয় কাঁদবে চলো।
-হুম।

আমি আগে আগে যাচ্ছি। সিনিথিয়ার হাটা দেখে বললাম
-কি বেপার তুমি খুরিয়ে হাটছ কেন?
-আরে তেমন কিছু না।
-তেমন কিছু না মানে!! পায়ে ব্যান্ডেজ কেন?
-পা কেটে গিয়েছে।
-কিভাবে কাটলো?
-রান্না করার সময়ে বটি নিচে রেখেছি কিন্তু দেখতে পারি নি। তাই লেগে কেটেছে।
-আমাকে ফোন করে জানাতে পারলে না?
-মা ফোন করতে বলেছিল। কিন্তু আমি করতে দেই নি।
-কেন?
-রাগে।
-তাহলে এখন যাবে কিভাবে?
-হেটে।
-হেটে যেতে পারবে না।তারচেয়ে কোলে নেই।

কোলে তুলে নিয়ে খাওয়া দাওয়া সেরে আবার ঘরে নিয়ে আসলাম। ঘরে এসে বিছানায় নামাতে যাচ্ছিলাম। কিন্তু গলা জড়িয়ে ধরে রেখেছে দেখে বললাম
-কি হল গলা ছাড়ো।
-ছাড়তে ইচ্ছে করছে না।
-খুব মজা না?
-হ্যা। ভাবছি মাঝে মাঝেই এইরকম পা কাটতে হবে তাহলে তোমার কোলে চড়ে থাকতে পারবো।
-তাও ভাল। কোলেই চড়তে চেয়েছ মাথায় চড়তে চাও নি।
-কি!!
-না কিছু না। এখন নামো।নাহলে রাত জাগলে আমার মাথা ব্যাথা করবে।
-তাহলে তারাতারি শুয়ে পরো। আর আমি তোমার বুকে মাথা দিয়ে আমিও ঘুমিয়ে পরি।
-খুশি তাহলে?
-অনেক খুশি।

এটুকুই চাওয়া থাকে ভালবাসায় মানুষটির কাছে। দামি পোশাক বা দামি উপহারের চেয়ে এটাই সেরা উপহার। আর এটুকু দিতে কোন কষ্ট করতে হয় না। শুধু ভালবাসা থাকলেই হয়।

তাই ভালবাসায় মানুষটিকে খুশি রেখে শুয়ে আছি। আর আমার বুকের উপরে সিনথিয়ার মাথা।...........

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.