নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

মনের আবোলতাবোল চিন্তাগুলো সাজিয়ে গল্পে পরিনত করতে চাই। কখোনও গল্প হয়। আবার কখোনও হয় না। ভাল লিখতে জানি না।তবুও লিখি। কারন এটা শখ হয়ে গেছে। আরর এই শখ জেকে বসেছে।

পাবনার তাঁরছেড়া বালক

মনের আবোলতাবোল চিন্তাগুলো সাজিয়ে গল্পে পরিনত করতে চাই। কখোনও গল্প হয়। আবার কখোনও হয় না। ভাল লিখতে জানি না।তবুও লিখি। কারন এটা শখ হয়ে গেছে। আরর এই শখ জেকে বসেছে।

পাবনার তাঁরছেড়া বালক › বিস্তারিত পোস্টঃ

সন্দেহ

২২ শে জুলাই, ২০১৫ রাত ৯:১৫

-কোথায় তুমি??
-কোথায় আর থাকবো!! বাসায় আছি।
-কি করছো?
-কিছু না।
-একটু আগেই তো কথা বললে। আবার এখনই ফোন করলে কেন??
-এমনি ফোন করেছি।

এ নিয়ে কতবার আশিক ফোন করেছে সেটার কোন ইয়ত্বা নেই। আর এটা আশিকের নিয়মিত কাজ। মাঝে মাঝে রুমি বিরক্ত হয়ে যায়। এত বলা সত্তেও আশিক ফোন করে। কে এত ফোন করে সেটা রুমি জানে না।

ফোন বিছানার উপরে রাখতেই আবারও ফোন বেজে উঠলো। ফোম হাতে নিয়ে দেখলো আশিকের ফোন না। রুমির বান্ধবি লামিয়া।
ফোন ধরে বলল
-কিরে কি খবর তোর??
-আমার খবর ভালই। কিন্তু তোর তো কোন খবরই নাই। ফোন করলে সবসময় বিজি পাই।
-না এমনি।
-এত কার সাথে কথা বলিস?
-আশিকের সাথে।
-স্বামির সাথে এত কথা বলতে হবে কেন?
-ফোন করলে আমি কি করবো?
-তোর স্বামি মনেহয় তোকে সন্দেহ করে।
-কি বলিস এইসব!!
-নাহলে এত ফোন দেবে কেন? তুই কারো সাথে কথা বলিস নাকি সেটা জানতে চায়।
-না এ হতেই পারে না।
-ছেলেদের মন বলা যায় না।
-হতেও পারে।
-আচ্ছা পরে কথা হবে।

ফোনটা রেখে রুমি ভাবতে থাকলো। সত্যি কি আশিক তাকে সন্দেহ করে? এত ফোন করার মানে কি? আসলেই আশিক সন্দেহ করে।

রুমি ব্যাগ গুছিয়ে নিচ্ছে বাপের বাড়িতে যাবে বলে। যেই সম্পর্কের মধ্যে সন্দেহ থাকে সেই সম্পর্কের ভবিষ্যত থাকে না। কারন হয়তো কোন একদিন এই বিষয় নিয়ে কথা উঠতে পারে। কিন্তু রুমি সে শুযোগ দেবে না।তাই আশিককে ছেড়ে রুমি চলে যাবে।

আশিক অনেক্ষন ধরে ফোন করে যাচ্ছে কিন্তু ফোন ধরছে না। কারন কি? রুমি তো এমন করার কথা না। কিছু হল না তো?আশিক চিন্তায় পরে গেল।

ভাবতে ভাবতে গাড়ি নিয়ে বাসার দিকে গাড়ি নিয়ে ছুট দিল। গাড়ি চালাচ্ছে আর আশিকের শরির থেকে ঘাম ঝরছে। কি হল রুমির? তারাতারি গাড়ি চালাচ্ছে তবুও গাড়ি যাচ্ছে না।আজ যেন গাড়ির গতিও থেমে যাচ্ছে।

বাড়িতে এসে দেখে বাড়িতে রুমি নেই। বাড়ির কাজের লোককে আশিক রুমির কথা জিজ্ঞেস করলো। কাজের মেয়েটি বলল
-ম্যাডাম ব্যাগ নিয়ে কোথায় যেন গেছে।
-কোথায় গেছে জানো?
-কিছু বলে যায় নি।

কোথায় গেল রুম? ভাবতে ভাবতে রিমিকে আবারও ফোনে চেষ্টা করতে থাকলো। এবারে রুমি ফোন ধরলো। ফোন ধরতেই আশিক বলল
-কোথায় গিয়েছ তুমি?
-চলে যাচ্ছি।
-কোথায় যাচ্ছ?
-যেখানে তুমি নেই।তোমার থেকে দুরে।
-কেন?
-যে সম্পর্কের মধ্যে সন্দেহ আছে।আমি সেই সম্পর্কের মধ্যে থাকবো না।
-এই শোন। শোন।

কথাগুলো বলার আগেই রুমি ফোন কেটে দিয়েছে।আশিক বসে ভাবছে যদি একজন মানুষের বেশি খোজ নেওয়ার নাম সন্দেহ হয় তাহলে কিভাবে চলে? কিছুক্ষন পরেই যদি ফোন করা হয় তাহলে কি এটা সন্দেহ। বেশি ভালবাসে বলেই আশিক এই কাজগুলো করে।কিন্তু রুমি সেটা বুঝলো না।

অনেকবার আশিক চেষ্টা করেছে কিন্তু রুমি ফোন ধরে নি। এবারে আশিকের কথাগুলো রুমি ভাবতে থাকলো। সত্যি কি আশিক তাকে সন্দেহ করে নাকি ভালবাসে বলে এমন করে?

রুমি ফোন হাতে নিয়ে আশিককে ফোন করলো। আশিক ফোন ধরে বলল
-প্লিজ ফিরে এস।আমার ভুল হলে ক্ষমা চাচ্ছি। রাগ করো না।
-রাগ করবো যদি তুমি তোমার শ্বশুরবাড়ি মানে আমার বাবার বাড়ি না আসো।
-কেন আসবো?
-আমাকে নিতে আসবে। নাহলে কি আমি আবারও গাড়িতে যাব নাকি। তোমার পাশের সিটে বসিয়ে আমাকে নিয়ে যাবে।

রুমি আশিকের ভালবাসা বুঝতে পেরেছে।তাই রুমি আশিকের থেকে দুরে থাকতে চায় না।পাশাপাশি থেকে সেও আশিককে ভালবাসতে চায়...........

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.