নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

মনের আবোলতাবোল চিন্তাগুলো সাজিয়ে গল্পে পরিনত করতে চাই। কখোনও গল্প হয়। আবার কখোনও হয় না। ভাল লিখতে জানি না।তবুও লিখি। কারন এটা শখ হয়ে গেছে। আরর এই শখ জেকে বসেছে।

পাবনার তাঁরছেড়া বালক

মনের আবোলতাবোল চিন্তাগুলো সাজিয়ে গল্পে পরিনত করতে চাই। কখোনও গল্প হয়। আবার কখোনও হয় না। ভাল লিখতে জানি না।তবুও লিখি। কারন এটা শখ হয়ে গেছে। আরর এই শখ জেকে বসেছে।

পাবনার তাঁরছেড়া বালক › বিস্তারিত পোস্টঃ

অবশেষে

২৭ শে জুলাই, ২০১৫ রাত ৯:২২

জ্ঞ্যান ফিরতেই দেখলাম আমি বিছানায় শুয়ে আছি।আর চারপাশ কেমন যেন।জায়গাটাও অচেনা। কিছুক্ষন পর অবিষ্কার করলাম আমি হাসপাতালের বেডে।

কেন হাসপাতালে এলাম? আর কিভাবে এলাম কিছুই জানি না।বা মনে করতে পারছি। উঠে বসে চারিদিকে তাকিয়ে সব দেখছি। কিছুক্ষন পর একজন এসে বলল
-এখন কেমন লাগছে বাবা?
-বাবা!!
-আমাকে চিনতে পারছিস না?
-আপনি....
-আমি তোর মা।
-ও। এখন ভাল লাগছে।
-আচ্ছা দাড়া আমি বউমাকে ডাকছি।
মা তো বুঝলাম কিন্তু ইনার বউমা আবার কে?আর আমি মাকে চিনতে পারি নি কেন?

কিছুক্ষন পরে মা একটা মেয়েকে সাথে নিয়ে রুমে ঢুকলো মানে হাসপাতালের বেডের কাছে আসলো। হয়তো মায়ের বউমা হবে।

মা এসে বলল
-বউ মা কথা বলো।
তাহলে মায়ের বউমাই হবে। সেই মেয়েটি বলল
-আমাকে চিনতে পারছো?
আমাকে ফ্যালফ্যাল করে তাকিয়ে থাকতে দেখে বলল
-আমাকে চিনতে পারছো না?
-হ্যা।
-আমি কে?
-আপনি আমার বউমা।
-তাহলে তোমার কি হই?
-জানি না।
-তুমি তো তোমার বাবা মায়ের একমাত্র ছেলে। তাহলে আমি তোমার কি হই?
-বলতে পারছি না।
-আমি তোমার বউ।
-বউ?
-হ্যা।তোমার সিনথিয়া।
-আমি এখানে কিভাবে?
-তুমি সিড়ি থেকে পরে গিয়ে অজ্ঞ্যান হয়েছিলে।তাই এখানে আনা হয়েছে।

আর কিছু বলছিল কিন্তু কথাগুলো শুনে আমার কেমন যেন লাগছিল।তাই চোখ বুঝে তার কথার সাথে আগের কাহিনি গুলো মিলাতে চাচ্ছিলাম।

বাড়িতে এসেই আজ সিনথিয়ার সাথে তুমুল ঝগড়া। আমি থামানো বাদ দিয়ে আমিও ঝগড়া করছি।এক পর্যায়ে না খেয়েই ঘর থেকে বেড়িয়ে গেলাম।

ঘর থেকে বেড়িয়ে ছাদে গিয়ে সিগারেট খেতে থাকলাম। খেতে খেতে প্রায় এক প্যাকেটের মত খেয়ে ফেলেছি। মাথাটা ঘুরছে। ভাবলাম বাসায় ফিরে যাই।কিন্তু বাসায় ফিরতে ইচ্ছে করছে না।ছাদেই ভাল আছি।

ছাদে বৃষ্টির কারনে বেশি সময় দাড়িয়ে থাকতে পারলাম না। তাই ছাদ থেকে নেমে বাসার দিকে যেতে থাকলাম। কিন্তু মাথা ঘোরার কারনে যেতে পারছি না।মাথা ঘোরার কারন বুঝতে পারছি না। ও মনে পরেছে আজ গাজা খেয়েছি তো তাই।

আমি এখন অনেককিছুই ভুলে যাই।আর এই ভুলে যাওয়া থেকেই সিনথিয়ার সাথে ঝগড়া হয়েছে। আমি বিশেষ বিশেষ দিনগুলো ভুলে যাই। যেমন, আমার বিয়ের দিন,জন্মদিন আরো অনেকদিন। যেগুলো বিয়ের আগে ঠিক মনে থাকতো।আর এ থেকে সিনথিয়ার সাথে রাগারাগি। আমি নাকি তাকে আর ভালবাসি না।এ থেকেই ঝগড়া। কারন ভালবাসায় ঝগড়া হতে বেশি কারন লাগে না।

বাসার সামনে এসে কলিং বেল দুইবার বাজালাম। তারপরে মাথাটা ঘুরে গেল। আর মাথা ঘুরে পরে যেতে থাকলাম। আমি মা বলে ডাকছি।

তারপরে আর কিছু মনে নাই। এখন চোখ খুলে দেখি সামনে কেউ নেই। তাই মাকে ডাকতে শুরু করলাম। মা কাছে এসে বলল
-কি হয়েছে??
-সিনথিয়া কোথায়?
-বাইরে দাড়িয়ে আছে। সারারাত ঘুমায় নি।তোর জন্য নফল নামাজ পরেছে আর কেঁদেছে। তোকে বেশি ভালবাসে মেয়েটা। ওকে কোনদিন কাদাস না।

সিনথিয়া ঘরের মধ্যে এল।আর মা বাইরে গেল হাসপাতালের বিল জমা দিতে।আমি সিনথিয়া কে বললাম
-এসে এখানে বসো।
-.......
-রাগ করেই থাকবে। তাহলে আমি আবারও নিজেকে.......
আর কিছু বলতে দিল না। কাছে এসে মুখটা চেপে ধরলো। আর বলল
-তুমি নিজেকে কেন কষ্ট দাও?তোমার জন্য আমি কষ্ট পাই।তোমার কিছু হলে আমি কিভাবে বাচবো।

আমি ততক্ষনে বুকে টেনে নিয়ে কান্নাটা থামিয়ে দিয়েছি। আর আমি পরম শান্তিতে আছি।

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.