নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

মনের আবোলতাবোল চিন্তাগুলো সাজিয়ে গল্পে পরিনত করতে চাই। কখোনও গল্প হয়। আবার কখোনও হয় না। ভাল লিখতে জানি না।তবুও লিখি। কারন এটা শখ হয়ে গেছে। আরর এই শখ জেকে বসেছে।

পাবনার তাঁরছেড়া বালক

মনের আবোলতাবোল চিন্তাগুলো সাজিয়ে গল্পে পরিনত করতে চাই। কখোনও গল্প হয়। আবার কখোনও হয় না। ভাল লিখতে জানি না।তবুও লিখি। কারন এটা শখ হয়ে গেছে। আরর এই শখ জেকে বসেছে।

পাবনার তাঁরছেড়া বালক › বিস্তারিত পোস্টঃ

মনুষত্য

০২ রা আগস্ট, ২০১৫ রাত ৯:২৩

আশিকের মুখের হাসিটা সবসময় মুখে লেগেই থাকে।তাকে কেউ হাসি ছাড়া কমই দেখেছে বা এখনও দেখে।

অফিসে সবাই এসে যার যার মত কাজ করছে।কিন্তু আশিকের কোন খবর নেই। আসতে আসতে অনেক দেরি করে ফেলল।এর মধ্যে বস এসে কয়েকবার আশিকের খোজ করেছে।

আশিক বসের রুমে থেকে সাভাবিক ভাবে তার চেয়ারে এসে বসে পরলো।সবাই অবাক হয়ে আছে।বেপার কি?বসের রুম থেকে তো কারো হাসি মুখে ফেরার কথা না।

কৌতুহলবসত একজন জিজ্ঞেস করে ফেলল
-বেপার কি? বস কিছু না বলেই ছেড়ে দিল?
-বলবে না কেন?অনেক কিছু বলেছে।
-তাহলে আপনি হাসি হাসি কেন?
-তো কি কাঁদবো নাকি?

আশিক অফিস করে প্রেমিকার সাথে দেখা করতে গিয়ে ভালভাবেই ফিরলো।সাথে বলে দিল আজ থেকে ব্রেকাপ। আশিক সেদিকে না ভেবে চলে আসলো বাসায়।

আজকে আশিকের ফোন না বাজায় ওর বন্ধু জিজ্ঞেস করলো
-কিরে আজ তোর অপ্সরীর ফোন আসে না কেন?
-ব্রেকাপ হয়ে গেছে।
-এত সহজ ভাবে বলতে পারলি!!
-তো কি কেদে কেদে বলবো?
-ভালবাসিস না মেয়েটিকে?
-হ্যা।
-তাহলে।
-তাই বলে কি দুঃখ পাব।
-তুই জিবনে কোনদিন দুঃখ পেলি না।আর তোকে কাঁদতে দেখলাম না।

আজও আশিক অফিসের দেরি করে ফেলেছে। কিন্তু আশিক ওইসব ভাবে না।আজও ঝাড়ি খেতে হবে।তবুও রিক্সাওয়ালাকে বলল
-ভাই। তারাতারি যান।অফিসে দেরি হয়ে যাচ্ছে।
-যাচ্ছি তো।
-আরেকটু তারাতারি যান।

রিক্সায় বসে পাশের অনেককিছুই চোখে পরছে। হঠাৎ রিক্সাওয়ালাকে বলল
-এই আস্তে যান তো।
-আস্তে যাব কেন?
-তাহলে ওইদিকে দাড়াও।
-অফিসে দেরি হবে নাকি আপনার।
-হয় হোক।

আশিক রিক্সা থেকে নেমে রাস্তা পার হয়ে একটা বুরো মহিলার কাছে গেল।আর এই কারনেই রিক্সা থেকে আশিক নেমেছে। বুড়ো মহিলাটি রাস্তা পার হওয়ার জন্য কারো সাহায্য চাচ্ছে। কিন্তু সবাই তাকে নিয়ে উপহাস করছে।

আশিক কাছে গিয়ে বলল
-কি হয়েছে আপনার?
-আমায় রাস্তাটা একটু পার করে দাও বাবা।
-আচ্ছা।
-অনেককে বললাম। সবাই হাসাহাসি করলো।কিন্তু কেউ সাহায্য করলো না।
-আমার সাথে আসুন।

রাস্তা পার করে দিয়ে আশিক চলে যাচ্ছিল হঠাৎ বৃদ্ধ মহিলাটি বলল
-দাড়াও বাবা।
আশিক কাছে গিয়ে দাড়াতেই মাথায় হাত বুলিয়ে বলল
-অনেক বড় হও বাবা। সারাজীবন সৎপথে চলো।
কথাটা শুনে আশিকের চোখে পানি চলে আসলো। বৃদ্ধ মহিলাটি বলল
-কাঁদছ কেন বাবা?
-না তেমন কিছু না।

আশিক রাস্তা দিয়ে যাচ্ছে আর চোখ দিয়ে পানি বের হচ্ছে। অনেকদিন পরে আজ আশিক কাঁদছে। শেষ কেঁদেছিল আশিকের মায়ের মৃত্যুর দিন।তারপরে আর কোনদিন কাদে নি।তার মধ্যে একটা মানুষ আসে সেটা আশিক ভুলে গিয়েছিল। আজ আশিক বুঝলো আশিকও একজন মানুষ। সেও কাঁদতে জানে...

মন্তব্য ২ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (২) মন্তব্য লিখুন

১| ০২ রা আগস্ট, ২০১৫ রাত ৯:৪৩

৩ তারকা বলেছেন: অসাধারন লাগলো..ভাই ধন্যবাদ

২| ০২ রা আগস্ট, ২০১৫ রাত ১০:৩৬

হাসান মাহবুব বলেছেন: আশিকদের জন্যে শুভকামনা।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.