নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

মনের আবোলতাবোল চিন্তাগুলো সাজিয়ে গল্পে পরিনত করতে চাই। কখোনও গল্প হয়। আবার কখোনও হয় না। ভাল লিখতে জানি না।তবুও লিখি। কারন এটা শখ হয়ে গেছে। আরর এই শখ জেকে বসেছে।

পাবনার তাঁরছেড়া বালক

মনের আবোলতাবোল চিন্তাগুলো সাজিয়ে গল্পে পরিনত করতে চাই। কখোনও গল্প হয়। আবার কখোনও হয় না। ভাল লিখতে জানি না।তবুও লিখি। কারন এটা শখ হয়ে গেছে। আরর এই শখ জেকে বসেছে।

পাবনার তাঁরছেড়া বালক › বিস্তারিত পোস্টঃ

আমাদের সমাজে একজন নারি

০৩ রা আগস্ট, ২০১৫ রাত ৯:২৩

আমাদের সমাজে একজন নারি
.
দিলুরা ছেলেকে মারতে দেখে দিলুরা কাছে গিয়ে বললল
-কি হয়েছে? মারছেন কেন ওকে?
-ওই খা**কি। যা এখান থেকে।
-মারছেন কেন?
-তোর ছেলে আমার বাড়িতে খেলতে এসেছে।
-তাই বলে মারবেন?
-মারবো না তো কি? তোর মত খা**কির ছেলে আমার বাড়িতে আসবে কেন?
-আর আসবে না। ছেড়ে দিন।
.
ছেলেকে নিয়ে বাড়ির দিকে যাচ্ছিল। এমন সময় ছেলে জিজ্ঞেস করলো
-আচ্ছা মা।ওই লোক তোমাকে ওই ধরনের কথা বলল কেন?আর খা**কি বলে গালি দিল কেন?
-ও কিছু না।
.
বাড়ির কাছে এসে দেখে পাশের বাসার এক মহিলা এক রিক্সাওয়ালার সাথে ঝগড়া করছে।রিক্সাওয়ালা পাঁচ টাকা বেশি চেয়েছে বলে তার সাথে ঝগড়া করছে।
.
কাছে গিয়ে মহিলাকে বলল
-আচ্ছা আপা পাঁচ টাকা দিয়ে দিলেই তো হয়।
-কেন দেব?
-পাঁচ টাকা এমন কি?
-আপনি তো বলবেন ই।আপনার মত তো আর আমার শরির বেচা টাকা না।রাত হলেই তো আপনার টাকা অভাব হয় না।
.
বেশি কিছু না বলে দিলুরা বাড়িতে চলে আসলো। বাড়িতে এসে মানুষের বলা কথাগুলো ভাবতে থাকলো। এই সব কথা তার গা সওয়া হয়ে গেছে। তাতে কিছু মনে হয় না।কিন্তু ছেলের প্রশ্ন টা তাকে বিষিয়ে তুলছে।
.
স্বামি মারা যাওয়ার পরে সংসার চালানোর জন্য কোন উপায় না থাকায় দিলুরা কে চাকরিরর জন্য ছুটতে হয়। কারন এক ছেলেকে মানুষ করার জন্য দিলুরাই একমাত্র উপার্জন করার মত।
.
এইস এস সি পাশে তেমন কোন ভাল চাকরি পায় না।তবে চলার মত একটা অফিসে চাকরি পায়। অফিসের সামান্য কাজ।তবুও মন দিয়ে দিলুরা তার কাজ করতে থাকে। অফিসের কাজ তাকে ভালই লাগে।
.
কয়েকদিন যেতেই দিলুরা বেগম বুঝতে পারে অফিসের লোকগুলোকে যতই ভাল ভাবছিল তারা তার বিপরিত।এর মধ্যে অনেকের কাছ থেকে অনেক ধরনের কুপ্রস্তাব পেয়েছে। দিলুরা রাজি না হওয়ায় তাকে চাকরি হারানোর ভয় পর্যন্ত দেখানো হয়েছে।কি করবে সেটাই দিলুরা ভাবছে।
.
দিলুরা আজ চাকরিটা ছেড়ে দিল।কারন তার উপরে যেভাবে নির্যাতন চালাণো হচ্ছে যা একজন যৌনকর্মির উপরেও চালানো হয় না।এর মধ্যে অফিসের অনেকের কাছেই নির্যাতনের শিকার হয়েছে।
.
বিচার চেয়ে অফিসের বসের কাছে হয়েছিল দিলুরা। কিন্তু সেখানেও দিলুরার রক্ষা হয় নি।সুযোগ নিয়ে বসও তার জৈবিক কাজ ঠিকই হাসিল করে নেয়।আর এত নির্যাতন তার সহ্য হল না বলে চাকরি ছেড়ে দিল।
.
দিলুরা সিদ্ধান্ত নিল আত্বহত্যা করে পৃথিবীর মায়া ছেড়ে চলে যাবে।কিন্তু হঠাৎ সামনে ছেলের চেহারা ভেসে উঠায় দিলুরা তা পারলো না। কিন্তু কিভাবে সংসার চলবে সেটা দিলুরা ভেবে দিশা হারিয়ে ফেলছে।
.
রাত নয় টা বেজে গেছে কিন্তু দিলুরা এখনও বাড়িতে যায় নি। বাড়িতে গেলেই ছেলেকে খাবার খাওয়াতে হবে। খাবার কেনার টাকা অথবা বাড়িতে রান্না করার মত কিছু নেই। তাই রাস্তায় গন্তব্যহিন হয়ে হেটে চলেছে।
.
পাশ দিয়ে মানুষ যাচ্ছে আর বলছে
-কত?
কেউ বলছে।
-কিরে বাসায় যাবি?কত লাগবে? বাড়িয়ে দেব চল।
এগুলো কিসের ইঙ্গিত সেটা দিলুরা ভালভাবেই জানে।দিলুরা একবার ভাবছে রাজি হবে আর আরেকবার পাপবোধ তাকে পিছিয়ে দিচ্ছে।
.
দিলুরা শেষে ছেলের জন্য খাবার কিনে বাড়িতে ফিরলো। এলজনের প্রস্তাবে রাজি হয়ে গেল। ছেলের ক্ষুধার্ত অসহায় মুখ দেখে দিলুরা রাজি হয়ে গেল।
.
সেদিনের পর থেকে এটাকেই দিলুরা জিবিকার জন্য ব্যাবহার করে। কিন্তু পাপবোধ তাকে কূড়ে কুড়ে খায়। এই টাকার খাবার দিলুরার গলা দিয়ে নামতে চায় না।কিন্তু ছেলের জন্য আর জিবিকার জন্য তাকে এই কাজ করতে হয়।
.
নিয়মিত মানুষের কাছ থেকে গালি আর লাঞ্চনা দিলুরার অভ্যাস হয়ে গেছে। কিন্তু আজ ছেলের প্রশ্নে খারাপ লাগলো। ছেলে একদিন বড় হবে।আর সেদিন হয়তো বা জানতে পারবে তার মায়ের কাহিনি।আর জানলে কি হবে সেটা দিলুরা ভাবতে চায় না।তবুও ভাবতে হয়।
.
সেদিন হয়তো খা**কি বলে দিলুরার ছেলে দিলুরাকে ছেড়ে চলে যাবে।কিন্তু সে জানবে অথবা বুঝবে কেন তার মা আজ খা**কি গালিটা শুনছে। কেন হয়েছে এমন।তার মা ছেলের জন্য ও কিছু করে নি?
.
আসলে কি দিলুরা নিজে থেকেই এই পেশায় এসেছে নাকি সমাজ আজ তাকে এখানে এনে দাড় করিয়েছে।কে দায়ি এর জন্য। প্রয়োজন নাকি আজকের এই সমাজ??আমাদের সমাজে একজন নারির মুল্য কতটুকু?আর যদি সে হয় অসহায়??

মন্তব্য ১ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (১) মন্তব্য লিখুন

১| ০৩ রা আগস্ট, ২০১৫ রাত ৯:৫২

গোধুলী রঙ বলেছেন: এই সমাজ ব্যবস্থা, আধুনিক শিক্ষা ব্যবস্থা শিখিয়েছে নিজের আখের গুছাতে, পরের উন্নতির দিকে নজর দিতে শেখায় না।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.