নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

মনের আবোলতাবোল চিন্তাগুলো সাজিয়ে গল্পে পরিনত করতে চাই। কখোনও গল্প হয়। আবার কখোনও হয় না। ভাল লিখতে জানি না।তবুও লিখি। কারন এটা শখ হয়ে গেছে। আরর এই শখ জেকে বসেছে।

পাবনার তাঁরছেড়া বালক

মনের আবোলতাবোল চিন্তাগুলো সাজিয়ে গল্পে পরিনত করতে চাই। কখোনও গল্প হয়। আবার কখোনও হয় না। ভাল লিখতে জানি না।তবুও লিখি। কারন এটা শখ হয়ে গেছে। আরর এই শখ জেকে বসেছে।

পাবনার তাঁরছেড়া বালক › বিস্তারিত পোস্টঃ

অভিমানি ভালবাসা

০৭ ই আগস্ট, ২০১৫ দুপুর ১২:০১

বাড়িতে ঢুকে মনির বুঝতে পারলো কিছু একটা হতে যাচ্ছে। তাই কিছু না বলে চুপচাপ ঘরে গিয়ে বসে ফ্যান ছেড়ে বাতাস খেতে থাকলো। মাথাটা একটু ঠান্ডা হউক।

রুমি কে ঘরে ঢুকতে দেখেই মনির বুঝতে পারলো রুমি রেগে আছে। চোখ দিয়ে মনে হচ্ছে রক্ত ঝড়ছে।এসে মনিরকে দেখেই বলল
-এতক্ষনে তোর আসার সময় হয়েছে?
-কি করবো বলো।কাজ পরে গেল।
-তুই তোর কাজ নিয়েই থাক। বাড়িতে কেন আসলি?
-দুই একবার ভুল করলে তো ক্ষমা পাওয়া যায়।কিন্তু বার বার ভুল করলে ক্ষমা পাওয়া যায় না।
-কি করবো?
-কি আর করবি?অফিসে সুন্দরি মেয়েদের পেয়ে আমাকে তো ভুলেই গেছিস। ওখানেই গিয়ে থাক।আমি তোর কে?আমাকে ভুলে যা।
-কি বললে!!!
-মারো। থাপ্পড় মারা বাদ রেখেছিস কেন?মার।
-সরি।
-সরি বলতে হবে না।সেদিন বাড়ি ছেড়ে আসাই ভুল হয়েছে। তোকে বিয়ে করাই ঠিক হয় নি।

রুমি রেগে গেলে মনিরকে তুই তুকারি করে বলতে থাকে। এতে মনিরের কোন অভিযোগ নেই। যদি এতে কিছুটা রাগ কমে। সারাদিন না খেয়ে থাকার পরে এখন অফিস থেকে ফিরে বিরক্ত লাগছে।

মনেহয় আজ ঘরে রান্না হয় নি।কারন রান্নার মত চাও ঘরে ছিল না।আজকে চাকরির বেতন হয়েছে। ব্যাগ ভর্তি বাজার নিয়ে এসে বাজার রেখে দিয়েছে রান্না ঘরে।

আজ থেকে অভাব দুর হয়েছে। সব ঋনও শোধ করে দিতে পারবে। আর রুমির শখ আহ্লাদ পুরন করতে পারবে। আর এই সুখের সংবাদ টা রুমিকে দিতে চেয়েছিল। কিন্তু বিপরিত হয়েছে।

রুমিকে ব্যাগ নিয়ে বাইরর যেতে দেখে মনির কাছে গিয়ে বলল
-কোথায় যাচ্ছ তুমি?
-যেদিকে দুচোখ যায় চলে যাব।
-কথা দিচ্ছি আর হবে না। আর তোমাকে মিথ্যা বলবো না।
-কত কথা দিবি তুই?অভাব টাকে মেনে নিয়ে তোর সাথে থাকতে চেয়েছিলাম। কিন্তু তুই আমার বিশ্বাস কে কেন ভাঙছিস?
-প্লিজ যেও না।
-তোর সাথে আমি একসাথে এক ছাদের নিচে থাকতে পারবো না।
-প্লিজ যেও না। দরকার হলে আমি চলে যাচ্ছি.....

মনির ঘরের বাইরে এসে দরজার সামনে দাড়িয়ে থাকলো। রুমিকে যেতে না দিয়ে সে বেড়িয়েছে কারন মনির কোথাও না কোথাও যেতে পারবে। কিন্তু রুমি কোথায় যাবে?তাই রুমিকে ঘরে রেখে মনির বাইরে এল।বাইরে রাত কাটানোর অভ্যাস মনিরের আছে।

দরজার সামনে দাড়িয়ে থাকতে থাকতে ক্লান্ত শরির নিয়ে বসে পরেছে। বসে চোখটা বুজে গেছে আপনা আপনি। ঘুমিয়ে গিয়েছে সেটা মনিরের খেয়াল নেই।

চোখ খুলে দেখে মনির বিছানায় শুয়ে আছে। মাথায় কেউ একজন হাত বুলিয়ে দিচ্ছে। ভাল করে তাকিয়ে দেখলো রুমি। জিজ্ঞাসু আর অবাক চোখে জিজ্ঞেস করলো
-তুমি?
-তোমার পাশে এত রাতে আমি ছাড়া কে থাকবে?
-কিন্তু তুমি তো...
-তখন রাগ হয়েছিল বলে ওইরকম করেছি। তাই বলে সবসময় করবো?
-আমি এখানে কিভাবে?
-তুমি যাওয়ার পরে আমি তোমাকে খুঁজতে দরজা খুলেই দেখি তুমি ঘুমিয়ে পরেছ।দরজার বাইরে ঘুমাতে না দিয়ে অনেক কষ্ট করে ঘরে নিয়ে এসেছি। তুমি দিব্বি আমাকে ধরে ঘুমের ঘোরে চলে এসেছ।
-রাগ কি কমেছে?
-এখন কম।
-তাহলে তোমাকে একটা কথা বলি।
-বলো।
-আমি আজ বেতন পেয়েছি।
-আমি জানি।
-কিভাবে জানলে?
-তোমার বাজার করা দেখে। আর এও জানি তুমি না খেয়ে এসেছ। তাই তোমার জন্য রান্না করেছি। খেতে চলো।

রুমি মনিরকে খাওয়াচ্ছে। মনিরের শরির দুর্বল হয়ে আছে। হাত নাড়েতেও পারছে না এমন অবস্থা। মনির বলল
-ভালবাসিস আমায়?
-না বাসি না।
-তাহলে এত আপন করে রাখিস কেন?
-কারন তোকে আপন করতে ভাললাগে।
-তোকে আর কষ্ট দেব না।তোকে আর অপেক্ষা করাবো না।তারাতারি অফিস থেকে ফিরবো।
-সত্যি বলছিস?
-সত্যি বলছি রে।

মনির হয়তো রুমির কথা রাখতে পারবে না।কারন অফিস থেকে তারাতারি ছুটি দেবে না। তবুও তাদের মধ্যে আস্থা আর বিশ্বাস লুকিয়ে থাকবে। আশা বেভে থাকবে মনের মাঝে। আর থাকবে কিছু রাগ অভিমানের ভালবাসা।.....

মন্তব্য ০ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.