নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

মনের আবোলতাবোল চিন্তাগুলো সাজিয়ে গল্পে পরিনত করতে চাই। কখোনও গল্প হয়। আবার কখোনও হয় না। ভাল লিখতে জানি না।তবুও লিখি। কারন এটা শখ হয়ে গেছে। আরর এই শখ জেকে বসেছে।

পাবনার তাঁরছেড়া বালক

মনের আবোলতাবোল চিন্তাগুলো সাজিয়ে গল্পে পরিনত করতে চাই। কখোনও গল্প হয়। আবার কখোনও হয় না। ভাল লিখতে জানি না।তবুও লিখি। কারন এটা শখ হয়ে গেছে। আরর এই শখ জেকে বসেছে।

পাবনার তাঁরছেড়া বালক › বিস্তারিত পোস্টঃ

একটু খানি ভালবাসা

১২ ই আগস্ট, ২০১৫ সকাল ৭:৪০

একটা প্রজেক্ট নিয়ে অনেক্ষন ধরে চেষ্টা করছি। কিন্তু সমাধান খুঁজে পাচ্ছি না।অফিসে বসে শুধু মাথা পাগল পাগল লাগছে। বার বার চেষ্টা করে যাচ্ছি....

অফিসের পিয়ন এসে বলল
-স্যার আপনাকে কি চা দেব?
-তোমার কাছে চা চেয়েছি!! পরে দিও।
-আচ্ছা। স্যার।আপনার ফোন বাজছে।
-আমি দেখছি। তুমি যাও।

ফোন বেজে যাচ্ছে সেটাও বুঝতে পারি নি। এই কাজটা করতে গিয়ে মাথাই নষ্ট। ফোন হাতে নিয়ে দেখলাম সিনথিয়ার ফোন।আমি ধরে বললাম
-কি করছো তুমি?
-অফিসে প্রেম করছি।
-কি বললে!!
-তো এখন অফিসে কি করে তুমি জানো না?
-জানি তো আমার স্বামি এখন কাজে ব্যাস্ত।কখন ফিরবে?
-দেরি হবে।
-আচ্ছা তারাতারি ফিরবে।

ফোন রেখে দিতেই স্যার এসে বলল
-কি ব্যাপার?এখনও সমাধান হল না?
-চেষ্টা করছি। কিন্তু হচ্ছে না।
-আচ্ছা চেষ্টা করতে থাকো।দরকার হলে আমাকে বলবে।
-জি স্যার।

পানিনি খেয়ে আবারও চেষ্টা করতে থাকলাম। কিন্তু হচ্ছে না।ইচ্ছা করছে সবকিছু ভেঙে ফেলি।রাখে শরির থেকে ঘাম বের হচ্ছে।এমন সময় ফোন বেজে উঠলো।

ফোন হাতে নিয়ে দেখি আবারও সিনথিয়ার ফোন।ফোন ধরে বললাম
-কি হয়েছে?
-এই তুমি বাসায় ফিরবে কখন?
-বললাম তো সময় লাগবে।
-তোমাকে খুব দেখতে ইচ্ছে করছে। তারাতারি আসো।
-ছবি দেখ আমার।
-তোমাকে সত্যি দেখতে ইচ্ছে করছে।
-ধুর শালা।ফালতু পক পক বাদ দাও তো। ফোন রাখো।
-শালা আমি না আমার ভাই।
-ওই যেইহোক ফোন রাখো।আর এখন বার বার ফোন দিলে আমি কিন্তু ফোন ভেঙে ফেলবো।

ফোন রেখে দিয়ে আবার প্রথম থেকে চেষ্টা করতে থাকলাম।এবারে হচ্ছে...
শেষের দিকে এসে আটকে গেলাম। তাই ফোন হাতে নিলাম স্যারকে ফোন দিতে।

ফোন দিতে গিয়ে দেখি একটা মেসেজ সিনথিয়ার নাম্বার থেকে। লেখা
-আমার কেমন যেন লাগছে। আর মাথা ঘুরছে তুমি বাসায় চলে আসো প্লিজ।
মেসেজ দেখে স্যারকে ফোন দিলাম।স্যার বলল
-হ্যা বলো।
-কাজটা প্রায় শেষের দিকে এসে একটু আটকে গেছি।আচ্ছা তুমি একটু অপেক্ষা করো। আমি আসছি।
-আমাকে এখনই বাসায় যেতে হবে।
-কেন?
-বাসা থেকে ফোন এসেছিল। এখনই বাসায় যেতে হবে।
-আচ্ছা তুমি ওভাবেই রেখে চলে যাও আমি দেখছি।
ফোন কেটে দিয়েই রুম থেকে দ্রুত বেড়িয়ে আসলাম।

নিচে এসে গাড়িতে উঠতে গিয়ে মনে হল চাবি আনি নি।তাই আবার দৌড়ে উপরের দিকে ছুটে গেলাম।

চাবি এনে গাড়িতে উঠে গাড়ি চালাচ্ছি আর শরির থেকে ঘাম ঝড়ছে। তবে এবার রাগের কারনে হচ্ছে না। দুশ্চিন্তায় এইরকম হচ্ছে। আর পথ যেন শেষ হতেই চাচ্ছে না।

বাসায় এসে বেল বাজাতেই সিনথিয়া এসে দরজা খুলে দিল।আমি বললাম
-তুমি!!
-আমি না তো কে?
-তোমার নাকি মাথা ঘুরছে?কেমন যেন লাগছে??
-ওসব মিথ্যা। দেখলাম তুমি আমার মেসেজে আসো নাকি? হিহিহি
-কি!!

ঠাস করে একটা থাপ্পড় খেয়ে সিনথিয়া আমার সামনে থেকে চলে গেল।এমনিতেই মেজাজ খারাপ।তার উপরে যদি এভাবে মজা করে তাহলে কেমন লাগে।আবারও ফোন বেজে উঠলো। তবে এবারে সিনথিয়া না স্যার। ফোন ধরে বললাম
-জি স্যার।
-তোমার কাজ সফল হয়েছে। কাজটা পুরাপুরি সফল।কালকে অফিসে তোমার জন্য সারপ্রাইজ আছে।
-আচ্ছা স্যার।

ফোন রেখে সিনথিয়ার কাছে গেলাম। কারন আমারও ভুল হয়েছে। কাছে গিয়ে কাধে হাত রেখে ডাক দিলাম।কিন্তু শুনলো না।আমি বললাম
-আজকে অফিসে কাজ নিয়ে ব্যাস্ত ছিলাম।মন মেজাজ ভাল ছিল না।আর তুমি বার বার ফোন করছিলে।তোমার মেসেজ পেয়ে আমি ছুটে এসেছি। জানো তো আমি তোমাকে কত ভালবাসি?
-জানি
-তাহলে এমন কেন করো?জানো তোমার মেসেজ পেয়ে আমি কত চিন্তায় ছিলাম।তোমাকে অনেক ভালবাসি বলেই তো এমন করি।
-....
-কথা বলবে না?এদিকে তাকাও।আচ্ছা না তাকালে আমি চলে যাচ্ছি।
-দাড়াও।

চোখের দিকে তাকিয়ে দেখলাম চোখের মধ্যে পানি টলমল করছে। যখন তখন ঝড়ে পরবে।
আমার বুকে ঝাঁপিয়ে পরেই চোখের বর্ষন শুরু হয়ে গেল।আমি কিছু না বলে মাথায় হাত বুলাতে থাকলাম। এ বর্ষন কিছু সময় থাকবে সেটা জানি।বর্ষনের সাথে অভিমান ঝড়ে পরবে।....

ভালবাসায় রাগ অভিমান থাকেই।কিন্তু কেউ একজন ভুল বুঝতে ভালবাসার কাছে পেরে নত স্বিকার করতে হয়।আর নাহলে সে ভালবাসার সম্পর্কে টানাপোড়ন হয়ে যায়।সে সম্পর্কে ফাটল ধরে যায়।

মন্তব্য ১ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (১) মন্তব্য লিখুন

১| ১২ ই আগস্ট, ২০১৫ সকাল ৯:৩৭

হতাস৮৮ বলেছেন: জ্বী ভাই, এইটাই তো ভালোবাসার প্রধান শর্ত।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.