নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

মনের আবোলতাবোল চিন্তাগুলো সাজিয়ে গল্পে পরিনত করতে চাই। কখোনও গল্প হয়। আবার কখোনও হয় না। ভাল লিখতে জানি না।তবুও লিখি। কারন এটা শখ হয়ে গেছে। আরর এই শখ জেকে বসেছে।

পাবনার তাঁরছেড়া বালক

মনের আবোলতাবোল চিন্তাগুলো সাজিয়ে গল্পে পরিনত করতে চাই। কখোনও গল্প হয়। আবার কখোনও হয় না। ভাল লিখতে জানি না।তবুও লিখি। কারন এটা শখ হয়ে গেছে। আরর এই শখ জেকে বসেছে।

পাবনার তাঁরছেড়া বালক › বিস্তারিত পোস্টঃ

দুঃখ না সুখের বর্ষন

২১ শে আগস্ট, ২০১৫ রাত ৯:৫০

মনির ঘর থেকে ভাল মনেই বের হয়েছিল। কিন্তু কিছুক্ষণ পরেই তার মেজাজ খারাপ হয়ে গেল।কারন পথে একজনের সাথে দেখা হয়ে গেল। আর সেই মেয়েটি হল নাবিলা। নাবিলা তার বিয়ে করা বউ হলেও মনির তাকে শত্রু মনে করে।
.
দুপুরে অফিসে বসে বাড়ির তৈরি করা খাবার খাচ্ছিল এমন সময়ে মনিরের ফোন ফোন আসলো।মনির ফোনে দেখে তার মা।ফোন ধরে বলল
-মা বলো।
-কি করছিলি?
-খাবার খাচ্ছিলাম।
-আজকের রান্না কেমন হয়েছে?
-খুবই ভাল হয়েছে।
-হবেই তো আজ বউমা রান্না করেছে।
-কি!! মা ফোম রাখো।
.
মনির আর খেল না। কারন রান্না করার কথা শুনে মনিরের খাওয়ার ইচ্ছা শেষ হয়ে গেছে। একসাথে থাকলেও মনির নাবিলাকে মন থেকে মেনে নিতে পারে না। কারন তার মনে অন্য কেউ বসে আছে। আর সে হল ছোয়া নামের একটি মেয়ে।
.
ছোয়ার ছবি বের করে তাকিয়ে মনে মনে বলল
-আজ হয়তো তুমি আমার বউ হতে পারতে। কিন্তু কি দিয়ে কি হয়ে গেল। কিছুই বুঝলাম না।
.
কয়েকদিন ছোঁয়ার সাথে দেখা হয় না। তাই আজ ছোয়ার সাথে দেখা করতে হবে। এই যখন ভাবছিল তখন ছোঁয়াকে ফোনে বলল
-তুমি কোথায়?
-কলেজে। কেন কি হয়েছে?
-নাহ এমনি।
.
মনির গাড়ি নিয়ে ছোঁয়ার কলেজের দিকে ছুটলো। কারন তাকে সারপ্রাইজ দেবে। মনির ছোঁয়ার জন্য সব করতে পারে। দরকার হলে নাবিলা কে খুন করে হলেও ছোঁয়াকে মনির বিয়ে করবে।
.
ছোঁয়ার কলেজে এদে দুর থেকে ছোঁয়াকে দেখে চুপি চুপি পিছন দিয়ে গেল। কারন সামনে দিয়ে গেলে ছোঁয়াকে সারপ্রাইজ দেওয়া হবে।
.
মনির ছোঁয়ার পিছনে দাড়িয়ে আছে। কিন্তু ছোয়া আর তার বান্ধবি বুঝতে পারে নি।ছোঁয়ার বান্ধবি ছোঁয়াকে বলল
-কিরে তোর সেই মনিরের কি হল?
-ও বাদ।
-কেন?
-আরে ওর সাথে প্রেম করেছি কিছুদিন এমনিতে। কিন্তু ও আমাকে বিয়ে করতে চায়।কিন্তু আমি তো ওকে বিয়ে করার জন্য প্রেম করি নি।আমি প্রেম করবো আবিরের সাথে।
-বলিস কি!!
-হ্যা। আবির ওর চেয়ে কত ভাল।
.
মনির ওখানে আর দাড়িয়ে না থেকে সোজা অফিসে চলে এসেছে। কারন সারপ্রাইজ দিতে গিয়ে মনির নিজেই সারপ্রাইজ পেয়ে গেছে। যেটা ছোঁয়াই তাকে দিয়েছে।
.
মনিরের মন কেন যেন অনুশোচনায় ভুগছে। তার মনে হচ্ছে সে কারো সাথে বেইমানি করতে যাচ্ছিল। আর কাউকে অবহেলা করেছে। আর সেটা তার স্ত্রি ছোঁয়া।
.
গাড়ি নিয়ে মনির বাসার দিকে যাচ্ছে। কারন কারো জন্য সে অপরাধবোধে ভুগবে না। সে আজ তার মনকে অপরাধের কারাগার থেকে মুক্ত করে দেবে। দরকার হলে সে নাবিলার কাছে ক্ষমা চাইবে।
.
বাসায় এসে মনির নাবিলাকে খুঁজে যাচ্ছে। কিন্তু নাবিলাকে পাচ্ছে না। মাকেও জিজ্ঞেস করছে না। কারন ভুল করেছে নিজে ভুলটা নিজেই সংশোধন করবে।
.
অনেক্ষন ধরে যখন নাবিলাকে পাচ্ছিল না।তখন নাবিলা ফিরে এল। নাবিলার দিকে কড়া চোখে তাকিয়ে বলল
-কোথায় গিয়েছিলে।
নাবিলা ভয়ে ভয়ে উত্তর দিল
-বাইরে গিয়েছিলাম।
-আমাকে জানিয়ে গেলে না?
-তুমি আমার কোন ব্যাপারে কোন হস্তক্ষেপ কর নি। তাই তোমাকে জানাই নি।
-আমি যদি তোমার কাছে ক্ষমা চাই তাহলে ক্ষমা করবে আমায়?
-ক্ষমা!! আমার কাছে কিসের জন্য ক্ষমা চাইছো?
-আমি যে অন্যায় করেছি। এই কারনে নিজেকে অপরাধি মনে হচ্ছে।
-কি অপরাধ?
-তোমাকে অবহেলা করে ভালবাসা বুঝি নি সেই অপরাধ।আমাকে ক্ষমা করে তোমাকে ভালবাসার অধিকার দেবে?
-ভালবাসায় অধিকার চেয়ে নিতে হয় না।সেটা এমনিতেই তৈরি হয়ে যায়। আর তোমাকে বিয়ে করার দিনই আমার ওপর সব অধিকার তোমাকে দিয়েছি।
-আমার এখন খুব খুশি লাগছে।
-আরেকটা খুশির কথা যদি বলি?
-কি?
-আমার পেটে তোমার সন্তান। আর সেটা পরিক্ষা করতেও ডাক্তারের কাছে গিয়েছিলাম। আমি চেয়েছিলাম আমার এই সন্তান তোমার ভালবাসা পাবে। আর সেই আশা তুমি আজ পুরন করলে।
.
মনির আর কিছু বলতে পারে নি। খুশিতে নাবিলাকে শুধু জড়িয়ে ধরতে পেরেছে। এমনিতে চোখে পানি না আসলেও মাঝে মাঝে বেশি খুশিতে চোখে চোখে পানি চলে আসে। আর মনিরের চোখে সেই পানির সাথে সব দুঃখা আর হতাশা মুছে যাচ্ছে। আর নাবিলা তার পাশে দাড়িয়ে তার চোখের পানি ঝাড়াচ্ছে। ঠিক যেন দুঃখ না সুখের বর্ষন......

মন্তব্য ৩ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৩) মন্তব্য লিখুন

১| ২১ শে আগস্ট, ২০১৫ রাত ১০:৫৮

প্রামানিক বলেছেন: ভাল লাগল।

২| ২২ শে আগস্ট, ২০১৫ রাত ৯:৪১

শাহরিয়ার কবীর বলেছেন: সুন্দর হয়েছে।

৩| ০৯ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৪:১৩

শাহজাহান সুজন বলেছেন: সুন্দর হয়েছে। তবে এই লাইনে সমস্যা আছে- "আর কাউকে অবহেলা করেছে। আর সেটা তার স্ত্রি ছোঁয়া।"

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.