নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

মনের আবোলতাবোল চিন্তাগুলো সাজিয়ে গল্পে পরিনত করতে চাই। কখোনও গল্প হয়। আবার কখোনও হয় না। ভাল লিখতে জানি না।তবুও লিখি। কারন এটা শখ হয়ে গেছে। আরর এই শখ জেকে বসেছে।

পাবনার তাঁরছেড়া বালক

মনের আবোলতাবোল চিন্তাগুলো সাজিয়ে গল্পে পরিনত করতে চাই। কখোনও গল্প হয়। আবার কখোনও হয় না। ভাল লিখতে জানি না।তবুও লিখি। কারন এটা শখ হয়ে গেছে। আরর এই শখ জেকে বসেছে।

পাবনার তাঁরছেড়া বালক › বিস্তারিত পোস্টঃ

ভালবাসার সেবিকা

২২ শে আগস্ট, ২০১৫ রাত ৮:২৫

রাস্তা দিয়ে হাটার সময়ই মাথা মমধ্যে ঘুরছিল। আর বাড়িতে এসে পুরাপুরি ঘোরা শুরু হয়ে গেছে। বাড়ির দিকে যখন যাচ্ছিলাম তখন মনে হল কখন যেন পরে যাব।
.
বাড়িতে এসে দেখি মা বাড়িতে নেই। ঘরে ঢুকে ফ্যানটা চালিয়ে বিছানায় শরির এলিয়ে দিলাম। আর মাথা ব্যাথায় শুয়ে থাকলাম।
.
চোখ বুজে ঘুমানোর চেষ্টা করে যাচ্ছিলাম। ঘুমের ভাবটা মনেহয় এসেছে।এমন সময়ে মোবাইল এ আইফোনের রিংটোন বেজে ঘুম ভেঙে গেল।আমি আইফোন খুজে যাচ্ছি। পরে মনে পরলো আমার ফোনেই আইফোনের রিংটোন সেট করা।
.
এমনিতে তো কেউ ফোন করে না। আর এই রিংটোন সেট করার পরে আরো করে না। তাই মাঝে মাঝে একাই ফোন দিয়ে রিংটোন শুনি। কিন্তু এখন অসহ্য লাগছে।
.
ফোন নিয়েই দেখি কথার ফোন।ফোন ধরে বললাম
-হুম।
-হুম কি? ফোন ধরেই হুম। আর কোন কথা নেই?
-এ ভাই চুপ কর তো।
-কি ভাই!!আমি তোমার ক্যামনে ভাই হলাম!!
-মাথা ব্যাথায় চোখে কিছু দেখতেছি না ফোন রাখো।
-কখন হল!! কিভাবে হল? কি হয়েছে?
আরো কি যেন বলছিল আমি ফোনটা পাশে রেখে দিলাম।আর ওপাশ থেকে বলেই যাচ্ছিল।
.
কিছুক্ষণ পরে বুঝলাম আর কথা শোনা যাচ্ছে না।তারমানে ফোন কেটে গিয়েছে।আমি আমার মতই শুয়ে থাকলাম।
.
আবার যখন ঘুমাচ্ছিলাম তখন চেঁচামেচিতে ঘুম ভেঙে গেল।তাকিয়ে দেখি কথা এসেছে। এসে শুরু করেছে তার ভাষন।আমাকে এসে বলল
-কি হয়েছে তোমার?
-মাথা ব্যাথা।
-কখন থেকে?
-অনেক আগে থেকেই।
-দাঁড়াও আমি আসছি।
-আমি এখন দাঁড়াতে পারবো না।
-আমি উঠে দাঁড়াতে বলি নি। তুমি শুয়েই থাকো।
.
কিছুক্ষণ পরে দেখি বালতিতে পানি নিয়ে এসেছে। আমি বললাম
-এইসব দিয়ে কি করবে?
-তোমার মাথায় পানি দেব।
-মানে!!! আমার কি জর হয়েছে?
-পানি দিলে মাথা ব্যাথা কমবে।
.
ইচ্ছা না থাকা সত্তেও মাথায় পানি ঢেলে যাচ্ছে। তবে তাতে কাজও হয়েছে। মাথা ব্যাথা অনেকটাই কমে গেছে।
.
মাথায় পানি ঢালছে আর আমি চোখ বুজে শুয়ে ছিলাম।মায়ের কথায় চোখ খুললাম। মা মুখ টিপে হাসছে আর বলছে
-কথা। তুই আবার সেবিকা হলি কবে থেকে?
-না মানে ইয়ে।
-বুঝেছি আমার ছেলের সেবিকা হয়েছিস? ভালই তো আমাকে আর কষ্ট করতে হবে না।তোর ফি কত দিতে হবে রে?
-........
-লজ্জা পাওয়ার কিছু নাই। তুই পানি ঢাল। আমি তোর বাবা মাকে বলে এ বাড়িতে একেবারে সেবিকা হিসেবে রেখে দেব।যাতে আমার ছেলের সেবা করতে পারিস।
.
মা চলে গেছে আর কথা দাড়িয়ে আছে। আমি বললাম
-কি হল দাড়িয়ে কেন? এখানে বসে থাকো।
-নাহ বসবো না।
-লজ্জা পাওয়ার কিছু নাই। মা ই তো। আর ভালভাবে কাজ না করলে কিন্তু তোমাকে আমার সেবিকা বানাবে না।
-আমার বয়েই গেছে তোমার সেবিকা হতে।
-তাহলে কি হবে?
-তোমার বউ হবো।
-মা ওমা দেখ কথা কি যেন বলছে।
-এই থামো থামো। মাকে ডাকতে বলছি নাকি?? আমি তোমার মাথায় পানি দিচ্ছি।
.
আমি চোখ বুজে শুয়ে আছি।আর কথা আমার মাথায় পানি ঢেলে যাচ্ছে। আর আমি চোখ বুজে শুয়ে ভাবছি। মা ঠিকই বলেছে একেবারে সেবিকা হিসেবে ওকে রেখে দিতেই হবে। তাহলে মাঝে মাঝেই অসুস্থ হয়ে যাব। যদি এমন সেবা পাওয়া যায়।

মন্তব্য ০ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.