নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

মনের আবোলতাবোল চিন্তাগুলো সাজিয়ে গল্পে পরিনত করতে চাই। কখোনও গল্প হয়। আবার কখোনও হয় না। ভাল লিখতে জানি না।তবুও লিখি। কারন এটা শখ হয়ে গেছে। আরর এই শখ জেকে বসেছে।

পাবনার তাঁরছেড়া বালক

মনের আবোলতাবোল চিন্তাগুলো সাজিয়ে গল্পে পরিনত করতে চাই। কখোনও গল্প হয়। আবার কখোনও হয় না। ভাল লিখতে জানি না।তবুও লিখি। কারন এটা শখ হয়ে গেছে। আরর এই শখ জেকে বসেছে।

পাবনার তাঁরছেড়া বালক › বিস্তারিত পোস্টঃ

শিশু নির্যাতন

০৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ রাত ১০:২৬

আমাদের ভবিষ্যৎ বলতে শিশুদের বোঝানো হয়। কথায় আছে "আজকের শিশু আগামি দিনের ভবিষ্যৎ।" কিন্তু আমাদের দেশের ভবিষ্যৎ কি নিরাপদ? আমাদের দেশের ভবিষ্যৎ কি ভালভাবে আছে?
এই ধরনের অনেক প্রশ্ন মনের ভেতরে ঘুরপাক খায়।

আমাদের দেশের শিশুরা প্রতিদিন নির্যাতনের শিকার হচ্ছে। আর এখন সেটার মাত্রা অনেক বেড়েছে। শিশুরা প্রতিদিন নির্যাতনের শিকার হচ্ছে অনেকভাবে। কখনো গোপনে আবার কখনো প্রকাশ্যে চলছে এই কাজ।

শিশুদের নির্যাতন বিভিন্নভাবে হচ্ছে। শারিরিক,মানসিক এমনকি যৌন নির্যাতন ও হচ্ছে। আর এইসব নির্যাতন চলছে কাছের কোন মানুষের কাছ থেকেই।

শারিরিক নির্যাতন বেশি হয় গরিব ঘরের শিশুরা। আর পিছনে থাকে অভাব। এই অভাবের কারনেই বাবা মা সন্তানকে কাজ করতে পাঠায় কোন প্রতিষ্ঠানে অথবা কোন বাসাবাড়িতে। আর প্রতিষ্ঠানে কাজ শিশুদের উপরে অনেক সময় তাদের সাধ্যের বাইরে কাজ চাপিয়ে দেওয়া হয়। আর যেটা তাদের জন্য জুলুম হয়ে দাড়ায়। আর কাজ না করতে পারলে উপর অঅনেকভাবে অত্যাচার করা হয়।

শিশুরা আরো নির্যাতিত হয় বাসা বাড়িতে কাজ করতে গিয়ে। অনেক শিশুরা বাসা বাড়িতে কাজ করে। কিন্তু তার বিনিময়ে মালিকের কাছ থেকে ভাল ব্যাবহার পায় না। ভাল খাবার পায় না। তাদের কপালে জোটে মালিকের লাথি গুতা। আর কাজের একটু হেরফের হলেই মালিকরা তাদের উপরে নির্যাতন শুরু করে।

শিশুরা যৌন নির্যাতত হয় কাছের কোন মানুষের কাছ থেকে। যেমন নিকটের কোন আংকেল অথবা শিক্ষকরাও তাদের উপরে যৌন নির্যাতন চালায়। যেটা শিশুটার বাবা মায়ের অজানাই থেকে যায়। তারা জানতেও পারে না মানুষরূপী জানোয়ার গুলো নির্যাতন চালাচ্ছে তাদের সন্তানের উপরে।

অনেকভাবে শিশুরা নির্যাতিত হলেও তারা বেশিরভাগই এইকথা প্রকাশ করতে পারে না ভয়ে। তাই সন্তানের বাবা মা জানতে পারে না। আর মাঝেমাঝে সাহস করে মুখ খুললেও ততদিনে যা হওয়ার হয়ে যায়।

আমাদের দেশের শিশু নির্যাতনের প্রধান কারন হল বাবা মায়ের অবহেলা অথবা উদাসিনতা। কোন বাবা মা ইচ্ছা করেই কাজে দিচ্ছে তাদের সন্তানকে। কারন তাদের অভাব। আবার অনেক বাবা মায়ের অভাব না থাকলেও সন্তানের জন্য তাদের কোন সময় নেই। তারা তাদের কাজ নিয়েই সবসময় ব্যাস্ত থাকে। আর সন্তানকে যার ভরসায় রেখে যায় সে সুযোগে সদ্ব্যবহার করে দেয়।

শিশুরা আরো নির্যাতিত হয় তার চেয়ে বয়সে বড় খেলার সঙ্গির থেকে। আর যেটাও থেকে যায় বেশিরভাগই গোপন থাকে। শিশুরা মুখ ফুটে বলতেও পারে না।

কিন্তু এভাবে চলতে থাকলে আমাদের দেশের ভবিষ্যৎ প্রজন্ম হুমকির সম্মুখিন হয়ে যাবে। আর শিশুরা লাঞ্চনা পেয়ে ভাল কিছু শিখবে না। ভবিষ্যৎ এ শিশুরা কোনোভাবেই নিরাপদ থাকবে না।

আমরা চাইলেই এই শিশু নির্যাতন রোধ করতে পারি। কারন যারা নির্যাতিত হচ্ছে তারা আমাদের পাশেই আর যারা নির্যাতন চালাচ্ছে তারাও আমাদের পাশেই অবস্থান করছে। আমরা যদি সচেতন হই তবে আমরা এই নির্যাতন রোধ করতে পারবো। কথায় আছে "নিজে ভাল তো জগত ভাল" তাই যার যার জায়গা থেকে নিজেকে ভাল হতে হবে।

আর যেসব বাবা মা সন্তানকে কাজের জন্য পাঠায় তাঁদেরকেও সচেতন হতে হবে। যারা সন্তানকে রেখে তাদের কাজে ব্যাস্ত থাকে তাদের উচিৎ সন্তানের প্রতি দায়িত্ববান হওয়া। দায়িত্বহীন হয়ে থাকলে এর মাত্রা কমবে না। আর তাদের সন্তান কোথায় মিশছে। সেটাও খেয়াল রাখতে হবে।

যদি আমরা শিশু নির্যাতন রোধ করতে না পারি তাহলে আমাদের ভবিষ্যৎ প্রজন্ম রক্ষা হবে না। আর আমাদের জন্য অপেক্ষা করবে নেতিবাচক দিক।
.
-- Jubaer Hasan Rabby (পাবনার তাঁরছেড়া বালক)

মন্তব্য ১ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (১) মন্তব্য লিখুন

১| ০৯ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৪:০২

শাহজাহান সুজন বলেছেন: সুন্দর নিবন্ধ। চালিয়ে যান।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.