নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

মনের আবোলতাবোল চিন্তাগুলো সাজিয়ে গল্পে পরিনত করতে চাই। কখোনও গল্প হয়। আবার কখোনও হয় না। ভাল লিখতে জানি না।তবুও লিখি। কারন এটা শখ হয়ে গেছে। আরর এই শখ জেকে বসেছে।

পাবনার তাঁরছেড়া বালক

মনের আবোলতাবোল চিন্তাগুলো সাজিয়ে গল্পে পরিনত করতে চাই। কখোনও গল্প হয়। আবার কখোনও হয় না। ভাল লিখতে জানি না।তবুও লিখি। কারন এটা শখ হয়ে গেছে। আরর এই শখ জেকে বসেছে।

পাবনার তাঁরছেড়া বালক › বিস্তারিত পোস্টঃ

মিষ্টি প্রতিশোধ

২০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:৩৯

মিষ্টি প্রতিশোধ
.
অনেক সময় রাস্তায় দাড়িয়ে আছি।এই রোদের মধ্যে দাড়িয়ে ঘামছি। একটা গাড়ি পেলে বাড়িতে যাবো। আমার মত আরো কয়েকজন
দারিয়ে আছে। কিন্তু গাড়ি আসছে।
.
অনেক্ষন অপেক্ষার পরে একটা পাবলিক বাস আসল। বাধ্য হয়ে তাতেই উঠতে গেলাম।
বাসে উঠতেই পায়ের উপরে কি যেন
পরলো। তাকিয়ে দেখি একটা মেয়ে তার জুতা দিয়ে পায়ের উপরে মেরেছে।
.
মেরে তার মত উঠে পরেছে। আমিও বাসে উঠে পরলাম।
.
মেয়ে মানুষের জুতা এইরকম আগে জানতাম না। দাঁড়িয়ে তার পায়ের দিকে বারবার তাকাচ্ছি।
.
কিছু সময় পরে বাস থামলো। আমার পাশ দিয়েই যাচ্ছিল। আমি যাওয়া দেখে তার থেকে একটু দুরে সরে গেলাম।
.
তবুও শেষ রক্ষা হল না। এবারেও যাওয়ার সময়ে আবার পায়ের উপরে মেরে গেছে। এমনিতেই গরম আর এইরকম পরিবেশে মেজাজ আরো গরম হয়ে যাচ্ছে।
.
তাকিয়ে দেখি পা কেটে গেছে। মেয়ে মানুষের জুতার চাপ কি ভয়ানক তা বুঝতে পারছি।
.
বাসায় এসে দেখি পায়ের অবস্থা খারাপ। এসে পায়ে মলম লাগালাম। কি মেয়ে রে ভাই।
.
পরেরদিন বাসে চড়ে যাচ্ছি। আজও বাসে বসার সিট না পেয়ে আছি।
.
পাশে তাকিয়ে দেখি সেই পায়ে পারা মারা
মেয়েটি। আজকে একটু দুরে দারিয়ে আছে। ভাবলাম যাক আজ বাচা গেল।
.
কিছুক্ষণ পরে একটা কলেজের সামনে আসতেই মেয়েটিকে নামতে দেখে সরে গেলাম। এমন সময়ে আবার পায়ে পারা মারলো।
.
মনে মনে গালি দিচ্ছি আর ভাবছি আচ্ছা মেয়েটির কি আমার পায়ে পারা মারা ছাড়া কোন কাজ নেই? আর খুঁজে খুঁজে আমার পায়ের উপরেই আসতে হবে?
.
পা ব্যাথা হয়ে গেছে একবার না দুইবার না। কয়েকবার পায়ে পারা মেরেছে। আবার দেখা হোক খবর আছে মেয়েটার।
.

.
বিকেলে মায়ের কথামতো একটা অনুষ্ঠানে আসতে হয়েছে। প্রথমে আসতে না চাইলেও পরে ভালই লাগে। এইরকম অনুষ্ঠানে গেলে আমার মন মেজাজ ভাল থাকে।
.
কারন এখানে অনেক সুন্দরিদের দেখা পাওয়া যায়। ফুরফুরে মেজাজ নিয়ে অনুষ্ঠানে ঢুকলেও পরে মেজাজ খারাপ হয়ে গেল। কারন একটা মেয়েকে দেখে।
.
আর সেই মেয়েটি হল সেই পায়ে পারা দেওয়া মেয়েটি। নিশ্চিত আবার পায়ে
পাড়া দিবে। পায়ে পাড়া খাওয়ার ভয়ে দুরে
দাড়িয়ে আছি।
.
মাকে এক আন্টির সাথে কথা বলতে দেখে আমি কাছে গিয়ে বললাম।
-মা। তুমি থাকো।আমি গেলাম।
-কোথায় যাবি?
-বাড়িতে যাব। এই অনুষ্ঠানে আর এক মিনিট ও থাকবো না।
-কেন কি হয়েছে।
.
সেই মেয়েটিকে দেখিয়ে মাকে সব ঘটনা বললাম। মা সব শুনে বলল
-আরে ও তো সাদেক ভাইয়ের মেয়ে আফরিন। আয় পরিচয় করিয়ে দেই।
-লাগলে তুমি পরিচিত হও গিয়ে। পরিচয় হতে গিয়ে পায়ে পাড়া খেতে পারবো না।
-আরে মেয়েটা হয়তো না দেখে মেরেছে?
-কেন ও কি কানা? চোখে দেখে না? একবার দুইবার হলে সমস্যা নাই। কিন্তু কয়েকবার পারা মারবে কেন?
-আয়তো কিছুই হবে না।
.
জোড় করে মা আমাকে মেয়েটির কাছে নিয়ে গেল।মা কে দেখে বলল
-আন্টি আসসালামু আলাইকুম।কেমন আছেন?
-ওয়ালাইকুম আচ্ছালাম। ভাল আছি। এটা আমার ছেলে।
.
-ও আমি আফরিন । আপনি?
-আপনাকে আমি চিনি। শুধু নামটা জানাতাম না।
-কিভাবে চিনলেন?
-আপনার পায়ের হিলের পারা খেয়ে ভালভাবে চিনে গিয়েছি আপনি কি জিনিস?
-ও। আচ্ছা। আমি আপনাকে না দেখে মেরেছিলাম মনেহয়।
-আপনার চোখে কি সমস্যা আছে?
.
মেয়েটি আর কিছু না বলে মুচকি মুচকি হাসছে। আমার মা বলল
-আরে ওকে আপনি করে বলছো কেন?ও
আমার ছেলে। ছোট বেলায় তুমি আর ও
মারামারি করতে। এক সাথে খেলতে।
-ওহ এবারে চিনতে পেরেছি। তাহলে পারা দেওয়ায় কোন ভুল হয় নি।
-আচ্ছা তোমরা কথা বলো। আমি আসছি।
.
আমি মনে মনে বলি
-ওরে শালা। তুই সেই মেয়ে। ছোট বেলায় আমার সাথে খেলতি। মারামারি তে না পারলে কামড় দিতি। কয়েকদিন পরে দুরে গিয়ে বেচে গেছিলাম। এখন আবার পায়ে
পাড়া মারা শুরু করেছিস। তোকে বাগে পাই তোর খবর আছে।
.
আমার আর সেখানে থাকার ইচ্ছা নেই।
তাই আমি আর সেখানে থাকলাম না।কারন বেশি সময় থাকলে নিশ্চিত আবার কিছু করবে।
.
অনুষ্ঠান শেষে বাড়িতে আসলাম। মা বলল
-কি রে কেমন দেখলি মেয়েটাকে?
-কোন মেয়ের কথা বলছো?
-আরে সাদেক ভাইয়ের মেয়ে
আফরিন।
-দেখতে তো খুব ভালই। কিন্তু কাজগুলো করে খারাপ।
-খারাপ কাজ করে মানে?
-পায়ে পাড়া মারে। আর ছোটবেলায় কামড় দিত।
-হা হা হা। ওই বেপার।যাতে সারাজিবন তোকে পাড়া মারতে পারে সেই ব্যাবস্থা করবো।
-কি করতে চাচ্ছো তুমি?
-ওই মেয়েটির সাথে তোর বিয়ে দিতে চাচ্ছি।
-আমি ওই মেয়েকে বিয়ে করতে পারবো না।
-ছোট বেলায় তো ওকে বিয়ে করার
জন্য পাগল ছিলি।
-আমি কি জানতাম বড় হয়েও এইরকম আমার উপরে অত্যাচার করবেই।
-অত বুঝি না। মেয়েটির সাথেই তোর
বিয়ে হবে।আমি সাদেক ভাইয়ের সাথে বিয়ের দিন ঠিক করছি।সবার মেয়েটিকে পছন্দ হয়েছে।
-যা পারো করো। আমি এর মধ্যে নাই।
.
আমি জানি বলেও কোন লাভ হবে না।কারন মা এবং সবার পছন্দ হয়েছে।
.
শেষে বিয়েটা করতেই হল। আবার বাসত রাতও এল। তবে জল্পনা কল্পনা একটু পরিবর্তন হয়েছে।
.
বাসর ঘরে ঢুকলাম। ঘরে ঢুকে দেখি আফরিন খাটের উপরে ঘোমটা দিয়ে বসে আছে। তাকে দেখে মনে হয় না এই মেয়ে পায়ে পাড়া মারতে পারে। অথবা ছোট বেলায় কামড়
দিতো।
.
আজ আমি পায়ে জুতা দিয়ে এসেছি।
সাবধানের মাইর কম। যাতে পায়ে পারা না মারে।
.
ইচ্ছে না থাকা সত্তেও কিভাবে যেন খাটের কাছাকাছি যেতেই হল। খাটে বসতেই বলল
-এই তুমি জুতা পায়ে ঘরে এসেছ কেন?
-যাতে পায়ে পাড়া মারতে না পারো।
-হি হি হি। আমি কি তোমাকে পারা দেওয়ার জন্য হিল পরে এসেছি?
-না। তোমার পায়ে তো হিল দেখছি না।
-তাহলে যাও জুতা খুলে এস।খালি পায়ে পারা দিলে কিছু হবে না।
.
জুতা খুলে এসে পাশে বসতেই আফরিন বলল
-তোমার ছোটবেলার কথা মনে আছে?
-ছোটবেলার কোন কথা?
-তুমি আমাকে বিয়ে করতে চাইতে। আর আমি রেগে গিয়ে তোমাকে কামড় দিতাম। আর
তুমি বলতে সুযোগ পেলে আমাকে ছাড়বে না।
-কিন্তু সুযোগ তো আর পাই নাই।
-আজ সুযোগ আছে তোমার। আজ তুমি
প্রতিশোধ নিতে পারো।
.
মনে মনে বলছি
-আজ বাগে পাইছি।যাবি কোই? তোরে আজ মজা দেখামু।
আফরিন বলল
-কি ভাবছো?
-ভাবছি সুযোগ টা কাজে লাগাবো।
-আচ্ছা আমি প্রস্তুত। তুমি তোমার প্রতিশোধ নিতে পারো।
-ঘোমটা টা নামাও তাহলে।
-আচ্ছা।
.
ঘোমটা নামানোর সাথে সাথে ঘাড়ের পিছনে হাত দিয়ে ঠোটেকামড় দিলাম। তবে কামড়টা দাঁত দিয়ে না দিয়ে ঠোট দিয়ে দিলাম।
মেয়েটা শুধু বলল "উমমমম" আমি বললাম
-আমার প্রতিশোধ নেয়া শেষ।
-এই মিষ্টি প্রতিশোধ আরো নিতে পারো। আমার কোন আপত্তি নেই।
-এবার তুমি প্রতিশোধ নিতে পারো। কারন ছোটবেলা তোমার অনেক খেলনা ভেঙেছি।
-আচ্ছা এবাবে তুম প্রস্তুত হও।
.
আমি প্রস্তুত হতে থাকলাম। দেখি এবারে আবারও কামর দেয় নাকি?
.
এবারেও ছোটবেলার মত কামড় দিয়েছে। তবে দাত দিয়ে দেয় নি। ঠোট দিয়ে কামড় দিয়েছে। তবুও ও তো তার প্রতিশোধ নেওয়া হল।

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.