নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

\"নতুন কিছু জানার জন্য নতুন কিছু করো\"

পলাশ তালুকদার

পলাশ তালুকদার › বিস্তারিত পোস্টঃ

প্রথম আলো-কে বর্জন করুন

১৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৪ সকাল ৭:৪৪

"মুক্তিযুদ্ধের শেষের দিকে পাক-

বাহিনী প্রায় নিশ্চিত

হয়ে গিয়েছিল

যে তারা হেরে যাবে।পূর্ব

পাকিস্তান বাংলাদেশ

হিসেবে আত্মপ্রকাশ করতে যাচ্ছে।

এই পরাজয় তাদের

পক্ষে মেনে নেয়া কষ্টকর ছিল।

কারণ,

প্রথমত, তারা বাঙালিদের নিচু

জাতি মনে করত।একটা নিচু জাতির

কাছে তারা হেরে যাচ্ছে এটা তাদের

ইজ্জতে আঘাত করে।

দ্বিতীয়ত,এই যুদ্ধে বাংলাদেশ

জিতে যাওয়া মানে এটা ভারতেরও

জয়, আর সেটা পাকিস্তানিদের জন্য

আরো বেশি অপমানের।সব কূলই

হারাতে হচ্ছে, বাংলাদেশ

হাতছাড়া হয়ে যাচ্ছে, তাই এই

বাংলাদেশ যেহেতু আর

দখলে রাখা যাচ্ছেনা,তাহলে এটাকে ধ্বংস

করে দেয়া হোক। তাহলে এই দেশ

স্বাধীন হয়েও লাভ নেই।

মানে আমি খাইতে পারিনাই,তাই

আর কাউরে খাইতে দিমুনা।সেজন্যই

তারা ঠিক করল, এই

বাংলাদেশের মেরুদণ্ড

ভেঙ্গে দেয়া যাবে,যদি বাংলাদেশের

সকল বুদ্ধিজীবীদের হত্যা করা হয়।

এটা করতে পারলে জাতি মেধাশূন্য

হয়ে যাবে। কোনদিন

উঠে দাঁড়াতে পারবেনা। সেই

উদ্দেশ্যেই ১৪ই ডিসেম্বর ১৯৭১-এ

পাক-বাহিনী রাজাকার, আল-বদরের

সহায়তায়

একে একে অসংখ্য বুদ্ধিজীবীদের

হত্যা করে।

জাতিকে মেধাশূন্য করে দেয়ার

ফলাফল টের পাওয়া যায়

স্বাধীনতার পরপরই। তখন

বঙ্গবন্ধুর নামে বামপন্থীসহ,স্বা

ধীনতাবিরোধী অপশক্তি যেসব

প্রোপাগান্ডা চালাচ্ছিল,সেগুল

ো ডিফেন্ড করার মত কোন

বুদ্ধিজীবী বেঁচে ছিলেন না।

ফলাফল পনেরই আগস্টের নৃশংস

হত্যাকাণ্ড। মেধাশূন্য জাতি তখন

দিশেহারা।সেই

ঘোলা পানিতে মাছ শিকার

করে রাজাকার আর খুনী জিয়া।

জাতির মেরুদণ্ড

পুরোপুরি ভেঙ্গে দেয়ার কাজ

শতভাগ সফলভাবে করেন খুনী জিয়া,

গোলাম আযমের নাগরিকত্ব

ফিরিয়ে দিয়ে রাজাকারদের

এদেশে প্রবেশাধিকার দিয়ে।

তারপর দীর্ঘদিন কেটে যায়।

সামরিক শাসনের

যাঁতাকলে পড়ে মেধাশূন্য

জাতি আরো মেধাশূন্য হতে থাকে।

অপরদিকে শক্তিশালী হতে থাকে জামাত-

শিবির।তার

া এটা বুঝতে পারে যে এই

জাতি আবারও

মাথাচাড়া দিয়ে উঠবে, কারণ

বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ

হাসিনা ততদিনে রাজনীতিতে ফিরে এসেছেন।

তাই তখন থেকেই শুরু হয়

প্রপাগান্ডা। আওয়ামী লীগ

ভারতের দালাল, বঙ্গবন্ধু

স্বাধীনতা চাননি, বাকশাল ছিল

একদলীয়, ইত্যাদি অপপ্রচার

ধীরে ধীরে জাতির

রন্ধ্রে রন্ধ্রে প্রবেশ

করাতে থাকে জামাত-শিবির।

ছিয়ানব্বইয়ে আওয়ামী লীগ

ক্ষমতায় আসার পরপরই জামাত-

শিবিরের মাথায় আকাশ

ভেঙ্গে পড়ে। এতকিছুর পরও

দেশে আওয়ামী লীগের সমর্থন আছে?

এত প্রপাগান্ডা চালিয়েও লাভ

হলনা? তখনই তারা কৌশল

পরিবর্তন করে। তারা ঠিক

করে একটি সুশীল

মিডিয়া তৈরি করবে।যারা বহুদিন

নিরপেক্ষতার মুখোশ পড়ে থাকবে।

তারপর কোন এক এক্সট্রিম

মোমেন্টে তারা মুখোশ

খুলে বেরিয়ে আসবে।

ততদিনে দেশে কোটি কোটি মানুষ

এই মিডিয়াকে আইডল

হিসেবে মেনে নিবে।তাই হুট

করে পল্টি দিলেও সমস্যা নেই।

সবাই এটাকে স্বাভাবিকভাবেই

নিবে।সেই পরিকল্পনার অংশই হল

'প্রথম

আলো'। এই প্রথম আলোকে জামাত-

শিবিরই তৈরি করেছে।পরিকল্পনা

টিও

সফলভাবে বাস্তবায়িত হয়েছে।

শুরুতে নিরপেক্ষতার ছদ্মবেশেই

ছিল। এই প্রথম আলো গত এক

দশকে একটি বিশাল টিউবলাইট

প্রজন্ম তৈরি করেছে।পদ্ধতিটাও

শিবিরের মতই।বন্ধুসভার নাম

করে এরা সারাদেশে একটা বিশাল

নেটওয়ার্ক তৈরি করেছে। স্কুল-

কলেজে তাদের স্পন্সরশিপ, গণিত

অলিম্পিয়াড, চলচ্চিত্র পুরস্কার

হতে শুরু করে, সব জায়গাতেই প্রথম

আলো সুঁই হয়ে ঢুকে গেছে।এই প্রথম

আলোই টিউবলাইট

প্রজন্মকে পাকিপ্রেম শিখিয়েছে,

শিখিয়েছে শিবির বলে কেউ নেই,

আছে ”দুর্বত্ত”।

আরো শিখিয়েছে রাজনীতি খারাপ

জিনিস, এটাকে ঘৃণা করুন।

একটা বিশাল “আই হেইট

পলিটিক্স” প্রজন্ম তৈরি করেছে এই

প্রথম আলো।এদেরকে চাইলেই

বিভ্রান্ত করা যায়। এরা এতটাই

ব্রেইনওয়াশড

যে সত্যটা সামনে এলেও

সেটাকে বিশ্বাস করতে চায়না।

জামাত জানত যে আওয়ামী লীগ

একদিন না একদিন

যুদ্ধাপরাধীদের বিচার শুরু

করবেই। আর সে সময় তাদের

মিডিয়াতে একটা বিশাল

সাপোর্টের প্রয়োজন হবে।সেই

উদ্দেশ্যেই তারা প্রথম-

আলো তৈরি করেছিল। আর সেই

উদ্দেশ্য প্রথম আলো বাস্তবায়ন

করে চলেছে ঠিকঠাক মতই। তারই

ধারাবাহিকতায় ইতিহাস বিকৃতির

মত জঘন্য কাজটি এখন

করে যাচ্ছে প্রথম আলো এবং এর

প্রকাশনা প্রতিষ্ঠান

প্রথমা প্রকাশন। বঙ্গবন্ধু “জয়

পাকিস্তান” বলেছিলেন,আর

এটা এসটাবলিশ করার জন্য প্রথম

আলো উঠেপড়ে লেগেছে। এসবই

পূর্বপরিকল্পিত। কাজেই এতকিছুর

পরও যদি কারো সন্দেহ

থাকে যে প্রথম আলো জামাতেরই

পত্রিকা কিনা, তাহলে আর কিছু

বলার নাই। যে জেগে ঘুমায়

তাকে জাগানো যায় না কোনদিন।

কাজেই সময়

এসেছে জামাতকে নিষিদ্ধ করার

পাশাপাশি প্রথম আলোকেও নিষিদ্ধ

করার।তা না হলে এরা দেশের

একটার পর একটা ক্ষতি করেই

যাবে।

তাই দেশের স্বার্থে প্রথম

আলোকে বর্জন করুন।"

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.