নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

\"নতুন কিছু জানার জন্য নতুন কিছু করো\"

পলাশ তালুকদার

পলাশ তালুকদার › বিস্তারিত পোস্টঃ

মৃত্যুর পরেও মানব কল্যাণ

০৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৪ দুপুর ১২:৫১

মৃত্যুর পরে আপনার মহৎ কর্মগুলোই স্নৃতি বহন করবে। আলাদাভাবে কিছুই দরকার নাই। না দরকার আছে তুলসী গাছের, না কোন কবরের।আপনি স্ব-ইচ্ছায় যদি নিজের শরীরের প্রয়োজনীয় অংশসমূহ দান করে যান তবে আপনারি কারনে হয়তো কোন এক
অন্ধ দেখতে পারবে এই সুন্দর ভূবন,কোন এক অঙ্গহীন ফিরে পাবে তার জীবনের প্রকৃত স্বাদ। তবে কেন মৃত্যুর পরেও এই করুণ নির্মমতা? কি হবে লাশ সৎকার করে বা বর্ণাঢ্য আয়োজনের মাধ্যমে কবর দিয়ে? তাতে করে এর মাধ্যমে বড় অংশের ক্ষতি বলতে ছোট্ট মাতৃভূমির কিছু জায়গা নষ্ট হয়।এর চেয়ে বেশি কিছুই আশা করা যায় না।
আপনার কোন চিহ্ন থাকবে না? আপনাকে কেউ মনে রাখবে না? এই ভয়? তাই স্নৃতি হিসেবে আপনি শেষ সম্বল হিসেবে কবর টুকু
রেখে যেতে চাইছেন। তাই না? ভেবে দেখেছেন যে,একটা কবর বেশি দিন টেকে না? বড় জোর ১০০ বছর। এর পরে আর চিহ্ন ও খুঁজে পাওয়া মুস্কিল।অথবা আপনি ধর্মের কথা ভাবছেন।
তবে যাই করুন একটা কথা সর্বদাই মনে রাখবেন যে,শুধু নিয়মনীতি বা শুধু অক্ষর পালনের নামই ধর্ম নয়।প্রকৃত ধর্মকে বোঝার চেষ্টা করুন। মানুষের ধর্ম হল তার মনুষ্যত্ব।অর্থাৎ মনুষ্যত্বই মানব ধর্ম। তাই যতসব বাহুত্তারামী বাদ দিয়ে অন্ততপক্ষে মনুষ্য কল্যাণে কিছুটা রেখে যাওয়ার চেষ্টা করি। কারন মানব কল্যাণে কেউ কিছু রেখে গেলে পৃথিবী নিজেই
তাকে চিরদিন মনে রাখে। অর্থাৎ কল্যাণকর এই কর্মগুলোই হবে তার স্মৃতিসৌধ। অক্ষর পালনের কোন দরকার নাই।

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.