নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

\"নতুন কিছু জানার জন্য নতুন কিছু করো\"

পলাশ তালুকদার

পলাশ তালুকদার › বিস্তারিত পোস্টঃ

নাস্তিকদের পরিণতি কোন পথে?

৩০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৫ সকাল ৯:৪৮

মানুষের না বোঝার যেকোন একপ্রকার ফলাফল থাকে। যেমনঃ পড়াশোনা না বুঝলে গাধা,খেলা না বুঝলে হয় হাদা(হাদারাম)।
অর্থাৎ বিশেষভাবে কোন কিছু না বুঝলে মোটের উপর তাকে বুদ্ধিহীন বলা চলে। কিন্তু "ধর্ম "-কে না জানলে না চিনলে অথবা না বুঝলে তাকে কি বলে জানেন?
অনেকে অনেক কিছুই চিন্তা করছেন আর ভাবছেন যে,ধর্ম না বুঝলে তাকে আবার কি বলে! অনেকে আবার এককথায় উত্তর পেয়েছেন যে,'ধর্ম না বুঝলে তাকে কি বলে আমি তা জানিনা।' আসলে সবাই জানেন। কারন এটাও একটা ঐ বুদ্ধিহীন আর গাধার মত প্রচলিত মতবাদ। এককথায় বলতে গেলে যারা "ধর্ম"-কে না বুঝে আর না বুঝে অস্বিকার করে তাকে বলা হয় 'নাস্তিক।'
সবাই অবাক হচ্ছেন, তাই না? অবাক হওয়ারই কথা। কারন এখন পৃথিবীর প্রত্যেকটা জায়গায়ই 'নাস্তিক' নামের এই বিশ্বাসঘাতক ও মরণ ব্যধি রোগ মহামারি আকার ধরন করেছে। বিশ্বাসঘাতক বললাম কেন জানেন? কারন যেই আল্লাহ নাস্তিকবাদী রোগী সহ সব কিছু সৃষ্টি করেছেন সেই আল্লাহকেই নাস্তিকরা অস্বিকার করে।সেই দিক থেকে বলতে গেলে নাস্তিকরাই পৃথিবীর নাম্বার ওয়ান বিশ্বাসঘাতকের স্থান দখল করে রেখেছে। আসলে নাস্তিকরাই সর্বহারা। নাস্তিকদের কিছুই নেই। নাস্তিকদের না আছে দুনিয়া না আছে আখিরাত। নাস্তিকরা সর্বদাই দুঃচিন্তাগ্রস্থ থাকে।তাদের মন স্থির থাকে না।বিশেষ করে একটা বিষয় লক্ষ্যণীয় যে,স্থায়ী নাস্তিক্যবাদ বলতে কিন্তু কিছুই নেই। শুধু মাত্র এটা একটা সাময়িক সময়ের ধর্মকে না বুঝার ফল। নাস্তিকরা প্রচার করে বেড়ায় যে,আল্লাহ বা সৃষ্টিকর্তা বলতে কিছুই নেই।কিন্তু সবসময়ই তারা একটা চিন্তায়ই মগ্ন থাকে আর তা হলো আল্লাহ বা সৃষ্টিকর্তা আছে কি নেই।সেই ক্ষেত্রে আস্তিকদের চেয়ে নাস্তিকরাই আল্লাহ বা সৃষ্টিকর্তাকে নিয়ে বেশি ভাবে।তাই নাস্তিকদের কথা চিন্তা করলে খুবেই হাসি পায় আর আফছুচ ও করে বটে। কিন্তু তাদের জন্য আফছুচ করে লাভ কি তারা তো নিজেরাই নিজেদের ক্ষতিকে ডেকে আনছে। এক কথায় বলতে গেলে খাল কেটে কুমির আনার মত নাস্তিকরা নিজেরাই নিজেদের ধ্বংসর পথকে আঁকড়ে ধরছে। তারা আল্লাহর বা সৃষ্টিকর্তার হেদায়েতের মুখাপেক্ষী হচ্ছে না।না কাঁদলে মা ও সন্তানকে দুধ খাওয়ায় না। তাহলে আল্লাহর কাছে না চেয়ে কিভাবে তার Auto হেদায়েত পাওয়ার কথা চিন্তা করি। নাস্তিকরা না বুঝে নাস্তিক হয় কিন্তু তারা বলে যে,আস্তিক হতে শুধু একটু অন্ধ বিশ্বাসই যথেষ্ট আর নাস্তিক হতে অনেক জ্ঞানী হওয়া লাগে। কিন্তু আমিতো নাস্তিক্যবাদের মধ্যে কোন জ্ঞানের ধারা পেলাম না। শুধুমাত্র একটু অবিশ্বাস। অর্থাৎ আল্লাহর প্রতি একবার একটু অবিশ্বাস আনলেই সে আর আস্তিক থাকে না।যেহেতু আস্তিকের বিপরীত শব্দ নাস্তিক সেই ক্ষেত্রে নাস্তিক হতে কোন জ্ঞানের প্রয়োজন নেই শুধু একটু অবিশ্বাস থাকাই নাস্তিক হওয়ার জন্য যথেষ্ট। কিন্তু আস্তিক হতে হলে অনেক জ্ঞান থাকা প্রয়োজন। কারন মূর্খর জন্য ধর্ম না। এখন অনেক নাস্তিকই বলবেন যে,সব আস্তিক বা ধার্মিকেরাই কি ধর্ম সম্পর্কে যথেষ্ট জ্ঞান রাখে? তারাতো না জেনেই ধর্ম পালন করছে।
এই ক্ষেত্রে আমি বলে রাখি যে,সোনার গহনা বলতে 'সোনা +খাত' কে বুঝায়। খাতের আলাদা মূল্য সোনার মত যদিও না কিন্তু সোনার সাথে মিশে খাত ও সোনার গহনায় ব্যবহৃত হয়। এখানে সোনার গহনা হলো ইসলাম ধর্ম। সোনা হলো জ্ঞানী ধার্মিক আর খাত হলো না জেনে জারা ধর্ম পালন করে তারা। কিন্তু যারা ধর্ম কে ত্যাগ করে আল্লাহকেই অস্বিকার করে তারা সোনার গহনার কোন অংশই না।
অনেক নাস্তিক বলে সব বুঝলাম কিন্তু আল্লাহকে কে সৃষ্টি করলো?যেহেতু সবকিছুই সৃষ্ট। সুতরাং আল্লাহ কেও কেউ সৃষ্টি করে থাকবে আবার তাকেও কেউ সৃষ্টি করে থাকবে। তাকে আমরা দেখিনা তাই তাকে আমরা মানিনা।সুতরাং সৃষ্টিকর্তা বলতে কিছুই নেই।
এবার নাস্তিকরা ভালো করে খেয়াল করুনঃ ১>আস্তিকরা বলে যে,সবকিছুই আল্লাহ সৃষ্টি করেছেন।একা একা কোন কিছুই সৃষ্টি হওয়া সম্ভব না।তাই সৃষ্টিকর্তা আছে।
২>নাস্তিকরা বলে যে,তাহলে আল্লাহ বা সৃষ্টিকর্তাকে কে সৃষ্টি করলো। যেহেতু একা একা কিছুই সৃষ্টি হওয়া সম্ভব না(আস্তিক নীতি)। অর্থাৎ আল্লাহ বা সৃষ্টিকর্তা বলতে কিছুই নেই।
উপরের এই ২ টা তর্কই আস্তিক আর নাস্তিকের মূল ধারা। তবে বলব যে,নাস্তিকদের কাছে এমনকি কোন বাস্তবিক প্রমাণ আছে যা আল্লাহর অস্তিত্বকে অস্বিকার করে।নেই,এমন কোন প্রমাণ নেই যা দ্বারা আল্লাহ নেই প্রমাণিত হয়। শুধু একটাই কথা আস্তিকরা আল্লাহ আছে তা বিশ্বাস করা ছাড়া বাস্তবিকভাবে প্রমাণ দিতে পারে না তাই আল্লাহ নেই।
তবে প্রমাণ করুন যে আল্লাহ নেই (বাস্তবিক)।
নাস্তিক ভাইরা মনে রাখবেন যে,"কোন কিছু আছে প্রমাণ করার চেয়ে নেই প্রমাণ করা বেশি কঠিন।" সাথে সাথে এইটুকুও মাথায় রাখবেন যে,আল্লাহ বা সৃষ্টিকর্তা আমাদের যতটুকু জ্ঞান দিয়েছেন আমরা তার অতিক্রম কখনোই করতে পারবোনা। তাই সবকিছুই আমরা কখনোই জানতে ও পারবোনা।তাই সব প্রশ্নের উত্তর ও দেখা দিবে না।

বিঃদ্রঃ ধরে নিলাম আল্লাহ বা সৃষ্টি কর্তা বলতে কিছুই নেই।জান্নত -জাহান্নাম, স্বর্গ-নরক বলতে কিছুই নেই। আখিরাত বা পরকাল হলো একটা বানানো মতবাদ। তাহলে আস্তিক ও নাস্তিক সবাই বেঁচে গেলাম।কিন্তু যদি থেকে থাকে! একটু চিন্তা করুন আখিরাত বা পরকাল যদি থেকে থাকে তবে আস্তিকরা বেঁচে যাব আর নাস্তিকদের অবস্থা কেমন হবে?তা একবার নাস্তিকরাই চিন্তা করুন কারন আপনারা নিজেদের তো অনেক জ্ঞানী মনে করেন।

"উটকো চিন্তা করে অবিশ্বাস করার মাধ্যমে নাস্তিক হওয়ার চাইতে অন্ধবিশ্বাস করার মাধ্যমে আস্তিক হওয়া উত্তম।" ______কারন যদি পরকাল থেকে থাকে।
রাসায়নিক সমীকরণঃ
আল্লাহ ও পরকাল আছে = আস্তিক
আল্লাহ ও পরকাল নেই =নাস্তিক
উক্ত সমীকরণ থেকে প্রমাণিত হয় যে, আস্তিক ও নাস্তিক হওয়া নিজের উপর ডিপেন্ড করে। কারন সমীকরণ দুইটির একটার ও কোন অকাট্য কোন প্রমাণ নেই (নিরপেক্ষ নীতি)। কিন্তুঃযদি থেকে থাকে!

মন্তব্য ১৪ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (১৪) মন্তব্য লিখুন

১| ৩০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৫ সকাল ১১:৩২

দরবেশমুসাফির বলেছেন: রাসায়নিক সমীকরণঃ
আল্লাহ ও পরকাল আছে = আস্তিক
আল্লাহ ও পরকাল নেই =নাস্তিক
উক্ত সমীকরণ থেকে প্রমাণিত হয় যে, আস্তিক ও নাস্তিক হওয়া নিজের উপর ডিপেন্ড করে। কারন সমীকরণ দুইটির একটার ও কোন অকাট্য কোন প্রমাণ নেই (নিরপেক্ষ নীতি)। কিন্তুঃযদি থেকে থাকে!

এইতা রাসায়নিক সমীকরণ??????!!!!!!!.......................... উক্ত সমীকরণ থেকে আবার কি সব প্রমানও করে ফেললেন। ভাই আপনি তো হাসাইতে হাসাইতে মাইরা ফেললেন আমাকে।

ভাই না জেনে উলটাপালটা কথা বলে আস্তিক সমাজকে গাধা হিসেবে তুলে ধরা থেকে বিরত থাকুন। আগে পড়াশোনা করুন তারপর লিখুন।

বি দ্রঃ আমিও একজন আস্তিক।

৩০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৫ দুপুর ২:২৬

পলাশ তালুকদার বলেছেন: উক্ত সমীকরনে আপনি কি
উল্টাপাল্টা পাইলেন @
দরবেশমুসাফির?

২| ৩০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৫ দুপুর ২:২৪

পলাশ তালুকদার বলেছেন: উক্ত সমীকরনে আপনি কি উল্টাপাল্টা পাইলেন @ দরবেশমুসাফির?

৩| ৩০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৫ দুপুর ২:২৯

দরবেশমুসাফির বলেছেন: আগে এই উত্তর দিন

এইতা কি রাসায়নিক সমীকরণ??????

৩০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৫ রাত ৮:৫৫

পলাশ তালুকদার বলেছেন: হাসি পাইলো!
"রাসায়নিক সমীকরণ"-তো
রূপক অর্থে ব্যবহার করলাম।
এবার বলেন এই সমীকরনে
উল্টাপাল্টা কি পাইলেন?

৪| ৩০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৫ রাত ৮:৫৩

পলাশ তালুকদার বলেছেন: হাসি পাইলো!
"রাসায়নিক সমীকরণ"-তো রূপক অর্থে ব্যবহার করলাম।
এবার বলেন এই সমীকরনে উল্টাপাল্টা কি পাইলেন?

৫| ৩০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৫ রাত ৯:৫৬

দরবেশমুসাফির বলেছেন: রুপক কাকে বলে?? রুপক ব্যবহারের কিছু শর্ত আছে জানেন তো। আপনি যদি গোবরকে ফুলের রুপক হিসেবে ব্যবহার করেন তাহলে সেটা কি ঠিক হবে??

রাসায়নিক সমীকরণ কি?? রাসায়নিক সমীকরণকে আপনি এখানে কিসের রুপক হিসেবে ব্যবহার করলেন??

৬| ০১ লা অক্টোবর, ২০১৫ সকাল ৮:১৬

পলাশ তালুকদার বলেছেন: বাণী চিরন্তনী -তে পড়েছি যে,'তুচ্ছ জিনিষ নিয়া ঝড়গা বা তর্ক করা বোকামি।'
তাই আপনার মত রূপক' শব্দ নিয়া PHD করা ভাইয়ের সাথে কথা বাড়াতে চাইনা।
আপনি যদি একজন প্রকৃত আস্তিক হতেন তবে এই পোষ্টের বিষয়বস্তু যেদিকে আপনিও সেইদিকেই যেতেন।
বিঃদ্রঃ++-++---

৭| ০১ লা অক্টোবর, ২০১৫ সকাল ১০:৪২

দরবেশমুসাফির বলেছেন: আপনি যদি একজন প্রকৃত আস্তিক হতেন তবে এই পোষ্টের বিষয়বস্তু যেদিকে আপনিও সেইদিকেই যেতেন।

আমি প্রকৃত আস্তিক না!!!!! ফতোয়া দেয়া শুরু করলেন কবে থেকে??

০১ লা অক্টোবর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:৪৫

পলাশ তালুকদার বলেছেন: এখনো কিন্তু আপনি তুচ্ছ জিনিষেই পরে আছেন!

৮| ০১ লা অক্টোবর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:৫৪

গেম চেঞ্জার বলেছেন: ব্যাপারটা নিয়ে ভেবে দেখবার সময় কম। (রাসায়নিক সমীকরন না বলে এটাকে দার্শনিক সমীকরণ বললেই তো ল্যাটা চুকে যায়।)

০১ লা অক্টোবর, ২০১৫ রাত ৯:৪০

পলাশ তালুকদার বলেছেন: নতুন তথ্যটা দেওয়ার জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ

৯| ০১ লা অক্টোবর, ২০১৫ রাত ৮:৩৮

দরবেশমুসাফির বলেছেন: এখনো কিন্তু আপনি তুচ্ছ জিনিষেই পরে আছেন!

কথা ঠিক। সমীকরণ তর্ক এখানেই সমাপ্ত।

আমিও আস্তিক আপনিও আস্তিক। ভাইয়ে ভাইয়ে কোলাকোলি হাতে হাত মেলামেলি। কাহিনি শেষ।

০১ লা অক্টোবর, ২০১৫ রাত ৯:৩৮

পলাশ তালুকদার বলেছেন: কথা ঠিক। সমীকরণ তর্ক
এখানেই সমাপ্ত।
আমিও আস্তিক আপনিও আস্তিক। ভাইয়ে
ভাইয়ে কোলাকোলি হাতে হাত মেলামেলি।
কাহিনি শেষ।
♦ধন্যবাদ ♦

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.