নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

\"নতুন কিছু জানার জন্য নতুন কিছু করো\"

পলাশ তালুকদার

পলাশ তালুকদার › বিস্তারিত পোস্টঃ

বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ বনাম আমাদের ভাগ্য (ভারত-বাংলাদেশ প্রতিরক্ষা চুক্তি)

০৪ ঠা জুন, ২০১৭ দুপুর ১২:০৪

চোখ খুলে যেদিকেই তাকাই দেখি যে, চলছে সরকারের ডাকু বাহিনী র্যাব ডিবি সোয়াইটের পাইকারি হত্যা। অপরদিকে চলচে রঙ্গিন মিডিয়ার যাত্রা পালা ও বিভিন্ন অনুষ্ঠানের সমারোহ। এতকিছুর মধ্যে ও স্বাদ তৈরীর লবণ হিসেবে আবার চলচে ক্রিকেট এর মত বিভিন্ন খেলা নিয়ে সারা পৃথিবীতে উন্মাদনা। আর এসব তামাসার আড়ালেই বাদ পড়তেছে গুরুত্বপূর্ণ একটা সংবাদ। আর তা হল "ভারতের সাথে বাংলাদেশের প্রতিরক্ষা চুক্তি।" এই মহান চুক্তি সম্পর্কে কিছু শুনলেও এটা সম্পর্কে ভালো একটা ধারনা হয়তো বা অনেকেরেই না ও থাকতে পারে। তাই সহজ ভাষায় বললেঃ

শেখ হাসিনার সাথে দিল্লির মুশরিকরা চুক্তি করছে বাংলাদেশ ভারতের কাছ থেকে ৫০ কোটি ডলার অর্থাৎ সাড়ে ৪ হাজার কোটি টাকার একটা ঋণ নেবে, তারপর এই টাকা দিয়ে ভারত থেকে বাংলাদেশ অস্র কিনবে, তারপর বাংলাদেশ এই ঋণের ওপর সুদ ও দিবে। মাছের তেলে মাছ ভাজার কথা নিশ্চই শুনেছেন। আর এটা হল দাসের তেলে দাস ভাজা। চুক্তি অনুসারে বাংলাদেশের সেনাবাহিনী ভারতীয় মুশরিক সেনাবাহিনীর অধীনে প্রশিক্ষণ গ্রহণ করবে। তাদের সাথে নিরাপত্তা সংক্রান্ত তথ্য আদানপ্রদান করবে এবং বিশেষ প্রয়োজনে বাংলাদেশের মাটিতে ভারতীয় সেনাবাহিনীর সাথে বাংলাদেশি বাহিনীর যৌথ অভিযানের প্রস্তাবনাও আছে। আর চুক্তি হলে এমন যৌথ অভিযানে বাংলাদেশের সেনাবাহিনীর উপর নেতৃত্ব দেবে ভারতীয় সেনাবাহিনী। অর্থাৎ এই চুক্তিতে বাংলাদেশের সেনাবাহিনী বিশেষ প্রয়োজনে সরাসরি ভারতীয় সেনাবাহিনীর অনুগতের প্রস্তাবনা ও আছে।সংকীর্ণ জাতীয়তাবাদীর দৃষ্টিকোণ থেকে দেখলেও এই চুক্তি চরম অপমানজনক। সেক্যুলার জাতি রাষ্ট্রের অবস্থান থেকে দেখলেও এটা নিছক দাসখত দেয়া ছাড়া আর কিছুই নয়। কিন্তু সারাক্ষণ দেশের সার্বভৌমত্ব জনগনের সার্বভৌমত্ব নিয়ে যারা জিকির করে তারা আজ নিশ্চুপ। মানব রচিত সংবিধানে নামে মাত্র রাষ্ট্র ধর্ম ইসলাম থাকা নিয়ে এদের সমস্যা। সুপ্রিম কোর্টে স্থাপিত মূর্তির বিরুদ্ধে বললে এদের সমস্যা। পাঠ্য বই থেকে নাস্তিক্যবাদী এবং ইসলাম বিদ্বেষী লেখা অপসারণে এদের সমস্যা। নারীরা হিজাব পড়লে এদের সমস্যা। পুরুষরা দাড়ি রাখলে এদের সমস্যা। মুসলিমরা কুরবানি করলে এদের সমস্যা। আর তাদের এতোসব সমস্যাকে তারা যৌক্তিক প্রমাণ করতে চায় দেশপ্রেম, মুক্তিযুদ্ধের চেতনা আর রাষ্ট্রের সার্বভৌমত্বের কথা বলে। কিন্তু প্রতিরক্ষা চুক্তি নামক এই দাসখতের ব্যাপারে তারা একেবারেই নিরব। কারন দেশের নামজপ করতে করতে দেশকে বিক্রি করাই এদের কাজ। দেশপ্রেম আর মুক্তিযুদ্ধের চেতনার বুলি আওড়ানো এসব ভারতীয় দালালদের দিন যায় দেশ বেচে। তবে এখানেই শেষ নয়। এই চুক্তিতে শিল্পে সহযোগিতা, শিল্পের বিকাশে যৌথ উদ্দ্যোগ, প্রতিরক্ষা প্রযুক্তি ও মহাকাশ প্রযুক্তি গবেষণা এবং সামুদ্রিক অবকাঠামো উন্নয়নে একে অন্যকে সহায়তার কথাও চুক্তিতে বলা আছে। এই চুক্তির মত আরো ৪৯টি চুক্তির পায়তারা চলছে। দেশ ও জাতির অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এই ক্ষেত্রে ভারত ঠিক কি ধরনের সাহায্য দিতে পারে তা সবারি জানা আছে। এদেশের বৃদ্ধ থেকে শুরু করে কোলের শিশু পর্যন্তও সবাই বোঝে যেঁ, ঠিক কি ধরনের সহায়তা আমরা ভারত থেকে পেতে পারি। বোঝেনা কেবল চেতনাবাদ, সাহাবাগী, কিছু সুশীল সমাজ ও আওয়ামী দালালরা।তবে যদি কেউ অবুঝ হয়ে থাকে বা ভারতের অনুগ্রহের কথা যদি কেউ ভুলে গিয়ে থাকে তাহলে আবার স্মরণ করিয়ে দিচ্ছিঃ

এটা হল সেই ভারত ১৯৭৫ সালে পরীক্ষামূলকভাবে ৪১ দিনের জন্য ফারাক্কা বাঁধ চালু করার কথা বলেছিল। আজ ৪১ বছরের ও বেশি পার হয়ে গেছে, গড়াই নদি বিলুপ্ত হয়েছে, পদ্মা বিলুপ্তের পথে, নদীমাতৃক বাংলার উত্তর অঞ্চল মরুভূমিতে পরিনিত হয়েছে, নষ্ট হয়েছে নাব্যতা, এ- মাটির উর্বরতা কিন্তু সেই ৪১ দিন আজও শেষ হয়নি।
এই হল সেই ভারত যারা পরিকল্পিতভাবে সুন্দরবন ও বাংলাদেশের জলবায়ু এবং প্রকৃতিকে ধ্বংস করার জন্য দালাল আওয়ামীলীগ সরকারকে দিয়ে রামপাল কয়লা বিদ্যুৎ কেন্দ্র তৈরি করতে যাচ্ছে।
এই হল সেই ভারত যাকে বাংলাদেশের স্থল ভূমি ও বন্দর ব্যবহার করতে দেওয়া হচ্ছে, মাসুল ছাড়া ট্রান্সজিট দেওয়া হচ্ছে। ভারতীয় প্রতিষ্ঠান ও চাকুরীজীবীদের জন্য বাংলাদেশের বাজার উন্মুক্ত করে দেওয়া হয়েছে।কথিত সার্বভৌমত্ব তিলেতিলে সম্পুর্ণটাই বেচে দেওয়া হচ্ছে। কিন্তু তবুও তাদের কাছ থেকে তিস্তার পানি পাওয়া যায়নি।
এই হল সেই ভারত যারা বছরের পর বছর ধরে সিমান্তে পাখির মত গুলি করে বাংলাদেশের মানুষদের হত্যা করছে।
এই হল সেই ভারত যারা সুকৌশলে দখল করে নিয়েছে বাংলাদেশের বাণিজ্যিক বাজার। যাদের অর্থনৈতিক আগ্রাসনের কারনে বাংলাদেশের সৎ ব্যবসায়ীরা আজ বিপর্যস্ত।
এই হল সেই ভারত যারা দালাল শাসকের সাথে প্রতিরক্ষা চুক্তির মাধ্যমে স্বাধীন সিকিমকে অঙ্গরাজ্য বানিয়ে ছিল।
এই হল হিন্দুত্ববাদী ভারত যার প্রভাবে বাংলাদেশের মাত্র ৯%-১০% হিন্দু চাকরীর ক্ষেত্রে ৩০% এর বেশি জায়গা দখল করে রেখেছে। বাংলাদেশের উচ্চ শিক্ষিত মুসলিম তরুণেরা আজ বেকার হয়ে ঘুরে বেড়াচ্ছে কিন্তু হিন্দুস্থানের হিন্দুত্ববাদীদের কারনে বাংলাদেশের মুশরিকদের অবস্থান রমরমা।
এই হল সেই ভারত বাংলাদেশের চাকরি খাত, ব্যবসার খাত দখল করে নিয়েছে তাদের দালাল হাসিনার মাধ্যমে নিয়ন্ত্রনে নিয়েছে রাষ্ট্র প্রশাসনকে বঙ্গভবন কিভাবে চলবে তার নির্দেশ আসছে দিল্লি থেকেই। রাষ্ট্র ও প্রাশাসনের রন্দ্রেরন্দ্রে মুশরিকরা জেঁকে বসেছে। বিদ্যুৎ বিভাগ থেকে শুরু করে প্রাইমারী স্কুল পর্যন্ত সব জায়গায় জাল পেতে বসে আছে মুশরিকরা। মুশরিক বিচারপতির মাধ্যমে নিয়ন্ত্রনে নিয়েছে বিচার বিভাগকে। আর এখন সম্পূর্ণভাবে নিয়ন্ত্রনে নিচ্ছে সামরিক বাহিনীকে। আর মিডিয়া, কথিত শুশীল সমাজ ও সাংস্কৃতিক অঙ্গনকেও নিয়ন্ত্রন করছে এই ভারতীয়রা।
এই হল সেই ভারত যারা স্যাটেলাইট চ্যানেলের মাধ্যমে পরিকল্পিতভাবে বাংলাদেশের মুসলিমদের মধ্যে জেনা-ব্যবিচার,অশ্লীলতা, নির্লজ্জতার প্রচার করে চলেছে।বাংলার শিক্ষা নামক মেরুদণ্ডকে ভেঙ্গে দেওয়ার উদ্দেশ্যে সন্ধ্যা ৬ টা থেকে রাত ১২ টা পর্যন্ত সিরিয়াল চালাচ্ছে।
এই হল সেই ভারত যারা বাংলাদেশে সমকামীতা প্রসারের জন্য সরাসরি আর্থিক ও প্রাতিষ্ঠানিক মিডিয়ার সাহায্য দিচ্ছে। এই হল সেই ভারত যার ভরসায় আজকে পরিমল, শ্যামল কান্তি আর বিপ্লব বিকাশ পালরা ইসলাম নিয়ে প্রকাশ্যে কটুক্তি করতে পারছে। আর মুসলিম মেয়েদের ধর্ষণ করার মত সাহস দেখাচ্ছে।
এই হল সেই ভারত যার ভরসায় মুশরিকরা রাস্তায় হলি খেলার নামে পর্দানশীন মুসলিম নারীদের শালীনতাহানী করছে। জুন্মার নামাজের সময় উচ্চস্বরে গানবাজনা করছে। মুসল্লিদের উপর আক্রমণ করছে। মসজিদের তালা দিচ্ছে। মসজিদকে অপবিত্র করছে। প্রকাশ্যে কুরআন পোড়াচ্ছে।
এই হল সেই ভারত যেখানে আদিত্বনাথ এর মত নাপাক মুশরিক এর জনসভায় বলা হয় মুসলিম নারীদের মৃত দেহ কবর খুরে বের করে ধর্ষণ করার জন্য। আর তার পর সেই আদিত্বনাথ উত্তর প্রদেশে মুখ্যমন্ত্রী নিযুক্ত হয়।
এই হল সেই ভারত যেখানে গরুর গোসত খাওয়ার অপরাধে, গরুর গোসত বিক্রি করার অপরাধে, পরিবহনের অপরাধে মুসলিমদেরকে পিটিয়ে হত্যা করা হয়।
এই হল সেই ভারত যেখানে আহমেদাবাদ আর মুজাফফরনগরে মসজিদের ভিতরে মুসলিম নারীদের ধর্ষণ করা হয় আর ঐ সময়ে মসজিদের মাইক চালু করে রাখা হয় যাতে সব মুসলিমরা ধর্ষিতার আর্তনাদ শুনে ভয় পায়।
এই হল সেই ভারত যেখানে গুজরাটে গর্ববতী মুসলিম মায়ের পেট চিরে শিশুকে বের করে এনে তলোয়ারের মাথায় গেথে মুশরিকরা উল্লাস করে।
এই হল গুজরাটের কসাইয়ের ভারত, এই হল শিবসেনার ভারত, এই হল আর এস এস এর ভারত। আর এই ভারত এই হিন্দুত্ববাদি চক্রান্ত আজ গ্রাস করেছে বাংলাদেশের সমাজ ও রাষ্ট্রের প্রতিটি ক্ষেত্রে। আরএই কফিনের শেষ পেরেক হল সামরিক প্রতিরক্ষা চুক্তি। এই হল মোদির ভারত আর এই হল হাসিনার বাংলাদেশ। এই হল মুক্তিযুদ্ধের চেতনা, ধর্মনিরপেক্ষতা, রাষ্ট্র সার্বভৌমত্ব আর গণতন্ত্রের শাসন।

সবাই সতর্কতা অর্জন করুন। কারন আজ আমাদের আকাশে কালো মেঘের ঘনঘটা চারপাশ থেকে আপনাকে ঘিরে ফেলেছে। প্রস্তুতি চুরান্ত করেছে। অস্রে ধার দিচ্ছে। কিন্তু এখনো আপনি আসন্ন বিপদ সম্পর্কে গাফেল হয়ে আছেন। আপনি এখনো ঘুমিয়ে আছেন। আপনি নির্বোধ হয়ে আছেন। আপনি মুগ্ধ হয়ে আছেন ভারতীয় সিরিয়ালে, ক্রিকেটে আর রঙ্গিন মিডিয়ার বানানো কল্পকাহিনীতে।
সতর্ক হোন,, এক প্রচন্ড ঝড় ধেয়ে আসছে। এই দুর্যোগ পূর্ণ মুহূর্তে কোন দল কোন লীগ কোন নেতাকে আপনি আপনার পাশে পাবেন না।
সতর্ক হোন জাগ্রত হোন আর মিলেমিশে থাকুন। এবং প্রস্তুত হোন। কারন এক মহা দুর্যোগ ধেয়ে আসছে আমাদের বাংলাদেশের দিকে।

মন্তব্য ২ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (২) মন্তব্য লিখুন

১| ০৪ ঠা জুন, ২০১৭ বিকাল ৪:১৯

পুকু বলেছেন: Emotional fool !!!!!

০৪ ঠা জুন, ২০১৭ বিকাল ৫:৫৪

পলাশ তালুকদার বলেছেন: ধন্যবাদ

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.