নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
বুড়োর হাড় যতই ভাঙে ততবার দেখায় রঙ্গ
উঠতে যায় গাছের ডালে পড়ে যায় শীর্ণ অঙ্গ
সারাদিন, টোটোগিরি, খায় বিড়ি-পান-সুপারি...
ঘরে নাই বাজার সদাই করে যায় দাদাগিরিই
কোথায় কোন চেংরাগুলো হট্টগোল পাকায় স্ব-দল
এমনি সে, লাঠি...
নিখাদ ভালোবাসা-আর্শিঃ হৃদয়েতে জ্বলজ্বল করে,
ইচ্ছেডানা ছুটে চলে সেই আলোকের উজ্জ্বল ঘরে।
প্রজাপতি হয়েই উড়ব, জীবনের সব ছন্দ মেলায়,
রঙিনপাখায় কবিতার ফুল নিয়ে যাব বিশ্বসভায়।
অবিরত ছবি এঁকে কালের স্রোতে ভাসিয়ে নাও,
বিশ্বহৃদয় করিয়া জয়...
বুড়োর হাড়! দয়া-মায়ার, বিপদের সঠিক বন্ধু...
গায়ের জোর যতই কমুক যতই থাক পথ বন্ধুর।
পানুদের দীঘির জলেই পড়েছে হাঁদুর মেয়ে,
খরবখান রটা মাত্রই ছুটে যায় বুক ফুলিয়ে।
এখনও নামেনি কেউ! হা-হুতাশ অলস ইতর,
বুড়োটা ধপাস...
বুড়োর হাড়! পাক্কা সেয়ান গালগপ্পে দোকানদারি,
ফাক পেলে, যখন তখন চলে যায় শ্বশুর বাড়ি।
শালি সব বুড়িয়ে গেছে শালাদের বউ পটানো,
ভীমরতি আর কতকাল? লজ্জাতে মুখ লুকালো!
দুলাভাই ঢ্যামনা মিশুক মিলবে কি এমন রসিক?
নাতনীদের...
বুড়োর হাড়! পাঞ্জা লড়ে শক্তিমান হাঁদুর সঙ্গে,
কবজি তার এতোই শক্ত, ভয়কে জয় করে রঙ্গে।
গর্বে বুক ফুলিয়ে বলে, “পান্তাভাত-কাঁচামরিচ,
কপাকপ খেতাম বলে মনোবল কম কী বলিস?”
দুপুরের সালুন ছিলো নদীর ওই তাজা ইলিশ,
পুকুরের...
জোছনার চাঁদ ধুয়ে মুছে---ফিটনেস বিহীন গাড়ি ও লাইসেন্স বিহীন চালক;
মাতালের ককপিটে যম...সিগন্যাল টপকিয়ে যায় স্বর্ণকিশোরীর পাঠশালা...
তপ্ত লোহায় হাতুড়ি মেরে আঠারো মাতালে দুর্নিবার; সামলাও শিখণ্ডীশাবক।
বুড়োর হাড় ক্ষয় হয়েছে কোমড়খান রড়শির মত...
হাতেই তার, বাঁশের লাঠি দপাদপ চলছে ততই
চলন তার ডাঁট-বাহারী রাজার বেশ সবাই জানি
রাশভারী, কথাবার্তায় ভয় যে পাই কে না মানি?
তাই বলে! যখন-তখন ভেদাভেদ শুনিয়ে...
কোন সে কবিতা-
সেকি মায়াবী অতিথি, নাকি প্রেম?
পাল তোলা হৃদয়ের হাহাকার ধ্বনি;
সময় গড়ায় শব্দে।
থাকে অস্ফুট ক্রন্দন, কলিঙ্গের যুদ্ধে রক্তস্নান;
নাকি নার্সিসাস ফুটে স্বপ্নের অধর বেয়ে-
এক পশলা বৃষ্টি।
চৌরাসিয়ার বেসুরা সুর, কাঁপে তবলায় জাকির;
একটা...
বুড়োর হাড় পাক ধরেছে তবু তার রাগ কমেনি,
সকাল সাঁঝ বুড়ির সাথে পটাপট ভাব জমেনি।
তাইতো সে, পান থেকে চুন খসলে হয় অল্পতে রাগ,
রাগ তো নয় অগ্নিমূর্তি মনেই হয় হালুম-হুম বাঘ।
বুড়ি তার...
পৃথিবীর পথে পথে দ্বিধা বিভক্তের খাদ—
কেহ তাজমহল দেখেছ, কেউ বা দেখোনি!
সংশয়ের জাল ছেঁড়ে—ধূসর তাজমহলে…না দেখার দলে এসো;
আমিও না দেখা দলে…, রোজ দেখি তাই—
শিশুরা রাত্রির ঘাম ছুঁয়ে ভস্ম আঙিনা মাড়ায়…
শ্বেত-ভল্লুকদের বোমায়,...
উজানেতে পানি চঞ্চল---
বান্ধ্ ফারাক্কার বাঁধের দ্বার;
ভাসিয়ে পাথারে অঞ্চল---
মেঘনা-পদ্মায় তলায় পাড়।
পানি করে শোঁ শোঁ গর্জন---
...
ভাঙনের সুর লাগে অমধুর---
দুরন্ত স্রোতে...নদীর ভাঙন এক পাড়ে সারে,
বুকের গভীরে জমি ভেঙে পড়ে---
ওই পাড়ে গড়ে আলালী-আদরে মাটির বসত।
ভেঙে গেলে পাড় রেখে যায় ধার---
অনন্ত শোক...বিরহের গাঁথা আলো অভিসারে,
পূর্ণিমা হাসে নদী চলে...
মঞ্জুল শেফালি বরে জ্যোস্নার রজনী,
যেথায় থাকে শর্বরী- উজ্জ্বল সপ্তর্ষী।
তারার অন্তর গলে, লোভী দুর্যোধন
করে অকার্য সমর। ঘামায় পান্ডু’রা!
যুধিষ্টির সততায় দ্রোপদী লুণ্ঠিত
অর্ধমের ওই রাত্রির শকুনি অসুস্থ;
কৈকেয়ী-মন্থরা কেশ, বিন্যস্ত বিন্যাসে
মন্দারে ফোঁটায় ফুল। অর্জুনের...
কাকঘুম ছেড়েই---
অনাবাদী উনান জ্বালায় দাঁড়ানো বটির ‘পর,
আবাদী চায়ের কাপে; ধোঁয়া ধোঁয়া চাপ নিয়ে…
সংসারের পাঁজর হাঁপায়।
প্রত্যেকদিন তবুও…ইথোপিয়ার কিচেন থেকে
তুলে আনে একমুঠো আদর। কখনও কখনও…
জীবন---পাটা-পুতায় ঘষে…অসর্তক থেতলায় আঙুল,
মাছের মতো...
(আজ) উলঙ্গ ভেজা-ই চাই…
খোলা আকাশের নীড়ে
এক মুঠো রৌদ্র শিরে।
(আজ) উলঙ্গ ভেজা-ই চাই…
ছাদনাতলার দূরে
প্রেয়তির প্রেম সুরে।
(আজ) উলঙ্গ ভেজা-ই চাই...
সীমানার বুকে বাজ
ঝরে যায় আইয়াজ।
(আজ) উলঙ্গ ভেজা-ই চাই…
রিক্সার হুটের গায়
অবন্তীরা ঝুলে যায়।
(আজ)...
©somewhere in net ltd.