নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
©ডাঃ নার্গিস পারভীন [email protected]স্বল্প, মাঝারি মাত্রার সংবেদন শীল মৌলিক লেখা I শিশুদের নাগালের বাহিরে রাখুন। পূর্বঅনুমতি ছাড়া কোথাও প্রকাশ করা যাবেনা ।
পারুল নামের রোগী ও তার নবজাতক সন্তান নাঈমের গল্প দিয়ে শুরু করি । বলে রাখি, নাঈম নামটি কিন্তু আমার নামের সাথে মিলিয়ে রেখেছে তার নানী । বাচ্চাটি আমার হাতে হয়েছে ।
এটা একটা অসাধারণ ব্যাপার হবে , বাচ্চাটি একটু বড় হলে যখন তার নানীজান গল্প করবে , " নাঈম তোমার জন্মের সময় , তোমার আর তোমার মায়ের ছিল খুব বিপদ । জীবন মৃত্যু নিয়ে টানাটানি । তারপর এক ডাক্তারনীর কাছে পাঠিয়ে দিল আল্লাহ আমাদের কে। তার পর তোমাকে ফিরে পেলাম আমরা । তোমার নাম টি সেই ভাল ডাক্তারের নামের সাথে মিলিয়ে রেখেছি ।" বাচ্চাটি চোখ বড় বড় করে শুনবে নানী জানের গল্প । অতিসাধারণ ,ছোটখাটো এই মানুষটি হয়ে যাব দরিদ্র শিশুর চোখে সুপার ম্যানের মহিলা বাচক সুপার ওম্যান। :#> :#>
পারুলের স্বামী বাচ্চা পেটে থাকতে ই চলে গেছে ।পারুল পুরো হত-দরিদ্র । কোথা থেকে যে হাসপাতালের বিল দিবে কে জানে ? তারা একটা উপায় বের করল । পারুলের মা বললেন ," আপা, একটা কাগজ লিখে দেন যে পারুলের অপারেশন হইছে ,সেই কাগজ দেখিয়ে বাসায় বাসায় টাকা সাহায্য চাইবো ।"
আমি একটু লজ্জায় পড়লাম এই ভেবে যে, এ রকম যারাই আসত মেয়ের বিয়ে , চিকিৎসা খরচ এগুলো বলে ,তাদের অনেকে যদিও সাহায্য পেয়েছে কিন্তু মনে মনে এটা বেজে গেছে
এরা যা বলছে এটা কি সত্যি নাকি টাকা নেওয়ার জন্য মিথ্যার অবতারণা ।
সেদিন বুঝলাম , কেউ কেউ সত্যিই বিপদে পড়ে হাত পাতে ।
তবে এই কথা বলার সময় তাঁর মুখে কোন দুঃখের চিহ্ন নাই , আসলে নাঈম কে পেয়ে তারা আনন্দিত , চোখেমুখে আনন্দের ছাপ ।
যাই হোক রোগী ছুটির আগেই টাকা ম্যানেজ করে ফেললো , বিল পরিশোধও করে দিল । বাড়ি চলে যাওয়ার আগে আমি তাকে দেখতে গেলাম । কোন রোগী সুস্থ হয়ে হাসি মুখে বাড়ি যাচ্ছে , এটা ডাক্তারের সফলতা । বিরাট অনুপ্রেরণা ।খুশি মনে আমি তাকে শেষ বারের মত দেখতে গেলাম ।
তার কথা শুনে আমি তো ঝাঁকি খেলাম ।
কষ্ট করে একটা দুধের (কৌটার) নাম লিখে দেন ।
নাঈম যেন জন্মের প্রথম ৬মাস শুধু মাত্র বুকের দুধ খায় , এটা আমাদের টার্গেট ছিল ।
এই তিন দিন ধরে পারুলকে বুঝানো হয়েছে , প্রথম ৩ দিন দুধ একটু কমই থাকে , এটা শাল-দুধ , পুষ্টিতে ভরপুর ।এটাই বাচ্চার প্রথম টীকা ।৩ দিন পর হতে দুধ নেমে যায় । সঠিক নিয়মে খাওয়ালে বাচ্চা অবশ্যই দুধ পাবে । এই সঠিক নিয়মটাও তাকে শিখানো হয়েছে ।
ভাল ডেলিভারির পরই পারুলের মা মধু জোগাড় করে নিয়ে এসেছিল । সরিষার তেল খাওয়াতে চেয়েছিল ।ওগুলো খেতে দেওয়া হয়নি ।
দীর্ঘশ্বাস ফেলে বললাম ,"কৌটা খাওয়াতে চাও কেন ? বাচ্চা কি দুধ পাচ্ছেনা ? তুমি আমার ৩ টি প্রশ্নের উত্তর দাও তাহলে আমি বুঝে নিব বাচ্চা দুধ পাচ্ছে কিনা ।"
তোমার বাচ্চা কি ২৪ ঘণ্টায় কমপক্ষে ৬ বার প্রস্রাব করেছে?
>>আরও অনেক বেশী বার করছে
বাচ্চা কি অকারণে কান্নাকাটি করে ?
>>তেমন একটা না
যখন কান্না করে তখন কি তখন কি হাত পা নেড়ে প্রাণচাঞ্চল্যতা প্রকাশ করে ?
>> হুম হাত পা নেড়েই কান্না করে
তাহলে তো তোমার বাচ্চা দুধ পাচ্ছেই , তাহলে কেন তুমি কৌটা খাওয়াতে চাও
পারুল একটা গরীব মা । মানুষের কাছ থেকে চেয়ে এনে হাসপাতাল বিল পরিশোধ করা লাগে তবু ও সব মায়ের মত তার সন্তানকে সবচেয়ে ভাল জিনিস দিতে চায় । তার ধারণা বুকের দুধের চেয়ে কৌটাই ভাল ।
মনে মনে বললাম তোমার তো ভাগ্য ভাল যে এই হাসপাতালে আছ । অনেক ক্লিনিকের মালিক কে দুধ কোম্পানি মোটা টাকা দিয়ে কিনে ফেলেছে , সেখানে কোনদিনও শিখানো হয়না শাল দুধের গুরুত্ব ,বুকের দুধের গুরুত্ব , বরং বাচ্চা হওয়ার সাথে সাথে কৌটা ।
অনেক ডাক্তারও বুকের দুধ উপচে পড়ে যাচ্ছে জানার পরও কিন্তু বাচ্চা দুধ পাচ্ছেনা শুনেই বুঝে নিবে খাওয়ানোর পদ্ধতিতে ভুল আছে তবুও শিখাবেনা দুধ খাওয়ানোর সঠিক পদ্ধতি , লিখে দিবে কৌটা ।
দীর্ঘশ্বাস ফেলে বললাম ,তুমি কি জান পারুল, শিশুর জন্য মায়ের বুকের দুধই সেরা । কৌটায় থাকে কি ? গরুর দুধ । গরুর দুধ গরুর বাছুরের জন্য উপযোগী । মানুষের বাচ্চার জন্য মানুষের দুধ ।
দুই রকম দুধের রং সেই সাদা হলে কি হবে গরুর দুধের উপাদান আর মায়ের দুধের উপাদান এক না ।গরুর দুধের বড় দানার চর্বি ৪ গুণ বাড়তি লবণ ,ভিন্ন রকমের প্রোটিনের দানা ছোট্ট শিশু হজম করতে পারবেনা । তাই হজমে সমস্যা হবে ।তাই ৬ মাস মানে ১৮০ দিন বয়স পর্যন্ত শুধু মাত্র বুকের দুধ খাওয়াতে হবে।
কৌটা খাওয়ানো শিশুরা শক্তিশালী হয়না , এদের ব্রেইন ও ভাল হয়না ।
ভাল রোগ প্রতিরোধকারী ক্ষমতার অভাবে নাঈমের ঠান্ডার সমস্যা , পেটের অসুখ,এলার্জি লেগেই থাকবে , কষ্ট পাবে বাচ্চা টা । ডাক্তার আর ঔষধের পিছনে মেলা টাকা খরচ ,বুকের দুধ খাওয়ালে তোমার জরায়ু দ্রুত আগের অবস্থায় ফিরেআসবে । ভবিষ্যতে স্তন ক্যান্সারের ঝুঁকি কমে আসবে ।নাঈমের ক্ষতি হোক তুমি কি এটা চাও ?
>>না চাইনা ।
> তাই কন্যা ভুল করিসনা । আমি ভুল করা কন্যার সাথে কথা বলব না ।
(৪)
এর পরের রুগী আফসানা , তার সন্তান হয়েছে বাসায় , দাই এর হাতে দেড় মাস আগে , এটাই তার প্রথম সন্তান। দাদীর কোলে বাচ্চা । পুরো একটা চাঁদের কণা । ঘুমিয়ে আছে । ছেলের বউ কে শাশুড়ি আনে কম । এই শাশুড়ি তাহলে একজন ভাল মানুষ ।
শিশুর মা তো মাথা ঘুরায় ,দুর্বল ।খাওয়া খাদ্যে অরুচি । চুল উঠে যাচ্ছে ।তাকিয়ে দেখলাম আফসানাকে ।
বড় বড় পাপড়ি ঘেরা পাখির বাসার মতো চোখ আফসানার । চোখের কোলে কালি । আমি দেখলাম তার স্বাস্থ্যের অবস্থা বেশ খারাপ । রক্ত শূন্যতা আছে ।
শরীরে যখন পুষ্টির ঘাটতি দেখা দেয় , তখন সবার আগে চুল ঝরে যায় , শীত কালে পাতা ঝরার মতো ।
মুখে কিছুই ভাল লাগেনা বলে সে নতুন পান খাওয়া ধরেছে । বাংলাদেশে কম বয়সী মায়েরা ঠিক এ সময়ে পান খাওয়া ধরে । রক্ত শূণ্যতা থেকে অরুচি আবার অরুচি থেকে রক্ত শূণ্যতা চলতেই থাকে । মাঝখান থেকে পান খেতে খেতে দাঁত সব নষ্ট , কুড়িতে বুড়ি , জীবন যৌবন সব শেষ । আফসানা র খাওয়া দাওয়ায় সমস্যা আছে নিশ্চয় ।
>বাচ্চা তো খাচ্ছে মায়ের বুকের দুধ , মা খাচ্ছে কী ?
>> শিং মাছ আর কালি জিরা
>আর কিছু না?
>> কি খাওয়াবো ? অন্য মাছ খেলে হবে সুতিকা , মাংস খেলে হবে সুতিকা .....
> ( বুঝলাম, যা খাওয়াবেন তাতেই সুতিকা ।আফসানার শাশুড়ি ৯৯.৯৯ ভাগই ভাল শুধু একটু কুসংস্কারে বিশ্বাসী ......বাংলাদেশের বেশিরভাগ মানুষের মত । প্রতিপক্ষ হিসেবে ও বেশ শক্ত । কারণ দীর্ঘ দিনের লালিত কুসংস্কার ভাঙ্গা সহজ ব্যাপার নয় । ।কিন্তু শুধু কয়েক টি ঔষধ লিখে দিলেই সমস্যার সমাধান হবেনা । আমাকেও তাহলে শক্ত অবস্থানে এ যেতে হবে । )
বিনয়ের সাথে বললাম ,আপনার কথা বুঝলাম । তবে একটা কথা , আপনি কি একটা ব্যাপার খেয়াল করেছেন
কুরআন শরিফে আল্লাহ বলেছেন , সন্তানকে বুকের দুধ দিতে ।
সন্তানকে সঠিক ভাবে বুকের দুধ খাওয়ালে আল্লাহ শরীরে এমন একটা মেকানিজম করেন যাতে করে অনেক মায়ের মাসে মাসে রক্ত স্রাব হয় না।
এমন কি ঠিক মতো বুকের দুধ খাওয়ালে এই ৬ মাসে ১০০ জনের মধ্যে ৯৮ জনের ই বাচ্চা আসার সম্ভাবনা নাই । হালকা ধরনের জন্মনিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা নিলেই হয় ।
কেন , এই সুবিধা ? জানেন ?
মায়ের শরীর রক্ষা করার জন্য । গর্ভ ধারণ , সন্তান জন্মদানে শরীরে যে ধকল যায় তার উপর যেন বাচ্চাকে দুধ খাওয়ানোটা বাড়তি চাপ না ফেলে । বাচ্চাটা যা খাচ্ছে সবই তো মায়ের শরীর থেকেই যাচ্ছে ? কিন্তু খেতেই যদি না দেই আমরা তাহলে তো সমস্যা ।
মায়ের খাওয়া দাওয়া যেন ঠিকমত হয় এজন্য স্তন্যদানকারী মায়ের রোজার দিনে রোজা থেকেও মাফ দেওয়া হয়েছে , পরে করে দিলেই হয় ।
সুতিকার ভয়ে এত বেছে খাওয়ানোটা একটা কুসংষ্কার । কারণ এর প্রমাণ পাওয়া যায়নি । খেতে না দিলে ছেলের বউ এর শরীর আরও ভেঙ্গে যাবে । অবসাদ , ক্লান্তি , শরীর অসুস্থতা , সংসারে অশান্তি লেগেই থাকবে ।
আর আপনার নাতি টি ও ভাল ভাবে দুধ পাবেনা ,
ঘন ঘন খাবার , মাছ , মাংস , ডিম, দুধ কলিজা , কচু জাতীয় সব ,সবই খেতে দিতে হবে ।
কমপক্ষে আড়াই লিটার পানি খেতে দিতে হবে । দুধ খেতে দেওয়া দরকার ।
পর্যাপ্ত ঘুমের সুযোগ করে দিতে হবে ।
ভিটামিন ও ক্যালসিয়াম আয়রন ট্যাবলেট খেতে দিতে হবে । ।
>> তাহলে কি খাওয়াবো ?
>এতক্ষণ যা বললাম ।হারাম খাদ্য আর এই পান সুপারি বাদ দিয়ে ফরমালিন মুক্ত যা পান সবই খাওয়ান , বেশি বেশি ঘন ঘন খাওয়ান ।
>>ফরমালিন মুক্ত পাব কোথায় ? সব কিছুতেই তো ফরমালিন ।
কেঁদে উঠল আফসানা র সন্তান ।তবে এ যাত্রা আফসানাকে নিয়ে আর ভয় নেই । উপদেশ মালা কাজ করবে । তার পাখির বাসার মতো চোখে দেখলাম কৃতজ্ঞতার ছায়া । মেয়েটা হাসলো চলে যাওয়ার আগে । তার হাসি ও সুন্দর । হাসির প্রত্যুত্তর ও হাসি । হাসি খুশি আনন্দে ভরে থাকুক সবার জীবন ।
সারমর্ম :
১।প্রথম ৬ মাসে শিশুর আদর্শ খাদ্য কি ? উঃ শুধুমাত্র মায়ের বুকের দুধ
২।ল্যাকটেটিং মা ,মানে স্তন্যদান কারী মায়ের খাদ্য কি হওয়া উচিত ? উঃ বেশি করে পুষ্টিকর খাবার
৩। সঠিক নিয়মে খাওয়ালে বাচ্চা অবশ্যই দুধ পাবে ।বুকের দুধ খাওয়ানোর সঠিক নিয়ম টি কি ?
২১ শে জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ১১:৩৩
না পারভীন বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ মাওলানা এনায়েত উল্লাহ ভাই । আপনার ভাল লেগেছ জেনে খুশি হলাম ।
২| ২১ শে জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ১১:২১
গ্রাম্যবালিকা বলেছেন: জানলাম।
২১ শে জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ১১:৩৯
না পারভীন বলেছেন: গ্রাম্যবালিকা আপা অনেক ধন্যবাদ । আপনার কবিতা ভাল লাগে । ভালো থাকবেন ।
৩| ২১ শে জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ১১:২৩
জীবনকেসি বলেছেন: ধন্যবাদ।
২১ শে জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ১১:৩৫
না পারভীন বলেছেন: আপনাকে ও ধন্যবাদ জীবনকেসি ভাই। ভাল থাকবেন ।
৪| ২১ শে জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ১১:৪৭
না পারভীন বলেছেন: জ্ঞান দেওয়া টাইপের পোস্ট যেন চিরতার রস । ভ্যানিলা ফ্লেবার মিশিয়ে দিলেও তিতা দূর করা যায়না ।
২৩ শে জানুয়ারি, ২০১৩ দুপুর ১২:৫৬
না পারভীন বলেছেন: হুম ।
৫| ২২ শে জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ১২:০৭
পলাশ০১৯১১ বলেছেন: ডাঃ নার্গিস খুব ভালো লাগলো লেখা পড়ে আমার জন্য খুব প্রয়োজনীয় পোষ্ট এটা। কারন আর মাত্র ২ মাস পর আমাদের একটা বাবু আসতেছে। দোয়া করবেন বাচ্চা এবং মায়ের জন্য।
২২ শে জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ১২:১৯
না পারভীন বলেছেন: ওহ দারুন । নিরাপদ ডেলিভারী ,সুস্থ মা ও সুস্থ শিশুর জন্য প্রার্থনা রইল ।
বুকের দুধ খাওয়ানোর সঠিক নিয়ম টি কি ? এই উত্তরটা লেখা হয়নি বিশেষ কারণে । এই প্রশ্নটি মাথায় রাখবেন ।
৬| ২৮ শে জানুয়ারি, ২০১৩ সকাল ১১:০৫
মুহাম্মদ জহিরুল ইসলাম বলেছেন: অনেক সুন্দর একটা পোস্ট আপু, জাজাকাল্লাহ খায়র...
আমাদের সবাইকে সচেতন হতে হবে, আলহামদুলিল্লাহ আমার দুই বাচ্চাই পরিপূর্ণভাবে বুকের দুধ খেয়েছে...
বুকের দুধ খাওয়ানো কি খুব কঠিন কাজ? তাহলে পোস্টে বুকের দুধ খাওয়ানোর সঠিক নিয়ম বলে দিন, প্রয়োজনে ছবি সহ... এতে অনেক মা উপকৃত হবেন...
২৮ শে জানুয়ারি, ২০১৩ দুপুর ২:৩৪
না পারভীন বলেছেন: ধন্যবাদ জানাই প্রথমে ।
আসলে বাংলাদেশে শিশু বুকের দুধ পাচ্ছেনা এটা সর্বাধিক বলা সমস্যা । নিয়মের হের ফের করে খাওয়ালে পাবেনা ।
আমরা পেসেন্ট বা তার হাসবেন্ডকে প্রয়োজনে যে কথা বলতে পারি , ব্লগে সেটা লিখলে হটকেক হয়ে যাবে । লুলীয় যেন না হয় ,পর্যাপ্ত ভাবতে হয় ।
আমার পোস্টের শিরোনামেই বুকের দুধ কথাটা নিয়ে আসতে পারলামনা । ছবি সহ প্রকাশ তো আরো অসম্ভব ।
৭| ২৯ শে জানুয়ারি, ২০১৩ বিকাল ৩:০৩
হাসান মাহবুব বলেছেন: +++++
২৯ শে জানুয়ারি, ২০১৩ বিকাল ৩:৩৩
না পারভীন বলেছেন: হা মা ভাই , অনেক ধন্যবাদ । আপনার দেয়া প্লাস আমাকে অনুপ্রাণিত করবে ।
৮| ২৯ শে জানুয়ারি, ২০১৩ বিকাল ৪:৪৪
কামরুল ইসলাম (সুমন) বলেছেন: ভালো লাগলো +++++++ আপনার ব্লগে আমারও প্রথম মন্তব্য।
২৯ শে জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ৮:৩৮
না পারভীন বলেছেন: কামরুল ইসলাম (সুমন) ভাই , আমি ও নতুন ব্লগে ।১ মাস ৩ সপ্তাহ এখন । আপনার মূল্যবান মন্তব্য আমাকে অনুপ্রাণিত করবে । অনেক অনেক ধন্যবাদ ।
পরের লেখা প্রকাশিত হলে পড়ার আমন্ত্রণ রইল । মূলত বিভিন্ন প্রচলিত ভুল ধারণা গুলো নিয়েই আমার লেখা ।
৯| ৩০ শে জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ১২:০৮
সপ্নাতুর আহসান বলেছেন: ++++++
৩০ শে জানুয়ারি, ২০১৩ সকাল ৭:৩১
না পারভীন বলেছেন: সপ্নাতুর আহসান ভাই , অনেক ধন্যবাদ ।পরের লেখা প্রকাশিত হলে পড়ার আমন্ত্রণ রইল ।
১০| ৩১ শে জানুয়ারি, ২০১৩ সকাল ১১:২১
শায়মা বলেছেন: হা হা আপুনি!!!
কি লিখে রেখেছো ব্লগের পাতায় ???
বুড়ি মানুষের ব্লগ!!!!
হা হা হা হাসতে হাসতে শেষ আমি!!!!!!!!!!!!!
আপুনিমনি অনেক ভালো লাগলো তোমার লেখাটা।
৩১ শে জানুয়ারি, ২০১৩ দুপুর ১:০৪
না পারভীন বলেছেন: হুম , জায়নামনির কথা পড়ে এসেছি , গোপনে লাইকও দিয়ে এলাম । গোছানো পরিপাটি লেখা । লিখতে এসে বুঝলাম , অন্যের বোধগম্য করে লেখা কতটা কঠিন । একটা ভাল কিছু লেখকের গুনেই আরও ভাল হয়ে ওঠে ।
শায়মা আপু ,তোমার মত লেখকের ভাল লেগেছে দেখে আমি যারপর নাই প্রীত ।
১১| ৩১ শে জানুয়ারি, ২০১৩ দুপুর ১:৫২
সিংহমামা বলেছেন: +++++++++
৩১ শে জানুয়ারি, ২০১৩ বিকাল ৫:৪৮
না পারভীন বলেছেন: কী ? ভাল লেগেছে পোস্ট টি ?
সিংহমামা , কষ্ট করে পড়েছেন এজন্য অনেক ধন্যবাদ ।
১২| ০১ লা ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ রাত ১:২৭
আরজু পনি বলেছেন:
===========
পোস্টটা একটু বড় তাই পড়া শুরু করে জানান দিয়ে গেলাম যে আসবো হয়তো নিয়মিতই
আপনিযে খুব সম্প্রতি প্রোপিক বদলেছেন তা কিন্তু আমার দৃষ্টি এড়ায় নি।
আপনার কাছে নিজের প্রয়োজনেই আসবো।
কেন?
http://arjupony.blogspot.com/ এই লিংকে আর এই লিংকে কিছুটা হলেও হিন্টস পাবেন। বাকীটা সময়ে সময়ে বলবো....আশা করি পাশে পাবো।।
০৩ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ রাত ৯:০৩
না পারভীন বলেছেন: পনি আপু , আপনাকে পেয়ে খুব ভাল লাগছে ।
১৩| ০১ লা ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ রাত ১:৪২
তারছেড়া লিমন বলেছেন: ভালো লাগলো +++++++
০৩ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ রাত ৮:৫৮
না পারভীন বলেছেন: ধন্যবাদ লিমন ভাই , আমি বেশ ভেবে ভেবে লিখাটি লিখলাম । ডাক্তারি লেখাগুলো সাধারণত বোরিং হয় । আমি নিজেই প্রয়োজন ছাড়া পড়িনা ।
+ যথেষ্ট অনুপ্রেরণা যোগাবে ।
১৪| ০৪ ঠা ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ সকাল ৭:১৩
এক্সট্রাটেরেস্ট্রিয়াল স্বর্ণা বলেছেন:
আপনি ডক্টর? তাহলে তো বিভিন্ন সমস্যার কথা আপনাকে জানাতে পারব?
কেমন আছেন? শুভ সকাল।
০৪ ঠা ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ বিকাল ৪:০৯
না পারভীন বলেছেন: বিভিন্ন সমস্যার কথা আপনাকে জানাতে পারব?
ছোট্ট আপু , স্বর্ণা, আমি অনেক বছর থেকে গাইনী অবস মানে স্ত্রীরোগ ও ধাত্রীবিদ্যা পড়ছি । এই বিষয় ছাড়া আমার অন্যান্য বিষয়ের জ্ঞান এম বিবিএস লেভেলে স্থির হয়ে আছে ।
আপনি কোন সমস্যায় অবশ্যই জানতে চাইতে পারেন ফেইস বুকের ম্যাসেজ অপশনে । অন্য মেইল এড্রেস আমি তেমন একটা খুলিনা ।
আপনার ব্লগ আমার অনেক ভাল লাগে ।অনেক ধন্যবাদ ।
১৫| ০৯ ই মার্চ, ২০১৩ বিকাল ৫:১০
একজন আরমান বলেছেন:
অনেক কিছু জানতে পারলাম, বিস্তারিতভাবে।
নাইম ও তার মায়ের জন্য শুভকামনা।
১৬| ০৯ ই মার্চ, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:১৫
না পারভীন বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা আরমান ভাই ।
১৭| ১৬ ই মে, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:৫৯
আমি ইহতিব বলেছেন: আপু মাঝে মাঝে খুব অবাক হই এই দেখে যে অনেক শিক্ষিত মায়েরা জেনে বুঝেও তার শিশুকে ছয় মাস বয়সের আগেই অন্য কৌটার দুধ খাওয়ান। এক্ষেত্রে তাদের যুক্তি হোল অন্যটা না খাওয়ালে বাইরে কোথাও নিয়ে গেলে তাদেরকে নাকি বিব্রতকর অবস্থায় পড়তে হয়। শুনে মনে মনে হাসি, বাচ্চার ভালোর চাইতে অন্য ঠুনকো কিছু বিষয় বেশী গুরুত্বপূর্ণ। আমি আমার বাচ্চাকে সাড়ে ৫ মাস বয়সের পর বাধ্য হয়ে অন্য খাবার দিয়েছি, কারন আমার ছুটি শেষ হয়ে আসছিলো।
১৬ ই মে, ২০১৩ রাত ৮:১৯
না পারভীন বলেছেন: ৫ মাসে দেয়া পোস্ট একই দিনে পড়ে শেষ ?
প্রচারেই প্রসার । বুকের দুধের তুলনায় অন্যদুধের মার্কেটিং বেশী তাই এ অবস্থা ।
প্রচার ( কাউন্শুসেলিং) রু করতে হয় প্রেগ্নেন্সী পিরিয়ড থেকে পরিবারের সকলকে ।
অনেক ধন্যবাদ আপু । অনেক সুন্দর সুন্দর মন্তব্য পেলাম । অনুপ্রেরণাও পেলাম ।
১৮| ২৬ শে মে, ২০১৩ রাত ১০:২৫
মুহাম্মদ জহিরুল ইসলাম বলেছেন: গতকাল আমার বউ এর মামাত ভাই এর বাচ্চাকে দেখতে গিয়েছিলাম। ১০ দিনের বাচ্চা এখনই বুকের দুধের জায়গায় বাইরের দুধ খেতে দিচ্ছেন !!
কারণ, বাচ্চা বুকের দুধ না পেয়ে কান্না কাটি করে, বাইরের দুধ দিলেই খেয়ে চুপ হয়ে যায় !! মা একজন অনার্স/মাস্টার্স পাশ উচ্চ শিক্ষিত মহিলা !!!
২৬ শে মে, ২০১৩ রাত ১১:৪৪
না পারভীন বলেছেন: ছোট বাচ্চার স্টোমাক ছোট , এরা ঘন ঘন খেতে চায় ,আর বাচ্চার ভাষা তো একটা ই , সেটা হল কান্না । আর মায়েরা বলে বাচ্চা দুধ পায়না তাই কান্না করে ।
প্রচুর কাউন্সেলিং আর বাক্য ব্যয় করা লাগে এক্সক্লুসিভ ব্রেস্ট ফিডিং শিশুর জন্য আদায় করতে ।
©somewhere in net ltd.
১| ২১ শে জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ১১:২০
মাওলানা এনায়েত উল্লাহ বলেছেন: ভালো লাগলো +++++++ আপনার ব্লগে আমার প্রথম মন্তব্যটা করলাম ।