নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
©ডাঃ নার্গিস পারভীন [email protected]স্বল্প, মাঝারি মাত্রার সংবেদন শীল মৌলিক লেখা I শিশুদের নাগালের বাহিরে রাখুন। পূর্বঅনুমতি ছাড়া কোথাও প্রকাশ করা যাবেনা ।
এই যে ম্যাডাম , এক কাপ চা কি হবে ?
বউ রুমে প্রবেশ করার সাথে সাথে বলল সরল , ল্যাপটপ থেকে মুখ না তুলেই ।
মিনা ও সাথে সাথেই বলল, "হবে , এই নাও ধর।"
ধোঁয়া তোলা গরম চা একেবারে চাহিবার আগেই পাওয়া ?
সরল চা নিতে গিয়ে দেখল জামাই কে অবাক করে দিতে পেরে বৌ হাসছে মিটিমিটি ।"
চা নিয়েই আসছিলাম ", হাসি প্রসারিত করে বলল মিনা ।
হাসির আভায় না চায়ের সুবাসে মনটা ভাল লাগায় ভরে গেল এই শীতের সকালে ।
সরলের বউ মিনা যেন মিনা কার্টুনের মিনার বড় ভার্শন । একটু কৃষ্ণ বর্ণের মিষ্টি দেখতে একটা মেয়ে । এদের এরেন্জড ম্যারেজ । ভালই লাগে জুটি টা দেখতে । তবে মনে হয় আম দুধ এখনো মিশে যায়নি । এখনো পারষ্পরিক বোঝাপড়ার স্টেজে আছে এই নিউলি ম্যারেড কাপোল ।
যাইহোক, চা টা অসাধারণ লাগল সরলের । লেবু আর মশলা দেয়া চা । এই সকালে জানালা দিয়ে আসা এক ফালি শীতের মিষ্টি রোদ মিনার মুখের উপর পড়ে আছে । অপূর্ব লাগলো বৌটাকে ।, পরিবেশে রোমান্টিকতা আরও বাড়িয়ে দিয়ে ল্যাপীতে বেজে যাচ্ছে ...
~~ সকালের সোনা সোনা রোদ~~
~~ সেই পথের ধুলোয় এসে ছড়িয়ে যাবে~~
~~ আমার দুচোখে বোনা~~
~~ বিবাগী স্বপ্নগুলো তোমাকেই খুঁজে পাবে ~~
সে মনে মনে বলল , আমার অর্ধাঙ্গিনীর সাথে মিট করার জন্য নিশি-দিন কি এক অসীম হাহাকার , ব্যাকুলতা আর হৃদয়ে শূন্যটার পাথরচাপা কষ্ট ছিল -কোথায় পৃথিবীর কোন কোণে লুকিয়ে থাকা শ্যামবর্ণের সাধারণ এই নারী অসাধারণ মহিমায় আমাকে পূর্ণ করে দিয়েছে ।
আমি যুগ যুগ যেন তোমার জন্য অপেক্ষা করেছি ,তোমাকে পেয়েছি ।জীবন কয় দিনের আর বল ।কোথাও যাবনা, বউ , সুখ খুঁজতে ।
আমি মনোগ্যামাস , স্ত্রৈণ ।
ভাগ্যিস জোরে বলেনি । মিনা হাসতে হাসতে গড়িয়ে পড়ত তাহলে ।আর নির্ঘাত তার হাতে গরম চা ভর্তি কাপটা সরলের গায়ের উপর পড়ত ।
বেরসিকের মত নিজের হাতের সেই কাপটা নিয়ে চলে যাওয়ার উপক্রম করতেই সরল বলল , "বস না । এখানে বসে খাও ।"
>আমার না , মা এর চা … মা কে দিয়ে আসি ,ঠাণ্ডা হয়ে যাবে না হলে ।
বউ এর পিছনে পিছনে সেও এসে গেল মায়ের কাছে । মায়ের কাছে এসেই বলল ," আম্মা, কি অবস্থা আপনার ?চা টা ভাল হয়েছে ।খেয়ে দেখেন । মিনার আদা চা । "
বউ প্রতি ছেলের আহ্লাদী দেখে মায়ের গা জ্বলে গেল । নির্লজ্জ ছেলে । একটা চটকণা মারা উচিত এই ছেলেকে ।সারাজীবন তোকে চা করে দিলাম , কই প্রশংসা তো করলিনা । তবুও মুখে বললেন ,
"হুম , কালার টাও সুন্দর আসছে ।"
মিনা কি বুঝল , কে জানে ।মিষ্টি গলায় বলল ,"এতো সামান্য চা , মায়ের মত রান্না কবে যে করতে পারব ? আমার খুব ভাল লাগে ।"
>> দেখতে হবে না আম্মাজান টা কার , বলল সরল ।
"তোমার রান্না ও ভাল হয় ",মা বললেন । মেয়েটা সাংঘাতিক চালাক আর বেয়াদব ।বুড়ো বয়সে আমাকে দিয়ে রান্না করিয়ে নেয়ার জন্য চালবাজ কথাবার্তা । আর গর্দভ ছেলেটা সব কিছুতেই বউ কে সাপোর্ট করছে ।
মিনা আর বসল না । একটা মাত্র ছুটির দিন । তার নিজেরই অনেকগুলো কাজ থাকে । সে নিজেদের রুমের দিকে গেল । জামাইটা অবশ্য চক্ষুলজ্জার কারণে এবার আর বউ কে অনুসরণ করলনা ।
তারপরের ঘটনা দ্রুত ঘটে গেল । বৌ কে লুকিয়ে বৌ এর নামে অভিযোগ করতে গিয়ে চোখে পানি চলে এলো,মায়ের অশ্রু সরলের মনে শেলের মত বিঁধল ।
মেজাজ খারাপ করে কাউকে কিছু না বলে ঘর ছেড়ে রাস্তায় বের হয়ে এলো ।সঙ্গে সঙ্গেই বড়বোনের ফোন । "এই, তুই কই বাসায় আয় ।"
জরুরী তলব । গলার মধ্যে ঝাড়ি ঝাড়ি ভাব । সরলের সিক্সথ সেন্স বললো যেওনা ,যেওনা ।
তবু চিরকালীন আদেশ পালনে অভ্যস্ত পা দুটি দিয়ে হাঁটতে হাঁটতে সে বোনের বাসায় পৌঁছে গেল ।
তার বোন কাছেই থাকে ।
ওদের বিল্ডিং এর গায়ের সাথে লাগানো একটা বিল্ডিং উঠছে । দুনিয়ার আওয়াজ , প্রচণ্ড শব্দ দূষণ , তাদের বাসা পর্যন্ত । সেই সংগে বোনের অগ্নিমূর্তি ...
> তুই কিরে ,বিয়ে করতে না করতেই তুই বৌ এর আঁচল ধরা হয়ে গেলি?
কালো বউ এর এমন তো কোন রুপসৌন্দর্য ও দেখিনা। কিভাবে তোকে এমন ভেড়া বানাইল ?
তোর বৌ আসলে কি চায় ? আলাদা সংসার ?
আমার মায়ের মত মায়ের সাথে যদি মিলে চলতে না পারে তো কার সাথে মিলে চলবে ।
আজকেও আম্মা কাঁদতে কাঁদতে ফোন দিল । ২ দিন পর পর একই কাহিনী ।
বৌ এর বাপের বাড়ি এমন কিছু না যে সে এমন ডাঁট দেখায় ।
আর তোকে ও তারা এমন কিছু দেয় নাই বিয়ের সময়।
আরে মেয়ের বাবা মেয়ের সুখের জন্য গিফট তো দিবেই , এতো বলে দেয়া লাগে না ।
বাচ্চাদের স্কুলের ভাবীরা আমাকে জিজ্ঞেস করে , মেয়ের বাপের বাড়ী থেকে কি দিল , আমি কিছু বলতে পারিনা ।বিরাট লজ্জায় পড়া লাগে ।
এই বয়সে ঝাড়ি খেয়ে মনটা যথেষ্ট খারাপ হয়ে গেল সরলের ।সে ভাবল ,বিয়েটা যৌতুক মুক্ত , বিয়ের সময় এটা বলাই ছিল । আমরা যৌতুক নিয়ে বিয়ে করি না , এটা কি লজ্জার ?আজ কাল ভাল কাজ করাই দেখা যাচ্ছে লজ্জার বিষয় ।
এই কথা বললে তো আগুনে ঘৃতাহুতি দেয়ার মত ব্যাপার ঘটে যাবে । তাই চুপ করে থাকাটাই শ্রেয় মনে হল ।
ঝাড়ি পর্ব শেষ হইছে কিনা বুঝার আগেই দুলাভাই আসল ।
" আসসালামু-আলাইকুম ভাইয়া ,কি খবর, ভাল আছেন ?"রিফলেক্সলি বলে উঠল সে ।
ওয়ালাইকুম আস সালাম ,আছি ভালই ,একেবারে ডুমুরের ফুল হয়ে গেছো ..বিয়ের পর ।সেইসাথে ইঙ্গিতময় হাসি হাসলেন ,দুলাভাই কিন্তু পূর্বের বকাঝকার এফেক্ট না কাটার জন্য সরল হাসতে পারলনা ।তার ঠোঁটের অভিব্যক্তিতে মনে হল যেন শীতে তার ঠোঁট ফেটে গেছে , এই মুহূর্তে তাকে লিপ-জেল ধার দেয়া উচিত ।
কিহে মুখ শুকনা কেন ? বলেই মূল প্রসঙ্গে চলে গেলেন ।
ভাইয়ার কথা শুনে ভাবতে লাগল ,আজ কি জাতীয় জ্ঞান দান ও ঝাড়ি দিবস নাকি ?
"বুঝলা , খোদার পরেই মা । মায়ের পায়ের নীচে সন্তানের বেহেস্ত । তোমাকে বুঝতে হবে মা বড় না বৌ বড় । আরেকটা কথা ,বৌ গেলে বৌ
পাবে, মা গেলে মা পাবেনা হাজার সাধন করে । "
ধম ধম শব্দগুলো যেন বেড়ে গেল । ভাইয়া একটু থেমে বললেন ,
" তখনই কইছিলাম ,চাকরিজীবী বিয়ে কইর না ।
এরা কাওরে দাম দিতে চায়না ।
তোমরা তো কথাটা, আমলে নিলানা । আমার বস তার ভাগ্নির জন্য তোমার ব্যাপারে ইন্টারেস্টেড ছিল । ফ্ল্যাট দিতে চাইল তারা ।
এখানে বিয়ে করে কি পাইলা বল ?এখনো কিন্তু মেয়েটার বিয়ে হয়নি । নাও, চা খাও । "
চা দিয়ে গেল ।খাওয়ার ইচ্ছা ছিল না । তবুও মুখে দেয়ার সাথে সাথে বুঝল , চা টা আগুন গরম । জিহ্বা পুড়েই গেছে মনে হয় । চা খাদ্যনালী ধরে পাকস্থলী পর্যন্ত যে পোড়াতে পোড়াতে নামল এটাও টের পেল ।
সরল বুঝল ,ভাইয়া বেশ হোম-ওয়ার্ক করেছে কথাগুলো শুনানোর জন্য মা রিলেটেড যত গুলো বাণী জানে সব এক জায়গায় করেছে ।
এখনো কিন্তু মেয়েটার বিয়ে হয়নি ।এই কথাটার অর্থ কি ?
নিজেকেই দোষ দিতে লাগল ,আগেইতো মন টানেনি ,তবু যাওয়া কেন ? বিয়ে না করে চিরকুমার থাকাই ভাল ছিল ।অস্থির অনুভব করতে থাকে ।
আজকে বাসায় গিয়ে অবশ্যই মিনা কে কিছু একটা বলবে ।
আহারে, এত সুন্দর একটা সম্পর্কে ঝগড়া শুরু হবে আজ থেকে। যেভাবে হন হন করে যাচ্ছ রিকশার নিচে পড়ার সমূহ সম্ভাবনা আছে । একটা রিকশা এসে খেঁচ করে শব্দ তুলে ব্রেক কষে থেমে গেল একেবারে পায়ের কাছে । রিকশা আলা হয়ত এখুনি বলত , কি দেইখা পথ চলতারেন্না ? তার আগেই সরল বলল,"মামা ,যাবে সামনে?"
কে যেন ডাকছে মনে হল । সরল যেন কোন এক জগত থেকে বাস্তবে ফিরে এলো ।সে দেখল তার অবস্থান এখন ৪ নং সেক্টরে । লেকের গেটের সামনে দাঁড়িয়ে তার বোজম ফ্রেন্ড, নাসিম , তাকে ডাকছে ।
>> থাম ,থাম রিকশা ।
ভাড়া দিয়ে নেমে এলো ।
> অনেকদিন পর দেখা ।তোর নতুন কোন গুড নিউজ আছে? দন্ত বিকশিত করে ক্লোজ আপ টাইপের হাসি দিয়ে বলল নাসিম ।
এখানেও শব্দ তুলে মেশিনে আখের বের করছিল । তাই হয়ত ভাল মত শুনতে পায়নি সরল।
সে বলল , "কী ? "
> গাধা ,নতুন মেম্বার আসবে টাসবেনি ?
>> ও এই কথা ? আমি মরি আমার কষ্টে ...
> কি হইছে তোর ? আচ্ছা ,চল চল একটু লেকের পাড়ে বসি …বহুদিন পর দেখা ..বিয়ে করে তুই তো আরও সুন্দর হয়ে গেছিস ? বউ কি নিয়ম করে ফেয়ার এন্ড লাভলী লাগায় দেয়নি ?
> দেখ , রসিকতা বাদ দে ...ঝাড়ি খেয়ে মেজাজ মর্জি খারাপ , এমনিতেই ।
>> কি হইছে বলত ?
>একদিকে সারাদিন অফিসে দুনিয়ার কাজের চাপ ।বেসরকারি জব দিনের সব প্রাণ শক্তি অফিস আখের রস বের করার মত বের করে রেখে দেয় ,একটা মাত্র ছুটির দিন এই শুক্রবার ,কিন্তু বাসায় অশান্তি ,একেবারেই মাথা-নষ্ট অবস্থা ।
নাসিমের চাপাচাপিতে তারপর সরল রেখে ঢেকে কিছুটা বলল ।
> তোর বৌ না চাকরি করে ? ঝামেলা করার টাইম পায় কখন ?
>> আল্লাহই জানে। আম্মার মতো মানুষ হয় বল ? তা ও যদি এত প্রবলেম হয় ?
> আন্টি আসলে কি বলে ?
>> আপার কাছ থেকে শুনলাম আম্মা নাকি প্রায়ই মিনার ব্যবহারে কান্নাকাটি করে । আম্মার শরীরও ভাল না । হাত পা জ্বালাপোড়া ।
> আচ্ছা ,ওনার ঘুম ক্যামন ?
>> রাত জেগে বসে থাকে । নামাজ পড়ে। বলে, ঘুম আসেনা ।কুরআন শরীফ পড়ে । প্রায়ই শুনি রোজা রাখে ।আমি কি করব ? আম্মা আমার উপরও খিটখিটে হয়ে গেছে । :-<
> শুন খালাম্মার বয়স কত ৪৬ ,৪৭ তো হবেই না ? ৫০ ও হতে পারে ।
>> হ্যাঁ ,এমনই ।
শূন্য দৃষ্টিতে সামনে তাকাল । এই লেকটাকে পুকুর বলাই ভাল ।
। কয়েকটা হাঁস পুকুরে নেমে গেল নিঃশব্দে । শহরে পানিতে হাঁস ঘুরে বেড়াচ্ছে খুব একটা কমন দৃশ্য না , বরং বলা চলে খুবই আন কমন ।
সরল আরও অবাক হয়ে গেল ,যখন দেখল, একটা মা হাঁস বেশ কত গুলো ছানা নিয়ে পানিতে নেমে এলো । ছানা গুলো ছোট্ট চিঁ চিঁ করে ননস্টপ শব্দ করে যাচ্ছে ।
মনে হয় কেয়ার টেকারের হাঁস ।
মা হাঁস টা নিজে খাচ্ছেনা , খাবার খুঁজে দিচ্ছে আর ছানা গুলো খাচ্ছে ।
নাসিম ও খেয়াল করল । তার পর বলল ,
> মা একটা আলাদা জিনিস রে ভাই । আলাদা কিছু থাকে এদের শরীরে । বিস্ময় কর এক গ্রুপ ।
একটা মেয়েকে মা হবার জন্য তৈরি করতে প্রকৃতি বিরাট কর্মযজ্ঞ হাতে নেয় রে । নানা রকম হরমোন আসে শরীরে তার একটা হল ইস্ট্রোজেন ।
সর্বংসহা ,ধৈর্যশীল ,ঠান্ডা মাথার না হলে ,এত কষ্টের গর্ভধারণ , সন্তান জন্মদান , রাত জেগে বসে থাকা ,সন্তান বড় করে তোলা , স্বামীর যত্ন নেয়া , সংসার দেখা সব যেন দশভুজা দুর্গার মতো সামাল দেয়া সম্ভব হত না ।
কিন্তু জীবনের একটা সময়ে এসে শেষ হয় সন্তান ধারণ ক্ষমতা । প্রকৃতিও তুলে নেয় ইস্ট্রোজেন । যে হরমোন টা সারাজীবন ওনাকে কষ্টসহিষ্ণু মেয়েলি ধৈর্য দিচ্ছিল, ব্রেইন এতেই অভ্যস্থ ছিল । তাই
ব্রেইনের হাইপোথ্যালামাসে এর অভাব মনোজগতে বিচিত্র পরিবর্তন ঘটিয়ে দেয় । এই মা যেন এক অচেনা মা । তৈরী হয় মেনোপজের পরবর্তী সময়ের মুড চেইঞ্জ ।
ঘুম কমে যায় । সবসময় হতাশা লাগে,বিষণ্ণতায় ভুগে ,মেজাজ খিটখিটে হয়ে যায় ।ভুলো-মনা হয়ে যায়।অল্পতেই চোখে পানি চলে আসে ।
নিজেকে খুব অবহেলিত লাগে ।ছেলে বিয়ে করে ফেললো ..ছেলেটা বৌ এর হয়ে গেলো এই ভাবনা থেকে নিরাপত্তা হীনতায়ও ভুগে । কর্তৃত্ব , আধিপত্য সব বুঝি গেল । হীনমন্যতায় ভুগে ।
প্রভাব পড়ে সম্পর্ক গুলোর উপর । সহজে মনে কষ্ট পান ।
২ দিনের পুচকে মেয়ের কাছে নিজেকে হেরে যাওয়া হেরে যাওয়া লাগে । যদিও এগুলো অবান্তর ভাবনা । মা তো মা-ই , মায়ের জায়গা কেউ কি নিতে পারে ?
>> হতে পারে ,আমি বৌকে একটা শাড়ি কিনে দিলাম আম্মা কেমন জানি মন খারাপ করলেন । কিন্তু ২ দিন আগেই কিন্তু আম্মাকে কিনে দিয়ে ছিলাম ,আম্মার সেটা মনে নাই , নাকি আম্মা ভাবল ,বউ এর শাড়িটা বেশী সুন্দর , কি জানি !
কিন্তু তুই এগুলি জানলি কিভাবে ?
> বুঝছি আমি যে একজন ডাক্তার ,এটা আপনার মনে নাই । এবার রোগটা যে ডায়াগনোসিস করে দিলাম এজন্য ভিজিট টা বাহির করেন তাহলে মনে পড়বে ।
>>আরে ধুর আমি জানতে চাচ্ছি তুই তো
মহিলাদের ডাক্তার না , এই সমস্যার কথা জানলি ক্যামনে?
> আরে আমার মাও ভুগতেছিল । আম্মাতো আগে থেকেই রাগী ছিল ; আরও রাগ বেড়ে গেলো কোন ছোটখাটো সমস্যায় পুরা অস্থির …টেনশন দুশ্চিন্তা …
এফেক্ট পড়ছিল আমাদের উপর
আব্বার সাথে রাগারাগি
ছোটনের উপর মনে কষ্ট ,
কান্নাকাটি হৈ চৈ
ডাক্তারের কাছে নিয়ে গেলাম । ডাক্তার আরও পরীক্ষা করে ঔষধ দিলেন ..এখন অনেক ভাল ।
>>কি আন্টির ও ?
>মহিলারা এমনিতেই অবহেলিত ,শরীরের খোঁজ রাখে কয়জন তাও আবার মনের খোঁজ । অনেকসময় সামান্য ঔষধ পত্র আর জীবনযাত্রায় সামান্য পরিবর্তন ম্যাজিকের মত কাজ করে । আন্টিরও একই প্রবলেম হচ্ছে ।
তবে মেয়েরা নিজেরাই জানেনা ...তাদের জীবনের এই মানুষিক পরিবর্তনের কথা ।
ফিজিক্যাল প্রবলেমও আসে । প্রেশার বাড়ে , হাড়ে ব্যথা করে , হাড় ভেঙ্গে যায় ।
>> এতক্ষণ ঝাড়ি আর উপদেশবাণী শুনতে শুনতে মনটা ভয়ংকর খারাপ হয়ে গেছিল ।
এই আপা আর দুলাভাই একজায়গার পানি আরেক জায়গায় নিয়ে গেছে ।আমার উপর দিয়ে তো এই গেল মিনাকে হাতের কাছে পেলে কি যে করত !!
আম্মার মানুষিক অবস্থা আসলে ই খারাপ , না হলে আম্মাকে আমি কাঁদতে দেখিনি , আম্মার কান্না দেখে আমারও মাথা খারাপ লাগছিল ।
তাহলে তুই বলছিস এখন থেকে কেয়ার নিলে আমার আম্মার কষ্ট একটু কমবে ?
> ইনশাআল্লাহ । তবে তোর বোন আর আম্মা সারাদিন ফোনে ফোনে বউ এর গীবত করে বুঝাই যাচ্ছে ।
আমার মনে হয় মহিলাদের শারীরিক মানুষিক এই অবস্থাটার সুযোগ নেয় শয়তান । অত্যন্ত ভঙ্গুর হৃদয়টায় পরচর্চার মাধ্যমে শান্তি খোঁজার পথ দেখায় ।
কিন্তু আন্টির মনে অল্প কষ্ট থাকলেও সেগুলি আরও বেড়ে যায় । তিল হয়ে যায় তাল ।মা তো অনেকের উপরই মনঃকষ্ট পায় কিন্তু বলির পাঁঠা হয় বউ । ছোট খাট দোষ থাকলেও মার্জনা পায়না বরং আরও দোষ বের করে বউ এর ।
শেষ পর্যন্ত বউ পাশে কেউ থাকেনা । কারণ মা কে সবাই বিশ্বাস করে । মায়ের কথাই কিন্তু প্রায়োরিটি পায় ।গীবত একটা সামাজিক সমস্যা । এই পরচর্চার ফলে অনেক সুন্দর সংসার ভেঙ্গে যায় ।
দেখ সমাধান বের আচ্ছা ,তোর বউ এর কথা তো শুনলাম না কিছু … নালিস জানায় নাই ?
>> সে আর আমি দুইজনেই অফিসে থাকি রাত ছাড়া দেখাই হয়না …তাই হয়ত কিছু জানায় নি
> জানাতে চাইলে ফোনেও জানাতে পারতো । আমার মনে হয় ,ভাবি জানেই না , তার উপর যে সবাই এত রাগ ।
আচ্ছা, এই যে পরের একটা মেয়ে নিয়ে এলি তার কি সুবিধা অসুবিধা দেখাও তোর দায়িত্ব । যে মায়ের প্রতি কর্তব্য আছে তেমনি বৌও ইর্ম্পটেন্ট ।
>> ভালই হইছে তোর সাথে দেখা হয়ে । বউ এর উপর এত মেজাজ খারাপ হইছিল ..বাসাই গিয়েই কিছু বলে ফেলতাম হয়ত ।
> ভাবী তো ভাল মানুষ । ওনাকেও ব্যাপারটা বুঝিয়ে বল, তাকেও এক সময় এই সময়ের মুখোমুখি হতে হবে । দুজনে মিলে সমস্যা সমাধান কর ।
সঙ্গী র জন্য কত শত অখাদ্য কুখাদ্য গান কবিতা লিখে গেলি তাকে পেয়ে গেলে এত উদাসীনতা ঠিক না ।
স্বামীদের উদাসীনতার কারণে পরিবারের অন্যান্য সদস্যরা বউকে মানুষিক যাতনা দেয় বুঝছ মামা
লেকের পাড়ে শীতের ফুল গাছ লাগানো । নানা রং এর কসমস আর ডালিয়া বেশ সুন্দর লাগছে । হালকা শীতের বাতাসে আমের মুকুলের মিষ্টি গন্ধ । বসন্তের আগমনী বার্তা ।ভাল লাগছে এখন সরলের । ঘাসের উপর শিশির গুলোর উপর রোদ পড়ে চক চক করছে । অনেকদিন "দেখা হয় নাই চক্ষু মেলিয়া "এই সব দৃশ্য। জুতা খুলে ফেলল সরল ।
>> দোস্ত অনেকদিন শিশির ভেজা ঘাসে হাঁটি নারে । আজ শিশিরের নিমন্ত্রণ অগ্রাহ্য করতে পারছিনা ।
> আমিও পারছিনা রে । আমিও হাঁটবো ।
এটা গল্প । কিন্তু বাংলার ঘরে ঘরে আছে সরল , মিনা আর মা ।বাস্তবে কি ঘটেছে ?
নাসিম নামের এই ডাক্তার বন্ধুটির সাথে সাথে সরলের দেখা হয়না । জানাও হয়না এত কিছু । সেই ইসট্রোজেনের অভাব নিয়ন্ত্রণ করে সম্পর্কের সুতো ।দিনে দিনে জটিল থেকে জটিলতর হয় তাদের সমস্যা গুলো ।
কখনো কখনো ভালবাসা নামের পাখিটির ডানার পালক পুড়তে পুড়তে সে আর উড়তে পারেনা । তৈরি হয় বন্ধুত্ব হীন কয়েকটি সম্পর্ক ।
সন্তান হয় সরল ও মিনার ।এক সময় সন্তানের মুখের দিকে তাকিয়ে অশান্তিকর ও কষ্টদায়ক সংসারে মিনা রা পড়ে থাকে । কখনও হয়ত তাও রক্ষা করা যায়না ।বোন , মা আর সরল তাড়িয়ে দেয় মিনাকে । কখনও ক্রমাগত অসন্তোষ জমতে জমতে , যৌতুক টৌতুক আরও না পাওয়া যুক্ত হতে হতে মিনা কে মেরেই ফেলে কোন এক সরল ও তার মা । পত্রিকার শিরোনাম হয় মিনা ।
আবার উল্টোটাও ঘটে । মা কে ছেড়ে যায় সরল মিনা ।
মায়েরই আশ্রয় হয় বৃদ্ধ নিবাসে । মা হয়ে যায় আরো একা ।
আবার কেউ কেউ সব দিক সুন্দর করে হেন্ডেল করে স্বর্গ গড়ে । গল্পের সরল কি বেছে নেবে ?
মায়ের এই দিক তার অজানা ছিল । সে স্বর্গ গড়বে ।
___
০৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ দুপুর ১:৫৭
না পারভীন বলেছেন: ভাল লাগা বা সমালোচনার সাক্ষর রেখে যাওয়ার জন্য ও কৃতজ্ঞতা
২| ০৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ সকাল ৮:২২
অন্ধ দাঁড়কাক বলেছেন: খুবি চমৎকার লিখেছেন
০৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ সকাল ৯:১২
না পারভীন বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ কাক ভাই ।
৩| ০৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ সকাল ৮:৪২
আহসান২০২০ বলেছেন: আমার মনে হয় এই একই সমস্যা বাংলার ঘরে ঘরে বিরাজমান। ঘরের কথা না বলি।
০৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ সকাল ১১:১৩
না পারভীন বলেছেন: জানি , ঘরে নতুন বউ
৪| ০৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ সকাল ৮:৪৩
তোমার গল্পের মৃত রাজকন্যা বলেছেন: ++ আপু
০৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ সকাল ১১:১৬
না পারভীন বলেছেন: রাজকন্যা , বেঁচে ওঠো
অনেক ধন্যবাদ আপনাকে ।
৫| ০৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ সকাল ৮:৪৬
লেজ কাটা শেয়াল বলেছেন: :O
০৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ সকাল ১১:১৮
না পারভীন বলেছেন: শেয়াল মামা , কি হলো?
৬| ০৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ সকাল ৮:৪৭
টিনের চশমা বলেছেন: সুন্দর হয়েছে ++
০৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ সকাল ১১:২১
না পারভীন বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ চশমা ভাই ।
৭| ০৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ সকাল ৮:৪৮
মেলবোর্ন বলেছেন: খাইসে চিন্তায় ফেলে দিলেন তো বৈকে কি এই লিখা পড়তে দিব না নিজেই মুখস্ত করবো বুঝতাসিনা? গল্পের মত মাঝামাঝি এক সমস্যায় আমরা আছি আশাকরি একদিন সব ঠিক হবে ঠিক হতেই হবে কারন সমাধানটা তো জানা হয়ে গেল
০৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ সকাল ১১:২৩
না পারভীন বলেছেন: মেলবোর্ন ভাই , ধন্যবাদ । ভাল লাগলো ।
৮| ০৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ সকাল ৮:৪৯
তোমোদাচি বলেছেন: গল্প ছলে সুন্দর একটা বিষয় তুলে ধরেছেন।
এ সমস্যাটা প্রায় প্রতি ঘরে, সমাধান খুব জটিল!
আপনার লেখা ভাল লাগল।
সাধারণত এত বড় লেখা পড়িনা এটা পড়তে পড়তে আর থামতে পারলাম না।
ধন্যবাদ !
০৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ সকাল ১১:২৬
না পারভীন বলেছেন: তোমোদাচি ভাই , প্রশংসা মন ছুঁয়ে গেল ।
৯| ০৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ সকাল ৮:৫০
ধৈঞ্চা বলেছেন: বউ এবং মা`কে নিয়ে সংসারে যে কম্প্লেক্সিটি তৈরী হয় সেট নতুন কিছু না বরং অনেক পূরাতণ একটা সমস্যা। বয়সগত কারণ বা হরমোন সমস্যার কারনে মায়েদের আচরণ পূর্বে যেরকম ছিল তা আজও আছে কিন্তু পূর্বে সংসারে এত অশান্তির রেকর্ড ছিল না যা বর্তমানে ব্যাপক আকার ধারণ করেছে।
কারণ একটাই, বর্তমান বউদের আচরণগত ব্যাপক পরিবর্তন হয়েছে, তারা নিজের পরিবারের (বাবা-মা) বয়স্ক ব্যাক্তি ছাড়া নতুন কাউকে আপন করে নিতে চায় না। এর মধ্যে যদি ফাইনেন্সিয়াল সলভেন্সী থাকে তাহলেতো কথাই নেই। মেয়েরা বিয়ের জন্য ছেলে পছন্দের ব্যাপারে বাবা-মা থেকে ডিটাষ্ট, এতিম ও এষ্টাবলিষ্ট ছেলে বেশি পছন্দ করে। সমস্যা সৃষ্টের জন্য ছেলের মা যতটা দায়ী তারচেয়ে অনেক বেশী দায়ী ছেলের বউ।
০৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ সকাল ১১:৪০
না পারভীন বলেছেন: সসস্যা ,দুই পক্ষ থেকেই হতে পারে । ধন্যবাদ ধৈঞ্চা ভাই
১০| ০৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ সকাল ৯:৩০
ইমরাজ কবির মুন বলেছেন:
চমৎকার লিখা ||
০৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ সকাল ১১:৪২
না পারভীন বলেছেন: মুন ভাই , ধন্যবাদ
১১| ০৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ সকাল ১০:৩২
খেয়া ঘাট বলেছেন: চমৎকার একটা লিখা পড়লাম।
প্রতিটি মা চায় তার মেয়েকে মেয়ে জামাই খুব আদর করুক , সুখে রাখুক।
আবার নিজের ঘরে যখন ছেলে বউ আসে তখন ঐ মেয়েকে ছেলে আদরে রাখলে মা সেটা কেন যেন চায়না।
একদিকে মায়ের প্রতি সন্তানের দায়িত্ব, কর্তব্য আর ভালোবাসা অন্যদিকে একটা পরের মেয়ে যে সবকিছু ছেড়ে নতুন এক জায়গায় চলে আসলো তার প্রতি একটু খেয়াল রাখা- এ দু জায়গায় সামন্জস্য বজায় রাখতে ছেলের শুরু হয় মনস্তাত্তিক যন্ত্রণা।
মা যদি বউকে মেয়ে মনে করতে পারে আর বউ যদি শাশুড়িকে মা মনে করতে পারে -তবেই সেটা সুখের স্বর্গ , না হয় সংসার এক ভয়ানক নরক।
০৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ সকাল ১১:৫৬
না পারভীন বলেছেন: একমত ,খেয়া ঘাট ভাই
ধন্যবাদ সুন্দর কথা গুলোর জন্য
১২| ০৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ সকাল ১১:০২
দূঃখ বিলাসী বলেছেন: ভালো লাগলো ধন্যবাদ।
সংসারে পরচর্চা আর অন্যের কথায় কান দেয়া অশান্তির অন্যতম কারন।মায়ের বয়স এবং হরমনের কারনে নিজেকে নিয়িন্ত্রনের ক্ষমতা না থাকলে ও ছেলে,ছেলের বউ,ননদ,দেবরের ভূমিকা অনেক মাকে বুঝা ও বুঝানোর ক্ষেত্রে।
০৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ রাত ৮:২৯
না পারভীন বলেছেন: নিয়ন্ত্রন করা যায় , সামান্য চিকিৎসা করলে ।
সমস্যাটা এমন ভাবে মিশানো থাকে আগে থেকে তথ্যটি না জানা থাকলে অন্যরা বুঝে উঠেন কি হল ।
বিলাসী আপু ,ধন্যবাদ
১৩| ০৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ সকাল ১১:১৪
মনিরা সুলতানা বলেছেন: আপু আপনার লেখার অপেক্ষায় ছিলাম ...
বরাবর এর মত ... খুব বেশি কমন প্রব্লেম নিয়ে আন- কমন লেখা লিখেছেন , সমাধান সহ ...
অনেক ভাল লাগল , অনেক ভাল থাকুন অনেক লিখুন ... যাতে সবাই ভাল থাকতে পারে ...
০৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ দুপুর ১২:১০
না পারভীন বলেছেন: মনিরা আপু , প্রশংসা মন ছুঁয়ে গেল ।
১৪| ০৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ দুপুর ১২:৩৭
শায়মা বলেছেন: অনেক অনেক ভালোলাগা আপুনি!
০৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ দুপুর ১:৫৩
না পারভীন বলেছেন: ধন্যবাদ আর অনুপ্রেরণা পেলাম শায়মা আপু
১৫| ০৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ দুপুর ২:১১
একজন ঘূণপোকা বলেছেন: অনেক ভাল লাগল। চমৎকার।
০৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ বিকাল ৪:৫৮
না পারভীন বলেছেন: ধন্যবাদ ঘূণপোকা ভাই
১৬| ০৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ বিকাল ৫:০৪
চেয়ারম্যান০০৭ বলেছেন: চমৎকার ভাবে গল্পের আদলে একটা সমস্যা এবং এর সমাধান দেখিয়ে দিলেন।সুন্দর লেখা।+
০৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ বিকাল ৫:১৩
না পারভীন বলেছেন: ধন্যবাদ পুরস্কারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান ভাই
১৭| ১০ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ দুপুর ২:২৩
হাসান মাহবুব বলেছেন: +++++
১০ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ বিকাল ৩:০৯
না পারভীন বলেছেন: ভাইয়া ,আপনার ব্লগে যাই প্রতিদিন । প্রতিটি লেখাই অসাধারণ ভাষা, নতুন ভাবনার মিশ্রণে মেধাবী ও পরিশ্রমী ফসল ।
এই + নিঃসন্দেহে নতুন লেখকের প্রতি আপনার দায়িত্বশীল মনের পরিচয় বহন করে ।
ধন্যবাদ । ভালো থাকবেন ।
১৮| ১০ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:৩১
খান মেহেদী ইমাম বলেছেন: আপু আপনার গল্পটা অনেক ভাল লাগল। তবে আপু আত্মীয়রা জীবন এ অশান্তির জন্য খুব গুরুতপুন্য ভূমিকা পালন করে। আমি বিয়ে করেনি কিন্তু আত্মীয়দের জন্য আমি জীবনে অনেক মাশুল দিয়েছি তাই এখন কাউকেই ছার দেই না। ফ্যমিলি পলেটিক্স অনেক ভয়ানক জিনিস।
১০ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:৫৪
না পারভীন বলেছেন: " ফ্যমিলি পলেটিক্স " কথাটা খুব ভাল লেগেছে । মেহেদী ভাই , আপনাকে সালাম ।
আমার মনে হচ্ছে আপনার কাছে বউ , মা দুজনেই ভাল থাকবে ।সেই প্রার্থনা রইল ।
১৯| ২০ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ সকাল ১০:১৩
খেয়া ঘাট বলেছেন: মোস্ট পাওয়ারফুল টেলিপ্যাথি ,"তোমরা আমাকে ডাক , আমি তোমাদের ডাকে সাড়া দিব ( আল কুরআন )"---শরীরের সব রোম খাড়া হয়ে গেলো।
মনটা যেন কোথায় হারিয়ে গেলো- লাইনটি পড়ে। ভাবছি, ভাবছি আর ভাবছি।
২০ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ সকাল ১১:৩২
না পারভীন বলেছেন: মানুষের জীবন ,মৃত্যু ,প্রচুর রক্ত ক্ষরণ , সব কিছুর পাশে দাঁড়িয়ে যখন প্রে করি , প্লিজ হেল্প দ্য পুওর লেডি , হেল্প দ্য বেবী অ্যান্ড হেল্প মি ।
তাঁকে পাশে পাই । প্রমাণিত সত্য ।
২০| ২২ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ দুপুর ২:০৭
রুদ্র মানব বলেছেন: ইস্ট্রোজেন ৫০ বছরের বেশি হলেই কমতে থাকে নাকি মহিলাদের ??? চিকিৎসা কি এই রোগের ???
বাই দ্যা ওয়ে গল্পটা বাস্তবতার ছায়া মিশ্রিত । তাই বেশ ভাল লাগলো
২২ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ দুপুর ২:৫৫
না পারভীন বলেছেন: 46 -51 years is age of menopause .
এখানে মূলত মুড চেঞ্জ নিয়ে আলোচিত হয়েছে ।
এর চিকিৎসা ভারী ধরনের না হলেও মায়ের না বলা অনেক ধরনের সমস্যা হয় , হরমোন দেয়া লাগে , ক্যালসিয়াম দেয়া লাগে । ডাঃ বুঝেনিবেন যে কি দেয়া লাগবে ।
অনেক ধন্যবাদ ,রুদ্র ভাই । এই গল্পে নাসিমের আগমন ছাড়া সবই সত্য । এখাকার মা__আমাদেরই কারো মা , কারো শাশুড়ি ।
২১| ২২ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ বিকাল ৩:১২
রুদ্র মানব বলেছেন: আমার গল্প পড়ে আমার নিজেরই অনেক লাভ হল । আমার ফুপাতো ভাই সেম প্রবলেমে আছেন । দেখি উনাকে হেল্প করতে পারি কি না , সংসারে টানাপোড়ান চলছে তাদের ।
আপনি গল্প লিখা চালিয়ে যান , আপনার দুটি গল্পপরেই অনুসরণে নিলাম । ভাল থাকবেন
২২ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ বিকাল ৩:৪২
না পারভীন বলেছেন: এগুলো সবই চিরতা সিরিজ
অনুসরণে ? লজ্জিত অনুভব করছি ।
আপনিও ভাল থাকবেন
২২| ১০ ই মার্চ, ২০১৩ সকাল ৯:২৭
কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:
খুব কম গল্প আছে যেগুলো পড়ে ভাল লাগে তার মধ্যে এই গল্পটি একটি। আপনার লেখনি খুব শক্তিশালী একে কখনো অযত্ন করবেন না।
২০ শে মার্চ, ২০১৩ সকাল ৮:১০
না পারভীন বলেছেন: রিয়েলি ?
আপনার বদান্যতায় ভাল লেগেছে ।
এটা ২ মাস ধরে লিখেছি । তার আগে ২ বছর ধরে ভেবেছি ।
২৩| ১০ ই মার্চ, ২০১৩ সকাল ৯:৪৫
সবুজ ভীমরুল বলেছেন: apatoto dekhlam. pore montobbo korbbo.
২০ শে মার্চ, ২০১৩ সকাল ৮:১২
না পারভীন বলেছেন: মন্তব্য কই ভীমরুল ভাই ?
২৪| ২০ শে মার্চ, ২০১৩ ভোর ৫:২২
একজন আরমান বলেছেন:
দারুন।
আপনার গল্প থেকে অনেক কিছু জানতে পারি।
আমার আগে মনে হতো যে এই বউ-শাসুরির ব্যাপারটা টিপিক্যাল বাঙালি ট্র্যাডিশনাল একটা প্রবলেম। এখন বুঝলাম।
আমার আম্মাকে এখন থেকেই জ্ঞান দিতে হবে। ওনার ৪৪ বছর। বলতে হবে তুমি কোন মেয়েকে এখন সহ্য করতে পারো না। আর কয়েক বছর পর ঘরে আনলে কি করবে?
আর আপু একলামশিয়া সম্পর্কে জানতে চাই।
২০ শে মার্চ, ২০১৩ সকাল ৮:০৫
না পারভীন বলেছেন: আমি তো লেখালেখি থেকে ৪ মাসের ছুটিতে যাচ্ছি । একলাম্পসিয়া নিয়ে ভাল একটা প্লট আছে ।আল্লাহ চাইলে ফিরে এসে সেটা লিখব । খুব অখাদ্য হবেনা ।
সে পর্যন্ত যেন বেঁচে থাকি এই দোয়া চাই আরমান ।
আর আপনিও ভাল থাকবেন ।
২৫| ২০ শে মার্চ, ২০১৩ ভোর ৫:৫৮
আবিদ ফয়সাল বলেছেন: ঘটনা আমার পরিচিত খুব কাছের একজনের সঙ্গে পুরোপুরি মিলে যায় । গল্পে যদি ও সুখের সমাপ্তি ঘটেছে কিন্তু তার ক্ষেত্রে হয়েছিল উল্টোটা ।
আপনার গল্পের হাত অসাধারণ । তাছাড়া খুব ছোট ছোট প্যারায় উপযুক্ত ইমোটিকন সহযোগে লিখেছেন বিধায় পড়তে সহজ হয়েছে । জাষ্ট কিপ ইট আপ
২০ শে মার্চ, ২০১৩ সকাল ৮:০৮
না পারভীন বলেছেন: ইমো গুলো আসলে ই সুন্দর ।
আর ঘটনা তো মানুষের জীবন থেকে নেয়া ।
ভাল থাকবেন ফয়সাল ভাই ।
২৬| ২০ শে মার্চ, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:৩১
একজন আরমান বলেছেন:
৪ মাস !
কই যাবেন আপু?
এতো দিন ব্লগে না এসে আমাদের বঞ্চিত করে থাকতে পারবেন?
২১ শে মার্চ, ২০১৩ ভোর ৬:৪৫
না পারভীন বলেছেন: :!> :#>
২৭| ২১ শে মার্চ, ২০১৩ দুপুর ১:০২
একজন আরমান বলেছেন:
আপু একটা গল্প উৎসর্গ করেছিলাম। :!> :#>
Click This Link
২২ শে মার্চ, ২০১৩ সকাল ৯:৩৭
না পারভীন বলেছেন: :#> :#> :#> :#> :#> :#> :#> :#> :#> :#>
২৮| ০৮ ই এপ্রিল, ২০১৩ ভোর ৬:১০
একজন আরমান বলেছেন:
আপু আমাকে কথা দিয়েছিলেন একলাম্পশিয়া নিয়ে একটি গল্প লিখবেন। গল্পের অপেক্ষায় আছি।
০৮ ই এপ্রিল, ২০১৩ সকাল ৭:২৪
না পারভীন বলেছেন: লেখক বলেছেন: আরমান , স্কেলেটন করেছি , মানে কাজ এগিয়ে চলছে । ২ লাইন আগেই গিফট দিবো ?
আমরা অপেক্ষা করছি কিছু কান্নার শব্দ শুনার জন্য । সময়টা যেন অন্তহীন । অন্তহীন অপেক্ষার প্রহর , সেকেন্ডের ক্ষুদ্রাতিক্ষুদ্র ভগ্নাংশগুলো যেন যুগ যুগ সময়কে ধ্বংস করে দ্রুত গতিতে কালের গর্ভে বিলীন হয়ে যাচ্ছে ।
২৯| ০৮ ই এপ্রিল, ২০১৩ সকাল ৭:২১
একজন আরমান বলেছেন:
না। শেষ করেই দিবেন।
আপু অপেক্ষা জিনিসটা পৃথিবীর সব থেকে কঠিন কাজগুলোর মধ্যে একটি ! আর যে বললেন, "সময়টা যেন অন্তহীন" সময়টা অন্তহীন হলেও আমার জীবনটা কিন্তু অন্তহীন না ! খুবই স্বল্প সময়ের পরীক্ষার্থী আমরা সকলেই !
আমার জন্মের সাথে এই "একলাম্পশিয়া" শব্দটার একটা যোগসযোগ আছে। তাই এর প্রতি আগ্রহ বেশী। এর ফলে মা ও শিশুর উপর স্বল্প এবং দীর্ঘমেয়াদে কি কি সমস্যা দেখা দেয় তা মিলিয়ে দেখার ইচ্ছে হচ্ছে।
১৫ ই এপ্রিল, ২০১৩ রাত ১১:২৫
না পারভীন বলেছেন: আরমান , আপনি আর কিছু জানতে চাইলে ম্যাসেজ দিবেন হেজিটেশন না করে ।
৩০| ১৫ ই এপ্রিল, ২০১৩ রাত ৯:৪৭
শ্রাবণ জল বলেছেন: অনেক ইম্পরট্যান্ট একটা বিষয় তুলে ধরেছেন গল্পে।
খুব ভাল লাগল।
ভাল থাকবেন।
১৫ ই এপ্রিল, ২০১৩ রাত ১১:২২
না পারভীন বলেছেন: ধন্যবাদ , আপু ,অণুপ্রেরণা রেখে দিলাম অন্য কোন পোস্টের জন্য ।
৩১| ২৫ শে এপ্রিল, ২০১৩ রাত ১১:২৯
ফারজানা শিরিন বলেছেন: : )
২৬ শে এপ্রিল, ২০১৩ ভোর ৫:৫৯
না পারভীন বলেছেন:
৩২| ১৫ ই মে, ২০১৩ সকাল ৯:৫২
নাইট রিডার বলেছেন: আসলে একটা মা তার সন্তানের প্রতি যে ভালবাসা ধারন করে, সেই পরিমাণ ভালবাসা বা মমত্ববোধ একজন বাবার মধ্যে কদাচিৎ দেখা যায় বা আদৌ যায় না। আর এই সীমাহীন ভালবাসা থেকেই তৈরী হয় অধিকারবোধ, যা বছরে বছরে শুধু ডাল পালা মেলে বড় হতেই থাকে। একটা সময় সে অধিকারবোধটা কিছুটা সীমা অতিক্রম করে ফেলে, আর এর মাঝেই সন্তান বেড়ে ওঠে, তার ভাল লাগার, সময় কাটানোর মাধ্যম গুলো মা-বাবা থেকে খেলনায়, খেলনা থেকে বন্ধু-বান্ধবে এবং একসময় স্ত্রী-সন্তানের কাছে চলে যায়। তখন মা নিজেকে মনে করে অবহেলিত, হয়ত বাবারা ও মনে করে। কিন্তু মায়ের ভালবাসার মত তাদের নিজেকে অবহেলিত ভাবার ব্যাপারটাও বাবাদের চেয়ে বেশী থাকে। আর এর সাথে তো থাকেই পি এম এস বা পোষ্ট মেনোপোজাল সিনড্রোম এর কারসাজি।
সুন্দর এবং অনেক পরিশ্রম করে লেখা। ++++++
এত বড় বা সুন্দর না হলেও এই বিষয় এর কাছাকাছি একটা লেখা লিকেছিলাম। পড়তে পারেন এইখানে
১৫ ই মে, ২০১৩ সকাল ১০:৩২
না পারভীন বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ , ভাইয়া । কষ্ট করে পড়েছেন আর মতামত দিয়েছেন । আপনার লেখাটি পড়ে আমি মুগ্ধ ।
৩৩| ১৫ ই মে, ২০১৩ সকাল ১১:১৪
লাবনী আক্তার বলেছেন: খুব সুন্দর একটা লেখা পরলাম। ভাল লাগলএবং কিছু জানলাম । ধন্যবাদ আপা।
১৫ ই মে, ২০১৩ দুপুর ১২:৩৯
না পারভীন বলেছেন: থ্যাঙ্কস লাবনী আপু , অনেক কৃতজ্ঞতা রইল কেমন হয়েছে জানানোর জন্য । এই ব্লগে স্বাগতম ।
৩৪| ১৫ ই মে, ২০১৩ সকাল ১১:৩৬
সিয়ন খান বলেছেন: অসাধারণ লেখা। +++
১৫ ই মে, ২০১৩ দুপুর ১২:৪১
না পারভীন বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ আর কৃতজ্ঞতা সিয়ন ভাই । ভাল থাকবেন ।
৩৫| ১৬ ই মে, ২০১৩ রাত ১০:৫০
আমি ইহতিব বলেছেন: এটা কিন্তু গতকালই পড়েছিলাম, লগইন সমস্যার কারনে মন্তব্য করতে পারিনি।
আর বউ শাশুড়ির যুদ্ধ নিয়ে কি বলবো, কম দূর্ভোগ পোহাতে হয়নি আমাকেও, সময় করে আমার আগের পোস্টগুলো যদি পড়েন তাহলে জানতে পারবেন। মেনোপজই এক মাত্র কারন নয়, এর পেছনে আরো অনেক ধরনের অদ্ভুত মানসিকতা কাজ করে বলে আমার মনে হয়। তবে
সব দূর্ভোগ কাটিয়ে এখন ভালো আছি, জানিনা কতদিন ভালো থাকবো।
১৭ ই মে, ২০১৩ ভোর ৫:২২
না পারভীন বলেছেন: আমাদের নিজেদের বদলাতে হবে , ননদ হিসেবে , শাশুড়ি হিসেবে ,আমাদের অধিনস্ত মেয়েদের প্রতিও আচরণ চেইঞ্জ করেতে হবে ।
আপুরে পড়ব । একটা এক্সামের ঝামেলা আছে মেলাদিন ধরে ,আগস্টে ফিরে এসে সব শেষ দিব । আপনার সংগে আমার মিল হল , আমিও যে ব্লগ ভাল লাগে তা একেবারে খতম দিয়ে ফেলি । অনেক ভাল থাকেন ।
৩৬| ০৭ ই অক্টোবর, ২০১৩ দুপুর ২:৫৯
অর্ধমানব ও অর্ধযন্র বলেছেন: অনেক কিছু জানতে পারলাম। সামনে সংসারী হচ্ছি দোয়া করবেন।
০১ লা মার্চ, ২০১৪ রাত ১০:২৫
না পারভীন বলেছেন: অনেক দোয়া রইলো । মহিলাদের জীবনের ফিজিওলজি বিচিত্র ধরনের । সবার একটু জ্ঞান থাকলে মহিলাদের জীবন ইজি হয় । শুভকামনা রইলো ।
৩৭| ০১ লা মার্চ, ২০১৪ সকাল ৮:৩৬
আব্দুল্লাহ আল নোমান বলেছেন: আলহামদুলিল্লাহ,
আপনার এই পোষ্টে আমি যে কতটা উপকৃত হলাম .......অনেক প্রশ্নের উত্তর
মিলিয়ে নিলাম।
০১ লা মার্চ, ২০১৪ রাত ১০:২৬
না পারভীন বলেছেন: অদ্ভুত ভাললাগা রইলো সুন্দর মন্তব্যে । অনেক ধন্যবাদ নোমান ভাইয়া ।
৩৮| ০৪ ঠা আগস্ট, ২০১৪ সন্ধ্যা ৭:০০
লিখেছেন বলেছেন: +
১৪ ই আগস্ট, ২০১৪ দুপুর ১২:১৭
না পারভীন বলেছেন: পড়ার জন্য ধন্যবাদ ভাইয়া।
©somewhere in net ltd.
১| ০৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ সকাল ৮:১৫
না পারভীন বলেছেন: শীতের শুরু হতে এই লেখার শুরু করেছিলাম । লেখায় শীতের প্রভাব আছে।বসন্ত আসার আগেই লেখা শেষ করা জরুরী ছিল ।আমার হাতে ও আর সময় নেই ।
জ্ঞান দান টাইপের পোস্ট যেন চিরতার রস , এতে ভেনিলা ফ্ল্যাভার মিশানো আমার মত লেখকের পক্ষে বেশ কষ্টসাধ্য ব্যাপার । সেই সাথে ২ মাস ধরে প্রায় ২৮০০ শব্দ টাইপ করা ছিল আরও জঘন্য ।
এই টাইপের আমার আগের পোস্ট খানা পড়ে যারা উৎসাহ দিয়েছেন , এই লেখা শেষ পর্যন্ত আলোর মুখ দেখায় তাঁদের প্রতি কৃতজ্ঞতা রইল আর অবশ্যই আমার আল্লাহকে ধন্যবাদ ।
আর ১ জন মানুষেরও ভাবনায় যদি এই লেখার পজেটিভ প্রভাব পড়ে ,তাহলেই কষ্ট সার্থক ।