নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমি ডা: নার্গিস পারভীন। বর্তমানে সরকারের স্বাস্থ্য সৈনিক। আমি ডাক্তারি ছাড়া আর কিছু পারি না।

না পারভীন

©ডাঃ নার্গিস পারভীন [email protected]স্বল্প, মাঝারি মাত্রার সংবেদন শীল মৌলিক লেখা I শিশুদের নাগালের বাহিরে রাখুন। পূর্বঅনুমতি ছাড়া কোথাও প্রকাশ করা যাবেনা ।

না পারভীন › বিস্তারিত পোস্টঃ

একটি একস্ট্রা মেরিটাল রিলেশনশীপ আর হাইপোথাইরয়ডিজম

২১ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:৩৬

(১)



এক গুচ্ছ রজনীগন্ধা হাতে ইউনিভার্সিটি অব স্কাই-ল্যান্ডের স্টুন্ডেন্টস সেকশনে প্রবেশ করল মেয়েটি । তাকে দেখা মাত্রই মজনুর তো "পড়েনা চোখের পলক" । সুন্দরীরা মানুষকে বিভ্রান্ত করে দিতে পছন্দ করে । মজনু এখন , পুরো বিভ্রান্ত । কাজল টানা কাল চোখ , পাখির ডানার মত প্লাক করা ভ্রু , রিবন্ডং করা স্ট্রেইট চুল , পরনে জিন্স । চেনা চেনা লাগে তবুও অচেনা ।



"ভাইয়া , ফরম টা কি এসেছে ?" এক ইন্দ্রজালের ভেতর থেকে মেয়েটি বলল ।

একে কোথায় দেখেছি ,কোথায় দেখেছি ভাবতে ভাবতে মজনু বলল ," কিসের ফরম ম্যাডাম?"

>> কাল যে বলে গেলাম ,হোস্টেলের সিটের ফরম ।



> ও মোর খোদা , এই বার মুই চিনছি । এই মেয়েটি গতকালও এসেছিল । এর নাম পাপিয়া কিন্তু গতকাল লাগছিল একরকম ,আজ লাগছে অন্যরকম ।

গ্রামের সহজ সরল মেয়েটিকে দেখে মনে হয়েছিল সবুজ ধান ক্ষেতের উপর দিয়ে বয়ে যাওয়া শান্তির বাতাস । স্কাই ল্যান্ড ভার্সিটি যেটাকে মজনু আসমান জমিন প্রাইভেট ভার্সিটি বলে গোপনে , এর বাতাস গায়ে না লাগতে লাগতে এরকম চেঞ্জ ? |



মজনু বলল ,"কাল এসে যাবে ম্যাডাম ।"

পাপিয়া বলল ,রফিক ভাই নেই ?



রফিক ভাই হলেন মজনুর সিনিয়র ।বেশ ম্যানলি দেখতে ।উনি এক্ষুনি এসে যাবেন । কিছুক্ষণ আগেও ঘুমাচ্ছিলেন । রুপালী তার স্ট্রাইপের শার্ট সঙ্গে ম্যাচ করা স্ট্রাইপের প্যান্ট রেডি করল ।জামাই এর ভেন্দার মত চাল চলন সে পছন্দ করেনা । এর মধ্যে সে কয়েকবার করে ডেকে গেছে । আর সময় নেই ।

>>এই ওঠো , ওঠো, ছয়টা বাজে । আর ঘুমানোর সময় নেই ।



রফিক ইচ্ছে করেই পড়ে থাকে বিছানায় । রুপালী তাকে নিয়ে টেনশান করছে এটা দেখতে দেখতে উঠলে তার সকাল টাকে সুন্দর মনে হয় ।

সে আরো স্লো লি বাথরুমে যায় ।সেখানে রাখা গরম পানিতে গোসল করে কারণ রুপালি বলে যে ফাগুনের শুরুতে এখনো পানি বেশ ঠান্ডা , সিজন চেঞ্জের এই সময়ে কাশি বেঁধে যেতে পারে ।তারপর নাস্তা করে চা খায় । একটা ব্যাগ নিয়ে রোজ কার মত বের হয় । ব্যগে থাকে দুপুরের খাবার । ফুটানো পানি ।



রূপালী প্রতিদিন দরজায় এসে একই কথা বলে ,"মোবাইল নিয়েছো ? মানিব্যাগ নিয়েছো ?অফিসে পৌঁছে কল না দিতে পার ,একটা মিসকল দিবে ।রাস্তা ঘাটের যা পরিস্থিতি !! বাহিরের পানি খাবেনা । ফুটানো পানি দেয়া আছে তাই খাবে । "



তার পর সে গেট আটকে দিয়ে বারান্দার রেলিং ধরে দাঁড়ায় ।

রফিক রাস্তা থেকে একবার ফিরে দেখে , বউ এর চেহারা , দাঁড়ানোর ভঙ্গি দেখলে

মনে হয় , জামাই তার অফিসে যাচ্ছেনা , কোন দূরদেশে বানিজ্যে যাচ্ছে ।

যদি বন্ধু যাবার চাও ঘাড়ের গামছা থুয়ে যাও রে ধরনের অবস্থা ।

রফিক কোনদিনই এটা দেখা মিস করে না । যদিও তার আবেগ অনুভূতীর প্রকাশ খুব কম ।



বউ এর চোখের আড়াল হয়ে প্রায় দৌড়াতে দৌড়াতে বাস স্টপে পৌঁছায় । লাফালাফি করে বাসে উঠে । মোটামুটি সময় মত অফিসে পৌঁছে ।





পাপিয়া যখন রফিকের খোঁজ করছিল , তখনই প্রবেশ করল রফিক । সুন্দরী পাপিয়া আহ্লাদী গলায় বলল , রফিক ভাই ফরম টাতো পেলাম না । :P

রফিকের মজনুর মতো কোন বিভ্রান্ত হয়না সে বলে , "হোস্টেলের ফরম তো ?কাল অবশ্যই পাবেন ।

>> মজনু ভাই বলেছে অবশ্য ।আসলে আমি আমার ফুপ্পির বাসায় থাকি । হোস্টেলে সিট থাকা দরকার । এক্সামের সময় কাজে লাগবে । কি বলেন?:|

রফিক ভাই এই ফুলগুলো রাখুনতো । আপনাকে গিফট দিলাম :D



হঠাৎ অপ্রত্যাশিত গিফটে রফিক হতভম্ব । মজনুও তাজ্জব হয়ে ঘটনা প্রত্যক্ষ করতে লাগল ।

>> ফুল?? রফিকের মুখ দিয়ে বেরিয়ে এলো । :-/

>> রাস্তা দিয়ে আসছিলাম । সকাল বেলার ফ্রেশ ফুলগুলো দেখে মনটাই ভাল হয়ে গেল । এখন ফুল নিয়ে তো ক্লাস করতে যাওয়া যাবেনা । আপনার কাছে রেখে দিন না ।



>>না না লাগবেনা ,আপনার শখের ফুল । তাছাড়া এখানে কোন ফুলদানীও নেই ।

>ফুলদানী জোগাড় করা কোন ব্যাপার রফিক ভাই ? :P



পাপিয়া চলে গেলে রফিক বলল ,"মজনু ফুলগুলি রাখতো ।"

রফিককে মেয়েটার ফুল দেয়া দেখতে মজনুর চরম বিরক্ত লাগল । ফুলগুলি পারলে সে ডাস্টবিনে ফেলে দেয় । X((



কারণ মজনু জানে রফিক সাহেব শুধু বিবাহিতই না ,ফুল পরী নামের চার বছরের মেয়েও আছে ।ওনার বাসায় দুই একবার যাওয়া পড়েছে মজনুর । ওনার বউ এর নাম রুপালী এটাও জানে । মজনুর বড়বোনের নামও রুপালী । তাই এই ফ্যামিলির প্রতি

মজনু একটা মায়া অনুভব করে । তাই এই মুহূর্তে রফিকের সংসারে যেন কোন সুন্দরীর অসুন্দর ছায়া না পড়ে ,এটা নিশ্চিত করা তার নৈতিক দায়িত্ব অনুভব করতে থাকে ।



>স্যার ফুলগুলির গন্ধে মাথা ধরে বমি আসতেছে ।/:)

>> এই সব তুমি কি বল মজনু ,তুমি জাননা , যে ফুল ভালবাসেনা , সে মানুষ খুন করতে পারে ।

>স্যার আমি ফুল ভালবাসিনা ?? :Dএই ফুলগুলির গন্ধ বেশী কড়া । বাসে যে ২০ টাকার রজনীগন্ধার বডি স্প্রে বিক্রি করে , তার এক শিশি গোটা ঢেলে দিয়েছে মনে হয় ফুল আলা ।

>> স্যার ফুলগুলি চেয়ারম্যান স্যারের রুমে রেখে আসি ? ওখানে ফুলদানীও আছে ।

> যাও । /:)









(২)X(X(

মজনু মনে মনে গজ গজ করছিল । তার সামনে বসে আছে পাপিয়া । একটা ফরম ফিলাপ করতে যদি দশবার ভুল করেন , মাথায় কি আছে ? গোবর?

ভাগ্য ভাল চেয়ারম্যান স্যার সারাজীবন যত অবৈধ টাকা ইনকাম করেছেন ,তা দেয়ে এই আসমান জমিন ইউনিভার্সিটি টা দিয়েছেন । আর আপনার বাবার অবৈধ টাকা কিছু খরচ করে এখানে ভর্তি হয়েছেন , তা না হলে কৈ যে যেতেন ?



এই মেয়ে আজ সকালে মুখটা কাঁচুমাচু করে বলল , তাকে আরেকটা ফরম দিতে , কারণ সে ভুল করে ফেলেছে । রফিক স্যার তখনো আসেনি ।তাই মজনু তাড়াতাড়ি কারেকশন পেন নিয়ে বসল ভুল শুধরানোর জন্য যেন স্যার আসার আগেই একে বিদায় করা যায় ।



মনে মনে তাকে ঝাড়ি দিলে কি হবে মুখে বিনয় ঢেলে বলল , "ম্যাডাম , আপনার খুব খারাপ লাগছে,তাই না এতগুলো ভুল করার জন্য ? " :P

>> অল্প লাগছে । বেশী না । আইনস্টাইনের মত বড় বিজ্ঞানীও অনেক ছোট ছোট ভুল করতেন ।

মেয়ের কথা শুনে মজনু হাসবেনা কাঁদবে বুঝতে পারলনা।কোথায় আগরতলা , কোথায় খাটের তলা । :P তবে স্যার এসে পড়ার আগেই মেয়েটাকে বিদায় করতে পেরে তার ভাল লেগেছে ।





অবশ্য ভাল লাগা বেশী ক্ষণ স্থায়ী হয়নি ,মেয়ে দুপুরেই দু প্যাকেট চাইনিজ ফুড দিয়ে গেছে । মেয়ে তো নয় একেবারে কাঁঠালের আঠা ।X(

>>স্যার ,মিস রজনীগন্ধা মনে হয় আমাদের কারো প্রেমে পড়ে গেছে । B-)

> মিস রজনীগন্ধা কে ?

>> মিস রজনীগন্ধা হল পাপিয়া আপা ।

> তাই?কেন মনে হল ?

>> প্রতিদিন ফুল , চাইনিজ এটা সেটা দিয়ে যাচ্ছে এগুলি দেখেই বুঝলাম ।





> তোমার প্রেমে পড়ছে ?;)

>> সেই কপাল কি মুই সঙ্গে কইরা আনছি ? :(( আপনার প্রেমে পড়ছে স্যার । বিবাহিত ছেলেদের মধ্যে সুন্দরী ললনারা কি পায় আযাযিল শয়তানই ভাল জানে । এই যে আমি " চেয়ে আছি পথ চেয়ে ফাগুনের গান গেয়ে " আর চেয়ে থাকতে থাকতে চুলে পাক ধরল , কোন মেয়ে তো ফিরেও তাকায় না ।



বলতে বলতে চাইনিজের বক্সটা খুলল । একচামুচ মুখে দিয়েই বলল , ওয়াক থু ওয়াক থু স্যার , কি মুখে দিলাম , এত পেট্রল না ডিজেল দিয়ে ভাজা হইছে ।

> কি বল ,এতো ভাল দোকান থেকে আনা



>> স্যার আপনি জানেন না ,এরা স্যার বেঁচে যাওয়া খাবার দাবার ফ্রিজে রেখে দেয় । মচমচে হওয়ার জন্য কত কি করে ।

ফ্রিজে রাখা চাইনিজে নানা জীবাণু জন্মায় তারপর এগুলো খেলে শুরু হয় পেটখারাপ , পেট মোচড়ানো , ডায়রিয়া , আমাশয় , গ্যাস্ট্রিক আলসার ...:-/



>> এই থাম থাম ... :-/

>এটা খাওয়া কি ঠিক হবে স্যার , ফেলে দিয়ে আসি ।

>> যাও /:)

>> মজনু লুকিয়ে দুষ্ট হাসি হাসতে হাসতে খুশি মনে ফেলে দিল বক্স দুটো । :D





(৩)

রফিকের মা আর তার ছোট বোন আফসানা থাকে তাদের ওপরের ফ্ল্যাটে । আফসানা ডাক্তার । আজ তার ডিউটি নেই । ফুল পরীর সঙ্গ পাবার লোভে সে প্রায় ভাবীর বাসায় আসে । এখন অবশ্য সে ফুল পরীর কাছে আসেনি । ফুল পরী স্কুলে । তার মা

রুপালী বাচ্চার স্কুলের গেটে বসে থাকা পছন্দ করেনা । সে চায় বাচ্চা একটু সাহসী মন মানুষিকতার হোক । আফসানা , ভাবী রুপালীকে নিয়ে কেনাকাটায় বের হবে ভাবছে । ফুলকেও স্কুল থেকে নিয়ে নিবে । :)



আফসানা ,রুপালীকে খুঁজতে খুঁজতে বেড রুম পর্যন্ত এসে আবিষ্কার করল , রুপালী গভীর ভাবে নিদ্রিত । :|বেলা এগারটায় একটু ঝিমুনি আসে অবশ্য । বুয়া বলল রুপালী ১০টা থেকে ঘুমাচ্ছে ।

> তাহলে জাগানো যায় , কি বলেন বুয়া ?

ভাবী ভাবী



রুপা ধড় মড় করে উঠে বসল । চোখ লাল হয়ে গেছে । আফসানাকে দেখে লজ্জা মিশ্রিত হাসি দিল । আফসানা বুঝল এই হাসির অর্থ হল, স্যরি একটু ঘুম এসে গেছে । :#>



>>তার পর সে হন্তদন্ত হয়ে বলল , কয়টা বাজে কয়টা বাজে , ফুল পরীকে আনতে হবে । :-/

>> ১২ টায় না ছুটি হয় , এখনো সময় আছে । তুমি এরকম ঘুমাও কেন ? কাল রাতে ঘুম হয়নি ?



রুপালী মুখ ধুয়ে এসে বলল , কি বলব , খালি ঘুম পায় , ঠিকমত ঘুমাই , তবুও ঘুম পায় ।

>> আমারও অবশ্য পরীক্ষা এলে এরকম ঘুম পায় ।



> আফসানা চশমা ঠিক করতে করতে বললো , তা তোমার কি আর কোন সমস্যা আছে ?

>>না , তেমন কিছু নাই , রুপালী ভেবে বলল ।

> আচ্ছা তোমার কি শীত শীত লাগে ?

>> হুম , তা একটু লাগে । রুপালীর শীত শীত লাগে । কিন্তু এটাকে তার বলার মত মনে হয়নি ।



> তোমার কনস্টিপেশন আছে ? মিন্সে ব্লাড বেশী যায় ?তুমি এককাজ কর থাইরয়েড ফাংশন টেস্ট করে ফেল । চল আজই রক্ত দিবে টেস্টের জন্য ।



>> রিপোর্ট এসে গেলে আফসানা বলল ভাবী তোমার তো থাইরয়েডের সমস্যা ধরা পড়েছে । আমি কেমন ডাক্তার বলতো ? ঔষধ দেয়া তো সোজা কিন্তু ডায়াগনোসিসই মেইন বুঝলে । সাসপিশানই আসল কথা ।



হুম , সম্ভবত কোন একটা অসুখ ধরা পড়েছে । এত টাকার টেস্ট করে কিছুই না ধরা পড়লে মন ভাল লাগার কথা না । তবুও অসুখ ধরা পড়েছে দেখে রুপালীর মনটা খারাপ হল । :((



>আরে ভাবী , বাংলাদেশে এই অসুখ খুবই কমন । মানুষের ধরা পড়েনা , তোমার তো আর্লি স্টেজে ধরা পড়েছে । এটা তো ভাল । ঔষধ খাবে রোজ তাহলেই কনট্রোলে থাকবে । :)





>> কয়দিন খাব ঔষধ ? রুপালী ভাবল হয়ত ৫ থেকে৭ দিন যেভাবে মানুষ এন্টিবায়োটিক খায় সেভাবে তাকে ঔষধ খেতে হবে । কিন্তু সে অবাক হয়ে গেল যখন আফসানা বলল

> তোমার থাইরয়েড গ্ল্যান্ড হতে কম পরিমাণ হরমোন নিঃসরিত হচ্ছে ।এটাকে হাইপো থাইরয়ডিজম বলে ।



তোমাকে সারা জীবন ঔষধ খেতে হবে ।:- তবে আরেকটা বাচ্চা নিতে চাইলে তোমার হরমোন স্ট্যাটাস কন্ট্রোলে থাকা লাগবে । আর সে সময় ঔষধ বন্ধ করে দিবেনা ।বরং ঔষধের ডোজ বাড়ানো লাগতে পারে । অত ভয়ের কিছু নেই ।

তুমি একজন হরমোন বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নাও ।





>থাক কি আর করা । হয়েছে যখন হয়েছে । রুপালী কোন কিছু নিয়ে ভেঙ্গে পড়েনা । এটা তার অভ্যাসে নাই । প্রথম শুনে একটু মন খারাপ হয়েছিল অবশ্য । রুপালী দেখল আফসানা তার দিকে তাকিয়ে আছে ।







আফসানা তার ভাবীর মুখের দিকে তাকিয়ে আছে এক গভীর দৃষ্টি নিয়ে । স্লিম , শ্যাম বর্ণের এই মানুষ টাকে সে অনেক পছন্দ করে । আফসানা ভেবে দেখেছে এই পছন্দের কারন তার ভাবীর অসাধারণ ভালবাসার ক্ষমতা । তার ভাই রফিক এমন একজন মানুষ , যাকে দেখলে তার নিজেরই অর্ধমানব বলে মনে হয় , কেমন যেন রোবট ধরনের । অথচ , এই মানুষটাকে ভাবী অসম্ভব ভালবাসে । এদের বিয়ে হয়েছে প্রায় ৬ বছর । এখনো ভাবী ভাইয়ার সম্পর্কে কিছু বলতে গেলেই ভাবীর কেমন মুখে এক উজ্জ্বলতা চলে আসে । নিজের ভাই হলেও আফসানা জানে তার ভাই কিছুতেই এত ভালবাসা পাবার মত যোগ্য না । ভাবীর প্রতি দূরে থাকুক , ফুল পরীর প্রতিও তার কোন আবেগ চোখে পড়েনা ।



ভাবী তুমি সবসময় ভাল থাক । আমার অপদার্থ ভাইটাকে ,ফুলপরীকে দেখে রেখো । আল্লাহ সব সময় তোমাকে সুস্থ ও সুন্দর রাখে যেন ।



(৪)

পাপিয়ার সেই ফুপ্পির বাসায় বসে বসে সে তার নখে লাল নেইল পলিস লাগাচ্ছে । এই ফাগুনে তারা বেশির ভাগই লাল ড্রেস পরবে । অথবা অন্য কালারের ড্রেস পরলেও তাতে লালের ছোঁয়া থাকবে ।লাল হচ্ছে সবচেয়ে রোমান্টিক রং । এই রং নিজেই কথা বলে ।



আগের শ্যাওলা কালারের নেইল পলিসে রিমোভার লাগাতে লাগাতে অপি পাপিয়াকে বলল ,"আজকের এই মোবাইল , ফেইসবুক , ইন্টারনেটের যুগে তোমার এই সিঙ্কিং সিঙ্কিং

ড্রিঙ্কিং ওয়াটার আর কতদিন ?হেই ,এটা কি তোমার ফার্স্ট লাভ?আমার তো মনে হচ্ছেনা ।



>> অপির বুদ্ধিমত্তায় একটু চমৎকৃত হল পাপিয়া । অপি তার ফুপ্পির ছোট মেয়ে । তাকে দ্রুত স্মার্ট বানানোর কাজটা অপি নিজে থেকেই নিয়েছে । ড্রেস আপ গেট আপের এই সব আইডিয়া অপির মাথা থেকে বেরিয়েছে ।

পাপিয়া বলল ," হুম , ফার্স্ট লাভ না হলেও লাভ এট ফার্স্ট সাইট বলা যায় ।

> তাই?

>> কলেজে থাকতে এক ছেলের প্রেমের পড়ে গেছিলাম । ভাল ছাত্র , ভাল আবৃতি করে । কিন্তু জুনিয়রদের সাথে তাদের ফুটবল খেলা দেখতে গেলাম । কি কারণে সে জার্সি টা খুলল , তার থ্যাবড়া মার্কা ফিগার দেখে আমার প্রেম তখনি ইন্তেকাল ফরমাইলো ।

ছেলেদের ফিগার সালমান খান , জন আব্রাহাম এদের মতোই তো হওয়া দরকার তাইনা ? "



>> লাউ এর মত ঝুলানো ভুঁড়ি ,আর কুমড়োর মতো ফিগার দেখতে আমারও ভাল লাগেনা । সুন্দর সুন্দর মডেল , নায়ক , নায়িকা দেখতে দেখতে... ছেলেরা ভাবে, মেয়েরা মডেলদের মতো হওয়া উচিত , আমরা ভাবি ছেলেদের ও জিম করা ফিগার থাকা

উচিত । হি হি হি



>> রফিক দেখতে অবশ্য সুপার ম্যান এর মতো । তার শার্টপ্যান্ট বেল্ট ,জুতো সবসময় ম্যাচ করা থাকে । বেশ হ্যান্ড সাম । তবে একটু ভাব ধরা । কথা কম বলে ।



>কথা কম বলাই ভাল । আচ্ছা এই ব্যাটাতো বিবাহিত ? সে কি রাজি হবে ? অবশ্য যে তার বউ বাচ্চা ছেড়ে তোমার কাছে চলে আসবে , সে আবার তোমাকে ছেড়ে আর কোথাও চলে যাবেনা , এর কোন নিশ্চয়তা নেই ।



> গেলে যাবে , আমিও যেতে পারি । এখন কি একটা রিলেশন সারাজীবন বয়ে বেড়াতে হবে এমন কোন কথা আছে ?

>> ভাল , ভাল । তুমি এক কাজ কর ভাইয়াটাকে ভাল গিফট দাও । আমাদের স্ট্যাটাস সম্পর্কে জানাও । এটা কাজটা পানির মতো সহজ করে দিবে । মানুষ মূলত লোভী । লোভ ,পরশ্রীকাতরতা এগুলো নিয়ে খেলতে ভালই লাগে । ;)B-)

তারপর দুজনেই ভয়ংকর সুন্দর ভাবে হাসতে লাগল ।









(৫ )

প্রথম স্ত্রী বর্তমান থাকতে দ্বিতীয় বিয়ে করার ৩ টি উপায় আছে স্যার । মজনু বলল । মজনু আর রফিক ক্যান্টিনে চা খেতে এসেছে । তার মন খুব খারাপ । মিস রজনীগন্ধা আজ রফিককে দামী ঘড়ি গিফট করেছে সাথে সেভিং কিটস ।



পরিস্থিতি তার নিয়ন্ত্রণের বাহিরে চলে যাচ্ছে এটা সে বুঝতে পারছে । রফিক চুপচাপ থাকে ,তাই তার মতিগতি বুঝা যায়না । মানুষ খারাপ হতে কতক্ষণ লাগে ।

পাপিয়া সুন্দরী , কম বয়সী ,ফরসা ,আধুনিকা , বড়লোক , বাবার মেলা অবৈধ টাকা আছে । আজ রফিককেও বেশ উৎসাহী মনে হচ্ছে । রফিক আগ্রহ নিয়ে বলল , " বলতো কি কি ? শুনে রাখি ।"

>> স্যার ,জেনে রাখা দরকার । প্রেম করলেই তো হবেনা , বিয়ে টা সম্পর্কেও ভাবতে হবে ।



১ম উপায়টা আমাদের দেশের জ্ঞানী গুণী যারা ২য় বিয়ে করেছেন ,তাদের মধ্যে বিশেষ জনপ্রিয় ।

সেটা হল আগের বউ এর একটা দোষ খুঁজে বের করে বলবেন , তোমার জন্য আমার জীবন টা তেজপাতা হয়ে যাচ্ছে , তোমার সাথে থাকা আমার পক্ষে আর সম্ভব না । স্যার ,এরকম কিছু আছে ?



রফিক পুরি ছিঁড়তে ছিঁড়তে বলল ,

>> এরকম নাই , কিন্তু কাছাকাছি ধরনের আছে ।তোমার ভাবীর থাইরয়েডের সমস্যা ধরা পড়ল কয়েকদিন আগে । আমি তাকে বলবো যে তোমার আর বাচ্চা হবেনা , তোমাকে ১ তালাক , ২ তালাক ,৩ তালাক ।



>> মজনু চায়ের কাপ ঠোঁটের কাছে নিয়েছিল , কিন্তু চুমুক না দিয়ে সে অবাক হয়ে বলল ," কিন্তু এটা কি সত্যি ?"

>> না , সত্যি না , এটা মিথ্যা অপবাদ । কারণ ঔষধ খেয়ে নিয়ন্ত্রণে থাকলে কোন সমস্যা হয়না ।



মজনু চিন্তিত মুখে বলল ," হুম, মিথ্যা অপবাদ দেয়া যায় । তবে স্যার একটা কথা , যারা নিরীহ ও সতী সাধ্বী বিশ্বাসী নারীদের প্রতি অপবাদ আরোপ করে , তারা এই কাল ,ঐ কাল , দুই কালেই ধিক্কৃত হবে , আর তাদের জন্য আছে কঠিন শাস্তি । এটা আছে সুরা আন নুরে ।



>> আচ্ছা , বাদ দাও । ২য়টা বল ।

> ২য় টা হল , আপনি ভাবীকে বুঝাবেন ধর্মীয় ভাবে ৪ টা পর্যন্ত বিয়ে করতে পারেন । তারপর বলবেন ,তুমি যদি আমাকে ভালবাস তাহলে অনুমতি দাও ।



> ভালবাসে ঠিকই কিন্তু অনুমতি কি দিবে ?

>> না দেয়ার সম্ভবনাই বেশী ।রুমি ভাই এর বউ অনন্যাই এর একমাত্র উদাহরণ । সে ছাড়া আর কেউ হাসি মুখে হাজব্যান্ড কে এই অনুমতি দেয়নাই ।

>রুমি ভাই টা কে ?

>> স্যার রুমি ভাইকে চিনেন না ? গান গায় যে দাড়িয়াল ভাই , মানে দাড়ি আলা ভাই ।

>> নাহ , আজকালকার গান টান তো শুনা হয়না ।



> আমিও শুনিনা , রুমি ভাই তো বিখ্যাত হইছে তার বড় বউ কারণে । তরুণ সমাজের এক দাবী , অনন্যার মতো বউ চাই ।

২য় বিয়ের অনুমতি না দিলে রুমি ভাই কি শুনতো ? অনন্যাকে তাড়িয়ে দিয়ে আরেকটা বিয়ে করতো ।



>> থাক বাদ দাও ,৩ নংটা বল

> ৩ নং টা হল , আপনি যদি ২ জনকেই ভালবাসেন , তাহলে গোপনে বিয়ে করলেন ।

কারো কথাই কেউ জানতে পারল না ।

খুব উচ্চ বিত্ত আর খুব গরীব এই দুই গ্রুপের মধ্যে এর প্রচলন আছে ।

বড়লোকেরা দুই বউকে নিয়মিত শপিং করার টাকা দিয়ে দিলে কোন সন্দেহ করেনা ।

আর গরীবেরা একে খাওয়াতে পারেনা , ওকেও পারে না , তাই ভেজাল নাই ।



মিডল ক্লাসে যত সমস্যা , যদি জানতে পারে তাহলে অনুমতি ছাড়া বিয়ে করার জন্য নিশ্চিত জেলে পঁচতে হবে ।

>> তাহলে তো কোন আশার আলো নাই ।

রফিকের আগ্রহ দেখে মজনু অসহায় বোধ করতে থাকে । তাকে অবশ্যই স্যারের ফ্যামিলি মেম্বারদের ইন ফরম করতে হবে ।





>> কি দরকার স্যার এতো ভেজালে যাওয়ার । জীবন কয়দিনের আর । দিন গুলো কেটে গেলেইতো হয় ।

স্যার আপনার ডাক্তার বোনের কি ফোন নম্বর আগেরটাই আছে ?

> আছে মনে হয় । চেঞ্জ হলে তো জানতাম । কেন ?

>> আমার আব্বার ব্যাপারে একটু কথা বলতাম ।

>সে তো গাইনী বিভাগের ডাক্তার । তোমার কোন কাজে লাগবেনা ।

> তা হোক মিনিমাম কোন ডাক্তারের কাছে নিয়ে যাব তাতো বলতে পারবে ।

মজনু মনে মনে বলল , আমাকে তো ফোন দিতেই হবে স্যার ।



(৬ )

আফসানা এম্নিয়টিক ফ্লুয়িড সম্পর্কে পড়ছিল অত্যন্ত মনোযোগ দিয়ে । মানুষ তার মায়ের পেটে থাকার জীবনটা ওয়াটার প্রুফ একটা জিনিস গায়ে দিয়ে পানির নিচে ডুবন্ত অবস্থায় কাটিয়ে দেয় । এটা অনেকটা ব্যাঙ্গাচীর জীবন । আর সেই পানির অনেকটাই তৈরি হয় , শিশুর প্রসাব দিয়ে । শিশু আবার এই প্রসাব আলা পানিটাই খায় । ভাগ্য ভালো , এতে কোন ক্ষতিকর কিছু থাকেনা ।

সত্যিই জগতে অবাক হওয়ার মতো অনেক কিছু আছে । শিশু এই পানিতে প্রসাব করলে কোন অসুবিধা হয়না ঠিক ই , কিন্তু বড় কাজটা করে ফেললে বিরাট অসুবিধা ।





ঠিক এসময়ে প্রবেশ করলো রূপালী । আফসানা বাসায় থাকলে সর্বক্ষণ পড়ে । অতি প্রয়োজন ছাড়া কেউ আসেনা তার পড়ার ঘরে ।



রুপালী প্রবেশের সাথে সাথে আফসানা বুঝে নিলো ভাবীর কোন সমস্যা হয়েছে ।

আফসানা দেখল ভাবীর মুখ কঠিন ভাবে শক্ত । যেন পাথরে খোদাই করা মুখ ।

রুপালী একটা ফোন এগিয়ে দিয়ে বলল , SMS টা দেখো ।



আফসানা দেখল , এটা রফিকের ফোন । এবং প্রেম ময় একটা ম্যাসেজ ,সেন্ডার পাপিয়া । ম্যাসেজে রফিক নামটা উল্লেখ না থাকলে সন্দেহ করা যেত যে এটা হয়ত

পাপিয়া ভুল করে এই নম্বরে পাঠিয়ে দিয়েছে ।

তারও ভ্রু কুঁচকে গেল ।

চিন্তিত মুখে চশমাটা ঠিক করতে করতে বলল ,"কিভাবে এটা উদ্ধার করলে ?"



রূপালী পাথুরে গলায় বলল , একনাগাড়ে কয়েকবার করে ফোনটা বেজেই যাচ্ছিল

।আমার মনে হয়েছিল কারো কোন জরুরী দরকার । তোমার ভাইয়া ছিল ওয়াসরুমে । আমি ফোনটা হাতে নিয়ে দরজায় ধাক্কা দিব দিব ,ঠিক তখনই এই sms .

>>ভাইয়া এখন কই ?

>এতক্ষণে ওয়াস রুম থেকে বের হয়েছে মনে হয় ।

>> চল ,যাই কথা বলে আসি । দাঁড়াও, আম্মাকেও নিয়ে যাই ।





রফিক বের হয়ে দেখল , তার আম্মা , আফসানা ,রুপা , সেই সাথে ফুল পরী লাইন ধরে বসে আছে । এটা একটু এব নরমাল । শাশুড়ি ননদের সাথে রুপার সম্পর্ক ভাল ,

তাই বলে ঘুমানোর সময়ে এই গন জমায়েত ? তাছাড়া তাদের বসে থাকার ভঙ্গি বলছে তারা তার জন্য অপেক্ষা করছে ।



সে বললো , আম্মা , কোন সমস্যা ?

আফসানা বললো ,এই ম্যাসেজটা পড় । তারপর এসএমএস টার কাহিনী বল সবাইকে । আমি তো পড়তে পড়তে ভুলেই গেছি , আমার কাছে খবর আছে এই মেয়ে আজ তোমাকে দামী ঘড়ি গিফট করেছে ।

>>আমি কি বলবো , তোমরাতো সব জানোই তাহলে । শুধু এটুকুই বলবো , তোমরা যা ভাবছ এরকম কিছু না ।



আফসানা চশমা ঠিক করতে করতে বলল ,

>আম্মা, তুমি তোমার মতামত দাও ।

>> আম্মা গম্ভীর মুখে বললেন , হুম , শেষ জমানা এসে গেছে । শেষ জমানায় একজন পুরুষের পিছনে ঘুরবে চার জন নারী ,ছেলে বিবাহিত না অবিবাহিত এগুলি দেখবেনা ।

আমি তো আমার এই সাদাসিধা ছেলেটার একটা বিয়ে হয়েছে তাতেই খুশি ছিলাম । এখন দেখছি আমার ছেলের ও ডিমান্ড আছে ।



> আম্মা !!তুমি তোমার ছেলের দোষ সূক্ষ্ণ কারচুপির মাধ্যমে জমানার উপর দোষ দিয়ে তোমার ছেলের দোষ ঢেকে দেয়ার চেষ্টা করছো ?

তুমি কি তোমার ছেলের পক্ষে ?

>>মা ফিক করে হেসে বললেন ," না , মজা করছি । মজা করা কি নিষেধ ? ;) আমি অবশ্যই রুপালীর পক্ষে । মানুষিক নির্যাতনে আমরা বউ এর পাশে থাকলে ছেলেরা এইসব নির্যাতনে হালে পানি পাবেনা । তবুও আমারইতো ছেলে তদন্ত টা আরেকটু ভাল মত করে প্রকৃত দোষীকে খুঁজে বের করা দরকার ।



>> হুম ,সেটা করা ব্যাপার না । তবে ভাইয়া তুমি মনে রেখো তোমার কারণে ভাবীর কোন ধরনের ক্ষতি হলে , আমাদেরকে তোমার পাশে পাবে না ।

আমরা দেখেছি ভাবীর সেক্রিফাইস তোমার সংসারের জন্য । তোমার থেকে ভাল রেজাল্ট হওয়ার পর ও সে জবে ঢুকেনি । তুমি শুধু অফিসে যাও আর অফিস থেকে এসে ঘুমাও । আবার ভোরে উঠে অফিসে যাও ।

ছুটির দিনেও বউ ,বাচ্চা নিয়ে কোথাও বেড়াতে বের হওনা ।



>> হুম একটা মাত্র ছুটির দিন পাই , সেদিনও বাহিরে বাহিরে ঘুরতে ভাল লাগেনা , কি করবো ?



> ভাইয়া ঘড়িটা আমার কাছে দাও । ভাবী ,আমি সামাল দিয়ে দিব বাকি ঘটনা ।

তুমি চিন্তা করো না ।

রফিক বললো ,ওগুলো অফিসের ড্রয়ারে আছে আর আমি যেন অফিসে মুখ দেখাতে পারি ,সে পথটা খোলা রেখো । "



(৭)

ঝড় থেমে গেলেও যেমন প্রকৃতিতে থমথমে অবস্থা বিরাজ করে পরিস্থিতি হচ্ছে সেরকম । রাত অনেক হয়েছে । আজ রুপালীর চোখে ঘুম নেই । বারান্দার ফ্লোরে বসে আছে সে ।

ফাগুনের হালকা শীতের বাতাস । আকাশে বিশাল একটা চাঁদ ।চাঁদ টাকে ভীষণ একলা লাগছে , কারণ চাঁদের আলোয় সব তারা মুছে গেছে ।তারারা থাকলে চাঁদকে এত একলা লাগতোনা ।



চারিদেকে নিস্তব্ধতা । কোথায় ইসলামী জলসা বসেছে । মাইকের কল্যাণে এত রাতেও দূর থেকে করুণ সুর ভেসে আসছে ।

~~~ কোনবা পথে তোমায় পাব গো দয়াল~ ~~

~~~ ওগো দয়াল আল্লাহ ~~~ ।

এতে নিস্তব্ধতা কেটে যাওয়ার কথা ছিল । কিন্তু এই সুর যেন নিজেই আরও নীরবতা তৈরি করছে । সেই নীরবতা সুরে সুরে আরও ঘনীভূত হচ্ছে ।বুকে তৈরি করেছে বিশাল এক হাহাকার ।



রুপা মনে মনে বলল , কেউ নাই আমার আল্লাহ । তোমার এই পৃথিবীতে আমি একলা । রফিকের আবেগ অনুভূতির প্রকাশ খুব কম ।তার চোখের দিকে তাকালে আমি বুঝে নিই সে আসলে কি বলতে চায় ।শুধুমাত্র তার সচ্চরিত্র টুকুর জন্যই তার জন্য এত ভালবাসা ছিল ।

ভালবাসতে বাসতে আমি কি অন্ধ হয়ে গেলাম ? আমি তো কিছুতেই বুঝতে পারলাম না তার মনে কখন অন্য কারো ছায়া পড়েছে ।কখন সে আমার বিশ্বাস নিয়ে খেলা শুরু করেছে ?

"বেদনার্ত" একটা মাত্র ছোট শব্দ যা দিয়ে এই বিশাল কষ্টের ব্যাখ্যা করার চেষ্টা করা যায় । আজ রুপালী বেদনার্ত । তার জীবনে অনেক দুঃখ আছে ,কিন্তু কোন টাই তাকে আজকের মতো কষ্টে ফেলতে পারেনি । কারণ আজকের কষ্টের সাথে অপমান

মিশানো আছে । কাউকে এতো প্রাণ দিয়ে ভালবেসে লাভ নেই ।



পুরুষ মানুষকে বিশ্বাস করা খুব কঠিন । রশি একটু ঢিল দিলেই এরা উড়াল দিতে চায় ।



বুক ফেটে দীর্ঘশ্বাস ফেললো রুপা ।



তবুও কেন যেন মেনে নিতে কষ্ট হয় যে সে আমাকে আর ভালবাসেনা । আমার থাইরয়েডের সমস্যাটা ধরা পড়ার পর সে নেট থেকে কত কিছু ডাউন লোড করে এনে দিল ।



আলোটা নিভানো ছিল । নিঃশব্দে বারান্দায় এসে আলো জ্বালালো রফিক । রুপা নিজের জগতে ডুবে ছিল তাই একটু চমকে উঠল ।



রফিকের হাতে একটা বক্স , সেটা সে এগিয়ে দিয়ে বলল , "ধর "

> কী ?

>>শাড়ি

> কিসের শাড়ি ?

>>ম্যারেজ ডের গিফট

>ম্যারেজ ডে কবে ?

>> চলে গেছে গতমাসে ,

তখনই কিনেছিলাম , তখন দিলে তো আহ্লাদী করতে , তাই দিইনি , এখন দিলাম ,যদি তোমার মনটা ভালো হয় ।



>তুমি!! তুমি না সত্যিই বিচিত্র ।

>> খুলে দেখো , কেমন হয়েছে ?

>তোমার যা রুচি !! বেশী দাম দিয়ে কমদামী জিনিস কিনে আন !!

>>সেইজন্যইতো একদামের দোকান থেকে কিনেছি ।

> একদামও দাম কমায় ।



>>রুপা !

> হুম

>> একটা কথা বলবো ?

তোমার অনেক মন খারাপ , তুমি আমার সাথে ঝগড়া করার ও রুচি পাচ্ছনা , তাই না?



বালির বাঁধ দিয়ে যে কান্না আটকানো ছিল , তা নিমিষেই ভেঙ্গে গেল । কান্না লুকানোর চেষ্টা করে কোন লাভ নেই ।টপ টপ করে চোখের পানি পড়তে লাগলো ।



রুপা মনে মনে বলল , আমার হয়ত তাই করা উচিত কারণ আমার অতিরিক্ত ভালবাসা তুমি কি দুর্বলতা হিসেবে নিয়েছ কিনা আমি বুঝতে পারছিনা , কিন্তু আমার ভালবাসা আজ অপমানিত ।



>> জানোইতো আমি আবেগ ঠিকমত প্রকাশ করতে পারিনা । তবুও আজ তোমাকে বলা দরকার , আমি মেয়েটার চোখ দেখেছিলাম । সেখানে প্রেম ছিলনা , ছিল কাম । তোমার চোখের মত মায়া নাই ।

আচ্ছা আমি না হয় বোকা , তাই বলে এত বোকা যে হিরা ফেলে কাঁচ তুলে নিব ? আমি তাকে ঝেড়ে ফেলার উপাই বের করছিলাম । এর মধ্যে এত কিছু হয়ে গেল । তবুও যদি মনে হয় , আমি অপরাধী তাহলে আমাকে ক্ষমা করে দাও ।

আমি বহুগামীধরনের না , যদি কখনো পথ হারাই , তুমি কি এভাবে আমাকে ঘৃণা করবে?

আমাকে হাত ধরে ঠিক পথটা দেখিয়ে দিবে না? রুপা ?

>>হুম



>> মনটা একটু ভাল হয়েছে ?

চল ঘুমাতে যাই । আমার ঘুম আসছিল না । আমি ভেবে দেখেছি তোমার কাছে এলেই আমার ঘুম এসে যায় , এটা ঠিক ক্লান্তিতে না , শান্তিতে ।





>>না , এমনিতেই তোমার ঘুম বেশী ।

আচ্ছা , তুমি কিন্তু টয়লেটে গেলেও সহজে বের চাওনা । তোমার কন্সটিপেসন আছে তাইনা ?

>> তা একটু আছে অবশ্য ।আমার তো পানি কম খাওয়া পড়ে

>আচ্ছা তোমার কি শীত শীত ভাব লাগে ? তোমার সাথে কিন্তু হাইপো থাইরয়েডের বেশ কিছু মিল আছে । তোমার টেস্ট করা দরকার ।



>>ওওওওও,আচ্ছা , নিজে লেজকাটা শেয়াল হয়েছ আর এখন চাও সবার লেজ কাটা

পড়ুক ? হা হা হা ...।

> না , সিরিয়াসলি বলছি কিন্তু , বাংলা দেশে এটা খুব কমন । হিহিহি



ফাগুনের বাতাসে আমের মুকুলের তীব্র গন্ধ । এত রাতেও কোকিল ডাকে ! তাজ্জব ব্যাপার । আসলে এত রাত কখনো জাগা হয়না । রাতেও কত কোকিল হয়ত ডেকে যায় । রফিককে এসব বলে লাভ নেই । সে একটু রোবট । রুপা নিজেই অনুভব করে তার খুব ভাল লাগছে । বুকে যে কষ্টটা ছিল তা আর নেই । খুব ভাল লাগা রিপ্লেস করে দিয়েছে ওগুলোকে । :) :) :)









মন্তব্য ৬৪ টি রেটিং +১৬/-০

মন্তব্য (৬৪) মন্তব্য লিখুন

১| ২১ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:৫১

হ্যাকবাংলা বলেছেন: অনেক সময় নিয়ে লিখেছেন তার জন্য ধন্যবাদ, :#)
পরকীয়া সম্পর্কে অভিজ্ঞতা হল।

২১ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:১৬

না পারভীন বলেছেন: :#) , ধন্যবাদ হ্যাকবাংলা

২| ২১ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:০০

গধযনঁন বলেছেন: B:-)এতও বড় লেখা B:-)

২১ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:১২

না পারভীন বলেছেন: অনেক বড় আসলেই ।

৩| ২১ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:১২

ভুল উচ্ছাস বলেছেন: আপনি ডাক্তারী পড়ছেন? বেশ ভালো গল্প তবে সময় নিয়ে আরো এডিট করে পোস্ট করা উচিত ছিলো, বেশ কয়েকবার তাল কেটে গেছে। আরেকটু যত্ন লাগবে লেখার প্রতি। আপনার লেখা আপনার সন্তান তার প্রতি এতটুকু যত্ন নিতে পারবেন না?


ধন্যবাদ।

২২ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ রাত ১২:২১

না পারভীন বলেছেন: যেগুলো কেটে গেছে , ওগুলো ঠিক ভাবেই দেয়া হয়েছে , তবুও কেন এমন হল , জানিনা ।



নতুন লেখক, ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টির প্রার্থী । লেখা লেখি যথেষ্ঠ কঠিন । সাবজেক্টও কঠিন ।

৪| ২১ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:২৭

আলোকন বলেছেন: সত্যি বলছি, অনেক সুন্দর হয়েছে :)

২১ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:৪৫

না পারভীন বলেছেন: :#> :#> অনেক ধন্যবাদ আলোকন ।

৫| ২১ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:৪০

না পারভীন বলেছেন: এই লেখার মূল উদ্দেশ্য হাইপোথাইরয়েডিজম সম্পর্কে কিছু জানানো । সবসময় ক্লাসিকাল সিম্পটম নিয়ে সব রোগী আসেনা । হাইপো থাইরয়েড ধরা পড়লে মানুষ পেশেন্টের দিকে এমন ভাবে তাকায় যেন এইডস হয়েছে । সবাই ভাবে রোগী বোকাসোকা , তার সন্তান হবেনা , হলেও বাচ্চা হাবাগোবা হবে ।

গল্প টিও মিথ্যা না ।

২২ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ সকাল ৯:২২

না পারভীন বলেছেন: ও তাই !

৬| ২১ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ রাত ৮:২২

আমরা তোমাদের ভুলব না বলেছেন: ++++++্

২১ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ রাত ৯:১১

না পারভীন বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ "আমরা তোমাদের ভুলব না " ভাইয়া , কষ্ট করে পড়ার জন্য আবার + দেয়ার জন্য । :)

৭| ২১ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ রাত ১১:৩৫

মনিরা সুলতানা বলেছেন: মানুষ মূলত লোভী । লোভ ,পরশ্রীকাতরতা এগুলো নিয়ে খেলতে ভালই লাগে । তারপর দুজনেই ভয়ংকর সুন্দর ভাবে হাসতে লাগল ।

:(:(:(:(:(
বরাবর এর মত আপনার সত্যি গল্প ভাল লাগলো +++++

২২ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ রাত ১২:৩০

না পারভীন বলেছেন: হা হা হা , মনিরা আপু , চারিদিকে এত সত্য গল্পের ছড়াছড়ি না থাকলে আর কিছু লেখা হত না ব্লগে ।




একটু সাজিয়ে , মশলা পাতি দিয়ে পরিবেশন এই আর কি । নিজের মাথা থেকেআইডিয়া বের করব , সেটা হবে বলে মনে হয়না ।

আপনার বিনয়ে মুগ্ধ ।

৮| ২২ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ ভোর ৪:৫১

রুদ্র মানব বলেছেন: ঘুম চোখে নিয়াও দীর্ঘ লিখাটা পড়লাম । ভাল লাগলো :)

আজকাল সামুতে গল্প লিখা কমে যাচ্ছে কেমন জানি, তাই গল্প চোখে পড়লে মিস করতে চাই না ।

২৩ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ দুপুর ১২:৫৩

না পারভীন বলেছেন: রুদ্র ভাই , অনেক কৃতজ্ঞতা সহ ধন্যবাদ ।ভাল থাকবেন ।

৯| ২২ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ ভোর ৬:০৪

বাংলাদেশী দালাল বলেছেন: ভাই মার মার কাট কাট টাইপ কিছু হৈত। এ জেমোন কাম হৈআ গেসে।
kidding ....
Nice story with positive finishing. keep it up

২২ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ সকাল ৯:২০

না পারভীন বলেছেন: সে পর্যন্ত যাওয়ার আগেই যেন বোধদয় হয় সে জন্যই লেখা ।
অনেক ধন্যবাদ বাংলাদেশী ভাই ।

১০| ২২ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ সকাল ১১:৪৮

না পারভীন বলেছেন: একি দেখলাম ! নির্বাচিত পাতায় এই লেখা ! নির্বাচিত পাতা খুব কম খুলি । আজ না খুললে কি মিস টাই না হয়ে যেত ।

যাঁর ভাললাগায় এই ঘটনা , তাঁর প্রতি কৃতজ্ঞতা ।।

২২ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ সকাল ১১:৫৪

না পারভীন বলেছেন: :) :)

১১| ২৩ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ ভোর ৫:৫৮

রবিন উত্তর কাট্টলী বলেছেন: আমি বিমোহিত এবং স্তব্ধ । অসাধারণ গল্প , বিন্যাস এবং সমাপ্তি ।
খুব ভাল লাগল। সুন্দর গল্প উপহার দেওয়ার জন্য ধন্নবাদ ।

২৩ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ সকাল ৮:৩৬

না পারভীন বলেছেন: সকাল বেলায় এই কমেন্টস দেখে মনটাই ভাল লাগছে । :) :)
রবিন ভাই আপনাকে অনেক ধন্যবাদ ।

১২| ২৩ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ দুপুর ১:৩১

হাসান মাহবুব বলেছেন: লেখাটা ভালো লাগলো। প্রাঞ্জল রচনাভঙ্গী। কিন্তু আপনি অন্যান্য অনুষঙ্গ বেশি সাজাতে গিয়ে হাইপোথাইরয়ডিজম নিয়ে তেমন কিছু লেখেনই নি। তাই পাঠে অতৃপ্তি রয়ে গেল।

২৩ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ রাত ১০:৫৬

না পারভীন বলেছেন: হামা ভাই , আমি পড়ে দেখলাম এখানে বলা হয়েছে

১। হাইপোথাইরয়েড কি
২। কমন সিম্পটম গুলো কিকি
৩। কতদিন ঔষধ খেতে হবে , কাকে দেখানো উচিত
৪। বাচ্চা নেয়ার আগে কি করা উচিত
৫। থাইরইয়েড মানেই কি ' আর বাচ্চা হবে না ?"
৬। হাইপোথাইরয়েড রোগীর প্রতি ভালবাসা
৭। একই ধরনের সিম্পটম থাকলেও সবার ই হাইপো নয় ।

১৩| ২৩ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ বিকাল ৩:১১

ডানাহীন বলেছেন: গল্পটি মনোমুগ্ধকর .. ইমোগুলি অবশ্য বাড়তি মনে হয়েছে ।

শুভকামনা পরবর্তী লেখার জন্য । ভাল থাকবেন ।

২৩ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ বিকাল ৩:২৭

না পারভীন বলেছেন: ডানাহীন , আপু সুচিন্তিত মতামত এর জন্য কৃতজ্ঞতা ও ধন্যবাদ ।

ভাল থাকবেন ।

১৪| ২৪ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:৪২

সায়েম মুন বলেছেন: আপনার গল্প প্রথম পড়লাম। বেশ ভাল লিখেন আপনি। গল্পে এত ইমো ব্যবহার না করলে ভাল দেখায়।

২৪ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ রাত ৮:৪৯

না পারভীন বলেছেন: মুন ভাই ,
সুচিন্তিত মতামত এর জন্য কৃতজ্ঞতা ও ধন্যবাদ ।

ভাল থাকবেন ।

১৫| ২৭ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ সকাল ১০:৫৯

কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:

খুব ধৈর্য নিয়ে পড়লাম। +++++++++

২৭ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ দুপুর ১২:৩৯

না পারভীন বলেছেন: কি কমু বুঝতে পারতেছিনা , ধৈর্য ধরা তো জগতের সবচেয়ে কঠিন ব্যাপার ।
এজন্য আপনাকে সালাম । :)
+ এর জন্য ধইন্যা :)
ভালো থকেন সবসময় , রাজনীতি মুক্ত ভাল ভাল লেখার প্রত্যাশায় রইলাম ।

১৬| ২৭ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ দুপুর ১২:৪২

কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:
এভাবে প্রেরনা পেলে সত্যি কিছু লিখতে সাধ জাগে।

২৭ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ দুপুর ১২:৫২

না পারভীন বলেছেন: কান্ডারী ভাই , পজেটিভ মানুষদের অনুপ্রেরণা দিতে হয় । পজেটিভ মানুষদের নিজেদেরই সামনে এগিয়েও আসতে হয়
সবকিছুযে নষ্টদের দখলে চলে যাচ্ছে । লোভ , হিংসা , প্রতিহিংসা ,অশ্লীলতা চারিদিকে ।

১৭| ২৭ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ দুপুর ১:০২

কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:


সাথে আরও কিছু পজেটিভ মানুষ পেলে সামনে এগিয়ে আসার সফলতা নাহলে জালিমদের দুনিয়ায় একা খুব অসহায় লাগে।

২৭ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ রাত ১০:০৮

না পারভীন বলেছেন: হুম ,
যদি তোর দাক শুনে কেউ না আসে
তবে একলা চল রে



লাইক--- ওয়ান ম্যান আর্মি ।

১৮| ২৭ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ বিকাল ৪:৫৯

মুহিব বলেছেন: ভাল লিখেছেন।

২৭ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ রাত ১০:০৯

না পারভীন বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ মুহিব ভাই
ভাল থাকবেন ।

১৯| ০৪ ঠা মার্চ, ২০১৩ রাত ৮:৪৪

লাইলী আরজুমান খানম লায়লা বলেছেন: অনেক সুন্দর হয়েছে

২০| ০৪ ঠা মার্চ, ২০১৩ রাত ১১:৪৪

না পারভীন বলেছেন: লায়লা আপু , আমি ভীষণ আনন্দিত ও অনুপ্রানিত অনুভব করছি ।কষ্ট করে পড়ে এই সুন্দর কমেন্টের জন্য অনেক ধন্যবাদ ।ভাল থাকবেন ।

২১| ০৫ ই মার্চ, ২০১৩ রাত ৩:২৫

মাক্স বলেছেন: কয়েকটা জায়গায় মনে হল মনোযোগ ধরে রাখতে কষ্ট করতে হচ্ছে।
অনেক বড় গল্প বলেই কিনা কে জানে।
সুন্দর লিখেছেন!
১০ম প্লাস।

২২| ০৫ ই মার্চ, ২০১৩ সকাল ৯:১৫

না পারভীন বলেছেন: আহারে , আমার এত কষ্টের লেখা , আমাকে পড়তে দিলে আমিও শেষ করতে পারবোনা এখন , কারন খুব কম অনুভূতীগুলো ব্যাখ্যা করা হয়েছে , ইমো ইঊজ করা হয়েছিল , লেখা ছোট করার জন্য ।

ইমো উঠিয়ে দেয়ার জন্য এই অবস্থা । তাছাড়া লাইন গুলো কেটে কেটে গেছে কেন জানি । এডিট কাজ করছেনা ।

ধন্যবাদ মাক্স ভাই । তবুও পজেটিভ মূল্যায়ন্যের জন্য অনেক ধন্যবাদ । নিঃসন্দেহে এটা অনুপ্রাণিত করে আরো ভাল কিছু করার ।


২৩| ০৭ ই মার্চ, ২০১৩ রাত ১২:৫৭

খেয়া ঘাট বলেছেন: সুদীর্ঘ গল্প পড়ার পর সুখানুভূতি উদ্ভাসিত হলো।

রাজনীতি মুক্ত ভাল ভাল লেখার প্রত্যাশায় রইলাম ।- তা হবেনা। কারণ
Everything is everybody's business.

২৪| ০৭ ই মার্চ, ২০১৩ রাত ১:৪০

খেয়া ঘাট বলেছেন: পুরুষ মানুষকে বিশ্বাস করা খুব কঠিন । রশি একটু ঢিল দিলেই এরা উড়াল দিতে চায়।--- রশি ঢিল দিলেই বাঁধন আলগা হয়ে যাবে, আর ঢিল না দিলেও একসময় রশি ক্ষয় হয়ে যাবে, আর ক্ষয় না হলেও ইঁদুর এসেও রশি কেটে দিতে পারে।
তাই অযথা রশি নিয়ে রসিকতা করে লাভ কি।
পুরুষকে ভালোবাসা দিয়েই বাঁধুন। দেখুননা, নারীর ভালোবাসা ফিরিয়ে দেয়ার মতো কোনো ক্ষমতা কোনো পুরুষকেই দেয়া হয়নি।

২৫| ০৭ ই মার্চ, ২০১৩ সকাল ৮:০৩

না পারভীন বলেছেন: @ আরিফ ভাই , গল্পে এই প্রেমের জয়ই দেখানো হয়েছে যদিও তবুও বাস্তবতা খুব কঠিন :(

মানুষ এক প্রাণী একে কোন সূত্রে ফেলা যায়না । :( কখন যে কি করবে বলা ডিফিকাল্ট ।
"নারীর ভালোবাসা ফিরিয়ে দেয়ার ক্ষমতা দেয়া হয়নি " , :) :) আপনি এই বিশ্বাস নিয়েই থাকুন ,ভাঙ্গাবোনা ।:)


২৬| ০৭ ই মার্চ, ২০১৩ সকাল ৮:০৭

না পারভীন বলেছেন: @ খেয়া ভাই , আপনার মত নিপূণ , ও আমার অনুসারিত লেখকের পদধূলীতে আমার ব্লগবাড়ি কৃতজ্ঞ ।

২৭| ০৮ ই মার্চ, ২০১৩ দুপুর ১:২২

অন্ধ দাঁড়কাক বলেছেন: আপনার লেখা পড়লে মনে হয় আপনি কোন একটা রোগ বা সমস্যা নিয়ে বলতে চান, কিন্তু সবাই যাতে পড়ে সে কারণে একটা গল্প দাঁড় করান এমন সব ইস্যু নিয়ে যেগুলো পড়ার আগ্রহে লোকজন লেখাটা পড়বে এবং সেই সাথে রোগটা সম্বন্ধেও জানবে।

আমার ধারণা ঠিক হলে আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।

২৮| ০৮ ই মার্চ, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:১৩

না পারভীন বলেছেন: পরকিয়া কথাটা সুন্দর না ,.অশালীতা লাগে । একুশে ফেব্রুয়ারিতে প্রকাশিত বলে বাংলা ইউজ করতে গিয়ে এই অবস্থা হয়েছে ।
আমার এই লেখা , বউ শাশুড়ি , নারী ও দুজন পুরুষের গল্পের উদ্দেশ্য ২ প্রকার ...১। পারিবারিক মমত্ব বৃদ্ধি
২। আর অবশ্যি খুব গুরুত্বপূর্ণ ২ /১ টি রোগ সম্পর্কে জানানো ।



এরকম কাহিনী আর জানিনা । কিন্তু সবাইকে আর অনেক কিছু জানানো দরকার । কেঊ না কেঊ তো সচেতন হবে । মানুষের ভুল ধারনায় গুলো যদি কিছু দূর হয় ।


বাচ্চা নষ্ট না করার উপর পরের লেখা । আমন্ত্রণ রইল । ভালো থাকবেন কাক ভাইয়া ।

২৯| ০৯ ই মার্চ, ২০১৩ দুপুর ২:৩২

একজন আরমান বলেছেন:
দুর্দান্ত লিখেছেন।

আমার পড়া সেরা গল্পগুলোর মধ্যে একটি।

আর আপনি ডাক্তার হবার সুবাদে আমরাও অনেক কিছু জানতে পারলাম।

বিবাহিত ছেলেদের মধ্যে সুন্দরী ললনারা কি পায় আযাযিল শয়তানই ভাল জানে ।

হয়তো তারা ভাবে এরা সব দিক থেকেই এক্সপার্ট !
তাই আমার মতো ব্যাচেলরদের বেল নেই ! :P

পরকীয়াকে খুব ঘৃণা করি।

ঘৃণা করি তাদেরকে যাদের কাছে ভালোবাসার থেকে কামনার দাম সব থেকে বেশি।

৩০| ০৯ ই মার্চ, ২০১৩ বিকাল ৩:২৮

না পারভীন বলেছেন: আরমান ভাই আপনার কাছ থেকে এমন সার্টিফিকেট পেয়ে আমার খুব ভাল লাগছে । লেখা পুরা সার্থক ।


ভাইরে আপনি একজন ভাল মানুষ । আযাযিল যেন কোন দিন আপনাকে কাবু করতে না পারে এই দোয়া রইল ।

৩১| ০৯ ই মার্চ, ২০১৩ বিকাল ৫:০২

একজন আরমান বলেছেন:
একদিনের পরিচয়ে ভালো মানুষ বলছেন?
মানুষ চেনা বড় কঠিন !

আমার মনে হয় মানুষের নিজের ইচ্ছা শক্তিই একটা বড় ব্যাপার। আমি যে জিনিসটা ঘৃণা করি সেটা কেউই আমাকে দিয়ে করাতে পারবে না।

৩২| ০৯ ই মার্চ, ২০১৩ বিকাল ৫:৪৪

না পারভীন বলেছেন: একটা মানুষের মধ্যে এই চেতনা থাকলে তার
পজিটিভ অংশ > নেগেটিভ অংশ ।


আপনার জন্মদিনে হাজার ফুলের শুভেচ্ছা । অনেক অনেক শুভকামনা । মে আল্লাহ ব্লেজ ইউ ।

৩৩| ০৯ ই মার্চ, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:৫৬

একজন আরমান বলেছেন:
হা হা।
ধন্যবাদ আপু।
কিন্তু আমার মনে হয় আমরা সব মানুষই কম বেশি হিপোক্রেট। যা না তাই সেজে থাকার ভান করি সর্বদা !

৩৪| ০৯ ই মার্চ, ২০১৩ রাত ৯:২০

না পারভীন বলেছেন: হিপোক্রেট লোকটা কে ?

৩৫| ০৯ ই মার্চ, ২০১৩ রাত ১০:১৬

একজন আরমান বলেছেন:
যা না তাই সেজে থাকার ভান করা লোকই হিপোক্রেট !

৩৬| ১০ ই মার্চ, ২০১৩ সকাল ৯:২০

না পারভীন বলেছেন: ঠিক ,
আমার কথা হলো , মানুষ হলো আইস বার্গের মতো । যতটুকু দেখা যায় তার চেয়ে বেশী দেখা যায়না ।
সবাই না হলেও কেউ কেউ ভালত্বর সাধনা করে ।

তারপরেও কথা থাকে ভালত্বর সজ্ঞা কি ? স্ট্যান্ডার্ড কি ?


৩৭| ১১ ই মার্চ, ২০১৩ রাত ৩:৫৩

একজন আরমান বলেছেন:
সেটাই তো বললাম। আমরা কম বেশি সবাই হিপোক্রেট !
হয়তো করে।
আমি তাদের দলে নই।
আর তাই সংজ্ঞাও জানি না।

১৯ শে মার্চ, ২০১৩ রাত ১০:৫৭

না পারভীন বলেছেন: :( :( :(

৩৮| ১৯ শে মার্চ, ২০১৩ বিকাল ৫:৪১

মহামহোপাধ্যায় বলেছেন: একস্ট্রা মেরিটাল রিলেশনশীপ ভালু না X( X((


পোস্টে প্লাস দিয়ে গেলাম।

১৯ শে মার্চ, ২০১৩ রাত ১০:৫৯

না পারভীন বলেছেন: :) :) :) থ্যাঙ্কু মহামহোপাধ্যায় ।

৩৯| ০৮ ই এপ্রিল, ২০১৩ সকাল ৭:০২

ওবায়েদুল আকবর বলেছেন: আপনার পোস্ট না পড়লেঅনেক বড় একটা জিনিস মিস করতাম জীবনে। খুবই ভালো হয়েছে লেখাটা। হাইপোথাইরয়ডিজম এর জন্য কি এজাইথ্রোমাইসিন খেতে হয়?

জবাব পেলে উপকৃত হতাম।

০৮ ই এপ্রিল, ২০১৩ সকাল ৭:২৩

না পারভীন বলেছেন: না :-/
হাইপোথাইরড হল থায়রয়েড গ্ল্যান্ডটি ঠিক মত কাজ করতে পারছে না , তাই প্রয়োজনীয় হরমন কম ।

তাই হরম্ ন টি পাওয়া যায় বাজারে । নিয়মিত খেতে হয় । দামও বেশী না ।

৪০| ১২ ই এপ্রিল, ২০১৩ দুপুর ১২:৫৯

গিয়াস উদ্দিন লিটন বলেছেন: ''সুন্দরীরা মানুষকে বিভ্রান্ত করে দিতে পছন্দ করে । মজনু এখন , পুরো বিভ্রান্ত ।''
হুমায়ুনিয় স্টাইল আর স্বতন্ত্র স্টাইলে চমৎকার লিখেছেন ।
আপনি লিখেন ভাল , এগিয়ে যান ।

১২ ই এপ্রিল, ২০১৩ দুপুর ২:২৩

না পারভীন বলেছেন: হুমায়নী জেনারেশন বলে কথা । গোপনে বলি ব্লগারদের যাদের ভাল লাগে তাদের ধাঁচ ও কিছুটা ছায়া ফেলে ।

৪১| ০৫ ই জুন, ২০১৩ বিকাল ৪:২২

সুমন জেবা বলেছেন: প্রাঞ্জল রচনাভঙ্গী ..আপনার পোস্ট টা চোখে না পড়লে অনেক বড় একটা জিনিস মিস করতাম..

০৫ ই জুন, ২০১৩ রাত ১১:০৪

না পারভীন বলেছেন: স্বাগতম সুমন ভাই ।



এটা বিশাল পোস্ট । রচনা কারী আপনার মন্তব্যে যারপর নাই আনন্দিত । অনেক অনেক ধন্যবাদ ভাইয়া।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.