নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমি ডা: নার্গিস পারভীন। বর্তমানে সরকারের স্বাস্থ্য সৈনিক। আমি ডাক্তারি ছাড়া আর কিছু পারি না।

না পারভীন

©ডাঃ নার্গিস পারভীন [email protected]স্বল্প, মাঝারি মাত্রার সংবেদন শীল মৌলিক লেখা I শিশুদের নাগালের বাহিরে রাখুন। পূর্বঅনুমতি ছাড়া কোথাও প্রকাশ করা যাবেনা ।

না পারভীন › বিস্তারিত পোস্টঃ

পেয়ারা বেগম , সখিনা আর ভয়াল PPH

০৮ ই মে, ২০১৩ রাত ৯:২৪

এই যে শহুরে মানব , কয়েকদিন আগেই খুব ঘটা করে পান্তা ইলিশ খেয়ে বাংগালিয়ানা নবায়ন করেছেন , এখন একটা প্রশ্ন করি তাহলে । অরিজিনাল বাঙ্গালী মানে ওই কিষাণ কিষাণীরা এখন খুব ব্যস্ত ,বলতে পারবেন কি নিয়ে ব্যস্ত তারা ?









উমম , আমাকেই কি বলে দিতে হবে ?



আচ্ছা বলেই দিই , তারা এখন বরো ধান কাটা নিয়ে দারুণ ব্যস্ত ।



ধানের সাথে হাসপাতালের একটা যোগ আছে । কিছু এলাকার কৃষকরা ধান তোলা হয়ে গেলে অবসর পায় । তাতে করে কি , মারামারি করে । হিংস্রতাই ওদের বিনোদন । হারে-রেরেরে বলে বলে এই গ্রাম ওই গ্রামের সাথে যার যা কিছু আছে তাই নিয়ে ঝাঁপিয়ে পড়ে । কঠিন মারামারি । হাসপাতাল ভরে যায় দুই গ্রামের ইনজুরির রোগী দিয়ে । ডাক্তার রা এই গ্রামের লোকদের ফাটা মাথা সেলাই দিতে থাকে আবার ওই গ্রামের লোকদের ও ভাঙ্গা হাত পায়ে প্লাস্টার করতে থাকে ।



টগবগ করে ফুটতে থাকা রক্তের এই গ্রামের অশিক্ষিত লোকগুলোর সাথে কাজ করা এক ভয়ংকর ব্যাপার । এই একগুঁয়ে ,শুকনা পটকা লোকগুলোর ডাক্তার হলে সকাল বেলায় দোয়া দরুদ পড়ে বের হতে হয় । কারণ অত্যন্ত খারাপ অবস্থায় আসার পর মারা গেলে এরা ডাক্তারের অবহেলা বলে ঝাঁপিয়ে পড়ে ।



এতো গেল , ধান তোলার পর অবসরে ওরা কি করে ।ঠিক ধান তোলার সময় গ্রামের কৃষক ফ্যামিলি থাকে মহা ব্যস্ত । ধান মাড়াই ,বাছাই , ধান শুকানো , ধান সিদ্ধ করা , চাল করে নিয়ে আসা , খড়ের গাদা দেয়া এসব নিয়ে এত ব্যস্ত থাকে যে কেউ মরে গেলেও ডাক্তারের কাছে আনতে চায়না ।





এমন মৌসুমে স্ট্রেচারে শুয়ে শুয়ে যখন অবস ইমার্জেন্সীতে প্রবেশ করেছে , তখন ধরেই নিতে হবে রোগীর ভয়াবহ কিছু হয়েছে । গুরুতর অসুস্থ রোগীর আত্মীয় স্বজন যদি বুঝদার হয় , তাদেরকে সাথে নিয়ে হিমালয়ের সমান বিপদও পাড়ি দেয়া যায় । আর যদি না হয় , তাহলে যে পরিস্থিতি হয় , তা দেখে বলতে ইচ্ছে করে মাইরালা আম্রে মাইরালা টাইপের অর্থহীন কথা বার্তা ।



মাগরিবের পর পর কোলাহল ময় হয়ে উঠল হাসপাতাল ।রোগীর সাথে দুনিয়ার লোকজন । রোগীর নাম জানার আগেই আমি জানতে পারলাম , এখানে এত লোকের মধ্যে একজনের নাম সখিনা , আরেকজনের নাম বাবুল্যার বাপ । একটু দূর থেকে দেখা গেল রুগী বলছে ,

ও সখিনা ,আমারে পানি দে । সখিনা , তরে কই না আমারে পানি দিতি ।

ও বাবুল্যার বাপ , আলমারির মধ্যে মোয়া আছে ।মোয়া আর পানি দেন ।

রোগী ক্রমাগত এই কথা বলে চলেছে ।



এত লোক ভিড় করে থাকলে রোগী দেখব কিভাবে ? রোগীর কাছ পর্যন্ত যেতে তো হবে ।সখিনা কিছুতেই রোগীর কাছ কাছ ছাড়া হতে চাচ্ছেনা । তারা বুঝে গেছে রোগীর এখন শেষ অবস্থা । সে পানি ও পানি পানি করছে । মোটামুটি কারবালার মত পরিস্থিতি । হাসপাতালে পানির অভাব নাই । কিন্তু সে রোগীকে গরম পানি দিতে চাচ্ছে ।

এক্কানা গরম পানির ব্যবস্থা করি দেন না ।

ইগো এক্কানা গরম পানির ব্যবস্থা করেন ।

বাবুল্যার বাপ ও ভিড় বাড়িয়ে রেখেছে । সেও রোগী মরার সময় পাশে থাকতে চায় ।

কোন ভাবেই রোগীর লোকজনকে সরানো যাচ্ছে না । ডাক্তারের কাছে তারা এসেছে বটে তার আসরে গিয়ে ডাক্তার কে রোগী দেখার সুযোগ করে দিতে তারা মোটেই আগ্রহী নয় ।

এই রোগীর নাম পেয়ারা বেগম । বয়স ৩০ । রোগীর ফজরের সময় ডেলিভারি হয়েছে । আর এখন মাগ্রীব । এটা ছিল তার পাঁচ নম্বর বাচ্চা । তার পর এই যায় যায় অবস্থা ।



রোগীর গায়ের বর্ণ ফ্যাকাশে রক্তহীন কাগজের মত সাদা । পেপার হোয়াইট ।

অত্যন্ত দ্রুত গতির পালস হালকা ভাবে বুঝা যাচ্ছে । ব্লাড প্রেশার এত ফল করেছে যে রেকর্ড করা যাচ্ছেনা । পুরো শরীর ঠাণ্ডা শীতল একটু ঘর্মাক্ত ।



১৩ -১৪ ঘণ্টা আগে ডেলিভারি হয়েছে তাহলে নিশ্চিত ভাবে তার রক্তক্ষরণ হচ্ছে , বা যতটুকুই হয়েছে রোগীর শরীর তা নিতে পারছেনা । রোগী শকে আছে ।



আর ভাবা লাগেনা , এই রোগী ডেলিভারির পরের এক জীবন সংহারক সমস্যায় পড়েছে এটা হল P.P. H ( post partum haemorrhage ) . বাংলাদেশের মায়েরা সন্তান জন্মদিতে গিয়ে এই সমস্যাতে ই বেশীর ভাগ মারা যায় । মাতৃমৃত্যুর বিশাল অংশ দখল করে আছে প্রসব পরবর্তী রক্ত ক্ষরণ ।





অতিরিক্ত রক্তক্ষরণ অনেক কারণেই হতে পারে ।

যেমন ফুল না পড়া ,

বা ফুলের অংশ জরায়ুতে থেকে যাওয়া ,

অথবা জরায়ু মুখ ছিঁড়ে যাওয়া ।

সবচেয়ে কমন সমস্যা যেটা হয় , সেটা হল ইউটেরাইন এটোনিসিটি ।





ক্লিনিক্যাল একজামিনেশন করে যেটা বুঝা গেল , এই জরায়ু ডেলিভারির পরে ভাল মত কন্ট্রাক্ট করেনি । ঢিলেঢালা হয়ে ছিল । আর সেখান ঠেকে প্রচুর পরিমাণে রক্ত ক্ষরণ হয়ে জরায়ুতে জমা হয়ে যাচ্ছে । ফুলের কিছুটা অংশ থেকে যেতে পারে জরায়ুতে । যেটা তখন জরায়ুকে পুরপুরি ভাবে কন্ট্রাক্ট করতে দেয়নি । আরও রক্ত ক্ষরণ হয়েছে । ভিতরে রক্ত জমে জমে ইউটেরাস এখন পাথরের মত শক্ত হয়ে আছে । এত রক্ত ক্ষরণ পেয়ারা বেগম নিতে পারেনি । তার পালস , ব্লাডপ্রেসার চেঞ্জ হয়ে সে শকে চলে গেছে ।



খুব খারাপ রোগী , সবাই মিলে ঝাঁপিয়ে পড়তে হয় , এ রোগীকে আজরাইলের কাছ থেকে ফিরিয়ে আনতে ।

তাড়াতাড়ি লার্জ বোর ক্যানুলা ২ টি চালু করতে হবে ,

দুই লিটার আইভি ফ্লুইড চালু করতে হবে ।

অক্সিজেন চালু করতে হবে ।

ক্যাথেটার করতে হবে ।

একই গ্রুপের ব্লাড চালু করতে হবে ।

সেইসাথে তার রক্তক্ষরণের কারণ দূর করতে হবে ।









। পেয়ারা বেগমের শরীরে রক্তশুন্যতা সামাল দেয়ার কম্পেন্সেটরি মেকানিজম গুলো শুরু হয়ে গেছে । তার ই ফলশ্রুতিতে শরীরের পেরিফেরাল রক্তনালীগুলো এমন সংকুচিত হয়েছে যে শিরা গুলো দেখা যাচ্ছে না । তাড়াতাড়ি আই ভি চ্যানেল ওপেন করে ভলিউম রিপ্লেস করে ভাসকুলার বেড কে ঠিক রাখাই সবচেয়ে জরুরী ।

কিন্তু চ্যানেল করার জন্য ভেইন খুঁজে পাওয়া যাচ্ছেনা । তখন আপনার মনে হবে দিয়ে চামড়া কেটে ভেইন খুঁজে বের করতে জানাটা কতটা জরুরী । সব ভেইন ডুবে গেলেও গলার কাছে জুগুলার ভেইন টা ডুববেনা । গলার মধ্যে সুঁই ঢুকিয়ে সেন্ট্রাল ভেনাস লাইন করতে পারা অনেক সময় জীবন রক্ষা কারি ।



অতি কষ্টে একটা চ্যানেল করা গেল ।



রোগী বলল , বাবুল্ল্যার বাপ মোয়া খাব ।

সমস্যা কি , এত কিছু থাকতে রোগী মোয়া খেতে চাইছে কেন । এরকম শকে থাকা রোগী সাধারণত নিস্তেজ হয়ে পড়ে থাকে । তাদের কথা বলার শক্তিও থাকেনা ।



শরীর সব কাজ চালানোর মত প্রয়োজনীয় রক্ত নাই । ভাইটাল অর্গানে ব্রেইন , কিডনিতে রক্ত সরবরাহ করছে হার্ট । সেটা পর্যাপ্ত হচ্ছে না । ব্রেইনে রক্ত প্রবাহ কিছুটা কম বলেই রোগী মেন্টাল কনফিউশনে আছে । সুতরাং সে যেঁ এখনো কথা বলছে ব্যাপার তা ভাল কিছু না । এই বিপদে সে মোয়া খাব , মোয়া খাব বলে প্রলাপ বকছে ।



আমাকে রক্তের গ্রুপ পরীক্ষা করা অতীব জরুরী । যত তাড়াতাড়ি সম্ভব একই গ্রুপের রক্ত দিতে হবে । কমপক্ষে ২ ব্যাগ এখুনি চাই । কয়েক সিসি রক্ত নেয়ার সময় সখিনা আগলে ধরল ,

আমাগো রুগীর রক্ত কিয়ের লাই নেন । হাসপাতাল সম্পর্কে মানুষের ধারণা হল এখানে রোগীর রক্ত বিক্রি করে দেয়া হয় ।

গ্রুপ জানা হয়ে গেলে বুঝদার রোগী হলে নিমিষেই রক্ত জোগাড় হয়ে যায় । অবশ্য হাসপাতালে সবসময় রেগুলার ডোনারদের ফোন নম্বর থাকে ।

কিন্তু আজ কপাল খারাপ । রক্ত দেয়ার মত কাউকে পাওয়া যাচ্ছে না । বি পজিটিভ । কমন রক্ত । কিন্তু এই কমন গ্রুপেরও আকাল পড়ে গেল ।



সখিনা ঘোষণা দিল , তারা কেউ রক্ত দিবেনা ।



না আমরা রক্ত দিমু না । সে গেলে মারা যাক । একজনের জন্য আমরা সবাই মরতে পারবনা ।

আমরা গরীব , আমাদের কারো গায়েই রক্ত নাই ।

আপনারা রক্ত কিনেন । আপনারাই রক্ত দিয়ে দেন আমরা টাকা দিয়ে দিমু ।

>> আগে তো তোমরা এত জন আছ , তোমরা গ্রুপ পরীক্ষা কর । তোমরা ব্লাড দাও ।



এরাও রক্ত দিবে না । ডোনার দের ও পাওয়া যাচ্ছে না ।

আহারে , বেশ হতাশাজনক পরিস্থিতি ।



ডাঃ পারভীন , আপনি অনেকটা সময় সেইফ ব্লাড ডোনেশনের পথিকৃৎ ভলান্টেরী অর্গানাইজেশন সন্ধানী করেছেন , অনেক মানুষকে রক্তদানে মোটিভেট করে অনেক ব্যাগ রক্ত কালেক সন করেছেন । অনেক রোগী বেঁচে গেছে তাতে । আজ এই অশিক্ষিত এই কয়েকটি মানুষের কাছে আপনার মোটিভেশনের যাবতীয় সূত্র ব্যর্থ হয়ে গেছে । আপনি রক্তের অভাবে রোগীটাকে মরতে দেখবেন ।

হুম , ব্যাপারটা যথেষ্ট হতাশার আর বেদনার ।তার হিমোগ্লোবিন ৩ । হিমোগ্লোবিন ৩ নিয়ে রোগী কতক্ষণ বেঁচে থাকবে ।

কিছুপরেই রক্তের অভাবে রোগী ইরিভার্সিবল শকে চলে যাবে । রক্তের অভাবে শরীরের সব অর্গান কাজ করা বন্ধ করে দিবে । কোন চিকিৎসাই তখন কাজে আসবেনা ।

সখিনা হল পেয়ারার বোন , তার ভাই ও আছে উপস্থিত । ভাইবোনের সাথে গ্রুপ অবশ্যই মিলত । আর বি পজিটিভ তো খুবই কমন একটা ব্লাড গ্রুপ । রোগীর লোকজন চোখের সামনে রুগীর প্রতি মায়া তুলে নিচ্ছে । তারা তার মরে যাওয়াটা মেনে নিয়েছে । এই দীর্ঘ জীবনে ভালবাসার পরাজয় অনেকবার দেখা হয়েছে । সত্যি কথা যেটা , এসব দেখা খুব ক্লান্তিকর ।





রোগী এখনো প্রাণের অস্তিত্ব ঘোষণা করল ওরে বাবুল্যার বাপ , পানি দেন ।

রোগীর শেষ দশা । মোয়া আর পানি খাওয়ার হাহাকার নিয়ে মরে যেতে দেয়া যায় না ।

দাও সখিনা , পানি দাও ।

সখিনা আবার ও গরম পানি , ঠাণ্ডা পানির ক্যাচালটা লাগিয়ে দিল । সদ্য ডেলিভারি হওয়া রোগীকে নাকি গরম পানি খেতে দিতে হয় । গরম পানি ম্যানেজ হয়েছে ।



আমাদের তো বিভিন্ন ডোনার কে ফোন দেয়া হয়ে গেছে । কিন্তু তারা আসার আগেই ইমার্গেন্সি ভাবে রক্ত চালু করতে হবে । তোমাদের কাছ থেকে রক্ত উদ্ধারের শেষ চেষ্টা কাজে লাগাতে হবে । সুশীল ভদ্দরনোক রক্তচোষা ট্যাগ যেহেতু দিয়েই দিয়েছে , দেখি এই নামের বরকতে কিছু করা যায় কিনা । না , সেটা লিখব না । কারণ সেটা কি উপায় জানলে আপনার ভাল লাগবেনা । কিন্তু অমানুষীয় পদ্ধতি ও মাঝে মাঝে কাজ দেয় ।



আরও কিছুক্ষণ পরে ড্রপ বাই ড্রপ রক্ত পেয়ারার হৃদপিণ্ডে পৌঁছে যেতে লাগল ।



কে রক্ত দিল ?

হিহিহি , সখিনা ।

পড়বি তো পড় মালীর ঘাড়েই । এত মানুষের মধ্যে সখিনার রক্তই একমাত্র গ্রুপের সাথে মিলল । বেচারা সখিনা রক্ত দেয়ার পর ভয়ে মাথা ঘুরে পড়ে গেল কিন্তু সখিনার রক্তই আবার প্রাণের জোয়ার আনল । আমরা ইঊটেরাস থেকে কেজি দেড়েক ক্লট ( জমাট বেঁধে যাওয়া রক্ত) রিমোভ করলাম । জরায়ু কন্ট্রাকশনের জন্য ঔষধ পত্র এমন ভাবে এডজাস্ট করা হল , যেন একটু ও বাড়তি রক্ত বেরিয়ে না যায় ।

আর ব্লাড পাওয়া গেল । নতুন করে ব্লাড যাওয়া সম্পূর্ণ বন্ধ হল । রোগী কি যাত্রা বেঁচে গেল .



PPH , খুব বিপদজনক সমস্যা । অনেক সময় জরায়ু পর্যন্ত ফেলে দিতে হয় । শক ইরিভার্সিবল হয়ে গেলে কোন ট্রিটমেন্ট কাজ করে না ।

মাঝরাত পর্যন্ত এইসব ঝামেলা পোহানোর পর আবার সকাল বেলা সিস্টারের ফোন । পেয়ারা বেগম ব্যথার কথা বলতেছে । >আচ্ছা , শুধু ব্যথাই বলছে । আর কিছু বলছে নাতো? আচ্ছা শুন ,পেয়ারা বেগম বাবুল্যার বাপের কাছে মোয়া খেতে চাচ্ছে নাতো ?



>>না । বাবুল্যার বাপ সারারাত রোগীর হাত ধরে বসে ছিল । তারে সরানোই গেলনা ।



সকালে দেখি সখিনা রোগীর পায়ের কাছে বসে আছে । আমি জানিনা কখন স্নেহের হাতটা সখিনার মাথায় চলে গেল । পরিস্থিতির চাপে পড়ে হোক না কেন সখিনার দেয়া রক্তেই পেয়ারার জীবন ,



>> তোমার দেয়া রক্তে তোমার বোনের জীবন বেঁচেছে । বাকি জীবন যদি ভাল হয়ে চল , এই রক্ত দান ই তোমাকে বেহেস্তে নিয়ে যেতে পারে ।

এই বিষয়ে পবিত্র কুরান শরীফে আছে , যে ব্যক্তি কারো জীবণ বাঁচাল সে যেন সমগ্র মানবজাতির জীবন বাঁচাল ।

>> আপা ছোট ছোট ৫ টা বাচ্চা , এরমধ্যে ১ টার বয়স ১ দিন । কি হইত আজ এগুলির মা মরে গেলে । এই রক্তই আখেরাতে দাঁড়াইবো । বলল আরেক আত্মীয়া

সবাই মিলে সখিনার এই সাহসিকতার মূল্যায়ন এত স্নেহের কথায় সখিনার চোখ হতে একফোঁটা অশ্রু গড়িয়ে পড়ে গেল ।





পেয়ারা বেগমের মোয়া খেতে চাওয়ার কোন কথাই এখন মনে নাই । সে মৃত্যুর দুয়ার থেকে ফিরে এসেছে । বাসায় থাকলে মরেই যেত ।সময় মত রক্ত না পেলেও মরে যেত ।



বাবুল্ল্যার বাপ তার বউ এর পোস্ট খালি হলে কতদিন মনে রাখত পেয়ারা বেগমকে কি জানি কিন্তু



অনেকদিন আগে এক মহিলা এরকম সন্তান জন্মদিতে গিয়ে এই ভয়াল PPH এ মারা গিয়েছিলেন । তাঁর স্বামীর প্রিয় জন হারানোর অশ্রু নিয়ে যমুনা আজো বয়ে যায় । সেই সমাধি ঘিরে লাভ বার্ড আজো করুণ গান গায় । প্রিয়তমার সমাধিতে খুব সুন্দর মহল তৈরি করেন । যা পৃথিবীর সপ্তাশ্চর্যের একটি নিদর্শন । তাজমহল । গাইনী এন্ড অবসের ডাক্তার রা তাজমহল কে প্রেমের না PPH এর প্রতীক বলে ।













সমাপ্ত





উৎসর্গ - যারা স্বেচ্ছায় রক্ত দান করেন , তারা আসলে জীবন দান করেন ।



অট - মন ভাল নেই । অতটা মানুষ নই যাতে করে খুঁজে পাব অযস্র যুক্তি নিজের দেশের মানুষের রক্তে নিজেরাই হোলি খেলার। বিষন্ন বিষন্ন আর বিষন্ন মন ,মে এর এই বৃষ্টি ভেজা দিন রাতএর মত ।

মন্তব্য ৫১ টি রেটিং +১০/-০

মন্তব্য (৫১) মন্তব্য লিখুন

১| ০৮ ই মে, ২০১৩ রাত ১০:৪০

ইয়ার শরীফ বলেছেন: apu apnar lekhonite mujtoba alir moton rommo khuje pelam,
valo laglo
**
** keybord problem tai english type**
sory

০৯ ই মে, ২০১৩ ভোর ৪:১৮

না পারভীন বলেছেন: শরীফ , প্রশংসা বাক্য দেখে বিহংগীয় ভাষায় বলতে হয় পুরো আনজ্জিত ( আনন্দিত + লজ্জিত ) হয়ে গেলাম ।
অনেক ধন্যবাদ । ভাল থাকবেন ।

২| ০৮ ই মে, ২০১৩ রাত ১০:৪২

খেয়া ঘাট বলেছেন: আল্লাহর কাছে প্রার্থণা করি , আল্লাহ যেন আপনাকে হায়াতে তায়্যিবা দান করেন।
তাজমহলের বিষয়টি যোগ করায় লিখাটিকে অন্য মাত্রায় নিয়ে গেছে। অনেক কিছু জানলাম।

০৯ ই মে, ২০১৩ রাত ৩:৫৯

না পারভীন বলেছেন: হায়াতে তায়্যিবা কি ?


৩| ০৮ ই মে, ২০১৩ রাত ১০:৫৮

সায়েম মুন বলেছেন: একদম ভিন্নধর্মী পোস্ট। শেয়ারের জন্য অনেক ধন্যবাদ।

০৯ ই মে, ২০১৩ ভোর ৪:০১

না পারভীন বলেছেন: ধন্যবাদ , সামু ( সায়েম মুন)

৪| ০৯ ই মে, ২০১৩ রাত ১২:১২

ভারসাম্য বলেছেন: আপনার লেখা বরাবরই মন দিয়ে পড়ি এবং উপভোগ করি। এবারও তার ব্যত্যয় হলনা।

আচ্ছা, মমতাজ কি আসলেই PPH এ মারা গিয়েছিলেন? যাতেই মরুন, মইরা শাজাহানরে অমর করছে।

+++

০৯ ই মে, ২০১৩ ভোর ৪:০৬

না পারভীন বলেছেন: PPH এর সেমিনারে ইন্ডিয়ান গেস্ট এসেছিলেন । খুব মনোমুগ্ধকর বক্তব্যে এই তথ্যটিও উঠে আসে ।



ধন্যবাদ ভারসাম্য ভাই । নিয়মিত পড়ার জন্য আবারো ধন্যবাদ ।

৫| ০৯ ই মে, ২০১৩ রাত ১২:১৯

নীল-দর্পণ বলেছেন: দারুন

০৯ ই মে, ২০১৩ ভোর ৪:০৮

না পারভীন বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ , নীল-দর্পণ ভাই ।

৬| ০৯ ই মে, ২০১৩ রাত ১:৪৯

একজন আরমান বলেছেন:
বরাবরের মতোই দারুন লিখেছেন আপু।
আবারও নতুন কিছু জানতে পারলাম।
রক্তের অভাবে কারো জীবন সঙ্কটাপন্ন হবে এ কথা ভাবতেই খারাপ লাগে।
আল্লাহ্‌র অশেষ রহমত আমার কাছে কেউ রক্ত চেয়ে খালি হাতে ফেরত যায় নি। সে আমার নিজের এ পজেটিভ রক্তই হোক কিংবা অন্য কোন গ্রুপই হোক। :)

০৯ ই মে, ২০১৩ ভোর ৪:১৩

না পারভীন বলেছেন: আরমান , ব্রাউজার ২-৩ টি দিয়ে এই লেখা শেষ পর্যন্ত প্রকাশ করা গেল । কষ্ট করে পড়ে মতামত দেয়ার জন্য অনেক ধন্যবাদ আরমান।

৭| ০৯ ই মে, ২০১৩ ভোর ৪:৫২

খেয়া ঘাট বলেছেন: হায়াতে তায়্যিবা মানে হলো- যতদিন আল্লাহ হায়াত দেন ততদিন যেন সুস্থ শরীর নিয়েই বেঁচে থাকেন।
মনে করেন- আপনি অনেকদিন বেঁচে থাকলেন, কিন্তু বিছানায় শুয়ে থেকে অথবা হসপিটালের বেডে। এ রকম হায়াত তো প্রার্থণা করা যায়না। তাই আল্লাহর কাছে সবসময় হায়াতে তায়্যিবা চাইতে হয়।

০৯ ই মে, ২০১৩ ভোর ৪:৫৯

না পারভীন বলেছেন: তাহলে এই সুবেহ সাদেকের লগ্নে আপনার এই প্রার্থনা , আল্লাহ যেন কবুল করে নেন । আমিন ।

৮| ০৯ ই মে, ২০১৩ ভোর ৫:১৩

একজন আরমান বলেছেন:
আপু আমি এম এস অফিসে লিখে নেই আগে। পরে শুধু কপি করে এনে পোস্ট দেই। কারণ সরাসরি লিখলে অনেক সময় সার্ভার এরর এর কারণে হারিয়ে যায় লেখা।
আর প্রিয় লেখকদের লেখা আমি পড়বোই, আর পড়ে মন্তব্য করাটাও আমার অভ্যাস। এজন্য ধন্যবাদ দিতে হবে না।

শুভকামনা সব সময়। :)

০৯ ই মে, ২০১৩ সকাল ৮:১৬

না পারভীন বলেছেন: আমিও লিখে পেস্ট করি । তবুও কি যেন হল ।

৯| ০৯ ই মে, ২০১৩ সকাল ৯:২৩

কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:
আপনার পোস্ট গুলো পড়লে মনে হয় ঈশ কেন যে তখন ডাক্তার হলাম না। তবে এখন এই আপনার পোস্ট গুলো পড়ে পড়ে কিছুটা হলেও শিখছি কিছু অত্যন্ত সাধারন অথচ কিছু প্রচলিত চিকিৎসা ও রোগ নিয়ে। আশা করি আরও নতুন নতুন বিষয় নিয়ে জানতে পারব আপনার লেখা থেকে।

০৯ ই মে, ২০১৩ সকাল ১০:৫৩

না পারভীন বলেছেন: কান্ডারী কি বলব , ভেবে পাচ্ছিনা ।
এই ব্লগটি আমার বাকদায়িত্বশীলতা প্রজেক্ট থেকে প্রকাশিত হয় ।

আর আপনি ও যে মানুষের পাশে থাকেন , সে খবর ও রাখি ।

১০| ০৯ ই মে, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:৩৭

শের শায়রী বলেছেন: ব্লগে কম আসা হয়। কিন্তু আসলে পরে আপনাদের মত কিছু মানুষের লেখ পড়ে মন ভরে যায়।

ভাল থাকুন নিরন্তর। মানুষের উপকার যে বিভিন্ন ভাবে করা যায় আপনি সেটা দেখালেন।

০৯ ই মে, ২০১৩ রাত ৮:০৫

না পারভীন বলেছেন: শের ভাই , আপনার পদধূলিতে অনুপ্রাণিত অনুভব করি ।

সবিনয় ধন্যবাদ ।

১১| ০৯ ই মে, ২০১৩ রাত ৮:৫৫

গিয়াস উদ্দিন লিটন বলেছেন: আপনার লিখার বাউন্সিং স্টাইলটা অসাধারন !
আপনার লিখার শুরুতে অনুমানই করতে পারিনা যে , আপনি ভুলিয়ে ভালিয়ে (?:)) হ্যামলনের বাঁশি ওয়ালার মত পাঠককে কোথায় নিয়ে যাচ্ছেন । :):)
''হ্যামলনের বাঁশি ওয়ালা''র জন্য শুভ কামনা ।

০৯ ই মে, ২০১৩ রাত ৯:২০

না পারভীন বলেছেন: লিটন ভাই , :) :) :)
ঝড়ে বক মরছে আর ফকিরের কেরামতি বেড়েছে :) :) :)


এই লেখাটা গ্রাম্য মানুষদের নিয়ে লেখা , তাই পাঠক কে ধান ক্ষেত থেকে ঘুরিয়ে আনলাম আরকি ।

১২| ০৯ ই মে, ২০১৩ রাত ৯:৪০

হাসান মাহবুব বলেছেন: আজরাইলের সাথে নিরন্তর প্রাণান্ত যুদ্ধ করার শক্তি আপনার মধ্যে সবসময় বজায় থাকুক, বর্ধিত হোক। খুব ভালো একটা লেখা। অনেক শুভকামনা।

০৯ ই মে, ২০১৩ রাত ৯:৫৯

না পারভীন বলেছেন: আমিন । পার্থনার জন্য অনেক ধন্যবাদ হামা ভাই ।
বেশির ভাগ ডাক্তার কষ্ট করে কিন্তু মিডিয়ার সমালোচনা নেতিবাচক ।

১৩| ০৯ ই মে, ২০১৩ রাত ১০:৫৩

খেয়া ঘাট বলেছেন: মনিরা সুলতানা বলেছেন: খুব বেশি আবেগ আপ্লুত অবস্থায় মনের ভাব প্রকাশ করা মুশকিল ।।
মসুর বিনয়ের স্বভাবে ভাবের অভাবে কীভাবে ভেবে ভেবে যেভাবে এভাবে এতো মায়া করে লিখেন, ভাব আসলে না জানি কি হয়?

বেচারার লগইনের সমস্যা- তাই ফক্সি দিয়ে গেলাম। লিখার ব্যাপারে কোনো কথা হবেনা। গোল্ডেন এ +

০৯ ই মে, ২০১৩ রাত ১১:৫১

না পারভীন বলেছেন: হাহাহা , আরু ভাই , মসুকে দিয়ে আমি আগেই কিছুটা পড়িয়ে টড়িয়ে ১ সপ্তাহ ধরে অতিষ্ঠ করেছি । লগ ইন সমস্যা হলেও তার নিস্তার নেই । মন্তব্য মাস্ট ।



নাপা মনি সামু তে ঢুকতে না পারলে কি হবে , পড়তে কে রুখবে আমায় , অনেক জটিল এবং কঠিন বাস্তবতা উঠে এসছে তোমার চমৎকার লেখনীতে .........।
অনেক অনেক দোয়া রইল গুণী হাত এর ছোয়া তে পেয়ারার সন্তান গুলো ফিরে পাক মা কে ।

১৪| ০৯ ই মে, ২০১৩ রাত ১১:১১

লেজকাটা বান্দর বলেছেন: আপা, মনটা ভরে গেল। দোয়া করবেন যেন আমিও আপনার মত ডাক্তার হতে পারি।

১০ ই মে, ২০১৩ রাত ১২:০০

না পারভীন বলেছেন: ভাইয়া ,দোয়া রইল । ভাল থাকবেন । আপনার লেখা ভাল লাগে ।

১৫| ১০ ই মে, ২০১৩ সকাল ৮:৩৫

সেলিম আনোয়ার বলেছেন: তথ্য বহুল পোস্ট ভাল লাগলো। ব্লগ অনুসরনে নিলাম। পোস্ট ++++

১০ ই মে, ২০১৩ বিকাল ৫:৪৩

না পারভীন বলেছেন: ধন্যবাদ , আর স্বাগতম কবি ।

১৬| ১০ ই মে, ২০১৩ দুপুর ২:২৭

আমিভূত বলেছেন: যদিও আমার আম্মুর সিজার হয়েছিল আমার ছোট বোনের জন্মের সময় কিন্তু ডাক্তার এর কোন ভুল এর কারনে হয়ত আম্মুর পেটে বেবি কে বের করার পর পরই ফুলটা পড়ে যায় , এরপর তা টুকরা টুকরা হয়ে যায় , আধা ঘণ্টার অপারেশন লেগেছি ৫-৬ ঘণ্টা ,দুই দিন আম্মু প্রায় মৃত ছিল ,ডাক্তার রা আশা ছেড়ে দিয়েছিলেন , এনেস্নেশিয়াও কম হয়েছিল ,আম্মু পুরো সেলাই টের পেয়েছিল।।বর্ণনাতীত কষ্ট পেয়েছিলেন । উপরওয়ালা র রহমতে ,আব্বুর দোয়ায় আমার আম্মু বেঁচে আসছেন :)

আপনার লেখা পড়ে আম্মুকে আবার জিজ্ঞাসা করলাম :) চালিয়ে যান আপু লেখায় ভালোলাগা ।
খেয়া ঘাট বলেছেন: আল্লাহর কাছে প্রার্থণা করি , আল্লাহ যেন আপনাকে হায়াতে তায়্যিবা দান করেন।

১০ ই মে, ২০১৩ বিকাল ৫:৪৯

না পারভীন বলেছেন: ভূত আপু , আসলেই আল্লাহর রহমত । আমরা চেষ্টা করি , মানুষ কেশেষ পর্যন্ত আল্লাহ ই রক্ষা করে । যেমন আপনার আম্মুর ক্ষেত্রে ঘটেছে । আন্টিকে আমার সালাম দিবেন ।


খেয়া ঘাট আর আপনি , দুজনকেই ধন্যবাদ । আল্লাহ যেন প্রার্থনা কবুল করে নেন, আমিন।

১৭| ১০ ই মে, ২০১৩ রাত ১০:৩৫

আমিনুর রহমান বলেছেন:

গল্পের ছলে PPH সম্পর্কে জানালেন। আপনার লিখা পড়লে মনে হয় আমি যেন আপনার স্থলে আছি। এমনভাবে বুঝান যেন কত সহজ ! প্রতিটি মা যেন নিরাপদে বাড়ি ফিরা।

১০ ই মে, ২০১৩ রাত ১১:১৯

না পারভীন বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ জেসন । সহজ ভাবে লিখতে গিয়ে কি বোর্ড প্রায় ভেংগে যাওয়ার দশা ।



নিরাপদ মাতৃত্ব নিশ্চিত করা সবার দায়িত্ব ।

১৮| ১০ ই মে, ২০১৩ রাত ১১:১১

সোহাগ সকাল বলেছেন: অন্যরকম লেখা। অনেক ধন্যবাদ শেয়ার করবার জন্য।
আমিনুর রহমান বলেছেন, এমনভাবে বুঝান যেন কত সহজ !

১০ ই মে, ২০১৩ রাত ১১:২২

না পারভীন বলেছেন: কষ্ট করে পড়ে মতামত দেয়ার জন্য অনেক ধন্যবাদ সোহাগ ।
অনুপ্রানিত হয়ে যাই

১৯| ১১ ই মে, ২০১৩ রাত ১:৪৯

বোকামন বলেছেন:





সম্মানিত না পারভীন,

আপনার লেখনী নিয়ে কিছু বলার মত সাধ্য আমার নেই, তবে কৃতজ্ঞতা আছে। তাই জানালাম.....

চিকিৎসা বিজ্ঞানের ভাষায় PPH
সখিনাদের জীবন দুর্বিসহ করে তুলছে সমাজে লুকিয়ে থাকা আরো কত PPH

আল্লাহ যেন এইসকল PPH থেকে আমাদের মুক্তি দেন-কামনা করি।

আপনার প্রতি শ্রদ্ধা রইলো
আস সালামু আলাইকুম


১১ ই মে, ২০১৩ ভোর ৪:৪৩

না পারভীন বলেছেন: সম্মানিত মন ,
ওয়ালাইকুম আসসালাম ।
আপনার সাথে একমত ।
পড়ার জন্য বিনীত ধন্যবাদ ।

২০| ১১ ই মে, ২০১৩ রাত ৯:০১

এম এম কামাল ৭৭ বলেছেন: খুব সুন্দর হয়েছে।

আল্লাহ্ আপনাকে অনেক দিন বাচিয়ে রাখুন।

১১ ই মে, ২০১৩ রাত ১০:০৫

না পারভীন বলেছেন: কামাল ভাই , অনেক ধন্যবাদ ।

২১| ১৬ ই মে, ২০১৩ দুপুর ১:২৬

আমি ইহতিব বলেছেন: গতকাল আপনার লেখা পড়ে এতো মুগ্ধ হয়ে গিয়েছি যে বাসায় গিয়ে এক এক করে আপনার অনেকগুলো পোস্ট পড়লাম, কিন্তু ২০/৩০ বার চেষ্টা করেও লগ ইন করতে পারিনি। তাই মন্তব্য করতে পারিনি। প্রতিটি পোস্ট যেন এক একটা জ্ঞানের ভাণ্ডার আর আপনি গল্পের ছলে এতো সুন্দর করে বিষয়গুলো উপস্থাপন করেছেন যে তাতে পোষ্টগুলো অনেক সুখপাঠ্য হয়েছে। আপনার পরবর্তী পোস্টের অপেক্ষায় থাকলাম।

১৬ ই মে, ২০১৩ দুপুর ২:২২

না পারভীন বলেছেন: আপু , প্রথম আমাকে লেখার অনুরোধ জানায় এক শিক্ষিত কিউট একটা রোগী , যার ফিমেল বস ইন্টারনেট থেকে পিল খাওয়া নিয়ে ভীতি কর এক তথ্য দেয় , ও ভুল ভাবে পিল খায় , কন্সিভ করে যায় আবার এবরশন , ডি&সির নিচে পড়ে ।



আমি লিখতে এলাম , প্রতিটি বিষয় অনেক ভাস্ট , কিছু তুলে নিয়ে আসা কঠিন । তবুও পাশে চাই , ছড়িয়ে দেয়ার জন্য , যদি নতুন কিছু জানেন ।

সিম্পেথী নিয়ে মহিলাদের জন্য , সুস্থ পরিবারের জন্য ।

২২| ১৮ ই মে, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:২৮

মুহাম্মদ জহিরুল ইসলাম বলেছেন: জাজাকাল্লাহ খায়র... মন ছুয়ে যাওয়ার মত লেখা আপু...

আল্লাহ আপনাকে মানুষের খেদমত করার তৌফিক দিন করুন এবং আল্লাহ এবং তার রাসুল(সঃ) এর সুন্নাহ এর উপর চলার সামর্থ্য দিন। জান্নাত আপনারো ঠিকানা হবে ইনশাল্লাহ... :)

১৮ ই মে, ২০১৩ রাত ৯:২০

না পারভীন বলেছেন: আমার গোল বেহেস্ত । সত্যি হবে তো জান্নাত আমারো ঠিকানা ??

২৩| ১৯ শে মে, ২০১৩ দুপুর ১২:২৬

মুহাম্মদ জহিরুল ইসলাম বলেছেন: মুসলমানের ঠিকানাতো জান্নাতই আপু... সুতরাং মুসলমান হিসেবেই মরতে হবে... :)

১৯ শে মে, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:০৮

না পারভীন বলেছেন: সাহ`স ` দেয়ার জন্য ধন্যবাদ , ভাইয়া

২৪| ২০ শে অক্টোবর, ২০১৩ রাত ১২:৪২

না পারভীন বলেছেন: Miss u Santosh :(

২৫| ০৫ ই নভেম্বর, ২০১৩ রাত ৯:০৫

দেওয়ান-এ-রাসুল বলেছেন: খুবই ভালো লেগেছে

০৫ ই নভেম্বর, ২০১৩ রাত ৯:১১

না পারভীন বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ ভাইয়া আর শুভকামনা রইল . আমার ব্লগ বাড়িতে স্বাগতম

২৬| ০৮ ই নভেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৩:৩৬

সপন সআথই বলেছেন: ভিন্নধর্মী পোস্ট। dhonnobad :)

০৮ ই নভেম্বর, ২০১৩ রাত ১০:৫৩

না পারভীন বলেছেন: আমার ব্লগ বাড়িতে স্বাগতম সপন ভাই .শুভ কামনা নিরন্তর .

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.