নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

ঘোরাঘুরি আনলিমিটেড

ঘুড়তে থাকা চিল

আমি ঘুরতে খুব ভালোবাসি,মোটামোটি প্রকৃতির কোলে গিয়ে ঘুমানোর স্বপ্নটাকে জীবনের মুল প্রতিপাদ্য করে নিয়েছি ৷

ঘুড়তে থাকা চিল › বিস্তারিত পোস্টঃ

চায়ের দেশে একদিনঃশ্রীমঙ্গল

২০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:০২

শ্রীমঙ্গলের চা বাগানের প্রতি আমার সবসময় আলাদা একটা টান ছিলো ৷ তো শাহজালাল প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় এ বন্ধুরা পরীক্ষা দিবে,ভাবলাম তাদের সাথে একটু সিলেট ঘুরে আসি ৷ যেরকম ভাবনা সেরকম কাজ,আমরা তিন বন্ধু বাপ্পি,কানন আর আমি সিদ্ধান্ত নিলাম পরীক্ষার আগের দিন আমরা শ্রীমঙ্গল ঘুরবো ৷ তো পরীক্ষার দুই দিন আগে রাত ১১:৩০ ট্রেনে উঠলাম বিমানবন্দর স্টেশন থেকে ৷ শোভন চেয়ার এর টিকেট কাটা সত্ত্বেও মানবতার খাতিরে আখাউড়া স্টেশন পর্যন্ত দাড়িয়েই যেতে হলো ৷ রাত ৩ টার সময় আমরা পৌছে গেলাম চায়ের রাজ্য শ্রীমঙ্গলে ৷ পরলাম তো বিপদে,রাত তো এখনও অনেক বাকি যাবো টা কোই! এর মধ্যে কানন স্টেশন বিশ্রাম ঘরে ঢুকেই দিলো ঘুম ৷ আমি আর বাপ্পি স্টেশনের প্লাটফর্ম হাটতে হাটতেই ভোর বাবাজি হাজির ৷ সকাল ৬:৩০ সকালের নাস্তা সেড়ে রিকশায় করে প্রথমে গেলাম BTRC চা বাগানে ৷ মাত্র ৫ মিনিট দালানি পথ পার করতে না করতে চারদিকে সবুজের সমারোহ ৷ মটর চালিত রিকশার বাতাস আর নভেম্বরের ভোরের কনকনে শীত জমিয়ে দিচ্ছিলো আমাদের ৷ কিন্তু এ যেনো চোখের স্বর্গ , শীতের পরোয়া করে কে!
BTRC চা বাগান ঘুরা শেষ করে আসলাম হোটেল গ্র্যান্ড সুলতানের সামনে ৷ এক চা বিক্রেতার কথা শুনে ডান দিকের রাস্তায় হাটা ধরলাম ৷ প্রায় ২ কিলোমিটার রাস্তা হাটার পর দেখা পেলাম জেরিন টি এস্টেটের (ইস্পাহানি) ৷ ম্যানেজার অনুমতি নিয়ে প্রবেশ করলাম চা বাগানে ৷ মনোরম এক চা বাগান, অসংখ্য টিলায় চায়ের গাছ, টিলা তে উঠার চিকন সরু পথ ,এক কথায় অসাধারণ ৷ চা বাগান ঘুরা শেষে রওনা দিলাম রেইনফরেস্ট লাউয়াছড়ার পথে ৷ একটি সিএনজি করে যাচ্ছিলাম,পথ এগোতেই দেখি চা গাছের রাজত্ব শেষ, এবার ঘন-জঙ্গলের পালা ৷ ২০ মিনিটের পথ পাড়ি দিয়েই পৌছালাম লাউয়াছড়ার প্রধাম প্রবেশদ্বারে ৷ প্রবেশদ্বারের দালালেরা ঘন্টা অনুযায়ী ৩০০ টাকার প্যাকেজ বর্ননা করলেন,ঘুরিয়ে আনবে আদিবাসী ঘর,দেখতে পারবো সাপ,বাঘ ইত্যাদি ইত্যাদি ৷ বুদ্ধিমানের কাজ করে ,৩০ টাকার টিকেট কেটে নিজেরা একলাই প্রবেশ করলাম বনের মধ্যে ৷ এমনিতেই শীত,তার উপর ঘন গাছগাছালির ঠান্ডা অন্যরকম লাগছিলো ৷ পুরো বন ঘুরে যা আবিষ্কার করলাম তা হলো গরু,মুরগী,পিপড়া আর পাখি ছাড়া বনের মধ্যে কোনো বাঘ,সাপ বলতে কিছুই নেই ৷ দুএকটা আদিবাসী ঘর আছে বটে ৷ বন ঘুরা শেষে গেলাম সাত লেয়ারের চায়ের জন্যে বিখ্যাত সেই নীলকন্ঠ টি কেবিন এ ৷ সাত লেয়ারের চা ভালোই ছিলো,তবে স্পেশাল দুধ চা ছিলো আমার জীবনের শ্রেষ্ঠ চা ৷ চা আর দুপুরের খাবার সেড়ে রওনা হলাম সিলেট এর পথে ৷

শ্রীমঙ্গলের কিছু ছবিঃ
১)BTRC চা বাগানে ভোরের বেলা

২)BTRC এর পথে

৩)আমরা ৩ জন

৪)চায়ের দেশে সুর্যাস্ত

৫)জেরিন টি এস্টেট

৬)চা বাগানের মালিকের বাংলো তে যাওয়ার পথ

৭)চা পাতার তোলার জন্যে শ্রমিক নিয়ে যাচ্ছে,ওদের পরিশ্রমেই আমরা চায়ের কাপে চুমুক দিতে পারি

৮)ছোট একটি পাথুরে ঝিরি

৯)ঐ যে শ্রীমঙ্গল

১০)নীলকন্ঠ টি কেবিন

১১)লাউয়াছড়া রেইন ফরেস্ট এর পথ

১২)ছায়াভুত

১৩)শীতের সকালে কানন ভাই

১৪)ঘন বনে সুর্যের উকি


#নভেম্বর ২০১৪ তে ভ্রমন করেছি,আজ হঠাত সৃতিকাতর হয়ে লেখা

মন্তব্য ১০ টি রেটিং +৪/-০

মন্তব্য (১০) মন্তব্য লিখুন

১| ২০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:২১

সুমন কর বলেছেন: সুন্দর সব ছবি।

২০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:৩৫

ঘুড়তে থাকা চিল বলেছেন: ধন্যবাদ সুমন ভাই ৷

২| ২০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৫ রাত ৮:০৩

সাহসী সন্তান বলেছেন: ছবি এবং লেখা দুই-ই অনেক ভাল লেগেছে!

২০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৫ রাত ৮:০৮

ঘুড়তে থাকা চিল বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই ৷
ভাল থাকুন ৷

৩| ২০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৫ রাত ১০:৩০

শাহরিয়ার কবীর বলেছেন: চমৎকার ছবি।

২১ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৫ ভোর ৫:৫১

ঘুড়তে থাকা চিল বলেছেন: ধন্যবাদ শাহরিয়ার ভাই ৷

৪| ২১ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৫ সকাল ৭:০৯

লালপরী বলেছেন: আপনার চোখে শ্রীমংগল দেখলাম :)
সুন্দর ছবি +++++++

২১ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৫ সকাল ৮:৫৩

ঘুড়তে থাকা চিল বলেছেন: ধন্যবাদ লালপরী,
সুযোগ হলে একবার নিজের চোখ দিয়েও দেখে আইসেন ৷

৫| ২২ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৫ রাত ১২:৪৮

কালীদাস বলেছেন: বর্ণনা, ছবি দুইটাই ভাল লাগল। টিকেট কেটে চাবাগানে ঢুকতে হয় আগে জানতাম না :)

২২ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৫ ভোর ৬:২২

ঘুড়তে থাকা চিল বলেছেন: ধন্যবাদ কালীদাস ভাই ৷
তবে টিকেট দিয়ে চা বাগানে নয়,লাউয়াছড়া রেইন ফরেস্ট এ প্রবেশ করেছিলাম ৷

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.