নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

ঘোরাঘুরি আনলিমিটেড

ঘুড়তে থাকা চিল

আমি ঘুরতে খুব ভালোবাসি,মোটামোটি প্রকৃতির কোলে গিয়ে ঘুমানোর স্বপ্নটাকে জীবনের মুল প্রতিপাদ্য করে নিয়েছি ৷

ঘুড়তে থাকা চিল › বিস্তারিত পোস্টঃ

হাওড় বিলাসঃ টাঙ্গুয়ার হাওড়

১৬ ই জুলাই, ২০১৭ রাত ৯:১৯


মেঘালয় পর্ব এখনো শেষ করতে পারিনি,আবার হাওড় আসলো কোথা থেকে!! হাহা, ইদানিং ঘুরায় খুব বেশি ব্যস্ত সময় কাটছে।
গত ১৩ জুলাই রাতে নেত্রকোনার বাসে করে আমরা রউনা হই ৯ জন হাওড় এর উদ্দেশে। ময়মনসিংহ মহাসড়ক উন্নত করায় এক সময়কার ৫ ঘন্টার রাস্তা মাত্র ৩ ঘন্টায় পার করে রাত ৩.১৫ আমরা পৌঁছে যাই নেত্রকোনা সদরে। সেখান থেকে আমরা ৫.৪০ এর ট্রেনে করে ৬.১০ এ আমাদের প্রথম গন্তব্য মোহনগঞ্জ এ পৌছাই। হোটেল এ বসে সকালের নাস্তা করি, বাইরে এক পসলা ঝুম বৃষ্টি ও হয়ে গেছিলো।
অটো রিকসায় করে ১০ কিমি দুরের কান্দাপাড়া বাজারে চলে যাই, যেখানে পূর্বে থেকেই অপেক্ষা করছিলো আমাদের মাঝি রিপন।
যাত্রা শুরু আমাদের হাওড়ের বুকে।

প্রথম থেকেই আবছা দেখতে পারছিলাম দুরের পাহাড় সারির। কিন্তু পথ খুব কাছের নয়, প্রায় ২ ঘন্টা একের পর এক হাওড়,বিল পার করে আমরা পৌঁছেছিলাম মূল টাঙ্গুয়ার হাওড় এ । ওয়াচ টাওয়ার এ উঠে দেখছিলাম সৌন্দর্য, নীল পানি আর হিজল বনের মাঝে গোসল ও করে নেই আমরা।
আজ রাতের গন্তব্য এখনো নাকি অনেকদুর। আর অনেকগুলো গ্রাম একে একে পার করলাম।

দুপুরের খাবার খেয়ে নেই একটা বাজার এ ট্রলার থামিয়ে। খেয়েছিলাম নাকি বুক জালাইছিলাম সেটাই প্রশ্ন!! অকল্পনীয় ঝাল!!
আরো কিছুদুর যাওয়ার পর পাহাড় সারি ধারে এসে ধরা দিচ্ছিলো!

অবশেষে পৌছাই ট্যাকেরঘাট, আজকের রাত টা এখানেই কাটাবো। মাথার উপর তখন প্রখর রোদ , কিন্তু অপেক্ষা না করে ঘুরতে নেমে গেলাম। শুরুতেই আছে একটি সৃতিসৌধ।

সবার আগে চলে গেলাম লাকমাছড়ায়, প্রশস্ত একটি ছড়া যা অপরপ্রান্তের ভারত থেকে প্রবাহমান। অসাধারন ঠাণ্ডা পানি পেয়ে প্রায় ২ ঘন্টা পানিতেই কাটিয়ে দিয়েছিলাম ।

একটা গ্রুপ ছবি তুলে দিয়েছিলো মাঝি।

বিকেলে ঘুরলাম লাকমা ও ট্যাকেরঘাট গ্রাম ।

সন্ধার একটু আগে ট্রলার এ ফিরলাম। হাওড় এর অসাধারন স্বচ্ছ পানি দেখে আর লোভ সামলাতে পারলাম না , আবারো ডুব দিলাম হাওড় এর জলে ।

একটি অনিন্দ্য সুন্দর সূর্যাস্ত দেখেছিলাম হাওড় এর তীরে।
রাত কাটিয়ে দিয়েছিলাম ট্রলার এর ছাদে।
ভোর হলো, ৫ টা হোন্ডা ঠিক করে চলে গেলাম বারেক টিলা আর জাদুকাটা নদি ঘুরতে । ৩০ মিনিটের পিচ ঢালা পথ পেরিয়ে পৌছাই আমরা ।

ফিরে এসে আবারো ডুব কোয়ারি চুনাপাথর লেকে । এখানেও প্রায় ২ ঘন্টা ছিলাম !! :-p

পাশেই থাকা সুউচ্চ টিলা গুলো থেকে সব একসাথে দেখা যায় ।

দুপুর পর্যন্ত থেকে আমরা আবারো রউনা হই মোহনগঞ্জ এর উদ্দেশে। সন্ধায় মোহনগঞ্জ এ পৌঁছিয়ে রাত ১১.৩০ এর ট্রেনে করে আমরা ঢাকার উদ্দেশে রউনা হই। আজ ভোর ৬ টায় আমরা সবায় সুস্থ ভাবে পৌছাই।
রিপন মাঝিঃ ০১৭৫১৮৫৫১৩৫

মন্তব্য ১২ টি রেটিং +৭/-০

মন্তব্য (১২) মন্তব্য লিখুন

১| ১৬ ই জুলাই, ২০১৭ রাত ৯:৩৭

ডঃ এম এ আলী বলেছেন: সুস্দর ছবি সাথে বিবরণ ভাল লাগল পাঠে ।
স্মৃতি সৌধটির একটি ছোট বিররণ দিলে জানা যেত
অনেক অজানা কথা ।

শুভেচ্ছা রইল ।

১৮ ই জুলাই, ২০১৭ রাত ৯:০১

ঘুড়তে থাকা চিল বলেছেন: ধন্যবাদ ভালো লাগার জন্যে
স্মৃতিসৌধটি মুক্তিযোদ্ধা দের শ্রদ্ধায় করা।

২| ১৬ ই জুলাই, ২০১৭ রাত ১০:৩৬

কল্লোল পথিক বলেছেন:




চমৎকার!
তবে ছবির সাথে ক্যাপশন দিলে আরও ভাল হতো।

১৮ ই জুলাই, ২০১৭ রাত ৯:০৪

ঘুড়তে থাকা চিল বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই।

৩| ১৭ ই জুলাই, ২০১৭ সকাল ৯:১৯

মোস্তফা সোহেল বলেছেন: এমন মেঘ আর পাহাড় দেখলে মন চাই এক্ষুনি চলে যায়।
খুব সুন্দর হয়েছে ছবি গুলো।

১৮ ই জুলাই, ২০১৭ রাত ৯:০৪

ঘুড়তে থাকা চিল বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই।
সময় করে ঘুরে আসুন একবার!

৪| ১৮ ই জুলাই, ২০১৭ রাত ১:১৪

আলভী রহমান শোভন বলেছেন: পোস্টে প্লাস। অসাধারণ ছবি ব্লগ। :)

১৮ ই জুলাই, ২০১৭ রাত ৯:০৫

ঘুড়তে থাকা চিল বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই।

৫| ১৮ ই জুলাই, ২০১৭ বিকাল ৩:৫৭

রাতু০১ বলেছেন: চমৎকার!সুন্দর হয়েছে ছবি গুলো।

১৮ ই জুলাই, ২০১৭ রাত ৯:০৫

ঘুড়তে থাকা চিল বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই।

৬| ১৮ ই জুলাই, ২০১৭ রাত ১১:৩৪

মনিরা সুলতানা বলেছেন: বাহ !! চমৎকার ।
বেশ সুন্দর কিছু ছবি , মন ছুয়ে গেল ।
শুভ কামনা :)

১৯ শে জুলাই, ২০১৭ দুপুর ১:১০

ঘুড়তে থাকা চিল বলেছেন: ধন্যবাদ আপু ভালো লাগার জন্যে

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.