নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

ঘোরাঘুরি আনলিমিটেড

ঘুড়তে থাকা চিল

আমি ঘুরতে খুব ভালোবাসি,মোটামোটি প্রকৃতির কোলে গিয়ে ঘুমানোর স্বপ্নটাকে জীবনের মুল প্রতিপাদ্য করে নিয়েছি ৷

ঘুড়তে থাকা চিল › বিস্তারিত পোস্টঃ

স্বপ্ন ছোয়ার অপেক্ষায়ঃ পর্ব ১(কলকাতা,চান্ডিগাড়)

১৯ শে অক্টোবর, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:২৭


ভূস্বর্গ কাষ্মীর! একথাটি শুনে শুনে অনেকের নিজের জীবনের স্বপ্ন একেছে কাষ্মীর কে নিয়ে ৷ ব্যাতিক্রম টি ছিলোনা আমাদেরও ৷ এবারে আমরা ৬ জন, ১৬ দিনের জন্য দেশত্যাগ করেছিলাম ৷
দেশ ট্রাভেলস এর বাসে করে আমরা রওনা হই কলকাতার উদ্দেশ্যে, ইমিগ্রেশন এ কোনো ঝামেলা পোহাতে হয়নি ৷ সকল কাজ বাসের সুপারভাইজর ই করে দিয়েছিলো ৷

একদম সকাল সকাল আমরা বর্ডার পেরিয়ে গিয়েছিলাম ৷
৯ টায় আমরা পেট্রাপোল থেকে বাসে করে রওনা হই কলকাতা শহরের উদ্দেশ্যে ৷ কিন্তু এ যেনো এক অন্যরকম বিদেশ! মাত্র ৭৫ কিলোমিটার রাস্তা পারি দিতে সময় লাগলো পাক্কা ৬ টি ঘন্টা ৷ বিকেল ৩ টায় আমরা পৌছাই দমদম এয়ারপোর্ট এরিয়া তে ৷ সেখানে আমরা উঠি সংকর দাদার বাসায় ৷

বিকেল টা হেলায় না কাটিয়ে আমরা বের হয়ে পড়েছিলাম শহর টা ঘুরে দেখার জন্যে ৷
গেলাম সল্ট লেকের সিটি সেন্টার ১ এ ৷
অসাধারন এই শপিং মল টির বিশেষত্ব হচ্ছে এটির ভেন্টিলেশন সিস্টেম সম্পূর্ন প্রাকৃতিক ৷
খুব সাদাসিধের মধ্যে অত্যাধুনিক একটি স্ট্রাকচার এই সিটি সেন্টার ১ ৷ ফুডকোর্ট এ কাটিয়ে দিয়েছিলাম সন্ধ্যা ৷

সেখান থেকে বের হয়ে সেই কলকাতার ঐতিহ্যবাহী মাটির পাত্রের চা, আর মোতিচুর এর লাড্ডু ভোজন করা হলো ৷

রাত তখন ৯ টা, ফিরতি পথে আবারও সেই চিরতেনা জ্যাম ৷ ১১ টায় এসে পৌছেছিলাম হোটেলে ৷
সবার মধ্যে উত্তেজনা কাজ করছে, কাল আমাদের সবারই জীবনের প্রথম বিমান ভ্রমন!
রাতে আর বেশি দেরি না করে ঘুমিয়ে গিয়েছিলাম ৷
৫ টার সময় উঠে ব্যাগ ঘুছিয়ে সংকর দাদার পরিবারের কাছ থেকে বিদায় নিয়ে চলে যাই নেতাদী সুভাশ চন্দ্র বিমানবন্দর এ ৷ কলকাতা শহরের প্রায় প্রতিটি স্ট্রাকচার এ আধুনিকতার ছাপ স্পষ্টত ৷ বিমানবন্দর এর সামনে বিশাল একটি মাঠ, যা দেখতে অসাধারণ লাগছিলো
আমাদের ফ্লাইট কলকাতা-চান্ডিগড় স্পাইসজেটে ছিলো সকাল ৭:৫০ এর ৷ চেক ইন শেষ করে আমরা ৭:২০ এ বিমানের ভিতর প্রবেশ করি ৷
বিমানের ভিতরটা আমার বাসের মতোই মনে হচ্ছিলো :-P

বিমানের জানালা দিয়ে কলকাতা শহরটাকে ছবির মতো মনে হচ্ছিলো ৷ দিল্লি পৌছানোর আগে কোনো এক অজানা রেন্জের বিশাল পর্বতমালা দেখতে পারছিলা, কে জানে হিমালয় ও হতে পারে!
দিল্লি তে ২০ মিনিটের ট্রানজিট দিয়ে আমাদের বিমান চান্ডিগড় পৌছায় ১১:৫০ এ ৷ বিমানের দেরীর ব্যাপারে বেশী কর্নপাত হয়েছে জীবনে কিন্তু এখানে একটু ভিন্ন ৷ ১২:১০ এ ল্যান্ড করার কথা ছিলো বিমানের যা নির্ধারিত সময়ের ২০ মিনিট আগেই ফ্লাইট শেষ করেছে :-) ৷

ছোট্ট একটি বিমানবন্দর চান্ডিগড়, কিন্তু আরবের ছাপ ৷ চান্ডিগড় পান্জাব প্রদেশের রাজধানী ৷ পান্জাবের আতিথেয়তার বহু প্রবাদ আমরা অনেকেই জানি ৷ শহরটা অনেক ঘুছানো, কোথাও কোনো ট্রাফিকের ছাপ নেই ৷ চলে যাই আমরা শিমলার বাস স্ট্যান্ড এ, যার নাম ৪২ সেক্টর ৷ চান্ডিগাড় শহরের কোনো যায়গার নাম নেই, পুরো শহরটা ১-৬৬ টা সেক্টরে ভাগ করা ৷
দুপুরে পেটপূজা করেছিলাম বিখ্যাত পান্জাবী থালি দিয়ে ৷ মাটন পানির অসাধারণ লেগেছে আমাদের কাছে ৷ এখানেই শেষ ছিলো ভাতের :'(

দুপুর ২ টার বাসে করে আমরা রওনা হয়েছিলাম শিমলার পথে ৷ কালকা পৌছানোর পর থেকের পাহাড়ের ছোয়া ৷ সোলান নামের যায়গায় পৌছানোর পর থেকেই শীতের মৃদু ছোয়া ৷ হঠাত ভালো লাগছিলো মৃদু হীম বাতাসের শীত ৷
রাত ৮ টা নাগাদ আমরা পৌছাই শিমলা শহরে ♥ ৷ আগামী পর্বে থাকবে শিমলা সৌন্দর্যের বর্ননা ৷

আমাদের রুট ছিলোঃ ঢাকা > কলকাতা > চান্ডিগাড় > শিমলা > মানালি > লেহ > শ্রীনগর > জাম্মু > ঢাকা

মন্তব্য ১০ টি রেটিং +৪/-০

মন্তব্য (১০) মন্তব্য লিখুন

১| ১৯ শে অক্টোবর, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:৪৩

জাহিদ হাসান বলেছেন: উফ! অসাধারন

১৯ শে অক্টোবর, ২০১৭ রাত ১০:৫২

ঘুড়তে থাকা চিল বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই।

২| ১৯ শে অক্টোবর, ২০১৭ রাত ৮:২১

মাহমুদুর রহমান সুজন বলেছেন: ভাল লাগলো ভ্রমন কাহিনী।

১৯ শে অক্টোবর, ২০১৭ রাত ১০:৫২

ঘুড়তে থাকা চিল বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই।

৩| ১৯ শে অক্টোবর, ২০১৭ রাত ৮:৪০

তারেক ফাহিম বলেছেন: মানালি < লেহ < শ্রীনগর < জাম্মু < ঢাকা[/sb

বর্ণনায় দেখছি না, নেই কোন ছবিও,

যাকগে, ভালো লাগলো অসাধারণ ট্যুর দিলেন ব্রো, তবে বিমানে প্রথম পদার্পন করলে, ব্যাপারটি আরেকটু বাড়িয়ে বলতেও পারতেন।

১৯ শে অক্টোবর, ২০১৭ রাত ১০:৫৩

ঘুড়তে থাকা চিল বলেছেন: পরবর্তী পর্ব গুলোতে থাকবে ভাই।

৪| ২০ শে অক্টোবর, ২০১৭ রাত ১২:৫৪

হিরন সরকার বলেছেন: পরের পর্বের অপেক্ষায় রইলাম।

২০ শে অক্টোবর, ২০১৭ সকাল ১০:১৯

ঘুড়তে থাকা চিল বলেছেন: খুব শিগ্রই পাবেন ভাই ।

৫| ২০ শে অক্টোবর, ২০১৭ রাত ১:১৫

কালীদাস বলেছেন: কলিকাতার বাসটা দেইখ্যা মনে হৈল ঢাকা শহরের আশির দশকে চলা প্রগতির ফালায়া দেয়া বাস। টোকায়া নিয়া রং কৈরা রাস্তায় নামাইসে :P

স্পাইস জেট সম্ভবত একটা বাজেট এয়ারলাইন, এগুলার সার্ভিস এমনেও চিতকাইত টাইপেরই :| বোয়িং ৭৩৭ প্লেনগুলা আমার খুব পছন্দ না, লেগরুম খুবই কম।

যাউকগা, আবার আইলে পরের পর্বের অপেক্ষায় থাকুম B-)

২০ শে অক্টোবর, ২০১৭ সকাল ১০:২৩

ঘুড়তে থাকা চিল বলেছেন: প্রতিটা এয়ারলাইন এর ই তো ইকোনোমি আর বিজনেস ক্লাস থাকে! তবে লেগরুম যথেষ্ট ছিলো ।
পুরো ভারতেই এরকম ৮০ দশকের মুড়ির টিন এর রাজত্ব ভাই ।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.