নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

ঘোরাঘুরি আনলিমিটেড

ঘুড়তে থাকা চিল

আমি ঘুরতে খুব ভালোবাসি,মোটামোটি প্রকৃতির কোলে গিয়ে ঘুমানোর স্বপ্নটাকে জীবনের মুল প্রতিপাদ্য করে নিয়েছি ৷

ঘুড়তে থাকা চিল › বিস্তারিত পোস্টঃ

আমরাই পারি কিছু করতে (দমার চর)

১২ ই জানুয়ারি, ২০১৮ দুপুর ২:৫৮


দমার চর নিঝুম দ্বীপের কাছেই নতুন একটি চর, যাকে আমরা ট্রাভেলার রা ভার্জিন আইল্যান্ড হিসেবে চিনি। বঙ্গোপসাগর আর মেঘনার মেহনায় জেগে ওঠা বিশাল চরাঞ্চলের নাম দমার চর। নিঝুম দ্বীপের পূর্ব পাশেই বেড়ে ওঠা এই চর জলচর নানান পাখির নিরাপদ আবাসস্থল। দমার চর নোয়াখালির হাতিয়া উপজেলার একটি অংশ।
এবারে আসল ঘটনায় আসি, যার সাথে ঘটনা হয়েছে সে হলো সাইফুর রহমান।
ফেসবুক আইডি লিঙ্কঃ https://www.facebook.com/saifurrahman.omi
সাইফুর ভাই কিছুদিন আগেই পরিচিত ট্রাভেল গ্রুপ ETB এর সাথে নিঝুম দ্বীপ এ গিয়েছিলেন। ETB টিম ফেরত চলে আসলেও সাইফুর ভাই ও উনার সাথে একজন নিঝুম দ্বীপে থেকে যান কারন তাদের এলাকার মসজিদের উন্নয়ন মুলক কাজ ছিলো। বন্দরটিলা থেকে দুরের দমার চর দেখে উনাদের ইচ্ছে জাগলো সেখানে যাওয়ার। উনারা একটি নৌকা ভাড়া করে দমার চর যায়।

দমার চরে,
ভাই দের দেখেই একটি পরিবার উনাদের বলে ভাই রা আমাদের বাড়ি তে দুটা ভাত,ডাল খেয়ে যান। সাইফুর ভাইরা উনাদের থেকে পানি চায়। ততক্ষনে ঘটে যায় এক আজগুবি ঘটনা, পুরো দমার চরের সব মানুষ হাতে লাঠি নিয়ে হাজির। মাঝখানে একটা খাল ছিলো সেই খালে নেমে যায় উনাদের ধাওয়া করতে। পরবর্তীতে ওই বাড়ির মানুষ সবায় কে ঠেকায় এরা আমাদের শত্রু না বুঝিয়ে। তারপর ওরা লাঠি ফেলে সাইফুর ভাইদের কাঁধে উঠিয়ে খাল পার করে অপর প্রান্তে নিয়ে যায়। উনারা ভাই দের সাথে ভগবান সরুপ আচরন করতে শুরু করেন। কেও কেও ভাই এর পা পর্যন্ত ধুয়ে দিতে চাইলো। পরবর্তীতে মসজিদের সামনে এক জায়গায় সবায় জড়ো হয়ে বসেন। দেখাতে থাকে তাদের উপর অমানুষিক অত্যাচার এর নমুনা, তাদের শরীরের বিভিন্ন অংশে ছিলো আগুনে ঝলসে যাওয়ার দাগ। শরীরের বিভিন্ন জায়গায় কেটে যাওয়ার দাগ।
সবায় বলে বাবারা আপনারা আমাদের উদ্ধার করেন, সরকার আমাদের এই যায়গা পুনর্বাসনের জন্নে দিয়ে দিসিলো।
এখানে আমরা সবায় ঘর করেছিলাম, কিন্তু কিছু দিন পর পর আমাদের ঘর আগুন দিয়ে জালিয়ে দিতে লাগলো হাতিয়া থেকে আসা কিছু লোক। আমাদের শরীরে পর্যন্ত আগুন লাগিয়ে দিতো,আমাদের মসজিদ পর্যন্ত তারা আগুনে পুরিয়ে দিয়েছে।
এখানে যারাই আসে আমাদের অবস্থা দেখে শহরে ফিরে আর কোনো দিন ফিরে আসেনা। বাবারা আপনাদের কাছে জীবন ভিক্ষা চাই, আপ্নারা আমাদের ব্যাপারে মানুষকে একটু জানান। আমরা বাচতে চাই, তাদের ভয়ে এখন আমরা শুধু পলিথিন দিয়ে বাসা করে রেখেছি।
সাইফুর ভাই যখন জিগ্যেস করলো এরকম কেনো করে?
তখন তারা বলে হাতিয়ার মানুষ মনে করে নিঝুম দ্বীপে যেভাবে আপনারা এসে পরিচিত করেছেন,দমার চরের ও এক্সময় এরকম হবে। দমার চরের ও একসময় কোটি টাকা দাম হবে। তাই তারা আগে থেকেই দখলে রাখতে চায় এই চর কে।


এরকম বলে তারা ভাইদের পারে পৌছিয়ে দেয়। ভাইরা নিঝুম দ্বীপে ফিরে স্থানীয় দের এসব ব্যাপারে জিগ্যেস করলে তারা বলে,
ওইখানে কেন গেছেন আপনারা? আমরা ভালো আছি,থাক্তে চাই। ওদের কথা আমাদের ভেবে লাভ নেই।

ঘটনা টি সাইফুর ভাই আমাকে ডেকে বলেছেন যখন উনি দেখতে পান যে আমরা দমার চরে ক্যাম্পিং এর প্লান করেছিলাম।
এখন কথা হলো সারা দেশের অনেক জায়গায় এরকম হচ্ছে,যা আমরা জানিনা। এই বিষয়ে আমরা কি করতে পারি? আমরা পারি এই কথা গুলোকে প্রচার করতে। যত বেশি মানুষ এই ব্যাপারে জানতে পারবে তত তাদের ভালো ভাবে বাচার সম্ভাবনা বাড়তে পারে।
বলছিনা যে তাদের এই অবস্থা থেকে আমরা মুক্ত করতে পারবো, কিন্তু অন্তত চেষ্টা আমাদের সবার মিলে করা উচিত। অন্তত পরবর্তীতে যেনো এরকম কেও সাইফুর ভাইদের মতো বিপদে না পরে তা আমরা নিশ্চিত করতে পারি।
আমরা পারি,চাইলে আমরাই কিছু করতে পারি।

মন্তব্য ২ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (২) মন্তব্য লিখুন

১| ১২ ই জানুয়ারি, ২০১৮ বিকাল ৫:১৫

তারেক ফাহিম বলেছেন: পাশপাশি উপজেলায় থাকার পরও এসব কারণে ইচ্ছে করলেও বেড়াতে যেতে পারি না।

হাতিয়ার ওপারের মানুষজন যেমন অশিক্ষিত তেমনি হিংস্র।

আমার এক বন্ধু হাতিয়া উপজেলা এলজিইডিতে প্রকৌশলী পদে আছে, বার বার দাওয়াত করেও আমাকে নিতে পারেনি :((

২| ১২ ই জানুয়ারি, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:৫৮

প্রামানিক বলেছেন: বিপদের কথা, প্রশাসন কি করে?

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.