নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

স্পেস-টাইম

there is no problem in the heavens and earth ;) problem lies in three places... beneath, between and within the hells.

গোলাম দস্তগীর লিসানি

বুলি বলে শুনতে পাই, রূপ কেমন তা দেখি নাই, ভীষম ঘোর দেখি।। পোষা পাখি চিনলাম না, এ লজ্জা তো যাবে না, উপায় কী করি, আমি উপায় কী করি।।

গোলাম দস্তগীর লিসানি › বিস্তারিত পোস্টঃ

বাংলাদেশের স্বাধীনতা

১৪ ই এপ্রিল, ২০১৩ রাত ১১:২৬

ভারতবর্র স্বাধীনতার সময় কথা হয়েছিল তিনটা আলাদা জাতি হবে। পাকিস্তান, ভারত ও বঙ্গ। বিশাল এক বঙ্গ। তা না হয়ে হল পাকিস্তান। এক আজব জাতি। যাদের ধর্মে অবশ্যই মিল আছে। এটা বড় একটা বিষয়। ভাল বিষয়। কিন্তু ভাষা, পারস্পরিক সমঝোতার ধরণ, সামাজিক কালচার- কোন দিক দিয়েই মিল নেই।

তারপর, ধর্ম রক্ষার নামে বাংলাদেশের স্বাধীনতার যুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়ল কিছু হায়েনা।

পাকিস্তানের ৯-১০ শ্রেণীর সামাজিক বিজ্ঞান বইয়ে আজো লেখা আছে, ‘জামায়াতে ইসলামী তখন তাদের রাজনৈতিক শত্রুদের দমনকল্পে বিরোধী অবস্থান নেয়। পুরো দলটা তৃণমূল পর্যায় পর্যন্ত রেযাকার বাহিনী গঠন করে পাকিস্তানী সেনাবাহিনীকে সহায়তা করে।’

আহা, একটা দেশ ক্ষতবিক্ষত। কই, পশ্চিম পাকিস্তানের তো কিছুই হয়নাই। তারা তো দিব্যি ছিল তখনো। আমাদের ত্রিশ লক্ষ জীবন হারিয়ে যায়। ৪ লক্ষ নারী হারায় সর্বস্ব।

তারপর বাংলাদেশ স্বাধীন। আমরা আমাদের মানচিত্র নিয়েই তুষ্ট। পরিতৃপ্ত। আর কিছু চাই না। এদেশের সবাই নিজ নিজ ধর্ম পালন করুক, ঠিক রাসূল দ.'র সুন্নাত মত। স্বাধীনভাবে।

কিন্তু জন্মের সময় যে যন্ত্রণাটা পেতে হল- এটা খুবই বড় ধরনের অপরাধ। এই অপরাধ এর শাস্তি হবেই। কিন্তু শাস্তির প্রক্রিয়া যখন প্রশ্নবিদ্ধ হয় ৩৫০ খুনের নির্শনার শাস্তি যখন সামান্য যাবজ্জীবন, তখন ন্যায়বিচারের প্রশ্ন আবারো সামনে চলে আসে। আর সেই প্রশ্ন থেকে বারুদের বস্তায় আগুন দেয়া।

ছায়াশত্রু সামনে এনে কায়াশত্রু পিছে লুকায়।



পরিচয়: ১. বাঙালী ২. জামাতের আদর্শ ও পরিণতি ৩. হেফাজতে ইসলাম ৪. হিজবুত তাহরীর



মুসলিমের: ১. উপলব্ধির উপায় ২. একজন মুসলিমের তাহলে কেমন হতে হবে?



লড়াই: ১. অবমাননায় মুসলিমের করণীয় ২. শাহবাগীরা কী চায় ৩. আস্তিক-নাস্তিক ক্যাচাল ৪. কারা লড়ছে, কেন লড়ছে ৫. শুধু বিধর্মে নয়, সংঘাত সর্বত্র



জামাতের কিছু বিষয়: ১. জামাতের প্রচার পদ্ধতি ২.

অবমাননা জামাতেই

মন্তব্য ১৮ টি রেটিং +৪/-০

মন্তব্য (১৮) মন্তব্য লিখুন

১| ১৫ ই এপ্রিল, ২০১৩ রাত ৩:৩৮

ভাঙ্গাচুরা যন্ত্রপাতি বলেছেন: আচ্ছা নামটা বঙ্গ নাকি বাঙালিস্তান, কোনটা রাখতে চাইছিল? এ ব্যাপারে সঠিক তথ্যটা জানেন?

১৫ ই এপ্রিল, ২০১৩ দুপুর ১২:৫১

গোলাম দস্তগীর লিসানি বলেছেন: ভাই আপনি যা লিখেছেন, সেটা সুন্নাহ্ শব্দটার প্রতি রিপালসিভতা থেকে লিখেছেন। এমন রিপালসিভ হলে কেউ কোনদিন অন্যকে বুঝতে পারে না।

যারাই রিপালসিভ, তাদেরই অস্ত্র হাতে নামতে হয়।

কারণ, তারা বুঝতে পারেও না, বোঝাতে পারেও না।


সুন্নাহ মানে কী? মদিনায় কোন্ নীতিতে রাসূল দ. দেশ চালিয়েছেন?
আর আমি অধম মূখখু লোক তো,
তাই এইযে গণতন্ত্র, এইটারেও এক প্রকার সুন্নাহ হিসাবে চালায়া দিসি।
এইটারেও কইসি সুন্নাহ।

ভাল থাকেন।

২| ১৫ ই এপ্রিল, ২০১৩ সকাল ১১:৫৩

আজ আমি কোথাও যাবো না বলেছেন: ধর্মকে ধর্মের স্থানে রাখতে হয় নাইলে বিপদ!

আমি যা মনে করি ব্রিটিশরা এই উপমহাদেশে ধর্ম দিযে মানুষগুলোকে বিভক্ত করে রেখে গেছে। আর এইটা আমরা এখনও ক্যারি করছি!

আর হ্যাঁ বাংলাদেশের জন্ম তো হয়েছে কিন্তু শকুনেরা পিছ ছাড়ে নাই এখনও।

১৫ ই এপ্রিল, ২০১৩ দুপুর ১২:৫২

গোলাম দস্তগীর লিসানি বলেছেন: অবশ্যই ধর্মকে ধর্মের স্থানে রাখতে হয়। সব সময়। এটাই বলার চেষ্টা করেছি ১ বছর তিন মাস যাবৎ।

আমাদের বিভক্তির সুর বড় করুণ।

৩| ১৫ ই এপ্রিল, ২০১৩ দুপুর ১:১৩

s r jony বলেছেন: একি আমরা দেখছি হায় পরওয়ারদিগার
হত্যাকারি যেনাকারিরা সেজেছে নব্য পয়গাম্বার।
একাত্তরের কাফের সরদারকে ক্ষমা করেছে আদালত
রোজ-হাশরে তুমি ক্ষমা করবেনা এই আমাদের এবাদত।

১৫ ই এপ্রিল, ২০১৩ দুপুর ১:৩৩

গোলাম দস্তগীর লিসানি বলেছেন: রোজ-হাশরে তুমি ক্ষমা করবেনা,
এই আমাদের এবাদত!!!

৪| ১৫ ই এপ্রিল, ২০১৩ দুপুর ১:১৬

কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:

বহুত হয়েছে এবার ভণ্ডদের চিনে নিয়ে কিছু একটা করতে হবেই।

১৫ ই এপ্রিল, ২০১৩ দুপুর ১:৩৭

গোলাম দস্তগীর লিসানি বলেছেন: এখানে ইসু মাত্র একটা, দেশ ও মানবতা।

৫| ১৬ ই এপ্রিল, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:৩৯

ঘুড্ডির পাইলট বলেছেন: এখানে ইসু মাত্র একটা, দেশ ও মানবতা।


সহমত ।

২৩ শে জুলাই, ২০১৩ সকাল ১১:২৯

গোলাম দস্তগীর লিসানি বলেছেন: ধন্যবাদ ঘুপাভাই। ব্লগ মিসকরছি খুবখুব! ইচ্ছা করে আবার শুরু করে দেই। বিশেষ করে আপনাদের সাথে সময় কাটানো, ফেসবুকে আড্ডাবাজি...

৬| ১৮ ই এপ্রিল, ২০১৩ রাত ১২:৫৩

নিয়েল হিমু বলেছেন: আরেকটু মনে হয় লেখতে পারতেন ভাই :)
পুরাই হুমায়ূন স্যাররে কপি মারছেন সব বইলাই ফেলছেন কিন্তু কিছুই না । ভাল লাগছে নতুন করে বলার কিছু নাই :)

২৩ শে জুলাই, ২০১৩ সকাল ১১:৩০

গোলাম দস্তগীর লিসানি বলেছেন: কেমন আছেন আপনারা! আমি কিন্তু হুমায়ূন স্যাররে পাগলের মত ভালবাসি, বিষয়টা গোপনে চাপাই থাকে। তাঁকে কপি করে ফেললেও খারাপ লাগে না তো।

৭| ১৮ ই এপ্রিল, ২০১৩ বিকাল ৪:০৯

সাইবার অভিযত্রী বলেছেন: কেমন আছো বাংলাদেশ ? - পোষ্টে দাওয়াত। ক্যাচাল WANTED ।

২৩ শে জুলাই, ২০১৩ সকাল ১১:৩১

গোলাম দস্তগীর লিসানি বলেছেন: আপনি যখন দাওয়াতটা দিলেন তখন আমিতো ক্যাচালভীতিতে আক্রান্ত! ক্যাচাল তো দুরের কথা, ক, ক্, ক্য বা ক্যা শুনলে অন্তরাত্মা খাঁচাছাড়া হতো।

৮| ২০ শে এপ্রিল, ২০১৩ রাত ১১:৪৯

প্রকৌশলী রিয়াদ হাসান চৌধুরী বলেছেন: চট্টগ্রামে আপনাদের একটা মহাসমাবেশ হল আজ। আপনাদের দাবীগুলো নিয়ে বিস্তারিত লিখবেন। একটি পোস্ট দিলে আরো ভাল হয়। সত্য প্রসারে নিয়োজিত যখন করেছেনই পুরোপুরিই করুন।


শুভকামনা।

২৭ শে এপ্রিল, ২০১৩ দুপুর ১২:১৭

গোলাম দস্তগীর লিসানি বলেছেন: ভাই হ্যা, তাঁদের ধর্মীয় মতবাদ আমারো মতবাদ।

কিন্তু আমি কোন প্রাতিষ্ঠানিকতার সাথে জড়িত নই।
প্রাতিষ্ঠানিকতা অস্বীকার করি।

বিবেক যা বলে, সেটুকু বলি।


এখানে জানিই না, বারো দফা কী ছিল। সম্মেলনে কী বলেছে। আপনার জন্যও শুভকামনা।

৯| ২৩ শে এপ্রিল, ২০১৩ ভোর ৪:৪৪

কাজী মামুনহোসেন বলেছেন: ভাই একটি পুস্ট লিখছি, আপনার কাছ থেকে একটু সাহায্য চাই।

ইসলাম কি মানুষ হত্যার পক্ষে ?
মানুষ হত্যার ব্যাপারে কুরআনে কি লিখা আছে ?
ধর্মবিদ্ধেষীদের হত্যা করার ব্যাপারে কোরআনে কি লিখা আছে ?


"তোমরা তাদেরকে যেখানে পাও সেখানেই হত্যা কর"

এটা কি কুরআনের আয়াত ?
উত্তর হ্যা হলে, এই আয়াতের মাধ্যমে কাদের হত্যা করতে বলা হয়েছে ?

যুক্তি সহ উত্তর পেলে উপকৃত হব।

২৭ শে এপ্রিল, ২০১৩ দুপুর ১২:১০

গোলাম দস্তগীর লিসানি বলেছেন: মামুন ভাই,
সালাম।

আমি আসলে ব্লগিঙ করার উপযুক্ত মানুষ না। আর সব মন্তব্য জবাব দিচ্ছি না, কারণ আমার নেট লাইনও নাই এখন। যা নাজারা দেখাল সহব্লগাররা।

হ্যা, কুরআন শরীফের আয়াত।
এখানে আমাদের কোনই ব্যাখ্যা দিতে হবে না। কারণ ব্যাখ্যা দিয়ে দিয়েছেন স্বয়ং রাসূল দ.'র সম্মানিত আসহাব রা. গণ। সেই ব্যাখ্যা তাফসীর গ্রন্থসমূহে বর্তমান।

কিন্তু আমাদের শেখানো হয় ভ্রান্ত কথা।
আমাদের শেখানো হয়, কুরআন পড়। কোনকিছু ফলো করো না, শুধু কুরআন পড়ো।

কিন্তু আল্লাহ কুরআনে বলছেন,
এই সেই কুরআন যার মাধ্যমে অনেককে করা হয় পথপ্রাপ্ত আর অনেককে পথভ্রষ্ট (লিড অ্যাস্ট্রে)

তাই,
দাঁতের ব্যথা হলে যেমন আমরা নিজেরা ডেন্টিস্ট্রির বই না পড়ে বরং ডেন্টিস্টের কাছে যাই, এমনকি একটা গরু জবাই করতে হলে যেমন আমরা বুচারির বই পড়ে সে থেকে নিজে নিজে সিদ্ধান্ত না নিয়ে বরং কসাই ডেকে আনি, ঠিক তেমন নয়, বরং তারচে বেশি গুরুত্বপূর্ণ কুরআন থেকে জানা।

কারণ, বাকি সবই ইহকালীন। একমাত্র কুরআনই ইহ এবং পরকালীন।
ইহকালীনে যদি আমরা এত সাবধানতা অবলম্বন করি, তাহলে ইহ এবং পরকালীন গ্রন্থ, যা স্বয়ং আমাদের মহান স্রষ্টার বাণী, সেটার বিষয়ে কী সাবধানতা অবলম্বন করতে হবে?

কুরআন যারা বোঝেন ও বোঝান,
তাঁরা এই বিষয়ে এক্সপার্ট। তাঁরা জীবনের টানা ষাটটা বছর সত্তরটা বছর শুধু জ্ঞান আহরণ করেছেন। মুখস্ত করে নয়, ডিগ্রি নিয়ে নয়, বরং প্রতিদিন ১৫-২০ ঘন্টা ব্রেইনস্টর্মিং করে। মেধার চূড়ান্ত বিকাশ দেখিয়ে। কুরআন বুঝতে তাঁরা ৫০ টি সহিহ হাদিস গ্রন্থ ঘেঁটেছেন, তারিখ ই ইসলাম, সমস্ত সিরাত গ্রন্থ এবং সমস্ত তাফসীর ঘেঁটেছেন।

এঁদেরই নাম ইমাম আবু হানিফা, এঁদেরই নাম ইমাম মুসলিম, বুখারী, মালিক, শাফি, হাম্বল আলাইহিমুর রাহমা।

অথচ আমরা এখন এঁদের মানতে নারাজ। এঁদের না মানলে যে ইসলাম কখনোই বোঝা যাবে না, সেই খবর নেই।

এইযে আমাদের অনেকেই শুধু কুরআন পড়েই বোঝার চেষ্টা করেন, ফলে পথভ্রষ্ট হন, এর পিছনে দায়ী দলগত প্রণোদনা। দায়ী, ওইসব ইমাম যা শিক্ষা দিয়েছেন, এর বিপরীত শিক্ষা দেয়া। কারণ, তাদের শিক্ষার বিপরীত 'বিদআত' বা আবিষ্কার আমরা করব, আবার তাঁদের মানব তা তো হবে না।

যেখানেই কাফির পাও, হত্যা কর...

পরিস্থিতি-
*মুসলিমরা আক্রমণ করেনি, আক্রান্ত হয়েছে। যুদ্ধগ্রস্ত হয়েছে।
*যুদ্ধে মুসলিমরা আক্রমণকারী অস্বীকারকারী তথা কাফিরদের বিরুদ্ধে অস্ত্র নিলেও তাদের ভিতরে যে বিশ্বজনীন মমতা ভরে দিয়েছেন আমাদের রাসূল দ., সে মমতার কারণে মুসলিমরা সম্মুখ সমরেও হত্যা করতে পারছেন না।
*এদিকে মুসলিমরা নিহত হচ্ছেন।

তাই,
সম্মুখ সমরের ক্ষেত্রে,
এই আয়াত নাযিল হয়,

যার অর্থ হল,
যুদ্ধের সময়, যুদ্ধের ক্ষেত্রে, যেখানে যে অবস্থায় পাও, আক্রমণকারী শত্রুকে হত্যা কর, নচেৎ তোমাদের নিহত করা হবে।

এই পরিস্থিতিতে বিশ্বজনীন মমতা কাজে আসছে না।
এই অতি সাধারণ বিষয়টাকে আমরা কোথায় নিয়ে গেছি! আল্লাহ মুসলিম জাতিকে আপন পরিচয় দান করুক। মুসলিম কখনো কোনদিনই কোনক্রমেই কাউকে হত্যা করতে পারে না, যদি না সম্মুখ ব্যাটল হাজির হয়। সম্মুখ ব্যাটলে যখন দুই পক্ষ থাকে, তখন তারা এক পক্ষের সৈন্যদের অন্য পক্ষ হত্যা করে, সেটা সর্বযুগে সব জায়গাতেই প্রতিষ্ঠিত।

ভাল থাকবেন ভাই। আল্লাহ চাইলে কথা হবে।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.