নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

স্পেস-টাইম

there is no problem in the heavens and earth ;) problem lies in three places... beneath, between and within the hells.

গোলাম দস্তগীর লিসানি

বুলি বলে শুনতে পাই, রূপ কেমন তা দেখি নাই, ভীষম ঘোর দেখি।। পোষা পাখি চিনলাম না, এ লজ্জা তো যাবে না, উপায় কী করি, আমি উপায় কী করি।।

গোলাম দস্তগীর লিসানি › বিস্তারিত পোস্টঃ

নামাজ, শুদ্ধভাবে নামাজ এবং নামাজের পদ্ধতি নিয়ে ইদানীংকার অস্বস্তিকর অস্পষ্টতা ১

১০ ই আগস্ট, ২০১৩ সকাল ১০:১৮

নামাজের পদ্ধতি নিয়ে কিছু বিভ্রান্তি খুব সুন্দরভাবে ছড়ানো হচ্ছে। এই বিভ্র্রান্তির ফলটা কেমন দাঁড়াচ্ছে তা নিজের চোখে দেখলাম এবং খুবই বিরক্ত হলাম। একজন নিকটাত্মীয় ত্রিশ বছর আগে কামিল বা টাইটেল ডিগ্রি নিয়েছেন মাদ্রাসা থেকে। এর বাইরে, ধর্মীয় নয় এমন একটা সম্মানজনক বিষয়ে তিনি স্কলার, দেশ-বিদেশ ঘুরে বেড়ান।



ইনি যদি হয়রান হয়ে বলেন, বুঝলে, সারা জীবন তো ভুল নামাজ পড়ে এলাম!

তাহলে পরিস্থিতিটা কেমন হয়?



ভুল নামাজ পড়ে এলেন মানে কী? তিনি কি শিরক করে এলেন? যাকে ফার্সিতে বোৎপরস্তি বলে, সেই প্রতিমা-প্রার্থনা করে এলেন? যাকে নিকৃষ্ট অনুপ্রবেশ বলা হয়, সেই বিদ'আত করে এলেন? অথবা দয়াময় রাসূল দ. যে পথে নামাজ পড়েছেন, সেই পথে না পড়ে মনগড়া পথে পড়লেন? ঠিক কী কারণে, সুস্থ-অসুস্থ অবস্থায় কাঁটায় কাঁটায় নামাজ পড়া আলিম একজন মানুষ বলতে পারে, বুঝলে, সারা জীবন তো ভুল নামাজ পড়ে এলাম!



তিনি বললেন, বুখারি শরীফে আছে, বারবার আছে, রুকুতে যাবার আগে হাত তুলতে হবে। এবং রুকু থেকে দাঁড়ানোর আগেও। মূলত এভাবে নামাজ না পড়াই তার ভুলভাবে নামাজ পড়া। এবং এর সাথে সম্পর্কিত আরো কিছু বিষয়।



প্রথমেই কথা, বুখারী শরীফে কি এই কথাটা ভুল লেখা আছে? না।

রাসূল দ. কি এভাবে নামাজ পড়েছেন, যেভাবে বুখারী শরীফে আছে? পড়েছেন।

সাহাবীরা কি এভাবে পড়েছেন? পড়েছেন।

এভাবে পড়লে কি শুদ্ধ হবে? অবশ্যই হবে।

তাহলে শেষ কথা হল, তিনি কি ভুল বলেছেন? তিনি অবশ্যই ভুল বলেছেন। শুধু ভুল বলেননি, তিনি ফিৎনা সৃষ্টিকারী ভুল কথা বলেছেন যা একটা খুব বড় ধরনের অপরাধ। উম্মাহ্ র মধ্যে বিভ্রান্তি তৈরি করার মত অপরাধ খুব কমই আছে। আর সেই অপরাধ হল, তিনি যেভাবে নামাজ পড়ে এসেছেন, সেটাকে ভুল বলার মাধ্যমে বাংলাদেশের ৯০%+ মুসলমানের নামাজকে বাতিল করে দেয়া পাশাপাশি পৃথিবীর ৭০%+ মুসলমানের নামাজকে ব্যর্থ কাজ বলা।



ওই নামাজটা যেমন সঠিক গাইডেন্সের মাধ্যমে শিখে তারপর পড়লে বিশুদ্ধ হবে, প্রচলিত নামাজও সঠিক গাইডেন্সের মাধ্যমে শিখে (যা মানুষ এম্নিতেই শিখে থাকে) পড়লে পূর্ণ বিশুদ্ধ হবে।



কারণ?

রাসূল দ. অন্তত চার-পাঁচভাবে নামাজ পড়েছেন। তিনিই ধর্মের দলিলনামা। তিনি যা করে গেছেন, তাই ধর্ম। তিনি যা অনুমোদন করেছেন এবং পরবর্তীতে বাতিল করেননি সেটাকে বিশ্লেষণ করার মত সত্যিকার যথাযথ যোগ্য মানুষ বিশ্লেষণ করে একটা গাইডলাইন তৈরি করলে সে গাইডলাইন সম্ভাব্য সবচে বেশি এরর-ফ্রি হয়, আর এই সম্ভাব্য সবচে বেশি এরর-ফ্রি পদ্ধতিতে ধর্মাচরণ করাই ইসলাম। নিজের ইচ্ছামত কুরআন থেকে একটা আয়াত দেখে বা হাদীসের দুইটা রেওয়ায়েত দেখে কাজ করা আর যাই হোক, ধর্ম হতে পারে না।



তখনি তাঁর মত মহিমাণ্বিত নামকে আশ্রয় করে মহান আল্লাহর নামকে কলঙ্কিত করে হত্যা এবং সন্ত্রাসের মত অসহিষ্ণু অধার্মিক কাজ যেমন শুরু হয়, তেমনি তাঁর কথাকে বিকৃত করে ইসলামকে বিকৃতভাবে উপস্থাপন করা হয়।



এক হিসাবে ইসলামকে বিকৃতভাবে উপস্থাপন করা প্রোপাগান্ডাবাজ ধর্মদ্বেষী কিছু লোক আর ইসলামের ভিতরে ফিৎনা তৈরিকারী 'তোমার নামাজ ভুল' টাইপের লোক আদপে একই পাত্রের মধু।



আশা করি তিন পর্বে এই আলোচনা শেষ হবে। পরবর্তী পর্বে আমরা দেখব, যেভাবে প্রচলিত নামাজ পড়া হয়, সেটা হাদ্বরাত আলী রা. পড়েছেন, এবং তা পড়েছেন হাদ্বরাত উমার রা.'র রীতিতে। আর হাদ্বরাত উসমান রা. এই পদ্ধতিতেই নামাজ পড়াতেন। আর খুলাফায়ে রাশিদীন রা. এই পদ্ধতি আবিষ্কার করেননি বরং রাসূল দ. নিজে এই পদ্ধতিতে এত বেশি নামাজ পড়িয়েছেন যে, আলাদাভাবে সাহাবী রা.'র পূর্ণ বিশুদ্ধ বর্ণনায় পাওয়া যায় যে, সাহাবাদের বেশিরভাগও এইভাবেই নামাজ পড়েছেন।



এবং নামাজ পড়ার পদ্ধতিগুলোর গ্রহণযোগ্যতার পারস্পরিকতার এই আলোচনায় বুখারী শরীফ সহ হাদিস গ্রহণের পদ্ধতি এবং ধর্মীয় সিদ্ধান্ত গ্রহণের প্রক্রিয়া সম্পর্কে দালিলিক আলোচনা হবে, পাশাপাশি বিভ্রান্তির উৎসে দেয়া হবে সাহসী উঁকি।



বিরক্তি না আনার জন্যই খন্ড করে উপস্থাপন। ইনশাআল্লাহ দুদিনের মধ্যে পুরো সিরিজ সমাপ্ত হবে।

মন্তব্য ৬৫ টি রেটিং +৯/-০

মন্তব্য (৬৫) মন্তব্য লিখুন

১| ১০ ই আগস্ট, ২০১৩ সকাল ১০:৪২

মতিঝিল বলেছেন: ঈদ মুবারক গোলাম দস্তগীর লিসানি।

একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় উপস্থাপন করেছেন। আশা করি পরবর্তী সিরিজগুলোতে প্রয়োজনীয় ব্যাখ্যা, তথ্যসহ বিস্তারিত আলোচনা করবেন। প্রয়োজনে স্কেচ বা চিত্রও সংযোজন করা যায়। এই পোস্টে সবার মন্তব্য, আলোচনা, যুক্তি পোস্টটিকে সমৃদ্ধ করবে নিশ্চয়। নামাজ, শুদ্ধভাবে নামাজ এবং নামাজের পদ্ধতি নিয়ে আলোচনা হলে সবাই উপকৃত হবে।

ভালো থাকুন।

১০ ই আগস্ট, ২০১৩ সকাল ১০:৪৪

গোলাম দস্তগীর লিসানি বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই। প্রয়োজনীয় স্কেচ আনার কথা ভাবলেও একটু অস্বস্তি হয়। নিশ্চই আনব। সিরিজটাতে আলোচনা হোক। যে কোন আলোচনা, কারণ এভাবেই সমৃদ্ধতা আসবে।

শুভেচ্ছা রইল অগণন।

২| ১০ ই আগস্ট, ২০১৩ সকাল ১০:৪৯

অদ্ভুত_আমি বলেছেন: নামাজ, শুদ্ধভাবে নামাজ এবং নামাজের পদ্ধতি নিয়ে আলোচনা হলে সবাই উপকৃত হবে।

সহমত মতিঝিল ।

১০ ই আগস্ট, ২০১৩ সকাল ১০:৫০

গোলাম দস্তগীর লিসানি বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই। পুরো সিরিজের মন্তব্যে আমরা আলোচনা করতে পারি।

৩| ১০ ই আগস্ট, ২০১৩ সকাল ১০:৫৫

গিয়াস উদ্দিন লিটন বলেছেন: হাদ্বরাত ????????????????????????
আরেক ফেতনা সৃষ্টি করছেননা তো !!!!

১০ ই আগস্ট, ২০১৩ সকাল ১১:০৮

গোলাম দস্তগীর লিসানি বলেছেন: ভ্রাতা, শুদ্ধ উচ্চারণ। হজরত শব্দটা ফার্সি, হাদ্বরাত আরবি। :)

৪| ১০ ই আগস্ট, ২০১৩ সকাল ১১:০১

পাউডার বলেছেন: ঈদ মুবারক গোলাম দস্তগীর লিসানি।

একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় উপস্থাপন করেছেন। কিন্তু কোনও যুক্তি/রেফারেন্স দেন নি। ফলে লিখাটার মূল্য শূন্যই থেকে গেলো।

ইসলামই বাহাসে সবাই এমন মনে করে যে, আমি-আমার পীর বাবা- আমার বাবার নিয়ম, এগুলাই সঠিক। কিন্তু এতে দুই দলই সুযোগ হারায়। প্রক্রত মুসলিম হতে হলে যুক্তি দিয়ে খুজতে হবে।

১০ ই আগস্ট, ২০১৩ সকাল ১১:১০

গোলাম দস্তগীর লিসানি বলেছেন: আপনার কীভাবে মনে হল যে, এই পর্বে প্রমাণ থাকবে সে কথাটা বলেছি ভাই?

মূল্য-মূল্যহীনতা তো আপনার আমার উপর নির্ভর করে না। তাই না?

এখানে পীর এলো কোত্থেকে? বড়জোর মাজহাব আসতে পারে, নাকি আপনি গুলিয়ে ফেলেছেন ভাই?

ঈদ মোবারক।

৫| ১০ ই আগস্ট, ২০১৩ সকাল ১১:১৩

সাধারণ মুসলমান বলেছেন: Nice. মানুষ খুব জলদিবাজ ৷ গভীর করে কিছু দেখতে চায় না ৷ ফাস্টফুডের মত ফাস্ট ইসলাম চায় ৷ Thank you. Tasphone Bangla lekha kothin. ropto hoyni. Everyone should read all the parts of this article. Bangladesher engr ra flyover bujhen, Bangladesher Alem ra kisu bujben na? Shob gean Saudi Alim ra bujhen shudhu. Amader mathateo Allar deya ghilu ase kisu? You will get some related books for deep research in maktabatulashraf.net. Again thanks for the writing.

১০ ই আগস্ট, ২০১৩ সকাল ১১:২০

গোলাম দস্তগীর লিসানি বলেছেন: কাজের কমেন্টের জন্য ধন্যবাদ ভাই। কষ্ট করে লেখার চেষ্টা তো করেছেন! আসলেই ফাস্টফুডের মত বিষয় হয়ে গেছে। পাতা ওল্টাও, গ্রহণ করো। ফলাফল, ফলাফল বিপর্যয়।

লিংকটায় যাব পরের পর্ব লেখার আগেই। কৃতজ্ঞতা রইল।

আসলে আরব উপদ্বীপের আলিমরা তো এখন সরকারি আলিম। অনেকটা সরকারি বাহিনীর মত। আর সরকারি প্রোডাক্ট সাধারণত নিম্নমানেরই হয়, সেইসাথে চাপিয়ে দেয়ার ব্যাপারটাও তেমনি।

৬| ১০ ই আগস্ট, ২০১৩ সকাল ১১:১৪

সৈয়দ মোজাদ্দাদ আল হাসানাত বলেছেন: কিছু ইসলামের শত্রু এভাবে বিভ্রান্তি ছড়াচ্ছে । আমি আরও কিছু উদাহরন হিসাবে বলতে পারি । নামাজের পর দোয়া করা এখন বেদাত । মিলাদ তথা দরুদ পড়া বেদাত । শবে বরাতে ইবাদত করা বেদাত, গরিবের মাঝে খাবার বিতরন বেদাত । অথচ যুগের পর যুগ হাজার বছর ধরে এসব আচার মানুষ পালন করে আসছে ।

১০ ই আগস্ট, ২০১৩ সকাল ১১:২২

গোলাম দস্তগীর লিসানি বলেছেন: সরলীকরণ সব সময় কি আর সুন্দর! ধন্যবাদ ভাই সহমত পাওয়ায়। আর বিদআতের কথা বলে কী হবে!

'হা-যা বিদ্আত!' হল সেই অস্ত্র, যা দিয়ে সব কেটেকুটে টুকরা করা যায়।

৭| ১০ ই আগস্ট, ২০১৩ সকাল ১১:১৭

সাধারণ মুসলমান বলেছেন: Sorry Saudi onek Alim amader moter pokkho mot poshon koren, kintu badshah der motobader baire jawa unader jonno sombhob na. jemon Shaikh Abdul Fattah Abu Guddah. eto boro shaikh keo vinnomoter karone Medina University te thakte deya hoyni. Eishob rajnoitik bepar apnara bujhen.

১১ ই আগস্ট, ২০১৩ রাত ৮:৫৭

গোলাম দস্তগীর লিসানি বলেছেন: ঠিক তাই।
আমার দেখা করার সৌভাগ্য হয়েছিল মদীনা ইউনিভার্সিটির একজন প্রফেসরের সাথে। তিনি ডক্টরেট করা একজন ডীন।

হানাফি মাজহাবের।

৮| ১০ ই আগস্ট, ২০১৩ সকাল ১১:২৬

রিভানুলো বলেছেন: ঈদ মুবারক । গুরুত্বপুর্ন বিষয়,
আশাকরি সবাই উপকৃত হবে

১১ ই আগস্ট, ২০১৩ রাত ৮:৫৭

গোলাম দস্তগীর লিসানি বলেছেন: ধন্যবাদ রিভানুলো ভাই! নিকটা খুব আন-ইউজুয়াল।

৯| ১০ ই আগস্ট, ২০১৩ সকাল ১১:২৯

সাধারণ মুসলমান বলেছেন: ফারসি হযরতই থাকুক না ভাই৷ মানুষএর জনন কঠিন হয়ে যাবে ৷ সব জায়গায় আরবি তো ফার্দ্ব না, মানে ফরজ না ৷

১১ ই আগস্ট, ২০১৩ রাত ৮:৫৮

গোলাম দস্তগীর লিসানি বলেছেন: তাইতো! তাই হোক না তাহলে! ভাল থাকুন অষ্টপ্রহর!

১০| ১০ ই আগস্ট, ২০১৩ সকাল ১১:৫১

কাউন্সেলর বলেছেন:

রাসূল দ. অন্তত চার-পাঁচভাবে নামাজ পড়েছেন। তিনিই ধর্মের দলিলনামা।
খুব দরকারী কথা ।


"হযরত"/"হজরত" আমরা এই উচ্চারণেই অভ্যস্থ হয়ে গেছি । আর "হাদ্বরাত" তুলনামুলকভাবে একটু কঠিনই বটে উচ্চারণের দিক দিয়ে ।
যদি "হযরত"/"হজরত" উচ্চারণে , বলায় ধর্মের কোন ক্ষতি না হয় তবে আমি কঠিনকে না নিয়ে সহজকেই আগে গ্রহণ করতে আগ্রহী ।

মন্তব্য করি বা না করি, প্রতিটি পর্বেই সাথে আছি ।
আল্লাহ আপনাকে ভালো কাজ প্রচারের পুরস্কার দান করুন ।

১১ ই আগস্ট, ২০১৩ রাত ৮:৫৯

গোলাম দস্তগীর লিসানি বলেছেন: হ্যা ভাই, দৃষ্টিভঙ্গিটা সুন্দর এবং অবশ্যই গ্রহণীয়। তাই আপনাদের দুজনের সম্মানে অবশ্যই এই সিরিজটায় অন্তত এই বানান রাখব।

আমি আবার শুদ্ধ উচ্চারণের দিকে একটু খেয়াল দিই, তা যে ভাষারই হোক না কেন। লেখাতে না হোক, অন্তত মুখে। অথেন্টিসিটি প্রিজার্ভ হচ্ছে, এই ভাবনাতে।

১১| ১০ ই আগস্ট, ২০১৩ দুপুর ১২:৩১

ডাব্বা বলেছেন: আগ্রহ সহকারে ঘন হয়ে বসলাম।

১১ ই আগস্ট, ২০১৩ রাত ৯:০০

গোলাম দস্তগীর লিসানি বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই। অ-স্বাধারণ প্রোপিক। সিম্পলি লাইক।

১২| ১০ ই আগস্ট, ২০১৩ দুপুর ২:৪৯

মমিন@ বলেছেন: ভাল লিখেছেন,
আমার এইধরনের একটা অভিজ্ঞতা আছে। কিছু ব্লগ, কিছু ইউটিউব ভিডিও এবং কিছু আরব লোকের নামায দেখে আমার পরিচিত একজনের মন্তব্য ছিল " আমাদের অধিকাংশ মানুষের (মূলত বাংলাদেশীদের) নামায হয় না, আর আমাদের বাপ-দাদা, পূর্ব পুরুষ যে নামায পড়েছেন তাতে কারোই নামায হয় নি ", এই মন্তব্য শুনার পর শুধু বলেছিলাম, কার নামায হয়েছে আর কার হইনি তা মহান আল্লাহ ভাল জানেন, হয়ত কারো নামায শুদ্ধ কিন্তু সামান্য স্বার্থ-লোভে ঈমান নড়বড় করে, আর যে বাপ -দাদা, পূর্ব পুরুষ যাদের নামায হয়নি বলে মনে করছেন, তাদের মধ্যে এমন অনেকে আছে যারা পাহাড় সমান স্বার্থ -লোভের কাছেও ঈমান হারন নি এবং তারা ওই সময় যা শিখেছেন ( যদি ভুল ও থাকে, তখন তাদের কাছে তা শুদ্ধ) ঠিক সেই মত আমল করেছেন ।

কিছু দিন ওই লোক ও তার ক্লোজ বন্ধুর সাথে মেশার পর মনে হয়েছে, এই ধরনের লোকেরা নিজে কে হাই লাইট করতে করতে পছন্দ করে, পাশের মানুষের ভুল ( আসলে ভুল কিনা সন্দেহ ) ধরে নিজে কে আলাদা - জ্ঞানী প্রমাণ করা , অনেক টা অল্প বিদ্যা ভইঙ্করীর মত।

আপনার পরবর্তি পোস্টের জন্য অপেক্ষায় থাকলাম, শুধু এই টুকু অনুরোধ থাকবে নিরপেক্ষ দৃষ্টিতে, কোরআন-হাদীসের আলোকে আলোচনা করবেন, অর্থাত্‍ আমার নামাজের সাথে ইরানের কারো নামজের সামান্য ডিফারেন্ট থাকতে পারে, সে ক্ষেত্রে পরবর্তি পোস্ট পড়ে আমি বা ইরানী দুই জনেই যেন সঠিক ধারনা পেতে পারি।
আল্লাহ আপনাকে ভালো কাজ প্রচারের পুরস্কার দান করুন ।

১১ ই আগস্ট, ২০১৩ রাত ৯:০২

গোলাম দস্তগীর লিসানি বলেছেন: ভাই আপনাকেও আল্লাহ ভাল পুরস্কার দান করুন, এবং অবশ্যই তিনিই যেহেতু পথ-প্রদর্শক, আমাদের এমন কাজ করার উপায় দান করুন যার মাধ্যমে ভাল কাজ করতে পারব এবং ফলশ্রুতিতে তিনি আরো ভাল ফল দিবেন।

তাঁর সন্তুষ্টির চেয়ে বড় পুরস্কার আর কী হতে পারে!

কেমন লাগে বলেন তো এসব কথা শুনলে? ওই লোকগুলোর জ্ঞান স্বল্পের চেয়েও কিছু কম আছে- বিষয় এ ছাড়া আর কিছু নয়।

১৩| ১০ ই আগস্ট, ২০১৩ বিকাল ৩:০৮

পাউডার বলেছেন: পীর মানে গুরু/শিকখক বুঝিয়েছি।

১১ ই আগস্ট, ২০১৩ রাত ৯:০৪

গোলাম দস্তগীর লিসানি বলেছেন: তাহলে ঠিক আছে ভাই। অবশ্য পীর আর শিক্ষকের মধ্যে একটা মৌলিক পার্থক্য হল, শিক্ষক একাধিক থাকতে পারেন কিন্তু পীর একজনই (যদি হন আরকী!)। আর সব শিক্ষক অন্তরের শিক্ষা বা নৈতিক শিক্ষাদান করেন না, পীর তা করেন। সব শেষে, পীরের শাব্দিক অর্থ হবে, এমন দীক্ষাদাতা, যিনি শিক্ষকের রোলও পালন করেন।

১৪| ১০ ই আগস্ট, ২০১৩ বিকাল ৪:২৭

কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:






১১ ই আগস্ট, ২০১৩ রাত ৯:০৪

গোলাম দস্তগীর লিসানি বলেছেন: আপনাকেও কড়-ড়া করে একটা ঈদ মোবারক!

১৫| ১০ ই আগস্ট, ২০১৩ বিকাল ৪:৪২

আনোয়ার হুসাইন বলেছেন: ইমাম বুখারি রহমতুল্লাহি আলাইহি শাফেয়ী মাহযাবের ছিলেন। তিনি যে হাদিস পেয়েছেন, তাই তিনি সঠিকই লিখেছেন। তবে তার রেফারেন্সটা বাতিলপন্থী আহলে হাদীস বা লা মাহযাবীরা দলিল হিসেবে গ্রহণ করতে চায়।

১১ ই আগস্ট, ২০১৩ রাত ৯:০৫

গোলাম দস্তগীর লিসানি বলেছেন: হ্যা, আশা করি চতুর্থ পর্বে এ নিয়ে খুব ভাল আলোচনা হবে। আপনাকে প্রত্যাশা করছি। ধন্যবাদ ভাই কষ্ট করে মন্তব্য করায়।

১৬| ১০ ই আগস্ট, ২০১৩ রাত ৮:২৭

আজ আমি কোথাও যাবো না বলেছেন: ঈদ মোবারক লিসানী ভাই। পড়লাম প্রথম পর্ব। সবগুলো পর্ব পড়েই তবে কমেন্ট করবো।
ভালো বিষয়ের অবতারনা করছেন।

১১ ই আগস্ট, ২০১৩ রাত ৯:০৬

গোলাম দস্তগীর লিসানি বলেছেন: থ্যাঙ্কু আপু! আশা করি ভাল লাগবে। সম্ভবত তিন পর্বে হচ্ছে না, পাঁচ পর্ব লাগবে।

১৭| ১০ ই আগস্ট, ২০১৩ রাত ১১:৫৭

প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: আগ্রহ নিয়ে বসলাম। দেখা যাক।

১১ ই আগস্ট, ২০১৩ রাত ৯:০৭

গোলাম দস্তগীর লিসানি বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই। ভাল আছেন আশা করি আজো।

১৮| ১১ ই আগস্ট, ২০১৩ ভোর ৪:৫১

নিয়েল হিমু বলেছেন: রুকুর আগে এবং পরে হাত উঠানো (তাকবিরের মত) এটার ব্যপারে সামান্য কিছু জানতাম সেটুকু ঐ দিন কয়েকজন কে বুঝিয়েছিলাম । আপনার সিরিজ শেষ করলে ইনশাআল্লাহ এ ব্যপারে আমার আরো কিছু জানা হবে ।

১১ ই আগস্ট, ২০১৩ রাত ৯:১৫

গোলাম দস্তগীর লিসানি বলেছেন: ভাই কেমন আছেন! আপনার ব্লগে গিয়ে তো কোন পোস্ট না দেখে চমকে গেছি! ভাল আছেন আশা করি খুব। ইনশাআল্লাহ, পদ্ধতিগুলোর আলোচনা হবে।

চিন্তা করেন, এটাই কি বিভ্রান্তি না, যে নামাজ কীভাবে পড়তে হবে সেটা নিয়েও এখন আমাদের আলাপ করতে হয়!

১৯| ১১ ই আগস্ট, ২০১৩ বিকাল ৪:৫৪

আরজু পনি বলেছেন:

সিরিজটা চলুক । শুভকামনা রইল লিসানি ।।

১১ ই আগস্ট, ২০১৩ রাত ৯:১৫

গোলাম দস্তগীর লিসানি বলেছেন: আপনার প্রতিও শুভকামনা পনিআপু। দেরি করে ঈদ মোবারক।

২০| ১১ ই আগস্ট, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:৫৪

হাছন রাধা করিম বলেছেন: বিলেইটেড ঈদ মোবারাক লিসানি ভাই।

এইসব ফিতনা শুধু বাংলাদেশেই নয়, সব জায়গায়ই ছড়িয়ে পড়েছে। যতোদিন পর্যন্ত আমরা কিয়াস নিয়ে সাহসী না হবো, যতোদিন পর্যন্ত সমগ্র মুসলমান বিশ্ব কিয়াসের প্রয়োজনীয় সংস্কার না করবে, ততোদিন পর্যন্ত এইরকম ফিতনা মাথাচাড়া দিয়ে উঠবেই উঠবে।

১১ ই আগস্ট, ২০১৩ রাত ৯:১৭

গোলাম দস্তগীর লিসানি বলেছেন: আহা ভাই! আপনার সাথেও কতদিন পর! কথা এমন কয়েকজনের সাথে না হলে ভাললাগে না।

কতবড় কথা বলেছেন! আরে আপনার কথাটাই তো বিশাল সাহসী! বিশ্ব কিয়াস! অ্যাপ্রিশিয়েট করছি খুব। এতবড় আইডিয়ার কথা বলার মত ভাবনাও কখনো মাথায় আসেনি।

তবে একজন তো বিশ্ব কিয়াস করবেনই।

২১| ১১ ই আগস্ট, ২০১৩ রাত ৮:৩৩

তন্দ্রা বিলাস বলেছেন: সিরিজ টা চলুক। সাথে আছি।

১১ ই আগস্ট, ২০১৩ রাত ৯:১৮

গোলাম দস্তগীর লিসানি বলেছেন: আপনি কি সেই প্রিয় হুমায়ূন আহমেদের তন্দ্রা বিলাস! ধন্যবাদ ভাই।

২২| ১১ ই আগস্ট, ২০১৩ রাত ৯:২২

শেষের_কবিতা বলেছেন: ধন্যবাদ।

ইদানিং দুজন নিকটাত্বীয়'র এ ব্যাপারে নসিহত পাচ্ছি, নিজেই কনফিউজড। আশা করি আপনার আলোচনা থেকে স্পস্ট ধারনা পাব। পোস্ট পর্যবেক্ষনে,.....

১১ ই আগস্ট, ২০১৩ রাত ৯:৫৮

গোলাম দস্তগীর লিসানি বলেছেন: ভাই অবশ্যই এই কাজটা করতে হবে। অবশ্যই। আমাদের পরস্পরের উপর হক্ব আছে। আপনার অধিকার পূর্ণ করব। সর্ব্বোচ্চ মনোযোগ দিয়ে। দোয়া রাখবেন আল্লাহ যেন করায়।

২৩| ১২ ই আগস্ট, ২০১৩ রাত ১২:১৭

রুদ্রাক্ষী বলেছেন: সাথে আছি লিসানি ভাই । ঈদের শুভাচ্ছা রইল।

১২ ই আগস্ট, ২০১৩ বিকাল ৩:৪৬

গোলাম দস্তগীর লিসানি বলেছেন: রুদ্রাক্ষী ভাই কত্তদিন পর! মনে হচ্ছে এক বছর আগে ব্লগিং করছি। ঈদ মোবারক।

২৪| ১২ ই আগস্ট, ২০১৩ রাত ৩:০৬

নিয়েল হিমু বলেছেন: হাআহ বিভ্রান্তিতো বটেই ।


অঃটঃ আমার ফেবু এবং mail id আপনার কাছে আছে এর পরেও চমকাবার কি আছে :)

১২ ই আগস্ট, ২০১৩ বিকাল ৩:৪৭

গোলাম দস্তগীর লিসানি বলেছেন: ভাই আমি যে অগোছালো! যেমন, যে কম্পিউটারে এখন ফেবু আর মেইলের পাসওয়ার্ড সেটা দিয়ে নেট ইউজ করা হচ্ছে না, আর আমিও এখন বাসায় থাকছি না।

২৫| ১২ ই আগস্ট, ২০১৩ ভোর ৬:৫৭

মেলবোর্ন বলেছেন: লিসানী ভাই এই অধম কিছু যোগ করি:

নামাজ এর আরেক অর্থ হলো জিকির মানে আল্লাহর স্বরন এটা যেমন শুয়ে করা যায় বসে করা যায় এবং যেভাবে এতবছর করা হয়েছে সেভাবেও করা যায়। সবচেয়ে গুরুত্বপুন নামাজ কিভাবে পড়ছি তা নয় বরং নামাজ আমরা কি বুঝে পড়ছি ।

(এই নীচের অংশটুকু আমর পুর্বের একটি পোস্ট হতে নেয়া Click This Link)

চলুন দেখি আল্লাহ কিভাবে নামাজ কে কোরআনে বর্ননা করেছেন, আল্লাহ বলেন "ওায়াকিমিস সালাতা লি জিকরি" আল্লাহ মুসা আলাহিস সালাম কে বলেন সালাত প্রতিস্ঠা কর আমার জিকিরের মাধ্যমে। আপনারা চিন্তা করতে পারেন জিকির কি ভাবে সালাতে সাথে সম্পর্ক যুক্ত বা জিকির কিভাবে সালাত হতে পারে, আমরা নামাজে জিকির করি তবে কিভাবে নামাজ/সালাতটাই জিকির হয়? দেখুন কতটা আকর্ষনীয় আমরা যদি একটু মনযোগ দেই একটু গভির ভাবে ভাবি যেই আয়াত গুলো আমরা পড়ে যাই তবে দেখবো কত শিক্ষা এর মাঝে রয়েছে। আপনি দেখবেন কিভাবে সবকিছু মিলে যায়, কিভাবে আপনার ঈমান আরো বাড়ে আরো মজবুত হয় শুধু মনযোগ দিয়ে পড়ার মাধ্যমে বোঝার মাধ্যমে।

জিকিরের একটি গুন কি? আপনি সব সময় করতে পারেন তাই না, কোন সময় বাধা নেই আপনি যে কোন সময় করতে পারেন। আপনি যদি রোজার কথা বলেন তবে দেখবেন এটি সময় নির্ধারিত (সুর্য উদয় হতে অস্ত যাওয়া পর্যন্ত) বা শুধু রমজান মাসে, হজ্জ তাও বছরে একবার এর একটি নিদ্দিস্ট মাসে ওমরা তাও নিদ্দিস্ট নগরীতে, যাকাত ও নিদ্দিস্ট বলাযায় আপনি বছরে নিদ্দিস্ট পরিমান দেন কিন্তু জিকির সব সময়ের জন্য, আল্লাহ সালাতুন জিকির পছন্দ করেন কারন সালাত ও জিকির একই গুন সম্পন্ন
দেখুন সূরা আল ইমরান ৩ আয়াত নং ১৯১

الَّذِينَ يَذْكُرُونَ اللّهَ قِيَامًا وَقُعُودًا وَعَلَىَ جُنُوبِهِمْ وَيَتَفَكَّرُونَ فِي خَلْقِ السَّمَاوَاتِ وَالأَرْضِ رَبَّنَا مَا خَلَقْتَ هَذا بَاطِلاً سُبْحَانَكَ فَقِنَا عَذَابَ النَّارِ
"যাঁরা দাঁড়িয়ে, বসে, ও শায়িত অবস্থায় আল্লাহকে স্মরণ করে এবং চিন্তা গবেষণা করে আসমান ও জমিন সৃষ্টির বিষযে, (তারা বলে) পরওয়ারদেগার! এসব তুমি অনর্থক সৃষ্টি করনি। সকল পবিত্রতা তোমারই, আমাদিগকে তুমি দোযখের শাস্তি থেকে বাঁচাও।"

আপাতদৃস্টিতে দেখলে মনে হবে এই আয়াতে শুধু জিকির বুঝিয়েছে আমরা কখনো মিলিয়ে দেখিনি আপনি দেখুন আমরা কিভাবে নামাজ পড়ি দাঁড়িয়ে, বসে এবং ধরুন কেহ যদি অসুস্থ থাকে বা হাসপাতালে তিনি কি শায়িত অবস্থায় নামাজ পড়েন না। সালাত হলো সর্বদা আল্লাহর দিকে যাওয়া আল্লাহকে স্বরন করা সর্বাবস্থায় সালাত বা নামাজ মানুষকে তার প্রভুর সাথে যোগ করে, আল্লাহর কাছাকাছি নিয়ে যায় তাই আল্লাহ বলেন তুমি সফলতা চাও তবে নামাজে মনোযোগো হও নামাজে নিয়মিত হও

নামাজের মাধ্যমে কিভাবে সফল হওয়া যায় তার প্রমান সয়ং হজরত মুহাম্মদ (সঃ), কারন According to the Quran, Prophet Muhammad was the most excellent example for all of humanity। Even non-Muslim historians recognize him to be one of the most successful personalities in history।

১২ ই আগস্ট, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:৩৮

গোলাম দস্তগীর লিসানি বলেছেন: দারুণ বিষয়ের অবতারণা করেছেন ভাই। একেবারে পারফেক্ট বিষয়। যিকর নিয়ে একটা পোস্টের ইচ্ছা আজকে ছয় মাস যাবত। সেই বিষয়গুলোর অনেককিছুই আপনার লেখায় উপস্থিত দেখছি। আসলে কাছাকাছি চিন্তাচেতনার মানুষের ভাবনাও কাছাকাছি হতে বাধ্য। খুব খুশি লাগল এই বিষয়টা দেখে।

২৬| ১২ ই আগস্ট, ২০১৩ সকাল ১০:৪৩

ইয়ার শরীফ বলেছেন: অনেক কিছু শিখব এই আশা নিয়া পরবর্তী পোস্ট গুলোর অপেক্ষায় রইলাম।

শুভ কামনা আপনার জন্য

১২ ই আগস্ট, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:৩৯

গোলাম দস্তগীর লিসানি বলেছেন: শরীফ ভাইয়ের জন্যও শুভ কামনা। পরের পোস্ট, 'তিনি' ও কিন্তু এই বিষয়েরই। ভাল আছেন আশা করি খুব বেশি।

২৭| ১২ ই আগস্ট, ২০১৩ রাত ১০:০৩

বোকামন বলেছেন:
আস সালামু আলাইকুম, প্রিয় ভাই।।

১২ ই আগস্ট, ২০১৩ রাত ১০:৩৬

গোলাম দস্তগীর লিসানি বলেছেন: ওয়াআলাইকুম আস সালাম মনভাই! যাপিতজীবন পূর্ণ হোক অনন্ত তৃষ্ণায়। গত দুদিনে সব প্রিয়জনের দেখা পাচ্ছি।

২৮| ১৩ ই আগস্ট, ২০১৩ রাত ১:৫৭

হেডমাষ্টার সাহেব বলেছেন: আপনার ইচ্ছাশক্তিকে শ্রদ্ধা জানাই। কিন্তু ইসলামের ব্যাখ্যায় সর্ব প্রথম রসুল (সঃ) কে রেফারেন্স হিসাবে বেছে নেন।তারপর যুক্তি দিতে চেষ্টা করুন।
আশা করি আলোচনায় অংশ নেওয়ার সুযোগ দেবেন।এমন একটা বিষয়ের অবতারনা করছেন, যা নিয়ে কত কান্ড ঘটে গেছে ,ইতিহাস যার সাক্ষী। কিন্তু আজও মুসলিম জাতি মতের ভিন্নতায় কাছাকাছি আসতে পারেনি। আসতে পারবেন একদিন আমার বিশ্বাস, সেদিন হয়ত আমরা বেচে থাকবো না, সেদিনটি হলো হযরত ইসা(আঃ) যেদিন দুনিয়াতে অবতরন করবেন ।
যাইহোক আপনার কাছে আমার জিজ্ঞাসা যে, আলোচনার মানদন্ড হিসাবে কোনটিকে এবং কিভাবে স্থান দিতে চান ?

১৩ ই আগস্ট, ২০১৩ রাত ২:২৩

গোলাম দস্তগীর লিসানি বলেছেন: আপনি রাসূল দ. কে কী হিসাবে দাঁড় করাচ্ছেন ভ্রাতা এখানে?

নামাজ পয়দা করল কে?

আর একটু উপরের দিকে কথা বলতে হবে। আর একটু। বিরক্ত করলেন। নামাজ আমি পয়দা করেছি? না ইমাম আবু হানিফা র. পয়দা করেছেন? কাইন্ডলি খালি এইটা বলেন। (মানুষের মেজাজ খারাপ হতেই পারে, মেজাজ খারাপ করা কথা বলবেন আর ভাল থাকবে তা তো সব সময় প্রযোজ্য না, তাই না? পরে মেজাজ ভাল হবে, তখন দেখবেন খুব সুন্দর জবাব দিব। )

১৩ ই আগস্ট, ২০১৩ রাত ২:৪৯

গোলাম দস্তগীর লিসানি বলেছেন: একটু প্রশান্ত হয়েছি। প্রশংসা তো আল্লাহরই।
...........................................................

দয়াময় করুণাময় রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া আলিহি ওয়া আসহাবিহি ওয়াসাল্লাম সম্পর্কে আল্লাহ কুরআনে বলছেন,

তোমরা এই রাসূল দ. কে এভাবে সাব্যস্ত করো না যেভাবে তোমরা পরস্পরকে সাব্যস্ত করো।

পরস্পর বলতে এখানে প্রাথমিকভাবে সাহাবাদের বোঝানো হয়েছে। আমরা জানি সাহাবা রা. গণ সর্বশ্রেষ্ঠ। তাঁরাই যেখানে নিজেদের মধ্যে তুলনা দিতে অপারগ সেখানে আপনি কী করে মানদন্ড হিসাবে রাসূল দ.'র পাশাপাশি একজন তাবিয়ি আবু হানিফা র. বা যে কোন মাজহাবের ইমামকে দাঁড় করালেন???

এত ধরনের বে-আদবী কখনো কোন অবস্থাতেই আমাদের দ্বারা হয় না। কারণ, এ বিষয়ে সাবধান সাধারণ মুসলিমরা। তাই তারা পাল্টা আপনাদের এভাবে প্রশ্ন করে না,

মানদন্ড হিসাবে রাসূল দ. নাকি ইমাম বুখারি র. (যেহেতু ইমাম বুখারির পুস্তক, এই শর্তে আপনি শ্রেষ্ঠত্ব দিচ্ছেন। রাসূল দ.'র অসংখ্য হাদিস রয়েছে অগুণতি পুস্তিকায় যা বুখারি শরীফে আসেনি। কিন্তু রেফারেন্স হিসাবে বুখারি শরীফই যদি প্রাধান্য পাবে, তাহলে... এভাবে প্রশ্নটা করা যায় যা রীতিমত ভয়ঙ্কর বে-আদবী।)

নাকি ইমাম মুসলিম র.।

নাকি ইমাম আহমাদ ইবনে হাম্বল র.?

আমরা কেন কোনও অবস্থাতেই এই প্রশ্ন করি না? কারণ আমরা জানি, ইমাম বুখারীকে কখনোই রাসূল দ.'র সাথে প্রশ্নবোধক রূপেও তুলনা দেয়া যাবে না।
...................................................................

এবার আসুন, মানদন্ড বলতে কি শুধুই রাসূল দ.?

না।

আপনাদের মুখস্ত কথা আমি যেটা জানি, তা হল, আপনি ইমাম আবু হানিফা র./ ইমাম হাম্বল র. কে অনুসরণ করেন না। শুধু রাসূল দ. কে অনুসরণ করেন।

প্লিজ এটা ক্লিয়ার করুন, আতিউল্লাহি (আল্লাহর অনুসরণ করো) ওয়া আতিউর রাসূলা (এবং রাসূল দ.'র) ওয়া উলিল আমর (তোমাদের নির্দেশদাতার)

এখন,
আপনার কি কোন নির্দেশদাতা আছেন, নাকি শুধু স্বয়ং আল্লাহ এবং তাঁর রাসূল ভিন্ন কোন নির্দেশদাতা নেই?

যদি আল্লাহ এবং রাসূল ভিন্ন কোন নির্দেশদাতা না থাকে, তাহলে আপনি এই আয়াতকে কীভাবে মূল্যায়িত করবেন?

.............................................................

নিশ্চই কিয়ামতে প্রত্যেক মুমিনকে তার ইমামের সাথে উপস্থিত করা হবে ।

হাদিসের এই কথাকে আপনি কীভাবে মূল্যায়িত করবেন?
আপনার ইমাম কি স্বয়ং রাসূল দ.? এবং তিনিই কি আপনার নির্দেশদাতা?
...............................................................

নিশ্চই আমার উম্মতের মধ্যে দশজন ইমামের আবির্ভাব হবে। সিহাহ সিত্তাহর হাদিস।

এটাকে কীভাবে মূল্যায়িত করবেন?
এই দশজন কারা?
..............................................................

জানি ভাই খুব বেশি ক্ষিপ্ত জবাব দিয়েছি আগেরটা। কিন্তু রাসূল দ.'র সাথে কেউ কারো তুলনা দিলে ঠিক থাকতে পারি না। খাতরাল্লাহ।

২৯| ১৩ ই আগস্ট, ২০১৩ রাত ১১:৪০

হেডমাষ্টার সাহেব বলেছেন: ধন্যবাদ আপনাকে।
আমি কী বোঝাতে চাইলাম আপনি কী বুঝলেন ?
বুঝলেন আপনার মতো করে আর রাগ ঝাড়লেন বাড়ীর গৃহিনীকে সাইজ করার মতো করে। নেটে পোষ্ট দিলে ভিন্নমত কেউ পোষন করতেই পারে,তাই বলে আপনি ভিন্নমতকে অপব্যাখ্যা করতে পারেন না।
আপনি কী বিষয়ে পোষ্ট দিয়েছন এবং কী বোঝাতে চাচ্ছেন সেটাই আগে বলুন এবং আপনার উপস্থাপিত আয়াতের ব্যাখ্যা তাফসির খেকে দিন পেজ নাম্বার বা লিঙ্ক সহ । হাদীসের ক্ষেত্রেও একই অনুরোধ থাকল।
আপনার স্ব-প্রনিত বক্তব্য মতে, আমি রসুল (সঃ) কে কারো সাথে তুলনা করেছি।আমার লেখাটি কিন্তু উপরেই আছে , একটু ভালো করে দেখুন তো আসলেই আমি এ রকম বলেছি কীনা?
আপনি "সিয়াহ সিত্তাহ" বলেছেন , দুনিয়ার কোন মুহাদ্দিস দ্বারা প্রমান করতে পারবেন সেই ছয়খানা হাদীসের শুদ্ধতা?
রেগে না যেয়ে ভালো করে ভাবুন আপনি ইসলামের কোন বিষয়টাকে উপস্থাপন করতে চাচ্ছেন ? সব বিষয় একবারে বলতে না চেয়ে অল্প অল্প করে বলতে চেষ্টা করুন, তবে তা অবশ্যই গ্রন্থের বিবরনসহ।
আল্লাহ আপনার মঙ্গল করুন।

১৩ ই আগস্ট, ২০১৩ রাত ১১:৪৯

গোলাম দস্তগীর লিসানি বলেছেন: একটু ধরে বকাঝকা করেন তো ভাই! মনটা প্রচন্ড রিঅ্যাক্টিভ ছিল। কী বলতে কী বলছি সহজ কথার উল্টা অর্থ ধরছি। আপনার অ্যাপ্রোচ ছিল পুরোপুরি ভদ্র। আমার মাথা নষ্ট হয়ে ছিল এক কাজিনের অ্যাফেয়ার নিয়ে ফ্যামিলি ক্যাচালের নোংরা অবস্থা নিয়ে।

আবার বলবেন না, সেই রাগ আপনার উপর ঝেড়েছি। কোন রাগই ঝাড়িনি, আমার বিবেচনা বুদ্ধি অসমৃদ্ধ ছিল। আশা করি এরচে বেশি আর বলতে হবে না।

:)

১৪ ই আগস্ট, ২০১৩ রাত ১২:২১

গোলাম দস্তগীর লিসানি বলেছেন: আশা করি অকারণ ক্ষিপ্ততাকে ক্ষমা করতে পেরেছেন। কিছুদিন আগে ব্লগে একটা ইনসিডেন্ট হবার পর থেকে (আপনি দেখেও থাকতে পারেন, ব্যক্তি আক্রমণের নমুনা) ইন্টারাক্টিভিটিতে খুব বেশি অ্যাগ্রেসিভ হয়ে গেছিলাম, এটাও একটা কারণ হতে পারে।

এবার মূল প্রসঙ্গে আসি।

মানদন্ড সব সময়েই রাসূল দ.। যিনিই মানদন্ড, তিনিই রাসূল দ.'র কারণে মানদন্ড। এটাও হয়ত কারণ। যেমন, কোন মুসলিমকে আল্লাহ তো এক, তাই না? এই সরল প্রশ্নটা করলেও তার মাথায় আগুন ধরে যেতে পারে, তেমনি, রাসূল দ.ই যে মানদন্ড, এই প্রশ্ন অবান্তর।

রাসূল দ. মানদন্ড হওয়াতেই তাঁর গুণে গুণাণ্বিত হয়ে অন্যরা মানদন্ডে পরিণত হয়েছেন।

রাসূল দ. কেই মানদন্ড ধরতে হবে- এই কথাটা আমার মনে এইভাবে অনূদিত হয়েছে, আমি হয়ত রাসূল দ. ছাড়া আর কাউকে মানদন্ড হিসাবে নিয়েছি এই ইঙ্গিত আপনি করছেন। এই অনুবাদটা সম্পূর্ণ ভুলও হতে পারে!

নাহ্, কখনোই সিহাহ সিত্তাহ কে পূর্ণ বিশুদ্ধ বলা হয়নি। এটা হচ্ছে গণিত। গণিতের উপরই তো শুধু ইসলাম নির্ভর করে না... স্বয়ং আল্লাহকেই কখনো গণিত দিয়ে বোঝা বা প্রমাণ করা বা অপ্রমাণ করা কোনটাই যায়নি। তার পরও তিনি আছেন।

সহীহ্ হাদিস মানে হল, বর্ণনাক্রমের নি:সন্দেহের প্রক্রিয়া। আপনি সেটা ভাল করেই জানেন ভাই।

সিয়াহ্ সিত্তাহ (সিয়াহ্ সিত্তাহ মানে অন্ধকারাচ্ছন্ন ছয়) নয়, সিহাহ্ সিত্তাহ্। ছয় বিশুদ্ধ। এই নামটা আলিমরা দিয়েছেন বলেই জানি। তাই আমরা এই টার্মটা ব্যবহার করি।

আমরা কোন্ হাদিস গ্রহণ করব, কোনটা বর্জন করব, এটা আমাদের ব্যক্তিগত বিষয় তো না।

আর লিংক সহ পৃষ্ঠার নাম্বার সহ রেফারেন্স দিতে আমি এই মুহূর্তে অপারগ। আপনি সহায়তা করলে অবশ্যই কৃতজ্ঞ থাকব।

প্লিজ সহজভাবে আলোচনায় অংশ নিন। পয়েন্ট ধরে ধরে আলোচনা শুরু করতে পারি আমরা ফ্রেশভাবে।

৩০| ১৪ ই আগস্ট, ২০১৩ রাত ১২:২০

হেডমাষ্টার সাহেব বলেছেন: আল্লাহ পাক আপনার জ্ঞানকে আরো সম্মৃদ্ধ করুন, যাতে আমাদের মতো বোকা ইসলাম প্রিয় মানুষের একটু হলেও উপকার হয়।
আমার অল্প অভিজ্ঞতায় বলে আপনি সলাতের কন্ট্রডিক্টরি বিষয়গুলো নিয়ে বলতে চান ।আমি এ জন্যেই শুধু আপনাকে বলতে চেয়েছি যে সত্যের মানদন্ড কোনটি ? কিভাবে বুঝবো কোন ব্যাখ্যাটি সত্য ? সব ইমাম সাহেবই তো রসুল (সঃ) এর কথা উপস্থাপন করতে চেয়েছেন । কিন্তু গ্রন্থগুলোর সকল বক্তব্যই কী রসুল (সঃ) এর , যে গুলোকে রসুলে(সঃ) এর বানী বলে প্রচার করা হয় ?
ধন্যবাদ আপনাকে।
আল্লাহ আপনার মঙ্গল করুন।

১৪ ই আগস্ট, ২০১৩ রাত ১২:২৯

গোলাম দস্তগীর লিসানি বলেছেন: ভাই, আমরা তো বিশ্বাস করি সরলভাবে এটুকু যে, চার মাজহাবে রাসূল দ.'র বাণী হিসাবে যা প্রচারিত হয়েছে তা রাসূল দ.'রই বাণী। চার মাজহাবের সবগুলোই শুদ্ধ।

ক্রিটিক্যাল অ্যানালাইসিসে পুরো আকাশপাতাল ছিন্নভিন্ন হয়ে যাবে, তারপরও পুরো একমত হবে না, অথচ চার মাজহাব পারস্পরিক পূর্ণ স্বীকৃতি দিচ্ছে।

এই চারটাকে আমরা তো কোন বিভক্তি হিসাবে দেখি না।
রাসূল দ. তো প্রকৃতপক্ষেই নানা সময়ে নানা পদ্ধতি অবলম্বন করেছেন, যার একেকটা একেক পক্ষ অবলম্বন করছেন।

আন্ত:মাজহাবে কখনোই অসুবিধা হচ্ছে না। অন্তত গত প্রায় হাজার বছর ধরে। যা বিভক্তি ও যুক্তির দৈন্য তা প্রথম ছয় শতাব্ধীতেই শেষ হয়ে গেছে।

৩১| ২৫ শে আগস্ট, ২০১৩ সকাল ১০:৩২

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
সুধু নামাজ না, ইসলামে মেয়েদের পোষাক নিয়েও বিভ্রান্তি আছে।

পবিত্র কোরান ও হাদিসে মুসলিম মেয়েদের পোষাক নির্দিষ্ট করে দেয়া কোন কথা নেই। বিধর্মি কোরাইশদের প্রচলিত পোষাকই চালু ছিল। ইসলামের অভুদ্যয়ের পর বা মক্কা বিজয়ের পরও মেয়েদের বা ছেলেদের কাপড় পরিধানের স্টাইল পরিবর্তন করতে হুকুম দেয়া হয় নাই, ইসলাম গ্রহন করে নি এমন ইহুদি, খ্রীষ্টান বা কুরাইশ মহিলাদেরও কোন ড্রেসকোড বেধে দেয়া হয় নাই।
হজরত মোহম্মদ (স) বেঁচে থাকা কালিন বোরখার প্রচলন ছিলনা বলে জানা যায়। ওনার মৃত্যুর পর কঠিন বোরখা চালুহয়।

অতচ পবিত্র কোরান সূরা আহযাব ২৫:৫৯ আয়াত
﴿يَا أَيُّهَا النَّبِيُّ قُل لِّأَزْوَاجِكَ وَبَنَاتِكَ وَنِسَاءِ الْمُؤْمِنِينَ يُدْنِينَ عَلَيْهِنَّ مِن جَلَابِيبِهِنَّ ۚ ذَٰلِكَ أَدْنَىٰ أَن يُعْرَفْنَ فَلَا يُؤْذَيْنَ ۗ وَكَانَ اللَّهُ غَفُورًا رَّحِيمًا﴾

"হে নবী! আপনি আপনার পত্নীগণকে ও কন্যাগণকে এবং মুমিনদের স্ত্রীগণকে বলুন,
তারা যেন তাদের চাদরের কিয়দংশ নিজেদের উপর টেনে নেয়।
এতে তাদেরকে চেনা সহজ হবে। ফলে তাদেরকে কষ্ট দেয়া হবে না। আল্লাহ ক্ষমাশীল পরম দয়ালু"।

এখানে তাদের পরিধানের (তৎকালিন চাদর জাতীয় পোষাক) কিয়দংশ নিজেদের উপর টেনে নিতে বলা হয়েছে,
এখানে পরিষ্কার ভাবে সব বলা হয়েছে, আলাদা কোন চাদর, হেজাব, বোরখা চাপিয়ে দিয়ে কষ্ট দিতে বলেনি।
চেহারা দেখা যায় ও চেনা যায় এমন ভাবে মাথায় কাপড় দিতে সুনির্দিষ্ট ভাবেই বলা হয়েছে।

০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ সকাল ৮:৫৭

গোলাম দস্তগীর লিসানি বলেছেন: হ্যা, এ কথা সত্যি যে, বোরখা বা হিজাব বলতে যা বোঝানো হয়, তা-ই পরতে হবে এমন কোন বাধ্যবাধকতার কথা নেই।

কিন্তু সব মুসলিম নারী ও পুরুষের এমন পোশাক পরা ধর্মীয় কারণে বাধ্যতামূলক, যা শরীরের কোন ধরনের শারীরিকতাজ্ঞাপক পরিস্থিতি প্রকাশ না করে।

আর এই যে ড্রেসকোডটা, তা ইসলামের অনেক ইমাম পালন করেছেন। তা পালন করা হয়েছে অনেক মুজতাহিদের দ্বারাও। তাই হিজাব বা বোরখাকে আমরা অবহেলা করতে পারি না।

বরং বলতে পারি, তোমার সংস্কৃতি তুমি পালন করো, আমি তোমার প্রতি পূর্ণ শ্রদ্ধাশীল।

ইসলামে যা হিজাব, সেই একই প্রকারের পোশাক তো ধার্মিক ইহুদি ও ধার্মিক খ্রিস্টান নারীদের মধ্যেও দেখা যায়। আসলে এই পোশাকের প্রচলন হিজরীপূর্ব কালেও ছিল।

পরে বিষয়টা আরো কড়া হয়ে যায়।

এটাকে আমরা যার যার পছন্দ হিসাবে বিবেচনা করতে পারি।
অনেকটা ঐচ্ছিক বিষয় এবং শ্রদ্ধার বিষয়।

ধন্যবাদ ভাই, আলোচনাটা ভাল লেগেছে। আশা করি ভাল আছেন খুব।

৩২| ০৭ ই আগস্ট, ২০১৬ দুপুর ২:০৭

আমিনুল হক শামীম বলেছেন: নামাজ, শুদ্ধভাবে নামাজ এবং নামাজের পদ্ধতি নিয়ে ইদানীংকার অস্বস্তিকর অস্পষ্টতা-২, ৩ খন্ডগুলো কোথায় পাব? দয়া করে সাহায্য করলে উপকৃত হব। এই ব্লগে খুঁজে পাচ্ছি না।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.