নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

স্পেস-টাইম

there is no problem in the heavens and earth ;) problem lies in three places... beneath, between and within the hells.

গোলাম দস্তগীর লিসানি

বুলি বলে শুনতে পাই, রূপ কেমন তা দেখি নাই, ভীষম ঘোর দেখি।। পোষা পাখি চিনলাম না, এ লজ্জা তো যাবে না, উপায় কী করি, আমি উপায় কী করি।।

গোলাম দস্তগীর লিসানি › বিস্তারিত পোস্টঃ

বাংলাদেশের প্রায়োগিক ক্ষেত্রের স্বাধীনতা ও অবশেষে আমাদের পোড়াচোখে কোন সুখস্বপ্ন'র মায়াজাল

১৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৫:৫৭

বাংলাদেশে যারা পারিবারিকভাবে, অথবা খুব সচেতনভাবে আদর্শিক/সুবিধাবাদিতার কারণে রাজনীতি করেন, তারা ছাড়া আর কেউ রাজনীতির পথ মাড়ান না।



এই-ই স্বাভাবিক। এই-ই প্রাকৃতিক।



বাংলাদেশের মানুষ কাউকে বিশ্বাস না করার বিদ্যায় অভ্যস্ত ছিল। এই বিদ্যায় একটু মোড়ঘোরার পথ দেখতে পাই মনে হল আজকে। জীবনভর বাংলাদেশের মানুষ, কাঁদতে কাঁদতে দেশের জন্য মন খারাপ করে কোনক্রমে বিদেশে সেটল হওয়ার আশা রাখত। জীবনভর, বাংলাদেশের মানুষ বাংলাদেশে কিছু হবে না, এই বলতে সুখ অথবা কষ্ট পেতে অভ্যস্ত ছিল।



আমরা নির্বাচনী ওয়াদাকে বলতাম, 'নির্বাচনী ওয়াদা'। দোস্ত, তোমার চায়ের বিল আমি দিব, নির্বাচনী ওয়াদা। মানে, যা কোনকালে কষ্মিনকালেও বাস্তবায়ন হবে না। অন্তত ঠিকমত বাস্তবায়ন হবে না।



শেখ হাসিনা কি সেই গ্রামারের রূপে কিছু পরিবর্তন আনলেন? অনেকেই বলছে, মাস্টারমাইন্ডটা কে... আরে থেকে থেকে চালিয়ে চালিয়ে যে অভ্যস্ত হয়েছে, যে ভুল থেকে ক্রমাগত শিক্ষা নিচ্ছে সে-ই হবে। অন্য কে!



এখন, যা হতে পারত নির্বাচনী ওয়াদা, তা চোখের সামনে ওয়াদা ছাড়াই বাস্তবায়ন হচ্ছে দেখি আমরা।



শেখ হাসিনা যদি পোড়াচোখকে কিছু সুখস্বপ্ন দেখিয়েই থাকেন, তো বাংলাদেশের 'অ-রাজনৈতিক' সাধারণ মানুষদেরও কিছু বলার মত কথা থাকতে পারে। করার মত আশা থাকতে পারে।



নির্মোহ, নৈর্ব্যক্তিক আলোচনায় স্বাগত।



কাদের মোল্লার ফাঁসি:

এই ফাঁসিটায় কিছু বিশেষ বিষয় প্রমাণিত হয়েছে। প্রথমত, আমরা বাংলাদেশের মানুষরা পূর্ণ স্বাধীন। দ্বিতীয়ত, আসলেই যুদ্ধাপরাধীদের বিচার আমরা কার্যকর করতে পারব। তৃতীয়ত, জামাত দলীয়ভাবে পাকিস্তানের নাগরিক। এবং সবচে বড় যে প্রমাণ তা হল, ন্যায়বিচারের জন্য শেখ হাসিনার ঘরানা যে কোন ঝুকি এবং যে কোন সমস্যার সম্মুখীন হতে রাজি। অন্ততপক্ষে মুক্তিযুদ্ধের বিষয়ক ন্যায়বিচারে। কারণ আদতে মূল ঝুকিটা আমি নজরুল আপনি ফখরুল সে তাজুল নেয়নি। মূল ঝুকিটা একজনই নিয়েছেন। লাল টেলিফোনে মুহুর্মূহু কল রিসিভ তাকেই করতে হয়েছে।



বিশ্বজিৎ হত্যাকান্ডের বিচার:

মানুষ ধরে নিচ্ছে, এটা ন্যায়বিচারে দেশের এগিয়ে যাবার আরো এক ধাপ পদক্ষেপ, অথবা সরকারের আইওয়াশ, অথবা উচ্চ আদালতের আগে করা সামান্য নাটক, অথবা দুইদিকের কার্যকারণে ব্যালান্স। কিন্তু আদপে এই কাজটার মানে মাত্র একটা। সেটা হল, শুধু আদর দিয়ে হয় না, শুধু শাসন দিয়ে হয় না। শাসন ও আদরের যুগপৎ নজীর থাকা অবশ্যম্ভাবী। নাহলে সিস্টেম ফল করে। এই বিচার প্রতীকী হলেও উদাহরণ হবে। কিছু করার আগে মানুষ ভাববে, অতীতে একটা উদাহরণ রয়ে গেছে। উদাহরণ গুরুত্বপূর্ণ, তারচে বেশি গুরুত্বপূর্ণ ধারাবাহিকতা।



রামপাল কয়লা বিদ্দুৎ প্রকল্প:

ভারতের রাজ্যের পর রাজ্য কয়লা বিদ্দুৎ প্রকল্পে নিষেধাজ্ঞা দিচ্ছে। ভারতের পত্রপত্রিকায় দেদার নিউজ, কয়লা-কারেন্টের জেরে হাজার হাজার মানুষ অসুস্থ। কোল-কারেন্ট প্ল্যান্টের আশপাশে ক্যান্সার ও শ্বাসযন্ত্রের জটিলতা-শ্বাসকষ্টের মাত্রা অস্বাভাবিক বেশি।

দ্বিদেশীয় প্রকল্প বাংলাদেশের ভিতরে হতেই পারে, যদি কল্যাণকর হয়। যদি গণ-ক্যান্সারের কারণ না হয়।

কারেন্ট আমাদের প্রয়োজন। কিন্তু সেই প্রয়োজন মিটানোর জন্য আরো নির্মোহ হতে হবে। আরো হিসাবী হতে হবে। গ্রিন-অ্যানার্জি মানেই এক্সপেন্সিভ-অ্যানার্জি নয়। গ্রিন-অ্যানার্জি মানে তুখোড় ম্যানেজমেন্ট।

অবাক হয়ে দেখি, মানুষ সুন্দরবন বাঁচানোর কথা বলে। সুন্দরবন বাঁচানো পরের হিসাব। কয়লা বিদ্দুৎ প্রকল্প বাংলাদেশের কোন অঞ্চলেই হতে দেয়া যায় না। কারণ, এতে মানুষ মরবে। গণ-অসুস্থতা তৈরি হবে। লক্ষ লক্ষ মানুষ ক্যান্সারে আক্রান্ত যদি নাও হয়, হাজার হাজার মানুষ হবে।

দ্রুত শোধরানোর যে নজির আওয়ামীলীগ তথা শেখ হাসিনা দেখাচ্ছেন, পোড়াচোখ স্বপ্ন দেখে। পোড়াচোখ সাহসী হয়ে ওঠে।



আন্ত-দলীয় ও অণ্তর্দলীয় কোন্দল:

আওয়ামীলীগকে এই বিষয়টা দেখানো খুব জরুরী যে, যারাই এই দলটাকে বা এই ক্ষমতাটাকে ব্যবহার করে সুস্পষ্ট প্রকাশ্য বিস্তৃত নৈরাজ্য ও সন্ত্রাস সৃষ্টি করছে এবং তার ধারাবাহিকতা রক্ষা করছে, তাদের দলটাতে কোন অগ্রগতি নেই। এ কথাটুকু মোটাদাগে কিছু গডফাদারের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হতে পারে।

দেশের ভিতরে যে নৈরাজ্য তৈরি হচ্ছে, তা ঠেকানোর উপায় থাকবে না। তা এগিয়েই যাবে। আওয়ামীলীগ ক্ষমতায় টিকে থাক বা বিএনপি ক্ষমতায় আসুক, এটা চলতেই থাকবে। এ হল প্রতিক্রিয়ার ধারা। এরই নাম ধারাবাহিকতা। একটু সচেতনতা, একটু সাবধানতা পারে অনেক কিছু ঠেকিয়ে দিতে। এই সময়ে একের পর এক হত্যাকান্ডের সন্ত্রাস ঠেকানোর জন্য অভিযানের বিকল্প থাকবে না। কিন্তু সেইসব অভিযান, তা যাদের দ্বারাই হোক না কেন, যেন রাষ্ট্রীয় প্রতিপক্ষ ঠেকানোর জন্যই হয়। ব্যক্তিগত প্রতিপক্ষ ও দলীয় প্রতিপক্ষ যেন না হয়।

বাংলাদেশের সাধারণ মানুষগুলো ভবিষ্যতের কাদের মোল্লাদের নিরস্ত্র ও নিরস্ত দেখতে চায়। বাংলাদেশের সাধারণ মানুষ শুধু তাদের বিরুদ্ধে কর্মকান্ডকে অ্যাপ্রুভ করবে, যারা শহীদ মিনার জ্বালায়, মুক্তিযোদ্ধা কমান্ড কাউন্সিল জ্বালায়। যারা প্রকৃতপক্ষেই মসজিদ-মন্দির পোড়ায়। যারা বাসযাত্রীদের আগুনে ঝলসে মারে। আগুনে ঝলসে মারে মুক্তিযোদ্ধাকে। প্রকাশ্য দিবালোকে একের পর এক জবাই করে।

বাংলাদেশ আর পাকিস্তানের মধ্যে একটা স্পষ্ট অমিল রয়েছে। আর সেই স্পষ্ট অমিলটা হল, পাকিস্তান অন্যায় করছিল, পাকিস্তান বিনা বিচারে বিনা হিসাবে যাকে-তাকে শেষ করে দিচ্ছিল। যার তার উপর হামলা করছিল। বাংলাদেশ যেন রাষ্ট্রীয়ভাবে এই কলঙ্ক ধারণ না করে।

সন্ত্রাস, জবাই, রেলের প্লেট উল্টানো বা বাসযাত্রীদের ঝলসে দেয়া ঠেকাতে গিয়ে যেন বাংলাদেশের ধর্ষণের কলঙ্ক না বইতে হয়, সত্যিকার সংঘটক ও সংগঠক ছাড়া আর কারো যাতে পায়ে গুলি খেতে না হয়- এটা কঠোরভাবে নিয়ন্ত্রণ করতে পারতে হবে।

এই ক্ষেত্রে অনেকেই একটা কথা বলছেন, সারা বাংলাদেশে অভিযান চালানো হচ্ছে না কেন? বরং সাধুবাদ জানাতে হয়, সারা বাংলাদেশে অভিযান হচ্ছে না। কোন একটা পক্ষ প্রতিনিয়ত বাংলাদেশে যুদ্ধ চাচ্ছে। সেটা ঠেকিয়ে দিতে পারা হবে বড় যুদ্ধজয়। যুদ্ধ করে যুদ্ধজয় কখনো কল্যাণ আনতে পারবে না। তাই অভিযান হোক সেখানেই, যেখানে গড়পড়তা মানুষ হত্যা হয় একের পর এক। নিয়ন্ত্রিত, অভিযান হোক সর্বনিম্ন মাত্রায়, সবচে কম সংখ্যক ক্যাজুয়ালটি নিয়ে। এবং অভিযান, পারতপক্ষে না হোক। বিচার বহির্ভুত হত্যাকান্ড না হোক। বরং এই যুদ্ধ হোক প্রচারণার যুদ্ধ। সচেতনতার যুদ্ধ। তথ্যযুদ্ধ। তথ্যযুদ্ধে সত্যপক্ষের কখনো ঘাটতি থাকে না।



বিশেষ করে সামাজিক ন্যায়বিচারের প্রায়োগিক উদাহরণ তৈরি এবং চুক্তি ও সিদ্ধান্তে যে কোনভাবে দেশের স্বার্থকে প্রাধান্য দেয়া:

আমেরিকান-ব্রিটিশদের আমরা যতই সাম্রাজ্যবাদী বলি না কেন, তাদের মধ্যেও কোন্দল রয়েছে, তাদের মধ্যেও দুর্নীতি রয়েছে অকল্পনীয়, তাদের মধ্যেও রাষ্ট্রীয় অন্যায় রয়েছে, এইসবকিছু ছাপিয়ে তারা উপরে আছে মাত্র একটা কারণে। আর তা হল, দেশের সুস্পষ্ট স্বার্থে তাঁরা কম্প্রোমাইজ খুব কম করেন।

একই বিষয় দেখি এ অঞ্চলের চীন-জাপান-সিঙ্গাপুর-মালয়েশিয়া এমনকি ভারতের বেলায়। তাদের রাষ্ট্রের ভিতরে সমস্যার অন্ত হয়ত নেই, তাদেরও অনেক দুর্নীতি হয়ত রয়েই গেছে, কিন্তু দ্বিপাক্ষিক-ত্রিপাক্ষিক-আন্তর্জাতিক সিদ্ধান্তে এবং অভ্যন্তরীণ সিদ্ধান্তে তাদের সুস্পষ্টভাবে দেশের স্বার্থের বিরুদ্ধে কিছু করতে দেখা যায় না।

বরং যে কোনভাবে ন্যায় বা অন্যায় করে হলেও দেশের স্বার্থ আন্তর্জাতিক পরিমন্ডলে তারা রক্ষা করে। এত পচনের ভিতরও তাদের উন্নতির এই একটাই হাতিয়ার।

এর ঠিক বিপরীতটা করতে দেখা যায় পাকিস্তানকে, করতে দেখা যেত বাংলাদেশকে, করতে দেখা যায় আফ্রিকার বহু রাষ্ট্রকে। সেসব জায়গায় দেশের স্বার্থ বলতে কোন কিছু আর বাকি নেই। সেসব জায়গায় রাষ্ট্রস্বার্থ বলতে কিছু থাকে না। সেখানে পোলিং, আদর্শ, ধর্ম, গোষ্ঠী, গোত্র, আঞ্চলিক বা ব্যক্তিস্বার্থ বড় হয়ে দেখা দেয় যার ফলে দীর্ঘস্থায়ী বিপর্যয় অবশ্যম্ভাবী।

এই কাজটা করতে হলে একটু দেখতে হবে, আমাদেরই অধীনে কেউ এমন কোন দুর্নীতি করে ফেলছে কিনা, যাতে দেশের স্বার্থের স্পষ্ট বৈপরীত্য আসবে। সেটা শুধু নিয়ন্ত্রণ করলেই হল।

বাংলাদেশ এক মুহূর্তে বিশাল কিছু হয়ে যাবে না। যে কোন অগ্রগতিই ধীর এবং আপেক্ষিক। বাংলাদেশের মানুষ আশা করে না এক মুহূর্তে উন্নয়নের জোয়ার, এক মুহূর্তে সমস্ত সমস্যার সমাধান তারা দু:স্বপ্নেও চায় না। ধীর এই কারণে, মানুষ শিক্ষিত এবং উদার হবে, তাই উন্নত হবে। আপেক্ষিক এই কারণে, সরকার চাইলে এই গতিকে প্রভাবিত করতে পারে।

শুধু কিছু খাতকে আলাদা রাখতেই হবে। কিছু সামান্য খাত। বৈদেশিক নীতিতে কঠোরভাবে নিজের স্বার্থ রক্ষা, গণস্বাস্থ্য বিপর্যয় থেকে রক্ষা, পরিবেশ বিপর্যয় থেকে রক্ষা, সামাজিক নূনতম ন্যায়বিচার। এই সামান্য কিছু ক্ষেত্রে জিরো টলারেন্স দেখালেই চলবে।

আজকের বাংলাদেশে কী করে এত এত কৃত্রিম সার, প্রিজারভেটিভ, টেস্টমেকার- এইসব চলছে! কী করে বাংলাদেশের প্রায় সর্বত্র প্রায় সব ধরনের মাদক সুলভ! সেটা তো আমাদের যুগ যুগান্তের ব্যর্থতার নিদর্শন। অথচ এইসব ঠেকাতে মাত্র দু-চার-দশটা উদাহরণই যথেষ্ট। প্রয়োজনে তা নিষ্ঠুর হোক না কেন! এবং বিশেষ করে বাংলাদেশের মানুষ চায়, 'নেই-রাজ্য' মনোভাব থেকে বেরিয়ে আসতে। এটা শুধু সন্ত্রাস বিষয়ক নয়। অন্যান্যও। এখানে ছোট হোক, বড় হোক, খারাপ কিছু হলে সেটার একটা পাল্টা প্রতিক্রিয়া সরকার থেকে আসুক, সেই প্রতিক্রিয়া দেখে প্রকাশ্যে অন্যায় করা মানুষগুলো অন্তত ভড়কে যাক, অন্তত ভাবুক, সবাইকে দেখিয়ে সামাজিক/আর্থিক অন্যায় করলে সমস্যা হতেই পারে। আসলে অন্যায় করলে যে সমস্যা হতে পারে, শুধু এই উদাহরণটুকু বাংলাদেশে নেই। এই উদাহরণটুকু তৈরি করার জন্য শেখ হাসিনা মাত্র দুটা পদক্ষেপ রাখলেন। আরও বহুদূর যাবার আছে। ফাঁসি দিয়ে দুটা উদাহরণ কোন কিছুই নয়।



রাষ্ট্র হিসাবে বাংলাদেশের উত্থান অনিবার্য, যদি বাংলাদেশের নিয়ন্ত্রক মানুষগুলো একটু হিসাবী হন। বাংলাদেশের উত্থান এম্নিতেও মানুষের হাত ধরে হবে। মানুষ সুশিক্ষিত হবে, মানুষ সচেতন হবে, মানুষ ধীরে ধীরে আরো জানতে বুঝতে শিখবে। কিন্তু ততদিনে বহু যুগ পেরিয়ে যাবে। আরো অন্তত দুটা যুগ পেরিয়ে যাবে। এর আগে বাংলাদেশের উন্নতি তখনি ত্বরান্বিত হতে পারে, যখন স্বয়ং নিয়ন্ত্রক মানুষগুলো একটু হিসাবী হন। এই হিসাবী হওয়ার স্বপ্ন দেখা কোন পাপ নয়।



সক্ষমতা কখনোই সক্ষমতা নয়, শক্তি কখনোই শক্তি নয় ন্যায়বিচার কখনোই প্রতীকী নয়। সক্ষমতা তখনি প্রকৃত সক্ষমতা যখন তাতে নিয়ন্ত্রণ থাকে। শক্তি তখনি শক্তি যখন তার নূনতম মাত্রায় প্রয়োগ থাকে। ন্যায়বিচার তখনি ন্যায়বিচার যখন তা ধারাবাহিক থাকে।



একাত্তরের ত্রিশ লাখ মানুষের রক্ত দেয়া কোন প্রতীকী ছাড় ছিল না, স্বাধীনতা শুধু কোন প্রতীকী অর্জন নয়, বরং স্বাধীনতার একটা অর্থ আছে। স্বাধীনতার অর্থ দেশের মানুষের জীবনযাত্রায় এক ধরনের মৌলিক পরিবর্তন। বাংলাদেশ তখনি প্রায়োগিক ক্ষেত্রে স্বাধীন যখন সে নিজের ব্যবহারিক স্বার্থটাকে সবচে উপরে স্থান দিবে (তাত্ত্বিক স্বার্থ শুধু নয়, ব্যবহারিক স্বার্থ, যার মানে মানুষের জীবনের উপকরণে পরিবর্তন) এবং এইক্ষেত্রে জিরো টলারেন্স প্রদর্শন করবে।

মন্তব্য ১৪ টি রেটিং +৩/-০

মন্তব্য (১৪) মন্তব্য লিখুন

১| ১৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:০৭

মামুন রশিদ বলেছেন: সুন্দর বিশ্লেষণ লিসানি ভাই ।

১৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:১৮

গোলাম দস্তগীর লিসানি বলেছেন: মামুন ভাই আন্তরিক কৃতজ্ঞতা। কিছুদিন ব্লগ থেকে দূরে থাকব। দোয়া রাখবেন যেন সময়টাকে কাজে লাগাতে পারি।

২| ১৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৩ রাত ৮:২৬

সায়েম মুন বলেছেন: রাষ্ট্র হিসাবে বাংলাদেশের উত্থান অনিবার্য, যদি বাংলাদেশের নিয়ন্ত্রক মানুষগুলো একটু হিসাবী হন। বাংলাদেশের উত্থান এম্নিতেও মানুষের হাত ধরে হবে। মানুষ সুশিক্ষিত হবে, মানুষ সচেতন হবে, মানুষ ধীরে ধীরে আরো জানতে বুঝতে শিখবে। কিন্তু ততদিনে বহু যুগ পেরিয়ে যাবে। আরো অন্তত দুটা যুগ পেরিয়ে যাবে। এর আগে বাংলাদেশের উন্নতি তখনি ত্বরান্বিত হতে পারে, যখন স্বয়ং নিয়ন্ত্রক মানুষগুলো একটু হিসাবী হন। এই হিসাবী হওয়ার স্বপ্ন দেখা কোন পাপ নয়।
চমৎকার ব্যাখ্যা বিশ্লেষণমূলক পোস্ট। যথেষ্ট ভাল লেগেছে।

১৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৩ রাত ৯:৫১

গোলাম দস্তগীর লিসানি বলেছেন: কৃতজ্ঞতা রইল সায়েম ভাই। স্বপ্ন দেখার নেইতো কোন শেষ।

৩| ১৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৩ রাত ৯:১৩

নাঈমুল ইসলাম প্রজন্ম ’৭১ বলেছেন: http://somewhereinblog.net/blog/Naimulisalam09/29907273

১৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৩ রাত ৯:৫২

গোলাম দস্তগীর লিসানি বলেছেন: দেখছি ভাই।

৪| ১৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৩ রাত ৯:৩৫

মামুন হতভাগা বলেছেন: অদ্ভুত সুন্দর বিশ্লেষণ

১৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৩ রাত ৯:৫২

গোলাম দস্তগীর লিসানি বলেছেন: কতদিন পর পেলাম আপনাকে! আন্তরিক কৃতজ্ঞতা রইল মামুন ভাই।

৫| ১৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৩ রাত ১০:১৬

অলওয়েজ এ্যান্টি গর্ভণমেন্ট বলেছেন: Good Written, well written. Thank you. Every stanza has great and meaningful. You are very hopeful and positive minded. Congrats.

Try to across others writers dominance.

(could not write in bangla in my keyboard for unknown reason / problem)

১৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৩ রাত ১০:৩২

গোলাম দস্তগীর লিসানি বলেছেন: কোন সমস্যা নাই ভাই। আন্তরিক কৃতজ্ঞতা রইল। অনেক অনেক ধন্যবাদ।

৬| ১৯ শে ডিসেম্বর, ২০১৩ রাত ২:২৬

অন্তরন্তর বলেছেন: +++++++

২০ শে ডিসেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৪:২৩

গোলাম দস্তগীর লিসানি বলেছেন: কৃতজ্ঞতা রইল ভাই। আগের কমেন্টে নিক ভুল বলেছিলাম... অন্তরন্তর হবে।

৭| ১৯ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ দুপুর ২:১৫

হারান সত্য বলেছেন: অফটপিক:

ভাই আপনি কি মহাসত্যের পরিচয় সাইটের সবগুলি লেখা পড়েছিলেন? ঐ লেখাগুলির বক্তব্যের ব্যাপারে আপনার একটি সার্বিক মুল্যায়ন পেতে পারি কি?

ধন্যবাদ

১০ ই এপ্রিল, ২০১৪ দুপুর ১২:০৭

গোলাম দস্তগীর লিসানি বলেছেন: ভাই, সালাম। বেশিরভাগ পড়ে ফেলেছি। বাকিগুলো পড়ে আমি লিখব ইনশাআল্লাহ। যদি বিস্তারিত লিখি, তাতে আপত্তি থাকবে না বলে মনে হচ্ছে। বিস্তারিত আলাপ করতেই পছন্দ করব। লেখাটা ওই সাইটেই করব।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.