নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

স্পেস-টাইম

there is no problem in the heavens and earth ;) problem lies in three places... beneath, between and within the hells.

গোলাম দস্তগীর লিসানি

বুলি বলে শুনতে পাই, রূপ কেমন তা দেখি নাই, ভীষম ঘোর দেখি।। পোষা পাখি চিনলাম না, এ লজ্জা তো যাবে না, উপায় কী করি, আমি উপায় কী করি।।

গোলাম দস্তগীর লিসানি › বিস্তারিত পোস্টঃ

১৯৭১: ভেতরে বাইরে- ভেতরদিকের রিভিউ

১১ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৪ দুপুর ১২:৪০

সরাসরি রাজনৈতিক বিষয়গুলো নিয়ে কখনো লিখি না। কিন্তু বিষয়টা মুক্তিযুদ্ধ-জড়িত হলে তখন আর খেয়োখেয়ির 'রাজনৈতিক' থাকে না।



রাষ্ট্রীয় পরিচয়ের বিষয় হয়ে দাঁড়ায়। এবং এ বিষয় নিয়ে কথা বলা যায়।



ঠিক রাজনৈতিক 'সচেতন' ও নই এবং রাজনৈতিক নৈতিকতাও বুঝে উঠিনি বলেই মনে হল, আমাদের মত আটপৌরে অবস্থানের মানুষেরও এই ধরনের বই নিয়ে কিছু বলা দরকার। নয়তো শুধু পক্ষ নিয়ে কথা বলারাই দেদার বলে যাবেন, আমরা শুধু কনফিউজড হব, তা হবার নয়।



এই রিভিউ মাত্র দুই অধ্যায়ের। দুটা অধ্যায় কাল রাতে পড়েছি। মার্চ মাস এবং স্বাধীনতার ঘোষণা বিষয়ক।



মহান মুক্তিযুদ্ধের উপসেনাপতি অবসরপ্রাপ্ত এয়ারভাইস মার্শাল এ কে খন্দকার বীর উত্তম- এই নামটার সাথে একটা বিপুল ঝংকার উপস্থিত। আমরা বাংলাদেশের সাধারণ মানুষেরা এই ধরনের কিংবদন্তী নামের সাথে সব সময় ঝংকার অনুভব করে এসেছি, যেমন বিপুল ঘৃণা অনুভব করে এসেছি যুদ্ধাপরাধী পাকিস্তানি সেনা ও এদেশে জন্মানো রাজাকারদের বিষয়ে।



বীরশ্রেষ্ঠরা বিতর্কিত হবেন না, কারণ তাঁরা মৃত বিপ্লবী। দেশ মৃত বিপ্লবী চায়। যারা মরে গিয়ে অমর হবেন। যাঁদের নিয়ে টানা হেঁচড়া করা যাবে, কিন্তু মৃতের সুবিধা প্রাপ্তির মাধ্যমে যারা আর কোন টুঁ শব্দ করতে পারবেন না। কিন্তু সারা পৃথিবীতেই দেখি, দেশ আসলেই জীবিত বিপ্লবী চায় না। দেশ অনেকাংশেই স্বাধীনতার মহানায়ক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে চায়নি। চায়নি স্বাধীন বাংলার প্রথম সরকারের পরিচালনায় থাকা মহামহিমদের। চায়নি মহান মুক্তিযুদ্ধের সেনাপতিদের, বিভিন্ন বাহিনীর সেনাপতি, বিভিন্ন সেক্টরের প্রায় বিশজন সেনাপতিকে, স্বাধীনতার ঘোষণা প্রচারকারী জিয়াউর রহমান বীরউত্তমকেও। তাই দেশ আসলে অনেকাংশেই পদবীপ্রাপ্ত বা পদবীবিহীন বীর উত্তমদের ঠিক চায় না। মূল্যায়ন করা তো পরের বিষয়।



পড়তে গিয়ে যা মনে হয়েছে সরল ভাষায় তাই বলব।





নামকরণ



১৯৭১:ভেতরে বাইরে নামটা ঠিকই আছে। তবে মনে হয়েছে নামটা এমনো হতে পারতো, '১৯৭১:রাজনৈতিক নেতৃত্ব-ব্যর্থতা ও সামরিক-বেসামরিক স্বত:স্ফূর্ত উত্থান'... মানে, দুটা চ্যাপ্টার, ঠাসা ২২ টা পৃষ্ঠা পড়ে যতটুকু মনে হল, এই বই লেখাই হয়েছে তৎকালীন রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দের 'প্রকৃত' অবস্থা চিত্রায়ণের উদ্দেশে। বা, বলা ভাল রাজনৈতিক নেতৃত্বের যত ভুল আছে, তা তুলে ধরার উদ্দেশে।





লেখার গতিপ্রকৃতি



প্রচুর অনুবাদের অভিজ্ঞতা থাকায় বলতে পারি, বইটা সম্ভবত বাংলা ভাষায় লেখা হয়নি। ইংরেজিতে হয়েছে। আাংশিক হলেও। একমাত্র ভাষান্তর করলেই লেখা এমন নিরাবেগ এবং অতি-প্রবন্ধসুলভ হতে পারে। দ্বিতীয়ত যা হতে পারে, লেখক কখনো ইংরেজি কখনো বাংলায় কথা বলেছেন, সেগুলো রেকর্ড করা হয়েছে এবং লেখার রূপ দেয়া হয়েছে। অথবা, লেখকের বাংলা ভাষায় লেখার অভিজ্ঞতা কম থাকাতে এমন হয়েছে- এই শেষ সম্ভাবনাটাকে আমি সবচে দুর্বল সম্ভাবনা ধরছি।



প্রথম দুটা সম্ভাবনা খুবই সাধারণ সম্ভাবনা। বিখ্যাত মানুষদের বেলায় এমনটাই হয়। তবে এক্ষেত্রে লেখার একটা অপূরণীয় ক্ষতি হয়। মাতৃভাষায় নিজহাতে লেখা আর ভিন ভাষায় লেখা অথবা কথা রেকর্ড করায় গভীরতার আকাশ পাতাল তফাত।





টিয়াপাখি, ময়নাপাখি, অচিনপাখি ও কাকপাখির বাইরে



বাংলাদেশে মুক্তিযুদ্ধের কথা আমরা শুনি চার ধরনের পাখির মুখ থেকে। যত বড় মানুষই হোন না কেন, তাদের আলাপ হবে এই চার ক্যাটাগরির যে কোন একটায়। টিয়াপাখির বুলি স্বাধীনতার নেতৃত্ব দানকারী রাজনৈতিক দলের বুলি। ময়নার বুলি স্বাধীনতা প্রচারের দর্শন-বুলি। অচিনপাখির বুলি হল সমাজতন্ত্রী বিপ্লবীদের বুলি যা পরপর স্বাধীন বাংলাদেশের দুই সরকার বিলুপ্ত করেছে সিভিল এবং সামরিক উভয় শ্রেণী থেকে। প্রথম তিনটা পক্ষই স্বাধীনতার জন্য যুদ্ধ করেছিল অথবা যুদ্ধ করার চেতনায় উদ্বুদ্ধ। চতুর্থ কাকপাখি শুধু কা কা ছাড়া আর কিছু করতে জানে না। এটা রাজাকার শ্রেণী।



লেখায় টোল থাকবেই, ডোল থাকবেই। লেখা হেলানো থাকবেই। কিন্তু মহান মুক্তিযুদ্ধের উপসেনাপতির লেখা হওয়াতে এতে টোলটা এই চারদিকের কোনদিকেই যায়নি সম্পূর্ণরূপে।





জয় পাকিস্তান বিষয়ক



মূলত বহুবার যা শুনেছি তা হল, বঙ্গবন্ধু সাত মার্চে পুরো বক্তব্যের শেষে অনুচ্চস্বরে জিয়ে পাকিস্তান বলেছিলেন। এবং বহুবার এর বিপক্ষেও শুনেছি। আমার বাবাও সেখানে ছিলেন, একেবারে সামনেই ছিলেন। তাঁকে জিগ্যেস করার পর তিনি যা বললেন, তা হল, এই শব্দটা বলা হয়েছে কিনা, তা মনে নাই।



আসলেই, এই কথাটা বেশিরভাগ মানুষের। কারণ, এই কথার দিকে কারো মনোযোগ যাবার যো ছিল না, যদি বলাও হয়ে থাকে। কেন? কারণ এই শেষ কথাটা যদি অনুচ্চস্বরে বলাও হয়ে থাকে, এটাকে জগতের সব মানুষ কথার কথা হিসাবেই ধরে নিয়েছে। অন্তত সেই সময়।



সাত মার্চের ভাষণ বাংলাদেশে বসবাসকারী প্রত্যেক মানুষের মুখস্ত। ইচ্ছায় বা অনিচ্ছায়। এখনতো মনে হচ্ছে এটা মুখস্ত করানো দরকারই ছিল। সেই কথাগুলোর পর স্বাধীনতার কোন্ ঘোষণা দিতে বাকি রইল- এটা বোধগম্য নয়।



'এবারের সংগ্রাম মুক্তির সংগ্রাম', 'এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম', 'প্রত্যেক ঘরে ঘরে দুর্গ গড়ে তোল' 'তোমাদের যা কিছু আছে তাই নিয়ে প্রস্তুত থাকতে হবে' 'শত্রুর মোকাবেলা করতে হবে'- এই ভাষণে অন্তত পাঁচবার স্বাধীনতার ঘোষণা দেয়া হয়েছে।



সত্য সত্যই। সত্য সত্যই ছিল, সত্যই থাকে, সত্যই থাকবে। এ নিয়ে ত্যানা প্যাচানোর গু-রুত্ব থাকতে পারে, গুরুত্ব নেই। তা তিনি জিয়ে পাকিস্তান টেকনিক্যাল কারণে বলে থাকুন বা নাই থাকুন।



কাকের মত বললে চলবে না, যে মুজিব আসলে স্বাধীনতা চায়নাই। পাকিসেনা আর রাজাকাররা আসলে ফেরেস্তা ছিল।





স্বাধীনতার প্রচার বা ঘোষণা বিষয়ক



অনেক অজানা বিষয় খোলাসা হয়েছে। অজানা এই কারণে যে, এইসব তথ্য সবখানেই ছিল, কিন্তু এলোমেলো ছিল। এখানে খুবই স্পষ্টভাবে একত্রিত হয়েছে।



স্বাধীনতার ঘোষণা প্রচার জেড ফোর্সের অধিনায়ক সাবেক প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান প্রথম করেননি, তাঁর আগে ওইখান থেকেই অনেকে করেছেন। এমনকি জিয়াউর রহমান বীর উত্তম আত্মবিশ্বাস সৃষ্টির উদ্দেশ্যে বা মনস্তাত্ত্বিক যুদ্ধ-প্রচার-কৌশলের কারণে নিজেকে প্রেসিডেন্টও ঘোষণা করছিলেন পরবর্তীতে তিনি ইউনিফাইড প্রচার পাঠ করেন।



একজন মিড-সিনিয়র সামরিক অফিসারের এই কন্ঠ দেশে নতুন করে বিশ্বাস ফিরিয়ে এনেছিল, যা খাটো করে দেখার কোন সুযোগ নেই।





স্বাধীনতার প্রথম পদক্ষেপ বাঙালিদের নেয়া বিষয়ক



একজন সিনিয়র সামরিক অফিসার এ কে খন্দকার যেভাবে দেখবেন, কোন রাজনৈতিক নেতা কখনো বিষয়গুলোকে সেভাবে দেখবেন না। তিনি সামরিক অফিসার ছিলেন, তাঁর প্রথম দৃষ্টিই যাবে সামরিক সমাধান এবং তার টেকনিকের দিকে। সামরিক অফিসাররা আজীবন রাজনৈতিক নেতাদের সমালোচনা করে যেতে পারবেন, কিন্তু অসামরিক রাজনৈতিক নেতাদের কর্মপদ্ধতির সাথে কখনোই তাদের কর্মপদ্ধতি মিলবে না।



বাংলাদেশে সাত মার্চের পর থেকে কার্যত স্বাধীনতা চলছিল, এটা তিনি বারবার স্বীকারও করেছেন। সারা বাংলায় বাংলার পতাকা উড়ছিল। প্রশাসন এক প্রকার ছিলই না।



এরপর শুধু একটা পদক্ষেপই বাকি ছিল, আর তা হল প্রথম আক্রমণ। এটা কেন বাংলাদেশ করেনি, সেই দায় বাংলাদেশকে দেয়া যায় না। যদি প্রথম আক্রমণ বাংলাদেশ করতো, তবে হয়ত আজকে বাংলাদেশে এবং সারা বিশ্বে বাংলাদেশের স্বাধীনতা আরো বড় করে প্রশ্নবিদ্ধ থেকে যেত এবং একটা দোষারোপ রয়েই যেত বাংলার উপর।



স্বাধীনতার প্রথম পদক্ষেপ হিসাবে তিনি বারবার বারবার তুলে এনেছেন বাংলাদেশের পক্ষ থেকে স্বাধীনতার জন্য যুদ্ধ শুরু করার কথা। এবং বিশাল মৃততুর জন্য দায়ী করেছেন তৎকালীন আওয়ামীলীগের রাজনৈতিক নেতাদের। একটা কথা মনে রাখতে হবে, এই হত্যাকান্ডগুলি তখনকার আওয়ামীলীগের নেতারা করেনি, বরং পাকিস্তানি সেনা ও রাজাকাররা করেছিল।



হত্যাকান্ডের দায় হত্যা পরিকল্পনাকারীর এবং বাস্তবায়নকারীর, হত্যার শিকারের কখনোই নয়। অথচ এই একটা বিষয় এতবার তিনি তুলে এনেছেন যে, যে কোন স্বচ্ছ্ব চোখের মানুষের চোখে এটা লাগবেই। বইয়ের উদ্দেশ্যই যেন এই কথাগুলো। রাজনৈতিক নেতৃত্বের 'ভুল' ও 'অদূরদর্শীতা' গুলো।





মুক্তিযুদ্ধে একক সামঞ্জস্য এবং একক কমান্ডের অভাব বিষয়ক



বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ হল জগতের সবচে স্বত:স্ফূর্ত বিষয়গুলোর অন্যতম। এই মুক্তিযুদ্ধ কখনোই এককভাবে আওয়ামীলীগের নয়। একাত্তরের আগে যারা আওয়ামীলীগকে ভোট দিয়েছিলেন, তারা মূলত বাঙালিকে ভোট দিয়েছিলেন, আওয়ামীলীগকেই শুধু নয়। আর এখানে আওয়ামী-অ আওয়ামী সবাই একযোগে যুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়েছিলেন সুবিধাবাদী, ভীরু এবং রাজাকার বাদে।



তাই, এ যুদ্ধ যারা করেছেন তারা পরবর্তীতে সবাই যে আওয়ামী ঘরানার হবেন, এমন কোন কথা নেই।







পরিশেষে বলার এটুকুই, মুক্তিযুদ্ধের উপসেনাপতি চিরকালই উপসেনাপতি থাকবেন। তাঁর অনন্যতা তাঁর অসামান্যতা কোনদিন ক্ষয় হবে না, কেননা একাত্তর চলে গেছে। একাত্তরে যে পাকিখুনি ও রাজাকার হয়েছিল সে আজীবন ধীকৃত, একইভাবে যিনি অসাধারণ ভূমিকা রেখেছিলেন, একাত্তরের পর তার সমস্ত ভূমিকা স্বাধীনতার প্রেক্ষিতে গৌণ।



এই বইটি ওইসব ক্ষুদ্র ডিটেইলসের জন্য অসাধারণ, যা হয়ত মুক্তিযুদ্ধের উপসেনাপতি ছাড়া আর কেউ জানাতে পারতেন না। অনেক বেশি সংখ্যক বিষয় উঠে এসেছে এতে। বিশেষ করে ক্ষণে ক্ষণে মুক্তিযুদ্ধে অবদান রাখা ব্যাক্তিদের দারুণ স্বীকৃতি উঠে এসেছে, যারা হয়ত ইতিহাসে আর কখনো স্মরিত হতেন না।



লেখকের যেন চোখে পড়েনি, সারা বাংলাদেশে আওয়ামী এবং প্রো-আওয়ামীরা যুদ্ধ করেছিল। প্রতিটা থানায়, এমনকি প্রতিটা গ্রামে। আবার আওয়ামী প্রো আওয়ামী ছাড়াও অন্যেরা এতে শামিল হয়েছিল।



যে দুটা চ্যাপ্টার পড়লাম, তাতে বোঝা যায় লেখকের হয়ত রাজাকার শ্রেণীর প্রতি বিন্দুমাত্র নজর নেই। এবং এটা খুবই স্পষ্ট যে, তিনি এক ধরনের রাগ অথবা এক ধরনের পরিকল্পনা থেকে বইটি লিখেছেন। তাঁর মত অবস্থানের ব্যক্তির জন্য এক দর্শনে বই লেখাটা যৌক্তিক হয়নি।



এই বই থেকে ফায়দা লুটবে মুক্তিযুদ্ধ বিরোধী রাজাকারশ্রেণী। এটা যদি বইয়ের পরিণতি হয়ে থাকে, তবে নির্দ্বিধায় বই মুক্তিযুদ্ধের বই হতে ব্যর্থ হয়েছে অথবা মুক্তিযুদ্ধবিরোধী ভাবনার সহায়ক হিসাবে সফল হয়েছে।

মন্তব্য ৫ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (৫) মন্তব্য লিখুন

১| ১১ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৪ দুপুর ১:০১

গাধা গরু বলেছেন: শহীদ জিয়াউর রহমান প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব গ্রহনের পরে দেশে একদলীয় বাকশালের পরিবর্তে বহুদলীয় গনতন্ত্র প্রবর্তন করেন। গণমাধ্যমের স্বাধীনতা নিশ্চিত করে। রক্ষী বাহিনী থেকে জনগণকে মুক্তি দেন। বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের কারণেই এখন বাংলাদেশে আওয়ামী লীগ নামে রাজনীতি করার সুযোগ পাচ্ছেন শেখ হাসিনা।

অথচ আওয়ামী লীগের মনে রাখা দরকার, "চোরের দল", "চাটার দল" আখ্যা দিয়ে মরহুম শেখ মুজিবুর রহমানই আওয়ামী লীগকে স্বাধীন বাংলাদেশে বিলুপ্ত করে দিয়েছিলেন। নিষিদ্ধ করেছিলেন আওয়ামী লীগসহ সকল রাজনৈতিক দল। শেখ মুজিব গঠন করেছিলেন এক দলীয় বাকশাল। অর্থাৎ, দীর্ঘ রাজনৈতিক জীবনে বাকশালই শেখ মুজিবের একমাত্র রাজনৈতিক আদর্শ।

আমরা যদি প্রশ্ন করি, যারা শেখ মুজিবকে বিভিন্ন বিশেষণে আখ্যায়িত করে থাকেন, তারা কোন যুক্তিতে আওয়ামী লীগ করেন? তারা কী তাহলে তাদের নেতার সাথে বা বিশেষণ হিসেবে তাদের পিতার সাথে, পিতার আদর্শের সাথে বিশ্বাসঘাতকতা করছেন না? আর যদি ভুল বুঝতে পেরে বাকশাল থেকে বেড়িয়ে এসে আওয়ামী লীগ নামে বাংলাদেশের রাজনীতি করতেই চান, তাহলে বাংলাদেশের জনগণের সাথে এবং গণতান্ত্রিক ব্যবস্থার বিরুদ্ধে তাদের পিতা যে বিশ্বাসঘাতকতা করেছিলেন সেটির জন্য কী তাদের ক্ষমা চাওয়া উচিত নয়?

২| ১১ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৪ দুপুর ১:৩৭

এস বাসার বলেছেন: বড় বড় মানুষদের একটা বয়সে সব প্রেম শেষ হয়ে যায়! তখন বাকী থাকে কেবল দেশপ্রেম!!

এ কে খন্দকার সাহেবেরা উপরেরটা-তলারটা সবটুকু চুক চুক করে খেয়েছেন, আর শেষ প্রেম হিসেবে দেশপ্রেমের ঝান্ডা দাঁড় করিয়ে দিলেন, কারন আসল প্রেম শত চেষ্ঠাতেও আর কোনদিন দাঁড়াবে না সেটা উনি জানেন!!!

বাংলাদেশের রাজনৈতিক নেতাদের শঠতা,স্বজনপ্রীতি-দূর্নীতি ছাড়া কল্পনাই করা যায়না। বংগবন্ধুও এসবের উর্ধে ছিলেন না।

তবে স্বাধীন বাংলাদেশের স্থপতি হিসেবে বংগবন্ধুকে কালিমালিপ্ত করাটা মেনে নেয়া যায় না।

৩| ১১ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৪ দুপুর ১:৫০

জীবন্‌ বলেছেন: http://www.youtube.com/watch?v=KJAD-HnKVM8

৪| ১১ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৪ দুপুর ২:২৪

াহো বলেছেন:

@গাধা গরু


==========================

টাইম সাময়িকী USA /নিউ ইয়র্ক টাইমস /The Times London
বিনামূল্যে বা এক ডলার আপনি সংবাদপত্র আর্কাইভ এক্সেস পেতে পারেন*.
1971 থেকে আমাদের ইতিহাসের অনেক প্রশ্নের উত্তর

*credit/debit card required
============================
বাকশাল ---প্রেসিডেন্ট সরাসরি নির্বাচিত হবে
বিশ্ব বিখ্যাত টাইম ম্যাগাজিন ইউএসএ
According to Time Magazine USA--Feb. 10, 1975,
Under the new system, executive powers are vested in the President, who will be elected directly every five years, and in a Council of Ministers appointed by him. Although an elected Parliament can pass legislation, the President has veto power and can dissolve Parliament indefinitely.

Parliament may remove the President, however, by a three-fourths vote "for violating the constitution or grave misconduct" as well as for physical or mental Incapacity. The amendment also empowers Mujib to set up a single "national party," thus shutting off any political opposition.



Click This Link


===========================================
শেখ মুজিব মৃত্যুর 10 দিন পরে, বিশ্ব বিখ্যাত টাইম ম্যাগাজিন ইউএসএ শেখ মুজিবের নেতৃত্বের প্রশংসা করা হয়েছে.পুরো বাংলা পড়ুন. লিঙ্ক শেষে.




মুজিব।। স্থপতির মৃত্যু ---টাইম সাময়িকী USA
আগষ্ট ২৫,১৯৭৫

তাঁর প্রশংসনীয় উদ্যোগঃ
স্বাধীনতার পরের তিনবছরে ৬০০০ হাজারের ও বেশী রাজনৈতিক হত্যাকান্ড ঘটে । সহিংসতা সারাদেশব্যাপি ছড়িয়ে পরার আশংকা তৈরী হলে মুজিব রাষ্ট্রীয় জরুরী অবস্থা ঘোষনা করেন । চরমবাম ও চরম ডানপন্থী সংগঠনগুলো নিষিদ্ধ করা হয়, পত্রিকাগুলোকে নিয়ে আসা হয় সরকারী নিয়ন্ত্রনে এবং দুর্নীতির বিরুদ্ধে অভিযান শুরু হয় ।
এ উদ্যোগগুলো বৃহত্তর জাতীয় স্বার্থে গৃহীত হলেও অনেকেই সমালোচনামুখর হয়ে উঠেন । সমালোচকদের উদ্দেশ্যে মুজিব তার স্বভাবসুলভ ভংগীতে বলেনঃ-'ভুলে যেওনা আমি মাত্র তিনবছর সময় পেয়েছি । এই সময়ের মধ্যে তোমরা কোনো দৈব পরিবর্তন আশা করতে পারোনা' ।
যদি ও শেষ সময়ে তিনি নিজেই হতাশ ও বিরক্ত হয়ে কোন দৈব পরিবর্তন ঘটানোর জন্য অধৈর্য্য হয়ে পড়েছিলেন ।
সন্দেহাতীতভাবেই মুজিবের উদ্দেশ্য ছিলো তার দেশ ও দেশের মানুষের উন্নয়ন ঘটানো । শেষ মুহুর্ত পর্যন্ত মুজিব একটা 'সোনার বাংলা' গড়তে চেয়েছিলেন, যে 'সোনার বাংলা'র উপমা তিনি পেয়েছিলেন কবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের কাছ থেকে, ভালোবেসে মুজিব সেই 'সোনার বাংলা'র স্বপ্নকে তার দেশের জাতীয় সংগীত নির্বাচন করেছিলেন ।
Click This Link

পুরো বাংলা link
http://www.sachalayatan.com/hasan_murshed/7973

================

মুজিব রাষ্টনায়ক হিসেবে ব্যর্থ ছিলেন বলে যারা গ্যাজান শুধু তাদের জন্যে এই পোষ্ট,
আপনাকে এমন একটা দেশের প্রধানমন্ত্রী বানিয়ে দেয়া হল,
১। যে দেশী মাত্র যুদ্ধ বিধ্বস্থ- বিশ্ব ব্যাংকের রিপোর্ট অনুযায়ী,
ক) ৬০ লাখ ঘরবাড়ি মাটির সঙ্গে মিশিয়ে দেওয়া হয়েছে ( ৬০ লক্ষ x ৫ জনের পরিবার= ৩ কোটি মানুষের আবাসস্থল)
খ) ২৪ লাখ কৃষক পরিবারের কাছে জমি চাষের মতো গরু বা উপকরণও নেই
গ) পরিবহনব্যবস্থা পুরোপুরি ভেঙে পড়েছে। রাস্তাঘাট ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, পুল-কালভার্টের চিহ্নও নেই এবং অভ্যন্তরীণ নৌ-যোগাযোগেও অনেক বাধাবিঘ্ন।
ঘ) লক্ষ মুক্তিযোদ্ধা আর হাজার দালালের কাছে আগ্নেয়াস্ত্র অসংখ্য উপদল, বিপ্লবী
ঙ) দেশে পুলিশ, সেনা বা কোন আইন শৃঙ্খলা বাহিনী নেই।
চ) ফেরত আসা কোটি শরনার্থী
ছ) খাদ্যের ফাকা গুদাম, ব্যাংকে কোন রিজার্ভ নেই, যারা সরকারী চাকুরী করে তাদের বেতন দেবার মতো কোন তহবির আপনার হাতে নেই। (যুদ্ধের শেষদিকে পাকিস্তানি মালিকানাধীন ব্যবসা প্রতিষ্ঠানগুলো কার্যত প্রতিটি ব্যবসা ক্ষেত্রই পাকিস্তানিদের দখলে ছিল তাদের সব অর্থ-সম্পদ পশ্চিম পাকিস্তানে পাচার করে দেয়। যুদ্ধ শেষে চট্টগ্রামে পাকিস্তান বিমানের অ্যাকাউন্টে মাত্র ১১৭ রুপি জমা পাওয়া গিয়েছিল। পাকিস্তান সেনাবাহিনী ব্যাংক নোট ও কয়েনগুলো ধ্বংস করে দেয়। ফলে সাধারণ মানুষ নগদ টাকার প্রকট সংকটে পড়ে। রাস্তা থেকে প্রাইভেটকারগুলো তুলে নেওয়া হয়, গাড়ির ডিলারদের কাছে থাকা গাড়িগুলো নিয়ে নেওয়া হয় এবং এগুলো নৌবন্দর বন্ধ হওয়ার আগমুহূর্তে পশ্চিম পাকিস্তানে পাচার করে দেওয়া হয়।)
জ) মুদ্রা ছাপানোর মতো পর্যাপ্ত স্বর্ণ বা বিদেশী মুদ্রার তহবিল নেই।
ঝ) সামগ্রিক শিল্প উত্পাদন ব্যবস্থা শুণ্য
ঞ) নৌবন্দরে মাইন, বিমান বন্দর ধ্বংশপ্রাপ্ত
=============================
লন্ডনের টাইমস পত্রিকায়
25 Aug 1975

মুজিব অনুসারীদের হত্যার প্রতিশোধ করার শপথ



==============
আমি এ সব 1971/1972 সংবাদপত্রে জিয়ার নাম খুঁজে পাচ্ছি না.
নিউ ইয়র্ক টাইমস
নিউজউইক
টাইম ম্যাগাজিন ইউএসএ
টাইমস সংবাদপত্র ইউকে

============
More is coming
More is coming
More is comin


=============
টাইম সাময়িকী
USA
শেখ মুজিবুর রহমান : বন্দি থেকে বাদশা / ১৭ জানুয়ারি ১৯৭২
মুজিব।। স্থপতির মৃত্যু / ২৫ আগষ্ট ১৯৭৫

1971-1975 পর্যন্ত আমাদের ইতিহাসের অনেক প্রশ্নের উত্তর

==============




বিশ্ব বিখ্যাত টাইম ম্যাগাজিন ইউএসএ

1) পাকিস্তান এখন শেষ --শেখ মুজিব---15 মার্চ 1971

2)শেখ মুজিবুর রহমান স্বাধীনতা ঘোষণা করেছেন --Apr. 05, 1971
--The World: Pakistan: Toppling Over the Brink

3)গত মার্চে পাকিস্তান সেনাবাহিনী ধ্বংসযজ্ঞ চালানোর পর বিশ্বব্যাংকের পরিদর্শকদের একটি বিশেষ টিম কিছু শহর প্রদক্ষিণ করে বলেছিলেন, ওগুলোকে দেখতে ভুতুড়ে নগরী মনে হয়। এরপর থেকে যুদ্ধ শেষ হওয়া পর্যন্ত এহেন ধ্বংসলীলার ক্ষান্তি নেই। ৬০ লাখ ঘরবাড়ি মাটির সঙ্গে মিশিয়ে দেওয়া হয়েছে এবং ২৪ লাখ কৃষক পরিবারের কাছে জমি চাষের মতো গরু বা উপকরণও নেই। পরিবহনব্যবস্থা পুরোপুরি ভেঙে পড়েছে। রাস্তাঘাট ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, পুল-কালভার্টের চিহ্নও নেই এবং অভ্যন্তরীণ নৌ-যোগাযোগেও অনেক বাধাবিঘ্ন। ---শেখ মুজিবুর রহমান : বন্দি থেকে বাদশা / টাইম সাময়িকী ১৭ জানুয়ারি ১৯৭২

4)Bangladesh have suffered three consecutive years of natural or man-made disasters—a calamitous cyclone in 1970, the civil war in 1971, and a crop-crippling drought this year. Jan. 01, 1973

5)শেখ মুজিবের সময়কালে ৬০০০ হাজারের ও বেশী মানুষ সহিংসতা নিহত (মুজিব।। স্থপতির মৃত্যু Time Magazine USA আগষ্ট ২৫,১৯৭৫).

6)বাংলাদেশ. "বাস্কেট কেস", নয়, Jan. 01, 1973

৭)বাকশাল ---প্রেসিডেন্ট সরাসরি নির্বাচিত হবে ,একটি নির্বাচিত সংসদ আইন পাস করতে পারেন,
According to Time Magazine USA--Feb. 10, 1975,
Under the new system, executive powers are vested in the President, who will be elected directly every five years, and in a Council of Ministers appointed by him. Although an elected Parliament can pass legislation, the President has veto power and can dissolve Parliament indefinitely.Parliament may remove the President, however, by a three-fourths vote "for violating the constitution or grave misconduct" as well as for physical or mental Incapacity. The amendment also empowers Mujib to set up a single "national party," thus shutting off any political opposition.
http://www.imagesup.net/?di=0140770259211






নিউ ইয়র্ক টাইমস -18-04-1971
১৯৭১ সালের বাংলাদেশের প্রথম সরকার শপথ গ্রহণ



==============

৫| ১১ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৪ দুপুর ২:৩২

াহো বলেছেন:

@গাধা গরু



বই / ভিডিও প্রয়োজন নেই .বাংলাদেশের স্বাধীনতার ঘোষক কে, প্রথম রাষ্ট্রপতি কে এসবই বলা আছে .
বাংলাদেশের স্বাধীনতার ঘোষণাপত্র
মুজিবনগর, বাংলাদেশ ১০ এপ্রিল ১৯৭১
(কার্যকর ১৯৭১ সনের ২৬শে মার্চ থেকে ১৯৭২ ডিসেম্বর ১৬ তারিখে যখন দেশের নতুন সংবিধান)

১৯৭১ সালের ১০ এপ্রিল মুজিব নগর থেকে স্বাধীনতার ঘোষনাপত্র জারি করা হয় এবং এর মাধ্যমে গনপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার গঠন করা হয়। শপথ গ্রহণ করেন ১৭ এপ্রিল।
স্বাধীনতার ঘোষনাপত্র ১৯৭১ সনের ২৬শে মার্চ থেকে কার্যকর । যতদিন বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধ চলেছে ততদিন মুজিবনগর সরকার পরিচালনার অন্তর্বর্তীকালীন সংবিধান হিসেবে এই ঘোষণাপত্র কার্যকর ছিল। ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর স্বাধীন বাংলাদেশের জন্ম হওয়ার পরও এই ঘোষণাপত্র সংবিধান হিসেবে কার্যকর ছিল। ১৯৭২ সালের ডিসেম্বর ১৬ তারিখে যখন দেশের নতুন সংবিধান প্রণীত হয় তখন সংবিধান হিসেবে এর কার্যকারিতার সমাপ্তি ঘটে।

সেদিন মুজিবনগরে শেখ মুজিবুর রহমানকে রাষ্ট্রপতি, সৈয়দ নজরুল ইসলামকে উপ-রাষ্ট্রপতি এবং তাজউদ্দীন আহমদকে প্রধানমন্ত্রী করে গঠিত হয় বাংলাদেশের প্রথম সরকার। তবে পাকিস্তানের কারাগারে বন্দি বঙ্গবন্ধুর অনুপস্থিতিতে উপ-রাষ্ট্রপতি সৈয়দ নজরুল ইসলামকে করা হয় অস্থায়ী রাষ্ট্রপতি।

এপ্রিল ১৭ তারিখে গণপরিষদের সদস্য এম ইউসুফ আলী আনুষ্ঠানিকভাবে স্বাধীনতার ঘোষণাপত্র পাঠ করেন.


========================

২৬শে মার্চের প্রথম প্রহরে বঙ্গবন্ধুর স্বাধীনতার ঘোষনার বিষয়ে ১৯৭১ সালের অনেক আন্তর্জাতিক নিউজ-মিডিয়া, আমেরিকান বিভিন্ন ডিপার্টমেন্টের নানা রিপোর্ট রয়েছে। যা রিপোর্ট করা হয়েছিল সেটা অবিকৃতভাবে দেয়া হলো
এখানে ।

লিস্টের কয়েকটি নাম উল্লেখ করা হল রিপোর্টিং ডেইটসহ:

১. আমেরিকান ডিফেন্স ইনটেলিজেন্স এজেন্সী (২৬শে মার্চ, ১৯৭১)

২. আমেরিকান ডিপার্টমেন্ট অব স্টেইট টেলিগ্রাম (৩১শে মার্চ, ১৯৭১)

৩. আমেরিকান সিনেট রিপোর্ট (জুলাই ২৭, ১৯৭১)

৪. নিউ ইয়র্ক টাইমস ,The Times UK(২৭শে মার্চ, ১৯৭১)

৫. ওয়াল স্ট্রীট জার্নাল (২৯শে মার্চ, ১৯৭১)

৬. টাইম, নিউজউইক (৫ই এপ্রিল, ১৯৭১)

৭. বাল্টিমোর সান (৪ই এপ্রিল, ১৯৭১)

৮. আমেরিকান ডিপার্টমেন্ট অব স্টেইট- রিসার্চ স্টাডি (ফেব্রুয়ারী ২,১৯৭২)
9-Times of India 27 March 1971


===========================

শেখ মুজিবুর রহমান ১৯৭১ সালের ২৬শে মার্চ ঢাকায় যথাযথভাবে স্বাধীনতা ঘোষণা করেন,


যেহেতু উল্লিখিত বিশ্বাসঘাতকতামূলক কাজের জন্য উদ্ভূত পরিস্থিতির পরিপ্রেক্ষিতে বাংলাদেশের সাড়ে সাত কোটি মানুষের অবিসংবাদিত নেতা শেখ মুজিবুর রহমান জনগণের আত্মনিয়ন্ত্রণাধিকার অর্জনের আইনানুগ অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য ১৯৭১ সালের ২৬শে মার্চ ঢাকায় যথাযথভাবে স্বাধীনতা ঘোষণা করেন, এবং বাংলাদেশের অখণ্ডতা ও মর্যাদা রক্ষার জন্য বাংলাদেশের জনগণের প্রতি উদাত্ত আহ্বান জানান; এবং
বাংলাদেশের স্বাধীনতার ঘোষণাপত্র
মুজিবনগর, বাংলাদেশ
তারিখ: ১০ এপ্রিল ১৯৭১




=======================



তাজউদ্দীনের ভাষণ ও তার মেয়ের লেখায় গড়মিল

২৫শে মার্চ মাঝরাতে ইয়াহিয়া খান তার রক্তলোলুপ সাঁজোয়া বাহিনীকে বাংলাদেশের নিরস্থ মানুষের ওপর লেলিয়ে দিয়ে যে নরহত্যাযজ্ঞের শুরু করেন তা প্রতিরোধ করবার আহ্বান জানিয়ে আমাদের প্রিয় নেতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বাংলাদেশের স্বাধীনতা ঘোষণা করেন।
প্রথম প্রধানমন্ত্রী তাজউদ্দীনের যুদ্ধকালীন প্রথম ভাষণ
জিয়া সহ পাঁচ সেনা কর্মকর্তার নাম উল্লেখ তাদের যুদ্ধের জন্য
তাজউদ্দীনের ভাষণ link---http://www.samakal.net/2013/07/23/7512
Click This Link
তাজউদ্দীনের ভাষণ ও তার মেয়ের লেখায় গড়মিল




=========================
স্বাধীনতার ঘোষণাপত্র
(কার্যকর ১৯৭১ সনের ২৬শে মার্চ থেকে ১৯৭২ ডিসেম্বর ১৬ তারিখে যখন দেশের নতুন সংবিধান)


(১০ এপ্রিল, ১৯৭১)

যেহেতু ১৯৭০ সালের ০৭ ডিসেম্বর ১৯৭১ সালের ১৭ জানুয়ারি পর্যন্ত একটি শাসনতন্ত্র রচনার অভিপ্রায়ে প্রতিনিধি নির্বাচনের জন্য বাংলাদেশে অবাধ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছিল

এবং

যেহেতু এই নির্বাচনে বাংলাদেশের জনগণ তাদের ১৬৯ জন প্রতিনিধির মধ্যে ১৬৭ জনই আওয়ামী লীগ থেকে নির্বাচিত করেছিলেন

এবং

যেহেতু জেনারেল ইয়াহিয়া খান একটি শাসনতন্ত্র রচনার জন্য ১৯৭১ সালের ০৩ মার্চ জনগণের নির্বাচিত প্রতিনিধিদের অধিবেশন আহ্বান করেন

এবং

যেহেতু আহূত এ পরিষদ স্বেচ্ছাচার ও বেআইনিভাবে অনির্দিষ্টকালের জন্য স্থগিত ঘোষণা করা হয়

এবং

যেহেতু পাকিস্তানের শাসকগোষ্ঠী তাদের প্রতিশ্রুতি পালনের পরিবর্তে বাংলাদেশের গণপ্রতিনিধিদের সঙ্গে আলাপ-আলোচনা চলাকালে একটি অন্যায় ও বিশ্বাসঘাতকতামূলক যুদ্ধ ঘোষণা করে

এবং

যেহেতু উল্লেখিত বিশ্বাসঘাতকতামূলক কাজের জন্যে উদ্ভূত পরিস্থিতির পরিপ্রেক্ষিতে বাংলাদেশের সাড়ে সাত কোটি মানুষের অবিসংবাদিত নেতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান জনগণের আত্মনিয়ন্ত্রণাধিকার অর্জনের আইনানুগ অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্যে ১৯৭১ সালের ২৬ মার্চ ঢাকায় যথাযথভাবে স্বাধীনতা ঘোষণা করেন এবং বাংলাদেশের অখণ্ডতা ও মর্যাদা রক্ষার জন্যে বাংলাদেশের জনগণের প্রতি উদাত্ত আহ্বান জানান

এবং

যেহেতু পাকিস্তানি শাসকগোষ্ঠী একটি বর্বর ও নৃশংস যুদ্ধ পরিচালনাকালে বাংলাদেশের অসামরিক ও নিরস্ত্র জনসাধারণের বিরুদ্ধে অগুনতি গণহত্যা ও নজিরবিহীন নির্যাতন চালিয়েছে এবং এখনো চালাচ্ছে

এবং

যেহেতু পাকিস্তানি শাসকগোষ্ঠী অন্যায় যুদ্ধ, গণহত্যা ও নানাবিধ নৃশংস অত্যাচার চালিয়ে বাংলাদেশের জনগণের নির্বাচিত প্রতিনিধিদের একত্র হয়ে একটি শাসনতন্ত্র প্রণয়ন করতে ও নিজেদের সরকার গঠন করতে সুযোগ করে দিয়েছে

এবং

যেহেতু বাংলাদেশের জনগণ তাদের বীরত্ব, সাহসিকতা ও বিপ্লবী কার্যক্রমের দ্বারা বাংলাদেশের ভূ-খণ্ডের উপর তাদের কর্তৃত্ব প্রতিষ্ঠা করতে সক্ষম হয়েছে

সেহেতু

সার্বভৌম ক্ষমতার অধিকারী বাংলাদেশের জনগণ নির্বাচিত প্রতিনিধিদের পক্ষে যে রায় দিয়েছে, সে মোতাবেক আমরা, নির্বাচিত প্রতিনিধিরা আমাদের সমবায়ে গণপরিষদ গঠন করে পারস্পরিক আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে বাংলাদেশের জনগণের জন্যে সাম্য, মানবিক মর্যাদা ও সামাজিক ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা করা আমাদের পবিত্র কর্তব্য বিবেচনা করে আমরা বাংলাদেশকে সার্বভৌম গণপ্রজাতান্ত্রিক রাষ্ট্রে রূপান্তরিত করার সিদ্ধান্ত ঘোষণা করছি এবং এতদ্বারা পূর্বাহ্নে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বাধীনতা ঘোষণা অনুমোদন করছি

এবং

এতদ্বারা আমরা আরও সিদ্ধান্ত ঘোষণা করছি যে, শাসনতন্ত্র প্রণীত না হওয়া পর্যন্ত বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান প্রজাতন্ত্রের রাষ্ট্রপ্রধান ও সৈয়দ নজরুল ইসলাম উপ-রাষ্ট্রপ্রধান পদে অধিষ্ঠিত থাকবেন

এবং

রাষ্ট্রপ্রধান প্রজাতন্ত্রের সশস্ত্র বাহিনীসমূহের সর্বাধিনায়ক হবেন,

রাষ্ট্রপ্রধানই ক্ষমা প্রদর্শনসহ সর্বপ্রকার প্রশাসনিক ও আইন প্রণয়নের ক্ষমতার অধিকারী হবেন,

তিনি একজন প্রধানমন্ত্রী ও প্রয়োজনবোধে মন্ত্রিসভার অন্যান্য সদস্য নিয়োগ করতে পারবেন,

রাষ্ট্রপ্রধানের কর ধার্য ও অর্থব্যয়ের এবং গণপরিষদের অধিবেশন আহ্বান ও মুলতবির ক্ষমতা থাকবে এবং বাংলাদেশের জনগণের জন্যে আইনানুগ ও নিয়মতান্ত্রিক সরকার প্রতিষ্ঠার জন্য অন্যান্য সকল ক্ষমতারও তিনি অধিকারী হবেন।

বাংলাদেশের জনগণের দ্বারা নির্বাচিত প্রতিনিধি হিসেবে আমরা আরও সিদ্ধান্ত ঘোষণা করছি, যে কোনো কারণে যদি রাষ্ট্রপ্রধান না থাকেন অথবা কাজে যোগদান করতে না পারেন অথবা তাঁর দায়িত্ব ও কর্তব্য পালনে যদি অক্ষম হন, তবে রাষ্ট্রপ্রধানকে প্রদত্ত সকল ক্ষমতা ও দায়িত্ব উপ-রাষ্ট্রপ্রধান পালন করবেন।

আমরা আরও ঘোষণা করছি যে, বিশ্বের একটি জাতি হিসেবে এবং জাতিসংঘের সনদ মোতাবেক আমাদের উপর যে দায়িত্ব ও কর্তব্য আরোপিত হয়েছে তা আমরা যথাযথভাবে পালন করব।

আমরা আরও সিদ্ধান্ত গ্রহণ করছি যে, আমাদের স্বাধীনতার এ ঘোষণা ১৯৭১ সালের ২৬ মার্চ থেকে কার্যকরী বলে গণ্য হবে।

আমরা আরও সিদ্ধান্ত ঘোষণা করছি যে, আমাদের এই সিদ্ধান্ত কার্যকরী করার জন্যে আমরা অধ্যাপক ইউসুফ আলীকে ক্ষমতা দিলাম এবং রাষ্ট্রপ্রধান ও উপ-রাষ্ট্রপ্রধানের শপথগ্রহণ অনুষ্ঠান পরিচালনার দায়িত্ব অর্পণ করলাম।

==================================


নিউ ইয়র্ক টাইমস
(২৭শে মার্চ, ১৯৭১)
Click this link for online archive of
নিউ ইয়র্ক টাইমস

Click This Link



LEADER OF REBELS IN EAST PAKISTAN REPORTED SEIZED; Sheik Mijib Arrested After a Broadcast Proclaiming Region's Independence DACCA CURFEW EASED Troops Said to Be Gaining in Fighting in Cities -Heavy Losses Seen

The Pakistan radio announced today that Sheik Mujibur Rahman, the nationalist leader of East Pakistan, had been arrested only hours after he had proclaimed his region independent and after open rebellion was reported in several cities in the East.
New York Times - Mar 27, 197


---------------------====================================================================================================================

1971/1972 সংবাদপত্রে
বিএনপি নেতার নাম খুঁজে পাচ্ছি না.
নিউ ইয়র্ক টাইমস
নিউজউইক
টাইম ম্যাগাজিন ইউএসএ
টাইমস সংবাদপত্র ইউকে

===================

বিশ্ব বিখ্যাত টাইম ম্যাগাজিন ইউএসএ

1) পাকিস্তান এখন শেষ --শেখ মুজিব---15 মার্চ 1971

2)শেখ মুজিবুর রহমান স্বাধীনতা ঘোষণা করেছেন --Apr. 05, 1971
--The World: Pakistan: Toppling Over the Brink

3)গত মার্চে পাকিস্তান সেনাবাহিনী ধ্বংসযজ্ঞ চালানোর পর বিশ্বব্যাংকের পরিদর্শকদের একটি বিশেষ টিম কিছু শহর প্রদক্ষিণ করে বলেছিলেন, ওগুলোকে দেখতে ভুতুড়ে নগরী মনে হয়। এরপর থেকে যুদ্ধ শেষ হওয়া পর্যন্ত এহেন ধ্বংসলীলার ক্ষান্তি নেই। ৬০ লাখ ঘরবাড়ি মাটির সঙ্গে মিশিয়ে দেওয়া হয়েছে এবং ২৪ লাখ কৃষক পরিবারের কাছে জমি চাষের মতো গরু বা উপকরণও নেই। পরিবহনব্যবস্থা পুরোপুরি ভেঙে পড়েছে। রাস্তাঘাট ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, পুল-কালভার্টের চিহ্নও নেই এবং অভ্যন্তরীণ নৌ-যোগাযোগেও অনেক বাধাবিঘ্ন। ---শেখ মুজিবুর রহমান : বন্দি থেকে বাদশা / টাইম সাময়িকী ১৭ জানুয়ারি ১৯৭২

4)Bangladesh have suffered three consecutive years of natural or man-made disasters—a calamitous cyclone in 1970, the civil war in 1971, and a crop-crippling drought this year. Jan. 01, 1973

5)শেখ মুজিবের সময়কালে ৬০০০ হাজারের ও বেশী মানুষ সহিংসতা নিহত (মুজিব।। স্থপতির মৃত্যু Time Magazine USA আগষ্ট ২৫,১৯৭৫).

6)বাংলাদেশ. "বাস্কেট কেস", নয়, Jan. 01, 1973






লন্ডনের টাইমস পত্রিকায় ২৭শে মার্চ, ১৯৭১
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বাধীনতার ঘোষনার খবর




নিউ ইয়র্ক টাইমস
(২৭শে মার্চ, ১৯৭১)
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বাধীনতার ঘোষনার খবর





-Times of India 27 March 1971
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বাধীনতার ঘোষনার খবর






এটা 75 এর 07 November পত্রিকা.Where it said Zia announce 27 March 1971


এটা 75 এর 07 November পত্রিকা.Where it said Zia announce 27 March 1971



একে খন্দকার স্বীকার করছেন তিনি সঠিক তথ্য ব্যবহার করেননি।

দ্বিতীয় সংস্করণে নিজেই স্বীকার করছেন যে, প্রথম সংস্করণে তিনি সঠিক তথ্য ব্যবহার করেননি।
৩২ পৃষ্ঠার দ্বিতীয় স্তবকে আমি লিখেছিলাম– এই ভাষণের শেষ শব্দ ছিল ‘জয় পাকিস্তান’। আসলে তা হবে ‘এই ভাষণের শেষ শব্দ ছিল ‘জয় বাংলা, জয় পাকিস্তান’।’’

যিনি জাতিকে ইতিহাসের বয়ান দেবেন তিনি ইতিহাসের ওই সময়টাতে ‘এমএলএ’ ছিল, নাকি এমপিএ ছিল সেটা জানবেন না, তা কী করে হয়? যদি না-ই জানেন, তাহলে তো স্পষ্টত বোঝা যায় তিনি রাজনীতির খবরাদি রাখতেন না, সেই সময়ের সরকারের অনুগত হিসেবে বিমানবাহিনীর চাকরিটিই ঠিকমতো করে গেছেন। তো, যিনি ইতিহাসের মাহেন্দ্রক্ষণের রাজনীতির গতিধারা সম্পর্কে খোঁজখবর রাখতেন না, তিনি জাতিকে ইতিহাসের বয়ান দিতে আসেন কীভাবে? Click This Link




আব্দুল করিম খন্দকার
২৫ মার্চ ১৯৭১, রাতে পাকিস্তানি বাহিনীর পক্ষে তাদের ঢাকা বেইসের সেকেন্ড ইন কমান্ড ছিলেন।
১২ মে ১৯৭১ সালে তিনি পাকিস্তানের পক্ষ ত্যাগ করে বাংলাদেশের স্বাধীনতা যু্দ্ধে যোগ দেন। মুজিবনগর সরকার গঠিত হয় ১০ এপ্রিল ১৯৭১।

মুজিবনগর সরকার যে সরকারের প্রধান ছিলেন শেখ মুজিব, তাদের কাছ থেকেই মাসে মাসে মাইনে নিয়েছে জনাব আব্দুল করিম খন্দকার। কেন, কী কারণে আব্দুল করিমের ৪৭ দিন সময় লেগেছিলো পাকিস্তানের পক্ষ ত্যাগ করতে সে কারণটি অজানাই রয়ে গিয়েছে। পাকিস্তানের পক্ষে ছোট একটি পদে থেকে মার্চ-এপ্রিল, ১৯৭১ সালে বাংলাদেশে কী ঘটেছে তা অনুমান করা নিঃসন্দেহে দূরহ কাজ এবং সেখানে সেই পাকিস্তানি দৃষ্টিভঙ্গি ধারণ করে অবশ্যই বঙ্গবন্ধুকে মূল্যায়ন করা অসম্ভব।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.