নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

স্পেস-টাইম

there is no problem in the heavens and earth ;) problem lies in three places... beneath, between and within the hells.

গোলাম দস্তগীর লিসানি

বুলি বলে শুনতে পাই, রূপ কেমন তা দেখি নাই, ভীষম ঘোর দেখি।। পোষা পাখি চিনলাম না, এ লজ্জা তো যাবে না, উপায় কী করি, আমি উপায় কী করি।।

গোলাম দস্তগীর লিসানি › বিস্তারিত পোস্টঃ

রাজারবাগীরা মনেপ্রাণে বিশ্বাস ও প্রচার করেন, তাদের পীর দিল্লুর হলেন খলিফা আস সাফফাহ্ বা অত্যাধিক রক্তপাতকারী। এবং তিনি এমন রক্তপাত করবেন, যেমনটা ইতিহাসে খুব কম মানুষই করেছে! (Hostility)

২৩ শে নভেম্বর, ২০১৪ রাত ৩:৩১

বেশ কয়েক বছর আগের কথা। মতিঝিলের বলাকা চত্ত্বরে কিছু লোক হামলে পড়ে। তারা বলাকার পা খুবলে তুলে ফেলে। একজন অবসরপ্রাপ্ত মেজরের নেতৃত্বে এই লোকগুলো এসেছিল রাজারবাগ দরবার থেকে। সাথে সাথে তীব্রভাবে রাজারবাগ থেকে তা ডিনাই করা হয়। বলা হয়, হ্যা, সেই অবসরপ্রাপ্ত মেজর ঠিকই দরবারের এবং বাকীরাও দরবারের, কিন্তু এই কাজের নির্দেশ দরবার দেয়নি। আসলে কী ঘটেছিল বলাকার পা খুবলানোর মাধ্যমে? রাজারবাগের পীরসাহেব দিল্লুর রহমান মূর্তি ভাঙার সুন্নাহ আদায় করেছিলেন। তিনি নিজের মত করে সব সুন্নাহ আদায় করেন। যেমন, সুন্নতি মসজিদ প্রতিষ্ঠা করেন খেজুর পাতার ছাউনি ও খেজুর কান্ডের বিম দিয়ে। এবং বলেন, তাঁদের মত খাস সুন্নতি মসজিদ পৃথিবীতে আর একটিও নেই। তিনি যদি বলে থাকেন তিনি আস সাফফাহ, তো আস সাফফাহ গিরি তিনি করবেনই। অন্তত সর্বান্তকরণে চেষ্টা করবেনই।

লেখাটি চার বছরের নিরন্তর অনুসন্ধানের ফল। বহুবার এই লেখা লিখতে গিয়ে বিরত থাকা হয়েছে। বহুবার ড্রাফটে সাজানো হয়েছে।

রাজারবাগের পীর দিল্লুর এবং তার অতি নিকটের মানুষজনের মানসিক সমস্যা আছে। না, ঠাট্টা করে বলছি না। এটা প্রকৃত মূল্যায়ন। এ মানসিকতা স্কিতজোফ্রেনিয়া ও প্যারানয়া ধরনের রোগীদের মধ্যেই শুধু দেখা যায়। দ্রুত আমরা সেই বিশ্লেষণে যাচ্ছি।

তাদের ভাষার ব্যবহার জগতে বিখ্যাত। পত্রিকা, ব্লগ বা অন্যান্য লেখালেখিতে এই ভাষার ব্যবহার ইতোমধ্যে গণ-অস্বস্তিতে পরিণত হয়েছে। 'রাজারবাগ দরবার শরীফ উনার', 'আল ইহসান শরীফ (পত্রিকা) উনার', এগুলো তো কিছুই না, এদের যে কোন একটা লম্বা লেখা পড়লে যে কোন মানুষ সহজেই বুঝতে পারে যে, এদের ভাষার গাঠনিকতা পর্যন্ত ভয়ানকভাবে পরিবর্তিত হয়ে গেছে যেটাকে মনোরোগ বিশেষজ্ঞরা স্কিতজোফ্রেনিয়ার এক বিশেষ পর্যায় হিসাবে অভিহিত করেন- Strange use of words or way of speaking, Speech difficulties and abnormalities। (বাংলাদেশে অপর উদাহরণ- হেজবুত তওহীদ, এমাম বায়েজিদ খান পন্নী)

বিশেষ করে তাদের হিংস্রতা, সাম্প্রদায়িক এবং জাতিগত বিদ্বেষ, সবার প্রতি বিকৃত নামে ডাকার মানসিকতা, সর্বক্ষণ হিংসাত্মক কথাবার্তা, এগুলো Odd statements, irrational statements, Extreme reaction to criticism, sense of rage, hatred, Depression এমন বহু স্কিতজোফ্রেনিয়া ও প্যারানয়ার স্পষ্ট প্রমাণ। যে কোন রাজারবাগী অ্যাক্টিভিস্টের দশটা পোস্ট অথবা রাজারবাগের যে কোন পত্রিকার যে কোন সংখ্যার পাঁচটা পাতার সমস্ত হেডলাইনই বোঝার জন্য যথেষ্ট। তাদের অমুসলিম-বিদ্বেষ দেখার মত। সূফিবাদী মুসলিমদের মধ্যে যা কখনোই দেখা যায় না।

ধর্ম নিয়ে কঠোরতার বাড়াবাড়িও মাত্রা ছাড়িয়ে গেছে। যেমন- যারা বিশ্বাস করে ছবি তোলা জায়েজ তারা কাট্টা কাফের এবং চিরকাল জাহান্নামী; রাজারবাগের পীরের শিশু সন্তানের জন্মদিন পালন করা নবী দ.'র জন্মদিন পালনের মতই সমস্ত জিন ও ইনসানের উপর ফরজ; শুধু ফাড়া সাদা লুঙ্গিই খাস সুন্নাহ; শুধু চারকল্লি টুপিই খাস সুন্নাহ; সাত বছরের কন্যাও সামনে আসা পর্দার খেলাফ; শিশু বয়সে বিয়ে দেয়া অত্যন্ত জরুরি; তাদের পীরের মুরিদ ছাড়া জগতের সকল মানুষ বাতিল এবং সবাইকে এসে অবশ্যই তাদের পীরের বশ্যতা স্বীকার করতে হবে- এই চরম লক্ষণগুলো rigid and maladaptive behavior, argumentative, abrupt, stubborn, self-righteous, and perfectionistic এ পড়ে।

'কেউ আমার ক্ষতি করতে চায়, পুরা পৃথিবী আমার ক্ষতি করতে চায়, যে কোনভাবে হোক ক্ষতি করবেই। শুধু আমি ঠিক। আমি পুরা পৃথিবী বদলাতে এসেছি, আমি ছাড়া পুরা পৃথিবীর কোন উপায় নেই।' এই মনোভাব ভয়ানক মানসিক রোগ। এই রোগ যাদের হয় তাদের জ্ঞান অত্যন্ত বেশি থাকে, ভাবনাও খুব গভীর থাকে, তাদের প্রতিটা কাজের পিছনে কঠিন যুক্তি থাকে, পরিকল্পনাও মাত্রাতিরিক্ত গোছানো হয়, তাদের মতবাদ অত্যন্ত কঠোর হয়, ধর্মর দিক দিয়ে তারা অত্যন্ত কঠোর অনুসারী হয় এবং এইসবে থাকতে থাকতে তাদের আরেকটা লক্ষণ প্রকাশ পায়, সত্য থেকে ধীরে ধীরে সরে যায় এবং তা যদিও সবার চোখে স্পষ্ট হয়, তার নিজের চোখে স্পষ্ট হয় না। (দ্র. মিরপুরের ডা. রীতা ও মিতা) এবং তারা প্রচন্ড হিংস্র হয়। খুন করতে দ্বিধান্বিত হয় না।

দিল্লু নিজে আলাইহিস সালাম, তার জন্মদাতা পিতা, মাতা, তার স্ত্রী, তার পুত্র, তার কন্যাদ্বয়, তার কন্যাদের জামাতাদ্বয় এবং তার পীর ও দাদা পীর সকলে আলাইহিস সালাম। উল্লেখ্য, ইসলামে আলাইহিস সালাম শুধু নবী ও রাসূল দ. গণকে বলা হয়। কোন সাহাবা রা. কেও আলাইহিস সালাম বলা হয় না। শিয়া মতবাদে বারোজন ইমামকে আলাইহিস সালাম বলা হলেও তারা ইতোমধ্যে চলে গেছেন। গোলাম আহমদ কাদিয়ানীকেও তার অনুসারীরা আলাইহিস সালাম ও ইমাম মাহদি দাবি করে থাকে। উপরন্তু কাদিয়ানের অনুসারীরা তাকে নবীও দাবি করে থাকেন।

তার সুস্পষ্ট টাইটেলের সংখ্যা ৯০ টিরও উপরে এবং তার বাচ্চা ছেলেটার বেলায়ও একই কঠিন কঠিন এবং দুষ্প্রাপ্য টাইটেল ব্যবহার করা হয়। এবং এই পীরসাহেবের নাম নিলেই সাথে সাথে দরুদ পড়তে হবে, এমনটা দাবি করা হয়। তার পরিবারকে রাসূল দ.'র আদলে আহলে বাইত বলা হয়।

কষ্টকর ব্যাপার হল, এই রোগ যাদের হয়, তাদের মনোভাব নিকটজনের মধ্যে সংক্রমিত হয় এবং তারাও কালক্রমে মনোরোগী হয়ে পড়ে।

এই লক্ষণের উপর আরো কিছু উদাহরণ (রোগলক্ষণগুলো কিওয়ার্ড আকারে সর্বত্র দেয়া হল, যেন সহজেই তা গুগল করার সাথে সাথে মিলিয়ে দেখা যায়।) -

১. দিল্লুর বাসা থেকে (রাজারবাগ দরবার কমপ্লেক্স) কখনো কোন অবস্থাতে বেরোয় না। এটা এই রোগীদের প্রধান লক্ষণ। (Social withdrawal) সে অত্যন্ত কম ঘুমায় (দুই তিন ঘন্টার বেশি না) এবং সর্বক্ষণ প্রস্তুতি নিতে থাকে। (insomnia, fear of being deceived or taken advantage of, inability to relax)
২. দিল্লুরের ছেলেকে কেউ কখনো দেখে না। কোন অবস্থাতেই না। অথচ এই ছেলে ওই রাজারবাগ দরবার কমপ্লেক্সেই থাকে। ওই কমপ্লেক্সের মুরিদরাও দেখে না, খাস খাদেমরাও দেখে না। সবাই জামাতে নামাজ পড়ে সেখানে। কিন্তু কোন ওয়াক্তে এমনকি জুমার সময়ও দিল্লুর থাকা অবস্থায় তার ছেলে আর দুই জামাই নামাজে মসজিদে আসে না। (Social withdrawal,)
৩. দিল্লুরের ছেলের বয়স হবে বড়জোর আঠারো। এই ছেলে বছরে মাত্র তিনদিন বেরোয়। কালো রঙের আলখেল্লা পরে হাতে তলোয়ার নিয়ে নেমে আসে। তার সামনে গরু ছাগল শোয়ানো থাকে। সে এসে একে একে জবাই দেয়। কুরবানীর ঈদে। তখন মুরিদরা সালাম করে। নিচে থাকে না। জবাই দিয়েই উঠে যায়। আবার পশু শোয়ানো হলে জবাই দেয়ার জন্য একইভাবে নেমে আসে। বছরে মাত্র তিনবার দেখা পাওয়া এই রূপ কী ধরনের ভয়ানক উন্মাদের কাজ হতে পারে? (Hostility, suspiciousness, Social withdrawal)
৪. সবাই জানেন, দিল্লুর এবং তার নিকটজনরা কিছুতেই নিজেদের ছবি তুলতে দেয় না। শরঈ বিষয় বাদ রাখলাম। এটা ওই পাগলামির লক্ষণ।
৫. দিল্লুর অ্যান্ড কোং কিছুতেই বাইরের খাবার খায় না। তারা খাবার খায় শুধু তাদের উৎপাদিত এবং পরীক্ষিতটা। অথচ রাসূল দ. ইহুদির নজরানা খাদ্যও খেতেন। এটা এই পাগলামির চরম লক্ষণ।
৬. এরা চিকিৎসা, শিক্ষা, পোশাক, বাসস্থান- বাকী এই চার মৌলিক চাহিদাও সম্পূর্ণরূপে নিজেদের কমপ্লেক্সের ভিতরে মিটায়। প্রায় অসম্ভব একটা কথা। অথচ এই অসম্ভবকেও সম্ভব করেছে। এটা শুধু প্যারানয়া আর স্কিতজোফ্রেনিয়ার রোগীদের পক্ষে সম্ভব। ( intense and irrational mistrust or suspicion, Deterioration of personal hygiene)
৭. দিল্লুরের পরিবারের কেউ যদি কখনো কোন কারণে নামে, তবে কালো গ্লাসের বড় গাড়িতে নামে। এবং নামার সময় এদের কাউকে কোন মুরিদও দেখতে পায় না। না পুরুষদের, না নারীদের।
৮. দিল্লুর দরবারে যে-কেউ গেলে তাকে খুবই ব্যাপকভাবে আধুনিক জিজ্ঞাসাবাদের পদ্ধতিতে জিজ্ঞাসা করা হয়। এই জিজ্ঞাসাবাদের পদ্ধতি সম্পূর্ণ গোয়েন্দা বাহিনীর আন্তর্জাতিক পদ্ধতি। (mistrust, taking offense easily, difficulty with forgiveness, defensive attitude in response to imagined criticism,)
৯. সে নিজেকে ছাড়া পৃথিবীর সমস্ত দরবারকে তার অধীন মনে করে। এমনকি বড়পীর সাহেব গাউসুল আজম জিলানী বাগদাদী রা. সহ সকলকে তার নিচে মনে করে। সে মূলত আল্লাহ এবং তাঁর রাসূল দ. কে নিজের মত করে মানে এবং বাকী কোন ওয়ালীকে ছাড়েনি। এমনকি সিদ্দিকে আকবর রা. ও ফারুকে আযম রা. কেও লকব ও সম্মানের দিক দিয়ে ছাড়েনি। সে নিজে বারো ইমামের এক ইমাম, তার ধারায় পূর্বপুরুষ সৌদ আহমদ হলেন হল আরেক ইমাম, তার ছেলে হল আরেক ইমাম, তার নাতি হবে শেষ ইমাম ইমাম মাহদী। এরা সবাই আলাইহিস সালাম। তার অভিশাপেই জগতে যত দুর্ঘটনা সব ঘটছে। প্রত্যেকদিন এ নিয়ে ফলাও হচ্ছে। তার সাথে রাসূলপাক দ.'র অহরহ সব সময় যোগাযোগ। তার মুরিদদের সাথেও। এমনকি এরা জিব্রাঈল আ. সহ আরো অনেক নবী-রাসূল-ফেরেশতা-জ্বিনের সাথে অলটাইম ওঠাবসা করে। কিন্তু তারা ছাড়া কেউ এই ধরনের বিষয় দেখতে ও পেতে পারে না। যদি কেউ দাবি করে তবে সে মিথ্যা দাবী করেছে। এটা এই রোগীদের নিজেকে সর্বশ্রেষ্ঠ মনে করা এবং হ্যালুসিলেশনের সাথে সম্পূর্ণ মেলে। (Hallucinations)
১০. তার খিলাফাতের রাজধানী হবে বাংলাদেশ। সে মক্কায় যাবে। সাথে সাথে তিনশো ষাট মূর্তির মত তিনশো ষাট ক্যামেরা খটাখট বন্ধ হয়ে যাবে। তার তিন হাজার মুরিদের মধ্যে সুলতানুল আযকার প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। মোট দশ হাজারের মধ্যে প্রতিষ্ঠিত হওয়ার সাথে সাথে অটো খিলাফাত কায়েম হবে।তার শাসনামলে অমুসলিম এবং বাতিল ফের্কারা মুসলিম ও বিনাশ হয়ে যাবে এবং যারা থাকবে তাদের এতই বদহাল হবে যে, নর্দমায় ডাস্টবিনে কুকুর বিড়ালের সাথে খাওয়াদাওয়া করবে। যারা রাসূল দ. কে নূরুল্লাহ (আল্লাহর পক্ষ থেকে আসা নূর) মানে তারা মুশরিক এবং মুশরিকদের কবর না দিয়ে কুকুর বিড়ালের খাবার করার জন্য ফেলে রাখা হবে। অর্থাৎ সকল প্রকার সূফিতাত্ত্বিক ও অনুসারীদের। সমঝদারের জন্য ইশারা: তার রাজত্ব কায়েম হওয়ার আগেই তার 'কারামতে' ওলামায়ে ছু (!) রা সব শেষ হতে থাকবে। (preoccupation with hidden motives,)

আসলে ধ্যানী/ধার্মিক/গুরু/ কাল্ট মতবাদী এমন বহু মনোরোগী পৃথিবীতে আগেও এসেছে ভবিষ্যতেও আসবে। এদেরকে টিকতে দিলে অতীতেও বহু দুর্ঘটনা হয়েছে ভবিষ্যতেও হবে। এরা কল্যাণের (?) জন্য অন্যকে মারে, কল্যাণের জন্য নিজে মরে, কল্যাণের জন্য আত্মহত্যা করে, গণহত্যা করে, অথচ এদের জ্ঞানের-বুদ্ধির-মেধার-প্রজ্ঞার-পরিকল্পনার অভাব নেই। আল কায়েদা, বোকো হারাম, মওদুদী, আইএস, কার্ল মার্কস ও মাও-লেনিন তেমনি কয়েকজন। এদেরকে কখনো কোনভাবেই বুঝিয়ে সহাবস্থান করা যায়নি, যায় না। সব সময় এদের সাথে সাংঘর্ষিক পরিস্থিতির তৈরি হয়। আমেরিকার ওয়াকোর এমনি সাধন-সংঘ নেতা ডেভিড কোরেশ ৭৬ জন অনুসারীকে নিয়ে পুড়ে মারা যায়।

খুবই গোঁড়া মনোভাবের একমুখী সংঘ (যাকে কাল্ট বা ক্লোজড দরবার বলা যায়) প্রায়শই পুরো সংঘ নিয়ে ভয়ানক অস্বাভাবিক পরিস্থিতি সৃষ্টি করে এমনকি গণ-মানসিক অসুস্থতা ও বিকৃতি তৈরি করে। কিওয়ার্ড- cults and mental illness/disorders, Mass psychogenic illness.

এমন কেইস ইতিহাসে অণ্তত পঞ্চাশটি আমরা দেখেছি। আশংকার কথা হল, বাংলাদেশ খুবই ঘন বসতির দেশ এবং আবেগী মানুষের দেশ যেখানে ইসলাম বললেই সব রফা। এখানে জনসংখ্যা এবং জনসমর্থন কোনদিনই কোন সমস্যা ছিল না।

ছবি পরিচিতি- টোকিওর মাটির নিচের এই রেল স্টেশনেই ২০ মার্চ ১৯৯৫ রাত সাতটা থেকে আটটা দশ মিনিটে সেরেন গ্যাস মেরে ১২ জনকে নিহত এবং ৬,২৫২ জনকে আহত করে ওম শিনরিকিও নামে একটা গুপ্ত সংগঠন। এর নেতা শোকো আশাহারার মতে, এই রেলস্টেশনে যারাই ছিল, তারা সবাই পাপী, তাই তাদের মরণ অনিবার্য। এরা পাপী কারণ এরা বেখেয়াল। সম্পদের মোহে ছুটছে। তার মতে তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধ চলে এসেছিল, পারমাণবিক বিষ্ফোরণে পুরো পৃথিবী ধ্বংস হতে যাচ্ছে। পৃথিবীর সকলের পাপ সে ধারণ করবে এবং সবাইকে ক্ষমা করে দিবে।

আশাহারা কিন্তু সৎ ছিল। মানুষের কল্যাণ চেয়েছিল। খুবই মহাধ্যানী ছিল, খুবই ধার্মিক ছিল। জীবন কাটিয়েছে সাধনায়। কিন্তু তার মনের গঠনটা বদলে গিয়েছিল যা তার কাল্টের (দরবারের) কেউ ধরতেও পারেনি।

দ্রষ্টব্য. লেখাটি শেয়ার করার চেয়ে কপি করে স্ট্যাটাস দিলে টিকে থাকবে। কেননা, শেয়ার করলে মূল অ্যাকাউন্ট হ্যাক/রিপোর্ট হলে সব লেখাই চলে যাবে। শেয়ারের লেখা পড়াও হয় কম।

এই লেখাতে রাজারবাগ দরবারের পীর সম্পর্কে এমন কোনকিছু বলা হয়নি যা তারা নিজেরা বহুবার প্রকাশ্যে দাবি করেনি। এই লেখাতে কোন প্রকার গালি দেয়া হয়নি, কমেন্টেও কোন প্রকার গালি কোথাও প্রত্যাশিত নয়। তার বিশ্বাস ও ধর্মীয় আচার সম্পর্কে বিন্দুমাত্র বিকৃতি আনা হয়নি- যেমন, তাকে জামাতি বা ওহাবী বলা হয়নি। তার ব্যক্তিগত জীবন নিয়েও কোন কুৎসা রটানো হয়নি।

মন্তব্য ৩৯ টি রেটিং +৬/-০

মন্তব্য (৩৯) মন্তব্য লিখুন

১| ২৩ শে নভেম্বর, ২০১৪ সকাল ৮:১৬

এ কে এম রেজাউল করিম বলেছেন:
আসলে ধ্যানী/ধার্মিক/গুরু/ কাল্ট মতবাদী এমন বহু মনোরোগী পৃথিবীতে আগেও এসেছে ভবিষ্যতেও আসবে। এদেরকে টিকতে দিলে অতীতেও বহু দুর্ঘটনা হয়েছে ভবিষ্যতেও হবে। এরা কল্যাণের (?) জন্য অন্যকে মারে, কল্যাণের জন্য নিজে মরে, কল্যাণের জন্য আত্মহত্যা করে, গণহত্যা করে, অথচ এদের জ্ঞানের-বুদ্ধির-মেধার-প্রজ্ঞার-পরিকল্পনার অভাব নেই।


এদের থেকে নিরাপদ থাকাও থাকা যায় না। এরা সরবনাসা ছোবল যে কোন সুজগেই মারবে ।

কোন কোন পরিবারে প্রবীন ব্যাক্তিও এধরনের স্বভাবের হয়ে থাকে । তাদের জন্য পরিবারের অন্যন্যদের অসাধারন ক্ষতি হয়ে থাকে ।

আমার পরিবারে আমার পিতা এ স্বভাবের একজন । তার জন্য আমার ও ভাইবোনদের অসাধারন ক্ষতি আমাদের হয়েছে যা এ জীবনে পুরন হবেনা । এরা সহযে মরেও না, আমার পিতার বয়স ৯০ বছর এখনও ক্ষতি করে চলেছে ।

০১ লা ডিসেম্বর, ২০১৪ দুপুর ১:২৯

গোলাম দস্তগীর লিসানি বলেছেন: রেজাউল করিম ভাই, কথা সত্যি। নিজের অধীন ছাড়া সবাইকে কোন না কোনভাবে আক্রান্ত এই ধরনের মনোরোগীরা করবেই।

নিকটজনদের মধ্যেও এমন মানুষের সন্ধান সবাই পায় কোন না কোন দিক দিয়ে।

আপনার পরিবার সবদিক দিয়ে তীব্র সুখী ও পরিতৃপ্ত হোক। আপনার পিতার শারীরিক-মানসিক সুখ সমৃদ্ধি কামনা করি।

২| ২৩ শে নভেম্বর, ২০১৪ সকাল ৮:৩০

ডাইরেক্ট টু দ্যা হার্ট বলেছেন: দেওয়ানবাগী তার একটা মুরিদ সভায় বলেছিলেন- "আপনারা কি খোদাকে দেখেছেন,? চিনেন? কিংবা খোদা আপনাদের চিনে? " তখন সবাই বললো - "না"/ তখন দেওয়ানবাগী বললো যেকে চিনেনা তাকে না ডাকলে যাকে চিনেনে টাকে ডাকলেই হবে,মানে হলো দেওানবাগীকে যেন সবাই ডাকে, এবং সে বলেছে কলবের মধ্যে মুর্শিদকে বসান তিনি আপনাদের রক্ষা করবেন। এমন সব কথা নিয়ে দেওয়ানবাগীর অনেক ভিডিও আছে ইউটিউবে, আমার প্রশ্ন হলো যারা নিজেদেরকে ইসলামের হেফাজতকারী হিসেবে পরিচয় দিয়ে দলের নাম রেখেছেন "হেফাজতে ইসলাম" এবং যারা ইসলামী রাষ্ট কায়েম করার আন্দলনে সারা দেশে শিকড় গজিয়ে বসে আছেন সেই জাামাত ইসলামীরা এবং ইসলামি আন্দলনের নামে রাজনীতি করা সেই সব মানুষ গুলো কি এখনো জানেনা কে এই দেওয়ানবাগী বা কি বলছে সে, তার চিন্তা ভাবনা ইসলামের জন্য মঙ্গল নাকি অমঙ্গল।

একটা ব্লগারের কথায় যেখানে হুজুররা শাপলা চত্ত্বরে আগুন লাগিয়ে দিলো সেই তাদের খুব নিকটে দেওয়ানবাগী আরামবাগে আরাম করে বসে যা বলছে তা হেফাজতিরা হজম কেন করছে কি সেই গোপনীয়তা জানতে ইচ্ছে করে।

আমি স্তব্ধ হয়ে যাই দেওয়ানবাগীর কথা গুলো শুনে,কি তার ক্ষমতা,কেন কেউ এই মানুষটাকে নিয়ে কোন কথা বলেনা,এই জামাত শিবির হেফাজত সবাই এই লোকের মুরিদ?

০১ লা ডিসেম্বর, ২০১৪ দুপুর ১:৪১

গোলাম দস্তগীর লিসানি বলেছেন: দেওয়ানবাগী তার একটা মুরিদ সভায় বলেছিলেন- "আপনারা কি খোদাকে দেখেছেন,? চিনেন? কিংবা খোদা আপনাদের চিনে? " তখন সবাই বললো - "না"/ তখন দেওয়ানবাগী বললো যেকে চিনেনা তাকে না ডাকলে যাকে চিনেনে টাকে ডাকলেই হবে,মানে হলো দেওানবাগীকে যেন সবাই ডাকে, এবং সে বলেছে কলবের মধ্যে মুর্শিদকে বসান তিনি আপনাদের রক্ষা করবেন। এমন সব কথা নিয়ে দেওয়ানবাগীর অনেক ভিডিও আছে ইউটিউবে, আমার প্রশ্ন হলো যারা নিজেদেরকে ইসলামের হেফাজতকারী হিসেবে পরিচয় দিয়ে দলের নাম রেখেছেন "হেফাজতে ইসলাম" এবং যারা ইসলামী রাষ্ট কায়েম করার আন্দলনে সারা দেশে শিকড় গজিয়ে বসে আছেন সেই জাামাত ইসলামীরা এবং ইসলামি আন্দলনের নামে রাজনীতি করা সেই সব মানুষ গুলো কি এখনো জানেনা কে এই দেওয়ানবাগী বা কি বলছে সে, তার চিন্তা ভাবনা ইসলামের জন্য মঙ্গল নাকি অমঙ্গল।

এক্সাক্টলি ভাই!
রাজারবাগী, দেওয়ানবাগী, কুতুববাগী এঁরা তিনজনই ভয়ানক ধরনের ব্যবসায়ী। এরা প্রত্যেকেই আজব সব ডিলেমা নিয়ে বসবাস করে। এদের নিজ নিজ দরবার ছাড়া দুনিয়ায় সকল মানুষ ভন্ড। এদের কারণে চিরায়ত সূফি মনোভাবের আজকে এই হাল।

৩| ২৩ শে নভেম্বর, ২০১৪ সকাল ১০:৩৩

হাসান নাঈম বলেছেন: লিসানী ভাই,

খুবই তথ্যবহুল এবং যুক্তিপুর্ণ একটি বিস্তারিত লেখার জন্য ধন্যবাদ।

আমি আপনার আর এক লেখার কমেন্টে বলেছিলম ধর্মের দুটি প্রধান দিক সম্পর্কে - ভক্তিবাদ এবং কর্মবাদ। ভক্তিবাদের মুল কথা : - একজন ব্যাক্তির প্রতি বিশ্বাস রাখাই ইহকাল ও পরকালের মুক্তির জন্য যথেস্ট - এর চরমপন্থী রূপ হচ্ছে এইসব কাল্ট, পীর, মাজার, দরবার - এ'গুলি। এ'জন্যই আমি বলি ভক্তিবাদ ইসলামে নিশিদ্ধ না হলেও এর চর্চা যথাসম্ভব সীমিত রেখে কর্মবাদ বা প্রত্যেক ব্যাক্তি নিজ নিজ কর্মের মাধ্যমেই মুক্তিলাভ করবে এর দিকেই বেশী নজর দেয়া উচিত।

এখানে আপনি রাজারবাগী চেতনার মধ্যে যেসকল সমস্যার চুড়ান্ত রূপ ফুটিয়ে তুলেছেন আমাদের সমাজে অন্য অনেক ধরনের সংগঠন, আদর্শ, চেতনার মধ্যেও কি সেইসব মনোভাবের বহি:প্রকাশ দেখা যায় না? আমরা অনেকেই কি অন্যকোন চেতানর ভিত্তিতে শুধুমাত্র নিজেদেরই শ্রেষ্ঠ বলে প্রচার, নিজেদের সকল অপকর্মকে অস্বীকার এবং প্রতিপক্ষকে আইন আদালত, খুন, গুম যেকোন উপায়ে ধ্বংস করাকে বৈধ বলে বিশ্বাস করার মানসিকায় আক্রান্ত নই?

হয়ত রাজারবাগীদের মধ্যে বিষয়গুলি চরম অবস্থায় পৌছে গেছে - কিন্তু তারা সংখ্যায় অনেক কম। অন্য যাদের মধ্যে এই একই মানষিকতা ৩০% , ৪০% এই মাত্রায় আছে তাদের সংখ্যা কিন্তু অনেক বেশী। মাত্রায় কম হলেও সংখ্যায় বেশী এবং ক্ষমতায় শক্তিশালী এইসব দল গোষ্ঠী চেতনা কি কম বিপজ্জনক??

০১ লা ডিসেম্বর, ২০১৪ দুপুর ১:৫১

গোলাম দস্তগীর লিসানি বলেছেন: ভাই সালাম।

বিষয়টা তো "ভক্তিবাদ" এর দোষ নয়, বরং বিষয়টা অন্ধত্ব , গোঁড়ামি, আত্মশ্রেষ্ঠত্ববোধ ও বাড়াবাড়ির দোষ। অন্ধত্ব কখনোই মুক্তি দিতে পারেনি।

ভক্তিবাদের অন্ধত্বও চির অকল্যাণকর,

কর্মবাদের অন্ধত্বও চির অকল্যাণকর,

গোঁড়ামিবাদের অন্ধত্বও চির অকল্যাণকর,

আত্মশ্রেষ্ঠত্ববোধের অন্ধত্ব তো চির অকল্যাণকর ছিলই!

আর বাড়াবাড়ির বিষয়ে আল্লাহর রাসূল দ. বারবার বারবার বলেছেন, তোমরা ধর্ম নিয়ে কখনো বাড়াবাড়ি করো না। অতীতে বহু জাতি ধর্ম নিয়ে বাড়াবাড়ি করতে গিয়ে হারিয়ে গেছে।

তিনি দ. বলেছেন, আমি মধ্যপন্থী, আমার উম্মাহ মধ্যপন্থী।

তাই চরমপন্থার কোন উপায় নেই। আর একমাত্র নিজেকে ঠিক মনে করাই হল সবচে বাজে বিষয়। যেমন আমি জানি, আমি হানাফি হলেও হাম্বলি শাফিয়ি এবং মালিকি পুরোপুরি ঠিক। আমি ক্বাদরী হলেও চিশতি, নক্সবন্দি, মুজাদ্দিদি, সুহরাওয়ার্দি, মৌলভিয়া ইত্যকার পথগুলো পুরোপুরি ঠিক।

আসলে আহলুস সুন্নাহ ওয়াল জামাআহ্ এর অনুসারী যাঁরা, তাঁদের মধ্যে কিছু মতদ্বৈততা রইলেও তাঁরা সকলেই পুরোপুরি ঠিক। কিছু মতের অমিল তো থাকবেই।

আহলুস সুন্নাহ ওয়াল জামাআহ্ এর বাইরের কাউকে ঠিক বললে রাসূল দ.'র উপর যুলম করা হয়ে যায়।

আলহামদুলিল্লাহ, পৃথিবীর মুসলিম জনসংখ্যার অণ্তত ৭০% আহলুস সুন্নাহ বা সঠিক আক্বিদার বা অন্যভাবে বলতে পারি, মাজহাবের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। যে কারণে, সংখ্যাগরিষ্ঠ কখনো ভুল করবে না, হাদীসের এই হিসাবটাও আক্ষরিক অর্থেই ঠিক রয়ে যাচ্ছে।

শুধু একটা মতকে বা শুধু নিজের পীরকে বা শুধু নিজের ধারাকে ঠিক বলাই হল অন্ধতা ও গোঁড়ামি।

৪| ২৩ শে নভেম্বর, ২০১৪ সকাল ১০:৪৭

হাসান নাঈম বলেছেন: @ডাইরেক্ট টু দ্যা হার্ট

ভাই আপনি তাদের কাছ থেকে এই কাজ আশা করছেন যাদেরকে মাত্র একটি রাত শাপলা চত্তরে থাকার সুযোগ দেয়া হয় নাই - মেরে কেটে ভাগিয়ে দেয়া হয়েছে।

কেন, যারা দুই মাস শাহবাগের রাস্তা দখলে রেখে আদালতের রায়ের বিরুদ্ধে শ্লগান দিতে পারল, আন্দোলনের চাপে আইন বদলিয়ে একজন মানুষের মৃত্যু নিশ্চিত করতে পারল - সেই অতি ক্ষমতাসীনদের কাছে আপনার কোন দ্বাবি নাই?

আর বর্তমানে যারা ক্ষমতায় আছে, যাদের হাতে বিশ্ববিদ্যালনের প্রেয়ার রুমে নামাজ পড়া পর্দানিশিন মেয়েরা পর্যন্ত জঙ্গী হিসেবে নিগৃহিত হয় - তাদেরও কি এই বিষয়ে কিছুই করার নাই?? না কি তাদেরকেও সমগোত্রীয় ভেবেই কোন দ্বাবি করছেন না??

০১ লা ডিসেম্বর, ২০১৪ দুপুর ১:৫৭

গোলাম দস্তগীর লিসানি বলেছেন: "বিশ্ববিদ্যালনের প্রেয়ার রুমে নামাজ পড়া পর্দানিশিন মেয়েরা পর্যন্ত জঙ্গী হিসেবে নিগৃহিত হয় - তাদেরও কি এই বিষয়ে কিছুই করার নাই?"

এটা অসম্ভব দু:খজনক একটা ব্যাপার।

প্রার্থনায়, নামাজে বাঁধা দেয়ার অধিকার কারো নেই।

তেমনি গণ-প্রার্থনাগৃহ বা মসজিদে রাজনৈতিক কর্মকান্ড চালানোর অধিকারও তাদের নেই, যারা দেশ ও জাতির অস্তিত্বের প্রশ্নেই ভয়ানক প্রশ্নবিদ্ধ এমনকি দোষী সাব্যস্ত।

সংঘাতের কাজে মসজিদকে ব্যবহার করতে দেয়ার অপর অর্থ হচ্ছে ইসলামের সার্বিক নৈতিক পতন।

প্রার্থনাকক্ষকে কোনক্রমে যেমন গ্রেফতারের ও বাঁধার আওতায় রাখা যাবে না, তেমনি যেসব কাজ করলে গ্রেফতার ও বাঁধা আসতে পারে সেসব কাজ কিছুতেই প্রার্থনাকক্ষে করা যাবে না।

বাঁধা দেয়া যেমন ক্ষমার অযোগ্য অপরাধ তেমনি সংঘাতের তৎপরতা মসজিদে করাও ক্ষমতার অযোগ্য অপরাধ। এই কাজকে নির্দ্বিধায় চালিয়ে যাচ্ছে বাংলাদেশে লক্ষ লক্ষ মসজিদে কিছু ছেলে। ধর্মের দাবিদার তো শুধু কিছু রাজনৈতিক দল ন, মসজিদ তো ওয়াকফ করা বিষয়। এই স্থানে দলীয়তাকে প্রবেশ দিলে ধর্মর পতন চলে আসছে।

৫| ২৩ শে নভেম্বর, ২০১৪ সকাল ১১:৪৯

ডাইরেক্ট টু দ্যা হার্ট বলেছেন: ভাই হাসান নাঈম আপনি যাদের কথা বলছেন সেই শাহাবগী তাদের কাছে আমার কোন আশা নেই, কারণ তারা ইসলামের হেফজতের দায়িত্ব নেয়নী, আমি যেই বিষয়টা বলেছি সেটা ইসলাম সম্পর্কিত বিষয়। আওয়মিলীগ বা বিএনপি কিংবা জাতীয় পার্টি এরা ইসলামের ধারক বাহক কোনটাইনা, না এদের কর্মকান্ডে আছে না তারা নিজেরা বলেছে, আমি বলছি তাদের কথা যারা মনে করে ইসলামকে তারাই হেফাজত করতে পারবে আর কেউনা,সয়ং আল্লাহ এই ধর্মের রক্ষাকারী হিসেবেও তারা মানতে নারাজ,এদের বক্তব্য বক্তিতায় এমনি শোনা যায়।

আর শাপলা চত্ত্বরে তাদেরকে বসতে দেয়া হয়নি সেটা ঠিক আছে কিন্তু মেরে কেটেছে এটা ঠিক না, কোথায় আপনাদের ৩০০০ হাজার শহীদ? ৩০০০ মায়ের বুক খালি করেছে এই সরকার সেই মা গুলো কোথায়? এই মিথ্যাচার যারা করে তারা ইসলাম রক্ষা করবে? হাসালেন ভাই।

ইসলাম কয়টা ভাই? আমাদের দেশে সকল ইসলামিক দল এখন এক সাথ হয়েছে ,তারা একি ছাতার নিচে দাড়িয়ে ভিন্ন ভিন্ন নামে এক সাথে জিহাদ করছে এই সরকারের বিরুদ্ধে- তারা নাম ব্যবহার করছে যার যারটা কিন্তু আন্দোলন করছে এক সাথে,ইসলাম কয়টা ভাই?। জনগন কি এখনো সেই ৭৮,৭৯ ৮১ বলদ রয়ে গেছে যে যা বুঝাবেন তাই বুঝবে? কোরাণ হাদিস এখন বাংলা এসেছে ভাই। হুজুররা নিজেরাই নিজেদের মানুষের কাছে যেই কৃত্রিম প্রয়োজনীয়তা সৃষ্টি করে রেখেছেিলো যুগ যুগ ধরে সেই দিন নাইরে ভাই।দিন বদলাইসে।

একজন ডাঃ জাকির নায়েক দেশের সংবিধানকে মেনে নিয়েই মানব সংবিধান বদলিয়ে দিয়েছে দিচ্ছে সারা ভারত ময়।তার কোন নাম লাগেনা ,লাগেন নামের আগে মাওলানা মৈুলভী কিংবা ফুর ফুরে সুর সুরে কোন নাম।দল লাগেন,শাপলা চত্ত্বর লাগেনা, লাগেনা সংসদের সেই নরম গদি, যে পারে সে রাস্তায় দাড়িয়েই পারে।যে করেনা সে প্রধানমন্ত্রী হয়েও করেনা।

০১ লা ডিসেম্বর, ২০১৪ দুপুর ২:০০

গোলাম দস্তগীর লিসানি বলেছেন: বাঁধিয়ে রাখার মত একটা মন্তব্য। যে পারে সে রাস্তায় দাঁড়িয়েই পারে। যে করেনা সে প্রধানমন্ত্রী হয়েও করে না।

রাজনীতি আমাদের কাছে বিষনীতির চেয়েও বিষাক্ত হয়ে গেছে ক্রমাণ্বয়ে।

৬| ২৩ শে নভেম্বর, ২০১৪ দুপুর ১:২৮

হাসান নাঈম বলেছেন: @ডাইরেক্ট টু দ্যা হার্

না ভাই, শাপলা তত্ত্বর থেকে মেরে কেটে নয় বরং খুব আদর সোহাগ করে সরিয়ে দেয়া হয়েছিল।

এমনই সেই আদর সোহাগ যা আলো জ্বেলে রেখে করা যায় না - তাই সব লাইট নেভাতে হয়েছিল।

এমনই আদর সোহাগ যা টিভি ক্যামেরার সামনে করা যায় না - তাই সব টিভি ক্যামেরা সরিয়ে দিতে হয়েছিল

এমনই সেই আদর যা প্রচারিত হওয়ার ভয়ে দুই দুটি টিভি সেন্টার বন্ধ করতে হয়েছে।

আপনি তালিকা, প্রমান - এ'গুলির কথা বলছেন - একটু অপেক্ষা করুন। ক্ষমতার দাপটে কোন কিছুই চোখে পরে না - হিটলার যখন ইহুদীদের হত্যা করছিল তখনও জার্মানদের চোখে কিছুই ধরা পরে নাই। সবাই তখনও হিটলারের সমর্থক এবং সহযোগীই ছিল। কিন্তু যখনই সে ক্ষমতা হারাল তখনই পুরো বিশ্বের সাথে সাথে জার্মানরাও হিটলার ও নাৎসীদের ঘৃনা করা শুরু করে। কাজেই ক্ষমতায় থেকে নিরাপদ থাকা, কোন অপরাধের স্বাক্ষ প্রমান খুঁজে না পাওয়ার মধ্যে তৃপ্তির কিছু নাই।

আর আওয়ামী লীগ ইসলামী দল নয় বলেই যদি তাকে সব দ্বায় থেকে মুক্ত মনে করেন তাহলে প্রতিদিন যে 'জঙ্গী' ঘোষনা দিয়ে শত শত ইসলামপ্রিয় মানুষকে গ্রেফতার ও নির্যাতন করা হচ্ছে তার কী ব্যাখ্যা দেবেন? তারা জনগনের ভোটে নির্বাচিত জনপ্রতিনিধীদের পর্যন্ত জঙ্গী বানিয়ে গ্রেফতার করতে পারে, গুম খুন করতে পারে অথচ সত্যিকারের হুমকি হয়ে যারা গড়ে উঠছে তাদের বিরুদ্ধে কিছুই করতে পারে না কেন? কোথাও কোন নাড়ির টান আছে নাকি??

৭| ২৩ শে নভেম্বর, ২০১৪ সন্ধ্যা ৬:২৯

হীরক কণা বলেছেন: Click This Link

৮| ২৩ শে নভেম্বর, ২০১৪ রাত ৮:৪১

আফসানা যাহিন চৌধুরী বলেছেন: তথ্যবহুল এবং বিশ্লেষণী পোস্টের জন্য অনেক ধন্যবাদ ভাই। ভাল লাগল।

আমার হাসি পেয়েছে একটা জায়গায়--
৭ নম্বর পয়েন্টে।
তারা গাড়িও ব্যাবহার করে :-P :P অথচ বাইরের খাবার খায়না??!!! চিকিৎসাও দরবারের ভেতর???!! :|| :|| :||


আশংকার কথা হল, বাংলাদেশ খুবই ঘন বসতির দেশ এবং আবেগী মানুষের দেশ যেখানে ইসলাম বললেই সব রফা। এখানে জনসংখ্যা এবং জনসমর্থন কোনদিনই কোন সমস্যা ছিল না।--. যথার্থ
ই বলেছেন..

০১ লা ডিসেম্বর, ২০১৪ দুপুর ২:০৮

গোলাম দস্তগীর লিসানি বলেছেন: আন্তরিক কৃতজ্ঞতা আপু।

তার ড্রাইভার তো রীতিমত বেআদব একটা লোক। দরবারের সামনে দাঁড়িয়েই দাঁড়ি টুপি জুব্বা পাগড়ি সব নিয়ে প্রকাশ্যে সিগারেট টানে।

সামনের রাস্তায় কোন রিকশাও যদি দাঁড়িয়ে থাকে, বিশ্রি ভাষায় গালি দিতে দিতে লাথি মারে। যার তার সাথে খারাপ ব্যবহার করে। ফোনে বিশ্রি ভাষায় কথা বলে।

অথচ পোশাক আশাকে পুরা সুন্নতি ভাব নিয়ে বসে আছে।

এদের সবার একই দশা।

৯| ২৪ শে নভেম্বর, ২০১৪ সকাল ৮:৩৩

ডাইরেক্ট টু দ্যা হার্ট বলেছেন: হিটলারের উপমা দিলেন, আপনি জানেন কিনা জানিনা, কোরাআণ শরীফে স্পষ্ট উল্ল্যেখ আছে আমি ইহুদিদের যুগে যুগে লাঞ্চিত করেছি এবং ভবিষ্যতেও ওরা আরো বহুবার লাঞ্চিত হবে,তখন ওরা সংখ্যায় কমে যাবে।হিটলারে এই ক্ষমতা আর হত্যার সমর্থণ না করলেও খুব বেশি বিরুধিতা করতে পারছিনা মুসলিম হবার সুবাধে।সমাজে যখন কুলাঙ্গারের সংখ্যা বেড়ে যায় তখন যুগে যুগে হিটলারের পয়দা হবে আবার হিটলারো ধরাশায়ী হবে, এখানে বিধাতার টার্গেট হিটলার নয়,টার্গেট ইহুদি ,ঠিক তেমনি এই সরকার সাধারণের দোয়া বদ দোয়া আশির্বাদ কিছুই পাবেনা, বদ দোয়া পাবে এই দেশে যারা ধর্মের নামে নোংরামী করে তারা।এই সরকার দ্বারা ঐসব ভন্ডরা সমুলে উৎপাটন হবে যারা ধর্ম নিয়ে ব্যবসা করে।আর এই সরকারের হাত কুলশিত হবে এবং তারাও একদিন হিটলারের মত ঝড়ে পড়বে আর আমরা যারা সাধারণ মানুষরা আছি তারা কিছুদিন সুদিন উপভোগ করবো,এটাই বিধাতার সুবিচার।

এখানে এটাই শেষ মন্তব্য হয়তো কারণ আপনাকে এর চেয়ে বেশি তথ্য যুক্তি দিয়ে লাভ নেই।

ভালো থাকবেন

১০| ২৪ শে নভেম্বর, ২০১৪ সকাল ১০:৩৯

হাসান নাঈম বলেছেন: @ডাইরেক্ট টু দ্যা হার্ট

ভাই আপনিতো দেখছি ভয়ংকর চিন্তাধারার মানুষ।

"আর আমরা যারা সাধারণ মানুষরা আছি তারা কিছুদিন সুদিন উপভোগ করবো"

নিজেরা সুদিন উপভোগ করার জন্য বিধাতার দোহাই দিয়ে বর্তমান সরকারের সব হত্যাকান্ডকে সমর্থন দিচ্ছেন আবার যখন এরা বিপদগ্রস্থ হবে

"আর এই সরকারের হাত কুলশিত হবে এবং তারাও একদিন হিটলারের মত ঝড়ে পড়বে"

তখনও আপনি কোন দ্বায় নেবেন না বরং খুশি হবেন!!

অর্থাৎ গাছেরও খাবেন - তলারও কুড়াবেন!!

আশা করি শেষ বিচারের দিন আল্লাহ যখন আপনার এই সুবিধাবাদী দ্বিমুখি চিন্তাধারার মাধ্যমে নিজের সুদিন উপভোগ করার আকাংক্ষার ব্যাপারে প্রশ্ন করবেন তখন কী জবাব দেবেন সেটাও ভেবে রেখেছেন। অন্যায় অপকর্মকে যেকোন অযুহাতে সমর্থন করাও প্রায় সমান অপরাধ।

১১| ২৪ শে নভেম্বর, ২০১৪ দুপুর ১:৪৮

পলপট বলেছেন: এক রেজাখানী সুস্থ বলদের কতিপয় মিথ্যা তোহমতের হালকামাত্রায় জবাব- প্রথম পর্ব!
@Golam dastagir lisani নামক এক রেজাখানী অভিযোগকারীর অভিযোগ হলো- রাজারবাগীদের মানসিক সমস্যা আছে।
রাজারবাগীরা কুরআন শরীফ মুতাবিক ফরজ পর্দা করার জন্য আপ্রান চেষ্টা করে- এটা কি মানসিক সমস্যা?
রাজারবাগীরা হারাম ছবি তোলার ব্যাপারে পবিত্র হাদীস শরীফ-এ কঠোর নিষেধবানী থাকায় খুব শক্তভাবে ছবি তোলা থেকে বিরত থাকার চেষ্টা করে- এটা কি মানসিক সমস্যা?
রাজারবাগীরা কুরআন সুন্নাহর আইন বাদ দিয়ে আব্রাহাম লিংকন বা অন্য কোন বিধর্মী বিজাতীর কোন তন্ত্রমন্ত্রের ভোট নির্বাচন দলাদলি করেনা- এটা কি মানসিক সমস্যা?
রাজারবাগীরা প্রতিবাদের নামে কোন কুফরী নিয়ম কানুন যেমন হরতান অবরোধ বা লংমার্চের ধারে কাছেও যায়না- এটা কি মানসিক সমস্যা?
রাজারবাগীরা টিভি সিনেমা দেখেনা,টেলিভিশনে কোন অনুষ্ঠানে অংশগ্রহন করেনা- এটা কি তাদের মানসিক সমস্যা?
রাজারবাগীরা যখন তখন মনমত মনগড়া পোষাক পরিচ্ছদ ব্যবহার করেনা বরং সবসময় চেষ্টা করে সুন্নতী পোষাক পরিধান করতে- এটা কি মানসিক সমস্যা?
রাজারবাগীরা ‍কুফরী শিরককারী যেকোন দল বা গোষ্ঠির বিরুদ্ধে তুমুল সমালোচনা করে, তাদেরকে সম্মানিত ইসলামী শরীয়ত মুতাবিক আমল করতে তাগাদা দেয়- এটা কি মানসিক সমস্যা?
রাজারবাগীরা হিন্দু মুশরিক বিধর্মী বিজাতীদের সাথে বন্দুত্ব রাখেনা বা রাখতে চায়না যেহেতু কুরআন শরীফ উনার মধ্যে কাফির মু্শরিকদেরকে মুসলমানদের চরম শত্রু বলা হয়েছে- এটা কি মানসিক সমস্যা?
এরকম হাজারো উদাহরন দেয়া যাবে। আসল কথা হলো যেহেতু রাজারবাগীরা ১৪০০ বৎসর আগে নাযিলকৃত বিধান অনুযায়ী চলতে চায় এবং চলার চেষ্টা করে সেহেতু যারা যুগের পরিবর্তিত অবস্থার সাথে তাল মিলিয়ে চলতে চায় এবং চলেও- তাদের নিকট দ্বীন ইসলামের উপর রাজারবাগীদের দৃঢ়তাকে মানসিক সমস্যা বলেই মনে হবে।যে কারনে অভিযোগকারী রাজারবাগীদেরকে মানসিক রোগী হিসেবে অভিমত ব্যক্ত করেছে। ঠিক এমনভাবেই মক্কার কাফির মুশরিক গং হযরত ছাহাবায়ে কিরাম রদিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুম উনাদেরকে মানসিকরোগী বলে উপহাস করেছিলো। নাউজুবিল্লাহ!

১২| ২৪ শে নভেম্বর, ২০১৪ দুপুর ১:৪৮

পলপট বলেছেন: অভিযোগকারীর আরেকটি অভিযোগ হলো- রাজারবাগীদের অমুসলিম বিদ্বেষ দেখার মত।অর্থাৎ রাজারবাগীরা অমুসলিমদেরকে শত্রু ভাবে, ঘৃনা করে। তাদের থেকে দুরে থাকে।
এখন তাহলে অভিযোগকারী যেহেতু মুসলিম সেহেতু তার কাছে প্রশ্ন হলো-
যারা অমুসলিম তারা কি আল্লাহ পাক উনাকে মানে?
যারা অমুসলিম তাদেরকে কি আল্লাহ পাক তিনি ভালবাসেন?
যারা অমুসলিম তারা কি রাসূল পাক উনাকে মেনে ইসলাম গ্রহন করেছে?
যারা অমুসলিম তাদেরকে বন্ধু হিসেবে গ্রহন করতে আল্লাহ পাক তিনি কি নিষেধ করেননি?
যারা অমুসলিম তারা কি ঈমানদার মুসলমানদের ভালো কামনা করে?
পবিত্র হাদীস শরীফ উনার মাঝে ইরশাদ হয়েছে- বন্ধুত্ব কিংবা বিদ্বেষ হতে হবে শুধুমাত্র আল্লাহ পাক উনার মুহব্বতের খাতিরে। এখন যেহেতু আল্লাহ পাক অমুসলিমদেরকে মুহব্বত করেন না, তারাও আল্লাহ পাক ও রাসুলে পাক উনাদেরকে মুহব্বত করেনা ইত্তেবা করেনা সেহেতু তাদের প্রতি বিদ্বেষভাব রাখাতো ঈমানী দায়িত্ব। যা রাজারবাগীরা ভালভাবে পালন করার চেষ্টা করেন।

১৩| ২৪ শে নভেম্বর, ২০১৪ দুপুর ১:৪৯

পলপট বলেছেন: অভিযোগকারীর অভিযোগ হলো- রাজারবাগীদের ধর্ম নিয়ে কঠোরতার বাড়াবাড়িও মাত্রা ছাড়িয়ে গেছে।
এখন তাহলে অভিযোগকারীর নিকট প্রশ্ন কতটুকু কঠোর হলে সেটাকে বাড়াবাড়ি বলে? পবিত্র কুরআন সুন্নাহতে কি বার বার বলা হয়নি, হে ঈমানদারগন তোমরা দ্বীনের মধ্যে, হকের মধ্যে এবং যা নাযিল করা হয়েছে তার মধ্যে সুদৃঢ় থাকো। ইস্তেকামত থাকো। অটল থাকো। যুগের প্রয়োজনে, শাসকদের ভয়ে, দুনিয়ার কারনে, গাইরুল্লাহর কারনে, টাকা পয়সার লোভে,ক্ষমতার লোভে, নফসের তাড়নায় তোমরা ইসলামী শরীয়তের বিধানকে ছেড়ে দিয়োনা। ‍সুন্নাতকে পরিত্যাগ করোনা। পবিত্র হাদীস শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক হয়েছে- যে আমার সুন্নাতকে পরিত্যাগ করলো সে আমার উম্মত হতে খারিজ হয়ে গেলো। নাউজুবিল্লাহ! এখন তাহলে রাজারবাগীরা যদি উম্মত হতে খারিজ হতে না চায়, উম্মত হিসেবে থাকতে চায় তাহলেতো তারা ধর্মীয় বিধানগুলো কঠোরভাবে পালন করেই যাবে। যা অভিযোগকারী ও তার সমমনাদের কাছে মাত্রাতিরিক্ত বাড়াবাড়ি বলে মনে হচ্ছে। এখন তাহলে প্রকৃতপক্ষে ধ্যান ধারনা মানষিকতায় কার মধ্যে সমস্যা দেখা যাচ্ছে বলেনতো দেখি!

অভিযোগকারীর মতে, এই রোগ যাদের হয় তাদের জ্ঞান অত্যন্ত বেশি থাকে, ভাবনাও খুব গভীর থাকে, তাদের প্রতিটা কাজের পিছনে কঠিন যুক্তি থাকে, পরিকল্পনাও মাত্রাতিরিক্ত গোছানো হয়, তাদের মতবাদ অত্যন্ত কঠোর হয়, ধর্মের দিক দিয়ে তারা অত্যন্ত কঠোর অনুসারী হয় ।
অভিযোগকারীর উপরোক্ত অভিযোগ যদি সত্য হয়ে থাকে তাহলেতো- রাজারবাগীরাই প্রকৃত মুমিনে কামেল। তারাই হাকিকী মুসলমান। তারাই হকের অনুসারী।তারাই আসল ইলম আমলের অধিকারী। তারাই সদা আল্লাহ পাক উনার রহমতের মধ্যে থাকে। তাহলে কি করে তাদের থেকে সত্য ধীরে ধীরে সরে যেতে পারে। বরং তাদেরকেতো আল্লাহপাক সত্য সুন্দর দ্বীনের প্রতি অবিচল থাকার কারনে তাদেরকে হাকিকী মুত্তাকী হিসেবে সিলমোহর মেরে দিয়েছেন। সুবহানাল্লাহ

১৪| ২৪ শে নভেম্বর, ২০১৪ বিকাল ৪:৩৯

আলাপচারী বলেছেন: অনেক দিন পর একটা নির্মোহ লেখা পেলাম।

ধন্যবাদ।

লেনিন বা মার্ক্স কে উল্লেখ্য করলেন ব্যালেন্সিং করবার জন্য ??
অবশ্য লেনিন যেমন বলেছিলেন ১৭ তারিখেই ঐটি (নির্দিষ্ট মিশন) করতে হবে, ১৮ তারিখ খুব দেরী হয়ে যাবে, আবার ১৬ তারিখ খুব শীঘ্র হবে যাবে। তাতে তাকেঁ ডেসপারেটিং পিপল মনে হওয়া স্বাভাবিক যা মানসিক রোগীর পর্যায়ে পরে।

মাক্স তাঁর তত্ত্বের প্রায়োগিক ফল পাবার জন্য ক্ষুদ্র গোষ্ঠী (কাল্ট) করেছিলেন। তাতেই তাঁকে এমন গ্রুপে ফেলে দিলেন ?

০১ লা ডিসেম্বর, ২০১৪ দুপুর ২:১৫

গোলাম দস্তগীর লিসানি বলেছেন: এবং আপনার কাছ থেকে পেলাম একটা অসাধারণ মন্তব্য ভাই।

নারে ভাই, ব্যালেন্সের জন্য না। এটা তো ফ্যাক্ট। আপনিও তা দারুণভাবে তুলে ধরেছেন।

মার্ক্স ভাল চেয়েছিলেন, কিন্তু তার ভাল চাওয়ার ধরণটা ছিল চরমপন্থী এবং সবার বারোটা বাজানো স্টাইলে। কারো কোন ব্যক্তি স্বাধীনতা থাকবে না, ধর্ম স্বাধীনতা থাকবে না, সম্পদ স্বাধীনতা থাকবে না, মতের স্বাধীনতা থাকবে না, বাসস্থান-খাদ্য-চিকিৎসা ও মনের স্বাধীনতা থাকবে না।

এটাই তো কাল্টের মনোবিকলনের সবচে বড় লক্ষণ!

আর কাল্টের মনোবিকলনের আরেকটা লক্ষণ হল, কাল্টে শিল্প-সাহিত্যের বহুমুখি ঝর্ণাধারা ক্ষীণ হয়ে একমুখি ভাবধারার শব্দ-বাক্য-কথা-ভাষা-শিল্প সাহিত্য তৈরি হওয়া।

বহু বিশ্লেষণ থেকে পাই, সমাজতন্ত্র প্রতিষ্ঠার আগের সাহিত্য আর পরের সাহিত্যে আকাশ পাতাল তফাত। বরং তা মৃত।

ব্যালেন্সের জন্য না, বরং সকল সমাজে এবং সকল ধর্মে এই ধরনের চরমপন্থীরা ছিল আছে থাকবে। হিন্দু-মুসলিম-খ্রিস্টান-জৈন-বৌদ্ধ-ইহুদি বা আমেরিকান-শ্বেতাঙ্গ-কৃষ্ণাঙ্গ-মঙ্গোলয়েড

১৫| ২৪ শে নভেম্বর, ২০১৪ রাত ৮:৩৫

গোলাম দস্তগীর লিসানি বলেছেন: ভাই আমি সবার সাথে কমেন্টে আলাপ করব। এই লেখাটা লেখার পর মুহূর্ত থেকে রাজারবাগীরা আমাকে ফেসবুকে অষ্টেপৃষ্ঠে আঁকড়ে ধরেছে। সেখান থেকে ছুটতে পারছি না।

ছুটেই চলে আসব।

১৬| ২৫ শে নভেম্বর, ২০১৪ সকাল ১০:৫২

দুরন্তু পথিক বলেছেন: যারা বলছেন তাদের কেন হেফাজত , জামাত উতখাত করছেন না তাদের অনেকেই আবার তাদের উপ্প্র আঘাত করলে বলবেন "জামাত , হেফাজতিদের হাতে ইসলাম এখন নিরাপদ নয় ""!!!! । দেওয়ান বাগিকে যখন দেওয়ানবাগ থেকে তাড়িয়ে দেয়া হলো তখন মদনপুর এলাকার লোকজনের কি পরিনাম হয়েছিলো আপনারা কি জানেন । তারা ২ বছর শান্তিতে বাড়িতে থাকতে পারেন নি । তারা একটা বিশেষ দল করে যারা সব কিছুতেই জঙ্গি দেখতে পায় ।

১৭| ২৬ শে নভেম্বর, ২০১৪ বিকাল ৪:৫৩

হাসান নাঈম বলেছেন: @পলপট

ভাই আপনাকে মনে হচ্ছে রাজারবাগের ঘনিস্ট কেউ। ভালই হল, ভিতরের লোকের কাছ থেকে নির্ভরযোগ্য তথ্য পাওয়া যাবে।

আমি দেখেছি আপনাদের পত্রিকায় প্রচার করা হয় আপনাদের পীর সাহেবের বদদোয়াতেই নাকি ইউরোপ আমেরিকাসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে সব মহা দুর্যোগ সংগঠিত হচ্ছে। এখানে আমার প্রশ্ন: দুর্যোগ কেন? উন্নয়ন, উন্নতি, জান-মাল রক্ষা কেন নয়? যিনি এখানে বসে ইউরোপ আমেরিকার অত ক্ষতি করতে পারেন তিনি এই অভাগা দেশটার কোটি মানুষের সমস্যার সমাধানে তার ক্ষমতা কেন ব্যাবহার করছেন না??

আপনারা দ্বাবি করেন আপনাদের পীর সাহেব নাকি এ'যুগের মুজাদ্দীদ বা জমানার লক্ষস্থল। আবার এক স্থানে দেখলাম ঘোষনা করা হয়েছে তিনি নাকি হানাফী মাযহাবের সব খুটিনাটি পর্যন্ত মেনে চলেন। যতদুর জানি মাযহাব মানা তাদের জন্যই জরুরী যারা কোরআন হাদীস থেকে সরাসরি শিক্ষা নেয়ার উপযুক্ত নয়। যদি আপনাদের পীর সাহেব মাযহাব মানেন তাহলে কী তিনি কোরআন হাদীস থেকে সরাসরি শিক্ষা নেয়ার উপযুক্ত নন? আর যদি তার কোরআন হাদীসের উপর সত্যিই গভীর জ্ঞান থাকে তাহলে উনি অনেক মাযহাবের মধ্য থেকে হানাফী মাযহাব কেন মানেন?

আপাতত এই দুটি প্রশ্ন থাকল। আশা করি বিস্তারিত বুঝিয়ে বলবেন।

০১ লা ডিসেম্বর, ২০১৪ বিকাল ৩:২৫

গোলাম দস্তগীর লিসানি বলেছেন: নাঈম ভাই, আপনার প্রথম প্রশ্নটা আমারও প্রশ্ন।

" যতদুর জানি মাযহাব মানা তাদের জন্যই জরুরী যারা কোরআন হাদীস থেকে সরাসরি শিক্ষা নেয়ার উপযুক্ত নয়। "

এই কথাটুকু বিকৃতভাবে এসেছে।
যে সরাসরি শিক্ষা নেয়ার উপযুক্ত নয় সে মাজহাব মানবে তা না। বরং, সঠিক হল,

যে ব্যক্তি তার ব্যক্তিগত জ্ঞানের দিক দিয়ে কুরআনের সমস্ত আয়াতের পারস্পরিক সামঞ্জস্য জানা ও তা গভীরভাবে উপলব্ধি করার পাশাপাশি সকল গ্রহণীয় হাদীসের বিষয়বস্তু জানেন ও তা গভীরভাবে উপলব্ধি করেন এবং এই সকল আয়াত ও হাদীস সমূহের পারস্পরিক মিথষ্ক্রিয়ার মধ্য থেকে ইসলামের পালনীয় বিষয়গুলো সম্পূর্ণরূপে তুলে আনতে জানেন, ব্যক্তিগতভাবে ওই ব্যক্তির মাজহাব মানা বাধ্যতামূলক নয়।

কিন্তু ওই ব্যক্তির অনুসারীদের অবশ্যই মাজহাব মানা বাধ্যতামূলক। তা যদি ওই ব্যক্তির মাজহাবও হয়। (এবং সেই মাজহাব যদি অপরাপর মাজহাব দ্বারা স্বীকৃত হয়)

তাই অনেক জ্ঞানীরও মাজহাব মানা এদিক দিয়ে আবশ্যক যে, তাঁর অনুসারীরা কী করবেন ও কীভাবে করবেন।

এই কথাগুলো রাজারবাগীর রিগার্ডে বলছি না। :)

১৮| ২৬ শে নভেম্বর, ২০১৪ বিকাল ৫:২৩

নীল আকাশ ২০১৪ বলেছেন: লিসানি ভাই, রাজারবাগীরা আপনার উপর দারুণ খেপে আছে আপনি তাদের কোন প্রশ্নের জবাব দেন না বলে। এখনি নিচের লিংকে গিয়ে তাদের মাথায় পানি ঢেলে আসুন।
https://www.facebook.com/groups/359879284116360/606710342766585/?ref=notif¬if_t=group_activity

০১ লা ডিসেম্বর, ২০১৪ দুপুর ২:২১

গোলাম দস্তগীর লিসানি বলেছেন: প্রিয় ভাই, তাদের প্রশ্ন'র জবাব দিতে দিতেই তো আমার আটটা রাত নির্ঘুম কাটলো। দিনে ঘুমালাম গড়ে ২-৪ ঘন্টা। আসলে তারা জবাবে সন্তুষ্ট নন।

বরং খুবই ভালভাবে পানি ঢেলে ক্লান্ত হয়ে গেছি। :)

কেমন আছেন ভাই?

১৯| ২৬ শে নভেম্বর, ২০১৪ বিকাল ৫:৪০

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: @পলপট বলেছেন: ...................................................যে কারনে অভিযোগকারী রাজারবাগীদেরকে মানসিক রোগী হিসেবে অভিমত ব্যক্ত করেছে। ঠিক এমনভাবেই মক্কার কাফির মুশরিক গং হযরত ছাহাবায়ে কিরাম রদিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুম উনাদেরকে মানসিকরোগী বলে উপহাস করেছিলো। নাউজুবিল্লাহ!

আস্তাগফিরুল্লাহ!! এ আপনি কি বল্লেন???

আগরতলার সাথে চকির তলার তুলনা।!!!! কই দোজাহানের কান্ডারী রাসূল সা: আর কই... কে??????

ঐ মিয়া আপনেগো হুজুরের এত্ত মোটা ভূরি কেন??????
রাসূল সা: তো পেটে পাথর বাঁধতেন।

আপনেগো হুজুর জীবনে কোন কাজ করছেন বইলাতো বুঝা যায় না!!
অথচ নবীজি নিত্য কাজের লক্ষ কোটি বর্ণনা আছে।

নবীজিতো সবাইকে সব বিলিয়ে দিয়ে সাম্য মৈত্রির সমাজ গড়েছিলেন- যা আজো পৃথীবীতে অতুলণীয়!

আর আপ্নেগো তো দেখি ইসলামের নামের আড়াল রাইক্যা ভোগবাদী আর পূজিবাদী সব ধান্ধাই বিরাজমান!!!
কমলাপুরের জমি নিয়া আপ্নেগো বিরোধের কিস্যাটা বলেনতো শুনি!!!!


আপ্নেগো হুজুর নিজে না খাইয়া জীবনে একজনরেও কি একবেলা খাওইয়াছে???


যে স্বর্ণের আসন বানাইয়া মউজ মাস্তি করতাছে- ঐ চেয়ারে কত হাজার মানুষের হক্কুল ইবাদের হক আইটকা রইছে কইতে পারেন!!!!
যখন রহিমা সখিনা জরিনারা পেটের দায়ে রাতের আঁধারে যৌনদাসী হয়.. তখন আপনারা স্বর্ণ বান্ধানো চেয়ার পূজা কইরা বেহেশতে হুর পাওয়ার ধান্ধায় আছেন????? তা থাকেন আপ্নেগো বিষয়- কিন্তু হক্কলরে টাইনেন না।

নবীতো অতুলণীয়। সাহাবা রা: এক বেলা অনাহারে থাকা নারীর জন্য নিজের কাঁধে বস্তা বয়ে নিয়ে গিয়েছিলেন!!!!

কই - আপনেগো সুন্নতে এইসবগুলান কই?????

ও খালি মিষ্টি খাওয়া, সুগন্ধী দেওয়া.. এইগুলান বহুত মজা... কষ্ট নাই। কিছু দেওয়া লাগে না। গায়ে গতরে খাটা লাগে না। ..তাই সুন্নত নামে
ভন্ডামী না করে নিজেগো নতুন কোন ধর্ম নাম দিয়া আপ্নেগো যা খুশী করেন।

আল্লাহ রাসূল সা: এর নাম ভাঙ্গাইয়া... কইরেন না। আল্লাহ ছাড়বোনা কইলাম। জানেনতো আল্লাহর মাইর -দুনিয়ার বাইর!!!!

০১ লা ডিসেম্বর, ২০১৪ বিকাল ৩:১৯

গোলাম দস্তগীর লিসানি বলেছেন: প্রিয় ভৃগুভাই, এরা প্রতি মুহূর্তে প্রতি কথায় এইভাবে রাসূলে পাক দ.'র সাথে তারা নিজেদের তুলনা দিয়ে থাকে, যা অত্যন্ত গর্হিত কাজ। কিন্তু এই কাজ করতে করতে এমনি অভ্যস্ত হয়ে গেছে, বলার কিছু নেই।


আর এদের সংঘাতপ্রিয়তাও মাত্রা ছাড়িয়ে গেছে। এখন সর্বত্র তাদের সংঘাত। ফেসবুক-ব্লগে সর্বত্র সবার সাথে সংঘাতে জড়িয়ে পড়া এবং পারিবারিক কুৎসা রটানোই একমাত্র কাজ বলতে পারেন।

যে নিজে বড়, তাকে তো কাউকে ছোট দেখিয়ে বড় হতে হয় না। যারাই সর্বক্ষণ অন্যের সমালোচনা করে বেড়ায়, তাদের বেলায় বিষয়টা অন্যরকম হয়ে গেল তো!

আল্লাহ আমাদের এইসব ফিতনা ফাসাদ থেকে সবদিক দিয়ে রক্ষা করুন।

সব ধরনের সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতিতে থাকার করুণা দান করুন। আমিন।

২০| ২৬ শে নভেম্বর, ২০১৪ সন্ধ্যা ৬:০৯

খাটাস বলেছেন: @ ভাই হাসান নাইম আপনার মন্তব্য দেখে কিছু বলতে ইচ্ছা হল, কি বলব তবু ও বুঝতে পারছি না।

যেখানে এক হারামজাদা নিজের বউ কে নবী তনয়া বলে পরিচয় দেয়, সেখানে ইসলামের নাম ধারি ভণ্ড রাজনৈতিক আর অরাজনৈতিক দল গুলো চুপ। আর আপনাদের মত মানুষ গুলো এই ধরনের প্রশ্নের সম্মুখিন হলে, লীগ কিছু ছেড়ে না কেন, বিএন পি কিছু ছেড়ে না কেন- এসব হাবিজাবি যুক্তি নিয়ে আসেন।

হতে পারে ব্যক্তিগত জীবনে আপনি ভাল মানুষ, ধার্মিক। কিন্তু সুস্থতা নিয়ে সংশয় রয়ে গেল আমার। নিজে যে রাজনৈতিক বা অরাজনৈতিক ইসলামী দলের আদর্শ লালন করেন, তাদের দ্বিমুখী রুপ সামনে আসলে, বিরোধী মত রা কি কি করে নি, কি কি অপকর্ম করেছে- সেসব হাবিজাবি যুক্তি নিয়ে আসেন।

নাকি নাস্তিক হিসেবে ধর্ম রে গালি দিলে সমস্যা, আর ধর্মের নাম নিয়ে রাজারবাগির মত গাঁজাখুরি কথা তে ইসলাম অবমাননা হয় না?

যেহেতু আপনার মন্তব্য গুলো দেখলাম, তাই আর বেশি যুক্তিতে গেলাম না।

নিজ মতের ভিন্ন হলেই অন্য কে রাজাকার, নাস্তিক, লিগার, বি এন পি, জামাতি, হেফাজতি, শাহাবাগি ভাবা- মানসিক অসুস্থতা; যেখানে প্রবল বিদ্বেষ বিদ্যমান। এর বাহিরেও মানুষ থাকতে পারে, এই বোধ টা এদের কখনই হয় না।

দুঃখের বিষয় আপনি ও সে দলের বলে কিছু মন্তব্যে প্রমান করলেন। যদি ও অল্প কথায় কাও কে বিচার করা ঠিক নয়। তাই আমার অনুসিদ্ধান্তের জন্য দুঃখ প্রকাশ করে ও আপনাকে নিয়ে উপ্লব্ধি জানিয়ে গেলাম।

কোন বিষয় না বুঝলে প্রচলিত হাবিজাবি কথা বলে ত্যানা না প্যাঁচানোই ভাল- ভাল থাকুন নিরন্তর।

০১ লা ডিসেম্বর, ২০১৪ বিকাল ৩:৩২

গোলাম দস্তগীর লিসানি বলেছেন: প্রিয় ভাই, আমরা রাজারবাগী আর দেওয়ানবাগীকে গুলিয়ে ফেলেছি। এরা উভয়ে অবশ্য একদিক দিয়ে একই রকম। এরা উভয়ে একমাত্র ইমামাত ও খিলাফাতের দাবিদার। এবং বিচিত্র ধর্মের পোষক বলতে পারি।

"যেখানে এক হারামজাদা নিজের বউ কে নবী তনয়া বলে পরিচয় দেয়, সেখানে ইসলামের নাম ধারি ভণ্ড রাজনৈতিক আর অরাজনৈতিক দল গুলো চুপ।"
-শতভাগ সহমত। এটা হল আরেক মেন্টাল দেওয়ানবাগী। ওর মুরিদরা বলে বেড়ায়, দেওয়ানবাগীর মত কোন ওলী তো কখনৈা আসেনি, এমনকি কোন নবীও আসেনি।

অপরদিকে রাজারবাগী কম যায় না। সে নিজের নামের সাথে আলাইহিস সালাম যুক্ত করে। হাবীবুললাহ যুক্ত করে যা রাসূলপাকের নাম। তার মাসিক পত্রিকাকে কুরআনের সাথে তুলনা করে। এমনকি এটা পাঠকালীন সময়ে তার মুরিদদের নাম নবীদের খাতায় থাকবে তা দাবি করে। অর্থাৎ বিষয় কম আর বেশি সেই একই হল। রাসূল দ.'র গৃহবাসীদের সাথে তুলনা দিয়ে নিজের পরিবারের মানুষদের আহলে বাইতও বলে।

২১| ২৬ শে নভেম্বর, ২০১৪ সন্ধ্যা ৬:২৩

খাটাস বলেছেন: লিসানি ভাই পোস্টের যুক্তি গুলো যথোপযুক্ত।
ধন্যবাদ জানবেন চমৎকার পোস্টের জন্য।


আর ধন্যবাদ জানবেন, পোস্ট টি দেয়ার জন্য।
রাজারবাগি দেখার ইচ্ছা ছিল, শখ মিটল।
এক মুখি আহাম্মক দেখতে দেখতে নিজেই আহাম্মক হয়ে গেছি।

০১ লা ডিসেম্বর, ২০১৪ বিকাল ৩:৩৪

গোলাম দস্তগীর লিসানি বলেছেন: ভাই গৃহবন্দিত্বের এই হল সমস্যা। কিছু সংখ্যক মানুষ যখন একই ধরনের ধ্যানাপ্যাচা কথা বলতে থাকে এবং সবার সাথে সোশালাইজেশন বন্ধ করে দেয় এবং সবাইকে গড়পড়তা অমানুষ সাব্যস্ত করে, তখন এই হাল হয়।

এই ধরনের মানুষগুলো আর যাই হোক, সবার সহাবস্থানে বিশ্বাসী নয়।

২২| ২৭ শে নভেম্বর, ২০১৪ সকাল ১০:২৬

হাসান নাঈম বলেছেন: @খাটাস:

ধন্যবাদ আপনার মন্তব্যের জন্য।

আপনি হয়ত জানেন বাংলাদেশের কোন ইসলামী দলই এইসব রাজারবাগী, সায়দাবাদী, শাহবাগী নাস্তিক ধর্মদ্রহীদের সমর্থন সহযোগীতা করে না। যার জন্য এদের সাথে কোন সত্যিকারের ইসলামী দল/সংগঠনের সম্পর্কও ভাল নয়। প্রমান হিসেবে এদের পরিচালিত আলইহসান পত্রিকাটা দেখতে পারেন। http://al-ihsan.net/

এখানে দেখবেন এরা প্রায় সব ইসলামী দলগুলিকেই নিয়মিত গালি দেয়। আর সেই তালিকায় জামাত - শিবির - হেফাজত - চরমোনাই ইত্যাদী গ্রুপগুলি থাকে সবার উপরে।

যদি আপনি একটু খেয়াল করে দেখেন তাহলে এখানে আর এক ধরনের লেখা পাবেন। যেটা এই দেশে চেতনা ব্যাবসায়ী হিসেবে পরিচিত গ্রুপটির কথাবার্তার সাথে দারুন ভাবে মিলে যায়। এখানেই শাহবাগী আর রাজারবাগীর মধ্যে সম্পর্ক পরিষ্কার হয়।

হ্যা, আপনি বলতে পারেন ইসলামী দলগুলি এদের বিরুদ্ধে আন্দোলন কেন করেন না, কেন শুধু সরকারের বিরুদ্ধে বা শাহবাগী নাস্তিকদের বিরুদ্ধেই আন্দোলন হয়। এর কারণ হচ্ছে কোনটি বড় বিপদ সেই বিবেচনা। এই রাজারবাগীরা এখনও এতটা প্রভাবশালী এবং সম্প্রসারিত হয়নি যে এটাকে দেশের বা মুসলমানদের ঈমান আক্বীদার জন্য সবচেয়ে বেশী বিপজ্জনক বিবেচনা করতে হবে। শাহবাগীরাও প্রথমে যখন শুরু করেছিল তখনও কিন্তু কেউ প্রতিবাদী হয়নি। যখন তারা দেশব্যাপী নাস্তিকতার বিষ ছড়াতে শুরু করে তখনই ইসলামী দলগুলি সম্মিলিতভাবে তার প্রতিবাদে নেমে আসে।

আমার বিবেচনায় বাংলাদেশের মানুষের ঈমান আক্বীদা এবং দেশের স্বাধীনতা সার্বভৌমত্বের জন্য বর্তমানে ভারতীয় আধিপত্ববাদ এবং তাদের প্রত্যক্ষ সহযোগীতায় অবৈধভাবে ক্ষমতায় থাকা সরকার সবচেয়ে বড় বিপদ। এরা কথায় কথায় নামাজী দাড়ি টুপি পরা যুবক ও পর্দানিশীন মহিলাদের জঙ্গী সাজিয়ে গ্রেফতার ও নির্যাতন করে। দেশপ্রেমিক প্রতিবাদী মানুষদের খুন গুম হত্যা এবং ভারতের জন্য দেশের সবকিছু বিলিয়ে দেয়াই যেন এদের একমাত্র মিশন বলে মনে হচ্ছে।

তাই এই সরকারের প্রতি সহানুভুতিশীল কেউ যখন রাজারবাগের বিরুদ্ধে সোচ্চার হয় - তখনই রাজারবাগের সাথে তাদের চেতনার ঐক্যের প্রশ্নটি সামনে আসে। তখনই জানতে ইচ্ছে করে এত এত জঙ্গী ধরা হলেও রাজারবাগীরা কেন ধরা পরে না।

তার মানে এই নয় যে ইসলামী দলগুলি তাদের দ্বায়িত্ব এড়িয়ে যাচ্ছে - ইসলামী দলগুলি সঠিক ইসলাম প্রচারের মাধ্যমে তাদের দ্বায়িত্ব ঠিকই পালন করছে, সঠিক ইসলাম জানলে আর কেউ এইসব ভন্ডদের খপ্পরে পরবে না - আর এরা যদি কখনও সরকার বা শাহবাগীদেরমত দেশ ব্যাপী বিস্তৃত হয়ে পরে, অথবা দেশের অন্যান্য নাস্তিক্যবাদী বৃহৎ শক্তির পরাজয়ের পর এরাই সর্বোচ্চ হুমকি হিসেবে চিন্হিত হয় তখন সব ইসলামী দল সম্মিলিত ভাবে এদের বিরুদ্ধেও সোচ্চার হবে - ইনশাআল্লাহ।

০১ লা ডিসেম্বর, ২০১৪ বিকাল ৩:৪১

গোলাম দস্তগীর লিসানি বলেছেন: এই কথাগুলো শুনলে মনে হয়, জঙ্গী আসলেই নেই, শুধু সাজাতে হয়।

আওয়ামীলীগ কোন তুলসী পাতা না। এরা নয়কে ছয় করতেই পারে। সেটার বিষয়ে যাচ্ছি না।

বিষয় হল, ৭১ সাল। বিষয় হল, এই সময়টাকে সচেতনভাবে অস্বীকৃতি জানানো। এই সময়ের কাজগুলোকে অষ্বীকৃতি জানানো।

এবং একইভাবে জঙ্গীবাদকে অস্বীকার করা।

নারে ভাই, জঙ্গীবাদ কোন ধোঁয়া না, কোন জুজু না। এটা এমনভাবে সারা পৃথিবীকে ছেঁকে ধরেছে যে, এর আর কোন উপায় নেই।

আর যাই করেন, সন্ত্রাসী, তাকফিরি জঙ্গীবাদী গোষ্ঠীর সাফাই গেয়েন না। এটা একটা জিরো টলারেন্সের বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে।

২৩| ২৮ শে নভেম্বর, ২০১৪ রাত ১২:৪৯

মুহাম্মদ জহিরুল ইসলাম বলেছেন: সেদিন ফেইসবুকে এক ভিডিও দেখলাম, রাজারবাগী সাহেব বলছেন, তিনি মুহাম্মাদ (সঃ) এর এর কন্যা ফাতিমা (রাঃ) এর স্বামী ! কি করে বলে এই কথা ! আর এ কথা যারা শুনেও মেনে তার মুরিদ, এরা কতটা মূর্খ !!!

০১ লা ডিসেম্বর, ২০১৪ বিকাল ৩:৩৭

গোলাম দস্তগীর লিসানি বলেছেন: জহির ভাই আপনি যাদের কথা বলছেন ওরা হল দেওয়ানবাগী। কোনদিক দিয়ে কম যায় না রাজারবাগীও।

সে নিজের নামের সাথে আলাইহিস সালাম যুক্ত করে। হাবীবুললাহ যুক্ত করে যা রাসূলপাকের নাম। তার মাসিক পত্রিকাকে কুরআনের সাথে তুলনা করে। এমনকি এটা পাঠকালীন সময়ে তার মুরিদদের নাম নবীদের খাতায় থাকবে তা দাবি করে। অর্থাৎ বিষয় কম আর বেশি সেই একই হল। রাসূল দ.'র গৃহবাসীদের সাথে তুলনা দিয়ে নিজের পরিবারের মানুষদের আহলে বাইতও বলে।

হজ্বে যাওয়াকে বিরাট পাপ সাব্যস্ত করে।

উভয়ই মনোরোগী এবং ভয়ানক।

২৪| ০১ লা ডিসেম্বর, ২০১৪ দুপুর ১২:১৫

নতুন বলেছেন: ধন্যবাদ লিসানী ভাই এই বিষয়ে লেখার জন্য...

এরা আসলেই মানুষীক রোগী.... দেওয়ানবাগীও আরেক জিনিস...

০১ লা ডিসেম্বর, ২০১৪ বিকাল ৩:৩৮

গোলাম দস্তগীর লিসানি বলেছেন: টুইন ব্রাদার বলতে পারেন ভাই! শুধু লক্ষ্য ও কর্মপদ্ধতি ভিন্ন, আদতে একই। উভয়ের মতই অলি জীভনে আর আসেনি। উভয়েই বর্তমান কালের একমাত্র সত্যপন্থী। উভয়েই...

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.