নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

স্পেস-টাইম

there is no problem in the heavens and earth ;) problem lies in three places... beneath, between and within the hells.

গোলাম দস্তগীর লিসানি

বুলি বলে শুনতে পাই, রূপ কেমন তা দেখি নাই, ভীষম ঘোর দেখি।। পোষা পাখি চিনলাম না, এ লজ্জা তো যাবে না, উপায় কী করি, আমি উপায় কী করি।।

গোলাম দস্তগীর লিসানি › বিস্তারিত পোস্টঃ

"লুসি" মুভি রিভিউ: একটা সত্যিকার মূল্যায়ন ও তুলনা

০৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৪ সন্ধ্যা ৬:১১





লুসি'র সাতচল্লিশ মিনিট তেরো সেকেন্ডে থাকা অবস্থায় লিখছি। না, কোন স্পয়লার থাকবে না। তবু, ব্যাখ্যা বিশ্লেষণ মাস্ট।



লুসি মুভিটার কথা বলল এক ছোটভাই। তাকে অনেকেই "গুগল" নামে ডাকে। যথার্থ নাম। সত্যায়ন করছি :) । সেও তখনো সদ্য বেরুনো লুসি দেখেনি। শুধু এটার বিষয়ে পড়েছে এবং এরপর থেকেই আমাকে চেপে ধরা, ভাই, লুসিটা একটু দেখেন। লুসিটা একটু দেখেন।

আপনি দেখেছেন?

ক্যাম্নে? ভাল প্রিন্ট আসেনাই তো।

ভাল প্রিন্ট ছাড়া আমিও দেখি না। চাইনিজ লুসি আছে। ওয়াক থুহ্ কাটাছেঁড়া প্রিন্ট। ওইটা দেখব না।



কিন্তু তার কথার একটা মূল্যায়ন আছে। তাই দ্য পাইরেট বে' তে প্রতি সপ্তায় তিন/চারবার সার্চ দেই, লুসি ওয়াইফাই। ওয়াইফাই লুসি বের করে না, আমিও ওয়াইফাই ছাড়া মুভি দেখি না, নয় মণ তেলও হয় না, রাধাও নাচে না।



কাল রাতে হঠাৎ দেখি মিলে গেল! নামালাম, দেখছি এবং দেখা বন্ধ রেখে লিখছি।



লুসি'র উপর সত্যিকার মূল্যায়ন ও তুলনা হবে।



আইএমডিবিতে সাত পেয়েছিল। সেটা নেমে সাড়ে ছয়ে ঠেকেছে। ডাউন টু আইএমডিবি। এই মুভির রেটিং আট থাকা উচিত ছিল। কিন্তু রেট করনেওয়ালারা বোঝেনাই, যে এইটা পুরা ফিকশন না।



এম্নিতে টিভি দেখি না কখনো। নাম শুনে কোন মুভি দেখি না। জানব, শুনব, আগ্রহী হব, তারপর দেখব। এইটা হল স্টাইল।



কারণ, দুনিয়ার তাবৎ অ্যাকশন/হরর/ফ্যান্টাসি/সায়েন্স ফিকশন/রোমান্টিক/কমেডি/অ্যাডভেঞ্চার/ওঅর এমনকি ঐতিহাসিক মুভির উপর থেকেও মন উঠে গেছে। সব থোড় বড়ি খাড়া, খাড়া বড়ি থোড়। ব্রেইনের উপর ইম্প্রেশন ফেলার জন্য শুধু মুভি তৈরি হয়, এই সত্য জানার পর থেকে নিজের ব্রেনে পরের ইম্প্রেশন ফেলতে ভাল লাগে না।



লুসি হতাশ করেনি।



সম্ভবত তাইওয়ান। একটা মেয়ে বাধ্য হয় ড্রাগ স্মাগলারের ডেরায় যেতে। সেই প্রাইম হোটেল সু্ইটে তার ভিতরে পুঁতে দেয়া হয় জগতের সবচে ভয়ানক একটা ড্রাগ। নিজ দেশে গেলে তার থেকে তা তুলে নেয়া হবে এবং সাপ্লাই দেয়া হবে। যে ড্রাগ গর্ভবতীরা ষষ্ঠ সপ্তাহে খুবই সামান্য পরিমাণে উৎপাদন করে এবং এই সামান্য পরিমাণের কারণেই পারমাণবিক বিষ্ফোরণের মত করে গর্ভের বাচ্চার শরীরে হাড়ের গঠন শুরু হয়।



কিন্তু এক লোভীর খপ্পড়ে পড়ে লুসি কিছু লাথি হজম করে এবং তার শরীরে ড্রাগের পোঁটলাটা বিস্ফোরিত হয়। যা হবার তাই হয়। লুসি তার ব্রেন একশোভাগ ব্যবহার করা শুরু করে।



ব্রেইনের কর্মক্ষমতার উপর যে দৃষ্টিটা দিয়েছে এই মুভিতে, সেটা ভালমতই দিয়েছে। "বেড়েন, বেড়েন" বলে পশ্চাদ্দেশ থাবড়ে পুরা মুভি জুড়ে শুধু আধনাঙা মেয়ের বন্দুকবাজি দেখায়নি। বাঁচোয়া।



প্রথমত একটা কথা বলি, এই মুভিতে ব্রেনের কর্মক্ষমতা বিষয়ে যে "থিওরি" দেয়া হয়েছে, সেটা মোটেও থিওরি নয়। বরং চিরন্তন সত্য। দুনিয়াজুড়ে লক্ষ লক্ষ মানুষ হাজার হাজার বছর আগে থেকেই তা জানতো এবং এখনো লক্ষ লক্ষ মানুষ জানে। জগতের সবচে বড় ওপেন সিক্রেট এটাই। এটাই জগতের সবচে বড় খোলা কোকের বোতল।



এখানে ব্রেনের যে পারদর্শীতা দেখানো হয়েছে, তাও মোটেও থিওরি নয়। নিওটিক সায়েন্স অনেক এগিয়ে গেছে। এখন আর এইসব সত্য লুকিয়ে রাখা যাবে না। তাই ফিকশন আকারে সত্যিকার সায়েন্সকে দেখানো হচ্ছে। তাও ভাল। এটা তারাই জানে, যারা ধ্যানবিদ্যায় পারদর্শী।



মুভিতে মূলত বলা হয়, মানুষ নিজের ব্রেনের দশ পার্সেন্ট পর্যন্ত ব্যবহার করতে পেরেছে। এবং তাতে এই মানব সভ্যতার উত্থান। এখানে আরেকটা কথা বলা হয়েছে, ব্রেনের বিশ পার্সেন্ট যে ব্যবহার করতে পারবে, সে তার শরীরের সমস্ত মেটাবলিজম নিয়ন্ত্রণ করতে পারবে এবং "সোনার" প্রজেকশন করতে পরবে। এইটা একটা বুলশিট হওয়ার সম্ভাবনা আছে। কারণ, এই পর্যন্ত যা বুঝলাম, তাতে দেহের প্রতি কণার উপর নিয়ন্ত্রণ স্থাপন করতে ও নিজের অস্তিত্বকে প্রজেকশন করতে আর যাই হোক, বিশ পার্সেন্ট ব্রেনের দরকার নাই। তবে স্থায়ীভাবে হলে হতেও পারে। এরচে বেশি পার্সেন্টেজে গেলে তাদের কথা অনুযায়ী মানুষ পৃথিবীর রোটেশন টের পাবে, তার জন্মের আগে থেকে এখন পর্যন্ত সমস্ত অনুভূতি ও স্মৃতি সরাসরি অনুভব করতে পারবে, ইলেক্ট্রিক/ম্যাগনেটিক/ইলেক্ট্রোম্যাগনেটিক পালস অনুভব নিয়ন্ত্রণ ও বীক্ষণ করতে পারবে, প্রায় সকল গাণিতিক যৌক্তিক বিষয় যেমন কোয়ান্টাম ফিজিক্স বা ই ইজ ইকুয়াল টু এমসি স্কয়ার এম্নি বুঝতে ও অনুভব করতে পারবে। এমনকি দূর থেকে বেশ কিছু বিষয় 'লোকেট' করতে পারবে। একটা পর্যায়ে তার আবেগ থাকবে না, চাহিদা থাকবে না, ইচ্ছা ও অনিচ্ছা থাকবে না। এই বিশ্লেষণ ভাললাগল। বাস্তব। এইটাকে সূফি পরিভাষায় বলে কামালিয়াত। ঋষি পরিভাষায় মোক্ষলাভ। বৌদ্ধিক পরিভাষায় নির্বাণ।



এখানে ইন জেনারেল বলা হচ্ছে দশ পার্সেন্টের কথা। এইটাও বুলশিট। ইন জেনারেল মানুষের ব্রেইন কখনোই দশ পার্সেন্টে পৌছায় না। সাধারণ মানুষ তো দুই থেকে সাত পার্সেন্টের মধ্যে ঘোরে। ব্রেনের দশ পার্সেন্ট ব্যবহার করা ও এগারো পার্সেন্ট ব্যবহার করার মধ্যে ফারাক কিন্তু আকাশ পাতাল। আসলে বিষয়টা পার্সেন্টেজের নয়, বিষয়টা হল, কত পার্সেন্ট নিউরনকে আমরা পরস্পরের সাথে সক্রিয়তায় সংযুক্ত করতে পারলাম! একটা নিউরন হাজার পাঁচেকের সাথে যুক্ত থাকতে পারে। আর মানব ব্রেনের ১ পার্সেন্ট মানে ১ বিলিয়ন অ্যাক্টিভ নিউরন! মাই গড! একটা পার্সেন্ট ব্রেনকে এগিয়ে নেয়া মানে, একশো কোটি অসম্ভব ক্ষমতাধর মস্তিষ্ক-কোষকে পরস্পরের সাথে এবং আগে অ্যাক্টিভ আরো দুই চার ছয় অথবা আটশো কোটি অ্যাক্টিভ নিউরনের সাথে সক্রিয়ভাবে যুক্ত করে দেয়া।



বুম্!!!



এখনো সর্ব ডাইমেনশনের বিষয়টা দেখায়নি। সাতচল্লিশ মিনিট পর্যন্ত দেখায়নি। যদি তারা মুভিতে এটা না দেখায়, তবে বিষয়টা ব্যর্থই থেকে যাবে। কারণ, ব্রেনের সক্ষমতার সাথে সর্ব ডাইমেনশন (স্থান-কাল অর্থাৎ সর্বস্থান ও সর্বকাল) সরাসরি জড়িত। এটাও কোন সিক্রেট নয়। বরং কোকের খেলা বোতল। বহুল পানকৃত, এখনো অ্যামেইজিং।



আর এই মুভিতেও কিন্তু ইম্প্রেশন আছে। যেই কারণে মুভিটুভি দেখা বন্ধ করে দিয়েছিলাম। সাবলিমিনাল ল্যাঙ্গুয়েজ। হ্যা, নামকরণেই তা আছে। লুসি। লুসি এসেছে লুমোস থেকে। লুসি মানে আলোকিত। আরামদায়ক অর্থ। কিন্তু লুসিফার থেকে লুসি শব্দের উৎপত্তি। লুসিফার মানে আলোকবাহী। এই অর্থও আরামদায়ক। কিন্তু জনাবে লুসিফারের পূজারীরা (এখানে আক্ষরিক অর্থে পূজারী বোঝানো হচ্ছে। থিওরির অর্থে নয়। যেমন, ভালমানুষ সূফিদের উপর মাজার পূজারী শব্দটা অপবাদ। এটা অপবাদ নয়। লুসিফারের আরাধনা আক্ষরিক অর্থেই তারা করেন) শুধু এইটা জানায় না, যে জনাবে "লুসিফারের" অন্যান্য নাম হচ্ছে বিলজিবাব, শাইত্বোয়ান, মালিক তাউশ ইত্যাদি।



আর বিজ্ঞানী সাহেব তো বলেই দিয়েছেন, আরাম মানে হল রিপ্রোডাকশন। আয়েশের অবস্থা মানে নিজেকে পরের প্রজন্মে ছড়িয়ে দেয়ার তাগিদ। নিজের জেনেটিক অগ্রগতি, নিজের সবটুকু। আর সংকট মানে হল, টিকে থাকা। চিরজীবী হওয়া। সেখানে নানাভাবে সংকট বলতে হেলের আবহ তৈরি করা হয়েছে। আপনাদের লুসিফারকে "চিরজীবী" বলতে খুবই আরাম হবার কথা, এ আর বিচিত্র কী।



সাতচল্লিশ মিনিট দেখার পর এটুকু বলতে পারি, ঘটনা সত্য। যদিও বিবর্তন নিয়ে সর্বকালেই প্রশ্ন থেকে যাবে... প্রতি মিনিটে ব্রেনের সক্ষমতার উপর যে তথ্য তারা একটু একটু করে দিয়েছে, তা দারুণ।

এইসব কথা তো আত্মউন্নয়নের বিভিন্ন ধারা যুগে যুগে শিখিয়ে এসেছে। কিন্তু তা মুভিতে ছড়িয়ে পড়াটা মোটেও মন্দ নয়। দেখার মত একটা জিনিস এসেছে বহুদিন পর।



এই ধরনের মুভি যেহেতু তৈরি হয় না, শুধু সেই কারণে এটাকে পাঁচে পাঁচ।



স্পিকিং অভ ব্রেইন- মানুষ কী করতে পারে, এইটা মানুষ জানে না। না, এইটা সবচে বড় ট্রাজেডি না। সবচে বড় ট্রাজেডি হল, মানুষ কী করতে পারে, এইটা মানুষকে জানতে দেয়া হয় না।



মানুষকে আত্মপরিচয়হীন করে রাখাই যেন যান্ত্রিক সভ্যতার একটা মূখ্য উদ্দেশ্য।

মন্তব্য ১৫ টি রেটিং +৬/-০

মন্তব্য (১৫) মন্তব্য লিখুন

১| ০৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৪ সন্ধ্যা ৭:০৪

জুলিয়ান সিদ্দিকী বলেছেন: আলোচনাটাই দারুণ মনে হইছে। যেমন দেখা এমন বিশ্লেষণ। কিন্তু কোনো লিঙ্ক নাই এইটাই আপচুচ। পাইরেট বে তো হাজি সাবগো দেশে অচল। তারা সবাই সৎ মানুষ, আকাম কুকামে নাই। :)

২| ০৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৪ সন্ধ্যা ৭:২১

অন্ধবিন্দু বলেছেন:
দেখবো দেখবো করে আর সময় করতে পারছি নে, লিসানি। আগে দেখি তারপর কথা ...

৩| ০৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৪ রাত ১১:৪৩

এহসান সাবির বলেছেন: আমার কাছে মুভিটি ভালো লেগেছে তবে লো বাজেটের করণে মনে হয় ছবিটির প্রচারনা কম হয়েছে, স্কারলেট জোহানসন, মর্গান ফ্রিম্যানের মত স্টার থাকার পরও ছবিটি ফ্লপ করেছে।

৪৭ মিনিট পযর্ন্ত রিভিউ ভালো লেগেছে।

৪| ০৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৪ রাত ১১:৫৮

সুমন কর বলেছেন: অাজই দেখলাম। চমৎকার মুভি এবং অাপনার রিভিউ পছন্দ হয়েছে।

লুসি নামকরণটাও জানা গেল।

৫| ০৬ ই ডিসেম্বর, ২০১৪ রাত ২:০৭

নতুন বলেছেন: এখানে ইন জেনারেল বলা হচ্ছে দশ পার্সেন্টের কথা। এইটাও বুলশিট। ইন জেনারেল মানুষের ব্রেইন কখনোই দশ পার্সেন্টে পৌছায় না। সাধারণ মানুষ তো দুই থেকে সাত পার্সেন্টের মধ্যে ঘোরে। ব্রেনের দশ পার্সেন্ট ব্যবহার করা ও এগারো পার্সেন্ট ব্যবহার করার মধ্যে ফারাক কিন্তু আকাশ পাতাল। আসলে বিষয়টা পার্সেন্টেজের নয়, বিষয়টা হল, কত পার্সেন্ট নিউরনকে আমরা পরস্পরের সাথে সক্রিয়তায় সংযুক্ত করতে পারলাম! একটা নিউরন হাজার পাঁচেকের সাথে যুক্ত থাকতে পারে। আর মানব ব্রেনের ১ পার্সেন্ট মানে ১ বিলিয়ন অ্যাক্টিভ নিউরন! মাই গড! একটা পার্সেন্ট ব্রেনকে এগিয়ে নেয়া মানে, একশো কোটি অসম্ভব ক্ষমতাধর মস্তিষ্ক-কোষকে পরস্পরের সাথে এবং আগে অ্যাক্টিভ আরো দুই চার ছয় অথবা আটশো কোটি অ্যাক্টিভ নিউরনের সাথে সক্রিয়ভাবে যুক্ত করে দেয়া।

আমরা সবাই আমাদের ব্রেনের ১০০% ই ব্যবহার করি....

আমরা যেমন আমাদের শরিরের সব পেশি একসাথে ব্যবহার করিনা... কিন্তু সারা দিনে আপনি অবশ্যই আপনার সারা শরিরের সব পেশি ব্যবহার করেন তেমনি আমারা আমাদের ব্রেনের সবটুকুই ব্যবহার করি...

ব্রেন আমাদের শরিরের ২% কিন্তু শরিরে উতপাদিত শক্তির ২০% ব্যবহার করে...

আর বত`মানে বিভিন্ন ধরনের স্কানিংএ খুব সহজেই প্রমান পাওয়া যায় যে আমাদের ব্রেনের সব জায়গাতেই নিউরন জ্বলে উঠে বিভিন্ন কাজের সময়...





৬| ০৬ ই ডিসেম্বর, ২০১৪ রাত ৮:২৮

অপূর্ণ রায়হান বলেছেন: মুভিটা ইউটিউবেই দেখেছি। ভালো প্রিন্ট। একটু সিস্টেম জানলে নতুন মুভিগুলো ইউটিউবেই দেখা যায়।

পুরো মুভিটা কি দেখেছিলেন? দেখলে ভালো লাগবে। চমৎকার একটা মুভি। সর্ব ডাইমেনশন এর ব্যাপারটা আছে।

ভালো থাকবেন :)

৭| ০৬ ই ডিসেম্বর, ২০১৪ রাত ৯:১২

রাবেয়া রব্বানি বলেছেন: ভালো । দেখব

৮| ০৭ ই ডিসেম্বর, ২০১৪ সকাল ১১:০৮

সোহানী বলেছেন: এটা কি রিভিউ দিলেন..... মাথা নস্ট হবার অবস্থা। ১০০% ব্রেন ইউজ... এধরনের চিন্তা মাথায় আসতে পারে এটাইতো বিশাল কিছু.... না দেখা পর্যন্ত শান্তি পাচ্ছি না।

৯| ০৭ ই ডিসেম্বর, ২০১৪ রাত ১০:২৩

মামুন রশিদ বলেছেন: সত্যিকারের মুভি ক্রিটিক কাকে বলে তা ভালো ভাবেই টের পেলাম । আমি সাদা চোখে মুভির অন্তর্নিহিত যে আলোটা দেখতে পাইনা, মুভি ক্রিটিকে তাই বলা উচিত । মুভিতে আমরা ঘটনা দেখি, ক্রিটিকে এর প্রেক্ষাপট, দর্শন আর প্রায়োগিগ সীমাবদ্ধতা উঠে আসে ।

মুভিটা দেখে কত দিব জানিনা, আপনার রিভিউতে পাঁচে পাঁচ ।

১০| ১৯ শে ডিসেম্বর, ২০১৪ দুপুর ১:০৮

নির্মক্ষিক বলেছেন: হাহাহা যেমন সিনেমা তেমন রিভিউ :D এইরকম গাঁজাখুরি বিনোদন বহুত দিন পাইনা। মুভি দেখার পর থিকা হাসতেই আছি, হাসতেই আছি।
মুভিরে ৯.৫/১০
আপনার রিভিউ ১২/১০
নো ওন্ডার সুফিবাদ ঢুকাইসেন, আবার সায়েন্টিফিক যে ভুগিচুগি দিলেন, কোন রেফারেন্স দিলেন না।

ব্রেনের পাওয়ার দিয়া গ্রাভিটি ডিনাই করুম, টাইম/স্পেস ব্রেন্ড করুম আর কী লাগে! ফিজিক্সের প্রত্যেকটা ধ্রুব নিয়ম ভাঙ্গুম! খারাপ কী? :D পুরাপুরি বিনোদন।

রেস্ট ইন পিস সাইন্স!

১১| ১৯ শে ডিসেম্বর, ২০১৪ দুপুর ২:১৪

এরিক ফ্লেমিং বলেছেন: মাদকের ব্রিফকেস খোলা পর্যন্ত দেখেছি অর্থাৎ খুবই সামান্য, ট্যাবের চার্জ শেষ হওয়ার কারনে আর দেখা হয়নি কাল। রিভিউ পড়ে বাকিটা বুঝতে সুবিধা হবে। লেখক কিন্তু যথার্থই বলেছেন- দুনিয়াজুড়ে লক্ষ লক্ষ মানুষ হাজার হাজার বছর আগে থেকেই তা জানতো এবং এখনো লক্ষ লক্ষ মানুষ জানে

১২| ০৬ ই জানুয়ারি, ২০১৫ বিকাল ৩:০২

আফসানা যাহিন চৌধুরী বলেছেন: মামুন রশীদ বলেছেন: সত্যিকারের মুভি ক্রিটিক কাকে বলে তা ভালো ভাবেই টের পেলাম । আমি সাদা চোখে মুভির অন্তর্নিহিত যে আলোটা দেখতে পাইনা, মুভি ক্রিটিকে তাই বলা উচিত । মুভিতে আমরা ঘটনা দেখি, ক্রিটিকে এর প্রেক্ষাপট, দর্শন আর প্রায়োগিগ সীমাবদ্ধতা উঠে আসে ।

মুভিটা দেখে কত দিব জানিনা, আপনার রিভিউতে পাঁচে পাঁচ ।


:)

১৩| ০৬ ই জানুয়ারি, ২০১৫ বিকাল ৪:২৭

নিওফাইটের রাজ্যে বলেছেন: অস্থির রিভিউ, মুভি দেখেও এতটা মজা পাই নাই যতটা না আপনার পোস্ট পড়ে পেলাম :)

১৪| ০৬ ই জানুয়ারি, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:০৩

শামির শাকির বলেছেন: ভাই, আপনার সাথে সহমত। আমাদের গ্যালাক্সিতে যত তারা আছে, একজনের মাথায় নিউরন তার চেয়ে বেশি। অন্য প্রাণীরও ব্রেন আছে, আমাদেরও আছে। তবে অন্য প্রাণীদের বেলায় সেরিব্রাল কর্টেক্স দিয়েই বেশিরভাগ কাজ চলে যায়। (যে কাজগুলো আমরা চিন্তা ছাড়াই করতে অভ্যস্ত সেগুলোর বেশির ভাগই সেরিব্রাল কর্টেক্স দিয়ে হয়)। মানুষের ক্ষেত্রে ব্যাতিক্রম হল- ব্রেনের বাকি অংশের ডেভেলপমেন্ট।

আমরা এই বাকি অংশের ২-৪ ভাগ ব্যাবহার করি মাত্র, আর তাতেই আমাদের আছে উন্নত সচেতনতাবোধ। গন্ধের বোধ থাকার পরও আমরা যেমন এর ব্যাবহার তেমন একটা করি না, তেমনি আরও কতগুলো পারসেপসন যে এই ব্রেনে সুপ্ত আছে তা আমরা বেশিরভাগই জানি না। লুসি, ম্যাট্রিক্স এমন অনেক মুভি থেকে মনে হয়- পশ্চিমারা ধীরে ধীরে আমাদের প্রাচ্যের ধ্যান কে গ্রহণ করছে, যার মাধ্যমে হাজার হাজার মহামানব নিজেদের উচ্চতর সচেতনার স্তরে নিয়ে গেছেন।

১৫| ০৯ ই জানুয়ারি, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:১০

আমিজমিদার বলেছেন: ভ্রাতা, আমি তো জানতাম এইটা একটা কমন মিসকন্সেপশন। বায়োলজি ক্লাসে কতবার প্রোফেসর রা এইটার কথা তুইলা হাসাহাসি করসে। গুগল কৈরা দেখলাম আসলেই তো!

https://faculty.washington.edu/chudler/tenper.html

http://en.wikipedia.org/wiki/Ten_percent_of_brain_myth#In_popular_culture

প্রথম দুইটা লিংক ই দিলাম। কেম্নে কি? একটু বুঝায়ে দিবেন প্লিজ।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.