নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

চেতনায় বদর-ওহোদ-কারবালা ।

রাসেল সরকার

প্রিয়নবীর প্রেমহীন আত্মামৃত, সর্ব মিথ্যার অন্ধকারে নিমজ্জিত ।

রাসেল সরকার › বিস্তারিত পোস্টঃ

৭২ ফেরকা দোযখী হওয়ার প্রমাণ

২৮ শে অক্টোবর, ২০১৪ ভোর ৫:১৫

০ সা তাফতারেকো উম্মাতি আলা ছালাছে ওয়া সাবয়িনা মিল্লাতান, কুলুহুম ফিন্নার ইল্লা মিল্লাতান ওয়াহেদাতান :
অর্থাৎ রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া ছাল্লাম বলেন, আমার উম্মত (৭৩) তেহাত্তর ফেরকায় বিভক্ত হয়ে পড়বে । সকল ফেরকাই দোযখে যাবে, তবে তন্মধ্য হতে একটি সংঘবদ্ধ ফেরকা বা দল শুধু বেহেশতে যাবে ।
০ ছিনতানে ওয়া ছাবউনা ফিন্নার, ওয়া ওয়াহেদাতুন ফিল জান্নাতে ওয়াহিয়াল জামায়াত :
অর্থাৎ রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া ছাল্লাম বলেন, (আমার উম্মতের মধ্যে ৭৩ ফেরকার মধ্যে ) ৭২ ফেরকাই দোযখে যাবে, শুধু একটি ফেরকা বেহেশতে যাবে, তারা হলেন জামায়াত ।
০ আবদুল্লাহ বিন মাসউদ রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু কর্তৃক বর্ণিত আছে যে, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া ছাল্লাম দোযখী ৭২ ফেরকাদিগকে একটি উপমা দিয়ে বুঝিয়েছেন, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া ছাল্লাম প্রথমে উপরে নিচে একটি সরল রেখা টানলেন, আর বললেন ইহা সিরাতুল মুসতাকীম ( সরল ইসলামী পথ ) অতঃপর মহান প্রিয়নবী উক্ত সরল রেখার ডানে বামে কয়েকটি বক্র রেখা টানলেন । আর বললেন, এসব বক্র রেখার উপর শয়তান দাঁড়িয়ে রয়েছে । সরল পথে আগমনকারীকে বক্র রেখার উপর দিয়ে যাতায়াত করার জন্য আহবান করছে । সরল পথ হতে বিপথে চলার মানে দোযখের পথ । যেমন- কেউ একটি রশি টানিয়ে সেই রশির উপর দিয়ে অতিক্রম করা কালে ডানে বামে, এদিক সেদিক তাকালে নিশ্চয়ই সে পা পিছলে নিচে পড়ে যাবে । ইসলামী শরীয়াতের পথটিও তদ্রুপ । যদি কেউ দ্বীন বা শরীয়তের পথ পরিহার করে মতবাদের পথে চলবে সে তখন দোযখগামী হবে । ( আহম্মদ, নাছাই, দারেমী ও মেশকাত )
০ রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া ছাল্লাম বলেন, হাতে জ্বলন্ত আগুনের কয়লা রাখা যেমন কঠিন, শেষ যুগে ঈমান রক্ষা করা আরো কঠিন হবে । অনত্র দয়াল নবীজি বলেন, শেষ যুগে ইসলামের নামে ৭৩ ফেরকা হবে, এর মধ্যে একটি মাত্র দল ব্যতীত অন্য সবদল জাহান্নামী হবে । উপস্থিত সাহাবায়েকেরামগণ বললেন, ইয়া রাসূল্লাহ, নাজাত প্রাপ্ত দল কোনটি ? উত্তরে মহান প্রিয়নবী বললনে, আমি এবং আমার সাহাবায়ে কেরাম যে পথে ও মতে আছে, যারা ঐ পথ ও মতে থাকবে, তারাই একমাত্র নাজাত প্রাপ্ত দল । ইবনে তাইমিয়া লিখেছেন, নাজাত প্রাপ্ত দলটির নাম আহলে ছুন্নাত ওয়াল জামায়াত বা সংক্ষেপে ছুন্নী দল ।
মহান সাহাবায়েকেরামগণ পর্যন্ত সকলেই প্রিয়নবীর দেখানো পথের উপর ছিল । আমীরে মোয়াবীয়া এর আমলে সর্ব প্রথম খারেজী দল আত্ম প্রকাশ করে, তবে এই দল আলী রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু এর আমলে মাথা চাড়া দিয়ে উঠলে সঙ্গে সঙ্গে আলী রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু সংঘঠিত যুদ্ধের মাধ্যমে নির্মুল করে ছিলেন ।
০ ইন্না হাযা সিরাতিম মুশতাকীমা ফাত্তাবেউহু, ওয়ালা তাত্তাবেউ ছোবুলা ফাতাফাররাকা বেকুম আন সাবিলিহি । (সূরা আনআম)
অর্থাৎ মহান রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া ছাল্লাম সিরাতুল মুসতাকীম বা ইসলামের সঠিক পথ দিকদর্শন করার পর আল্লাহ তায়ালা মহান প্রিয়নবীর দিক দর্শনের সঠিকতার প্রমাণে উক্ত আয়াত নাযিল করে বলেন, আমার হাবীব তথা আমার রাসূল যে পথের দিকদর্শন চিহ্নিত করেছেন তা সঠিক পথ । তোমরা সেই পথগামী হও । তোমরা এই পথের বিকল্প বহু পথের অনুসারী হইও না । যদি শয়তান চক্রের প্রলভনে পড়ে বিপথগামী হও, তখন গোমরাহ হয়ে যাবে । ( তাফসীরে মাদারেক শরীফ )
ছুন্নাত পরিপন্থী ফেরকার নামঃ ইসলাম ধর্মের শুরু হতে আবুবকর সিদ্দিক রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু হতে ওমর ফারুক রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু পর্যন্ত কোন বাতেল ফেরকার উদ্ভব ঘটেনি । ওসমান গণি রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু –এর খেলাফতের শেষ দিকে অর্থাৎ আলী রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু –এর খেলাফতের শুরু হতে বাতেল ফেরকার উদ্ভব ঘটতে থাকে । এ সব ফেরকার মধ্যে খারেজী ফেরকা ছিল অন্যতম । খারেজী ফেরকার দেখাদেখী পরস্পর যুগে যুগে আরো কতিপয় ফেরকার উদ্ভব ঘটে । এরা মূলত আট ভাগে বিভক্ত । যথাঃ
(১). খারেজী ফেরকা ।
(২). মোতাজেলা ফেরকা ।
(৩). শিয়া ফেরকা ।
(৪).মরজিয়া ফেরকা ।
(৫). নাজ্জারিয়া ফেরকা ।
(৬). জাবারিয়া ফেরকা ।
(৭). মোশাব্বাহা ফেরকা ।
(৮). নাজীয়া ফেরকা ।
উপরোক্ত আট ফেরকা পারস্পারিক মতভেদ সৃষ্টি করে শাখা উপ শাখায় উৎপত্তি হতে থাকে । এ পর্যন্ত ঐ সমস্ত এক একটি ফেরকা হতে কয়েকটি করে ফেরকার উদ্ভব হয় । যেমনঃ- খারেজী ফেরকা ২০ ফেরকায় বিভক্ত, মোতাজেলা ফেরকা ২০ ফেরকায় ভিবক্ত, শিয়া ফেরকা ২২ ফেরকায় বিভক্ত, মরজিয়া ফেরকা ৫ ফেরকায় বিভক্ত, নাজ্জারিয়া ফেরকা ৩ ফেরকায় বিভক্ত এবং জাবারিয়া ফেরকা ও মোশাব্বাহা ফেরকার মধ্যে উপ ফেরকার উদ্ভব ঘটেনি । এমনি ভাবে মোট ৭২ ফেরকা সংঘঠিত হল । নাজীয়া ফেরকার নাম আহলে ছুন্নাত ওয়াল জামায়াত । এই একটি মাত্র ফেরকাই নাজাতী ফেরকা, অপর সব ফেরকাই দোযখী ফেরকা ।
আহলে ছুন্নাত ওয়াল জামায়াত ছাড়া প্রত্যেক গোমরাহী ফেরকা দোযখে যাবে এ মর্মে আল্লাহ তায়ালা বলেনঃ-
ওয়া মাই ইয়াতা বাদ্দালিল কুফরা বিল ঈমানে ফা কাদ দাল্লা ছাওয়া আচ্ছাবিলা”
অর্থাৎ যারা ঈমান ও ইসলামের সরল পথ পরিহার করে কুফুরী পথ ধরেছে তারা আসলে রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া ছাল্লাম এর নির্দেশিত পথ থেকে সরে ভূল (গোমরাহীর) পথে চলে গেছে । (কোরআন)
সূত্রঃ মৌলবাদ পরিচয় = মাওলানা রেদওয়ানুল হক ইসলামাবাদী ও রদ্দে কুফর শিরিক, বেদায়াত = শায়খুল হাদিছ, হাফেজ-ক্বারী, হযরত আল্লামা সৈয়দ ছাইফুর রহমান নিজামী শাহ ।

মন্তব্য ১৮ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (১৮) মন্তব্য লিখুন

১| ২৮ শে অক্টোবর, ২০১৪ ভোর ৬:২৯

খেলাঘর বলেছেন:


আপনার স্হান কোথায়, দোযখে?

০৪ ঠা সেপ্টেম্বর, ২০১৫ ভোর ৪:২২

রাসেল সরকার বলেছেন: আমি আহলে ছুন্নাত ওয়াল জামায়াতের অনুসারী, আর আহলে ছুন্নাত ওয়াল জামায়াতের অনুসারীদের স্থান কোথায় তা দলিলসহ বিস্তারিত লেখা আছে ।

২| ০৪ ঠা এপ্রিল, ২০১৫ রাত ১:৩১

উড়োজাহাজ বলেছেন: অর্থাত ঘুরে ফিরে সেই একই কথা- অর্থাত আমার ফেরকাই সঠিক। আমিই সেই তিয়াত্তর ফেরকার মধ্যে একমাত্র জান্নাতী ফেরকা। বাকিরা সব জাহান্নামী।


আচ্ছা ভাই, আহলে সুন্নাত ওয়াল জামাত ফেরকাটার নামরকরণ কে করেছে? আহলে সুন্নাত ওয়াল জামায়াতের দাবিদার লোকজন কি সামগ্রিক জীবনে আল্লাহর আইনকে বাদ দিয়ে অন্যান্য জীবন বিধান মেনে নেয়নি? আহলে সুন্নাত জামায়াতের লোকেরা কী বর্তমানে পাশ্চাত্য সভ্যতার গোলামী মেনে নেয়নি? এরা কি সুদ-ঘুষ খায় না? এদের মধ্যে কি বিনিময় গ্রহণকারী আলেম, মোল্লা নেই?

০৪ ঠা সেপ্টেম্বর, ২০১৫ ভোর ৪:২৪

রাসেল সরকার বলেছেন: প্রশ্ন ও মতামতের জন্য ধন্যবাদ । আহলে ছুন্নাত ওয়াল জামায়াত কাকে বলে এবং কিভাবে নাম করণ হয়েছে তা, মোটামোটি অবগত হওয়ার মত দলিলসহকারে লেখার চেষ্টা করেছি, আশা করি একটু মনোযোগ সহকারে পড়লে বুঝতে পারবেন । গওছেপাক ও খাজাবাবা সহ প্রখ্যাত আওলিয়ায়ে কেরামগণ এবং সর্ব প্রথম পবিত্র কুরআনের অনুবাদকারী শাহ্ ওলিউল্লাহ মহাদ্দেসে দেহলবী তারা সবাই আহলে ছুন্নাত ওয়াল জামায়াতের মত ও পথের উপর ছিলেন ।
ইসলাম একটি পূর্ণাঙ্গ জীবন ব্যবস্থা আর এতে পুরোহিততন্ত্রের কোন অনুমোদন নেই । সমাজনীতি, রাষ্ট্রনীতি, বিশ্বনীতি তথা সবকিছুই তাওহীদরেছালাত তথা সত্য ভিত্তিক জীবন ব্যবস্থার অন্তগত ।
যারা গণতন্ত্রের নামে এক নায়কতন্ত্র / স্বৈরতন্ত্র / ভ্রান্ত শাসন ব্যবস্থা কায়েম করে মানবধিকার হরণ করছে / করতেছে তাদেরকে সমর্থন বা তাদের দালালী করে কখনোই ঈমানদার তথা আহলে ছুন্নাত ওয়াল জামায়াতের অনুসারী দাবী করা যায় না । তাদের বিরুদ্ধে আপোষহীন সংগ্রামের মাধ্যমেই কেউ আহলে ছুন্নাত ওয়াল জামায়াতের অনুসারী দাবী করতে পারে । কেননা পবিত্র কলেমার আগমন হয়েছে সত্য-সুবিচার-মানবতা কায়েম এবং মিথ্যা-অবিচার-জুলুম-শোষণ উৎখাতের জন্য । এমনকি ভৌগলিক সীমা রেখার ভিত্তিতে যে সমস্ত দিবস গড়ে উঠেছে এইগুলোকে আত্ম-সত্ত্বা, আ্ত্ম-পরিচয়ের উৎস মনে করা অবশ্যই ঈমানের খেলাফ । কেননা আহলে ছুন্নাত ওয়াল জামায়াতের অনুসারীদের চেতনা হবে বদর-ওহোদ-কারবালা ভিত্তিক ।
এখন কেউ যদি মুসলমান নাম ধারণ করে বা দ্বীনের লেবাশ ধারণ করে পবিত্র কলেমার জীবন ব্যবস্থার বাহিরে গিয়ে অন্যকোন জীবন ব্যবস্থা গ্রহণ করে, তখন সে আর আহলে ছুন্নাত ওয়াল জামায়াতের অনুসারী থাকে না ।

৩| ০৪ ঠা এপ্রিল, ২০১৫ রাত ২:২৩

নতুন বলেছেন: উড়োজাহাজ বলেছেন: অর্থাত ঘুরে ফিরে সেই একই কথা- অর্থাত আমার ফেরকাই সঠিক। আমিই সেই তিয়াত্তর ফেরকার মধ্যে একমাত্র জান্নাতী ফেরকা। বাকিরা সব জাহান্নামী।


গোয়ালার নিজের গাইয়ের দুধ কখনোই খারাপ বলেনা... :)

০৪ ঠা সেপ্টেম্বর, ২০১৫ ভোর ৪:২৭

রাসেল সরকার বলেছেন: ২ নং উত্তরটি ফলো করুন ।
সত্য চিরদিনই সত্য........।

৪| ০৪ ঠা সেপ্টেম্বর, ২০১৫ সকাল ১০:০৯

নতুন বলেছেন: আপনারা মাজারের অনুসারীরা কিভাবে সহী ফেরকা হইলেন?

আপনারে মতে রাসুল সা: তার কবরে জীবিত আছেন তাইনা?

০৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ ভোর ৪:০৪

রাসেল সরকার বলেছেন: নবী রাসুল আলাইহিমুস সালাম দেরকে তাঁদের বিষয়কে অন্য মানুষের মত তুলনীয় করে কেবল বাহ্যিক জড়বাদী দৃষ্টিতে দেখা নবুওত ও রেছালাত সম্পর্কে অজ্ঞতা মূর্খতা ও ঈমানের বিপরীত । বেশভূষা পোষাক পরিবর্তনের মত তাঁদের বাহ্যিক অবস্থার পরিবর্তন হতে পারে, কিন্তু তাঁদের রূহানী ও জাতি অর্থাৎ প্রকৃত অবস্থা আল্লাহ্তায়ালার মহান সত্ত্বায় সাথে সরাসরি যুক্ত হয়ে যাওয়ায় সৃষ্টির পর থেকে চিরঞ্জীব । সব নবী রাসুলই জীবিত এবং এবাদত ও সৃষ্টির জন্য দোয়ায় নিমগ্ন (তফসিরে রুহুল মায়ানী ২য় খন্ড ১৭ ও ৩৩ পৃষ্ঠা, তফসিরে মাজহারী ১ম খন্ড ১৫২ পৃষ্ঠা, মেশকাত শরীফ পৃষ্ঠা ৮৭, ১২০, ১২১, ৩৩০, ৪৫৭, ৫১০, ৫৪৫, নাসায়ী শরীফ পৃষ্ঠা ১৫৪, ১৮৫, মুসলিম শরীফ ২য় খন্ড ৩৯০ পৃষ্ঠা, আবু দাউদ শরীফ ১ম খন্ড ১৫৭ ও ২৮৯, ২য় খন্ড ২১৮ পৃষ্ঠা, ইবনে মাজাহ শরীফ পৃষ্ঠা ৭৭, ১১৯, ২১৩, বায়হাকী শরীফ পৃষ্ঠা ১০৩, ১০৫, ৪৯৬, জুরকানী শরীফ পৃষ্ঠা ৫৩, ৩৩২, ফয়জুল বারী শরহে বুখারী ২য় খন্ড ৬৪ পৃষ্ঠা, মাদারিজুন্নবুয়াত ১ম খন্ড ৫৬ পৃষ্ঠা, ওয়াফাউল ওয়াফা ১ম খন্ড ৯৪ পৃষ্ঠা, ২য় খন্ড ১৩৫২ পৃষ্ঠা এবং আরও অনেক তফসির শরীফ ও হাদিছ শরীফ) । তাঁদের নবুওয়াতি রেছালাতি প্রকৃত সত্ত্বার মৃত্যু নেই । জাহেরী ইন্তেকাল হয় কিন্তু হাকিকতে জীবিত এবং জাহের নয় হাকিকতই ঈমানের ভিত্তি । আমাদের মহান প্রিয়নবী কোরআনে ঘোষিত আল্লাহতায়ালার মহান সত্ত্বার প্রত্যক্ষ নূর ও রাসুল এবং সব গুনাবলীর রাসুল ও রহমত রুপে সদা বিরাজমান । আল্লাহতায়ালার নূর ও রহমতের মৃত্যু হয় না । আল্লাহতায়ালা কোরআনে পাকে শহীদগণেরও মৃত বলা এমনকি মৃত মনে করাও স্পষ্ট নিষিদ্ধ করেছেন (সুরাঃ বাকারা আয়াতঃ ১৫৪, সুরাঃ আল ইমরান আয়াতঃ ১৬৯) । নবী রাসুলদের যারা মৃত মনে করে তাঁদের আত্মা কুফুরী আত্মা । আমাদের রাসুল শুধু হায়াতুন্নবীই নন আল্লাহতায়ালার পক্ষ থেকে সব হায়াত, এলেম ও নূরেরও উৎস ও মূল । পবিত্র কলেমা অনন্ত প্রবাহমান চিরন্তন চিরঞ্জীব সত্য । কলেমার উচ্চারণে তাওহীদের রেছালাতকে অনন্ত প্রবাহমান চিরঞ্জীব বাস্তব জীবন্ত সত্য হিসেবেই গ্রহণ করে একাত্ম হতে হয়, মৃত হিসেবে নয় । নবী রাসুলদের মৃত মনে করা মৃত্যু দিবস পালন করার ধৃষ্টতা নাস্তিক্য থেকে উদ্ভূত বস্তুবাদী আঁধার বিনাশী কুফরী চিন্তা এবং বাস্তবে কলেমা অস্বীকার ও কলেমা থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে যাওয়া ।

"ইমাম হায়াত আলাইহি রাহমা" আরো বলেনঃ রাসুলকে প্রেরণ করা হয়েছে সকল সৃষ্টির নিকট শাহেদ বা হাজের নাজের অর্থাৎ রেছালাতের পবিত্র দৃষ্টি ক্ষমতার বাহিরে কিছুই নয় । (সুরা আহযাব, আয়াত-৪৫)
সেখানে যারা রেছালাতের এই সিফাতও অস্বীকার করে নবীদ্রোহী বস্তুবাদী দৃষ্টি ভঙ্গীর প্রকাশ ঘটায় তারা পথভ্রষ্ট মিথ্যা ও জাহান্নামী ।

....... আশা করি আপনার ভুল ভেঙ্গে যাবে, দূরীভূত হবে সর্ব প্রকার অপশক্তি ।

৫| ০৪ ঠা সেপ্টেম্বর, ২০১৫ দুপুর ১:২৯

মুদ্‌দাকির বলেছেন: Click This Link

অনুরোধ থাকল, আমার এই লেখাটি পড়ার



০৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ ভোর ৪:০৮

রাসেল সরকার বলেছেন: Link টি দেওয়ার জন্য ধন্যবাদ । সময় করে পড়ার চেষ্টা করবো ।

৬| ০৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ সকাল ১০:৫০

নতুন বলেছেন: নবী রাসুলদের যারা মৃত মনে করে তাঁদের আত্মা কুফুরী আত্মা ।

কথায় কথায় কাফের ঘোষনা করা ৭৪ নং ফ্যারকার লক্ষন :)

আপনাদের কি কমন সেন্স বইলা কিছু নাই?

আপনি কিভাবে চিন্তা করেন যে ... রাসুল সা: তার কবরে জীবিত আছেন?

একটা মানুষকে কিভাবে কবর দেওয়া হয় জানেন? দেখেছন কখনো? সেইভাবে রাসুল সা: কেউ কবর দেওয়া হয়েছিলো....

তাহলে সেই অবস্হায় রাসুল সা: জিবিত আছেন সেটা ভাবেবন কিভাবে?

কোরানের কোন রেফারেন্স দেন পারলে যে রাসুল সা: জীবিত আছে?

১২ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ রাত ২:৪০

রাসেল সরকার বলেছেন: আল্লাহতায়ালা কোরআনে পাকে শহীদগণেরও মৃত বলা এমনকি মৃত মনে করাও স্পষ্ট নিষিদ্ধ করেছেন (সুরাঃ বাকারা আয়াতঃ ১৫৪, সুরাঃ আল ইমরান আয়াতঃ ১৬৯) । নবী রাসুলদের যারা মৃত মনে করে তাঁদের আত্মা কুফুরী আত্মা । আমাদের রাসুল শুধু হায়াতুন্নবীই নন আল্লাহতায়ালার পক্ষ থেকে সব হায়াত, এলেম ও নূরেরও উৎস ও মূল । পবিত্র কলেমা অনন্ত প্রবাহমান চিরন্তন চিরঞ্জীব সত্য । কলেমার উচ্চারণে তাওহীদের রেছালাতকে অনন্ত প্রবাহমান চিরঞ্জীব বাস্তব জীবন্ত সত্য হিসেবেই গ্রহণ করে একাত্ম হতে হয়, মৃত হিসেবে নয় । নবী রাসুলদের মৃত মনে করা মৃত্যু দিবস পালন করার ধৃষ্টতা নাস্তিক্য থেকে উদ্ভূত বস্তুবাদী আঁধার বিনাশী কুফরী চিন্তা এবং বাস্তবে কলেমা অস্বীকার ও কলেমা থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে যাওয়া ।

মুসলিম মিল্লাতের মহামান্য ইমাম "ইমাম হায়াত আলাইহি রাহমা" আরো বলেন, "নবীগণই যেখানে মানবমন্ডলীকে ইন্দ্রিয়াতীত সকল অদৃশ্য অথচ অপরিহার্য বিষয়াবলীর জ্ঞান দান করেছেন এবং এলমে গায়েব
যেখানে নবুওতের অন্যতম শর্ত ও বৈশিষ্ট এবং কো্রআনে পাকে যেখানে বলা হয়েছে, কেবল আল্লাহর মনোনীত রাসূলই এলমে গায়েব অবগত । (সুরা জিন, আয়াত-২৬,২৭)
সেখানে যারা নবীদের এলবে গায়েব অস্বীকার করে তারা পথভ্রষ্ট মিথ্যা ও জাহান্নামী ।

"আন নাবীয়ু আওলা বিল মু'মিনীনা মিন আনফুছিহীম-"আল্লাহতায়ালার নবী মুমিনদের প্রাণের চেয়েও নিকটতম ও প্রিয়তম" (সুরাঃ আহজাব, আয়াত শরীফঃ ৬) ।

রাসুল সর্ব জগতের সর্ব সৃষ্টির জন্য আমার রহমত (সূরা আম্বিয়া, আয়াতঃ ১০৭) । মুমিনদের জন্য আল্লাহর পরম অনুগ্রহ রাসুলকে পাওয়া (সূরা ইমরান, আয়াতঃ ১৬৪) । আল্লাহর অনুগ্রহ ও রহমত প্রাপ্তিতে আনন্দ উ্ৎসব কর এবং এর মধ্যে রয়েছে অশেষ কল্যাণ (সূরা ইউনুছ, আয়াতঃ ৫৮) । রাসূলের হওয়াই আল্লাহর হওয়া (সূরা নিসা, আয়াতঃ ৮০) । "প্রকৃতই তোমাদের নিকট এসেছেন আল্লাহর নিকট থেকে নুর (রাসুল) ও কিতাব (কোরআন)" (সূরা মায়েদা, আয়াতঃ ১৫) ।

প্রিয়নবীই সৃষ্টির জন্য আল্লাহতায়ালার একমাত্র প্রত্যক্ষ মূল আলো, আত্মার আলো, জীবনের আলো, জ্ঞানের আলো, হিদায়াত ও নাজাতের আলো, আল্লাহতায়ালার হাকিকত ও মারেফাতের আলো, অন্যসব আলোর উৎস । আল্লাহতায়ালা ছাড়া কোন পরম অস্তিত্ত্ব, মূল সত্য ও প্রকৃত শক্তি নেই, সে পরম সত্য শক্তি ও মহাসত্ত্বার রেছালাত, সর্বময় মূল প্রতিনিধিত্ত্ব, সম্পর্ক, নূর ও রহমতের ধারক বাহক সংযোগ মহান রাসূল । আল্লাহতায়ালার মহান পবিত্র সত্ত্বা তাঁর প্রত্যক্ষদর্শী রাসুল ব্যতীত সবার জ্ঞান, চিন্তা ও কল্পনার উর্ধে, আল্লাহতায়ালার নূর বলতে প্রিয়নবীকেই বুঝায় । সর্ব সৃষ্টির পূর্বে আল্লাহতায়ালা নূররুপে প্রিয়নবীকে তৈরি করেছেন, নিজ নূরে নূরানী করেছেন, সে নুর থেকেই সব অস্তিত্ত্ব ও জীবন দিয়েছেন, সে নূর থেকে সবাইকে আলোকিত করেছেন । এ জন্য এবং আরো অনেক কারণে প্রিয়নবীই জীবনের উৎস ও মূল । প্রিয়নবী আল্লাহর নূর (তফসিরে রুহুল মায়ানী ১ম খন্ড ২১৭ পৃষ্ঠা, ২য় খন্ড ৯৭ পৃষ্ঠা, তফসিরে রুহুল বায়ান ২য় খন্ড ২৬৯ পৃষ্ঠা, ৩য় খন্ড ৫৪৩ পৃষ্ঠা, তফসিরে মাদারেক ১ম খন্ড ৪১৭ পৃষ্ঠা, তফসিরে খাজেন ১ম খন্ড ৪১৭ পৃষ্ঠা, ২য় খন্ড ২৮, ৩য় খন্ড ৩৩২ পৃষ্ঠা, তফসিরে বায়জাবী ১ম খন্ড ৬৪ পৃষ্ঠা, তফসিরে মাজহাবী ৩য় খন্ড ৬৮ পৃষ্ঠা, তফসিরে ইবনে আব্বাস ২য় খন্ড ২৭০ পৃষ্ঠা, তফসিরে জারির ৬ষ্ঠ খন্ড ১৬১, তফসিরে ইবনে কবির ৩য় খন্ড ৩৮৬ ৩৯৫, তফসিরে জালালাইন ৯৭ পৃষ্ঠা, তফসিরে কুরতুবী ১১৮ পৃষ্ঠা, তফসিরে মাদারেজ ১ম খন্ড ৪১৭ পৃষ্ঠা এবং আরো অনেক তফসির শরীফ ও হাদিছ শরীফ) ।
....... আশাকরি আর বিশ্লেষণ করার দরকার হবেনা ।

৭| ১২ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ সকাল ৭:২৩

ডাইরেক্ট টু দ্যা হার্ট বলেছেন: যারা ধর্ম গ্রন্থ ব্যতিত ভুল পথে থাকে তাদের বোঝানো কিংবা ফেরানো সহজ, যারা ধর্ম গ্রন্থ্য সহ ভুলে থাকে তাদের ফেরানো সহজ নয়।

আপনাকে কিছু বলে লাভ নেই মনে হচ্ছে,তারপরও আরো একটু ভাববো আপনার সাথে কথা বলতে।

০৭ ই অক্টোবর, ২০১৫ রাত ১২:২২

রাসেল সরকার বলেছেন: এত প্রমাণাদী উল্লেখ করার পরও যাদের সংশয় নিরসন হয় না, তাদের সাথে আলোচনা কি হবে !!!

৮| ১২ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ সকাল ১১:০২

নতুন বলেছেন: নবী রাসুলদের যারা মৃত মনে করে তাঁদের আত্মা কুফুরী আত্মা । আমাদের রাসুল শুধু হায়াতুন্নবীই নন আল্লাহতায়ালার পক্ষ থেকে সব হায়াত, এলেম ও নূরেরও উৎস ও মূল । পবিত্র কলেমা অনন্ত প্রবাহমান চিরন্তন চিরঞ্জীব সত্য । কলেমার উচ্চারণে তাওহীদের রেছালাতকে অনন্ত প্রবাহমান চিরঞ্জীব বাস্তব জীবন্ত সত্য হিসেবেই গ্রহণ করে একাত্ম হতে হয়, মৃত হিসেবে নয় । নবী রাসুলদের মৃত মনে করা মৃত্যু দিবস পালন করার ধৃষ্টতা নাস্তিক্য থেকে উদ্ভূত বস্তুবাদী আঁধার বিনাশী কুফরী চিন্তা এবং বাস্তবে কলেমা অস্বীকার ও কলেমা থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে যাওয়া ।

যদি কেউ জিবিত ই থাকে তবে তাকে কবরে রাখার কারন কি? কবর দেবার পরে যখন জীবিত থাকে..তখন তাকে কবর থেকে উঠিয়ে নিলেই হয় তাই না?

আপনারা কমনসেন্স বইলা একটা জিনিস আসে সেটা কি জানেন?

জীবিত থাকতে হলে খাবার খেতে হয় তা কি জানেন?
জীবিত থাকতে হলে স্বাস নিতে হয় তা কি জানেন?

জিবিতরা এই সব করে কবরে শুয়ে??

একটা প্রশ্ন হজ করতে গিয়ে আজ গত কয়েক বছরে প্রায় ৩০০০ জন হাজী মারা গেলো কেন?

ঐখানে অলৌকিক ভাবে তারা রক্ষা পেল না কেন?

কারন অলৌকিক কিছু ঘটে না। আপনারা তো মনে হইতেছে ৭৫ নং ফেরকার অনুসারী...

০৭ ই অক্টোবর, ২০১৫ রাত ১২:২৬

রাসেল সরকার বলেছেন: বস্তুবাদী দৃষ্টি দিয়ে যারা নবী রাসুল আলাইহি ওয়া ছাল্লা্মগণকে দেখে, তারা কোনদিনও সত্যের সন্ধান পাবেনা ।

৯| ১২ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ সকাল ১১:১৩

শতদ্রু একটি নদী... বলেছেন: ্কত শত ফেরকারে ভাই, ফেরকার প্যাচে ধর্মই ভুইলা যাই।

০৭ ই অক্টোবর, ২০১৫ রাত ১২:২৯

রাসেল সরকার বলেছেন: মুসলিম দাবী করলে, পবিত্র কোরআন ও হাদিছ শরীফ অস্বীকার করা যায় না । হকের সাথে বাতেলের দ্বন্দ চিরন্তন ।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.