নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

চেতনায় বদর-ওহোদ-কারবালা ।

রাসেল সরকার

প্রিয়নবীর প্রেমহীন আত্মামৃত, সর্ব মিথ্যার অন্ধকারে নিমজ্জিত ।

রাসেল সরকার › বিস্তারিত পোস্টঃ

তাবলিগ জামায়াত কোন পথে ???

২১ শে জানুয়ারি, ২০১৫ ভোর ৪:২৫

ইসলামের ছদ্মনামে মেওয়াতী তবলীগ চরম গোমরাহী ফেরকা তথা ৭২টি জাহান্নামী দলের একটি । এই সংঘঠনটি ১৯২৬ ইং সালে বর্তমান ভারতের > মেওয়াত নামক শহর হতে কার্যক্রম শুরু করে । তার অনুসারীরা তাকে হজরত জী বলে ডাকে । ইলিয়াছ মেওয়াতী ১৮৮৫ ইং সালে জন্ম গ্রহণ করে এবং ১৯৪১ ইং সালে মৃত্যু বরণ করে ।
বাংলাদেশ সহ প্রায় সারা বিশ্বের সাধারণ ধর্মপ্রাণ মুসলমানগন, তাদের বাহ্যিক লেবাস দেখে তাদের প্রতি আকৃষ্ট হয়ে দ্বীনের প্রকৃত ধারা হতে যেমন সরে যাচ্ছে তেমনিভাবে তাদের আকিদাকে সঠিক মনে করতেছে । কিন্তু সত্য অনেক ভিন্ন । কারনঃ-
* ইসলামের উছুল হলো পাঁচটিঃ কলেমা, নামাজ, রোজা, যাকাত ও হজ্ব । কিন্তু ইলিয়াছ শান্তি, মুক্তি ও মানবতার ধর্ম ইসলামের পঞ্চবেনা ভেঙ্গে মনগড়া ছয় উছুলে রূপান্তর করেছে । যথাঃ- কলেমা, নামাজ, একরামুল মুছলেমীন, এলেম ও জিকির, ইখলাছে নিয়্যাত, দাওয়াত ও তবলীগ ।
* মৌঃ শিব্বির আহম্মদ দেওবন্দী মোকালাতুস সদরইন নামক কিতাবে লিখেছে- মৌঃ ইলিয়াছ মেওয়াতীকে বৃটিশ গভঃ-এর পক্ষ হইতে নিয়মিত ৬০০ টাকা করে মাসিক ভাতা দেয়া হত । প্রক্ষাত ঐতিহাসিক জনাব মাওলানা গোলাম মেহের আলী সাহেবের দেওবন্দী মাজহাব নামক কিতাবেও এই ভাতা প্রাপ্তির কথা উল্লেখ রয়েছে ।
* ইলিয়াছ মেওয়াতী তার বিশ্বস্ত শিষ্য জহিরুল হাসানকে তার আসল উদ্দেশ্য প্রকাশ করতে গিয়ে বলেছে যে, জহিরুল হাসান আমার গোপন রহস্য কেউ জানেনা, লোকজন মনে করছে এটা নামাজের আন্দোলন, আমি কসম খেয়ে বলছি এটা কোন নামাজের আন্দোলন নয় । একদিন খুবই আক্ষেপ করে বললেন, মিয়া জহিরুল হাসান আমার উদ্দেশ্য হলো নতুন একটি কওম তথা দল সৃষ্টি করা । ( দ্বিনী দাওয়াত উর্দু রেছালার ২৩৪ পৃষ্ঠা )।
*তবলীগ জামায়াতের চিল্লা- আল্লাহর রাস্তায় জেহাদ করার চেয়েও শ্রেষ্ট । ( মালফুজাত- ৬৭, ৬৮, ১২৩ পৃষ্ঠা ) ।
* ১৯৫০ এর দশকে তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তান বর্তমান বাংলাদেশে তবলীগ জামায়াতের প্রসার লাভ করে । ১৯৬৫ সালে ঢাকায় প্রথম এজতেমা শুরু হয় । এর আগে এই এজতেমা অনুষ্ঠিত হত কাকরাইল মসজিদে । পরবর্তীতে টঙ্গীর তুরাগ নদীর পূর্ব তীরে এই এজতেমার সমাবেশ অনুষ্ঠিত হতে থাকে ।
>> বোখারী শরিখঃ ২য় খন্ড ১১২৮ পৃষ্ঠা আবু সাঈদ খুদরী থেকে বর্ণিত- প্রিয় নবী এরশাদ ফরমান- পূর্বদেশ থেকে একটি দল বের হবে, এরা কুরআন পড়বে কিন্তু ওদের কুরআন পড়া হলকুমের নীচে যাবেনা ।ওরা দ্বীন ধর্ম থেকে এরূপ ভাবে বের হয়ে যাবে, যেমন তীর শিকার ভেদ করে চলে যায় আর কখনো শিকারের উপর ফিরে আসেনা । জিজ্ঞাসা করা হলো ইয়া রাসুলাল্লাহ ওদের চেনার উপায় কি ? প্রিয়নবী বললেন, ওরা অধিকাংশ লোকই মাথা কামায়ে (চেচে) রাখবে ।
মেশকাত শরীফের ২য় খন্ডে ৪৬২ পৃষ্ঠায় হাশিয়া লুমআতে বর্ণিত আছে ওরা গোল হয়ে বসবে ।

মন্তব্য ১৪ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (১৪) মন্তব্য লিখুন

১| ২১ শে জানুয়ারি, ২০১৫ সকাল ৮:২০

নিলু বলেছেন: ধর্ম প্রচারে এতো মত /ভেদ কেনও ? আমাদের পবিত্র হাদিছ অনুযায়ীই তা প্রচার হয়ার কথা , সেখানে দেখা যাচ্ছে , ধর্ম সভায় একরকম , ওরসে অন্যরকম , পীর / ফকিরের আস্তানায় আর এক রকম , তাবলীগে , মাজারে ভিন্নরকম । আমার কথা হোলও , মহানবী সাহেবের আদর্শগুলি অনুসরণ করাই আমদের দায়িত্ব ও কর্তব্য , এর কোনও বিকল্প আছে কি ?

০৩ রা সেপ্টেম্বর, ২০১৫ রাত ৩:৫৬

রাসেল সরকার বলেছেন: মহান প্রিয় নবীর শানে "সাহেব" তথা মানবিক শব্দ ব্যবহার করা যায় না । কেননা সূরা নূরের ৬৩নং আয়াতে বলা হয়েছে, তোমরা পরষ্পর নিজেদের যেভাবে অভিহিত কর (অর্থাৎ সর্ব সাধারণের জন্য যে ভাষা ও শব্দ যেমন জন্ম, মৃত্যু, সাহেব ইত্যাদি ব্যবহার করা হয়) আল্লাহর মহান রাছুলের শানে সেভাবে করবে না ।" (সূরা নূর, আয়াত: ৬৩)

২| ২১ শে জানুয়ারি, ২০১৫ সকাল ৯:৫২

নিজাম বলেছেন: আপনাকে আল্লাহ মঙ্গল দান করুন। আপনার উল্লেখিত "ইসলামের উছুল ৫টি" প্রকৃত তথ্য হলো "ইসলামের ভিত্তি বা খুঁটি ৫টি"। উসুল আর ভিত্তি কী এক কথা? দ্বিতীয়তঃ "মেওয়াতী তবলিগের উছুল ৬টি" নয় বরং, মুসলমানদের অসংখ্য গুণাবলীর মধ্যে প্রধান ৬টি গুন বলা হয়। বৃটিশদের কাছ থেকে অর্থ নেয়ার অভিযোগ ভিত্তিহীন।
পৃথিবীর দুই শতাধিক দেশে এই কাজ বর্তমানে চালু আছে। পৃথিবীর কোন দেশের কোন আলেম-ওলামা এই কাজের কোন ভুল ধরতে পারে নি। আপনি যাদের রেফারেন্স উল্লেখ করেছেন, তাঁদের গ্রহণযোগ্যতা কতটুকু? অনুগ্রহ করে ভ্রান্তিমূলক অপপ্রচার বন্ধ করুন। আল্লাহ আপনার উপকারী জ্ঞান দান করুন। আমিন।

০৩ রা সেপ্টেম্বর, ২০১৫ রাত ৩:৫৯

রাসেল সরকার বলেছেন: উছুল , ভিত্তি এবং বেনা কাকে বলে ? কোন সংঘঠনের অনেক গুলি নিয়মনীতি থাকতে পারে, কিন্তু প্রশ্ন হল মূল স্তম্ভ থেকে কলেমা ও নামাজ নিয়ে, আর বাকী চারটা নিজের মতো করে লাগানোর মানে কি ? আর এর দলিল কোথায় পেল ? শান্তি, মুক্তি, মানবতার ধর্ম "ইসলামের" পঞ্চ বেণা ভেঙ্গে যারা ছয় উছুলে রূপান্তর করেছে, তারা কি জাহান্নামী নয় ? বৃটিশদের কাছ থেকে অর্থ নেওয়ার অভিযোগ ভিত্তিহীন নয়, যখন কোনকিছু লিখি তখন উপযুক্ত প্রমানাদী হাতে নিয়েই লিখি । যারা কাফের এজিদকে কাফের বলেনা, তারা কি করে নিজেদেরকে মুসলমান দাবী করে ??

৩| ২১ শে জানুয়ারি, ২০১৫ দুপুর ১২:১৫

পাগলাগরু বলেছেন: চুলকায়?

০৩ রা সেপ্টেম্বর, ২০১৫ ভোর ৪:০০

রাসেল সরকার বলেছেন: পাগলে কি না বলে, আর ছাগলে কি না খায় ?

৪| ২১ শে জানুয়ারি, ২০১৫ দুপুর ১২:৪৮

আহলান বলেছেন: আল্লাহ পাকই ভালো জানেন ...। তাবলিগের কিছু কিছু বিষয় আসলেই সন্দেহ যুক্ত। তাঁরা তাঁদের কিতাব ছাড়া অন্য কোন কিতাব আমলে আনে না, তাবলিগী নেছাব সহ আর কি কি যেনো আছে। মিলাদ ক্বিয়ামকে তারা সর্বৈব অগ্রহনীয় মনে করে। জিকির, মোরাক্বাবা, মোশাহেদা তথা এলমে মারেফতের চর্চা এঁদের মধ্যে নাই অথচ মারেফত ছাড়া শরিয়ত লবন বিহীন তরকারীর ন্যায়। মসজিদে থাকা খাওয়ার ব্যবস্থা করে মসজিদকে বাস গৃহে পরিণত করা এদের আরেকটি বাজে কাজ।

০৩ রা সেপ্টেম্বর, ২০১৫ ভোর ৪:০১

রাসেল সরকার বলেছেন: অসংখ্য ধন্যবাদ । সন্দেহ নয়, দ্বীনের ছদ্মনামে ইলিয়াছি তবলীগ জামায়াত চরম গোমরাহী ফেরকা ।

৫| ২৬ শে এপ্রিল, ২০১৫ রাত ১১:২৪

তানভীরএফওয়ান বলেছেন: যত কেয়ামত কাছে আসবে তোদের মত সুট টাই পরা বক ধারমিক তত দেখা যাবে।

০৩ রা সেপ্টেম্বর, ২০১৫ ভোর ৪:০৩

রাসেল সরকার বলেছেন: যাদের আত্মা-জীবনে কাফের এজিদের নাপাকি বিদ্যমান কেবল তারাই, দ্বীনের ছদ্ম নামধারী "ইলিয়াছ মেওয়াতীর তবলীগের পক্ষে কথা বলে ।

৬| ২৫ শে আগস্ট, ২০১৫ ভোর ৫:৩৮

আল্লাহ আমাদের দেখছেন বলেছেন: “যে বিষয়ে তোমার কোনো জ্ঞান নেই, (অযথা) তার পেছনে পড়ো না।” কেননা কান,চক্ষু ও অন্তঃকরণ,এদের প্রত্যেকটি জিজ্ঞাসিত হবে। (সূরা আল-ইসরাঃ৩৬)

০৩ রা সেপ্টেম্বর, ২০১৫ রাত ৩:৩৯

রাসেল সরকার বলেছেন: যারা সত্য পাওয়ার পর অপরের নিকট প্রকাশ করেনি, শেষ বিচারের দিনে তাদের জন্য রয়েছে কঠোর শাস্তির বিধান । = "আল-কোরআন"

৭| ২৫ শে আগস্ট, ২০১৫ ভোর ৬:২৪

ডাইরেক্ট টু দ্যা হার্ট বলেছেন: মেওয়াত,গোমরাহী ফেরকা,উছুল,আকিদাকে,চিল্লা,হলকুমের,ক্বিয়ামকে,মোরাক্বাবা, মোশাহেদা,আওলিয়াকেরামের,

আপনার পোস্ট এবং মন্তব্যে এই শব্দ গুলো পেয়েছি, এগুলোর বাংলা কি?

০৩ রা সেপ্টেম্বর, ২০১৫ রাত ৩:৫৪

রাসেল সরকার বলেছেন: ফেরকা = দল ।
উছুল = বেণা তথা ইসলামের পাঁচটি স্তম্ভ ।
আকিদা = বিশ্বাষ ।
চিল্লা = ইলিয়াছি তবলীগ জামায়াতীদের ভাষায় ৪০ দিন মসজিদে রাত্রি যাপন করলে, এক চিল্লা ।
হলকুম = কন্ঠনালী ।
কিয়াম = বিশেষ পরিবেশে দাড়িয়ে তাজিমের সহিত মহান প্রিয়নবীর শান-মান উচ্চারণ করা ।
খাজাবাবা, গাওছেপাক তাদেরকে আওলিয়াকেরাম বলা হয় ।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.