নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

চেতনায় বদর-ওহোদ-কারবালা ।

রাসেল সরকার

প্রিয়নবীর প্রেমহীন আত্মামৃত, সর্ব মিথ্যার অন্ধকারে নিমজ্জিত ।

রাসেল সরকার › বিস্তারিত পোস্টঃ

গোয়েন্দা অফিসার হামফ্রের ডায়েরীতে ওহাব নজদীর ঈমান আকীদা ও চরিত্র ।

১৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ রাত ১১:৫৮


সাম্রাজ্যবাদী ব্রিটিশ সরকারের গোয়েন্দা অফিসার মিস্টার হামফ্রে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় এককভাবে ব্রিটিশ সরকারের গোয়েন্দা নিযুক্ত ছিলেন, তুরস্ক, ইরাক, ইরান ও অন্যান্য আরব দেশসমূহতে, তার ডাকবাংলা ছিল ইরাকের অন্যতম শহর বসরার তরখানে । তার গোয়েন্দা সংস্থার লক্ষ্য ছিল ইসলাম ধর্মের উপর আঘাত হেনে মুসলিম জাতির মধ্যে বিভেদ সৃষ্টি করা । হামফ্রের ডায়েরীতে মোহাম্মদ বিন আবদুল ওহাব নজদীর ঈমান, আকীদা ও চরিত্রাবলীর কথা উল্লেখ রয়েছে । “হামফ্রের” উক্ত ডায়েরী খানা দ্বিতীয় বিশ্ব যুদ্ধের সময় জার্মানীদের হস্তগত হয় । তখন জার্মান পত্রিকা “ইসপিগল” ডায়েরী খানা ধারাবাহিক ভাবে প্রকাশ করে । এতে মোহাম্মদ বিন আবদুল ওহাব নজদীর ঈমান, আকীদা ও চরিত্রাবলী সম্যক ভাবে জানা যায় ।
“হামফ্রের” ডায়েরী খানাতে মিস্টার হামফ্রে বলেন, আমি যখন বসরার তরখানের গোয়েন্দাগিরীতে নিয়োজিত ছিলাম তখন একজন মুসলিম ধর্ম সংস্কারক লোকের সাথে আমার সাক্ষাত হয় । সেই ব্যক্তি তুর্কী, ফার্সী ও আরবী ভাষায় কথা বার্তা বলতে পারতেন । তিনি দ্বীনী তালেবে ইলেমের পোষাক পরিধান করে এ দিক সে দিক বেড়াতেন । তিনি বড় উচ্চাভিলাসী উচ্চ মরযাদাকাংখী ব্যক্তি ছিলেন । মিস্টার হামফ্রে তার পরিচিতি চাইলে, তিনি অত্যন্ত অহংকারের সাথে বললেন, আমি মোহাম্মদ বিন আবদুল ওহাব নজদী । নজদী সাহেব তৎকালীন তুরস্কের ওসমানী সরকারের প্রতি অত্যন্ত ঘৃণা পোষণ করতেন তার দৃষ্টিতে হানাফী, শাফেয়ী ও মালেকী মাযহাবের কোন মরযাদা ছিল না ।
নজদী সাহেবের বক্তব্য হলঃ আল্লাহর কোরআনে যা আছে তাই আমল যোগ্য । মিস্টার হামফ্রে বলেন, নজদী সাহেব প্রয়োজন হলে নিজ অভিমতের পক্ষে ইমাম ইবনে তায়মিয়ার (ইবনে তায়মিয়ার পরিচয় পরে দেওয়া হবে) মতামত প্রমাণ হিসেবে পেশ করতেন । আম্বিয়া, সাহাবা ও আওলীয়ায়ে কেরামগণ তার নিকট ছিল অতি তুচ্ছ । মিস্টার হামফ্রে ভেবে দেখলেন যে, নজদী সাহেবের মত স্বাধীনচেতা লোক আমার দরকার । এরূপ লোক দ্বারা ইসলামী সমাজে ফাটল ধরানো সহজ হবে । তাই তিনি নজদী সাহেবকে তরখানের ডাক বাংলায় আমন্ত্রণ করেন । নজদী সাহেবও আমন্ত্রণ গ্রহণ করেন ।
তরখানের ডাক বাংলায় মোহাম্মদ বিন আব্দুল ওহাব নজদীর দাওয়াতঃ-
মিস্টার হামফ্রের আমন্ত্রণে মোহাম্মদ বিন আবদুল ওহাব নজদী তরখানের ডাক বাংলায় নির্দিষ্ট সময়েই উপস্থিত হন । যে দিন নজদী সাহেব ডাক বাংলায় উপস্থিত হন সে দিন ডাক বাংলার খাবার টেবিলে শিয়া তর্কবিদ শেখ জাওয়াদ কুসমী সাহেবও উপস্থিত হন । মিস্টার হামফ্রে উভয় ধর্ম সংস্কারককে খাবার টেবিলে খাবার দেন । খাবার মধ্যে দুজন সংস্কারক পরস্পর পরস্পরের বিরুদ্ধে তর্কে লিপ্ত হন । কারণ ওহাবী ও শিয়া মতবাদের মধ্যে মাযহাবী মতভেদ ছিল অনেক ।
খাবার পর শেখ জাওয়াদ মিস্টার হামফ্রেকে গোপনে বললঃ এই নজদী সাহেব বৃটিশ সরকারের উদ্দেশ্যাবলীকে কার্যকরী করার জন্য উপযোগী হবে বলে আমার দৃঢ় বিশ্বাস । তাকে যেভাবেই হউক কাবু করতেই হবে । তাই শেখ জাওয়াদ ক্রমে ক্রমে নজদী উচ্চাভিলাসী, আত্মপুজারীকে জড়ায়ে ফেলার চেষ্টা করে । এমনকি শেখ জাওয়াদ নজদী সাহেবকে ফাঁদে ফেলার জন্য তার সঙ্গে গভীর সম্পর্ক স্থাপন করল । সামান্য কিছু দিনের মধ্যে উভয় ধর্ম সংস্কারকের মধ্যে অস্বাভাবিক সম্পর্ক গড়ে উঠে ।
শেখ জাওয়াদ বলেন, আমি নজদী সাহেবের সঙ্গে কোরআন, হাদীস, নবী, সাহাবা ও আওলীয়ায়ে কেরামগণের সম্বন্ধে আলোচনা করার জন্য প্রস্তাব দিলাম । নজদী সাহেব এ প্রস্তাবে সম্মতি জ্ঞাপন করলেন ।
শিয়া-ওহাবীর মধ্যে ধর্মীয় আলোচনার প্রথম দিনঃ-
মুতা বিবাহ, শিয়াপন্থী শেখ জাওয়াদ সাহেব মোহাম্মদ বিন আবদুল ওহাব নজদীকে জিজ্ঞেস করলেন, হে নজদী সাহেব । মহিলাদের সাথে মুতা তথা অস্থায়ী বিবাহ করা সম্পর্কে আপনার রায় কি? নজদী বললেন, মুতা বিবাহ হারাম এতে কোন সন্দেহ নেই ।
শেখ জাওয়াদ সাহেব পাল্টা প্রশ্ন করলেন, যদি মুতা বিবাহ হারাম হয়, তবে কোরআনে উহাকে জায়েয ঘোষণা দেওয়া হলো কেন? যেমন সূরা নিসার ২৪ নম্বর আয়াতে বলা হয়েছে, যদি তোমরা কোন মহিলার সঙ্গে মুতা বিবাহ করতে ইচ্ছুক হও, তবে তাদের মোহরানা আদায় করে দিও ।
মোহাম্মদ বিন আবদুল ওহাব নজদী সাহেব পাল্টা উত্তর করেন, শেখ সাহেব! আল্লাহর কোরআনের আসল অর্থ সকলের বুঝা বড় মুসকিল । কোরআনের আয়াত একেবারে নিজ স্থানে সঠিক আছে । কিন্তু ওমর ফারুক রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু বলেছেন, মুতা প্রিয় নবীর যুগে প্রচলিত ছিল । এখন আমি উহাকে হারাম বলে ঘোষণা দিলাম । আজ হতে যদি কেহ অস্থায়ী বিবাহে লিপ্ত হয়, আমি তার গর্দান উড়ায়ে দিব ।
শেখ জাওয়াদ এই উত্তর শ্রবণে অভাক হয়ে বললেন, হে ওহাবী সাহেব । আপনি কি ওমর ফারুক রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু-কে অনুসরণ করেন? অথচ আপনি ওমর ফারুক রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু হতে অধিক জ্ঞানী । ওমর ফারুক রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু-এর কি ক্ষমতা আছে যে, সে আল্লাহ ও রাসূলের বিধানকে নাড়াচাড়া করবে । আর আপনি অস্থায়ী বিবাহকে হারাম বলে ঘোষণা দিয়ে কোরআনের সিদ্ধান্তের বিপরীত করছেন । (আস্তাগ ফিরুল্লাহ)
মোহাম্মদ বিন আবদুল ওহাব নজদী আমতা আমতা করে বললেন, আজ হতে আমি মুতা বা অস্থায়ী বিবাহ বৈধ ঘোষণা দিলাম ।
শেখ জাওয়াদ উক্ত উত্তর পাওয়ার পর ওহাবী সাহেবের যৌন উত্তেজনাকে উদ্বুদ্ধ করতে লাগলেন । ওহাবী সাহেব যখন মুতা বিবাহ বৈধ ঘোষণা দিলেন তখনও তিনি অবিবাহিত ছিলেন ।
শেখ জাওয়াদ মোহাম্মদ বিন আবদুল ওহাবকে জিজ্ঞাসা করলেন, আপনি কি মুতা বিবাহ করে নিজের জীবন আনন্দদায়ক করতে চান?
নজদী সাহেব মাথা নাড়া দিয়ে মুতা বিবাহের সম্মতি দিলেন । অতঃপর শেখ জাওয়াদ ওয়াদা দিলেন যে, আমি ইহার একটা ব্যবস্থা করবো ইনশাআল্লাহ । তবে শেখ জাওয়াদের ভয় হল যে, ওহাবী সাহেব বসরার ছুন্নীদের ভয়ে ভীত হয়ে যায় নাকি । কারণ ছুন্নীরা মুতা বিবাহকে হারাম বলেন । শেখ জাওয়াদ মোহাম্মদ বিন আবদুল ওহাবকে বললেন, ভাই নজদী ! আমার ওয়াদা সঠিক পাবেন এবং আমার প্রোগ্রাম একেবারে গোপন থাকবে । এমনকি আপনি যে রমণীর সঙ্গে মুতা করবেন তার নিকটও আমি আপনার নাম পর্যন্ত উচ্চারণ করবো না ।
একথা বলার পর শেখ জাওয়াদ বলেন, আমি মুতার ব্যবস্থার জন্য নিদিষ্ট পাড়াতে চলে আসলাম । বসরায় ইংরেজ উপনিবেশ সরকারের পক্ষ হতে চরিত্র নষ্টের জন্য খৃষ্টান এক সুন্দরী রমণী নিয়োজিত ছিল । সে মহিলার নিকট আমি সবিস্তারে মুতার পরিকল্পনার কথা বললাম । সে মহিলা মোহাম্মদ বিন আবদুল ওহাবের সঙ্গে মুতা করতে রাজীও হল । তখন আমি সে মহিলার তথাকথিত নাম রাখলাম সূফিয়া, আর আমি মহিলাটিকে বললাম, যথা সময়ে নির্ধারিত ব্যক্তিকে তোমার নিকট নিয়ে আসবো ।
নির্দিষ্ট রাতে আমি মোহাম্মদ বিন আবদুল ওহাব নজদী সাহেবকে সঙ্গে করে তথাকথিত সুফিয়ার নিকট পৌঁছে গেলাম । তিনি এক আশরফীর বিনিময়ে সুফিয়াকে মুতা বিবাহ করলেন । অতঃপর অবিবাহিত যুবকের স্বাধীন চিন্তাধারার নতুন স্বাদ পান করলো সুন্দরী সুফিয়া ।

মন্তব্য ১ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (১) মন্তব্য লিখুন

১| ১৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ রাত ১২:২২

হোসেন মালিক বলেছেন: কি জানি কি ঘটনা

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.