নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

চেতনায় বদর-ওহোদ-কারবালা ।

রাসেল সরকার

প্রিয়নবীর প্রেমহীন আত্মামৃত, সর্ব মিথ্যার অন্ধকারে নিমজ্জিত ।

রাসেল সরকার › বিস্তারিত পোস্টঃ

দেওবন্দী উস্তাদ সাগরিদের লড়াই, কিতাবে “ফায়সালায়ে হাপ্তে মাসআলায়” আগুনঃ

১৬ ই মার্চ, ২০১৫ রাত ২:২১


দেওবন্দী মৌলভীগণ জন্মগত ভাবে মিলাত কেয়ামের গোঁড়া বিরোধী । তারা ওয়াজ নসিহতের মধ্যে প্রকাশ্য বয়ান করেন যে, মিলাদ শরীফ পালনকারী বেদআতী এবং মুশরীক । কিন্তু তাদের প্রসিদ্ধ উস্তাদ সর্বজন বরণ্যে মহামান্য পীর, আলেম, মুছলেহ ও মুর্শিদ “হাজী ইমদাদুল্লাহ মুহাজেরে মক্কী রাহমাতুল্লাহে আলাইহি” আগ্রহ সহকারে মিলাদ শরীফের আয়োজন করতেন, ইছালে সাওয়াব করতেন । যিনি মিলাদ কিয়ামকে পূণ্যের কাজ বলতেন, তিনি হলেন হাজী ইমদাদুল্লাহ মোহাজেরে মক্কী রাহমাতুল্লাহে আলাইহি । তাঁর কতিপয় ছাত্র যেমন মৌলভী রশিদ আহাম্মদ গংগুহী, মৌলভী খলিল আহাম্মদ আম্বুটি, মৌলভী আশরাফ আলী থানভী প্রমুখ হাজী সাহেবের বিরুদ্ধে চরম পন্থা অবলম্বন করে ওলীয়ে কামেলকে মিলাদ কেয়াম পছন্দ করার কারণে ঘৃণা করতে লাগল । তবে মৌলভী আশরাফ আলী থানভী কানপুর মাদ্রাসায় শিক্ষক থাকা কালীন তথায় মিলাদ শরীফকে সওয়াবের কাজ হিসেবে নিজেও পালন করেছিলেন । জনাব রশীদ আহাম্মদ গংগুহীর খপ্পরে পড়ে পরে তিনিও মিলাদ শরীফকে হারাম বলতে শুরু করলেন ।
শেষ পর্যন্ত মিলাদ কেয়ামকে কেন্দ্র করে উস্তাদ সাগরিদের মধ্যে দ্বন্দ্ব শুরু হয়ে গেল । উস্তাদ কোন এক স্থানে তাশরীফ নিয়ে মিলাদ কেয়াম করে আসার পর পরই উল্লেখিত বিদ্রোহী ছাত্রগণ সেখানে গমন করে বলতেন, হাজী সাহেব একটি হারাম কাজে লিপ্ত হয়ে গেছেন । তাঁকে আপনারা কখনও ওয়াজ নছিহতের মাহফিলে দাওয়াত করবেন না । বারংবার এই রূপ কুতসা নীতি এবং অপ প্রচারের দরুন হাজী ইমদাদুল্লাহ মোহাজেরে মক্কী রাহমাতুল্লাহে আলাইহি বিভিন্ন স্থানে অপদস্ত হতে লাগলেন । হাজী সাহেবের বিদ্রোহী ছাত্র রশিদ আহাম্মদ গংগুহী মিলাদ কেয়ামকে হারাম নাম দিয়ে একটি ফতোয়া রচনা করে গ্রামে গঞ্জে ভ্রমণ করে হাজী সাহেবের বিরুদ্ধে প্রকাশ্য অপপ্রচারে লিপ্ত হয়ে গেল । হাজী সাহেবও মিলাদ কেয়ামের স্বপক্ষে এ্কটি বিস্তারিত পুস্তক রচনা করেন যার নাম “ফায়সালায়ে হাপ্ত মাসআল” । হাজী সাহেব কিতাব খানা রচনা করে বর্তমান হিন্দুস্থানের মধ্যে বিনামূল্যে বিতরণ শুরু করলেন । আর কিছু সংখ্যক কিতাব বিনামূল্যে বিতরণের উদ্দেশ্যে তাঁর একান্ত ভক্ত ছাত্র জনাব আবদুস সামী সাহেবের নিকট প্রেরণ করলেন । কিন্তু রশিদ আহাম্মদ গংগুহী উক্ত কিতাব সমূহকে সেখান থেকে এনে একত্র করে অগ্নিদগ্ধ করলো । কিতাব পোড়ার খবর শুনে হাজী সাহেব গংগুহীকে অন্তর খুলে বদদোয়া করলেন । যার কারণে রশিদ আহাম্মদ গংগুহী মাতালের বেশে লুঙ্গি দিয়ে পাগড়ী বেঁধে উস্তাদের বিরুদ্ধে অপপ্রচার শুরু করলো ।
মৌলভী রশিদ আহাম্মদ গংগুহী ‘মিলাদ কেয়াম’ হারাম প্রমাণ করার জন্য তাঁর একান্ত বন্ধু মৌলভী খলিল আহাম্মদ আম্বুটিকে ভাওয়ালপুরের ওয়াজের অনুষ্ঠানে উপস্থিত হওয়ার নির্দেশ দেন । তিনি সে স্থানে ঠিক সময় উপস্থিত হয়ে মিলাদ কেয়ামকে হারাম বললেন । তখন জনতা খলিল আহাম্মদ আম্বুটিকে নাজেহাল কারার জন্য মারমুখি হয়ে গেল । খলিল কোন রকমে প্রাণ রক্ষা করে আবার রশিদ আহাম্মদ গংগুহীর আস্তানায় উপস্থিত হয় । রশিদ আহাম্মদ গংগুহী খলিল আহাম্মদ আম্বুটির অপমানের কথা শুনে কছম করে বললেন, এবার দুদিকের একদিক করবো ইনশাআল্লাহ । খলিল আহা্ম্মদ আম্বুটিকে নির্দেশ দিলেন যে, মিলাদ কেয়ামকে হারাম প্রমাণ করে আরো কতিপয় ধর্মনাশা উক্তি সম্বলিত একটি কিতাব রচনা কর ।রশিদ আহাম্মদ গংগুহীর নির্দেশক্রমে খলিল আহাম্মদ “বারাহীনে কাতেয়াহ” নামে একটি পুস্তক রচনা করলো । যার উ্ল্লেখ যোগ্য বিষয় বস্তুগুলো নিম্নে প্রদত্ত হলঃ
১। আল্লাহ মিথ্যা কথা বলতে পারেন তবে বলেন না ।
২। প্রিয়নবী নূরের তৈরী ছিলেন না; বরং তিনি আমাদের মত মানুষ ছিলেন, তিনি আমাদের তুলনায় বড় ভাই এর মর্যাদায় ছিলেন ।
৩। প্রিয়নবীর জ্ঞান বুদ্ধি শয়তানের চেয়েও কম ছিল ।
৪। প্রিয়নবী রাহমাতুললিল আলামীন ছিলেন, তবে একক ছিলেন না ।
৫। প্রচলিত মিলাদ কেয়াম একেবারে হারাম । মিলাদ মাহফিল পালনকারী মুশরিক তুল্য ইত্যাদি । আরো অন্তত শতের উদ্ধে কুফুরী কালাম সম্বলিত কটুক্তি দ্বারা উক্ত ধর্মনাশা বইখানা রচনা করেন ।
হাজী এমদাদুল্লাহ মোহজেরে মক্কী রাহমাতুল্লাহে আলাইহি দেখলেন যে, রশিদ আহাম্মদ গংগুহী ও খলিল আহাম্মদ আম্বুটির দ্বারা সমগ্র এলাকায় কুফুরী নীতি বিস্তারিত হচ্ছে, তখন অগত্যা অপারগ হয়ে তিনি তাঁর দু’জন প্রখ্যাত বিজ্ঞ ছাত্রকে নির্দেশ দিলেন যে, গংগুহী ও খলিল দ্বারা রচিত বই খানার জবাবে স্ববিস্তারে এক খানা কিতাব রচনা কর ।
তাকদীসুল উকিল গ্রন্থখানা ৪০০ পৃষ্ঠায় বিস্তৃত । প্রথম হতে ১১৮ পৃষ্ঠা পর্যন্ত প্রিয় নবীর শানকে কোরআন, ছুন্নাহ, ইজমা ও কেয়াস দ্বারা প্রমাণিত করা হয় । ১১৮ পৃঃ হতে ৪০০ পৃষ্ঠা পর্যন্ত আল্লাহ পাকের তাওহীদ ও রবুবিয়াতের আলোচনা করা হয়েছে ।

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.