নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

চেতনায় বদর-ওহোদ-কারবালা ।

রাসেল সরকার

প্রিয়নবীর প্রেমহীন আত্মামৃত, সর্ব মিথ্যার অন্ধকারে নিমজ্জিত ।

রাসেল সরকার › বিস্তারিত পোস্টঃ

মহান প্রিয়নবী হাজির-নাজিরঃ-

০৩ রা মে, ২০১৫ রাত ২:৫৮

হাজির আরবী শব্দ এর অর্থ- স্বশরীরে উপস্থিত । নাজির আরবী শব্দ এর অর্থ- স্বচক্ষে দর্শন ( আরবী ডিকশেনারী “আল-মিসবাহুল মুনীর” ১৪৭ ও ৬১২ পৃষ্ঠা ) । অতএব, এক কথায় হাজির-নাজির শব্দের অর্থ দাড়ায়- প্রত্যক্ষদর্শী ।
আল্লাহ তাআলা এরশাদ করেন- “ইয়া আইউহাননবী ইন্না আরছালনাকা শাহীদান” তথা হে গায়েবের সংবাদ দাতা ! আমি আপনাকে শাহিদ করে করে পাঠিয়েছি ( সূরাঃ “আল-আহজাব ৪৫ আয়াত” ) ।
সুপ্রসিদ্ধ আরবী ডিকশেনারী “আল-মুফরাদাতুল কুরআন” –এর ২৪৫ পৃষ্ঠায় “শাহিদ” শব্দের অর্থে লেখা আছে ঘটনাস্থলে হাজির-নাজির থাকা তথা ঘটনা স্থলে হাজির থেকে স্বচক্ষে দেখা ।
দেওবন্দী আলেমগণের অনুবাদিত “আল-মুনজিদ” –এর উর্দু অনুবাদের ৪৪৫ পৃষ্ঠায় এবং দেওবন্দী আলেমগণের নিজেদের লিখিত এবং মুফতী শফী সাহেবের ভূমিকা সংবলিত আরবী-উর্দু ডিকশেনারী “মিসবাহুল-লুগাত” –এর ৪৫০ পৃষ্ঠায় “শাহিদ” শব্দের অর্থে লেখা আছেঃ- হাজির, বিশ্বস্তসাক্ষী, যার অগোচরে কিছুই নেই ।
তাফসীর “রুহুল মানী” –এর ২২ পারা ৪৫ পৃষ্ঠা, শাহ্ আব্দুল আজিজ মুহাদ্দিস দেহলবী সাহেব আপন ‘তাফসীরে আজিজী’ ১ম খন্ড ৩৫৫ পৃষ্ঠায় লিখেছেনঃ- প্রিয়নবী নিজের নবুয়াতের নুর দ্বারা প্রত্যেক ধার্মিক ব্যক্তির ধর্মের অবস্থা অবগত আছেন । প্রত্যেক ধার্মিকে তার ধর্মের কোন স্তরে সে অবস্থা করছে, তার ঈমানের হাকিকত কী, আখিরাতে তার অন্তরায় কী, সবই প্রিয়নবী জানেন । এছাড়াও আরো অসংখ্য দলিল রয়েছে ।

মন্তব্য ১২ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (১২) মন্তব্য লিখুন

১| ০৩ রা মে, ২০১৫ রাত ৩:১৭

চাঁদগাজী বলেছেন:

"প্রত্যেক ধার্মিকে তার ধর্মের কোন স্তরে সে অবস্থা করছে, তার ঈমানের হাকিকত কী, আখিরাতে তার অন্তরায় কী, সবই প্রিয়নবী জানেন । "

-আপনি কোন স্তরে?

০৩ রা সেপ্টেম্বর, ২০১৫ ভোর ৪:৩০

রাসেল সরকার বলেছেন: আমি যার উম্মতদাবী করি, গোলাম দাবী করি এবং শাফায়াত কামনা করি তথা মহান প্রিয়নবীই জানেন যে, আমি কোন স্তরে আছি ।

২| ০৩ রা মে, ২০১৫ ভোর ৫:২৭

নূসরাত তানজীন লুবনা বলেছেন: আমরা শুধুমাত্র আল্লাহর গোলাম ; নবী সাঃ এর না
মহানবী সাঃ এর উম্মত আমরা

০৩ রা সেপ্টেম্বর, ২০১৫ ভোর ৪:৪১

রাসেল সরকার বলেছেন: আমরা যদি উম্মতের মালিক তথা আল্লাহর হাবীব সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া ছাল্লামের গোলামী না করি তাহলে, কখনোই আল্লাহ তায়ালা পর্যন্ত পৌছাঁতে পারবো না । কেননা পবিত্র আল-কুরআনে আল্লাহ বলেন, "তোমরা আমার হাবীবের হয়ে যাও, তাহলেই তোমরা আমাকে পাবে তথা "রাসূলের হওয়াই আল্লাহর হওয়া (সূরা নিসা, আয়াত : ৮০ ) ।
আল্লাহ তায়ালা সৃষ্টি জগতে কারো সাথে সরাসরি সম্পর্ক রাখেন নাই, তার প্রমাণঃ মেরাজ শরীফ ।

৩| ০৩ রা সেপ্টেম্বর, ২০১৫ ভোর ৫:১৬

কর্ণেল সামুরাই বলেছেন: দেওবন্দি আকীদা ইসলামী প্রচারে যতটা সহায়তা করেছে, বিভ্রান্তি তৈরীতেও সমান অবদান রেখেছে। পীরবাদ, সুফিবাদের জন্ম দিয়েছে দেওবন্দ যা ইসলামের মৌলিক ধারা নয়। এই সুফিজম থেকেই অতিমাত্রায় ভক্তি, ভক্তি থেকে পরম-শ্রদ্ধ, সেখান থেকে থেকে শিরক। হুজুর (সা) কে নিয়ে যে পরিমাণ শিরক উপমহাদেশে হয় এর পেছনে সবচেয়ে বেশী দায়ী দেওবন্দি আকীদা। প্রথমত, ঈমান আকিদা যদি মানবেনই সরাসরি হানাফিস্টদের মানুন, দেওবন্দি/মউদুদী/জামাতী/তাবলীগী এগুলা কেন?

আপনার পড়াশোনার বিস্তর অভাব আছে কথাবার্তায় তার ছাপ যথেষ্ট। যদি আপনি দেওবন্দি আকিদায় বিশ্বাস রাখেন তবে হেদায়া পড়ুন, কুদুরী পড়ুন। হুজুর (সা) কে হাজির নাজির বলেছেন ইমাম আবু হানীফা(র)? সালাফী বা হাম্বলী আকীদার হলে ভিন্ন কথা। অবশ্য সেটা হইলে এই টাইপ কথা বলতেনই না সুতরাং বাদ থাক...

আপনি রাসূল (সা) এর উম্মত বা অনুসারী। আপনি “গোলামে রাসূল” না। যেটা রাসূল (সা) বলেননি, কুরআনে নেই, মন থেকে বানিয়ে নতুন বেদাতের জন্ম দেবেননা। আমরা “গোলাম রব্বানী” বা রব/আল্লাহর গোলাম। হুজুর (সা) আপনার আদর্শ কিন্তু তিনি উপাস্য নন। তিনি আল্লাহর বান্দা, কিন্তু তিনি আল্লাহ নন। দুটো আকীদা সবসময় পরিষ্কার রাখবেন, নয়তো ভালো শিরকে পড়বেন অতি ভক্তি দেখাতে গিয়ে।

০৪ ঠা সেপ্টেম্বর, ২০১৫ রাত ৩:৩৯

রাসেল সরকার বলেছেন: ১। দেওবন্দী, মওদুদী, মেওয়াতী তবলীগ, সালাফী এবং শিয়া ইত্যাদি তথা আহলে ছুন্নাত ওয়াল জামায়াত ব্যতীত সকল ফেরকাই ইসলামের ছদ্মনামে চরম গোমরাহী ফেরকা ।
২। দেওবন্দ থেকে পীরবাদ ও সূফীবাদের জন্ম হয়নি, এই বিষয়ে আরো ভাল করে জানা বুঝার চেষ্টা করুন ।
৩। মহান প্রিয়নবীর শানে হুজুর শব্দটি ব্যবহার করা যায় না । কেননা "সূরা নূরের ৬৩ নং আয়াতে বলা হয়েছে যে, তোমরা সাধারণে সাধারণে যে সমস্ত ব্যবহার কর ( যেমনঃ হুজুর, জনাব, সাহেব ইত্যাদি ) আমার মহান রাসূলগণের শানে ব্যবহার করিও না ।
৪। হিন্দের অলী খাজাবাবা এই ভারত উপমহাদেশে শুভাগমন করে ৯০/৯২ লক্ষ অগ্নি পুজারীকে পবিত্র কলেমার দিশা-দর্শন দান করেছেন । তিনি ইমাম হোসাইন রাদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু তথা ইমামে আকবরে প্রেমে আসক্ত হয়ে বলেনঃ- "জানে মান নেসারাম, বানামে হুসায়েন মোনামে গোলামে গোলামানে হুসায়েন অর্থাৎ আমার জীবন হুসায়েনের নামে কোরবাণী করে দিয়েছি, হুসায়েনের যিনি গোলাম আমি তাঁরই গোলাম "।
৫। বিশ্ব বিখ্যাত 'মসনবী' শরীফের রচয়িতা মাওলানা জালাল উদ্দীন রুমি (রহঃ) বলেছেনঃ "খোদবোখোদ মোল্লা রোম কামেল না শোদ, তা গোলামে সামসেত্তাব্রীজি না শোদ অর্থাৎ মাওলানা জালাল উদ্দীন রোমি নিজে নিজে কামেল হতে পারেনি যে পর্যন্ত না সামসেত্তাব্রীজের গোলামী করেছে ।

৪| ০৪ ঠা সেপ্টেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৩:০৭

কর্ণেল সামুরাই বলেছেন: আহলে ছুন্নাত ওয়াল জামায়াত ব্যতীত সকল ফেরকাই ইসলামের ছদ্মনামে চরম গোমরাহী ফেরকা
... আপনি নিজে কি আহলে ছুন্নাত ওয়াল জামায়াত আক্কীদায় বিশ্বাসী?? বুঝলাম, আপনার লেখার ধরণ এরকম কেন।

যাহোক: প্রথমত আপনি আপনি কুরআনে বিকৃত উদ্ধৃতি দিয়েছেন, এটা জেনে করে থাকলে একদিনে যেমন কবীরা গুনাহ তেমনি কুফরী। কেউ জেনে বুঝে কুরআনের আয়াত বিকৃত করলে সে মুসলিম থাকতে পারেনা। সূরা নূরের ৬৩ নং আয়াত হল-

রসূলের আহবানকে তোমরা তোমাদের একে অপরকে আহ্বানের মত গণ্য করো না। আল্লাহ তাদেরকে জানেন, যারা তোমাদের মধ্যে চুপিসারে সরে পড়ে। অতএব যারা তাঁর আদেশের বিরুদ্ধাচরণ করে, তারা এ বিষয়ে সতর্ক হোক যে, বিপর্যয় তাদেরকে স্পর্শ করবে অথবা যন্ত্রণাদায়ক শাস্তি তাদেরকে গ্রাস করবে।

যেকোন হাদীস এবং কুরআনের আয়াত কিভাবে কোটেশন দিতে হয় সেটা আগে শিখুন সাথে কোন আয়াতের তাফসির কি হবে সেটা মনগড়া না বানিয়ে ভালমত পড়ুন।

যেহেতু, আপনি আহলে ছুন্নাত ওয়াল জামায়াত আক্কীদায় বিশ্বাসী, আপনার আক্কীদা আমি জানি। অন্যরা গোমরাহীতে আছে কি না সেটা না খুজে নিজের ব্রেনকে কাজে লাগান এবং আপনি যে আক্কীদায় বিশ্বাস রাখেন সেই পীর-মুর্শিদযুক্ত আক্কীদা কতটুকু ভিত্তিযুক্ত সেইটা নিয়ে ভাবুন।

০৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ রাত ৩:০০

রাসেল সরকার বলেছেন: "রসূলের আহবানকে তোমরা তোমাদের একে অপরকে আহ্বানের মত গণ্য করো না"ঃ-
মহান প্রিয়নবীর শানে হুজুর শব্দটি কিভাবে ব্যবহার করলেন !!! বিশ্ব ছুন্নী আন্দোলনের মহামান্য ইমাম 'ইমাম হায়াত আলাইহি রাহমা' বলেনঃ তোমরা পরস্পর নিজেদের যেভাবে অভিহিত কর (অর্থাৎ সর্ব সাধারণের জন্য যে ভাষা ও শব্দ যেমন জন্ম, মৃত্যু, সাহেব, হুজুর তথা জনাব ইত্যাদি ব্যবহার করা হয়) আল্লাহর মহান রাসুলের শানে সেভাবে করবে না । (সূরা নূর, আয়াতঃ ৬৩) ।


পীর-মুর্শিদযুক্ত আক্কীদাকে ভাল করে জানা বুঝার চেষ্টা করুন ।

৫| ০৪ ঠা সেপ্টেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৩:৩১

কর্ণেল সামুরাই বলেছেন: এবার আসি আপনার পোষ্টের মূল বক্তব্যে। আমি অন্য মুসলিম ভাইদের সাথে সাধারণত কোন কিয়াসে যাইনা, তবে আপনার বিভ্রান্তিগুলো দূর করা চেষ্ঠা করছি যাতে আপনি পথভ্রষ্ট না হন। আপনি বলেছেন-

প্রিয়নবী নিজের নবুয়াতের নুর দ্বারা প্রত্যেক ধার্মিক ব্যক্তির ধর্মের অবস্থা অবগত আছেন । প্রত্যেক ধার্মিকে তার ধর্মের কোন স্তরে সে অবস্থা করছে, তার ঈমানের হাকিকত কী, আখিরাতে তার অন্তরায় কী, সবই প্রিয়নবী জানেন


হুজুর (সা) গায়েবী কোন কিছুই অবগত হবার ক্ষমতা বহণ করেননা। তিনি সাধারণ মানুষ যিনি আল্লাহর নৈকট্যপ্রাপ্ত, তিনি ঐশ্বরিক কোন ক্ষমতার অধিকারী নন যে প্রত্যেক ধার্মিক ব্যক্তির ধর্মের অবস্থা অবগত থাকবেন। রেফারেন্স-

আপনি বলুনঃ আমি তোমাদেরকে বলি না যে, আমার কাছে আল্লাহর ভান্ডার রয়েছেতাছাড়া আমি অদৃশ্য বিষয় অবগতও নই। আমি এমন বলি না যে, আমি ফেরেশতা। আমি তো শুধু ঐ ওহীর অনুসরণ করি, যা আমার কাছে আসে। আপনি বলে দিনঃ অন্ধ ও চক্ষুমান কি সমান হতে পারে? তোমরা কি চিন্তা কর না ? (Al-An'aam: 50)
-- উপরের আয়াত আপনার সব বক্তব্য অসাড় করতে যথেষ্ট।

যেদিন আল্লাহ সব পয়গম্বরকে একত্রিত করবেন, অতঃপর বলবেন তোমরা কি উত্তর পেয়েছিলে? তাঁরা বলবেনঃ আমরা অবগত নই, আপনিই অদৃশ্য বিষয়ে মহাজ্ঞানী। (Al-Maaida: 109)

বলুন, আমিও তোমাদের মতই মানুষ, আমার প্রতি ওহী আসে যে, তোমাদের মাবুদ একমাত্র মাবুদ, অতএব তাঁর দিকেই সোজা হয়ে থাক এবং তাঁর কাছে ক্ষমা প্রার্থনা কর। আর মুশরিকদের জন্যে রয়েছে দুর্ভোগ, (Fussilat: 6)

তিনি (আল্লাহ) অদৃশ্যের জ্ঞানী। পরন্ত তিনি অদৃশ্য বিষয় কারও কাছে প্রকাশ করেন না।
(Al-Jinn: 26)

আশা করছি হুজুর (সা) অদৃশ্য বিষয়ে জানেন (প্রত্যেক ধার্মিক ব্যক্তির ধর্মের অবস্থা অবগত) বা তিনি নূরের তৈরী এইটাইপ বিভ্রান্তি থেকে বের হয়ে আসতে পারবেন। কুরআন বুঝে পড়ুন, সহীহ হাদীস পড়ুন। এর-ওর লেখা চটি বই পড়া বাদ দিন, এতে সঠিক পথ পাবেন। আল্লাহ আমাদের সকলকে হেদায়েত নসীব করুক।

০৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ রাত ৩:৫২

রাসেল সরকার বলেছেন: নবী রাসুল আলাইহিমুস সালাম দেরকে তাঁদের বিষয়কে অন্য মানুষের মত তুলনীয় করে কেবল বাহ্যিক জড়বাদী দৃষ্টিতে দেখা নবুওত ও রেছালাত সম্পর্কে অজ্ঞতা মূর্খতা ও ঈমানের বিপরীত । বেশভূষা পোষাক পরিবর্তনের মত তাঁদের বাহ্যিক অবস্থার পরিবর্তন হতে পারে, কিন্তু তাঁদের রূহানী ও জাতি অর্থাৎ প্রকৃত অবস্থা আল্লাহ্তায়ালার মহান সত্ত্বায় সাথে সরাসরি যুক্ত হয়ে যাওয়ায় সৃষ্টির পর থেকে চিরঞ্জীব । সব নবী রাসুলই জীবিত এবং এবাদত ও সৃষ্টির জন্য দোয়ায় নিমগ্ন (তফসিরে রুহুল মায়ানী ২য় খন্ড ১৭ ও ৩৩ পৃষ্ঠা, তফসিরে মাজহারী ১ম খন্ড ১৫২ পৃষ্ঠা, মেশকাত শরীফ পৃষ্ঠা ৮৭, ১২০, ১২১, ৩৩০, ৪৫৭, ৫১০, ৫৪৫, নাসায়ী শরীফ পৃষ্ঠা ১৫৪, ১৮৫, মুসলিম শরীফ ২য় খন্ড ৩৯০ পৃষ্ঠা, আবু দাউদ শরীফ ১ম খন্ড ১৫৭ ও ২৮৯, ২য় খন্ড ২১৮ পৃষ্ঠা, ইবনে মাজাহ শরীফ পৃষ্ঠা ৭৭, ১১৯, ২১৩, বায়হাকী শরীফ পৃষ্ঠা ১০৩, ১০৫, ৪৯৬, জুরকানী শরীফ পৃষ্ঠা ৫৩, ৩৩২, ফয়জুল বারী শরহে বুখারী ২য় খন্ড ৬৪ পৃষ্ঠা, মাদারিজুন্নবুয়াত ১ম খন্ড ৫৬ পৃষ্ঠা, ওয়াফাউল ওয়াফা ১ম খন্ড ৯৪ পৃষ্ঠা, ২য় খন্ড ১৩৫২ পৃষ্ঠা এবং আরও অনেক তফসির শরীফ ও হাদিছ শরীফ) । তাঁদের নবুওয়াতি রেছালাতি প্রকৃত সত্ত্বার মৃত্যু নেই । জাহেরী ইন্তেকাল হয় কিন্তু হাকিকতে জীবিত এবং জাহের নয় হাকিকতই ঈমানের ভিত্তি । আমাদের মহান প্রিয়নবী কোরআনে ঘোষিত আল্লাহতায়ালার মহান সত্ত্বার প্রত্যক্ষ নূর ও রাসুল এবং সব গুনাবলীর রাসুল ও রহমত রুপে সদা বিরাজমান । আল্লাহতায়ালার নূর ও রহমতের মৃত্যু হয় না । আল্লাহতায়ালা কোরআনে পাকে শহীদগণেরও মৃত বলা এমনকি মৃত মনে করাও স্পষ্ট নিষিদ্ধ করেছেন (সুরাঃ বাকারা আয়াতঃ ১৫৪, সুরাঃ আল ইমরান আয়াতঃ ১৬৯) । নবী রাসুলদের যারা মৃত মনে করে তাঁদের আত্মা কুফুরী আত্মা । আমাদের রাসুল শুধু হায়াতুন্নবীই নন আল্লাহতায়ালার পক্ষ থেকে সব হায়াত, এলেম ও নূরেরও উৎস ও মূল । পবিত্র কলেমা অনন্ত প্রবাহমান চিরন্তন চিরঞ্জীব সত্য । কলেমার উচ্চারণে তাওহীদের রেছালাতকে অনন্ত প্রবাহমান চিরঞ্জীব বাস্তব জীবন্ত সত্য হিসেবেই গ্রহণ করে একাত্ম হতে হয়, মৃত হিসেবে নয় । নবী রাসুলদের মৃত মনে করা মৃত্যু দিবস পালন করার ধৃষ্টতা নাস্তিক্য থেকে উদ্ভূত বস্তুবাদী আঁধার বিনাশী কুফরী চিন্তা এবং বাস্তবে কলেমা অস্বীকার ও কলেমা থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে যাওয়া ।

"ইমাম হায়াত আলাইহি রাহমা" আরো বলেনঃ রাসুলকে প্রেরণ করা হয়েছে সকল সৃষ্টির নিকট শাহেদ বা হাজের নাজের অর্থাৎ রেছালাতের পবিত্র দৃষ্টি ক্ষমতার বাহিরে কিছুই নয় । (সুরা আহযাব, আয়াত-৪৫)
সেখানে যারা রেছালাতের এই সিফাতও অস্বীকার করে নবীদ্রোহী বস্তুবাদী দৃষ্টি ভঙ্গীর প্রকাশ ঘটায় তারা পথভ্রষ্ট মিথ্যা ও জাহান্নামী ।

....... আশা করি আপনার ভুল ভেঙ্গে যাবে, দূরীভূত হবে সর্ব প্রকার অপশক্তি ।

৬| ০৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৫:৫৭

কর্ণেল সামুরাই বলেছেন: হাদীস কখনো কুরআনের আয়াতের বিরুদ্ধে যেতে পারবেনা, একইভাবে কোন ওলী/ইজমা কখনো বিশুদ্ধ হাদীদের বিরুদ্ধে যেতে পারবেনা। আপনি কি এই নীতি জানেন?

যেখানে কুরআন বলছে সকল নবী রাসূলই মানুষ আপনি প্রমাণ করবার চেষ্ঠা করছেন সেটা ভুল। যেখানে কুরআন বলছে “আপনি বলুনঃ আমি তোমাদেরকে বলি না যে, আমার কাছে আল্লাহর ভান্ডার রয়েছে। তাছাড়া আমি অদৃশ্য বিষয় অবগতও নই।” সেখানে আপনি প্রমাণ করতে চাইছেন কুরআনের আয়াত ভুল, রাসূল (সা) গায়েবী ইলমের মালিক। যে কুরআনের আয়াতকে মানেনা, বা তাকে ভুল প্রমাণ করতে চায় সে ইসলামে থাকতে পারেনা।

সবচেয়ে বড় কথা আপনি তো সরাসরি শিরক করে ফেলেছেন নিচের বক্তব্যের মাধ্যমে-

বেশভূষা পোষাক পরিবর্তনের মত তাঁদের বাহ্যিক অবস্থার পরিবর্তন হতে পারে, কিন্তু তাঁদের রূহানী ও জাতি অর্থাৎ প্রকৃত অবস্থা আল্লাহ্তায়ালার মহান সত্ত্বায় সাথে সরাসরি যুক্ত হয়ে যাওয়ায় সৃষ্টির পর থেকে চিরঞ্জীব
কেউই চিরঞ্জীব নয় আল্লাহ ব্যতীত-

আল্লাহ ছাড়া কোন উপাস্য নেই, তিনি চিরঞ্জীব, সবকিছুর ধারক। (Aali Imraan: 2)
রাসূল (সা) এর মৃত্যু হবে তা কুরআনেও বলা হয়েছে-
আপনার পূর্বেও কোন মানুষকে আমি অনন্ত জীবন দান করিনি। সুতরাং আপনার মৃত্যু হলে তারা কি চিরঞ্জীব হবে?
প্রত্যেককে মৃত্যুর স্বাদ আস্বাদন করতে হবে। আমি তোমাদেরকে মন্দ ও ভাল দ্বারা পরীক্ষা করে থাকি এবং আমারই কাছে তোমরা প্রত্যাবর্তিত হবে।
(Al-Anbiyaa: ৩৪-৩৫)

আশা করছি আপনার করফিউশন দূর হবে।

১২ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ রাত ২:২৩

রাসেল সরকার বলেছেন: আল্লাহতায়ালা কোরআনে পাকে শহীদগণেরও মৃত বলা এমনকি মৃত মনে করাও স্পষ্ট নিষিদ্ধ করেছেন (সুরাঃ বাকারা আয়াতঃ ১৫৪, সুরাঃ আল ইমরান আয়াতঃ ১৬৯) । নবী রাসুলদের যারা মৃত মনে করে তাঁদের আত্মা কুফুরী আত্মা । আমাদের রাসুল শুধু হায়াতুন্নবীই নন আল্লাহতায়ালার পক্ষ থেকে সব হায়াত, এলেম ও নূরেরও উৎস ও মূল । পবিত্র কলেমা অনন্ত প্রবাহমান চিরন্তন চিরঞ্জীব সত্য । কলেমার উচ্চারণে তাওহীদের রেছালাতকে অনন্ত প্রবাহমান চিরঞ্জীব বাস্তব জীবন্ত সত্য হিসেবেই গ্রহণ করে একাত্ম হতে হয়, মৃত হিসেবে নয় । নবী রাসুলদের মৃত মনে করা মৃত্যু দিবস পালন করার ধৃষ্টতা নাস্তিক্য থেকে উদ্ভূত বস্তুবাদী আঁধার বিনাশী কুফরী চিন্তা এবং বাস্তবে কলেমা অস্বীকার ও কলেমা থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে যাওয়া ।

মুসলিম মিল্লাতের মহামান্য ইমাম "ইমাম হায়াত আলাইহি রাহমা" আরো বলেন, "নবীগণই যেখানে মানবমন্ডলীকে ইন্দ্রিয়াতীত সকল অদৃশ্য অথচ অপরিহার্য বিষয়াবলীর জ্ঞান দান করেছেন এবং এলমে গায়েব
যেখানে নবুওতের অন্যতম শর্ত ও বৈশিষ্ট এবং কো্রআনে পাকে যেখানে বলা হয়েছে, কেবল আল্লাহর মনোনীত রাসূলই এলমে গায়েব অবগত । (সুরা জিন, আয়াত-২৬,২৭)
সেখানে যারা নবীদের এলবে গায়েব অস্বীকার করে তারা পথভ্রষ্ট মিথ্যা ও জাহান্নামী ।

"আন নাবীয়ু আওলা বিল মু'মিনীনা মিন আনফুছিহীম-"আল্লাহতায়ালার নবী মুমিনদের প্রাণের চেয়েও নিকটতম ও প্রিয়তম" (সুরাঃ আহজাব, আয়াত শরীফঃ ৬) ।

রাসুল সর্ব জগতের সর্ব সৃষ্টির জন্য আমার রহমত (সূরা আম্বিয়া, আয়াতঃ ১০৭) । মুমিনদের জন্য আল্লাহর পরম অনুগ্রহ রাসুলকে পাওয়া (সূরা ইমরান, আয়াতঃ ১৬৪) । আল্লাহর অনুগ্রহ ও রহমত প্রাপ্তিতে আনন্দ উ্ৎসব কর এবং এর মধ্যে রয়েছে অশেষ কল্যাণ (সূরা ইউনুছ, আয়াতঃ ৫৮) । রাসূলের হওয়াই আল্লাহর হওয়া (সূরা নিসা, আয়াতঃ ৮০) । "প্রকৃতই তোমাদের নিকট এসেছেন আল্লাহর নিকট থেকে নুর (রাসুল) ও কিতাব (কোরআন)" (সূরা মায়েদা, আয়াতঃ ১৫) ।

প্রিয়নবীই সৃষ্টির জন্য আল্লাহতায়ালার একমাত্র প্রত্যক্ষ মূল আলো, আত্মার আলো, জীবনের আলো, জ্ঞানের আলো, হিদায়াত ও নাজাতের আলো, আল্লাহতায়ালার হাকিকত ও মারেফাতের আলো, অন্যসব আলোর উৎস । আল্লাহতায়ালা ছাড়া কোন পরম অস্তিত্ত্ব, মূল সত্য ও প্রকৃত শক্তি নেই, সে পরম সত্য শক্তি ও মহাসত্ত্বার রেছালাত, সর্বময় মূল প্রতিনিধিত্ত্ব, সম্পর্ক, নূর ও রহমতের ধারক বাহক সংযোগ মহান রাসূল । আল্লাহতায়ালার মহান পবিত্র সত্ত্বা তাঁর প্রত্যক্ষদর্শী রাসুল ব্যতীত সবার জ্ঞান, চিন্তা ও কল্পনার উর্ধে, আল্লাহতায়ালার নূর বলতে প্রিয়নবীকেই বুঝায় । সর্ব সৃষ্টির পূর্বে আল্লাহতায়ালা নূররুপে প্রিয়নবীকে তৈরি করেছেন, নিজ নূরে নূরানী করেছেন, সে নুর থেকেই সব অস্তিত্ত্ব ও জীবন দিয়েছেন, সে নূর থেকে সবাইকে আলোকিত করেছেন । এ জন্য এবং আরো অনেক কারণে প্রিয়নবীই জীবনের উৎস ও মূল । প্রিয়নবী আল্লাহর নূর (তফসিরে রুহুল মায়ানী ১ম খন্ড ২১৭ পৃষ্ঠা, ২য় খন্ড ৯৭ পৃষ্ঠা, তফসিরে রুহুল বায়ান ২য় খন্ড ২৬৯ পৃষ্ঠা, ৩য় খন্ড ৫৪৩ পৃষ্ঠা, তফসিরে মাদারেক ১ম খন্ড ৪১৭ পৃষ্ঠা, তফসিরে খাজেন ১ম খন্ড ৪১৭ পৃষ্ঠা, ২য় খন্ড ২৮, ৩য় খন্ড ৩৩২ পৃষ্ঠা, তফসিরে বায়জাবী ১ম খন্ড ৬৪ পৃষ্ঠা, তফসিরে মাজহাবী ৩য় খন্ড ৬৮ পৃষ্ঠা, তফসিরে ইবনে আব্বাস ২য় খন্ড ২৭০ পৃষ্ঠা, তফসিরে জারির ৬ষ্ঠ খন্ড ১৬১, তফসিরে ইবনে কবির ৩য় খন্ড ৩৮৬ ৩৯৫, তফসিরে জালালাইন ৯৭ পৃষ্ঠা, তফসিরে কুরতুবী ১১৮ পৃষ্ঠা, তফসিরে মাদারেজ ১ম খন্ড ৪১৭ পৃষ্ঠা এবং আরো অনেক তফসির শরীফ ও হাদিছ শরীফ) ।
....... আশাকরি আর বিশ্লেষণ করার দরকার হবেনা ।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.