নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

চেতনায় বদর-ওহোদ-কারবালা ।

রাসেল সরকার

প্রিয়নবীর প্রেমহীন আত্মামৃত, সর্ব মিথ্যার অন্ধকারে নিমজ্জিত ।

রাসেল সরকার › বিস্তারিত পোস্টঃ

ইমাম হোসাইন তথা ইমামে আকবর রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু্ ও আহলে বাইতে রাসূলের শাহাদাত

১৯ শে অক্টোবর, ২০১৫ রাত ১২:৪৮

মওলা আলী রাদ্বিয়াল্লাহু আনহুকে কুফার মসজিদে নামাজরত অবস্থায় আবদুর রহমান ইবনে মোলজেম শহীদ করে । ইমাম হাসান রাদ্বিয়াল্লাহু আনহুকে খাদ্যের সঙ্গে বিষ মিশিয়ে শহীদ করা হয় । ঐতিহাসিকরা বলেন যে, সেই বিষ এত ভয়ংকর বিষ ছিলো যে, রক্ত বমির সঙ্গে কলিজার টুকরো অংশগুলো বেরিয়ে গেছে । সম্মানিত পাঠক মন্ডলী শুনতে কেমন লাগছে ???.....
শহীদে আজম ইমামে আকবর হোসাইন রাদ্বিয়াল্লাহু আনহুকে কারবালার তৃষ্ণার্ত রক্তাক্ত প্রান্তরে এজিদের হুকুমে ইবনে জিয়াদের নির্দেশে আনাস ইবনে নাখই ওরফে সীমার শহীদ করেছে । কেবল কি ইমামে আকবর ? না, অনেক আপন জনও শহীদ হয়েছেন । তার মধ্যে ইমামে আকবরের বড় ছেলে ইমাম আলী আকবর, ছয় মাসের দুধের শিশু ইমাম আলী আসগর, ইমাম হাসান রাদ্বিয়াল্লাহু আনহুর ছেলে ইমাম কাশেম এবং ইমামে আকবের ভাই ইমাম আব্বাস এবং ইমাম আউন ও আরো অনেকে । ইমামে আকবরকে যে মহান প্রিয়নবী কতখানি ভালোবাসতেন সে কথাগুলোর সামান্য কিছু সম্মানিত পাঠক মন্ডলীর কাছে তুলে ধরবো, যা পড়লে চোখের জল ফেলা ছাড়া আর কিছু করার থাকে না ।
মহান প্রিয়নবী মসজিদে নামাজের ইমামতি করছেন । নামাজে সেজদায় যাবার সময় ইমামে আকবর প্রিয়নবীর পিঠ মোবারকে বসে পড়লেন । সুবহানা রাব্বিল আলা যেখানে তিনবার পড়া হয়, সেখানে সত্তরবার পড়ার পর ইমামে আকবর পিঠ মোবারক হতে নেমে যাবার পর পবিত্র মস্তক মোবারক উঠালেন । একজন সাহাবায়ে কেরামও প্রশ্ন করলেন না যে, ইয়া রাসুল্লাহ নামাজ কেন দীর্ঘায়িত করলেন । এই ঘটনার দ্বারা বুঝা যায় ইমামে আকবরের প্রেমটাই মূলত নামাজ ।
ইমামে আকবর দুনিয়াতে শুভাগমন করার পর চোখ বন্ধ ছিলো এবং মায়ের দুধ পান করছেন না দেখে সালমান ফার্সী রাদ্বিয়াল্লাহু আনহুকে দিয়ে প্রিয়নবীকে এই খবর পাঠানোর পর প্রিয়নবী এসে শিশু ইমামে আকবরকে কোল মোবারকে তুলে নিলেন এবং শিশু ইমামে আকবর চোখ খুলে সর্ব প্রথম প্রিয়নবীকে দেখলেন এবং প্রিয়নবীর পবিত্র জিহ্বা মোবারক সর্বপ্রথম চুষে লালা মোবারক পান করলেন ।
ইমামে আকবরের বেচেঁ যাওয়া সন্তান ইমাম জয়নুল আবেদীন যিনি চার নম্বর ইমাম বলে পরিচিত তিনিও বিষ মেশানো খাদ্য খেয়ে শহীদ হন । তাঁকে বিষ মেশানো খাদ্য দিয়ে শহীদ করে অভিশপ্ত উমাইয়া রাজবংশের খলিফা ওয়ালিদ, যে ছিলো খলিফা আব্দুল মালেকের পুত্র । এই খলিফা আব্দুল মালেকই ছিলো কুখ্যাত এবং ধিকৃত, এবং উসমান রাদ্বিয়াল্লাহু আনহুকে শহীদ করার জঘন্য চক্রান্তকারী, ইবনে হেকাম । যেমন গাছ তেমনি ফল । ইমাম জয়নুল আবেদীনের একমাত্র সন্তান ইমাম বাকের যিনি পাঁচ নম্বর ইমাম বলে পরিচিত তাঁকে শহীদ করে উমাইয়া রাজবংশের খলিফা হিশাম । ঐ কুখ্যাত খলিফা আব্দুল মালেকের আরেক কুখ্যাত পুত্র ছিলো ।
ইমাম বাকেরের সন্তান এবং ছয় নম্বর ইমাম এবং অলীদের ইমাম বলে মুসলিম সমাজে যিনি সুপরিচিত সেই ইমাম বায়োজিদ বোস্তামীর মুরশিদ ইমাম জাফর সাদেককে শহীদ করে কুখ্যাত এবং অভিশপ্ত তথা ধিকৃত খলিফা মানসুর । এই সেই খলিফা মানসুর যে ইসলামের ইতিহাসে রক্তপিপাসু বলে পরিচিত ।
ইমাম জাফর সাদেকের সন্তান এবং সাত নম্বর ইমাম মুসা কাজেমকে শহীদ করে আব্বাসীয় রাজবংশের খলিফা হরুন অর রশীদ ।
ইমাম মুসা কাজিমের সন্তান এবং আট নম্বর ইমাম আলী রেজাকে বিষ প্রয়োগে শহীদ করেছে আব্বাসীয় রাজবংশের খলিফা মামুনার রশীদ । সে খলিফা হারুন অর রশীদের ছোট ভাই । খলিফা হারুন অর রশীদের বাবার একটি খুবই সুন্দরী এবং যুবতী বাঁদী ছিলো এবং পিতার মৃত্যুর পর তৎকালীন বেতনভুক্ত আলেমেরা ফতোয়া দিয়ে বাবার যৌন সঙ্গীকে ছেলের জন্য হালাল করেছিল ।................
সম্মানিত পাঠক মন্ডলী, শাহাদাতে কারবালার করুণ দৃশ্যের আলোচনায়, আমরা অবাক হই । আমরা থতমত খাই । আমরা অজানা প্রশ্নের ধারালো তরবারী দিয়ে ছিন্নভিন্ন হই । কারণ, কেন তারা ? ধারালো তরবারীর অহংকারী আঘাতের নিচে মাথা মোবারক পেতে দিয়ে কেন কারবালা তৈরি করলেন ?
কেন বদর-ওহোদ-কাবালা সংঘটিত হয়েছিল ? কিসের পক্ষে ? কিসের বিপক্ষে ? কি কায়েমের জন্যে ? বদর-ওহোদ-কাবালার প্রকৃত শিক্ষা চেতনা ভিত্তিক, আজকের সমাজ-রাষ্ট্র-বিশ্ব পরিচালিত হচ্ছে কি ? নাকি তার বিপরীত ধারায় পরিচালিত হচ্ছে ?
বদর-ওহোদ-কারবালার চেতনা ভিত্তিক জীবনই সত্য ভিত্তিক জীবন এবং বিপরীত চেতনা ভিত্তিক জীবনই মিথ্যা ভিত্তিক জীবন । বদর-ওহোদ-কারবালার চেতনা আত্মায় ধারণ করে তাওহীদরেছালাত ভিত্তিক তথা সত্য ভিত্তিক সমাজ-রাষ্ট্র-বিশ্ব গড়তে পারলেই খাজা বাবার এই হিন্দ আবার পুনরুদ্ধার হবে, পুনরুদ্ধার হবে বিশ্ব মুসলিমের প্রাণ কেন্দ্র, বিশ্ব মন্ডলী পাবে মুক্তি, প্রত্যেক জাতি পাবে মত প্রকাশের পূর্ণ স্বাধীনতা ।

মন্তব্য ৬ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৬) মন্তব্য লিখুন

১| ১৯ শে অক্টোবর, ২০১৫ রাত ১:১২

ইমদাদুল্লাহ বলেছেন: নাউযুবিল্লাহ্, আস্তাগফিরুল্লাহ্, হযরত মুয়াবিয়া রাঃ বিষ প্রয়োগ করে ইমাম হাসান রাঃ কে শহীদ করেছে??? এ ইতিহাস কোথা পেলে ভাই??
আর বদর-ওহোদ-কারবালার চেতনা আত্মায় ধারণ করে তাওহীদরেছালাত ভিত্তিক তথা সত্য ভিত্তিক সমাজ-রাষ্ট্র-বিশ্ব গড়তে পারলেই খাজা বাবার এই হিন্দ আবার পুনরুদ্ধার হবে, পুনরুদ্ধার হবে বিশ্ব মুসলিমের প্রাণ কেন্দ্র,
এই খাজা বাবাটা কে???

৩০ শে জুলাই, ২০১৬ রাত ১১:৪৬

রাসেল সরকার বলেছেন: মুয়াবিয়াই মূলত, মুলুকিয়ত কায়েমকারী, হযরত ইমাম হাসান রাদ্বিআল্লাহু আনহু এবং অসংখ্য সাহাবায়ে কেরাম হত্যাকারী, বর্ষার মাথায় কুরআন বেধেঁ যুদ্ধে অবতীর্ণকারী ।
খাজাবাবা হচ্ছে সেই সত্ত্বা, যার মাধ্যমে ৯০/৯২ লক্ষ অমুসলিম পবিত্র কলেমার মর্ম ধারা অনুধাবন করতে পেরেছিল এবং পৃথ্বীরায়ের জীবন ব্যবস্থা উৎখাত হয়েছিল ।

২| ১৯ শে অক্টোবর, ২০১৫ রাত ২:২০

আবু আবদুর রহমান বলেছেন: সত্য - মিথ্যা বিভ্রান্তকর লেখা । খাজা বাবার হিন্দ নয়, খাজা বাবা মারা গিয়েছে । মহান আল্লাহর পৃথিবী, মহান আল্লাহ চিরন্জীব । কারো আদর্শ নয় একমাত্র নবীজি ( সাঃ ) এর আদর্শ দ্বারা বিশ্ব গড়লে পৃথিবীতে শান্তি আসবে । নাবী ( সাঃ ) এর নাতী হুসাইন ( রাঃ ) কে ইয়াজিদ ( রাঃ ) হত্যা করেন নি । বা হত্যার নির্দেশ ও দেননি । ভালো করে ইতিহাস পড়ে নিন । তারপরে ব্লগে লিখুন । খাবিচ ওবাইদুল্লাহর নির্দেশে হত্যা করেন সীমার । হুসাইন ( রাঃ) কে সাহাবায়ে কিরাম হাতে -পায়ে ধরে কুফায় যেতে বারণ করেছিলো , তিনি তার গবেষণামতে গিয়েছিলেন । শুধু হুসাইন ( রাঃ ) নয় , তার চাইতে উত্তম আলী (রাঃ) ও শহীদ হয়েছেন । তার চাইতে উত্তম উসমান (রাঃ) ও শহীদ হয়েছেন । বরং অনেক নাবী-রাসূল ও শহীদ হয়েছেন । ইসলাম প্রতিষ্ঠার জন্য চরম মূল্য দিতে হয় । একজনের জন্য মাতাম করলাম অন্যেরা কি দোষ করলো ?

২০ শে অক্টোবর, ২০১৫ রাত ১:১৩

রাসেল সরকার বলেছেন: খাজাবাবাই অগ্নি উপাসক পৃথ্বীরায়কে উৎখাত করে সত্য প্রতিষ্ঠা করেছিলেন । মহান আওলিয়াকেরামের শিক্ষা ভুলে যাওয়ার কারণেই এই হিন্দ আবার অগ্নি উপাসকদের হস্তগত হয় । মহান আওলিয়াকেরামকে যারা মৃত মনে করে তাদের আত্মা কুফুরী আত্মা এবং তারাই চির অভিশপ্ত, চির কাফের এজিদবাদী চক্রের অনুসারী ।

আল্লাহর হাবীব সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াছাল্লাম এরশাদ করেন, কোন সন্দেহ নেই, যে কেহ আলী রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু হতে মুখ ফিরিয়ে নিলো সে আমার হতে মুখ ফিরিয়ে নিলো । এবং যে আমার হতে মুখ ফিরিয়ে নিলো সে আল্লাহ হতে মুখ ফিরিয়ে নিলো ।

মহান প্রিয়নবী আরো এরশাদ করেন, হোসায়েনু মিননি ওয়া আনা মিনাল হোসায়েন রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু তথা হোসায়েন আমা হতে এবং আমি হোসায়েন হতে ।

হাতের আঙ্গুল যেমন আয়না দিয়ে দেখতে হয়না, তেমনি "এজিদ" চির অভিশপ্ত কাফের তার কোন দলিলের দরকার হয়না । কারণ আপনার সন্তানকে হত্যা করে, আপনার ভালবাসা পাওয়া যেমন অচিন্তীয়, অকল্পনীয় । তেমনিভাবে যারা কারবালার তৃষ্ণার্ত রক্তাক্ত প্রান্তরে "ইমামে আকবরের" বিপরীতে অবস্থান নিয়ে দ্বীন ও মানবতা ধ্বংসের কুফুরী চক্রান্তে শামিল হয়েছে, তাদের সমর্থক, সহযোগী ও অনুসারী হয়ে, ঈমানদার তথা মুসলিম দাবীকরা তথা মহান প্রিয়নবীর আপন দাবী করাটা ভন্ডামী নয় কি ? প্রতারণা নয় কি ? মুনাফেকী নয় কি ? কপটতা নয় কি ???

৩| ১৯ শে অক্টোবর, ২০১৫ সকাল ১১:৫০

হানিফঢাকা বলেছেন: এইগুলি অন্ধ। ধর্ম সম্পর্কে জীবনে কোনদিন কিছু শিখে নাই। যা মনে আসে তা ধর্মের নামে চালিয়ে দেয়। আপনি বলেছেনঃ
"মওলা আলী রাদ্বিয়াল্লাহু আনহুকে"। আমার প্রশ্ন আলী (রাঃ) কি আপনার মওলা লাগে? আপনার আর কয়জন মওলা আছে তাদের নাম কি কি একটু জানাবেন কি?

২০ শে অক্টোবর, ২০১৫ রাত ১:২৯

রাসেল সরকার বলেছেন: যারা বস্তুবাদের দালালী করে, তাদের আত্মা শয়তানের শিকলে আবদ্ধ । তাই তারা সত্যকে যেমন উপলব্দি করতে পারেনা তেমনি মিথ্যাকেও উপলব্দি করতে পারেনা ।

আদাঁর ব্যাপারী হয়ে যারা জাহাজের খবর নিতে চায়, তাদের নিকট "মওলা' শব্দের ব্যাখ্যা দেওয়ার কোন যুক্তিকতা আছে কি........ !!!

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.