নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

চেতনায় বদর-ওহোদ-কারবালা ।

রাসেল সরকার

প্রিয়নবীর প্রেমহীন আত্মামৃত, সর্ব মিথ্যার অন্ধকারে নিমজ্জিত ।

রাসেল সরকার › বিস্তারিত পোস্টঃ

... বিলুপ্তির পথে সৌদী রাজতন্ত্র !

৩১ শে অক্টোবর, ২০১৫ ভোর ৪:১৪


যেখানে মহান প্রিয়নবীর শুভাগমন, পবিত্র আল-কুরআনের আগমন, পবিত্র কলেমার আগমন, মহান সাহাবায়ে কেরামের আগমন, মুক্তি সূর্যের উদয়স্থল এবং বিশ্ব মুসলিমের প্রাণকেন্দ্র মক্কাতুল মুকাররমা-মদিনাতুল মনোয়ারা তথা পবিত্র আল-আরব ।
এই পবিত্র "আল-আরব" কখন, কিভাবে সৌদী গোত্রের হস্তগত হয় এবং কিভাবে খেলাফতে ইনসানিয়াত রাষ্ট্র ব্যবস্থার বিপরীত সৌদী রাজতন্ত্র কায়েম করা হয় তা জানার জন্য পিছনে ফিরে যাচ্ছি ।
পবিত্র আল-আরবের বর্তমান রাজধানী রিয়াদ (পূর্ব নাম নজদ), এই নজদের দরিয়া এলাকা থেকেই সৌদী গোষ্ঠী ১৭৭৪ সালে ব্যপক রক্তপাতের মাধ্যমে প্রথম গোত্রবাদী রাষ্ট্র কায়েম করে এবং ১৮১৮সালে উৎখাত হয় । ১৮২৪-এ পূণঃ দখল করে ১৮৯১-এ আবার বিতাড়িত হয় । আবার ১৯০২ সালে নজদে পূণঃ গোত্রবাদী রাষ্ট্র করে সেখান থেকে আগ্রাসন শুরু করে ১৯২৫ থেকে ভয়ংকর গণহত্যা, রক্তপাত এবং ধ্বংসযজ্ঞের মাধ্যমে সাম্রাজ্যবাদী বৃটিশ সরকারের সহযোগীতায় "আল আরব" জবর দখল শুরু করে এবং ১৯৩২ সালের ২৩শে সেপ্টেম্বর ঈমানের প্রকাশস্থল তথা আল আরব নাম পরির্তন করে নিজ বংশের নাম অনুযায়ী এই বিশাল আরব ভূখন্ডের নাম করণ করে সৌদী আরব । পৃথিবীতে এই একটিমাত্র দেশ, যার নাম করণ করা হয় একটি গোত্রের নামে । তা শুধুমাত্র মানবতার বিপরীত নয়, ঈমান দ্বীনেরও বিপরীত । কেননা আব্দুল আজিজ ইবনে সৌদ, রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় অধিষ্ঠিত হওয়ার সাথে সাথে শান্তি, মু্ক্তি ও মানবতার ধর্ম ইসলামকে সবদিক থেকে বিকৃত করে, সর্ব সাধারণের বাক স্বাধীনতা ও ভোটাধীকার হরণ করে ফেরাউনের মত ত্রাসের রাজত্ত্ব কায়েম করে, অরাজনৈতিক গন্ডীতে আবদ্ধ করে ।

এই সৌদী গোত্রের দ্বারা ফিলিস্তিন ভূখন্ডে প্রতিষ্ঠা হয় মুসলমানদের আজন্ম শত্রু বিষফোড়া ইসরাইল রাষ্ট্র্র ।
১৯১৭ সালের দোসরা নভেম্বর ব্রিটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী ব্যালফোর ফিলিস্তিনে ইসরাইল রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করা হবে ঘোষণা দিয়েছিল । এ ঘোষণা দেওয়ার আগে ব্রিটিশরা সৌদী রাজা আব্দুল আজিজের কাছ থেকে লিখিত সম্মতিপত্র আদায় করেছিল । ঐ চিঠিতে লেখা ছিলঃ-
"আমি বাদশাহ আব্দুল আজিজ ইবনে আবদুর রহমান -- সৌদের বংশধর, হাজার বার স্বীকার করছি ও জেনেশুনে বলছি যে, মহান ব্রিটিশ সরকারের প্রতিনিধি স্যার কুকাস-এর সামনে স্বীকারোক্তি করছি এই মর্মে যে, গরিব ইহুদিদেরকে বা অন্য কাউকে ব্রিটিশ সরকার যদি "ফিলিস্তিন" দান করে দেন তাহলে এতে আমার কোনো ধরণের আপত্তি নেই । বস্তুতঃ আমি কিয়ামত পর্যন্ত ব্রিটিশ সরকারের অভিমতের বাইরে যাব না ।" (নাসিরুস সাইদ প্রণীত আলে সৌদের ইতিহাস) ।
শান্তিকামী, মুক্তিকামী, নাজাতকামী এবং মানবতাকামী ভাইবোন এই ঘৃণ্য সৌদী রাজতন্ত্রের অবসান চাচ্ছে । কেননা, সৌদী রাজতন্ত্রের ছত্র ছায়ায় ইঙ্গ-মার্কিন বাহিনী লিবিয়া, ইরাক, সিরিয়া, ইয়েমেন, ফিলিস্তিন এবং অন্যান্য রাষ্ট্রে হামলা চালাচ্ছে, তাদের দ্বারাই প্রতিষ্ঠা হচ্ছে ইসলামের নামে জঙ্গী সংঘটন । আরব ভূখন্ডের যেথায় ইঙ্গ-মার্কিন বাহিনী ধ্বংসযজ্ঞ চালাচ্ছে সেথায় সৌদী রাজতন্ত্র সমর্থন দিয়ে যাচ্ছে ।

বর্তমানে ক্ষমতার দ্বন্দে জড়িয়ে পড়েছেন দুই সৌদী যুবরাজ । হয়তো তাদের বিদ্রোহের মুখে অচিরেই অবসান হবে দীর্ঘকালের সৌদী রাজতন্ত্র ।
সময় যতই অতিবাহিত হচ্ছে, দ্বন্দ সংঘাত এবং তাদের ঘৃণ্যরুপ ততই বিশ্ব মিডিয়ায় বিতর্কের সৃষ্টি করছে । সৌদী নেতৃত্বাধীন ইয়েমেনে সামরিক আগ্রাসন, তেলের দাম পড়ে যাওয়া, জঙ্গি হামলা বৃদ্ধি ও হজ্ব ট্রাজেডিসহ নানা বিপর্যয়ে বর্তমান রাজতন্ত্র চ্যালেঞ্জের মুখে পড়েছে ।
"৭৯ বছর বয়সী বর্তমান বাদশা সালমানের শারীরিক অবস্থাও খুব বেশি ভালো নয় । যে কোনো সময়ে বিশৃঙ্খলা দেখা দিতে পারে রাজপরিবারে ।
বৃহষ্পতিবার বার্তা সংস্থা এএফপি খবর প্রকাশ করেঃ-
বাদশা সালমানের ভাগ্নে মোহাম্মদ বিন নায়েফ (৫৬) ও বাদশা পুত্র মোহা্ম্মদ বিন সালমানের (৩০) মধ্যে এ ক্ষমতার দ্বন্দ তীব্র হয়েছে । বিন নায়েফ বর্তমানে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করছেন । অন্যদিকে বিন সালমান চালাচ্ছেন প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় ।
দুই যুবরাজের মধ্যে দ্বন্দ শুরুহয় ৬ মাস আগে যুবরাজ মকবিন বিন আব্দুল আজিজ আল সৌদকে সরিয়ে দেয়া নিয়ে । সাবেক বাদশা আব্দুল্লাহ তাকে দেশের প্রথম ডেপুটি ক্রাউন প্রিন্স হিসেবে নিয়োগ দিয়েছিলেন ।
সৌদী গোয়েন্দা সংস্থার পরিচালক ছিলেন তিনি । তাকে সরিয়ে দেয়ার ফলে মোহাম্মদ বিন সালমানের ক্ষমতা পাকাপোক্তা হয় ।
সৌদী রাজতন্ত্র বিশেষজ্ঞ প্যারিসের সায়েন্স পো বিশ্ববিদ্যালয়ের স্টিফেন ল্যাকরোইক্স বলেন, এ ঘটনাকে ষ্পষ্ট অভ্যুত্থান হিসেবে দেখে অনেকেই । মোহাম্মদ বিন সালমানের এত দ্রুত ক্ষমতার উচ্চাসনে আরোহন করায় অস্বস্তিতে পড়ে বিরোধীরা ।
গত সেপ্টেম্বরে মোহাম্মদ বিন নায়েফের ঘনিষ্ঠ মন্ত্রী ও কেবিনেট সদস্য সাদ আল জাবিরিকে অপসারণ করেন বাদশাহ সালমান । এ ঘটনার পর ক্ষমতার দ্বন্দ আরও ষ্পষ্ট হয়ে ওঠে । সৌদী রাজতন্ত্রে দুটো গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রণালয় এই বিরোধী দু'জনকে দিয়ে চালানোয় দেশিয় ও আন্তর্জতিকভাবে নীতির সমন্বয়হীনতা ঘটেছে ।
ওয়াশিংটনের কারনিগ এনডাউনমেন্ট ফর ইন্টারন্যাশনাল পিস সংগঠনের মধ্যপ্রাচ্য গবেষক ফ্রেডরিক ওহেরি বলেন, ইয়েমেন আগ্রাসন ছিল সৌদির দায়িত্বজ্ঞানহীন কাজ । এ বছরের হজ্বে মিনা ট্রাজেডির ঘটনায় অন্তত ২ হাজার ২০০ হাজীর নিহতের পর ক্ষমতার লড়াই দেখানোর সুযোগ বেড়েছে । পুলিশের দায়িত্বহীনতার অভিযোগ তুলে মোহাম্মদ বিন নায়েফের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে দায়ী করে তাকে সরাতে চায় সালমানের পক্ষশক্তি ।
অন্যদিকে ইয়েমেনের যুদ্ধের ব্যর্থতার জন্য দায়ী করে মোহা্ম্মদ বিন সালমানকে সরাতে চায় বিন নায়েফেপন্থীরা । ক্ষমতার এ দ্বন্দ চক্রে রাজতন্ত্রের বিলুপ্তি চান অনেকেই ।
এছাড়াও সৌদী রাজতন্ত্রের অনেকেই অনেক সময় নারী ও মাদক কেলেংকারীতে জড়ানোর কারনও, তাদের বিলুপ্তির অন্যতম .............. ।যেখানে মহান প্রিয়নবীর শুভাগমন, পবিত্র আল-কুরআনের আগমন, পবিত্র কলেমার আগমন, মহান সাহাবায়ে কেরামের আগমন, মুক্তি সূর্যের উদয়স্থল এবং বিশ্ব মুসলিমের প্রাণকেন্দ্র মক্কাতুল মুকাররমা-মদিনাতুল মনোয়ারা তথা পবিত্র আল-আরব ।
এই পবিত্র "আল-আরব" কখন, কিভাবে সৌদী গোত্রের হস্তগত হয় এবং কিভাবে খেলাফতে ইনসানিয়াত রাষ্ট্র ব্যবস্থার বিপরীত সৌদী রাজতন্ত্র কায়েম করা হয় তা জানার জন্য পিছনে ফিরে যাচ্ছি ।
পবিত্র আল-আরবের বর্তমান রাজধানী রিয়াদ (পূর্ব নাম নজদ), এই নজদের দরিয়া এলাকা থেকেই সৌদী গোষ্ঠী ১৭৭৪ সালে ব্যপক রক্তপাতের মাধ্যমে প্রথম গোত্রবাদী রাষ্ট্র কায়েম করে এবং ১৮১৮সালে উৎখাত হয় । ১৮২৪-এ পূণঃ দখল করে ১৮৯১-এ আবার বিতাড়িত হয় । আবার ১৯০২ সালে নজদে পূণঃ গোত্রবাদী রাষ্ট্র করে সেখান থেকে আগ্রাসন শুরু করে ১৯২৫ থেকে ভয়ংকর গণহত্যা, রক্তপাত এবং ধ্বংসযজ্ঞের মাধ্যমে সাম্রাজ্যবাদী বৃটিশ সরকারের সহযোগীতায় "আল আরব" জবর দখল শুরু করে এবং ১৯৩২ সালের ২৩শে সেপ্টেম্বর ঈমানের প্রকাশস্থল তথা আল আরব নাম পরির্তন করে নিজ বংশের নাম অনুযায়ী এই বিশাল আরব ভূখন্ডের নাম করণ করে সৌদী আরব । পৃথিবীতে এই একটিমাত্র দেশ, যার নাম করণ করা হয় একটি গোত্রের নামে । তা শুধুমাত্র মানবতার বিপরীত নয়, ঈমান দ্বীনেরও বিপরীত । কেননা আব্দুল আজিজ ইবনে সৌদ, রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় অধিষ্ঠিত হওয়ার সাথে সাথে শান্তি, মু্ক্তি ও মানবতার ধর্ম ইসলামকে সবদিক থেকে বিকৃত করে, সর্ব সাধারণের বাক স্বাধীনতা ও ভোটাধীকার হরণ করে ফেরাউনের মত ত্রাসের রাজত্ত্ব কায়েম করে, অরাজনৈতিক গন্ডীতে আবদ্ধ করে ।
এই সৌদী গোত্রের দ্বারা ফিলিস্তিন ভূখন্ডে প্রতিষ্ঠা হয় মুসলমানদের আজন্ম শত্রু বিষফোড়া ইসরাইল রাষ্ট্র্র ।
১৯১৭ সালের দোসরা নভেম্বর ব্রিটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী ব্যালফোর ফিলিস্তিনে ইসরাইল রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করা হবে ঘোষণা দিয়েছিল । এ ঘোষণা দেওয়ার আগে ব্রিটিশরা সৌদী রাজা আব্দুল আজিজের কাছ থেকে লিখিত সম্মতিপত্র আদায় করেছিল । ঐ চিঠিতে লেখা ছিলঃ-
"আমি বাদশাহ আব্দুল আজিজ ইবনে আবদুর রহমান -- সৌদের বংশধর, হাজার বার স্বীকার করছি ও জেনেশুনে বলছি যে, মহান ব্রিটিশ সরকারের প্রতিনিধি স্যার কুকাস-এর সামনে স্বীকারোক্তি করছি এই মর্মে যে, গরিব ইহুদিদেরকে বা অন্য কাউকে ব্রিটিশ সরকার যদি "ফিলিস্তিন" দান করে দেন তাহলে এতে আমার কোনো ধরণের আপত্তি নেই । বস্তুতঃ আমি কিয়ামত পর্যন্ত ব্রিটিশ সরকারের অভিমতের বাইরে যাব না ।" (নাসিরুস সাইদ প্রণীত আলে সৌদের ইতিহাস) ।
শান্তিকামী, মুক্তিকামী, নাজাতকামী এবং মানবতাকামী ভাইবোন এই ঘৃণ্য সৌদী রাজতন্ত্রের অবসান চাচ্ছে । কেননা, সৌদী রাজতন্ত্রের ছত্র ছায়ায় ইঙ্গ-মার্কিন বাহিনী লিবিয়া, ইরাক, সিরিয়া, ইয়েমেন, ফিলিস্তিন এবং অন্যান্য রাষ্ট্রে হামলা চালাচ্ছে, তাদের দ্বারাই প্রতিষ্ঠা হচ্ছে ইসলামের নামে জঙ্গী সংঘটন । আরব ভূখন্ডের যেথায় ইঙ্গ-মার্কিন বাহিনী ধ্বংসযজ্ঞ চালাচ্ছে সেথায় সৌদী রাজতন্ত্র সমর্থন দিয়ে যাচ্ছে ।



বর্তমানে ক্ষমতার দ্বন্দে জড়িয়ে পড়েছেন দুই সৌদী যুবরাজ । হয়তো তাদের বিদ্রোহের মুখে অচিরেই অবসান হবে দীর্ঘকালের সৌদী রাজতন্ত্র ।
সময় যতই অতিবাহিত হচ্ছে, দ্বন্দ সংঘাত এবং তাদের ঘৃণ্যরুপ ততই বিশ্ব মিডিয়ায় বিতর্কের সৃষ্টি করছে । সৌদী নেতৃত্বাধীন ইয়েমেনে সামরিক আগ্রাসন, তেলের দাম পড়ে যাওয়া, জঙ্গি হামলা বৃদ্ধি ও হজ্ব ট্রাজেডিসহ নানা বিপর্যয়ে বর্তমান রাজতন্ত্র চ্যালেঞ্জের মুখে পড়েছে ।
"৭৯ বছর বয়সী বর্তমান বাদশা সালমানের শারীরিক অবস্থাও খুব বেশি ভালো নয় । যে কোনো সময়ে বিশৃঙ্খলা দেখা দিতে পারে রাজপরিবারে ।
বৃহষ্পতিবার বার্তা সংস্থা এএফপি খবর প্রকাশ করেঃ-
বাদশা সালমানের ভাগ্নে মোহাম্মদ বিন নায়েফ (৫৬) ও বাদশা পুত্র মোহা্ম্মদ বিন সালমানের (৩০) মধ্যে এ ক্ষমতার দ্বন্দ তীব্র হয়েছে । বিন নায়েফ বর্তমানে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করছেন । অন্যদিকে বিন সালমান চালাচ্ছেন প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় ।
দুই যুবরাজের মধ্যে দ্বন্দ শুরুহয় ৬ মাস আগে যুবরাজ মকবিন বিন আব্দুল আজিজ আল সৌদকে সরিয়ে দেয়া নিয়ে । সাবেক বাদশা আব্দুল্লাহ তাকে দেশের প্রথম ডেপুটি ক্রাউন প্রিন্স হিসেবে নিয়োগ দিয়েছিলেন ।
সৌদী গোয়েন্দা সংস্থার পরিচালক ছিলেন তিনি । তাকে সরিয়ে দেয়ার ফলে মোহাম্মদ বিন সালমানের ক্ষমতা পাকাপোক্তা হয় ।
সৌদী রাজতন্ত্র বিশেষজ্ঞ প্যারিসের সায়েন্স পো বিশ্ববিদ্যালয়ের স্টিফেন ল্যাকরোইক্স বলেন, এ ঘটনাকে ষ্পষ্ট অভ্যুত্থান হিসেবে দেখে অনেকেই । মোহাম্মদ বিন সালমানের এত দ্রুত ক্ষমতার উচ্চাসনে আরোহন করায় অস্বস্তিতে পড়ে বিরোধীরা ।
গত সেপ্টেম্বরে মোহাম্মদ বিন নায়েফের ঘনিষ্ঠ মন্ত্রী ও কেবিনেট সদস্য সাদ আল জাবিরিকে অপসারণ করেন বাদশাহ সালমান । এ ঘটনার পর ক্ষমতার দ্বন্দ আরও ষ্পষ্ট হয়ে ওঠে । সৌদী রাজতন্ত্রে দুটো গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রণালয় এই বিরোধী দু'জনকে দিয়ে চালানোয় দেশিয় ও আন্তর্জতিকভাবে নীতির সমন্বয়হীনতা ঘটেছে ।
ওয়াশিংটনের কারনিগ এনডাউনমেন্ট ফর ইন্টারন্যাশনাল পিস সংগঠনের মধ্যপ্রাচ্য গবেষক ফ্রেডরিক ওহেরি বলেন, ইয়েমেন আগ্রাসন ছিল সৌদির দায়িত্বজ্ঞানহীন কাজ । এ বছরের হজ্বে মিনা ট্রাজেডির ঘটনায় অন্তত ২ হাজার ২০০ হাজীর নিহতের পর ক্ষমতার লড়াই দেখানোর সুযোগ বেড়েছে । পুলিশের দায়িত্বহীনতার অভিযোগ তুলে মোহাম্মদ বিন নায়েফের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে দায়ী করে তাকে সরাতে চায় সালমানের পক্ষশক্তি ।
অন্যদিকে ইয়েমেনের যুদ্ধের ব্যর্থতার জন্য দায়ী করে মোহা্ম্মদ বিন সালমানকে সরাতে চায় বিন নায়েফেপন্থীরা । ক্ষমতার এ দ্বন্দ চক্রে রাজতন্ত্রের বিলুপ্তি চান অনেকেই ।
এছাড়াও সৌদী রাজতন্ত্রের অনেকেই অনেক সময় নারী ও মাদক কেলেংকারীতে জড়ানোর কারনও, তাদের বিলুপ্তির অন্যতম .............. ।

মন্তব্য ১০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (১০) মন্তব্য লিখুন

১| ৩১ শে অক্টোবর, ২০১৫ ভোর ৬:১৪

চাঁদগাজী বলেছেন:




" ফেরাউনের মত ত্রাসের রাজত্ত্ব কায়েম করে, অরাজনৈতিক গন্ডীতে আবদ্ধ করে । "

-ফেরাউনরা ছিল সেই সময়কার সভ্যতার বাহক।

৩১ শে অক্টোবর, ২০১৫ বিকাল ৩:৩০

রাসেল সরকার বলেছেন: ফেরাউনের অনুসারী খোঁজে পাওয়া গেল... !

২| ৩১ শে অক্টোবর, ২০১৫ সকাল ৭:০০

গাজী ইলিয়াছ বলেছেন: সত্য লেখা বলে মনে হয়েছে !

৩১ শে অক্টোবর, ২০১৫ বিকাল ৩:৩৩

রাসেল সরকার বলেছেন: মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ ।

৩| ৩১ শে অক্টোবর, ২০১৫ সকাল ১০:২৩

পিচ্চি হুজুর বলেছেন: প্রোফেসীতে বলাই ইমাম মাহাদী আসার আগে ক্ষমতার দ্বন্দ্ব নিয়ে আরবের দুই খলিফার ছেলের মাঝে গ্যাঞ্জাম শুরু হবে। এর আগে মাঝে ও পরে অনেক কাহিনী আছে। সেই দিন আসতেছে।

৩১ শে অক্টোবর, ২০১৫ বিকাল ৩:৩৫

রাসেল সরকার বলেছেন: যে কোনো মূল্যে সত্যের পক্ষে থাকতে হবে ।

৪| ৩১ শে অক্টোবর, ২০১৫ দুপুর ১:৩৩

শান্তনু চৌধুরী শান্তু বলেছেন: কাজের লিখা

৩১ শে অক্টোবর, ২০১৫ বিকাল ৩:৩৬

রাসেল সরকার বলেছেন: শুকরিয়া ।

৫| ২০ শে আগস্ট, ২০১৬ রাত ২:২৪

সোহাগ আহসান বলেছেন: না

২০ শে আগস্ট, ২০১৬ রাত ৩:০৭

রাসেল সরকার বলেছেন: আলোর আগমনে আধাঁর যেভাবে পলায়ন করে তেমনিভাবে সত্যের আগমনে মিথ্যা বিলুপ্ত হয় ।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.