নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

চেতনায় বদর-ওহোদ-কারবালা ।

রাসেল সরকার

প্রিয়নবীর প্রেমহীন আত্মামৃত, সর্ব মিথ্যার অন্ধকারে নিমজ্জিত ।

রাসেল সরকার › বিস্তারিত পোস্টঃ

দুনিয়ার পাঠক এক হও ! দ্বীন দুনিয়া রক্ষা কর-

০৮ ই জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ২:১৭

রাষ্ট্রীয় দুমায় সিনোদ (১৩১) এস্টিমেট আলোচনায় প্রতিনিধি সুর্কোভের বক্তৃতা এবং আমাদের দুমা গ্রুপের অভ্যন্তরে সে বক্তৃতার খসড়া নিয়ে বিতর্কে (যা নিচে মুদ্রিত হল) অতি গুরুত্বপূর্ণ এবং ঠিক বর্তমান মুহুর্তের পক্ষে জরুরী একটা প্রশ্ন উঠেছে । ধর্মের সঙ্গে যা কিছু সম্পর্কিত তা নিয়ে বর্তমানে “সমাজে” ব্যাপক অংশ আগ্রহান্বিত, শ্রমিক আন্দোলনের সন্নিকটস্থ বুদ্ধিজীবীদের মধ্যেও তথা কিছু কিছু শ্রমিক গোষ্ঠীর মধ্যেও সে আগ্রহ প্রবেশ করেছে । ধর্ম সম্পর্কে সোশ্যাল ডেমোক্রাসির মনোভাব কী তা প্রকাশ করতে সে অবশ্যই বাধা ।

সোশ্যাল-ডেমোক্রাসির সমস্ত বিশ্বদৃষ্টি গড়ে উঠেছে বৈজ্ঞানিক সমাজতন্ত্র অর্থাৎ মার্কসবাদের ওপর । মার্কস ও এঙ্গেলস একাধিকবার যা ঘোষণা করেছেন, মার্কসবাদের দার্শনিক ভিত্তিহল দ্বান্দিক বস্তুবাদ, যা পুরোপুরি গ্রহণ করেছে আঠারো শতকের ফ্রান্সের বস্তুবাদ এবং জার্মানিতে ফয়েরবাখের (১৯ শতকের প্রথমার্ধ) বস্তুবাদের ঐতিহাসিক ঐতিহ্য—এ বস্তুবাদ নিঃসন্দেহেই নিরীশ্বরবাদী দৃঢ় ভাবেই সবকিছু ধর্মের বিরোধী । স্মরণ করিয়ে দিই যে মার্কস যে পান্ডুলিপিটি পড়ে দেখেছিলেন, এঙ্গেলসের সেই “অ্যান্টি-দ্যুরিং” গ্রন্থের সবটাতেই বস্তুবাদী নিরীশ্বরবাদী দ্যুরিং বস্তুবাদে সঙ্গতিহীনতা এবং ধর্ম ও ধর্মীয় দর্শনের জন্যে ফাঁক রেখে যাবার জন্যে সমালোচিত হয়েছেন । স্মরণ করিয়ে দিই যে এঙ্গেলস ল্যুদভিগ ফয়েরবাখ গ্রন্থে তাঁকে ভৎসনা করে বলেছেন যে তিনি ধর্ম নিশ্চিহ্ন করার জন্যে নয়, ধর্মের ‘নবীকরণ; নতুন একটা উচ্চমাগীয় ধর্ম প্রণয়নের জন্যেই ধর্মের বিরুদ্ধে সংগ্রাম করেছিলেন ইত্যাদি । ধর্ম হল জনগণের কাছে আফিম, মার্কসের এ উক্তিটা ধর্ম প্রসঙ্গে মার্কসবাদের সমস্ত বিশ্বদৃষ্টির মূলকথা (১৩২) । আধুনিক সমস্ত ধর্ম ও গির্জা, সমস্ত ও সর্ববিধ ধর্ম সংগঠনকে মার্কস সর্বদাই মনে করতেন বুর্জোয়া প্রতিক্রিয়ার সংস্থা, শ্রমিক শ্রেণীর শোষণ বজায় রাখা ও তাদের ধাপ্পা দেওয়া তার কাজ ।

সেই সঙ্গে কিন্তু যারা সোশ্যাল-ডেমোক্রাসির চেয়েও ‘বাম’ বা ‘বৈপ্লবিক’ হতে চায়, ধর্মের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ ঘোষণার অর্থে নিরীশ্বরবাদের সরাসরি স্বীকৃতিকে পার্টি কর্মসূচির অন্তভূর্ত করতে ইচ্ছুক, তাদের প্রচেষ্টা এঙ্গেলস একাধিকবার নিন্দিত করেছেন । ১৮৭৪ সালে কমিউনের পলাতক, লন্ডনে দেশান্তরী ব্লাঙ্কিস্টদের বিখ্যাত ইশতেহার প্রসঙ্গে মন্তব্যে এঙ্গেলস ধর্মের বিরুদ্ধে তাদের সকলরব যুদ্ধ ঘোষণাকে নির্বুদ্ধিতা বলে অভিহিত করেছেন: বলেছেন, এরূপ যুদ্ধ ঘোষণাই হল ধর্মে আগ্রহ জাগিয়ে তোলার সেরা পদ্ধতি, সত্যিকারের ধর্ম লুপ্তি তা কঠিন করে তুলবে । এঙ্গেলস ব্লাঙ্কিস্টদের এইজন্যে দোষ দিয়েছেন যে তারা বুঝতে অক্ষম যে কেবল শ্রমিক জনতার শ্রেণী সংগ্রামই সচেতন ও বৈপ্লবিক সামাজিক কর্মের মধ্যে প্রলেতারিয়েতের ব্যাপকতম স্তরকে সর্বাঙ্গীন ভাবে টেনে ক্রমেই বাস্তবে ধর্মের নিগড় থেকে উৎপীড়িতদের মুক্তি দিতে পারে; অন্যদিকে ধর্মের বিরুদ্ধে যুদ্ধকে শ্রমিক পার্টির রাজনৈতিক কর্তব্য হিসাবে ঘোষণা করা হল নৈরাজ্যবাদী বুলি (১৩৩) । ১৮৭৭ সালে ‘অ্যান্টি-দ্যুরিঙে’ ভাববাদ ও ধর্মের প্রতি দার্শনিক দ্যুরিঙের ন্যূনতম প্রশ্রয়দানকে নির্মম সমালোচনা করলেও এঙ্গেলস সমাজতান্ত্রিক সমাজে ধর্ম নিষিদ্ধ হবে দ্যুরিঙের এই তথাকথিত বৈপ্লবিক ভাবনাকেও কম জোরে নিন্দিত করেন নি । ধর্মের বিরুদ্ধে এরূপ যুদ্ধ ঘোষণার অর্থ এঙ্গেলস বলেন, ‘বিসমার্কের চেয়েও বেশি বিসমার্কিপণা, অর্থাৎ যাজকদের বিরুদ্ধে বিসমার্কী সংগ্রামের নির্বুদ্ধিতা করা (কুখ্যাত সংস্কৃতি অভিযান Kulturkampf, অর্থাৎ ১৮৭০-এর দশকে ক্যাথলিকবাদের পুলিসী দমন মারফত জার্মান ক্যাথলিক পার্টি, ‘মধ্যপন্থী’ পার্টির বিরুদ্ধে বিসমার্কের সংগ্রাম) । এ সংগ্রামে বিসমার্ক কেবল ক্যাথলিকদে জঙ্গী যাজকতন্ত্রকেই জোরদার করেন, সত্যকার সংস্কৃতির স্বার্থকেই ক্ষতিগ্রস্ত করেন, কেননা রাজনৈতিক ভেদের বদলে প্রধান করে তোলেন ধর্ম ভেদটা, শ্রেণীগত ও বৈপ্লবিক সংগ্রামের জরুরী কর্তব্য থেকে শ্রমিক শ্রেণী ও গণতন্ত্রীদের কিছু স্তরের মনোযোগ বিচ্যুত করেন অতি ভাসা ভাসা ও বুর্জোয়াসুলভ মিথ্যা যাজক-বিরোধিতায় । অতি-বিপ্লবী হয় ওঠার বাসনায় দ্যুরিং অন্য রূপে বিসমার্কের ওই চূড়ান্ত, অনতিক্রম্য সীমা টেনে ভাগ করার অর্থ- অদ্বান্দিকের মতো বিচার, যে সীমাটা চঞ্চল ও আপেক্ষিক তাকে চূড়ান্তে পরিণত করা, বাস্তব জীবনে যেটা অচ্ছেদ্য জড়িত তাকে জোর করে ছেড়া । দৃষ্টান্ত দেওয়া যাক । নিদিষ্ট এলাকায় ও শিল্পের নিদিষ্ট একটি শাখায় প্রলেতারিয়েত, ধরা যাক, যথেষ্ট সচেতন সোশ্যাল-ডেমোক্রাটদের একটা স্তর (যারা বলাই বাহুল্য নিরীশ্বরবাদী) এবং যথেষ্ট পশ্চাৎপদ, এখনো গ্রামাঞ্চল ও কৃষকদের সঙ্গে যুক্ত শ্রমিকদের মধ্যে বিভক্ত, যারা ঈশ্বরে বিশ্বাসী, গির্জায় যায়, অথবা এমনকি সরাসরি স্থানীয় পুরোহিতেরই প্রভাবাধীন, যে ধরা যাক খৃষ্টীয় শ্রমিক ইউনিয়ন গড়ছে । আরো ধরা যাক যে এ রকম একটি এলাকায় অর্থনৈতিক সংগ্রাম ধর্মঘটে পৌছেছে । মার্কসবাদীর পক্ষে ধর্মঘট আন্দোলনের সাফল্যটাকেই প্রধান করে ধরা অবশ্যকর্তব্য, এ সংগ্রামের মধ্যে খৃষ্টান ও নিরীশ্বরবাদীতে শ্রমিকদের ভাগাগাগির দৃঢ় প্রতিরোধ করা, এ বিভাগের বিরুদ্ধে দৃঢ় লড়াই চালানো অবশ্যকর্তব্য । এরূপ পরিস্থিতিতে নিরীশ্বরবাদী প্রচার হয়ে উঠতে পারে অবান্তর ও ক্ষতিকর—সেটা পশ্চাৎপদ স্তরদের ভড়কে না দেওয়া, নির্বাচনে হেরে যাওয়া ইত্যাদির ছেদো যুক্তিতে নয় শ্রেণী সংগ্রামের সত্যকার অগ্রগতির দৃষ্টিকোণ থেকে, আধুনিক পুজিবাদী সমাজের পরিস্থিতিতে সে সংগ্রাম খৃষ্টীয় শ্রমিককে সোশ্যাল-ডেমোক্রাসি ও নিরীশ্বরবাদে পৌছে দেবে নগ্ন নিরীশ্বরবাদী প্রচারের চেয়ে শতগুণ ভালো ভাবে । এরূপ মুহুর্তে ও এরূপ পরিস্থিতিতে নিরীশ্বরবাদী প্রচারক কেবল পাদ্রীটি ও পাদ্রীদের হাতই জোরদার করবে, যারা ধর্মঘটে অংশগ্রহণ নিয়ে শ্রমিকদের ভাগাভাগির বদলে ঈশ্বর বিশ্বাস নিয়ে শ্রমিকদের ভাগ করতে পারলে আর কিছুই চায় না । যে করেই হোক ঈশ্বরের বিরোধী যুদ্ধের প্রচার মারফত নৈরাজ্যবাদীরা আসলে পাদ্রী ও বুর্জোয়াদেরই সাহায্য করে বসবে (বাস্তবক্ষেত্রে বরাবরই তারা যেমন বুর্জোয়াদের সাহায্য করে থাকে) । মার্কসবাদীকে হতে হবে বস্তুবাদী, অর্থাৎ ধর্মের শত্রু, কিন্তু বস্তুবাদী দ্বান্দিক, অর্থাৎ ধর্মের সঙ্গে সংগ্রামটাকে যে বিমূর্ত ভাবে নয়, নিরাকার, বিশুদ্ধ তাত্ত্বিক, নিত্য একরূপ প্রচারের ভিত্তিতে নয়, হাজির করবে মূর্তে প্রত্যক্ষ ভাবে, শ্রেণী সংগ্রামের ভিত্তিতে, যা বাস্তবে চলছে, জনগণকে যা সবচেয়ে বেশি করে ও ভালো করে শিক্ষিত করে তুলছে । মার্কসবাদীর উচিত সমগ্র প্রত্যক্ষ-নিদিষ্ট পরিস্থিতিটা হিসাব করতে পারা, সর্বদাই নৈরাজ্যবাদ ও সুবিধাবাদের মধ্যে সীমা টানতে পারা (এ সীমাটা যাদের টিকে আছে এমন সমস্ত মজুরদের সোশ্যাল-ডেমোক্রাটিক পার্টির মধ্যে অনুমোদন করা শুধূ নয়, প্রচন্ড ভাবে তাদের টেনে আনতেই হবে, অবশ্যই আমরা তাদের ধর্মবিশ্বাসের এতটুকু লাঞ্ছনারও বিরুদ্ধে, কিন্তু আমরা তাদের টেনে আনব আমাদের কর্মসূচির প্রেরণায় তাদের গড়ে তোলার জন্যে, সে কর্মসূচির বিরুদ্ধে সক্রিয় সংগ্রামের জন্যে নয় । পার্টির অভ্যন্তরে মতের স্বাধীনতা আমরা মানি, কিন্তু একটা নিদিষ্ট সীমার মধ্যে, যা নির্ধারিত হয় জোট বন্ধনের স্বাধীনতা দিয়ে : পার্টির অধিকাংশ যে মত বর্জন করেছে তার সক্রিয় প্রচারকদের সঙ্গে হাতে হাত মিলিয়ে যেতে আমরা বাধ্য নই ।
অন্য আরেকটি দৃষ্টান্ত: ‘সমাজতন্ত্রই আমার ধর্ম’ বলে ঘোষণা, অথবা সে বিবৃতি অনুসারী মত প্রচার করলে সোশ্যাল-ডেমোক্রাটিক পার্টির সভ্যদের কি সর্ব পরিস্থিতিতেই সমান ভাবে নিন্দা করা চলে ? চলে না । মর্কসবাদ থেকে (সুতরাং সমাজতন্ত্র থেকেও) বিচ্যুতি এখানে সন্দেহাতীত, কিন্তু এ বিচ্যুতির তাৎপর্য, তার বলা যেতে পারে আপেক্ষিক গুরুত্ত্ব বিভিন্ন অবস্থায় বিভিন্ন রকম হতে পারে । একজন আন্দোলনকারী, অথবা শ্রমিক জনগণের সমক্ষে একজন বক্তা যখন কথাটা বলেন বেশি বোধগম্য হবার জন্যে, বক্তব্য সূত্রপাতের জন্যে, অবিকশিত জনগণের কাছে অভ্যস্ত ভাষায় নিজের মত বাস্তব ভাবে প্রকাশের জন্যে, তখন এক কথা । আর লেখক যখন ঈশ্বর নির্মিত (১৩৭) অথবা ঈশ্বর বির্মাণী সমাজতন্ত্র (দৃষ্টান্তস্বরূপ আমাদের সুনাচারস্কি কোম্পানির ঢঙ্গে) প্রচার করতে শুরু করে, তখন অন্য ব্যাপার । প্রথম ক্ষেত্রে নিন্দা করলে তা যে পরিমাণে হবে ছিদ্রান্বেষণ, এমনকি বক্তার স্বাধীনতা সঙ্গোচন, ‘মাষ্টারী পদ্ধতি মারফৎ’ প্রভাবিত করার যে স্বাধীনতা দরকার, তার সঙ্কোচন, দ্বিতীয় ক্ষেত্রে ঠিক সেই পরিমাণেই পার্টি নিন্দা আবশ্যক ও বাধ্যতামূলক । ‘সমাজতন্ত্রই ধর্ম; একথাটা এক দলের কাছে ধর্ম থেকে সমাজতন্ত্রে উত্তরণের এবং অন্যদের ক্ষেত্রে সমাজতন্ত্র থেকে ধর্মে উৎক্রমণের একটা রূপ ।
‘ধর্মকে ব্যক্তিগত ব্যাপার ঘোষণার থিসিসটির সুবিধাবাদী ব্যাখ্যা দেখা দিয়েছিল পশ্চিমের যে সব পরিস্থিতিতে এবার তাতে আসা যাক । বলাই বাহুল্য, এক্ষেত্রে সাধারণ কারণগুলির প্রভাবও আছে, যথা ক্ষণিক সুবিধার যুপকাষ্ঠে শ্রমিক শ্রেণীর মৌলিক স্বার্থ বলিদান । ধর্মকে ব্যক্তিগত ব্যাপার বলে ঘোষণার জন্যে প্রলেতারিয়েতের লাঠিটাকে উল্টো দিকে বাঁকাচ্ছে । এটা বোঝা যায় এবং কিছুটা পরিমাণে তা সঙ্গত, কিন্তু পশ্চিমের এই বিশেষ ঐতিহাসিক পরিস্থিতিটা ভুলে যাওয়া আমাদের রুশ সোশ্যাল-ডেমোক্রাসির সাজে না ।

দ্বিতীয়ত, পশ্চিমে জাতীয় বুর্জোয়া বিপ্লব সমাপ্তির পর, ধর্ম বিশ্বাসের মোটামুটি পূর্ণ স্বাধীনতা প্রচলনের পর, ধর্মের বিরুদ্ধে গণতান্ত্রিক সংগ্রামের প্রশ্নটা বুর্জোয়া গণতন্ত্রের সঙ্গে সমাজতন্ত্রের সংগ্রাম দ্বারা ঐতিহাসিক ভাবে এতটা গৌণস্থানে পড়ে যায় যে বুর্জোয়া সরকাররা ইচ্ছে করে সমাজতন্ত্র থেকে জনগণের দৃষ্টি সরাবার চেষ্টা করে যাযকতন্ত্রের বিরুদ্ধে মেকি উদারনীতিক ‘অভিযান’ খাড়া করে । জার্মানিতে Kulturkampf এবং ফ্রান্সে যাজকতন্ত্রের বিরুদ্ধে বুর্জোয়া প্রজাতন্ত্রীদের সংগ্রামটা ছিল এই চরিত্রের । সমাজতন্ত্র থেকে জনগণের মনোযোগ বিকর্ষণের উপায়স্বরূপ বুর্জোয়া যাজকবিরোধিতা—এইটে দেখা দেয় পশ্চিমে ধর্মের বিরুদ্ধে সংগ্রামের প্রতি সোশ্যাল-ডেমোক্রাটদের মধ্যে ‘উদাসীনতা’ ছড়াবার আগে । এটাও বোধগম্য এবং সঙ্গত, কেননা বুর্জোয়া ও বিসমাকী যাজকবিরোধিতার বিপরীতে সোশ্যাল-ডেমোক্রাসিকে বলতেই হত যে ধর্মের বিরুদ্ধে সংগ্রামটা সমাজতন্ত্রের জন্যে সংগ্রামের অধীন ।

রাশিয়ায় একেবারেই অন্যরকম পরিস্থিতি । প্রলেতারিয়েতই হল আমাদের বুর্জোয়া-গণতান্ত্রিক বিপ্লবের নেতা । সমস্ত মধ্যযুগীয়তার বিরুদ্ধে, সেই সঙ্গে সাবেকী সরকারী ধর্ম ও তার নবায়ন বা নবপ্রতিষ্ঠা বা অন্যবিধ প্রতিষ্ঠা ইত্যাদির সমস্ত প্রচেষ্টার বিরুদ্ধে সংগ্রামে প্রলেতারিয়েতের পার্টিকেই হতে হবে ভাবাদর্শগত নেতা । সেইজন্যেই, রাষ্ট্র ধর্মকে ব্যক্তগত ব্যাপার বলে ঘোষণা করুক শ্রমিক পার্টির এই দাবির বদলে যারা খোদ সোশ্যাল-ডেমোক্রাসি ও সোশ্যাল-ডেমোক্রাটিক পার্টির কাছেই ধর্মকে ব্যক্তিগত ব্যাপার ঘোষণা করতে চেয়েছিল, সেই জার্মান সোশ্যাল-ডেমোক্রাটদের সুবিধাবাদকে যদি এঙ্গেলস অপেক্ষাকৃত নরম ঢঙে শুধরে দিয়ে থাকেন, তাহলে বোঝাই যায় যে রুশ সুবিধাবাদীগণ কর্তৃক এই জার্মান বিকৃতিটির আমদানিটা এঙ্গেলসের কাছে শতগুণ তীব্র সমালোচনার যোগ্য হত ।
ধর্ম জনগণের কাছে আফিম, দুমা মঞ্চ থেকে আমাদের গ্রুপ এই ঘোষণা করে একান্ত সঠিক কাজই করেছেন এবং এই ভাবে ধর্মের প্রশ্ন নিয়ে রুশ.....
www.amarboi.com

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.