নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

চেতনায় বদর-ওহোদ-কারবালা ।

রাসেল সরকার

প্রিয়নবীর প্রেমহীন আত্মামৃত, সর্ব মিথ্যার অন্ধকারে নিমজ্জিত ।

রাসেল সরকার › বিস্তারিত পোস্টঃ

গর্ভনিরোধক ওষুধ দিয়ে চলে বেপরোয়া ধর্ষণ:

১৬ ই মার্চ, ২০১৬ রাত ২:১৮

ঢাকা: ছোট এক ঘরে সারাদিনতালাবদ্ধ থাকে ১৬ বছরের কিশোরী। ঘরে আসবাব বলতে শুধু একটা খাট। সূর্য যত পশ্চিমে ঢলত, আতঙ্কে বিছানার কোনায় ততই সিঁটিয়ে যেত মেয়েটা। সে জানত সন্ধ্যা নামলেই বাইরের তালাটা খুলে যাবে। ঘরে ঢুকবে আইএস
জঙ্গিরা। একটা ওষুধ খাইয়ে দেবে জোর করে। তার পর শুরু হবে ধর্ষণ। শুধু ওই কিশোরী নয়, ইরাক এবং সিরিয়ার বিভিন্ন এলাকায় কয়েকশ ইয়াজিদি তরুণীকে এভাবে যৌনদাসী করে রেখেছে আইএস। এদের বেশিরভাগেরই বয়স ১৬ থেকে ২৩-য়ের মধ্যে। প্রতিদিন তাদের গর্ভনিরোধক ঔষধ খাওয়ানো হচ্ছে। এরপর কনডম ছাড়াই যৌন সঙ্গমে বাধ্য করা হচ্ছে। ইসলামিক স্টেটের দখলে থাকা ইরাক এবং সিরিয়ার বড় একটি অংশে যৌনদাসী প্রথা এখন রমরমা। ইরাক এবং সিরিয়ার সংখ্যালঘু ইয়াজিদি সম্প্রদায়ের মেয়েদেরই মূলত
যৌনদাসী বানিয়েছে আইএস। যৌনদাসী কাকে বানানো যাবে, তা নিয়ে নির্দেশিকাও রয়েছে জঙ্গি সংগঠনটির। যাকে যৌনদাসী
বানানো হচ্ছে, তাঁর সঙ্গে যৌন সঙ্গম করার আগে পুরুষকে নিশ্চিত হয়ে নিতে হবে যে সেই নারী গর্ভবতী নন। এই নির্দেশিকা মেনে চলার জন্য গর্ভনিরোধক ওষুধ এবং ইঞ্জেকশনের বেপরোয়া ব্যবহার শুরু করেছে আইএস। জঙ্গি শিবির থেকে পালিয়ে আসা ইয়াজিদি নারীদের সাক্ষাৎকারে সামনে এসেছে এই তথ্য। মুক্তি পাওয়ার পর ইয়াজাদি নেতাদের মাধ্যমে বিভিন্ন স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার সঙ্গে যোগাযোগ হচ্ছে এই মেয়েদের। তাঁদের উপযুক্ত চিকিৎসা এবং পুনর্বাসনের ব্যবস্থা করছে সংস্থাগুলো। অধিকাংশ ক্ষেত্রেই যুক্তরাষ্ট্র এবং জার্মানিতে আশ্রয় নিচ্ছেন ভয়ঙ্কর যৌন দাসত্বের কবল থেকে বেরিয়ে আসা ইয়াজিদি তরুণীরা। ইয়াজিদি মেয়েদের কেনাবেচা আইএস শাসিত এলাকায় এখন বেশ বড়সড় ব্যবসা। যে ইয়াদিজি তরুণীরা আইএসের কবল থেকে পালাতে পেরেছেন, তাঁরা জানিয়েছেন, একাধিক বার হাতবদল হয়েছে তাদের মালিকানা’। অর্থাৎ এক আইএস যোদ্ধা বেশ কিছু দিন ধরে ধর্ষণ করার পর যখন কোনও তরুণীর প্রতি আগ্রহ হারিয়ে ফেলে, তখন সে তাঁকে বিক্রি করে অন্য কারও কাছে। এই হাতবদল চলতে থাকে কয়েক মাস অন্তরই। আর যে কোনও নতুন মালিক তার যৌনদাসীর হাতে প্রথমেই যেটি দেয়, তা হল একটি গোল বাক্স। সেই বাক্সে ভরা থাকে এক মাসের গর্ভনিরোধক ঔষধ। প্রতিদিন সন্ধ্যায় ধর্ষণ শুরুর আগে নিজে দাঁড়িয়ে থেকে যৌনদাসীকে ওই ঔষধ খেতে বাধ্য করে আইএস যোদ্ধারা। ওষুধ খাওয়ার পর শুরু হয় অকথ্য নির্যাতন। শুধু গর্ভনিরোধক বড়িতেই শেষ নয়। প্রতি মাসে হাসপাতালে গিয়ে পরীক্ষা করাতে হয়, ইয়াজিদি তরুণী গর্ভবতী হয়ে পড়েছে কি না। যৌনদাসী বিক্রির সময়ও এই পরীক্ষা করানো হয়। ক্রেতা নিশ্চিত হয়, যাকে কিনছে, তিনি গর্ভবতী নন। নাম প্রকাশ না করে বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমে ভয়ঙ্কর দিনগুলোর স্মৃতি তুলে ধরেছেন আইএসের আস্তানা থেকে পালিয়ে আসা অনেক মেয়ে। তাদেরই একজন জানিয়েছেন, কেনার আগে এক আইএস নেতা তাকে জি়জ্ঞাসা করেন, কবে শেষবার ঋতুস্রাব হয়েছিল। বাড়িতে নিয়ে সেই নেতা এমন ওষুধ খাইয়েছিল যে ওই তরুণী প্রবল রক্তপাতে অসুস্থ হয়ে পড়েন। একটু সুস্থ হওয়ার পর সেই আইএস নেতা তাকে বিবস্ত্র হতে নির্দেশ দেয়। তার পর তরুণীর উরুতে সে গর্ভনিরোধক ইঞ্জেকশন দেয়। ১৫০ মিলিলিটার তরল
সিরিঞ্জ দিয়ে শরীরে ঢুকিয়ে দেওয়ার পরই বিছানায় ঠেলে ফেলে দেওয়া হয় তরুণীকে। শুরু হয় ধর্ষণ। ১৮ বছরের এক তরুণী প্রথমে উত্তর ইরাকের তাল আফার শহরের আইএস গভর্নরের যৌনদাসী ছিলেন। তাঁকে গর্ভনিরোধক ঔষধও এবং ইঞ্জেকশনও দেয়া হত। পরে সেই গভর্নর এক কম বয়সি যোদ্ধার কাছে বিক্রি করে সেই তরুণীকে। সেই যোদ্ধার মা পরীক্ষা করানোর জন্য মেয়েটিকে হাসপাতালে নিয়ে গিয়েছিল। হাসপাতাল থেকে ফিরে খুব উচ্ছ্বসিত হয়ে মা তার ছেলেকে জানিয়েছিল, ইয়াজিদি তরুণীটি গর্ভবতী নয়। অর্থাৎ মা ছেলেকে বুঝিয়ে দিয়েছিল, এই তরুণীকে ধর্ষণ করতে কোনও বাধা নেই। মহাসপাতালে প্রত্যেক মাসে মূত্রের নমূনা পরীক্ষা করতে যাওয়ার দিনগুলোকে স্মরণ করছিলেন কেউ কেউ। বলছিলেন, কি নিদারুণ দ্বিধা নিয়ে তাঁরা অপেক্ষা করতেন রিপোর্টের। রিপোর্ট পজিটিভ হওয়ার অর্থ, তাঁর গর্ভে তাঁর ধর্ষকের সন্তান। রিপোর্ট নেগেটিভ হওয়ার অর্থ, আবার প্রতিদিন সন্ধ্যা নামলেই ধর্ষিতা হতে হবে
তাকে।

প্রকাশ : ১৩ মার্চ, ২০১৬ ১৬:১৪:৩৬
আপডেট : ১৪ মার্চ, ২০১৬ ১২:১৩:০৬
আন্তর্জাতিক ডেস্ক, ঢাকাটাইমস

মন্তব্য ৮ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৮) মন্তব্য লিখুন

১| ১৬ ই মার্চ, ২০১৬ রাত ২:৩১

সুরাইয়া বীথি বলেছেন: হে খোদা কি হৃদয়বিদারক ঘটনা ! কোথায় সভ্য আর শালীন সমাজ ? ঐ সব নর পাপীষ্ঠদের হাত থেকে কি কোন দিনই মুক্তি পাবে না ঐ সহজ সরল তরুণীরা ?

২২ শে মে, ২০১৬ বিকাল ৫:৩০

রাসেল সরকার বলেছেন: রাত যত গভীর হয় ভোর তত নিকটে আসে ।

২| ১৬ ই মার্চ, ২০১৬ সকাল ৯:১৩

অগ্নি সারথি বলেছেন: খোদার গজব পড়ুক এসব কুকুরদের উপর।

২২ শে মে, ২০১৬ বিকাল ৫:৩৩

রাসেল সরকার বলেছেন: তারা গজবের মধ্যেই আছে ।

৩| ১৬ ই মার্চ, ২০১৬ সকাল ৯:১৮

আরজু নাসরিন পনি বলেছেন:

কী ভয়ংকর !

এমন আরো কতো ভয়ংকর ঘটনা ঘটে চলছে সভ্যতার আড়ালে নারীর জীবনে।
সৃষ্টিকর্তা সহায় হোন...
মানবতা জাগ্রত হোক।

২২ শে মে, ২০১৬ বিকাল ৫:৩৮

রাসেল সরকার বলেছেন: মানবতার জয় হবেই হবে ।

৪| ১৬ ই মার্চ, ২০১৬ সকাল ১০:০৪

বিজন রয় বলেছেন: তাতে কার কি আসে যায়।

২২ শে মে, ২০১৬ বিকাল ৫:৪০

রাসেল সরকার বলেছেন: অন্তরে যদি বিপ্লব নাহি আসে......

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.