নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

চেতনায় বদর-ওহোদ-কারবালা ।

রাসেল সরকার

প্রিয়নবীর প্রেমহীন আত্মামৃত, সর্ব মিথ্যার অন্ধকারে নিমজ্জিত ।

রাসেল সরকার › বিস্তারিত পোস্টঃ

স্বাগতম মহান "রবিউল আওয়াল"

০২ রা ডিসেম্বর, ২০১৬ ভোর ৫:৪৬



সত্যের পরম দিশা মহান প্রিয়নবীর শুভাগমন তথা মহান ঈদে আজম শরীফ । ঈদে আজম শরীফ সংঘটিত হওয়ার মাধ্যমে শতধাবিচ্ছিন্ন মানব মন্ডলী ফিরে পায় সত্য-মানবতা ভিত্তিক আত্মা ও জীবন-জগত । পৃথিবীর বুক থেকে সকল প্রকার অন্যায়, অবিচারপূর্ণ জীবনব্যবস্থার উচ্ছেদ ঘটেছিল এবং সত্য-ন্যায়ের আলোকে, শান্তিপূর্ণ জীবনব্যবস্থা প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল । এ লক্ষ্যেই পৃথিবীর বুকে ইতিহাসের সবচাইতে চূড়ান্ত সত্যের বিপ্লব সংঘটিত হয়েছিল । যা সত্য-মানবতায় বিশ্বাসীদের জন্য চূড়ান্ত দিশা। যে কোন প্রতিকূলতার মধ্যে অনড়, অটল থেকে সাফল্য ছিনিয়ে আনার শিক্ষাই ঈদে আজম ।
বর্তমানে লক্ষ লক্ষ টাকা খরচের মাধ্যমে শোভাযাত্রা করে নানা উদ্দেশ্যে ঈদে আজম শরীফ পালনের নামে প্রতারণা করা হচ্ছে । সাধারণ মানুষ মহান প্রিয়নবীর প্রতি ভালোবাসার, প্রেমের বহিঃপ্রকাশ মনে করে অংশ গ্রহণ করছে । কিন্তু প্রশ্ন হচ্ছে, যে লক্ষ্য-উদ্দেশ্যে ঈদে আজম শরীফ সংঘটিত হয়েছিল । সে শিক্ষা আমরা অনুধাবন করতে পারছি ? আমাদের আত্মা-জীবনে সেই শিক্ষা কি প্রতিষ্ঠিত করতে পেরেছি? যদি তা না পারি তবে মহান প্রিয়নবীর প্রতি এই ভালোবাসা প্রদর্শনের কী অর্থ থাকতে পারে? আমাদের আগে বুঝতে হবে ঈদে আজম শরীফ কেন সংঘটিত হয়েছিল, কী উদ্দেশ্য নিয়ে এবং তার শিক্ষা কী।
বিশ্ব সুন্নী আন্দোলনের রূপকার "আল্লামা ইমাম হায়াত" বলেনঃ সকল নবী-রাসুল আলাইহিমুস সালামগণের শুভাগমন হয়েছে ঈমান-দ্বীন-মানবতার পরীপন্থী বস্তুবাদের বিরুদ্ধে । "মহামান্য ইমাম হায়াত" আরো বলেনঃ পবিত্র কলেমা তাইয়েবার মাধ্যমে বস্তুগত উপাসনা তথা বস্তু কেন্দ্রিক জীবনচেতনার বিপরীতে একমাত্র রেসালাতকেন্দ্রিক আত্মপরিচয় ও জীবনচেতনার মাধ্যমে তাওহীদ ভিত্তিক জীবনচেতনার শপথ নেয়া হয় । তাই মুমিনের জীবন ভাষা-গোত্র-রাষ্ট্র-পেশা-লিঙ্গ-বর্ণ ইত্যাদি বস্তু ভিত্তিক নয়, খেলাফত-ইমামত-বেলায়েতের অনুসরণে কেবলমাত্র রেসালাতকেন্দ্রিক তাওহীদ ভিত্তিক । নাস্তিক্যউদ্ভূত বস্তুভিত্তিক জীবন সমাজ ও রাষ্ট্র ব্যবস্থা কলেমার জীবনচেতনার বিপরীত তথা তাওহীদ রেসালাতের বিপরীতে বিধায় এসবের সমর্থক অনুসারী প্রকৃতপক্ষে ঈমানদার বা মুসলিম থাকেনা ।
মহামান্য "ইমাম হায়াত" এর দিকদর্শনেই খুজেঁ পাওয়া যায় ঈদে আজম শরীফের প্রকৃত লক্ষ্য-উদ্দেশ্য । যা মিথ্যা-জুলুমের কারাগার থেকে, আজকের প্রেমহীন-ক্ষমাহীন-অসুন্দর পৃথিবীকে মুক্ত ও স্বাধীন এবং সত্য-ন্যায়ের আলোকে মানবতার রাষ্ট্র ও বিশ্ব কাঠামো বাস্তবায়ণে একমাত্র সহায়ক । মহামান্য "ইমাম হায়াত" ঈদে আজম শরীফের মোবারক বাণীতে বলেনঃ

স্বাধীনতার আগমন ঈদে আজম
মানবতার আগমন ঈদে আজম
কোরআনের আগমন ঈদে আজম

মন্তব্য ৪ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (৪) মন্তব্য লিখুন

১| ০২ রা ডিসেম্বর, ২০১৬ ভোর ৬:২৪

বাবা বিড়াল বলেছেন: জনাব, আপনার ইমাম হায়াত মালটা কে?

ঈদে আজম নিয়ে আমার নিকট আরও কতগুলো প্রস্তাব আছে। সেগুলোও পালন করা যায় কি না আপনার ইমাম হায়াতকে ভেবে দেখতে বলবেন।


২৫ ডিসেম্বর নবী ঈসা রুহুল্লাহ (আ) এর আগমন ঈদে আজম!
শুধু খ্রিস্টানরা কেন পালন করবে? আমরাও পালন করব। ঈসা (আ) তো আমাদেরও নবী।

১০ই মুহাররাম ঈদে আজম, কারণ এই দিন আল্লাহ আমাদের নবী মুসা (আ) ও তার সম্প্রদায়কে ফেরাউনের হাত থেকে মুক্তি দিয়েছিলেন। ঈদের দিন রোযা রাখা যায় না। সুতরাং এই দিন রোযা রাখা হারাম।


আচ্ছা ভাই রবিউল আউয়াল পুরা মাসই ঈদ নাকি?





০৬ ই ডিসেম্বর, ২০১৬ রাত ১২:১১

রাসেল সরকার বলেছেন: Click This Link

২| ০২ রা ডিসেম্বর, ২০১৬ সকাল ৭:০১

মুনাজির বলেছেন: বিআতিরা অনেক ক্ষেত্রে নাস্তিকদের চাইতে বেশী বেকুব হয়।
এই যে তারা রবিউল আউয়ালকে ‘ঈদে আজম’ বলে, তার মানে কী? সবচেয়ে বড় ঈদ! অনেক বিদআতি এটাকে ‘সায়্যেদুল আইয়াদ’ বলে থাকেন, তার মানে কী? সকল ঈদের সরদার!!
আমরা নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের অনুসারী, তিনি দু’টি ঈদ পালন করেছেন, তাই আমরাও দু’টি দিনকে ঈদ হিসেবে জানি। বিদআতিরা নবীর পালন করার ঈদকে প্রকারান্তরে ছোট ঈদ বলতে চায়, যেটা আমরাও পালন করি, আর তাদেরটা হচ্ছে ঈদে আজম বা বড় ঈদ!
আচ্ছা আমাদের ছোট ঈদের দিন তো সালাত আছে, কুরবানি আছে, আরো অনেক ইবাদত আছে, কিন্তু বিদআতিদের বড় ঈদের দিন এরূপ করণীয় আমল কী আছে? আমার একেবারেই অজানা অখ্যাত আল্লামা ইমাম হায়াতের অনুসারীরা উত্তর দিন।

০৬ ই ডিসেম্বর, ২০১৬ রাত ১২:১২

রাসেল সরকার বলেছেন: Click This Link

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.