নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

চেতনায় বদর-ওহোদ-কারবালা ।

রাসেল সরকার

প্রিয়নবীর প্রেমহীন আত্মামৃত, সর্ব মিথ্যার অন্ধকারে নিমজ্জিত ।

রাসেল সরকার › বিস্তারিত পোস্টঃ

ইতিহাসের পাতায় স্বরণীয় স্তনশুল্ক বিরোধি প্রথা ভঙ্গকারী "নাঙ্গেলী"

১৬ ই মার্চ, ২০১৭ রাত ৯:৪৭


১৮০৩ সালে একটি কু প্রথা চালু ছিল ভারতের কেরলা অঙ্গরাজ্যে। ত্রিবাঙ্কুর রাজা এ রাজ্যের নিচু হিন্দু জাতের মধ্যে একপ্রকার শুল্ক বা করারোপ করেছিল। এ করটির নাম ‘স্তনশুল্ক’ । স্থানীয় ভাষায় নাম ‘মুলাক্করম’ ।

সে সময় ওই রাজ্যে নিয়ম ছিল শুধু ব্রাহ্মণ ছাড়া অন্য কোনো হিন্দু নারী তাদের স্তনকে কাপড় দ্বারা আবৃত করে রাখতে পারবে না। এখানে শুধুমাত্র ব্রাহ্মণ শ্রেণির হিন্দু নারীরাই তাদের স্তনকে এক টুকরো সাদা কাপড় দিয়ে ঢেকে রাখতে পারত। এছাড়া বাকি হিন্দু শ্রেণির নারীদের প্রকাশ্যে স্তন উন্মুক্ত করে রাখার আইন প্রচলন ছিল ত্রিবাঙ্কুর রাজার এই রাজ্যে। তবে যদি কোনো নারী যদি তার স্তনকে কাপড় দ্বারা আবৃত করতে চাইত, তাহলে তাকে স্তনের মাপের উপর নির্ভর করে নির্দিষ্ট হারে ট্যাক্স বা কর দিতে হত।

‘মুলাক্করম’ বা ‘স্তনশুল্ক’র বড় অংশই যেত ত্রিবাঙ্কুরের রাজাদের কুলদেবতা পদ্মনাভ মন্দিরে। দলিতদের আজীবন ঋণের নিগড়ে বেঁধে রাখার এই ব্রাহ্মণ্যবাদী প্রক্রিয়ার বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়িয়েছিলেন আলাপুঝার এঝাওয়া সম্প্রদায়ের নারী নাঙ্গেলি । ১৮০৩ সালে এই সাহসিনী নারী রাজার ওই নিয়মকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে তার স্তনকে আবৃত করে রাখে।

নাঙ্গেলি তার স্তন আবৃত করে রাখায় গ্রামের শুল্ক সংগ্রাহক তার কাছ থেকে ‘মুলাক্করম’ বা ‘স্তনশুল্ক’ দাবি করেন। তবে ‘মুলাক্করম’ বা ‘স্তনশুল্ক’র প্রতিবাদে নাঙ্গেলি ক্ষুব্ধ হয়ে নিজের দুটি স্তন ধারালো অস্ত্র দিয়ে কেটে কলাপাতায় মুড়ে ওই শুল্ক সংগ্রাহকের হাতে তুলে দেন। কাটা স্তন দেখে শুল্ক সংগ্রাহক হতবাক হয়ে যায়। স্তন কেটে ফেলার কিছুক্ষণ পর অতিরিক্ত রক্তক্ষরণে মৃত্যু হয় নাঙ্গেলির।★। শেষকৃত্যের সময় নাঙ্গেলির স্বামী নিজেও ঝাঁপিয়ে পড়েন জ্বলন্ত চিতায়। এই ঘটনার পর থেকেই ‘মুলাক্করম’ বা ‘স্তনশুল্ক’ রোহিত হয়। তবে ‘মুলাক্করম’ বা ‘স্তনশুল্ক’ রোহিত হলেও দক্ষিণ ভারতে নারীদের স্তন আবৃত করার জন্য বহু সংগ্রাম করতে হয়েছে। এমনকি এ নিয়ে রক্তক্ষয়ী দাঙ্গা পর্যন্ত হয়েছে।

উনিশ শতাব্দীর মাঝামাঝিতে এসে কিছু হিন্দু নারী তাদের শরীরের উপরের স্তন আবৃত করার অধিকার দাবি করেন, তখন হিন্দু পুরোহিতরা স্পষ্ট করে বলে দেন, নিচু বর্ণের নারীদের শরীরের উপরের অংশ আবৃত করা ধর্মবিরোধী। এ বিষয়টি নিয়ে ১৮৫৯ সালে দক্ষিণ ভারতে দাঙ্গা পর্যন্ত হয়েছিল। এই দাঙ্গার উদ্দেশ্য ছিল হিন্দু নারীদের শরীরের উপরের অংশ আবৃত করার অধিকার আদায় করা। ভারতে এই দাঙ্গা ‘কাপড়ের দাঙ্গা’ হিসাবেও পরিচিত★
ইতিহাসের পাতায় স্বরণীয় হয়ে আছে "নাঙ্গেলী" ।

মন্তব্য ১১ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (১১) মন্তব্য লিখুন

১| ১৬ ই মার্চ, ২০১৭ রাত ১০:২১

মুহাম্মদ জহিরুল ইসলাম বলেছেন: অদ্ভূত ঐ রাজার চিন্তা ভাবনা! :|

১৭ ই মার্চ, ২০১৭ রাত ১:২৫

রাসেল সরকার বলেছেন: আবু জাহেল, আবু লাহাবরা এই ধরণের কাজ করেছিল কিনা, তা অনুসন্ধান করে দেখতে হবে ।

২| ১৬ ই মার্চ, ২০১৭ রাত ১১:২৫

জাহিদ হাসান বলেছেন: কতটুকু নোংরা ও বর্বর আইন-কানুন ছিল হিন্দু সমাজে- তা সহজেই অনুমান করা যায়!

১৭ ই মার্চ, ২০১৭ রাত ১:২৩

রাসেল সরকার বলেছেন: যথার্থই বলেছেন ।

৩| ১৭ ই মার্চ, ২০১৭ রাত ৩:৫০

আরণ্যক রাখাল বলেছেন: অদ্ভত ইতিহাস।
সব সম্ভবের দুনিয়া!

৪| ১৭ ই মার্চ, ২০১৭ সকাল ৯:০৪

অগ্নিবেশ বলেছেন: জাহিদ হাসান বলেছেন: কতটুকু নোংরা ও বর্বর আইন-কানুন ছিল হিন্দু সমাজে- তা সহজেই অনুমান করা যায়
হিন্দুরা আইন করে ওইগুলো ধর্ম থেকে বাদ দিছে, এবং দেওয়ার চেষ্টা করছে।
ইসলাম এই জায়গাতে পিছিয়ে আছে।

১৭ ই মার্চ, ২০১৭ দুপুর ১২:১৫

রাসেল সরকার বলেছেন: ধর্মের নামে অধর্ম উগ্রগোষ্ঠী পবিত্র ইসলামের নাম ব্যবহার জঙ্গী হামলা, নিরপরাধ মানুষ হত্যাসহ নানা অপকর্ম চালিয়ে যাচ্ছে । তাদের কারণেই শান্তি-মুক্তি-মানবতার ধর্ম ইসলাম কলংকিত হচ্ছে, জঙ্গী নামে আখ্যায়িত হচ্ছে । এমতবস্থায় প্রকৃত সুফী দার্শনিকদের পথ অনুসরণ না করলে, ইসলামের প্রকৃত আদর্শ তুলে ধরতে না পারলে আরো ভয়াবহ রূপ ধরণ করবে ।

৫| ১৭ ই মার্চ, ২০১৭ রাত ৮:৩৬

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: এই ঘটনার কথা আগেও পড়েছি।

১৮ ই মার্চ, ২০১৭ দুপুর ১২:০৫

রাসেল সরকার বলেছেন: ইতিহাস পর্যালোচনা যারা করেন, তাদের জানা অস্বাভাবিক নয় । ধন্যবাদ

৬| ১৯ শে মার্চ, ২০১৭ রাত ১২:২৪

জাহিদ হাসান বলেছেন: অগ্নিবেশ বলেছেন: জাহিদ হাসান বলেছেন: কতটুকু নোংরা ও বর্বর আইন-কানুন ছিল হিন্দু সমাজে- তা সহজেই অনুমান করা যায়।
হিন্দুরা আইন করে ওইগুলো ধর্ম থেকে বাদ দিছে, এবং দেওয়ার চেষ্টা করছে।
ইসলাম এই জায়গাতে পিছিয়ে আছে।


এখন এই কথা বলতে গিয়া চাপাতির কোপ খামু? তাই পিছায়া আছি। যেদিন ক্ষমতা হাতে পামু, সেদিন সব ধর্মীয় ছাইপাশ সরাতে চেষ্টা করমু নে। ফি সাবিলিল্লাহ!
পিঠ আর পেট বাচাঁতেই পাবলিক ‘‘ধর্ম ও রাজনীতি’’ নিয়ে এখন আর কোন উচ্চবাচ্য করে না। তবে একদিন সময়ই ঠিকই আসবে- যেদিন পাবলিক আর ভয় পাবে না। সেদিনের আশাতে তো আছি।


২০ শে মার্চ, ২০১৭ রাত ২:৪০

রাসেল সরকার বলেছেন: আপনার স্বাধীন মতামতের জন্য ধন্যবাদ ।
ইসলামে নতুন করে যোগ-বিয়োগ‌ করার কিছু নেই । কারণ চৌদ্দশত বছর পূর্বে যা ছিল, এখনও তাই আছে এবং থাকবে কেয়ামত পর্যন্ত । ইসলাম তার স্ব অবস্থানেই আছে ।
কিন্তু অত্যন্ত দুঃখের বিষয় যে, ইসলামের নাম ব্যবহার করে, যারা ইসলামকে কলংকিত করছে তারা সত্য-মানবতার শত্রু । তারা ধর্মের লেবাশে বা ছদ্মনামে ধর্মকে কলংকিত করছে ।
নিরপরাধ মানুষ যে কোন ধর্মের বা মতের অনুসারীই হোক না কেন, তাকে হত্যা করা মূলত ইসলামের আদর্শকেই হত্যা ।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.