নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

চেতনায় বদর-ওহোদ-কারবালা ।

রাসেল সরকার

প্রিয়নবীর প্রেমহীন আত্মামৃত, সর্ব মিথ্যার অন্ধকারে নিমজ্জিত ।

রাসেল সরকার › বিস্তারিত পোস্টঃ

বাদুড় বাগান লেনে নজরুল ইসলাম তখন

২৩ শে মার্চ, ২০১৭ দুপুর ১২:২৫



৮ সেপ্টেম্বর ১৯৪১ তারিখে বাদুড় বাগান লেনের বাসায় গিয়ে অন্যতম নজরুল জীবনীকার আজহার উদ্দিন খান যে অবস্থায় কবিকে দেখেন তা সংক্ষিপ্তাকারে মোটামোটি এই রকমঃ

কবি পত্নী খাটে শায়িত । তাঁর পালিত মেয়েটি কাপড় সেলাই ক'রছেন । কবির চতুর্থ ও সর্ব কনিষ্ঠ পুত্র কাজী অনিরুদ্ধ ইসলাম দরজার কাছে দাঁড়িয়ে একটি পত্রিকার পাতা একটার পর একটা উল্টে দেখছেন । জানলেন : কবির স্ত্রী পাশ ফিরতেও সক্ষম নন । নিম্নাঙ্গ পক্ষাঘাতে সম্পূর্ণ অচল । অতি কষ্টে চিঠি পত্রের জবাব লেখেন ।
পালিতা কন্যা উঠে গিয়ে পাশের ঘরের কপাট খুলে দিলেন । কবি বেরিয়ে এলেন । পরনে একটা লুঙ্গি ও ধূসর বর্ণের হাফ শার্ট । মুখে একটা তীব্র উত্তেজনার ভাব ফুটে বেরুচ্ছে । সেই বিদ্রোহী প্রাণশক্তির ছাপ কেবল অস্তরাগের বিলিয়মান আভার মতো মুখে খেলা ক'রছে । দরজার পাশেই আসন পাতা । চারিদিকে বিভ্রান্ত'র মতো তাকিয়ে সেখানে ব'সে পড়লেন তিনি ।

পাশেই পুরানো মাসিক, সাপ্তাহিক পত্রিকাগুলো ছেঁড়া অবস্থায় গুছানো রয়েছে । সেগুলোর পাতা একটার পর একটা উল্টে হ'লেছেন কবি । পড়েন না । কপাট খুলে দেওয়া হয় কিংবা কখনো নিজে কপাট খুলে ঐ জায়গায় ব'সে বই । পত্রগুলো ওল্টাতে থাকেন । খাওয়া দাওয়া সম্বন্ধে উদাসীন । খাইয়ে দিলে খান ।
জিভে আঙুল দিয়ে পাতা উল্টে হ'লেছেন কী যেন একটা জরুরী জিনিষ খুঁজছেন ।
আজহার উদ্দিন খান চাইলেন যেন তাঁর খাতায় কবি নিজের নামটা লিখে দেন । কাজী অনিরুদ্ধ ইসলাম তখন খাতা আর কলমটা এগিয়ে দিয়ে তাঁর আব্বাকে কাজী নজরুল ইসলাম, এই নাম পুরো দস্তখত ক'রতে ব'ললেন । কবি তাঁর পুরো নাম লিখে দিলেন ।
ধারণা করার অনেক কারণ আছে যে, কবিকে স্তব্দ ও নীরব ক'রে দেওয়ার একটা গভীর ষড়যন্ত্র হ'য়েছিল । কবিকে শারীরিকভাবে জখম করা হ'য়েছিল । ঘটনার তিন দশকেরও অনেক পর কবির ঘাড়ে প্রচন্ড আঘাতের চিহ্ন খুঁজে পাওয়া গেছে । পরবর্তীকালে ঢাকায় বিভিন্ন বিভাগের বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক সমন্বয়ে গঠিত মেডিক্যাল বোর্ডের ফাইন্ডিংস -এ এ কথাই বলা হয় ।
সূত্রঃ নবযুগ ও নজরুল জীবনের শেষ পর্যায়-২৮৭

মন্তব্য ১২ টি রেটিং +৩/-০

মন্তব্য (১২) মন্তব্য লিখুন

১| ২৩ শে মার্চ, ২০১৭ দুপুর ১২:৫৭

অগ্নিবেশ বলেছেন: আমেরিকা অথবা রবীন্দ্রনাথের যড়যন্ত্র।

২৩ শে মার্চ, ২০১৭ দুপুর ১২:৫৯

রাসেল সরকার বলেছেন: ষড়যন্ত্রের শিকার হয়েছিলেন , কাজীদা

২| ২৩ শে মার্চ, ২০১৭ দুপুর ১:০৯

অগ্নিবেশ বলেছেন: ঠিক ধরেছি, এক কথায় বলতে গেলে হিন্দুদের যড়যন্ত্র।

২৩ শে মার্চ, ২০১৭ দুপুর ২:৪২

রাসেল সরকার বলেছেন: অনুমান করা কঠিন ।

৩| ২৩ শে মার্চ, ২০১৭ দুপুর ১:২২

ফরিদ আহমদ চৌধুরী বলেছেন: ষড়যণ্ত্র হয়ে থাকলে তা’হয়েছে হিনমন্যতার পরিচায়ক।

২৩ শে মার্চ, ২০১৭ দুপুর ২:৪৩

রাসেল সরকার বলেছেন: স্রষ্টার বিচারিক আদালতে বিচার হবে ।

৪| ২৩ শে মার্চ, ২০১৭ দুপুর ২:২১

তপোবণ বলেছেন: রবীন্দ্রনাথের যড়যন্ত্র কথাটি খুবই অসত্য। রবীন্দ্রনাথের এমন বিবেক থাকার কথা নয়। তাছাড়া কাজীদা রবীন্দ্রনাথকে খুব ভালবাসতেন। রবীন্দ্রনাথের মৃত্যুর পরপরই ইনস্ট্যান্ট প্রতিকৃয়ায় কাজীদার যে কবিতা তা পড়ে দেখার অনুরোধ রইল সবাইকে।

২৩ শে মার্চ, ২০১৭ দুপুর ২:৪১

রাসেল সরকার বলেছেন: সহমত

৫| ২৩ শে মার্চ, ২০১৭ দুপুর ২:২৯

আরণ্যক রাখাল বলেছেন: কে ষড়যন্ত্র করেছে বলে মনে করেন??
তাকে যদি আঘাত কেউ করে থাকে, সেটা সমাজ।

২৬ শে মার্চ, ২০১৭ দুপুর ২:৫৫

রাসেল সরকার বলেছেন: আরো কিছু তথ্য পেয়েছি । খুব শিঘ্রই যুক্ত করবো ।

৬| ২৩ শে মার্চ, ২০১৭ দুপুর ২:৫২

অগ্নিবেশ বলেছেন: লেখকের সহমতে রবীন্দ্রনাথ বেঁচে গেল, বাকি থাকলো হিন্দুদের ষড়যন্ত্র। আমেরিকা কি এর মধ্যে আছে?

৭| ২৩ শে মার্চ, ২০১৭ বিকাল ৫:১৮

চাঁদগাজী বলেছেন:



বাংগালী জাতি একটি বড় কাজ করেছিলেন, সেটা হলো কবিকে ঢাকায় নিয়ে আসা।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.